এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ২৭ জুন ২০১৯ ১৩:১৭383223
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 230123.142.01900.203 (*) Date:22 Jun 2019 -- 07:52 AM

    আরেকটা খবর আছে, সেটা অবশ্য মজার। অফ অল পিপল ই চিন্মোহন সেহানবিশের একটা ১৯৬০-৬১ র লেখা ভাষাবন্ধন রিপ্রিন্ট করেছে এই কাল হাতে পেলাম সংখ্যাটায়। তাতে ১৯৩৬ নাগাদ স্পেন গৃহযুদ্ধের সময়ে সত্যেন মজুমদারের সম্পাদনায় আবাপ কি ভাবে সেটা কভার করেছিলেন, সে সম্পর্কে শ্রদ্ধা সূচক এক লাইন আছে, ডিসক্লেমার সহ, 'তখনো পত্রিকর আজ কের রূপ হয় নি' (প্যারাফ্রেজ্ড)। ঃ-)))) মনে হয় এটা খানিকটা দু রকম প্রভাব আ্ছে, এক তো ক্রিস্টোফার কডওয়েল, অর ওয়েল সহ ব্রিটিশ বামপন্থী সোর্স তখন আমাদের সাংবাদিক দের কাছে বেশি অ্যাকসেসিবল ছিল, তদুপরি, সোভিয়েট পার্টি পক্ষ নিয়ে ছিল ফ্রাংকো বিরোধী ইনটারন্যাশনাল ব্রিগেডের, পরে অবশ্য অরওয়েল সেটা নিয়ে বিটার হয়ে যান ইত্যাদি। তো আবাপ ও এক কালে পোগিতিসীল ছিল জেনে যদি শীর্ষেন্দু পন্থী রা মনে শান্তি পান, তাই খবরটা দিয়ে রাখলাম, তবে একটা দুঃখের লেখাটা আবাপ রিপ্রিন্ট করেছে কিনা জানি না, ভাষাবন্ধন করেছে ঃ-)) অবশ্য আবাপ লাইব্রেরি ইউজ্ড টু বি দ্য বেস্ট ইন টাউন ঃ-)) দেখুন আবার প্রশংসা করলাম।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 230123.142.01900.203 (*) Date:22 Jun 2019 -- 07:37 AM

    সৈকত(প্রথম)/ ইন্দো, তোদের একটা খবর দেবার আছে। সেরিবানের অরুন বাবুর একটা আত্মজীবনী বেরিয়েছে, তাতে পার্টিশনের আগে র অপিনিয়ন পোল এ হিন্দু ভোট কি ভাবে মোবিলাইজড হয়েছিল, তার সম্পর্কে দু চার কথা আছে।

    ভূপেশ গুপ্ত লাইব্রেরী তে অরুন বাবু ছিলেন, সেই প্রসঙ্গে হঠাৎ মনে পড়ে গেল।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 230123.142.01900.203 (*) Date:22 Jun 2019 -- 07:33 AM

    মান্টোর পাঞ্জাবি কাশ্মীরি লেখার কিছু নোতুন সোর্স এসে থাকলে, নজরুল এর ১৯৩৫ পরবর্তী লেখার কিছু নতুন সোর্স , বা নতুন ইনটারপ্রিটেশন নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকলে আলাদা কথা।

    পিটির পার্টি সাম্প্রদায়িক পোলারাইজেশন প্রশ্নে নজরুল এর গণবাণী/লাংঅল র লেখার প্রিন্ট করছে প্রায় ই, সপ্তাহান্তে। ভূপেশ গুপ্ত লাইব্রেরী বা মুজফফর আহমেদ ভবন লাইব্রের এখনো বিজেপি পন্থী বামেরা ভাগ বসায় নি বোধ হয়। বসিয়ে কি করবে, নাগপুর সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আছে ঃ-))))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 230123.142.01900.203 (*) Date:22 Jun 2019 -- 07:29 AM

    নজরুল আর মান্টোর তুলনা করার কোন অর্থ হয় না। সম্পূর্ণ আলাদা সেন্সিবিলিটি। একটা গ্রহণযোগ্য বাঙালি ন্যাশনালিস্ট পজিশন সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র ধারণা আছে তারা এই তুলনা টা করবে না। ঊনবিংশ শতকের বাংলা ভাষা চর্চা, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক্সপেরিয়েন্স, গণবানী/লাঙল পত্রিকা চালানোর সময়ে মুজফ্ফর আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্ত্ব, রোমান্টিক দর্শন নজরুলকে তৈরী করেছে, মান্টো র সেন্সিবিলিটি মূলত আসছে ভগত সিং, বম্বের প্রোগ্রেসিভ রাইটিং গ্রহণ এবং বর্জন থেকে, এবং পার্টিশন থেকে। নজরুল এর পরিচিত কাজের সময়টা একটু আগে। মান্টো শ্যামা সঙ্গীত লিখতে পারতেন না, নজরুল এর পক্ষে কল্লোল যুগ পরবর্তী ভারতীয় সাহিত্যের ভাষা অ্যাডপ্ট করা কঠিন ছিল। বোধ হয় মাঝে মাঝে আলটপকা কমেন্ট ছেড়ে কে কি বলে দেখতে মজা লাগে অনেকের ঃ-)))) অবশ্য হতে পারে, এটা সেই কে কদ্দূর পড়েছে তার একটা কিশোর সুলভ কম্পিটিশনের স্পিরিট, যে জন্য গুরুচন্ডালি তে বুক রিভিউ লিখতেই ইচ্ছে করে না, যাই লিখি, বিশেষত স্বল্প পঠিত দেশি , বিদেশী যাই হোক না, কেন, গতের টেক্সটবুক কলেজ স্ট্রীট পপুলার আর আনন্দ লাইনের লেখা পড়া না হলেই অনেকে বিচিত্র ভাবে রিয়াক্ট করেন, বুক রিভিউ যে মানুষের মধ্যে অকারণ প্রতিযোগিতার স্পৃহা জাগাতে পারে, সেটা সত্যি ই জানা ছিল না ঃ-))) আগে বেশ কয়েকবার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
    প্রায় জয়েন্টে কে কত পেলর মত রিয়াকশন। যাই হোক, জেনেরালি ভারতীয় সাহিত্যে আধুনিকতা র বিভিন্ন পর্যায় গুলো সম্পর্কে বিন্দু মাত্র আগ্রহ থাকলে এই তুলনা করাটাই বাতুলতা। তবে মামুর ফ্রী কল এবং ফ্রী স্পিচ , অসুবিধে নেই, গোটাটাই চীনের থেকে ভালো ঃ-))))

    বাই দ্য ওয়ে, দ্রি এর কথা ফেসবুক লিব্রার খবর দেখার পর থেকে একটু বেশি ই মনে পড়ছে।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.782323.55 (*) Date:23 Jun 2019 -- 09:02 AM

    এটা আমি দেখেছি। তবে শুধু সে জন্য শুদ্ধি করণ এর সম্ভাবনার কথা বলিনি, সম্পূর্ণ কোরাপ্ট একজন মহিলা তার কোরাপশান টাই বিজনেস মডেল , তিনি এই কুনাট‍্য শুরু করবেন এবং অনেকেই তার মধ্যে সততা , স্বতস্ফূর্ততা দেখবেন সেটা তে অবাক হবার কিসু নেই, কিন্তু আমি আরও কদিন নচিকেতা কে বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চাই, কারণ একটি গানের লাইন , 'তোমার জন্য শহরটা এখনো গুজরাট হয়ে যায়নি' বা এরকম কিছু। এমনিতে আমার নচিকেতার লিরিক ধুর লাগে, ডেলিবারেটলি অ্যন্টি ইনটেলেটচুয়াল, এবং অতি কনজারভেটিভ ন‍্যারেটিভ , কিন্তু ঐ লাইন টা ইন্টারেস্টিং, উনি অসূস্থ বা আউট অফ ওয়ার্ক জানা নেই।সুত‍রাং সেটা ফ্লোর ক্রসিং এর কমপেলিং এভিডেন্স কিনা জানি না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.782323.55 (*) Date:23 Jun 2019 -- 10:12 AM

    ডিসি, হ্যাঁ এটা ভাবতে অবাক হলেও সত্যি, এবং প্রায় হোয়াট দেয় ডোন্ট টিচ ইউ ইন বিজনেস স্কুল গোত্রের ঃ-)))
    এটা পিটি ঠিক ই বলেছে, কিন্তু পিটির ই দীর্ঘ দিনের অ্যান্টি ইনটেলেকচুয়াল পজিশন দিয়ে এটা কে ডিফেন্ড করা একটু মুশকিল ঃ-)))) একটা নামের বিরুদ্ধে আরেকটা নাম লড়িয়ে লাভ বিশেষ নেই।

    ঘটনা যেটা বিংশ শতকের টোয়েন্টিজে হাতে গোণা, থার্টিজ এ বেশ কিছু, ফর্টিজ এ বিপুল সংখ্যক বাঙালি ইনটেলেকচুয়াল রা বামপন্থী হন, একেকটা সময়ে একেকটা মোটিভেশন ছিল, এখন এটা আমাদের ইনটেলেকচুয়াল হিস্টরি তে এতটাই পরিচিত বিষয় যে তোমার কতদূর সত্যি অজানা কতদূর ডেলিবারেট অ্যামনেসিয়া কতটা স্রেফ আর্গুমেন্ট বোঝা মুশকিল। যাই হোক একেক্টা ইপোকে একেক রকম মোটিভেশন নিয়ে লোক জন এসেছ্হেন।

    স্বাধীনতার পরে, নেহরুভিয়ান হায়ার কালচারাল বা লার্নিং সেন্টার গুলো কে কেন্দ্র করে (সাহিত্য অকাদেমি, ললিত কলা ইত্যাদি, বিভিন্ন ভাষা পরিষদ) এক ধরণের এস্টাবলিশমেন্ট তৈরী হয়, বাঙালি ইনটেলেকচুয়াল রাও একটা হাতে গোণা অংশ মস্কো যান, তবে সেটা শুধুই প্লেজার ট্রিপ নয়, প্রচুর অনুবাদ হয় সে সময়ের সোভিয়েত পলিসি অনুযায়ী, অনেকেই বামপন্থী আদৌ নন, শুধুই সরকারী , ডিপ্লোমাটিক বা কালচারাল নানা কাজে সারা পৃথিবীতেই যাতায়াত শুরু করেন। অর এটাও মনে করার কার ণ নেই, জেন্টীল লিটেরারি সীন এর সবটাই বামপন্থী ছিল, বিটার রাইভাল রাও ছিলেন, বিশেষত জার্নালিজম এ। ষঠের দশক সত্তরের শুরুতে চীন যুদ্ধ খাদ্য আন্দোলন, নকশাল পন্থা ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে আবার একটা বড় সেকটারিয়ান ডিভাইড হয়, আর ইন্দিরা গান্ধী ডিসটিন্কটলি অনেক ইন্টেলেকচুয়াল এর সিম্প্যাথি পেতে আরম্ভ করে বিকজ অফ হার রোল ইন বাংলাদেশ ওয়ার। তার পরেও ৭৭ এ রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা হবার পরেও প্রথম দিয়ে ভদ্রলোক পজিশন এর আংশিক সিম্প্যাথি থাকলেও ,বাম সরকারের পক্ষে এস্টাবলিশমেন্ট হয়ে উঠতে সময় লেগেছে। পরে দুটো স্কিজম মত হয়, একটা ভদ্র জনোচিত, ফিলম ওয়ালা রা মনে করতে শুরু করেন, বাম সরকার নাটক কে অ্যাজ অ্যান আর্ট ফর্ম যা গুরুত্ত্ব দেন তা সিনেমা কে দেন না, এই নিয়ে লেখক শিল্পী সংঘের ভেতরে ও বাইরে প্রচুইর ডিবেট হয়, তার উপরে ইনডাস্ট্রি লেবার স্ট্যাটাস সংক্রান্ত নানা সমস্যা হয়, আরেকটা দিক ছিল, ইন্টেলেকচুয়াল রা ঠিক নন, শিক্ষক অধ্যাপক দের মধ্যে বামেদের যেটা অনুমোদন ছিল, তারা চাকুরি সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধে , পোস্টিং, কার কোথায় হবে, ইত্যাদি দালালী গ্রুপ নানা গড়ে ওঠে, এতে ওভারল উচ্চশিক্ষার বিশেষত ক্ষতি হয়, কিন্তু আবার স্কুলের সংখ্যা বাড়ে, কলেজের সংখ্যা বাড়ে আর রিক্রুইটমেন্টে রেগুলার হওয়া আরম্ভ হয়, এবং মাইনে বাড়ে। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালন ব্যবস্থায়, ইলেকশন, অধ্যাপক ইউনিয়ন ইত্যাদি অ্যাকটিভ হবার পরে, পুরোনো কংগ্রেসী আকাডেমিক ডন দের ইনফ্লুয়েন্স কমে ঠিক ই কিন্তু নতুন পাওয়ার ব্রোকার দের উদ্ভব হয়, সেটার পরে নাম হয় অনিলায়ন। ইত্যাদি। কিন্তু টু বি ফেয়ার বামপন্থী রা কিপ্টে মত হওয়ায় পজিশন তবু যা কিছু বিলি করে বন্ধু গোষ্ঠী গড়েছিলেন, কিন্তু পারফর্মিং আর্টিস্ট দের গোটাটাই এনগেজমেন্ট এর দায়িত্ত্ব নিয়ে তাঁদের অ্যালেজিয়েন্স পাওয়া সম্ভব ছিল না, যদিও গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ র বিভিন্ন ফ্যাকশন তৈরী হয়, একদলের মূল ইন্টারেস্ট ছিল পরের পার্ফরমান্সে ডাক পাওয়া।

    পারফার্মিং আর্টে যত প্রফেসনালিজম বেড়েছে, সরকারের পক্ষে সেটা কে পুরো পেট্রোনাইজ করা তত অসম্ভব হয়েছে, অন্য দিকে কনজারভেটিভ পপুলার কালচার কে পেট্রোনাইজ করা সম্ভব ছিল না, বামেদের পক্ষে, সুতরাং তুমি ২০০৮-২০১৬ ইতিহাস যদি দেখো, দেখবে বুদ্ধিজীবি শব্দটার বদলে বিশিষ্ট শব্দ টা বেশি ব্যবহর হচ্ছে, এতে তিন চারটে কাজ এক সঙ্গে হচ্ছেঃ

    মমতার নিজের আর্স্টহোয়াইল প্রায় পিটির মতই অ্যান্টি (ক্রিটিকাল) ইন্টেলেকচুয়াল ন্যারেটিভে এই পরিবর্তন ফিট করছে, পরফর্মিং আর্টের শিল্পি রা লোকাল বিজনেস এর উপরে নিরভরশীল হচ্ছেন, কাজের জন্য, ক্রিটিকাল পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল রা মূলত আকাদেমিয়ায় জায়গা পাচ্ছেন, এবং পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল আর থাকছেন না, ফাইনালি, সেলিব্রিটি কালচার কে অয়্কোমোডেট করাঅর একটা দরকার ও হচ্ছে। তো এই সব পরিস্থিতিতে খুব স্বাভাবিক ছিল বামেদের ইনটেলেকচুয়াল ফ্রন্ট ছত্রখান হয়ে যাওয়া, এবং নতুন ইপোকে নতুন বিশিষ্ট দের গড়ে ওঠা। এগুলো শুধু সময়ের ভবিতব্য না, খানিকটা দেশের পলিসির ফল, খানিকটা নতুন ফর্মের কালচারাল প্রোডাকশন উঠে আসা, ম্যাস কালচার প্রোডাকশনের খোল নলচেই বদলে যাওয়া সব ই আছে।

    মোদ্দ হল, বাম সরকার যে পদ্ধতি তে ইনটেলেকচুয়াল যা পাইয়ে দেবার চেষ্টা করছে, তা ইন স্কেল, এখনকার তুলনায় খুব ই কম, মানে একটা মুজফ্ফর আহমেদ স্মৃতি পুরষ্কারের পাঁচ সাত হাজার টাকার জন্য বিশ্বায়নের পরে, আলিমুদ্দিনে কেউ লাইন দেয় নি, বা যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা নতুন দিনের নতুন নলেজ ওয়ার্কার, বুদ্ধিজীবি কথা টা র অর্থ খানিকটা বদলেই গেছে।

    এই হল সংক্ষিপ্ত পোলিটিকাল ইকোনোমি আমাদের সমসাময়িক সংস্কৃতির, যাক গে তুমি রক ম্যুজিক সম্পর্কে আমর নাতিদের্ঘ জোক যদি পড়তে চাও পড়ে এসো গে ঃ-)))))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.782323.55 (*) Date:23 Jun 2019 -- 11:08 AM

    ঃ-))) ন্যাড়ার অ্যানালিসিসের সমস্যা হল তার মূল সাবজেক্ট এরিয়া , বিজনেস, সমাজ বা পলিটিক্স না চমকপ্রদ না হলেও অর্থনীতিও নাঃ-)))) অথচ মজাটা হল, ভূমি সংস্কার থেকে ইউনিয়ন, বা সরকারী কর্মী দের ডি এ, কর্পোরেশন মিউনিসিপালিটি পঞ্চায়েত কর্মী দের পার্মানেন্ট করা, গোটা বিষয় টা সম্পর্কেই বামেদের বিরুদ্ধে ওঠা মূল অভিযোগ হল, বামেরা পাইয়ে দেওয়া র রাজনীতি করেছে। করতে গিয়ে ডেট ফাইনান্সিং করেছে। আর পজিশন নিয়ে ক্ষমতার ট্রেডিং তো করেইছে, আপনি যথেষ্ট আমাদের ইয়ে নন, তাই আপনি মিদনাপুর পোস্টিং আর উনি আবার আমাদের ইয়ের ইয়ে মতো, তাই, উনি নিউ আলিপুর বা এন্টালি। কলেজ স্কুল লো লেভেল সরকারী কর্মচারী দীর্ঘদিন এ জিনিস চলেছে, পরে পঞ্চায়েত এমপাওয়ারমেন্টে বেশি টাকা অ্যালোকেট হবার পরে, বোধ হয় ৯৬ সাল থেকে, জেলায় একই ধরণের পাওয়ার সেন্টার গড়ে উঠেছে, তারা সদর বনাম গ্রাম করেছে।

    কিন্তু যেটা 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট' অপিনিয়নে বলা সম্ভব না, সেটা হল ভদ্রলোকের ভূমিকা, তাঁরা প্রেসিডেন্সী ছাড়া আর কোথাও পোস্টিং নেবেন না বলে ইউনিভার্সিটির দাবী তুললেন, গ্রামাঞ্চলে কেউ ই যাবেন না, ডাকতার রা, সরকারী কর্মচারী রা, অধ্যাপক রা। এর ফলে লোকাল ট্র্যাডিশনাল অ্যালিজিয়েন্স এর ভিত্তিতে কোথাও অধিকারী সাম্রায্য কোথাও বর্ধমান সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। সাধারণত যেটা বলা হয় নতুন শহর নতুন ইনফ্রা গড়ে ওঠে নি তাই মানুষ যায় নি। তো সেখানে আবার ডেট ফাইনন্সিং এর সমস্যা তথা সাঁটের ব্যাপারটা আছে,ঃ-)))) আর্বান রিনিউয়াল মিশনের টাকা বড় শহর থেকে সাইফন করে প্র্যাকটিকালি প্রচুর মিউনিসিপালিটি আর আর কর্পোরেশন তৈরী হয়েছে , নগরায়ন ই অভীষ্ট হবার পরে। যাই হোক এগুলো বড় কথা না, বাম রা এখন ইলেকটোরালি ইরেলিভান্ট, এখন মমতা র বিজনেস মডেলে কি কনসালটেন্সি কাজে দেয় সেইটে দেখার, এর সঙ্গে সমাজ, পলিটিক্স, ইতিহাস, অর্থনীতির সম্পর্ক নেই, শুধুই মেসেজিং আর কর্পো কমিউনিকেশন, একটা অ্যাপ লেখার অপেক্ষা ঃ-)))) আর ভদ্রলোকের নতুন করে উন্নয়ন আর শিল্প পুনরুজ্জীবনের তাগিদে কমিউনাল মোবিলাইজেশনে বিশ্বাস রাখার গল্প। তার জন্য তো আমাদের গুজ্রাটের এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট রা আছেন। এর জন্য অবশ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অপিনিয়ন শুধু দায়ী না, অন্য নানা সমস্যা আছে, মেসেজিং পেলেই বলা হবেঃ-)))))))))))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.782323.55 (*) Date:23 Jun 2019 -- 11:21 AM

    এটা মোটামুটি একমত, যে ব্যক্তিগত সততা খুব বেশি কিছু হয় না, লার্জ স্কেলে পলিসি ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী পরিবর্তন সম্ভব না, অভিমুখ যদি সোশাল ইনক্লুশন এর দিকে হয়।

    তবে তৃণমূলের উত্থান, ২০১৪ বিজেপির উত্থান, এখন কাট মানি ফেরত, এর আগে ব্ল্যাক মানি ফেরত ইত্যাদি এগুলো তে সবটাই লিডার দের পার্সোনাল হনেস্টির মডেলের উপরে প্রতিষ্ঠিত, অতএব বাল এবং তদুপরি ক্ষমতাসীন বাল। খুব স্বাভাবিক ভাবে বোফোর্স রাফায়েল এর কথা আসবে, সেই রেটোরিক ইতিহাসে বাল প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাড়া সাধে সরকারে কনসালটান্ট হতে পারে না, অতি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ঃ)))) অনুমোদন সূচক বীরভোগ্য স্মাইলি।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.137 (*) Date:24 Jun 2019 -- 01:39 PM

    *ডিসোসিয়েশনগুলো অনেকটাই আজকাল এক্সপেকটেড, সে কারণেই বিজনেস আলোচনায় অর্থনীতির অনুপস্থিতি চমকপ্রদ না ঠেকলেও, যথেষ্ট বিস্ময়কর। ক্যাজুয়াল আলোচনা, রম্য লিখন, তার মেন অবস্থানটাই যেখানে সে আকাডেমিক ক্যাটিগোরি গুলো ভাংগবে সেখানে এই ডিসোসিয়েশন টা বিস্ময়ের অবতারণা করে না এটাই বিস্ময়ের।

    এই বিষয়্টা আমার আর ন্যাড়ার খুনসুটির থেকে বড়। ন্যাড়া আমায় বলে না, সব বামপন্থীদের ই ইনছাল্ট না কইরা থাকতে পারে না, বামপন্থী দের দ্বিচারিতা বা জেনেরাল মধ্যমান/অযোগ্যতা/তাত্ত্বিক ভনিতা টাই মূল রিফ্রেন, সঙ্গে এখন জুড়েছে, ঠিক প্রকৃত দক্ষিনপন্থীর একটা খোঁজ, আহা তারা এই পৃথিবীর শেষ কোণ টিতে কত আক্রান্ত, সকলের মতো আমিও তাকে কখ্নো রেগে কখ্নো মজা করে কথা শুনিয়ে থাকি, কিন্তু সেটা বন্ধুদের মধ্যে এক্সচেঞ্জ, তাতে বিষয়ের ক্যাটিগোরাইজেশনের সমস্যা কমে না।

    লোকে আজ প্রশ্ন করে, এত রাজনৈতিক আলোচনায় পরিবেশের বিপদের আলোচনা এত কম আসে কেন, এর চেয়ে বড় বিপদ তো নেই। পরিবেশের সমস্যার টার্মসে কথা যখন শুরু হবে , তখন বলা হবে , সব কিছুতেই পলিটিক্স ঢোকায় এরা। তো এসব চলবে। গরু বলে কথা।



    name: খঃ-))) mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.39 (*) Date:24 Jun 2019 -- 12:04 PM

    খঃ-)))

    উফফ বাবা এই বৃদ্ধ শিশু দের তো এতদিন ধরে এত সাসটেনড গুরুত্ত্ব দেবা মুশকিল। গ্রিভান্স যা বাড়ছে, সার্ভিস ডেস্ক বসানোর কথা ভাবতে হবে ঃ-))))) যারা ঐ না বোঝা বাক্য গুলো ই কোনো ফোং এর একটি বিশেষ নাম্বার ডায়াল করার পরে আরো বিশেষ নাম্বার টিপে দিলেই আবার বাজিয়ে দেবেঃ-)))) পোচোন্ডো সর্বাধুনিক একটা ব্যবস্থা হবে, তার পরে কল অ্যানালিসিস এর বাজার ও খুলে যাবেঃ-)

    টেকনোলোজির আলোচনা, যা বিজনেস বিষয়ের থেকে সরে আসে প্রায় ই, বিজনেস বিষয়ের আলোচনা, অর্থনীতির আলোচনার থেকে যে ডিসোসিয়েটেড হয়েছে, অর্থনীতির আলোচনা যে সামাজিক বিষয় থেকে সরে আসে, এটা যে ক্রমশ বেড়েছে, তাতে আলোচনার ক্ষতি ই হয়েছে বলে মনে করছি, ডেসপাইট দ্য টন্টিং। কারণা এটা খুব ডিফেন্সিবল কিছু না, যতই 'স্বাভাবিক' বলে চালানো হোক। একই ভাবে সংস্কৃতির আলোচনা, একটা সাসপেন্ডেড বিলিফ সিস্টেমের মধ্যে হয়, আমরা রাহুল দেব বর্মন বা সলিল চৌধুরীএ আলোচনার সময়ে যে সময়টায় তাঁদের মিউজিক তৈরী হচ্ছে, তাঁদের কাজের আলোচনার সময় তাকে অ্যাড্রেস করি না।

    আমি বলছিলাম, এই জিনিসটা পদ্ধতিগত ভাবে এত 'স্বাভাবিক' হয়ে গেছে, চিন্তাহীনতার চর্চায় এত সার পেয়েছে, যে এখন ন্যুনতম অ্যানালিসিস অ্যাটেম্পট করলে টন্ট শুনতে হয়। ন্যাড়ার সঙ্গে এর বিশেষ সম্পর্ক নেই, শুনলে ন্যাড়া আশ্বস্ত হবেন, বিশ্ব জোড়া বাম্পন্থা, মধ্যমান , বা ইমিগ্রেশনের সমস্যার জন্য আমরা ন্যাড়াকে দায়ী করছি না। আমি আগের দিন যেটা বলছিলাম, সেটাকে ন্যাড়ার গুরুচন্ডালি তে প্রকাশিত লেখাপত্র বিষয়ে এক্সটেন্ড করলে বলতে হয়, যে ন্যাড়া যে রাজনৈতিক বিষয়ে বিন্দু মাত্র অ্যানালিসিস না করে পার্সোনাল অ্যাফ্রন্টারি তে চলে যায়, আর সুরের মনোজ্ঞ আলোচনাতে সময় কে অনুপস্থিত রাখে , আর অভিবাসনের অভিজ্ঞতা আলোচনায় দেশটি ই অনুপস্থিত থাকে, সেটা ন্যাড়ার দোষ না, কারোর ই না, তবে এগুলো সম্পর্কহীন না। কারণ শুধু জ্ঞানের স্পেশালাইজেশন ই না, এক ধরণের চালু বিষয়ের ক্যাটিগোরাইজেশন আমাদের প্রভাবিত করে, আমরা নিজেদের পত্রিকা তে শুধু না নিজেদের ভাব্না চিন্তা তেও বেড়া দি, এক ভাবে শিক্ষার ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল গণতন্ত্রীকরণ কে নেগেট করে ফেলি।

    এবং এটা শুধুই পারসোনাল চয়েস না। ঠিক যেরকম আমার ব্যাবহৃত 'আমরা' শব্দটি প্রায় শোলের আসরানীর কুচকাওআজের মত, পেছনটি জনমানবশূন্যঃ-)))))

    দেখুন অনেক দিন ঘর করলেন, আমি বড় বড় কথা বলে নিজেদের কর্ম সংস্কৃতির দুরবস্থার দিনে ফাঁকি দিয়ে টাইপ করাকে জাস্টিফাই করি মাত্র, সাধারণ আড্ড কে একটা সময়ের প্রতিফলন হিসেবে দেখার অভ্যেশ ছাড়তে পারি না, সনির্বন্ধ অনুরোধ যে নিয়মিত আসে না তা তো না ঃ-)))))

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.59 (*) Date:24 Jun 2019 -- 04:04 PM

    আরেকটা উদা দিছি। ফারুখ ঢোন্ডি বলে একজন অসাধারণ ছোটো গল্পকারের উদয় হয় ৭০ দশকের শুরু তে, বিলেতে, ভারতীয় ইমিগ্রান্ট। তাঁর গল্পতে যেসব মাইনরিটি সাউথ এশিয়ান এক্সপেরিয়েন্স আছে, তার থেকে আশির দশকে লেখা, হানিফ কুরেইশির এক্সপেরিয়েন্সের পার্থক্য কিছু আছে, আবার এখনকার লোক দের লেখার বিরাট পার্থক্য আছে, তারা ভারতীয় পাকিস্তানি বাংলাদেশি হলেও। এটা ফিকশন থেকে নন ফিকশনে ট্রান্সফার্ড হয়েছে। ধরেন ১৯৭০ সালে চক্রবর্তি পদবীর কোন লোকের গার্ডিয়ানের সাংবাদিক হওয়া সম্ভব ছিল না, এখন হয়েছে, যদিও এথিনিসিটি রেশিও মেডিয়া আর ফাইনান্স এ সব চেয়ে খারাপ, ল তে একটু বেটার। যদিও ১৯৭৫ এই অশোক মিত্র অ্যাজ অ ভিজিটিং ইকোনোমিস্ট , ইকোনোমিস্ট পত্রিকায় ইন্দিরা গান্ধেরে তুলোধনা করে বিখ্যাত প্রবন্ধ গুলো ঐ লন্ডনের পত্রিকাতে ই লিখছেন। ইনার সিটি রেসিজম এর এক্সপেরিয়েন্স আমি অ্যাজ অ্যান ইমিগ্রান্ট অল্প স্বল্প যে রেসিস্ট মার টার খেয়েছিলাম তাতেও পুরোটা বুঝিনি, কারণ বাংলাদেশি ছেলে ছোকরা দের সঙ্গে বাওয়াল হয়েছে। আমি তো ২০০৩ বুঝি ই নি, জোর্জ গ্যালওয়ে র রেসপেক্ট পার্টির দরকার কেন হয়েছিল, লেবার লেফ্ট থাকা সত্ত্বেও। ইত্যাদি। অ্যাজ অ্যান প্রফেসনাল ইকোনোমিক মাইগ্রান্ট , এটা আমার বোঝা সম্ভব ছিল না। হ্যা ঘেটোআইজেশন এর নানা আপদ আছে, কিন্তু যে টা বোঝা দরকার, মাম্তার বিজ্ঞাপনী ব্লিট্জক্রিগ এই ভাষটাকেই রপ্ত করতে চেয়েছিল, বিজেপির যেটা জয় সে এই বিজ্ঞাপনী ভাষাটাকে ডিসক্রেডিট করতে সক্ষম হয়েছে, আনফরচুনেটলি আমাদের মিডলকাস সিম্প্যাথি কে সঙ্গে পেয়েছে, যার মধ্যে একটা মিসপ্লেসড মেরিটোক্রাসি রয়েছে। এবার ঐ আর কি ইশান যেমন বলছিল, আমরা জানি না এই মুহুর্তে অ্যাট হোয়াট কস্ট? মূল্য কত পড়িল। জানি না। খ

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.9001212.26 (*) Date:24 Jun 2019 -- 03:19 PM

    পিটি কে একটা উত্তর দেবা হয় নি। আমি বলেছিলাম মমতার মুসলমান অ্যাপিজমেন্ট বলে যেটাকে মনে হচ্ছে, সেটা আসলে মাল্টিকালচারালিজম এর টার্ম্স এ আইডেন্টিটি পলিটিক্স এ বলার একটা বিজ্ঞাপনী প্রচেষ্টা প্রায়। তো 'প্রায়' শব্দটাকে পিটি প্যাঁক দিয়ে বলেছিল, এতে প্রায় শব্দটার প্রায় না পুরো ই মৃত্যু হল (প্যারাফ্রেজ্ড), দ্যাট ওয়াজ ফানি দোঃ-))))

    কিন্তু উত্তর টা অতি সঙ্ক্ষেপে এই যে , এটাকে আমরা রেকগনাইজ করছি না, বা করাটা অ্যাভয়েড করছি, কারণ আমরা বেশির ভাগ হিন্দু উচ্চবর্ণ ইংরেজি শিক্ষিত রা, যে মেজরেটেরিয়ান দৃষ্টিভংগীর বেনিফিসিয়ারি, তারা এই ন্যারেটিভ এর বিদেশী ধাঁচাটার ও বেনেফিট পেয়ে থাকি, বিদেশ ভ্রমণ কালে। মানে ধরুন কোন পশ্চিমি প্রশাসক যখন ব্ল্যাক চার্চ বা জিউইশ কঙ্গ্রিগেশন বা মুসলিম কাউন্সিল বা লিবেরেল অ্যাঙ্গলিকান চার্চ বা মধ্যপন্থী কনজারভেটিভ দের নিয়ে রিলিজিয়াস হার্মোনি বা অলিম্পিক গেম্স এর উদ্বোধনে ভাষণ দেন, তখন আমাদের তার সঙ্গে ধরেন, ট্রাম্পের ন্যারেটিভ কে, বা নাইজেল ফারাজ এর ন্যারেটিভ কে, বা আরেকটু বুড়ো হলে, কার্ল রোভ দের কনজারভেটিভ ন্যারেটিভ কে ডিসটিনগুইশ করতে আমাদের অসুবিধে হয় না।

    আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলতে পারি, একেবারে বিশ্বায়নের পরে, ৯০ এর শেষের দিকে, ২০০০ এর শুরু র দিকে বিদেশে বিবাহসূত্রে বসবাস করে আমার প্রথম যে ঝটকাটা লাগে, সেটা হল, এই প্রথম আমি কোন ধরণের মাইনরিটি হিসেবে বাঁচছি, ক্লিয়ারলি অ্যান্টি ইমিগ্রেশন রেটোরিকের চোটে ই এই রিয়ালাইজেশন্টা হয়েছিল, রেডিও টিভি তে কান পাতা, কাগজে চোখ রাখা দায় হত। ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার ইয়াসমিল আলি ভাই ব্রাউন কে আমি এই নিয়ে একটা চিঠি লিখে ফেলি, মহিলা উত্তর ও দিয়েছিলেন।

    যাই হোক, পিটি কে যেটা মোদ্দা বলার, আমরা যদি মুশলমান, আদিবাসী, বা মনিপুরী বা গোর্খা হিসেবে ভারতবর্ষে বড় হতাম, তাহলে এই মেসেজিং টা রেকগনাইজ করতে আমাদের অসুবিধে হত না। এবার একটা ব্যাপার আছে এর ডিসক্রেডিটিং করা যেতেই পারে, সিপিএম সমর্থক রা সেটা করবেন সেটা স্বাভাবিক, এটা শুধু ইগনোরান্স না, এটাই মার্কসিস্ট দের কনসিডার্ড পজিশন, তাকে ডিসক্রেডিট করা টা আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর অন্যতম উদ্দেশ্য, আরো মজার ব্যাপার হল, আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর নিজের অন্যান্য ডকুমেন্টেড সমস্যার মধ্যে, মূল যেটা ইংরেজি কাগজে জায়্গা পায়, সেটা হল, মার্জিনাল সমাজের ইনটেলেকচুয়াল রা যখন এই অ্যাকোমোদেশন কে বিড়ম্বনা মনে করেন, যেমন টা মুসলিম সমাজের একাংশ করেছেন, বা ধরেন আদিভাসি উইল নট ডান্স এর লেখক মনে করেছেন। বা ধরেন যে কোনো প্রফেসনাল এন আর আই মনে করবে, যদি তাকে বলা হয়, কাকা তোমার প্রতিভা বিকশিত হবার আগে একটু এই সায়েব দের বিদেশ গুলোতে যাকে বলে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট আসতে হয়েছিল এবং এখন ট্রাম্প, ব্রেকসিট বা ব্রাইটবার্ট পন্থী রা তার বিরোধিতা যে করছে, সেই স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাসটমেন্ট যেটার নাম ছিল , মাল্টিকালচারালিজম, তার বিরোধিতা করছে, তারা পার্সোনালি আপনার শ্রমের সুবিধে পাওয়াটা মোটেই বন্ধ না করতে চাইতেই পারে, ইন ফ্যাক্ট পারসোনালি রেসিস্ট নাই হতে পারে। তো এগুলো তো বুঝতে হবে কাকা। শুধু সিপিএম করলে তো হবে না।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.7 (*) Date:24 Jun 2019 -- 09:25 PM

    তবে 'আক্রান্ত' (রক্ত জল ইত্যাদি) পেশাদারের অ্যাপোলোজিয়ার কোয়ালিটির অবস্থা যদি হয়, তাইলে এটুকু বলতেই হয়, এ মানে স্বপক্ষে বা বিপক্ষে থিয়োরাইজেশনের বাইরে কিসু না। এবং ওতি পুরোনো ঘ্যান ঘ্যানে টাইপের আর কি, যদিও পাওয়ারফুল।
    এই পজিশনের স্বপক্ষে থিয়োরাইজেশন ভারতের স্বাধীনতার পরে নতুন করে শুরু হয়েছে ইন্সিডেন্টালি, ইংরেজি তে 'কমন ম্যান' এন্টিটির আবিষ্কার দিয়ে ৭০ এর দশকে সম্ভবত, এবং এটাকে সিপিআই দের 'ওয়ার্কিং ক্লাস' , এবং ইন্টারেস্টিংঅলি মারাঠা ন্যাশনালিস্ট দের 'মারাঠা মানুস' এন্টিটির বিপক্ষে। বাংলায় অবশ্য সঞ্চারপথ টা একটু আলাদা ছিল, পার্টিশনের সময়ে জমিদার পক্ষ নেওয়া বাংআলি মেডিয়াকে , মধ্যবিত্ত পাঠক চাকুরিজীবির পক্ষে রি ইনভেন্ট করতে হয়েছিল। তবে বাম ডান শার্প ফল্ট লাইন ঐ ষাট সত্তরেই, ন্যাড়ার রেটোরিক ও সেখানে পড়ে আছে, আহা নস্টালজিয়া। অমর্ত্য সেন বলছেন , আজকের 'আম আদমী' বল, 'মিডল ক্লাসের' হিন্দী অনুবাদ, পেশাদার দের একটা কন্টিনিউয়াস ভিকটিমহুডের প্রচেষ্টা, এবং পাবলিক সেকটার ইনভেস্টমেন্ট ই বলুন, প্রাইভেট সেকটর এ পলিসি ট্রানজিশন ই বলুন, আমরা সব সময়েই অস্বীকার করি পলিসির বেনিফিট আমরা পেয়েছি, তাই রক্ত রেগুলার জল হয়ে চলেছে। প্রায় ইংরেজি শিক্ষার আরম্ভের সময় থেকে নিয়মিত, নাট্যকার রবীন্দ্রনাথের সেই শিশু তাতার মুখে বসানো প্রশ্ন , এত রক্ত কেন, তার একটা উত্তর বোধ্হয়, নইলে অতো দিন ধরে জল আসবে কোত্থেকে ঃ-)))))

    বিপক্ষের থিয়োরাইজেশন এর অভাব নেই, তাকে টার্গেট করেই এই পুরোনো ডায়াট্রাইব।

    তবে একটা প্রশ্ন এখন সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং, সেটা হল, বিজেপি র বিরুদ্ধে , বা ট্রাম্প বাবু দের পলিসি আর রেটোরিকের বিরুদ্ধে তাইলে আন্তর্জাতিক ফ্রন্টে কিন্তু ন্যাড়া রাই লড়ছে, মেটাফোরিকালি, এটা অস্বীকার করা যাবে না। এটার দুটো কারণ , উচ্চশিক্ষিত দের পক্ষে রেসিস্ট রেটোরিক মানা সম্ভব না, আর আমেরিকার ক্ষেত্রে গ্লোবালাইজেশনের বেনেফিট যে নতুউন নাগরিক লিবেরেল রা পেয়েছেন, নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরী হয়েছে, তাতে এক নতুন ধরণের সোশাল মোবিলিটি তৈরী হয়েছে, ইমিগ্রান্ট প্রফেসনাল দের পক্ষে তো বটেই, ওখান কার লোকের ক্ষেত্রেও। চাগরি গেছে তো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটালিজম এর লোকেদের। পুরোনো হার্ড হ্যাট হার্ড বুট্স দের। কিন্তু আমাদের দেশের অভিজ্ঞতা উল্টো, পুরোনো ইকোনোমি , নতুন ইকোনোমি সর্বত্রই সেই কনজারভেটিভ রাই আজ ক্ষমতায়, যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষের বিরোধী পলিসি কেই সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের সাংস্কৃতিক হেজেমনি বজায় রাখতে এটাই তাঁদের কাম্য পন্থা, তাই মেরিটোক্রাসির নামে, যেকোনো পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন কেই তাঁরা আক্রমণ করেন, ভূমি সংস্কার তো বটেই, যে কোনো ওয়েলফেয়ার স্কিম কেই তাঁরা পাইয়ে দেওয়া বলেন, পরিশ্রম বিমুখতা কে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলেন, এবং অ্যাসপিরেশনের এর সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেখানোর চেষ্টা করেন, এবং সেই জন্যেই এখন আর কংগ্রেসি ওয়েল ফেয়ার চলছে না, একটু কড়া মোদিজি লাগছে, তাই আক্রমণ টা ওয়েলফেয়ার স্টেটের বিরুদ্ধেও হচ্ছে, অন্য দিকে অল্প স্বল্প 'পাইয়ে দেওয়া' না হলে গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ টি খসে পড়ে, তাই বিরোধীহীন রাজনীতি বা কংগ্রেস মুক্ত রাজনীতি র মধ্যেই, একটু আধটু ডিরেকট ক্যাশ ট্রান্সফার করে, ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার বা এনটাইটলমেন্ট না বাড়িয়ে গণতন্ত্র কে রাখতে হচ্ছে। বিতর্কহীন সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী নীতিকেই, এফিশিয়েন্ট ইম্প্লিমেন্টেশন বলে বেচা হচ্ছে।

    প্রতিনিধিত্ত্বের অংকে, আমি আপাতত ন্যাড়ার চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়াশীল , শুধু দেশে আছি বলেইঃ-))) ইমিগ্রান্ট নলেজ ওয়ার্কার হিসেবে, এক ট্যাক্স এর প্রশ্ন ছাড়া তাদের পক্ষে রেসিস্ট রেটোরিক মেনে নেওয়া কঠিন, অবশ্যা বাড়ি মেক্সিকান বর্ডার বা ডিপ সাউথে না হলে ঃ-)))))))
    আমেরিকার সফল প্রফেসনাল দের মধ্যে মাইক্রো ডেমোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করছে না, তারা তো এওসি কে জিতেয়েছে, আমরা তো কান্হাইয়া কে হারালাম ঃ-))))

    তবে এটা কপাল ফের, এতে রাজনৈতিক চয়েস মহাশূন্য, এবং আমেরিকার ইকোনোমি তে এখনো যে কমতে কমতে হলেও সোশাল মোবিলিটি যে কিছুটা টিকে আছে, তার প্রমাণ। অনেক যুদ্ধ দিয়ে বাইরে টা ম্যানেজ হলেও দেশের ভেতরে রুল অফ ল ইত্যাদি আছে, লেখা পড়া করার সুযোগ পেলে, সোশাল ওয়ার্কার এর ছেলের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নতুন করে ডিগনিটি অফ লেবার প্রতিষ্ঠা করতে হবে না, আমাদের মারা যাওয়া ডঃ মেয়েটির মতো ঃ-((((



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.147 (*) Date:26 Jun 2019 -- 11:54 AM

    মহুয়া মিত্রের বক্তৃতা সম্পর্কে আলোচনা এনি গিভেন ড্যাম ডে, অসংখ্য ঠাকুমা ও কবি দের নিম পাতা সংক্রান্ত কার্যকলাপের আলোচনার থেকে ইন্টারেস্টিং ঃ-)))))

    আমি বক্তৃতা টা বার বার শুনছি খুব ভালো লাগছে, সুগত বোসের বক্তৃতাও শুনতাম, ভালো লাগতো। দল টল দেখে লাভ নেই, একটা ভালো বক্তৃতাও তো হয় না শ্লা পার্লামেন্টে। মোদিজি র বক্তৃতা কেবলি গ্রাজ, কিসুই নেই।

    মমতার গণতন্ত্র সম্পর্কে কোন ক্রেডিবিলিটি নেই, কিন্তু ক্রেডিট গোজ টু মহুয়া, ফ্যান্টাস্টিক, ওয়েল ডান। এরকম বাতেলাবাজ , বড় ন্যারেটিভ নিয়ে বলতে পারেন, এম পি চাই।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.219 (*) Date:26 Jun 2019 -- 11:47 AM

    তৃণমূল দল নিয়ে আর নতুন আলোচনা কি করবো। কিন্তু আমি রিজনেবলি খুশি মহুয়া মিত্রের বক্তৃতা নিয়ে, অপোজিশনের লোক অপোজিশনের লোকের মতো বক্তৃতা দিয়েছেন। গত পার্লামেন্টে একটাও বক্তৃতা দেন নি কেন, এটা আমার একটা কনফিউসন আছে। সেটা ই এখানে লিখতে এসে দেখলাম, 'আলোচনা' শুরু হয়েছে , ভাবলাম, তাহলে আর কি গালাগাল ও এসে পড়বে আশা করি, এইটেই ঐতিহ্য ঃ-)))))

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.147 (*) Date:26 Jun 2019 -- 01:56 PM

    এতে অবশ্য ওনাদের ক্রিমিনালিটির দায় কমে না, ওঁদের কেই নিতে হবে, কিন্তু ইতিহাস শুধু ঐতিহাসিকের পসন্দ মত হয় না, কি আর করা যাবে।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.99 (*) Date:26 Jun 2019 -- 01:52 PM

    মমতা মায়াবতী কে শুধু খারাপ দেখতে মহিলা হবার জন্য, সুললিত না হবার জন্য প্রচুর যেমন গালাগাল খেতে হয়েছে, ভ্যালু জাজমেন্টে পড়তে হয়েছে, তেমন ই আবার তাঁরা সমাজের যে স্তরে প্রভাব বাড়িয়ে তাড়া তাড়ি আমাদের ভাগ্যের দায়িত্ত্ব নিতে চেয়েছেন, সেখানে পুরুষালী টফনেস ইত্যাদির একটা বাজার রয়েছে, আর কোথাও গিয়ে সেটা শক্তিমান রাষ্ট্রে র ধারণার সঙ্গে মিলেছে, ওনারা সুন্দর দেখতে হলে, ওঁদের প্রধান মন্ত্রী হতে কম অসুবিধে হত। এগুলো ব্যক্তিগত ইসু, না, সমাজের নানা ডিসকানেক্ট এর প্রতিফলন মাত্র। কাল একটু ডজি জায়্গায় মাল খেতে গেছিলাম, মানে সেখানে নানা লোক আসে, একজন শুনলাম পাশের টেবিলে বলছেন, শ্লা ডাকতার রা বহুত মাথায় উঠে গেল, হেবি রং বেড়ে গেছে, কোন হাসপাতালে ঢোকাই সমস্যা হয়ে গেছে, কিছু ঝামেলার কেস হলেই ডাক্তার সহ সবাই হাত তুলে নিচ্ছে, তো আমাকে ধরে নিতে হবে, বক্তা লুম্পেন সমর্থক, এগুলো সমাজের ডিসকানেক্ট এর ফল আর কি।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.99 (*) Date:26 Jun 2019 -- 01:44 PM

    আমি এনি ডে, বুদ্ধ বাবু র বেসিক আদর্শবোধ, উচ্চ শিক্ষা, ব্যক্তিগত ইন্টিগ্রিটি ইত্যাদির প্রশংসা করবো, কিন্তু এটা অস্বীকার করা মুশকিল, একটা 'প্র্যাগমাটিক' মেশিনারি সুবিধে তিনি নিয়েছেন, যেমতি বাজপেয়িজির জন্য আদবানীজি ছিলেন, এখন মোদিজির জন্য অমিত জি, সামবডি হ্যাজ টু ডু ডার্টি ওয়ার্ক। অমিতজির জন্য আছেন কোদনানি বা ভানজারা রা।

    সেই জন্যেই বলছিলাম, প্রতিটি মহৎঅ কার্যের পেছনে একটা বিনীত লুম্পেন ভূমিকা থেকেই থাকে, বড় বড় দেশের ছোটো ছোটো ঘটনার মত। মমতার ক্ষেত্রে বলতে পারেন কেস টা একটু উলটো হয়েছে, ওনাকে স্ট্রীট ফাইটে সিপিএম কে হারিয়ে প্রথমে গুন্ডা র উৎসাহদাতা পরে শিল্পী, কবি, লেখিকা এসব হতে হয়েছে মিডলক্লাস গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্যঃ-)))))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.9001212.10 (*) Date:26 Jun 2019 -- 01:38 PM

    অমিত , ঠিক ই বলেছেন। মানে তৃণমূল প্রদত্ত গুন্ডারাজের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি কিসুই চেঞ্জ হল না। ঠিক। সেটাকে মহুয়া মিত্রর পক্ষে অ্যাড্রেস করা সম্ভব ই না, সুগত বসু ও আরাবুল এর মস্তানি দিয়েই জিতেছেন।
    নন্দীগ্রামের ঘটনা, তাতে লক্ষন শেঠ বহিষ্কৃত হলেন, বুদ্ধ বাবু ইভেনচুয়ালি সন্যাস নিলেন, এটা শুধুই ব্যক্তিগত সততার ব্যাপার না। এটার একটা প্যাটার্ন আছে। ইতিহাস আমাদের প্রতি একটু বেশি সদয়। তৃণমূল যেমতি ঘটনার সময়কার প্রশাসনের লোকজন কে ক্ষমতায় এসেই নানা ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে, বিষয়টা সিনিকাল।

    আমার খুশি হবার একটাই কারণ একটু বড় করে এন আর সি, আর অযোধ্যা প্রসঙ্গ এক ই বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে।
    গুন্ডাদের সাহায্য ছাড়া কোন ভদ্রলোক ই ভোটে জেতেন না, সেটা কে সমর্থক রা প্র্যাগমাটিজম বলেঃ-) আর বিরোধী রা গুন্ডারাজ বলে। তাই আমাদের বিচিত্র উন্নয়নের মডেলে, জেন্ট্রিফিকেশনের অন্যতম প্রাথমিক শর্ত লুম্পেনাইজেশন। ঃ-) এটা সংক্ষেপে শিকাগো , নিউ ইয়র্ক, এল এ র , আর্বান ডেভেলপমেন্টের ইতিহাস, একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেনঃ-))))


    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.235 (*) Date:26 Jun 2019 -- 05:39 PM

    এটাকেই জেন্ট্রিফিকেশনের পেছনের লুম্পেনাইজেশনের প্রবণতা বলা যেতে পারে। নগরায়নে এটা কমন ট্রেন্ড। এটা কে অস্বীকার করে , আমাদের পক্ষাবলম্বনের অসারতা ছাড়া কিছু ই হয় না।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.63 (*) Date:26 Jun 2019 -- 05:18 PM

    *ধরো থেকে পিটির জন্য লেখা, আভ্যন্তরীন মতাদর্শগত আলোচনা ;-)



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.55 (*) Date:26 Jun 2019 -- 05:00 PM

    গুন্ডারাজে আপত্তি কেন থাকবে না? কিন্তু এই রিয়েলিটি টা স্বীকার করতে অসুবিধে কোথায় যে গুন্ডা দের হেল্প আমরা যাদের ভদ্রলোক পলিটিশিয়ান বলি তাঁরা নিয়েই থাকেন, বা সাধারণ ভাবে একটা শহরের জেন্ট্রিফিকেশন এর পেছনে নানা ধরনের গুপি টাইপের কাজ থাকে।
    ধরো আজ রাজার হাটে আমরা চাকরি করি, যাকে বলে ভ্দ্রস্থ বুর্জোয়া(ওরিজিনাল অর্থে) লাইফ কাটাই, মন দিয়ে ভোর থেকে রাত আপিশ করছি, নিয়ম মেনে বাসে উঠচি, অটো লাইনে দাঁড়াচ্ছি, অটো ওয়ালা দের খারাপ ব্যবহারে চমকে পাথর হয়ে যাচ্চি, গাড়ি চালাচ্ছি, পরিষ্কার রাস্তা দেখলে, রাস্তায় সিগারেট বাট ফেলছি না, ডাস্টবিনেই ফেলছি, প্রতিটি জায়গার র‌্যান্ডম চেকে আইডি দেখাতে আপত্তি করছি না, গাড়ির বুট খুলতে আপত্তি করছি না, মাইক্রো ব্রিারি তে মাল খাচ্ছি, কফি খাছি কাফেতে, একটা বইয়ের দোকান থাগলে ভালো উপন্যাস ও পড়া যেত। কিন্তু এখানে বেসিকালি রিজনেবলি শস্তায় জমি কিনে কৃষক ভাগিয়ে নগরোন্ন্যন হয়েছে, এবং শুধু তাই না, পাশের সমস্ত এরিয়া তে মাটি গফুর , আরাবুল দের দাপট চলেছে, কারণ অ্যাকশন এরিয়া কবে কোথায় বাড়বে, রাস্তা কবে কোথায় বাড়বে দেখে ল্যান্ড স্পেকুলেশন হচ্ছে। তুমি আমায় বলো এই ঘটনায় কি করে পার্টি লাইনে আলোচনা সম্ভব। এতে গোল গোল ভাবে উন্নয়নের মডেল কে তো দুষতে হবে? রাইট? এতে তো বিভিন্ন দিক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সব পর্ত্য ই দোষী, এবং বেনেফিসিয়ারি, শুধু একটা নতুন মিডল ক্লাস? তুমি এটা দেখতে পাচ্ছো না তা না, শুধু পার্টিজান আলোচনার স্কোপে এটা পড়ছে না এটা স্বীকার করছো না।

    পিটি আমাকে তুমি বলো, একটা লোক বিজেপি কে গাল দিলে তার থেকে আনন্দের আর কি আছে?

  • | ***:*** | ২৭ জুন ২০১৯ ১৩:৩১383228
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.135 (*) Date:18 Jun 2019 -- 03:12 PM

    আর এস ও তো মাইরি আমাকে গাল দিলেও মোটামুটি অবজেকটিভলি দেখার চেষ্টা করেছে, ছেলে মেয়েরা মার খেয়েছে বলে খচে গেছে, এস এম দার এতো রাগের কি। এতো ডিসিপ্লিন আর অর্ডার প্রবণতা মারি ভালো না, গণতন্ত্রে একটু কলকাকলী এবং হেঁড়ে গলার ভুল বকা থাকবে, নিশ্ছিদ্র ডিসিপ্লিন আর কুচ কাওয়াজ মাইরি আপনাকে (এস এম দাকে) আরেকটু হলেই ফ্যাসিজম সমর্থক করে দেবে বলে দিলাম। নেহাত এন এইচ এস এর সোশালাইজিং হেল্থ কেয়ার এক্সপেরিয়েমেন্টে ছিলেন, তাই এখনো হন নি , এদিকে আজ আমি টোটাল 'ব্যক্তিগত আক্রমণ' করে পোচোন্ডো আনন্দ পেলাম ঃ-)))) গরু ও ভোট হারালে, বিশেষত গোরু তে ভোট খেলে এমন ই হয় ঃ-))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:18 Jun 2019 -- 04:38 PM

    একটা গল্প বলছি, খুব ছোটো স্কেলে, কিন্তু বিচিত্র মিল। আমরা পৌষমেলায় দোকান করব। তো আমাদের মুর্শিদাবাদের হরপ্রসাদ দোকান বানাতে ওস্তাদ, বাঁশ বাঁধা, কাপড় বাঁধা, খড়ের ছউনি, ত্রিপল এর পার্ট সব ই একা হাতে করে ফেলছে, আমরা কয়েকজন একটু সাহায্য করছি, আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে ধান্দা করছি কখন বইয়ের স্টল এ যাবো, এমন সময় দেখা গেল, কয়েকটি লোক এসে আমাদের দোকানের বাঁশ গুলো খুব পরীক্ষা মত করছে, হরো বল্লো মেরেচে। বলে আস্তে করে নেবে ভাগলবা। তারপরে কয়েকজন শ্রমিক শ্রেণী এসে আমাদের উদুম ক্যাল দিল, মূল অপরাধ বাঁশ চুরি। হর বাবু বাঁশ ঝেড়ে বিপ্লবী কফি র দোকান বানাচ্ছিলেন, আমরা কতিপয়, লোক এখান থেকে ওখানে বাঁশ ধরে, বা শাবল খুঁড়ে গর্ত করে নিজেদের শ্রমিক শ্রেণী মনে করছিলাম, এমন সময় স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক (আমাদের কয়েকটি বাংলাদেশী অসম্ভব পড়াশুনোয় ভালো আর ক্যাবলা মতো, রোগা রোগা কমরেড ছিল) সংহতির বারোটা বাজিয়ে, মালিক পক্ষের (সব মিলিয়ে ক্যাপিটাল দশ হাজার ছাড়াবে কিনা সন্দেহ) হয়ে চোর ধরতে এসে, বিস্ব ভারতির বদ মায়েশ চোর স্টুডেন দের হাতে নাতে ধরে আমাদের ক্যাল দিল, যে মুষ্টিবদ্ধ হাতে , কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাবার কথা, বা অন্তত মে দিবসের পোস্টারে থাকার কথা তারা পিঠে মুখে গায়ে পড়লো। রক্তপাত হলো। আমি হতভম্ব, ছত্র পরিষদ আমাদের মাঝে মাঝেই মারতো, তার পরে স্নেহ ভরে হাসপাতালে দেখা করে তিতীয় বিশ্বের বিচিত্র এবং পরিচিত ল্যামেন্টেশন করতো, এই তো আমাদের ছোটোবেলা, কিন্তু গরীব মানুষ কখনো মারেন নি। সাগরিকা দি বলে একটা দিদি ছিল, সিনিয়র দের মধ্যে সেই ছিল, সে প্র্যাকটিকালি মব এর মধ্যে ঝাপিয়ে পড়ে একটি ছেলেকে বাঁচালো। আমি ক্যাল খেয়ে চেপে গেলাম, আর মনে মনে একটা প্রবন্ধ লিখলাম, যে মাউষ কে সংহতির গুরুত্ত্ব কি করে বোঝাতে হবে, কারণ মুখ গুলো মে দিবসের মিছিলে চেনা ঃ-))))

    এবার মিটিং হচ্ছে সন্ধে বেলা, উদ্দেশয় বড় রা এসে বলবেন, অ্যাই তোরা ক্ষমা চা, আর আমরা কুঁই কুঁই করে বলবো, আমাদের কথা কেউ শুনলো না, আর বাঁশ ঝেড়ে দিলে পুলিশ মারে মারুক, শ্রমিক শ্রেণী কেন মারবে। তো মিটিং এ যে মেন মেরেছিল, সে প্রথমেই কান ধরে বল্লো, এ বাবা মিলান বাবুর ছেলে , বাবুলি বাবুর ভাই, এরা এদের মারলাম, এ বাবা সরি সরি আর কখনো করবো না গো, এই নাকে খত দিছি, বলে সিরিয়াসলি নাকে খৎঅ দিতে আরম্ভ করলো, সাগরিকা দি , আমি , আর যে ছেলেটি সব চেয়ে বেশি মার খেয়েছিল , রক্তাক্ত হয়েছিল সে তারা অপমানিত বোধ করলাম, কোথায় বাম শ্রমিক ছাত্র সংহতি, এতো পরিবার পরিচয় করছে, আমরা মিটিং থেকে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে গেলাম, বেরোনোর সময় দেখলাম, হরপ্রসাদ সবাই এর জন্য হন্ত দন্তো হয়ে চা আনছে। টোটাল ডিসকানেকশ্নের অনূভুতি হলে এই গল্প টা আমার মনে হয় ঃ-))))))))))))))))

    তো প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, কিন্তু ডিসকানেকশন কোন মিউচুয়াল মিটংএ মেটার না, ইভেন উইথ গুড ইন্টেনশন্স।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 02:12 PM

    মেডিয়ার ভূমিকা এবং প্রোপাগান্ডা মেশিনারি গুলোর ভূমিকা কাছাকাছি।

    অপারেশন সানশাইন, হাঁটতে অসুবিধে হচ্ছে অভিযোগে এটা আনন্দবাজারের ক্যাম্পেন ছিল, হকার দের তুলে দেওয়া, আর কিছুই করে নি, শুধু ডিসএন্ফ্রানচাইজ্ড মানুষ দের কা্ছ থেকে লেফ্ট কে সর‌্যিয়েছে। শহরে, তাতে টি এম সির উত্থান সহজ হয়েছিল, পরে আবার তারাই ল্যামেন্টেশন করেছে, হায় সিপিএম আর মানুষের কাছে নেই ঃ-)) ঠিক সেরকম ই এখন এই সাতটা মুসলমান ছেলে র নামে, দেখো মুসলমান রা তো এরকম ই হয় গোছের ক্যাম্পেন চলবে, তাতে কমিউনাল মোবিলাইজেশন দুর্দান্ত বাড়বে, ঠিক ই, কিন্তু পরে ডিসয়্ফেকটেড মাউষ যখন বিজেপি র নানা নেতার সঙ্গে জুড়ে যাবে, তাতে মুসলমানরাও থাকবেন, যাতে নীচুতলার সমাজে চলমানতাটা থাকে, তখন তাকেই প্রকৃত সেকুলারিজম বলে বেচা হবে, কিন্তু ডিসয়াফেকশনের কারণটা হারিয়ে যাবে। এবং তখন আবার বিজেপির মধ্যেই নব্য বিশুদ্ধিকরণ হবে। মুসলমান দের পক্ষে বেঁচে থাকাটুই এখন রেজিস্টান্স হয়ে গেছে, বিশেষত শহরে। কারণ আর কোন অর্গানাইজিং প্রিন্সিপল তাঁরা যাই ট্রাই করুন, সব ই ডিসক্রেডিটেড হবে, আর দরিদ্র বিরোধী পোলিটিকাল অপোনিয়ন তো আছেই। আশা করা যায় ফাইনাল সলিউশনে সে সমস্যা থাকবে না।

    তো মেডিয়ার তৈরী করে দেওয়া রেফারেন্স এ কথা বলতে আমার আপত্তি আছে জেনেরালি, তো সেটা চোর অপবাদের ভয়ে যাবে না। বন্ধু বান্ধব দেবা অপবাদে চাপ নেই।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 01:54 PM

    অবশ্য এই অবস্থান গুলো কিছুটা কম পপুলার হলেও, খুব অস্বাভাবিক কিছু না, খুব অলভ্য ও কিসু না , তাই আমি ইউনিক বা ইউনিকর্ণ কোনোটাই নই। সবাই হয়তো আর্টিকুলেট করেন না।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 01:52 PM


    বাই দ্য ওয়ে, এস সেদিন জিগ্যেশ করছিল, আমাকে তৃণমূল অর্থে চোর বল্লে আমি মাইন্ড করব কিনা। করব না। কত লোকে কত কি বলে।

    আমি এখনো মনেই করি না, সিপিএম বিরোধী রা সবাই ২০০৮-২০১১ তে টি এম সি ছিল, এখনো মনে করি না। তাতে আমি কিসুই মহান প্রমাণিত হই না, কিন্তু এটা একটা রাজনৈতিক অবস্থান। আমি আরো অনেক কিছুই ও প্রসঙ্গে মনে করি না। যেমন এসেনশিয়ালি আর্বান আন্ডারক্লাসের পার্টি টি এম সি, হঠাৎ করে সাবসিস্টেন্স ফার্মার এর পার্টি হওয়া টা অয়আবসার্ড ছিল, এবং সেটা বড় শহরের বাইরে এটা এখন একটা ল্যান্ড শার্ক এর পার্টি। এ প্রসঙ্গে কয়েকটা কথা আমি কদিন আগেই বলেছি, কারণ আমি গুরু কে শুধুই ফিনিশড প্রবন্ধ আর চুটকির জায়গা বলে মনে করি না, ইট ইজ আ কনভারসেশন অ্যানড ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস, সেটা লিংক করে দেখা যেতে পারে, না দেখলে বয়ে গেল অবশ্য ঃ-)))

    আনলাইক সিপিএম সাপোর্টার্স, টি এম সি কে আমি একটা পলিসি ইনডিউসড জবলেস গ্রোথ এর ফল হিসেবে দেখি, কারণ আমাদের প্রজাতন্ত্রে কাছাকাছি সময়ে অনেক কিছু ঘটেছে। ইট ইজ নট অনলি অ্যাবাউট পার্সোনালিটি অর একটা বা দুটো ঘটনা, অবশ্যই এটা দেখা শুধু না, এর এভিডেন্স রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, রাষ্ট্রে এনটাইটলমেন্ট জিনিসটা যত কমবে, এবং দয়ার সারভিস প্রোভাইডার হিসেবে রাষ্ট্র কে যত দেখা হবে, তত পলিসি পার্টিসিপেশনের প্রয়োজন কমবে, এবং মেগালোম্যানিয়াক ইম্প্লিমেন্টেশন পন্থীর প্রয়োজন তত বাড়বে, এবং সেটা পার্টিসিপেটরি, ডিবেটেড গণতন্ত্র র মডেল এর থেকে আলাদা। এবং ওয়েলফেয়ার তার ইমানিসিপেটরি পারপস তত হারাবে, কন্যাশ্রী এবং রুপশ্রী দুটো কেই জাস্ট দুটো স্কিম হিসেবে দেখা হবে। এটা প্রিন্সিপল্ড অবস্থান, এতে কে কি মনে করলো সেটা ইমেটেরিয়াল, এটা ডিফেন্ড করার মত গ তে দ রয়েছে, পৃথিবীর যে কোন ফোরামে।

    আজকে টি এম সি বিরোধী রা সবাই বিজেপি সেটা মনে করার ও কোনো কারণ নেই। সেটা আমি কমিউনিকেট করেছি, না বুঝলে কি আর করা, ইউ আর ইন গুড কোম্পানি ঃ-))) বিশেষতঃ বিজেপি যখন একটা ভিশাস পার্টি। কিন্তু আমি 'সেকুলার' বলা টা যথেষ্ট বলে মনে করি না, কারণ আর কিছু না, কারণ আমার লিবেরালাইজেশন পরবর্তী মেডিয়ার মূল অ্যা্চিভমেন্ট হল, গরীব মানুষ কে , তাদের বক্তব্য কে আপদ হিসেবে দেখানো, এবং ফেসলেস মব কে ভিতীর কারণ হিসেবে দেখানো। সরকারের গেম টা মজার, সকলের কাছে লেজিটিমেসি না পেলে চলে না, অথচ, এনটাইটলমেন্ট এর লজিক থেকে মানুষ কে সরানো, সোশাল সিকিউরিটি নেটওয়ার্কের বারোটা বাজানো, এবং সব চেয়ে বড় কথা পলিসি এবং যে কোন সারভিসের ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রাকচারে একটা বড় অংশের মানুষকে, মেরিটিক্রাসির কারণে দূরে সরিয়ে রাখা। বিজেপি এসে তাতে ন্যাশনাল অ্যান্টি ন্যাশনাল লেয়ার যোগ করেছে।সাধারণ মানুষের, বিশেষত ফেসলেস সাধারণ মানুষ এখন শুধুই অ্যাঙ্গরি মব, তাদের ঠ্যাংআনির ব্যবস্থা পর্যাপ্ত, শিক্ষায় দীর্ঘ ডিসইনভেস্টমেন্টের ফলে, তাদের ইনটারভিউ নিলেই খুব সংহত কিসু বেরোনো র সম্ভাবনা নেই। তো তাদের সুধুই লুম্পেন ভাবা তে আমার আপত্তি আছে। এবং পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা কে সিকিউরিটি সমস্যা হিসেবে দেখাতে আমার আপত্তি আছে। এবং আলোচনার কাঠামোর সমস্যা টাকে হাইলাইট করার জন্য মেটাফোরে, ইমেজারি তে, শব্দ চয়নে সাবধানতা আশা করে থাকি। কারণ আর কিছুই না, বিজেপির খেলার অনেকটা সেমিওটিক্স। জয় শ্রী রাম
    এর একটা পোলিটিকাল কনোটেশন আছে, যেটা জয় রামজি কি, বা জয় শিয়া রাম এর মৈথিলী গ্রিটিং এ নেই।

    সিপিএম সমর্থক রা যখন দাবী করে, তারা তৃণমূল গুন্ডা দের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিজেপির পতাকার তলায় তাঁদের কে আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন, ইয়েস ফ্রম দ্য আর্ম চেয়ার , কিন্তু তাও কঠিন। অর্জুন সিং আর নর্থ বেঙ্গলের একজন কি যেন নেতার আগে, বড় মাপের মস্তান গোছের কেই বিজেপি তে ছিল না, আদর্শ বাদী দক্ষিনপন্থী, মিডলক্লাস নব্য বিজেপি, আর এস এস এর সংগঠক সব ই ছিল কিন্তু পাড়ার মস্তান ছিল না। সুতোরাং জে হাত জে লাঠি দিয়ে আজ বিজেপির পতাকার তলায় টি এম সির সঙ্গে স্ট্রীট ফাইট করা যাচ্ছে, সেটা লাল ঝান্ডার তলাতেও করা যেত, কারণ পোলিটিকাল ইকোনোমি অফ মারামারি ইজ অটোনোমাসঃ-))) বিরোধী পক্ষের দিকে ঃ-))))) কিন্তু তাঁরা তা না করে বিজেপির ভিশাস মুসলমান বিরোধী, রিগ্রেসিভ প্রোপাগান্ড তে বিশ্বাস করেছেন, করতেই পারেন সেট তাঁদের চয়েস, তাতে কোন অসহায়তা নেই, বা থাগলেও প্রচন্ড কম আছ, বড় এভিডেন্স কিছু নেই। এমনকি পাহাড় জঙ্গলেও নেই, সুতোরাং যারা অসহায়তা কে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন, তারা ক্রোধান্ধ মাত্র, এবং এই এলাকা বিভাজনের টার্ম্স কে জাস্টিফাই করা টা এক ধরণের দুর্বৃত্তায়ন।

    এর পরে, মমতার মুসলমান অ্যাপিজমেন্ট, এটা বিজেপির ক্যাম্পেন থেকে এখন মেনস্ট্রীমড মিডলক্লাস অবস্থান হয়ে গেছে। এটা এমন ভাবে বলা হয় যেন মমতা এবং তৃণমূল কে ডিতেস্ট করার আর কোন কারণ নেই, তাঁর স্বইরতন্ত্র যেন যথেষ্ট না। এটা সম্ভব হয়েছে , অনেক বড় করে বিজেপি আলোচনার কাঠামো টাকে সংখ্যালঘু বিরোধী এবং অস্মিতার নামে পরমত অসহিষ্ণু করতে বাধ্য হয়েছে। মমতা সংখ্যা গুরু এবং সংখ্যা লঘু সমাজের কনজারভেটিভ সমাজের কাছে পৌচেছিলেন, সিপিএম এর বিরুদ্ধে প্রোগ্রেসিভ এবং কনজারভেটিভ অপিনিয়ন কে এক জায়গায় আনতে পেরেছিলেন, বলেই ম্যাসিভ ম্যানডেট পেয়েছিলেন। একজন ঘরোয়া কমন সেন্স ড্রিভেন ব্যক্তিত্ত্ব হিসেবে কনজারভেটিভ দের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন সেটার কনফ্লিকট বিজেপির হাত দিয়ে এক্সপোজ্ড হয়েছে, এটা কে পোলিটিকাল সোসাইটির রি অ্যালাইনমেন্ট বলা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মমতা মূল অপরাধ মুসলিম অ্যাপিজমেন্ট হতে পারে না, তাঁর মূল অপরাধ তিনি স্বৈরতন্ত্রী। এটা আমরা লেফ্টি রা তো এসটাবলিশ করতে পারিও নি, বিজেপির ন্যারেটিভ এ বিশ্বাস ও করেছি অনেক ক্ষেত্রে, অতবে আপনি আংশিক ছাগল হলে আমি আংশিক পাঁঠা বাই অ্যাসোসিয়েশন, উই আর ইন গুড কম্পানি।

    এতো গেল কনটেক্স্ট, হাসপাতালে ডাক্তার দের কোন ব্যবহারে কোন দায় ছিল না, সেটা আদ্যন্ত ঢপ। আলোচনা হয়েছে , স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়েছে, এতে ট্যাক্সপেয়ার কনজিউমার হিসেবে খুশি। কিন্তু পেশেন্ট পার্টির বক্তব্য শোনার কথা কারো মনে হয় নি, সেটা সিস্টেমেবের অ্যানোমালি কে অ্যাকসেনচুয়েট করবে ও করছে।

    ফাইনালি, সারদা যখন টি এম সি কে ব্যাংক রোল করে, তখন তাতে অপর্ণা সেনের নাম জড়িয়ে ছিল। এবং বড় ভিগরাস ডিনাইয়াল তাঁর কাছ থেকে আসে নি, টি এম সির কোরাপশনে আপত্তি থাগলে জুঃ ডঃ রা তাঁকে ফোরাম কেন দিয়েছেন তাঁরাই বলতে পারবেন, যদিও অ্যাজ অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল একজন অভিজুক্ত তাঁর অন্য বিষয়ে মতামত দিতেই পারেন।

    যাই হোক, আগের দিন এই মজার গল্পটা বলা হয় নি বলে আজ বলে গেলাম।

    আর যারা বলছে এস বা ইন্দ্রানীদিদি বা অন্যরা এন আর আই বলে তাদের বক্তব্যে কোন গুরুত্ত্ব নেই, সেটা বোগাস একটা কথা। সেটাতে পাত্তা দেবার কোন দরকার নেই।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 07:01 PM

    ঃ-)) পিটিঃ-))



    মিডিয়ার কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য, সে ভাবে অর্গানাইজ করছে মানুষ সেটা কেই বাংলায় হেজেমনি বলা হয়। হ্যাঁঅ মেডিয়ার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড তো আছেই। একশো বার। মতাদর্শ নির্দেশের কাজ টাই মেডিয়া করছে। এটা মমতার বেলায় বারে বারে হয়েছে। মমতা র উত্থান টাই, মেডিয়া ন্যারেটিভ এর ফল। সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় এর বর্তমান এর প্রতিবেদন মনে থাকার কথা। মমতার যেহেতু এম্ফাসিস ছিল শুধুই রাজ্য সরকার বদল, অনেক সময়ে মতাদর্শের ওভার আর্কিং ন্যারেটিভ তাকে মেডিয়াই দিয়েছে, বাম দিয়ে মরাল লেজিটিমেসি, আর দক্ষিন দিয়ে প্রশাসক তৈরী হয়েছে।

    আলোচনার কাঠামো মেডিয়া বদলে নিয়েছে, আমরা পারি নি। মেডিয়া যাকে শক্তিমান দেখাচ্ছে তাকেই শক্তিমান মনে করছে মানুষ, মজাটা হল, কোনো স্ট্রীট ফাইট অমিত শহ লড়ে না দেবা সত্ত্বেও সেটা করছে। নিজেরাই যখন অর্গানাইজ করছে তখন সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে না গেলেই পারত। সচেতনতা কম, অথবা মুসলমান দের অবিশ্বাসের যে বাতাবরণ তৈরী হয়েছে, তাতে হঠাৎ এমপাওয়ার্ড বোধ করেছে। ঘৃণার শক্তি মিথ্যার থেকেও বেশি সম্ভবত। এবং রেশনালিটি অশক্ত। এবং সহাবস্থানের অভিজ্ঞতা না থাকা জায়গা গুলোয় এই ট্রানজিশন আরো সহজ হয়েছে। পুরুলিয়া তে ভয় দেখানো হয়েছে, রোহিঙ্গা রা সেটল করবে এখানে।

    আরো মজা হল, এর পরে বিজেপি ঘেটো উইন করার জন্য মুসলমান মস্তান দের সঙ্গে নেবে, তাতে বিজেপির মধ্যেই আরো বিশুদ্ধ হিন্দুত্ত্ব মুভমেন্ট উঠে আসবে। আরো রাইটওয়ার্ড শিফ্ট হবে।

    সুতোরাং আমার বক্তব্য হিন্দুত্ত্ব অ্যাপিজ করেছে মেডিয়া নিজেই, মমতা র প্রধান দোষ রাজনৈতিক অসততা এবং মিথ্যাচারের মাধ্যমে ম্যানেজ দেওয়ার পদ্ধতি, আজ পাহাড় হাসছে তো কাল জঙ্গলে অট্টহাস্য ইত্যাদিদ, কিন্তু তাঁর কানের পেছনে ঘোমটা পড়ার জোর, একটা নমাজ পড়ার ইমেজারি কে, ব্যক্তিগত কনজারভেটিজম কে, মুসলিম অ্যাপিজমেন্ট বলে দেওয়া শুধু না, বলে ভোট ঘুরিয়ে দেওয়া টা বিজেপি - মেদিয়ার সাফল্য। এর এভিডেন্স দুর্বল। মুশকিল হল, আমি সিপিএম সমর্থক বন্ধু দের ভেতরে যেখানে এটা বলেছি, ।তীব্র সমালোচিত হয়েছি। অফিসিয়াল অ্যাকসেস নেই, ক্যাজুয়াল কনভারসেশন।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 06:41 PM

    শৈলেন বাবু বোলপুরের লেজেন্ড বললে কম বলা হয়। মিড টু লেট সেভেনটিজ থেকে সিপিএম বিরোধী বামপন্থী। কোন নকশাল সংগঠন টায় ছিলেন ভুলে গেছি। একটা একটু ইমোশনাল বেশি হলেও রিজনেবলি ভালো আত্মজীবনী আছে। আমার কাছে আছে, নামটা ভুল গেছি। আশাদীপ প্রকাশনী বোধায়। শৈলেন বাবু এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন জানতাম না, ওঁকে মার ধর করার সাহস আশাকরি কারো হবে না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 07:05 PM

    এবং এটা বোঝা দরকার, এই বেলিকোজ রেটোরিকের যে গ্রহণযোগ্যতা, সেটা তাঁর একার বেলায় হয় নি মোদীর বেলাতেও হয়েছে। এটা আমি যেখানে বলেছি হেরে গেছি, কিন্তু চেষ্টা ছাড়ি নি, ছাড়বো ও না। এই পোলারাইজেশন দেখা যায় না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.132 (*) Date:19 Jun 2019 -- 07:03 PM

    তিনি প্রধানত স্বৈর তন্ত্রী, সঞ্জয় গান্ধী ঘরানা। খ

    name: খ mail: country:

    IP Address : 340123.99.121223.134 (*) Date:20 Jun 2019 -- 11:33 AM

    অমিতঃ-))))))))))))))))))))))))))))))))))))

    হ্যা এই কাটমানি ফেরত দিন টা সত্যি খোরাক। এই যে পাড়ার ক্লাবের পুজোর বড়দি গোছের, এই যে হাতে মাইক নিয়ে স্টেজে হাঁটতে হাঁটতে, এই যে প্যাটন গান করো, এই ছোটোন কাটমানি ফেরত দাও, এটা কে ই শশব্যস্ত স্বতঃস্ফুর্ততা, প্রকৃত আন্তরিকতা , বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এতদিন, জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এগুলো ই হয়। ইট ওয়াজ অলওয়েজ আ ফার্স, বাম দের ইমপারসোনাল 'এই কাজ গুলি করা দরকার' টোন এর থেকে ডিসটিন্ক্ট করার জন্য। মমতা হ্যাজ অলয়েজ বিন আ লট অ্যাবাউট সিম্পবিলিজম।

    এবার এটা তো গেল, এবার একটা কথা বলেন না, পাড়ার পুজো , বাড়ির অনুষ্ঠান, আপিশের খুব উঁচু লোক থাগলে না, মোটামুটি রোজকার মিটিনে তো এই হয়, রাইট? এটাকেই অ্যান্টি বুরোক্রাসি মেথড বলা হয়, যে মেডিয়া এত লিখছে, তারা তাদের কোং মিটিং এর মিনিট্স দেখাতে পারবে? বাল পারবে। মমতা র মেথড সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো, তাতে চমকানি ধমকানি একটা বড় পার্ট, কিন্তু আমরা পাড়ার প্যান্ডেলে এটাই করে থাকি, এটাকেই সন্ধে বেলা এনগেজমেন্ট বলি। এবং এটার সঙ্গেই অনেক লোক আইডেন্টিফাই করেন।

    পাবলিক আর প্রাইভেট স্ফিয়ার এ যে আলাদা ভাষা , চিহ্ন ব্যবহৃত হওয়া দরকার, তার যে কতগুলি পরিভাষা আছে , এটা কেই তো আমরা বুরোক্রাসি বলে অ্যাটাক করেছি কাকা, সেটা তো একটু দেখতে হবে। কিছুই না, নতুন করে 'প্রসেসে' জোর পড়ছে, বাংলা কাগজের ন্যারেটিভে, কারণ আর কিছুই না, বিজেপির গোটা উত্থান টাই, অন্য রাজ্যে ডায়নাস্টির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের উত্থান বলে বেচা হলেও, এখানে আহত কোনঠাসা ভদ্রলোক সজ্জনের প্রতিক্রিয় হিসেবে বেচা হবে। এখানে একটা স্মাইলি বনতা হায় ঃ-))) আগে আমার নিরবচ্ছিন্ন বাতুল টাইপিং এ নিশ্চয়ী আগে বলেছি, বম্বে তে ষাঠ সত্তরের দশকে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্কিং ক্লাস লোকের রাস্তার দাপটে ভদ্রলোক পজিশন একটু কোনঠাসা হয়, তখন 'কমন ম্যান' এর সৃষ্টি করেছিলেন, আমাদের কার্টুনিস্ট রা, ইংরেজি কাগজে অবশ্যই, সেটা ভাবার জন্য কোন পুরশ্কার নেই। ঃ-)))

    আলোচনার কাঠামোতে তে এই টে আজকের প্রথম স্যালভো, একটু পাদু ঠুস মত শোনালেও, বিপ্লবী ইনটেনশন টা খ্যাল করবেন।
  • | ***:*** | ০২ জুলাই ২০১৯ ১৫:১২383229
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.34900.158 (*) Date:02 Jul 2019 -- 01:02 PM



    এর মধ্যে, আপনাদের অভিশাপে, একটা যাতা কেস হয়েছে। এনরিক ভিয়া মাতাস বলে এক স্প্যানিশ সাহিত্যিক এর সন্ধান পেয়েছি, জীবনে সফল না হলে অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়, সাফল্য এলেই আর রামের সুমতি আর শীর্ষেন্দু র বেশি এগোনোর টাইম পাওয়া যায় না, এটা একটা সমস্যা। তো যাই হোক এঁর মূল বিষয় সিভিল ওয়ার না। তো যাই হোক, তাঁর লেখা সম্পর্কে আমি একটা পোবোন্দো লিখেছি, তাতে একটা বিপ্লবী শুরু রেখেছি।
    আশানুরূপ ভাবে অকারণে জটিল ও একাধারে প্লেফুল, মানে যাদের বোঝার কথা না, তারা বুঝবে না ইত্যাদি সেই ব্যাপারটা, আমরা তো সাধারণ মানুষ ইত্যাদি ব্যাপারটাও রয়েছেঃ-))))

    "কলকাতার শীতকালে অথবা বইমেলার আবহাওয়ায় , সুপর্ণাদের
    অনুমতি নিরপেক্ষে, ছোটো-নুনু পাঠকদের একটা রাজা-উজির মারার
    ছাড় থাকে, মূলতঃ সেই ছাড়ের সুযোগ নিতেই সমসাময়িক কালের
    ইউরোপে সবচেয়ে হৈচৈ ফেলে দেওয়া, তিরিশটি ভাষায় অনূদিত,
    ফোরমেন্টর
    পুরষ্কারে ভূষিত স্পেন দেশের সাহিত্যিক, এনরিক ভিয়া মাতাস এর
    প্রসঙ্গ উত্থাপন।"

    তো এবার এই লেখাটা যাঁরা ছেপেছেন, সেই পত্রিকা যিনি ছাপেন তিনি ও পুরো পড়েন এমন কোন খবর নেই, সবসময়েই লিমিটেড এক্সক্লুসিভ এডিশন। এবার তিনি আমায় ফোন করেছেন। আমি ঘটনা চক্রে একটি মিটিং রূমে দুটি (ভাগ্যক্রমে পুরুষ) টিম মেম্বার কে নিয়ে পরের রিলিজ এ কি দেব এসব নিয়ে যুগান্তকারী আলোচনা করছি। স্পিকার এ দিয়েছি। এবার খুব খুশি খুশি গলায় বলতে শুরু করলেন, "এই জানো শোনো তোমার লেখা বেরিয়ে গেছে, অনেকে ভালো বলছে জানো, তোমার বৌদি বলছিলেন সত্যি ছেলেটা কত কি পড়েছে দেকোচো, বা`হ এই তো দেখো আমার সামনে এই মাত্র এসেছে, একেবারে ফ্রেশ ফ্রম দ্য প্রেস, নতুন বইয়ের একটা গন্ধ না, বুঝলে এই নেশাতেই বুঁদ হয়ে থাকলাম সারা জীবন, এই যে পৃষ্ঠা সতেরো, , 'শিল্পীর প্রত্যাখ্যান এবং নিভৃতির আকাংখ্যা' বাহ, এই তো, সে কি নুনুটা কাটেনি!!!!, এবাবা এত করে বললাম, শুনছো, বোধির নুনুটা কাটে নি, তুমি ওদের বলো নি, আমি কিন্তু পরের মসেই প্রফেশনাল সাব এডিটর আনবো, এ মানে অসম্ভব!!!! ইত্যদি, যাই হোক লিসেন ইউ গট টু বি কেয়ারফুল" , ক্লিয়ারলি উই হ্যাড টু ইমিডিয়েটলি ব্যাং দ্য ফোন, হ্যাড টু স্টার্ট আ নিউ ডিসকাসন অন প্রবলেম্স অফ গিটহাব, বিফোর আনকন্ট্রোলেবল স্প্লিটিং লাফটার।, কমপ্লিটলি অ্যালোন দো, কারণ টিম মেমবার জানে আমি অল্প ঢিলে, তাই আর অবাক হয় না, অম্পূর্ণ ডেড প্যান দৃষ্টিতে অপেক্ষা করে আছে, ডেভ অপ্সে তার পরের অবসারভেশন টি বলে নেবে বলে ঃ-))))))
  • | ***:*** | ০৯ জুলাই ২০১৯ ১৮:২৫383230
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.43 (*) Date:09 Jul 2019 -- 06:11 PM

    কেন আমার পুশকিন সম্পর্কে সাংঘাতিক আগ্রহ ছিল এবং আবার বুড়ো বয়সে বেড়েছে সেটা খোলসা করে বলতে গেলে বলতে হয়, ঘটনাচক্রে সেই বীরভুম। গ্রাম আর শহর , ছোটো শহর আর বড় শহরের কনফ্লিক্ট ম্যানেজ করতে পারেন নি , কিন্তু সেই ব্যর্থতা কে ফুটিয়ে তুলেই তিনি পুশকিন ঃ-)))))) এবং আমি একটি বৃহৎ চোদুঃ-))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.117 (*) Date:09 Jul 2019 -- 05:55 PM

    সৈকত/সোমনাথ, পুশকিন সম্পর্কে বাংলায় কি লেখা হয়েছে একটু বোলো/বলিশ।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.113 (*) Date:09 Jul 2019 -- 05:52 PM

    *কাজ করা



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.13 (*) Date:09 Jul 2019 -- 05:49 PM

    নাড়ু দা, পুলক দত্ত, আর্টিস্ট এবং আসলে অ্যান্থ্রোপোলোজিস্ট এর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ্করা মিউজিক আর্কাইভিস্ট। দুর্ধর্ষ রেকর্ডিং সংগ্রহ, সারা পৃথিবীর বিচিত্র মিউজিক সংগ্রহ রয়েছে, মিউজিক প্রসঙ্গে সাউন্ড শব্দের ব্যবহার ওনার কাছেই শোনা, টিন এজ ছিল বলে একটু অবাক হয়েছিলাম এই শব্দটার নতুন ব্যবহারে তাই মনে আছে। ওনাকে সবাই চেনে , উনি আমাকে চেনেন না, এবং কোন দিন বিশদে বাক্যালাপ এর সুযোগ হয়েছে বলে মনে হয় না, যদিও কিন্তু এই শুভায়ন এর কারণে তাঁর সংগ্রহের অনেক বই ই আমি পড়েছি, ওদের মনে হয় বন্ধুত্ত্ব ছিল।
    এই শুভায়ন , যে কিনা আমাকে অনেক কিছুই পড়িয়েছে, আবু সৈয়দ আয়ুব, বুদ্ধদেব বসু, ভবতোষ দত্ত ইত্যাদি, নিজে এখন শুধুই ফিজিক্স পড়ায় একটা এঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ভাইয়াদা (শুভাশিস মিত্র) , শুভায়ন আর আমি একবার একটা ব্যান্ড করেছিলাম, গান টান লিখেছিল, গাইতাম ও, এবার অনেক মহৎঅ উদ্যোগের মতই এটাও আর এগোয় নি, ব্যান্ড চালানোর মত ট্যালেন্ট আমার ছিল না, কিন্তু আমার ধারণা বাকি দুজনের ছিল। কিন্তু ওরা অসম্ভব অলস ছিল।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.891212.213 (*) Date:09 Jul 2019 -- 05:40 PM

    পুশকিন সম্পর্কে আমার আগ্রহ খুব ই বেড়ে গেছে। তোমাদের যার যা পড়া আছে, হালকা ফান্ডা দিলে ভালো হয়। বাড়ার কারণ জেমস মিক এর একটি প্রবন্ধ। আমি সত্যি ই জানতাম না, অ্যামেদিয়াস এর স্ক্রীন প্লে টা, যেটা পিটার শ্যাফার এর করা বলে জানতাম, এবং জানতাম তাঁর ই নিজের নাটক থেকে করা, সেটা আসলে পুশকিন এর 'মোজার্ট অ্যান্ড সালিয়েরি' থেকে 'অনুপ্রাণিত'।

    https://lesleychamberlain.wordpress.com/2017/02/16/mozart-and-salieri-
    from-alexander-pushkin-to-peter-shaffer/

    https://www.lrb.co.uk/v41/n11/james-meek/the-village-life

    শ্যাফার নাটক টা লিখছেন ১৯৭৯ তে, লন্ডন মিউজিকাল থিয়েটার পাড়ায় হচ্ছে ঐ সময়তেই, আমি নাটক টা পড়েছি, ১৯৮৮-১৯৯০ এর মধ্যে তে, সম্ভবত শুভায়ন বিশ্বাস বলে আমার এক বন্ধু, নাড়ু দার কাছ থেকে আমাকে ফোটোকপি করে এনে দেয়, ঐ সময়ে আমি পর পর নাটক পড়ছিলাম। তখন সিনেমাটা হয়ে গেছে কিনা মনে পড়ছে না। অথচ এই অনুপ্রেরণা টা আমার ধরতে পারা উচিত ছিল, নিশ্চয়ী এ বিষয়ে বাংলা ছোটো পত্রিকায় লেখা লিখিও হয়েছে, ৭০/৮০/৯০ এর দশকে। ধরতে পারা উচিত ছিল কারণ আমার ধারণা আমাদের পুশকিন এর ছোটো নাটকের একটা বাংলা সংকলন ছিল এবং তাতে মোজার্ট ও স্যালিয়েরি নাটকটা থাকার কথা , নাকি ছিল না। এর উত্তর একমাত্র সোম্নাথ দের সাইট থেকেই পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আমার কিরকম স্মৃতি ভাসা ভাসা হয়ে গেছে। একবার মনে হচ্ছে আমি যতটুকু যা পড়েছি পুশকিন (ইউজিন ওনেজিন?) ইংরেজি তে পড়েছি, অথচ, বাংলা নাটকের বৈটার দুটো বেঁটে মোটা খন্ড কেমন মনে হচ্ছে চোখে ভাসছে। একটু খুজে দেখতে হবে। আমি ফেবু তে নেই, সোমনাথ একটু তোদের সাইটে পুশকিন বাংলায় কি আহ্চে আর তাতে মোজার্ট এর উপরে নাটক টা আছে কিনা বলবি?

    বাই দ্য ওয়ে, আমি এটাও জানতাম না, সেই আফ্রিকান (ক্যামেরুনিয়ান) দাস যিনি হঠাৎঅ সেন্ট পিটারস্বুর্গে রাইজ করে বিশাল নাম করা এঞ্জিনিয়ার হয়ে গেছিলেন, তিনি পুশকিন এর প্রমাতামহ।
  • | ***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:২৭383231
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.676712.36 (*) Date:10 Sep 2019 -- 04:03 PM



    আমি নিশ্চিত, কেউ কেউ মনে করানোর জন্য আসবেন, যে একক নামাংকিত এই পোস্ট আসলে ভেতর থেকে এই পোস্টের তুলনায় কত ছোট ঃ-)

    name: একক mail: country:
    IP Address : 236712.158.455612.132 (*) Date:10 Sep 2019 -- 01:52 PM

    ধরে নিচ্চি এটা এককের পোস্ট। একটু সন্দেহ আছে, কারণ লিবেরটারিয়ান মতাদর্শ আর ধর্মভিত্তিক দক্ষিনপন্থার একটা পার্থক্য আছে বলে জানা ছিল, এবং টু বি হনেস্ট প্রগতির ধারণার সঙ্গে অর্থাৎ প্রায় ক্লাসিকাল মার্কসিজম এর সঙ্গে একটা মিল রয়েছে। আরেকটা সন্দেহের কারণ হল, একক , বলতে নেই, বহুদিন গোটা বাক্য , ইমাজিনেটিভ বানান ছাড়া ল্যাখে নাই, তাই সন্দেহ রয়ে গেল।

    এবার পোস্ট টি র কথায় আসা যাক, শিফটিং গোলপোস্ট এর আদর্শ উদা।

    প্রথমতঃ পোস্টমালিক আর এস এস এর লাইব্রেরী দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন, কংগ্রেসী তিনমুর্তী ভবন, আদি কংগ্রেসী সবরমতী লাইব্রেরী, শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভারতী বা কলাভাবনের দিনকর কৌশিক কৃত আর্ট হিস্টরি লাইব্রেরী, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ লাইব্রেরী, উত্তরপাড়া লাইব্রেরী , বীরভুম সাহিত্য পরিষৎ লাইব্রেরী , সংস্কৃত কলেজ লাইব্রেরী, উত্তরপাড়া লাইব্রেরী, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরী বা কলকাতার সেন্টার ফর সোশাল স্টাডিজ এর লাইব্রেরী তে কাজ করার কি অভিজ্ঞতা আছে, বা ভূপেশ গুপ্ত ভবন বা মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের লাইব্রেরী তে কাজ করার অভিজ্ঞতা কতটুকু? ব্রিটিশ বা বোদেলিয়ান বা নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরী আমাদের ন্যাশনাল লাইব্রেরী বড় জেনেরাল পারপাস লাইব্রেরীর কথা বলছিনা। স্পেশাল পারপাস লাইব্রেরীর কথা বলছি। থিয়োসোফিকাল সোসাইটি বা কৃষ্ণমূর্টি ফাউন্ডেশন লাইব্রেরী তে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে? এখানে আরো একশো লাইব্রেরীর নাম করে, কই ওটার নাম তো করা হল না গোছে মুর্খ হোয়াট অ্যাবাউটারি করে যাবে অনেক লোক হয়তো, কিন্তু ঘটনা হল, ফ্যাসিস্ট দের , বিভাজন সৃষ্টিকারী দের লাইব্রেরী ভালো বলে তাদের সফেন আপ করার কোন অর্থ হয় না। অবশ্যই আর এস এস এর ভালো লাইব্রেরী আছে, খ্রিস্টোফ জাফ্রেলট এই লাইব্রী কে ব্যবহার করেছেন, পোস্ট মালিক ও করেছেন ভালো কথা।

    এবার ভারতীয় মনীশী দের জীবনী, ব্যক্তিগত এবং সরকারী উদ্যোগে চারটি কম বেরোয় নি, কম বেশি গুরুত্ত্ব সহ। মানে তাদের জীবনীর কথা বলছি, যাঁদের ভারত রাষ্ট্র সম্পর্কে হতাশা থাগলেও, ইতিহাস রচয়িতা দের কাছে সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও জীবনের বড় সব প্রশ্নের উত্তর যাঁরা হিন্দু রাষ্ট্রে খোঁজেন নি, এরকম প্রচুর বই পত্র রয়েছে। উপরিল্লিখিত প্রতিটি, সংস্থার ই প্র্যাকটিকালি জীবনী লেখার শখ, সেটা লিখতে গিয়ে, এবং সহজে লিখতে গিয়ে অনেক কিসুই তাঁরা করেন নি। কতটা খোঁজ রাখা হয়? শুধু আর এসে এসে মুগ্ধ হবার ইচ্ছা থাকলে ঠিকাছে অবশ্য।

    নির্মোহ শাদাঅ চোখ প্রসঙ্গে --দুটি কথা, বই হল ছবির মত , সম্পূর্ণ নির্ভরশীল অন দ্য আইজ অফ দ্য বিহোল্ডার,
    যে কোন আর্টের মতই, তো আর এসে এসে র পাব্লিকেশনে মুগ্ধ হলে কিছু করার নেই, মাওবাদী, তাদের অসংখ্য ফ্যাকশন, এস ইউ সি আই থেকে, সিপিএম , সমীর পূততুন্ড থেকে ভারতের শেষ ট্রট্স্কিস্ট কুনাল চট্টোপাধ্যায়, তাদের প্রতিটি কমিটির প্রতিটি বিক্ষুব্ধ, আর যাই করুন বা না , প্রতিটি সরু ও রোগা, স্ট্রাইক সমর্থক ও স্ট্রাইক ব্রেকার নকু, প্রতিটি ট্রেড ইউনিয়নিস্ট, প্রচুর চটি জীবনে লিখেছেন, কটার খবর রাখেন পোস্টমালিক।

    নকুদের যত লোক আছে, ডেফিনিটলি বাঙালের জমিদারির ন্যায় তার চেয়ে বেশি শাদা চোখে দেখা বুকলেট আছে, দাম আগে হত এক আনা দুই আনা, পরে হল চার আনা, এখন দশ্টাকা। ইনফ্লেশন ইত্যাদির কারণে।

    গুরু চন্ডালি খুব ভালো কাজ করছে, কিন্তু তার অনুপ্রেরণা আর এস এস কিনা তারা বলতে পারবে। আমার ধারণা শুধুই পোলিটিকাল তর্কে জেতার জন্য বই গুলো লেখা হচ্ছে না, বরঞ্চ নির্মোহ জিনিসটা তৈরী হচ্ছে, বা অন্তত হওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, ইন দ্য আইজ অফ দিস বিহোল্ডার, যে জ্ঞানচর্চার যে গুলো কাটিং এজ বা আধুনিকতম আনডারস্ট্যান্ডিং সেগুলো কে মাথায় রেখেই, মোটামুটি শস্তায় বিতর্ক গুলো কে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করা হয়েছে, সাকসেসফুল বই গুলো তে তাই হয়েছে, বাকি গুলো হয় নি।

    শাদা বা নির্মোহ হলতে চিন্তাহীনতা কে প্রোমোট করতে হয়, বা মানুষের মধ্যে বিভাহন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সেই সারল্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে সে ঝরঝরে সহজবোধ্য পদ্ধতি আসলে অসৎঅ। তার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হবার কিসু নেই।

    ঘটনা হল, প্রচুর নানা অ্যাটেম্প্ট হচ্ছে, শিক্ষা টা কে শুধুই 'প্রোডাক্টিভ' বা 'জব ওরিয়েন্টেড' করতে গিয়ে, ইউটালিটারিয়ান করতে গিয়ে, যাঁরা শিক্ষার মধ্যে কনটেক্স্ট স্পেসিফিক , সাদা কালো ছাড়াও যে রং হতে পারে সেটা বোঝানোর যত প্রচেষ্টা তাকে উচ্চ মার্গের তত্ত্ব চর্চা বলে ডিসক্রেডিটিং করার পরে, তার পরে সহজ ও সরল বই বা মনীশী দের জীবনীর খোঁজে আর এস এস দপ্তরে গেলে, তাকে আর যাই হোক সত্যান্বেষণ বলে না।

    অবিশ্বাস্য ইনটেলকচুয়াল ডিসহনেস্টি। আমার ট্রোল এবার বড় হয়ে ট্রোল এম্পায়ার খুলে একটু চক্ষু মেলে তাকালে পারেন।

    এখন বাজার আর এস এস এর তাই তাকে সাংঘাতিক শক্তিশালী লাগছে। যেকোনো বর্তমান বা ভবিষ্যতের অথরিটারিয়ান রেজিম কেই তাই মনে হয়। স্তালিন হিটলার পল পট কাস্ত্রো, মুসোলিনি, আলিমুদ্দিন, মাও এর বুড়ো বয়সের গ্যাং অফ ফোর, ব্রিটিশ রাজ, সকলেই এখন নানা মাপের অন্ডকোষ মাত্র। সকলেই অতীত হয়েছেন। সব সময় কি শুভ শক্তি জিতেছে তা না। খারাপ খারাপতর হয়েছে, কিন্তু কেউ ই পারমানেন্ট হন নি। এত মুগ্ধ হবার কিসু হয় নি। সেকুলারিস্ট বা লিবেরাল দের একটা লড়াই অতি সরলীকরণের বিরুদ্ধে, অন্তত অশিক্ষার বিরুদ্ধে, এবং প্রকরণ টা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্লেশণাত্মক হবে।

    কোনটাকে শাদা বা নির্মোহ বা সংক্ষিপ্ত, সহজ ইত্যাদি মনে হবে সেটা পাঠকের ব্যাপার, বা পোস্ট মালিকের।
  • Kaju | ***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৩383232
  • এগুলো ছেপে বাঁধালে ১০০টা কালীসিংহীর সেট হয়ে যাবে। তারপর সেগুলো দিয়ে আমি ডাম্বেল ভাঁজার কোশিশ করব।
  • " " | ***:*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৪383233
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.566712.123 (*) Date:10 Sep 2019 -- 07:19 PM

    এখানে অনেক ভাটুরে দের মধ্যেই একটা কেস আছে, সেটা হল, অনলাইনে যা গত দুদিনে পাওআ গেছে সেটা ছাড়া পৃথিবীতে রেজিস্টান্স এর কোন কাজ হচ্ছে না মনে করে তার ভিত্তিতে হোয়াট অ্যাবাউটারি করা মাইরি।

    একক সেরকম কথা কখনো বলে না নর্মালি, তাই আমার শক টা একটু বেশি হয়েছিল।

    আর অনেকের ই ঠিক উল্টো অবস্থান হল সাহিত্যের বেলায়। ছোটোবেলায় যা পড়া গেছে, এবং আবাপ র সাড়ে বত্রিশ ভাজা থেকে যা বেরিয়েছে, তার বাইরে কোন কিছুর খবর না রাখাটা কেই ভীষণ সংখ্যা গুরু পাঠককুলের সঙ্গে একাত্ম হবার একটা আরাম পাওয়া। বাকি সব ই অতি বিপ্লবী বা পাঠের অযোগ্য ঃ-)))

    এরকম করতে করতেই একদিন ভাট মেনস্ট্রীম হয়ে গেছে। গুরুচন্ডালি প্রকাশনা সেই জায়্গায় যাবে না এই আশা রাখি। এমন কি যেদিন ভারতবর্ষে বিপ্লব হবে, নানা গোত্রের বামপন্থী রা ক্ষমতায় আসবেন, সেদিন ও যেন গুরু প্রকাশনা , বিরোধীদের মিলনস্থল থাকে সেই আশা করি। ভাট সম্পর্কে সেই আশা আর নেই। আই থিংক উই জাস্ট হ্যাভ মেড ভেরি কমফর্টেবল চয়েসেস। নট ওনলি অয়্ট দ্য টিপ্স অফ আওয়ার ফিংগার্স। খ

    একটাই আনন্দ, আমাকে যে দু তিনজন ব্যক্তি নানা ভাবে ট্রোল করে তাদের লেখা পড়া নানা বিধ লেখা পড়া বেশ ভালো। শিক্ষিত লোক ই ট্রোল করছে, দ্যাট ফিল্স ফাইন।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.676712.162 (*) Date:10 Sep 2019 -- 07:07 PM

    এককের কাছে অ্যাপোলোজাইস করেছি মানে বক্তব্যের জন্য করিনি, বক্তব্য প্রকাশভঙ্গী তে উষ্মা ছিল বলে করেছি। জাস্ট ফর অ্যাভয়্ডান্স অফ ডাউট।

    একক মাইরি আমায় গুরু কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়েছিল বলে অ্যাপোলোজাইস না করলেও অন্তত ধুর মশাই ঠিকাছে মশাই, এত হ্যাজাচ্ছেন কেন বললেও পারে ঃ-))) সেটাকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্জুন প্রদর্শিত পথে মহানুভবতার জয় ধরে একটু গলা ভেজাতে অনুমতি চেয়ে নিতে পারি



    ঃ-)))))

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.454512.186 (*) Date:10 Sep 2019 -- 07:03 PM

    দমু র পোস্ট

    "name: দ mail: country:

    IP Address : 236712.158.676712.84 (*) Date:10 Sep 2019 -- 04:39 PM
    "
    একটা স্যিউডো প্রতিপক্ষ খাড়া করে দমাদ্দম মারার আদর্শ উদাহরণ হল খ-এর ১।৫২ র পোস্ট।

    যাগগে একককে বলার ছিল সৌরভ বলে একজন শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে নির্মোহ ব টাইপ একটা চটি লিখেছে, যেটা ধ্যানবিন্দুতে পাওয়া যায়। আমার ভাইঝিরা ওটা ছড়ায়। ওদের এন আর সি, আর এস এস এইসব নিয়েও চটি টাইপ আছে। ১৫-২০ টাকার মত দাম।

    এককের বক্তব্য বুঝতে পেরেছি। কারণ আমার বাড়িতে (পুণেতে) মাঝে মাঝে শাখামৃগরা অমন চটি দিতে চায় এসে।
    "
    এর শেষ লাইন। বাড়ির কথা আমি বলি নি তোমার পোস্ট ই বলছে। আমি কি এমন আপত্তি কর কথা বললাম বুঝলাম না।

    আমার বক্তব্য ছিল যে একক কথিত সহজবোধ্য চটি আর এস এস ও করে, আর এস এস এর দীর্ঘ দিনের বিরোধীরাও করে। শুধু গুরুচন্ডালি না। যদিও গুরুচন্ডালি ও করছে এবং প্রাণে বেঁচে থাকলে আরো করবে আশা করা যায়। আমার ক্লিয়ার ছিল না এককের পোস্ট কেন আর এস এস এর চটি কেই গ্লোরিফাই করছে। বা অনুকরণযোগ্য মনে করছে। সেটা নিয়ে আমার পোস্ট ছিল, ১ঃ৫২ তে, সেটা কে বোঝার ন্যুনতম চেষ্টা না করে দমু চেচাচ্ছে। অবশ্য দমুর কথা বোঝার চেষ্টাই বা করছি কেন সেটা ক্লিয়ার না, ভবিষ্যতের সেন্সিবলে চটি লেখা পাবার আশা করি বলে বোধ হয় ঃ-)))))) গুরুতেই হলে আরো ভালো ঃ-)))))

    এককের পোস্ট টা এককের ছিল বলে বিশ্বাস হয় নি, কারণ লিখিত বক্তব্যে একক নিক থেকে সম্পূর্ণ ভাট কখনৈ বেরোয় নি, বা রেয়ারলি বেরিয়েছে এটা বলা যায়, পরে অ্যাপোলোজাইস ও করেছি। এর পরে আমার একটা অ্যাপোলজি পাওনা হয়, তবে বড় করে দাবী করছি না , আফটার অল লিবেরাল ক্যাম্পের লোক ঃ-))))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.676712.84 (*) Date:10 Sep 2019 -- 06:46 PM



    ভারতীয় কমিউনালিজম সম্পর্কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিনটি বই ই চটি। একটি খাকি শর্ট্স, বিখ্যাত, আরেকটি সুরজিত দাশগুপ্ত, আরেকটি জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠটি সুরজিত বাবুর। এবং ইনি বিখ্যাত আকাডেমিক কেউ নন। সেন্সিবলে নাগরিক মাত্র।

    এখন যেটা ইন্টারেস্টিং বলতে পারো, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের দীর্ঘ ক্যাম্পেনের আমলে যেটা হয় নি, ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের অনেকের ই কনটেম্পোরারিটির কারণে , ভারত রাষ্ট্রের গঠন সংক্রান্ত বিতর্ক গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটা অভ্যেশ হচ্ছে। তারা লিঞ্চড হবে হয়তো ভবিষ্যতে তাও আসছে, এটা ঠ্যাকানো যাবে না। এটার একটা দিক মেডিয়া র এক্সপ্লোশন। একজন সেপাই প্রায় ব্যাটেলশিপ পোটেমকিন এর মত, খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে প্রতিবাদ করছে এটা আইপিকে এফ বা আসাম বাহিনীর আমলে (কংগ্রেসের পাপ ) পাওয়া যায় নি, এখন যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিদেশী সোর্স থেকে সার্জিকাল স্ট্রাইক কনফার্ম করার চেষ্টা করেছে, এটা এক দশক আগে কল্পনা করা যেত না, আমরা গদ গদ ছিলাম যে আমরা গাল্ফ ওয়ারের মত, ১৯৯৮ তেই কার্গিল ওয়ারে, ফিল্ড রিপোর্ট করেছি, ২০০৩ এ গিয়ে বুজেছি, সেটা এম্বেডেড রিপোর্টিং। তো অনেক কিছুই হবে ছেলে মেয়েরা এই শুয়োরের বাচ্চা দের জমি ছেড়ে দেবে বলে মনে করি না। সিস্টেমের নিজের কনফ্লিক্ট ও থাকবে। কাশ্মীরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই একটা ইজরায়েল এর মত বাচ্চা দের টার্গেট করে ক্যাম্পেন চলছে।

    এখন আমাদের জেবনের ঐতিহাসিক প্রশ্ন হয়ে উঠছে, আমরা কাদের মত বেশি, জর্মনী না ইজরায়েল। এবং শুধু তাই না, কেন্দ্রায়িত শক্তি কে আমরা ফেডেরালিজম দিয়ে থামাবো যারা ভেবেছিলাম, ওয়েলফেয়ার স্টেট কে ফাইন টিউন করে, ইনক্লুশন বাড়িয়ে যারা কমব্যাট করব ভেবেছিলাম, তারাও দেখছি এন আর সির আসাম বা দলিতের পাকিস্তান বিরোধী, কাশ্মীরে ন্যুনতম স্বাধীনতা বিরোধী, কোন কোন ক্ষেত্রে সরাসরি সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠা ইত্যাদি। অতএব পোলিটিকাল অ্যালাইনমেন্ট বদলাবে। এবং সেটা বিজেপির চাপেই বদলাবে, কিন্তু কতদিন টিঁকবে এই ধ্যামনামি? ৩০০ সিট পেয়ে ধরা কে সরা জ্ঞান করছে লোকজন। আমাদের মধ্যেও সুপ্ত সব জাত ঘৃণা জেগে উঠছে। এটা বেশি দিন চলবে না, বেটার সেন্স উইল প্রিভেল। ঝাড় যেটা রাইট ওয়ার্ড শিফ্ট টা যা হচ্ছে, কিছুদিন পরে হিন্দু রাষ্ট্র হয়তো কংগ্রেস সমর্থন করবে। তখন নতুন অ্যালাইনমেন্ট হবে। ১৩০ কোটি এক সঙ্গে সবাই একই ভাবে বোকা বনবে না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.69.453412.176 (*) Date:10 Sep 2019 -- 06:33 PM

    ইউউনিফর্ম সিভিল কোড আর ৩৭০ ধারা বাতিলের মেন স্ট্রেংথ হল তার 'সারল্য', এবং ইতিহাস কে অস্বীকার করা শুধু না ভবিষ্যতের ফেডেরালিজম এর সম্ভাবনা কে অস্বীকার করা সারল্য শুধু না, বর্তমানের প্রশাশনিক প্রসেসের অসহনীয় দিক গুলো কে অস্বীকার করা সারল্য, এবং এবং এটার বিরোধিতা শুধুই ঐতিহ্যের চটি বা চটির ঐতিহ্য দিয়ে করে নি বলেই মিঠুন এর বই চটি হওয়া সত্ত্বেও সফল হয়েছে, এবং এটা মনে করার কোন কারণ এই অ্যাটেম্প্ট অন্য রা করছে না , যেমন ভাইঝি রা। সাদা নির্মোহ ইত্যাদি তখন ই সাকসেস ফুল হবে, যখন একটা বিষয়ের একেবারে গভীর গবেষণা লব্ধ কাজের ফ্রন্টলাইন কাটিং এজ আর্গুমেন্ট এবং চটির ঐতিহ্যশালী হিউম্যান মরাল পজিশন এক জায়্গায় আসবে। এবং পার্টিজান লিটেরাচারেও এই সব প্রচুর আছে। সম্প্রতি শমীক লাহিড়ি এবং অফ অল পিপল অঞ্জন বেরা অসাধারণ লেখা লিখেছেন কাশ্মীর নিয়ে। তো তার একটা ক্যাপটিভ অডিয়েন্স আছে, তাঁরা তার বাইরে পৌছতে পারবেন কিনা সেটা পুরোটা তাঁদের নিয়ন্ত্রন নেই। কন্টেম্পোরারিটি অফ থট, থ্যাংকফুলি, সেন্সিবল সাইড অফ দ্য স্টেবল এও আছে।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.676712.56 (*) Date:10 Sep 2019 -- 06:25 PM

    দমুর দেখা গেল বোঝা টোঝা সম্পূর্ণ ভাইঝি ও বাড়িতে আসা চটির উপরে নিরভর্শীল। অন্যান্য পর্যবেক্ষন পদ্ধতি ই তার শত্রু না পর্যবেক্ষকই পোস্টের শত্রু সেটা বোঝা গেল না। নট লুজিং স্লিপ দো। ঃ-))))

    প্রচুর চটি প্রচুর লোক লিখছে, লিবেরালিজম এর পক্ষেই লিখছে, কাকে কে ক্রেডিবল বলে মনে করবে সেটা আনফর্চুনেটলি চটির মেরিট অফ আর্গুমেন্টের উপরে সব সময়ে নিরভর করে না, এবং সেই স্পেস টাকে ধরতে গেলে স্কলাস্টিক লেখাকেও সহজলভ্য সব সময় করা না গেলেও, স্কলাস্টিক আর্গুমেন্ট গুলো কে অ্যাড্রেস করার কাজ টার গুরুত্ত্ব টা ঠিক কে কার ভাইঝি বা কে কোন দলের বা কে কটা করলো কোন গুলো করলো তার উপরে নির্ভর করে না। এটা হল রাজনৈতিক বিতর্কের এবং আপৎঅকালীন বিতর্কের এবং জেনেরালি শিক্ষার বিভিন্ন লেয়ার এর সমস্যা। ম্যাক্রো সমস্যা। এবার দমুর সমস্যা হল, ঠিক এই কথাই অন্যত্র হয়তো বলবে, এখন যদি রাগ করার ইচ্ছে হয় এখন ই বলবে এসব ফাল্তু কথা, নাও দ্যাট ইজ আ গুড থিং, শুধুই ইন্ডিভিজুয়ালিটি প্রমাণ করার ইচ্ছে প্রকৃত লিবেরাল বিতর্কে থাকবে, দ্যাট মেক্স ইট ফার মোর ইন্টারেস্টিং দ্যান প্রোপাগান্ডা।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.566712.123 (*) Date:10 Sep 2019 -- 05:21 PM


    হ্যাঁ খিল্লি একটি লিবেরেল খুব পাওয়ারফুল টুল, জেনেরালি বলা হয়, সোভিয়েত আমলে মানুষের লাইফ লাইন ছিল হিউমর। গুলি খাবার আগে অব্দি হেসে নিল। এবার ঘটনা হল আমি যা বলবো সেট অ ফেবু গুগল হোয়া করবে, আবার আমি মিষ্টি খিল্লি ও করব, সেটুকুই ছড়াবে সবচেয়ে বেশি, সেটা পাওয়ার গেম, হ্যাকার বা পাল্টা রাষ্ট্র ছাড়া সে রসিকতার প্রতিযোগিতায় যোগ দেবা মুশকিল ঃ-)))

    মানে এটা ধর হিলারিয়াস, যে আমেরিকা র তার নির্বাচনে বিদেশী শক্তির প্রভাব, তাও আবার মেনলি প্রোপাগান্ডা প্রভাব দেখার জন্য ভীষণ এনকোয়ারি করিয়েছে, তাতে দু চারটে ছোটো প্রস্কিউশন ছাড়া অশ্বডিম্ব এসেছে, ম্যুলার রিপোর্টে, এটা সেই আমেরিকা, যার ফরেন পলিসি ই ছিল, হি ইজ আ সান অফ আ বিচ বাট আওয়ার সান অফ আ বিচ ঃ-)))

    লিবেরালিজম, এবং বিশেষতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেকার প্রথম বিশ্বের সোশাল ডেমোক্রাসির রিফাইনিং ক্রিটিক হিসেবে লিবেরালিজম এমনকি বামপন্থী লিবেরালিজম এর সমস্যা হল, মূল সমস্যা আপাতত হল, শুধু ফ্যাক্ট না, শুধু ফল্সহুড না, তার সঙ্গে রিজন কেই ডিফেন্ড করতে হচ্ছে তো আমাদের প্রস্তুতিতে খামতি আছে, তবে চটি তে নেই ঃ-)))

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.69.563412.233 (*) Date:10 Sep 2019 -- 05:02 PM



    এটা কি সত্যি তোমার পোস্ট, তাহলে আমি খুব ই লজ্জা পেলাম, কিরকম একটা রাগি রাগি ভাবে লিখেছি, সরি, অ্যাপোলোজিস, রাগ কোরো না, কিন্তু খুব ই রাগ হয়েছে। আমি মেরিট এক্ষেত্রে ডিমেরিট অফ দ্য আর্গুমেন্ট ফলো করছিলাম। শকিং লেগেছিল, কারণ তুমি আমাদের অনেকের ই ঝাঁট জ্বলিয়ে দেবার মত কথা বল্লেই অযৌক্তিক বালের কথা নর্মালি বলো না।

    গুরু চন্ডালি র কর্তৃপক্ষ আমি নই। আমি ট্রাস্টের মেম্বর নই। হতে চাইনি, কারণ আমি সকলকে নিন্দে করতে চাই এবং চাই লোকে আমাকে নিন্দে করুক। মানে মেরিট অফ দ্য আর্গুমেন্ট না থাকলে, সেটাই কাম্য। গুরুচন্ডালি একটা ইয়াং পাব্লিশার হিসেবে অনেক কাজ করেছে , প্রচুর বোগাস ইন্ডিফেন্সিবল অযত্ন সত্ত্বেও, খুব ই চমৎকার কিছু বই বের করেছে, চটি সিরিজে। এবং আগে সৈকত যখন থিয়োরী করতো তখন ই-বুক ও ভালো করেছে।

    মনীষী জীবনী জঁর টার সমস্যা আছে। ছোটোদের লেনিন গোছের লেখায় , আর্কাইভিস্ট সোমনাথ দাশগুপ্ত আগ্রহ পেলেও স্কলার সোমনাথ, যে নিজে আস্তে আস্তে একটা বই হয়ে যাবে কদিন পরে বা স্ক্যান্ড কপি, সেও আগ্রহ পাবে কিনা বলা মুশকিল।

    স্পেসিফিকালি তোমাকে বলছি, বিশ্বাস করো আমার কাছে এই বামপন্থী , বিক্ষুব্ধ বামপন্থী চটির সিরিয়াস সম্ভার আছে, রিজনেবলি ভালো লেখাও আছে, নকুরা অপদার্ধ হলেও প্রচুর ভালো বই লিখেছে, বল্লে বিশ্বাস করবে না ঃ-)))) এমনকি সিপিএম এর প্রচুর ভালো বই আছে। কিন্তু ঘটনা হল, সরু ও শস্তা হলে তোমার চলবে না, তোমার চোখে একাধারে লিবেরেল ও সরু ও শস্তা হতে হবে। খাবে স্কচের নিচে না, কিন্তু এয়ারলাইন ফ্লাই হাই সাইজের শিশি চাই, তো তাও আছে প্র্যাকটিকালি। প্রায় সমস্ত ভাষায় আছে।
    কিন্তু মতাদর্শের সময় একটা ইসু। আর মানুষকে ঘৃণা ধরানো অনেক সোজা কাজ।
    আমাকে মেহরোত্রাজি বলে এক স্নেহশীল স্কুটার কাকু শান্তিনিকেতনে ছোটো থেকে আর এস এস এর চটি বই বেচতেন, জ্বর হলে বাড়িতে এসে নাক্স ভোমিকা ও শ্যামাপরসাদের ভূমিকা দিয়ে যেতেন, মার কাছে পাঁচটি টাকাও নিয়ে জেতেন, বাবার চিৎকার লুকিয়ে আহা মানুষটা ভালো বলে মাও সেটা করতেন, আর আমার লোভ ছিল স্কুটারে। কিন্তু তখন তার সময় ছিল না, তাই মেহরোত্রা কাকু স্নেহশীল দাংগা অ্যাপোলোজিস্ট না হয়ে শুধু স্নেহশীল থেকে গেছেন। আর উনি ও মাঝে মাঝে পার্সোনালিটি বেচতেন বুঝলে, ঐতো গোলওয়ালকার সেদিন ট্রেনে যেতে যেতে হাওয়ার্ড ফাস্ট পরছিলেন, কত প্রশংসা করলেন ইত্যাদি। তো এগুলো কে কমব্যাট করাটাও কাজ এবং সেটা সহজ বোধ্য হবে না। শিক্ষা র বাজেট লিবারটারিয়ান পদ্ধতিতে কমিয়েও হবে না, পিপিপি তে ও হবার না। দ্য অয়্টাক ইজ অল আউট। সো উইল বি দ্য ডিফেন্স। সময় একটা ব্যাপার।

    বাই দ্য ওয়ে , প্যাম্ফ্লেট সম্পর্কে বলি,
    শোনা যায় এব্যাপারে আঠেরো শতক থেকে বিভিন্ন প্যাম্ফ্লেট, ব্রিটিশ লাইব্রেরীর সঙ্গে পাল্লা দেবার মত পোলেমিক চটি আছে মারাঠি , ফার্সী ও বাংলা ভাষায়, গৌতম ভদ্র র কাছে, সেগুলো ও পোলিটিকাল কিন্তু ধর তিতুমীর সম্পর্কে একজনের লেখা দাদুর কাছে শোনা গল্প, আমি একটার কথা জানি, ভাওয়াল মামলায় এক বিচারকের ডায় রি, এই সব কলকাতায় বিভিন্ন সংগ্রাহক এর কাছে আছে। সেগুলোর আলাদা ভ্যালু, সোমনাথ দাশগুপ্ত রিয়াল্মে। অতএব চটি ধরো নানা প্রকার। গৌতম বাবুর কাছে শোনা যায়, হাজার তিনেক বটতলা পানু আছে , একটি প্রবন্ধ লেখার জন্য জোগাড় করেছিলেন। এশিয়াটিক সোসাইটি তে আছে। এখন একটা কাজ হচ্ছে বাংলার পুঁথির ডিজিটাইজেশন, সেটা নিয়ে অনেকে ডিসাপয়েন্টেড হলেও পুঁথি গুলো আছে। সেগুলো কোন না কোন সত্যের কথা বলে, যদিও গৌতম বাবুর লেটেস্ট কাজ হল, অসত্য প্রোপাগান্ডা করার জন্য যে সব ফেক ডকুমেন্ট তৈরী হত এইটিন্থ সেঁচুরী তে সেগুলো নিয়ে, উম্বের্তো ইকোর সেই প্রখ্যাত 'পাওয়ার অফ ফলসহুড' প্রবন্ধটির মত, যেখানে ওয়ার্ল্ড জিউয়ারি র চক্রান্ত তত্ত্ব সম্পর্কে ফেক ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা রয়েছে।

    আমরা ধরে নিচ্ছি, আর এস এস এর এন্টায়ার লাইব্রেরি একটা সময় ফেক ডকুমেন্টেশন হিসেবে দেখার জন্য প্রিঠিবীতে কিছু ভালোমানুষের নাতি পুতি বেঁচে থাকবে।
  • ন্যাড়া | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:০২383234
  • চটি ভাল না খারাপ খনু বিচার করে দেখবে লিনিয়ার ন্যারেটিভ না ননলিনিয়ার, তাই দিয়ে। অত আবার কতা কী!
  • b | ***:*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৩৪383235
  • আপার সেমি কন্টিন্যুইটি, লেবেগ মেজার এগুলো দেখা হবে না কমরেড?
  • মার্ক্ষীয়চোখে সিল্পো | ***:*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:২২383224
  • Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from DP on 14 July 2018 18:54:31 IST 2345.110.784512.54 (*) #
    লেখাটা পড়ার পর এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর স্বপ্ন দেখছি একজন সৌমদর্শন শিক্ষক ক্লাসে দাঁড়িয়ে 'মার্ক্সীয় চিন্তার আলোকে শীল্প' বোঝাচ্ছেন, আর সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছে। শিক্ষকের বর্ননায় সবাই মোহিত। এমন সময় পিছনের বেঞ্চ থেকে এক বেয়ারা ছাত্র প্রশ্ন করে বসল- "স্যার পুঁজিবাদী সমাজে শীল্পী ততক্ষণই কারো দ্বারা প্রভাবীত হতে পারে যতক্ষণ সে নিজের সৃষ্টিকে অন্যের সাহায্যে বাজারজাত করতে চায়। কিন্তু ধরুন যদি কেউ নিজেই প্রদর্শীত করে? বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে? তখন? ইনস্টাগ্রাম, ফ্লিকার, ইউটিউব এগুলোর মাধ্যমে তো বহু শীল্পী উঠে এসেছেন? সেখানে মার্ক্সবাদ তো শীল্পীকে কার্যত ক্রিতদাসে পরিনত করছে!"
    শিক্ষক বললেন "ইন্টারনেট সম্পর্কে মার্ক্স কিছু বলেন নাই। আর বুর্জোয়া ইন্টারনেটে সবাই বুর্জোয়াদের অধীন। যদি প্রলেতারিয়েতের ইন্টারনেট হয় তখন তারা প্রলেতারিয়েতের অধীন হবে। আর মার্ক্সীয় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনে থাকা মানে সর্বোত্তম ব্যবস্থা। যারা মার্ক্স বিরোধী তারাই একে স্বাধীনতা হারানো বলে থাকে। অতএব তুমি তাদের কথায় কান দিওনা।"
    এই উত্তরে সকলে আরও মুগ্ধ হয়ে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু বেয়ারা ছাত্রটি "ধূর বা*! এ তো সেই আমিই সবজান্তা মার্কা মাল!" বলে অশ্লীল আচরন করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল। শিক্ষক বললেন "দেখো, বুর্জোয়া অপসংস্কৃতির প্রভাব! শিক্ষকে বেরিয়ে যাও বলার সময়টুকুও দিল না!"
    Avatar: সিকি
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from সিকি on 14 July 2018 20:43:49 IST 342323.190.8989.207 (*) #
    সংক্ষেপে বলিতে গেলে, হিং টিং ছট।
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 09:54:44 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    ডিপি যে প্যাঁক দিতে পারলেন এবং সিকি যে প্যাঁক দিলেন না প্যাঁক কে প্যাঁক দিলেন বোঝা গেল না, তার কারণ টা হল, সুমিত উদাহরণ এবং সোর্স জিনিসটা খুব কম ব্যবহার করেছেন। সংস্কৃতি বিশেষতঃ ম্যাস কালচার নিয়ে প্রথম দিকে আর্ন্স্ট ফিশার (necessity of art, শুরু হচ্ছে জাঁ ককতোর একটা উক্তি দিয়ে, Poetry is indispensible if I only knew what for), বা গিওর্গে লুকাচ এর উপন্যাস এর থিয়োরির উপরে কাজ যেগুলো, সেগুলো কিন্তু প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জড হচ্ছে, ফ্র্যাংকফুর্ট স্কুলের কাজ দিয়ে (আদোর্নো,হরকহাইমার,মারকিউজ) , জার্মানি তে এবং যুদ্ধের আগে পালিয়ে আসার পরে আমেরিকায়। বা প্রথাগা শিক্ষার বাইরে থাকা ক্রিস্টোফার কডওয়েল এর কাজ দিয়ে, যিনি স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারে অংশগ্রহণ করছেন এবং মারা যাচ্ছেন, এঁরা প্রত্যেকেই গ্রামশি সহ নিজেদের মার্ক্সবাদী আলোচনার পরিসর কে অস্বীকার করছেন না, কিন্তু ক্লিয়ারলি মার্ক্স এর কনসার্ন গুলো আলাদা ছিল , রাশিয়ার সংস্কৃতি তত্ত্বালোচনার ইতিহাসে, গোর্কি, আইজেন্স্টাইন, বাখতিন কো একসিস্ট করছেন, অফ অল পিপল স্তালিন মানডেলস্টাম এর হত্যার পরেও, পাস্তেরনাক, বুলগাকভ এবং শস্তাকোভিচ কে কেন বাঁচিয়ে রাখছেন সেটাও ক্লিয়ার হচ্ছে না, তারা নিজেদের মত কনট্রিবিউট করছেন। যে বুলগাকভ কে মাস্টার এবং মার্গারিটার জন্য, স্তালিন এবং রাষ্ট্র বিরোধিতার দিক চিহ্ন বলে ধরা হচ্ছে, তিনি ই কান্ট্রি ডকটর ডায়রি ইত্যাদি লিখছেন, বা যুদ্ধের সময়ে অসম্ভব পার্টিজান এবং জাতীয়তাবাদী গল্প লিখছেন। (এর একটা আমি ভাষা বন্ধনের জন্য অনুবাদ করে দিয়েছিলাম, অনেক দিন আগে, নাবারুণ বেঁচে থাকতে, সেটা পড়ার দরকার নেই, তবে ডরিস লেসিং এর বুলগাকভ এর সারভাইভাল ইনস্টি'ম্কট নিয়ে হিলারিয়াস প্রবন্ধ আছে, পড়ে দেখতে পারেন। রাশিয়ান আর্কাইভসা বেরোনোর পরে দেখা যাচ্ছে, ৫০স এ কি পরিমান আনডারগ্রাউন্ড গে কালচার ছিল মস্কো তে বা পিটারসবার্গে।

    সুতরাং যেটা বুঝতে হবে, ওয়েস্টার্ন লিবেরাল লেফট পজিশন যেটা (লুইঅ আরাগঁঅ মিলান কুন্দেরা কে প্যারিসে পালিয়ে আসার পরে বই ছাপাতে সাহায্য করছেন), সেটা যদি নাও ধরা হয় , তাহলেও আর্বান সেন্টার গুলো তে , এমন কি নিঃশ্বাস বন্ধ করা অথরিটারিয়ান রুলের মধ্যেও, ব্যক্তিগত এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিকল্প চর্চা থাকছে, এবং ডিসিডেন্ট রা, সকলেই প্রখর পার্টি বিরোধি হলেও, শিল্পীর স্বাধিনতার নামে ঠিক ট্র্যাশ লিখছেন না। এবং শিলা ফিটজপ্যাট্রিক দের কাজ থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯০৫ অনওয়ার্ড মস্কো তে বিচিত্র কিশ গোছের লিটারেচার এর একটা বাজার থাকছে, যেটা মহৎ সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি চলছে। সুতরাংঅ সম্স্কৃতির দর্শন শুধুই একটা পরিচিত শিবির দ্বন্দ্বের বিষয় না, যদিও কোন মুর্খই দাবী করবেন না, প্রতি মুহুর্তে মরার ভয় নিয়ে ভিষণ ফুর ফুরে বসন্তের বিকেলের মৃদুমন্দের মত, সংস্কৃতি আলোচনা হচ্ছে। সাংহাই য়ে যেমন কালচারাল রিভোলিউশনের আমলেও, আনডারগ্রাউন্ড কালচার বাড়ছে, এবং সেটা কলোনিয়াল আর্বান কালচারের কন্টিনিউয়েশন হিসেবেই হচ্ছে, সেরকম, ভাবেই ইউরোপে , রাশিয়ায় , আমেরিকায় (ম্যাকার্থি আমলে), দক্ষিন আমেরিকায় (ডিকটেটরশিপ গুলোর সময়ে), দক্ষিন আফ্রিকায় (অ্যাপারথাইডের সময়ে) হচ্ছে। আরবানিটি র নেচার ই হল রেজিস্টান্স এর ধারক হিসেবে কাজ করা, এটা ইন্দোনেশিয়া ইজিপ্ট, টার্কি তে প্রচুর হচ্ছে। সম্প্রতি অফ অল প্লেসেস, তাইঅওয়ানের এক লেসবিয়ান ঔপন্যাসিকের প্রেমের গল্প পরহলাম, ন্যাশনালিস্ট পার্টির দমবন্ধ করা দেশপ্রেমের মধ্যে লেসবিয়ান প্রেম। এন ওয়াই আর বি ক্লাসিস্ক্স বের করেছে।
    তত্ত্বালোচনা কে প্যাঁক রেজিস্টান্ট করতে গেলে রিয়াল উদা লাগবেঃ-))) সোশালিস্ট রিয়েলিজম বনাম আর্ট ফর আর্ট্স সেক শুধু মাত্র এই দ্বন্দ্বে বিংশ শতাম্বির মধ্যভাগের সংস্কৃতি চর্চা সীমাবদ্ধ না।
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 10:09:16 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    এবং আর দুটো জিনিশ খেয়াল করতে হবে। ভিক্টর সার্জের মেমোয়ার যদি পড়েন, দেখবেন ১৯১৭ র আগে কার বলশেভিক পার্টির মধ্যেকার যে নানা আইডিয়ার প্রতিযোগিতামূলক সহাবস্থানের একটা ইতিহাস আছে, এবং সেটা ঊনাবিংশ শতকের সোশালিস্ট আনার্কিস্ট নিহিলিস্ট ট্র্যাডিশন গুলোর কন্টিনিউয়েশন। আরেকটা কথা বুঝতে হবে, সোলঝেনেত্সিন, আখতামোভা, মান্ডেলস্টাম, গ্রোস ম্যান, ইলিয়া এরেনবুর্গ, আর কাদারে, কুন্দেরা, হ্রাবাল দের অ্যান্টি অথরিটারিয়ানিজম টার ফোকাস আলাদা আলাদা। সকলের কল্পনাই বুর্জোয়া গণতন্ত্র ই শ্রেষ্ঠ সমাধান, ইত্যাদি তে পৌচ্ছে না, কীউ কেউ সমাধান এ কনসেন্ট্রেট করছেন ই না। কেউ কেউ নিজের সময়ে বাঁধা পড়ে যাচ্ছেন। হ্রাবাল যেমন অসাধারণ হিউমরিস্ট হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব ইউরোপের ট্র্যাডিশনাল অর্থডক্সি অনুযায়ী অ্যান্তি সেমিটিজম থেকে বেরোতে পারছেন না। তো এই সব নানা দিক আছে। সবটাই ঠিক ১৯৪৫ এর জর্মানি ভাগ থেকে, বার্লিন ওয়াল পতন অব্দি দেওয়ালের এপার ওপারের শিবির বিভাজন না। ফোকাস আলাদা আলাদা, সোলঝেনেত্সিন সবাই কে এম্ব্যারাস করে পুতিন এর মধ্যে মহান রাশিয়া কে দেখতে পাচ্ছেন। পোলিটিকাল তাত্বিক আলোচনায় কালচরাল হিস্টরি না থাকলে বিপদ। মনে রাখবেন, সাংঘাতিক এবং জাস্টিফায়েড ভাবে, সোভিয়েত বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমের ঐতিহাসিক রা ১৯৭৪ থেকেই (১৯৮৯ অব্দি অপেক্ষা না করে), সোভিয়েট স্টাডিজ বিষয়টার নাম বদলে দিয়ে পররাষ্ট্রনীতির নিগড় থেকে বের করে, সোভিয়েত হিস্টরি বলে একটা বিষয় তৈরী করছেন, তাঁদের কাছে এই সত্য প্রতিভাত হচ্ছে, যে ডিকটেটরশিপের মধ্যে সোসাইটি বলে একটা বস্তু থেকে যাচ্ছে, গোটাটাই একসিকিউশন অর্ডারের তালিকা না। এ বিষয়ে শিলা ফিট্জপ্যাট্রিকের লেখা পড়ে দেখতে পারেন। সোভিয়ে প্রসঙ্গে আলোচনা য় আর্কাইভস খোলার পরের আলোচনা গবেষণার ছাপ এখনো না থাকলে মুশকিল।
    Avatar: T
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from T on 15 July 2018 11:00:38 IST 340112.211.0123.194 (*) #



    :)
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 11:05:32 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    ট, ডেথ অফ স্তালিন দেখলি?
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 12:27:45 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    মস্কোতে, ৫০স এর আন্ডারগ্রাউন্ড আরবান কালচার নিয়ে নানা কাজ হয়েছে, উপন্যাস ফর্মে যদি পড়তে চান ওলগা গ্রুশিন এর ড্রিমস অফ মিস্টার সুখানভ পড়তে পারেন, একেবারে অল্পবয়সী ঔপন্যাসিক।
    যেটা বোঝা দরকার অ্যান্টি অথরিটেরিয়ান কালচারের সবটাই ডিসিডেন্ট স্পেক্টাকল হয় নি। আসল প্রতিরোধ আয়রন ওয়ালের ভেতোরে ও ছিল। আর শৈলী বা আঙ্গিক যদি দেখা হয় তাহলে তো বৈচিত্রের পরিধি বাড়বে বই কমবে না
    Avatar: :(
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from :( on 15 July 2018 14:23:20 IST 6745.183.891223.199 (*) #
    বোধিবাবু এক কিলোমিটর দূরের হামিং বার্ডের ছানা দেখতে পান। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হাতির দল, হাতির বাচ্চা আর হাতির লাদির পাহাড় দেখতে পান না এইটা ক্ষুব দুক্ষজনক!

    কথাটা হচ্ছে মার্ক্স সাহেব, এংগেলস সাহেব ও বলশেভিক ফ্যাকশন কান্ডারি লেনিন, ফার্স্ট পলিটবুরো, ট্টটস্কি, স্টালিন, ডিস্টালিনাইজেশনের পরে ক্রুশ্চেভ,ব্রেজনেভ, আন্দ্রোপভ, চেরনেনকো এবং পাশাপাশি মাও ও মাওপরবর্তীরা (আফ্টার দ্য থ, আফ্টার হাংগেরি) এরা কী শিল্প কাকে বলে? শৈল্পিক প্রেষণা কীভাবে আসে? শিল্পীর 'কর্তব্য' (?) কী? রাস্ট্রের শিল্পীর কর্মকান্ডের হস্তক্ষেপ করার রাইট আছে কিনা থাকলে কতদূর? সর্বপরি 'সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজম নামের জিনিসটির চাপিয়ে দেবার নায্যতা ও ওর শিল্পমূল্য কী হতে

    অর্থাৎ ডায়েলেক্টিক্সের মশাল আবিস্কারক ও বাহকরা থিওরাইজেশন ও প্র্যাক্টিস কেমন করেছেন?
    Avatar: π
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from π on 15 July 2018 15:01:57 IST 7845.29.894512.13 (*) #
    দেবাশিস হালদারের পোস্ট।

    ট্রু কলারে যাঁর নাম দেখাচ্চে, দেখে সত্যিই হুব্বা হয়ে গেলাম!

    'অনশনকারী অসুস্থ ডাক্তারি পড়ুয়া আপন সামন্তের বাড়িতে পুলিশ গেল। থ্রেট মারল যে আপনার ছেলে অনশন করছে জানেন? কি হতে পারে জানেন?

    কাকু কাকিমা বললেন জানি, আমার ছেলে ন্যায্য কারণে লড়ছে। প্রয়োজনে আমরাও অনশন করব। তাতে পুলিশ একটা নাম্বার দিয়ে বলে, এই নাম্বারে ফোন করে কথা বলুন, সব জানতে পারবেন।

    তো সেই নাম্বার টা আমরা ট্রু কলার এ দেখলাম এবং হোলি শিট! নাম টা নিজেরাই দেখুন। সক্কলে দেখুন। নোংরামি দেখুন।

    পারলে সব্বাই যাচাই করুন। কতটা নোংরামি চলছে সেটা দেখুন।

    #MCKisFighting
    #ShameOnAuthority
    Avatar: π
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from π on 15 July 2018 15:03:03 IST 7845.29.894512.13 (*) #
    সরি। ভুল জায়গায় পোস্ট।
    Avatar: h :-((
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h :-(( on 15 July 2018 17:28:30 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    গোমড়ামুখো বাবু যেটা ডেলিবারেটলি এড়িয়ে যাচ্ছেন, সোভিয়েত স্টেটের ক্রিমিনালিটি, বিষেশতঃ শিল্প চর্চায় সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর চোখ রাঙানি, অস্বীকর করার কোন জায়্গাই আমার অন্তত নেই। মনেই করি না, প্রগতি প্রকাশনি র বুক লিস্ট বা ডিসিডেন্ট লিটারেচার বুকলিস্ট (স্টেট ক্রাইম এর কথা বলা হচ্ছে না) কোনোটাই রাশিয়ান ইনটেলেকচুয়াল ট্র্যাডিশনের পূর্নাংগ পরিচয় পাওয়া সম্ভব। আমি শুধু এটাই বলছি , সোভিয়েত ইউনিয়নে র সমস্ত সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চাকেই শিবির বিভাজন দিয়ে দেখা মুশকিল। একটু এগিয়ে বলছি, রাশিয়ান রোমান্টিক ন্যাশনালিজম এর ট্র্যাডিশন কে ব অর্লি অ্যান্টি জারিস্ট পজিশন কে , স্তালিন রা যত সহজে কো অপ্ট করছেন, (পাস্তেরনাক কে প্রায় গৃহবন্দী রাখলেও, মেরে ফেলা হচ্ছে না), নতুন আর্বান ইন্টালেকচুয়াল দের কে স্টেট বেশি ভয় পাচ্ছে, ইন ফ্যাক্ট অসিপ মান্ডেলস্টাম হত্যার পরে স্তালিন নাকি বার বার খোঁজ নিতেন এর প্রভাব আর্বান ইন্টেলেকচুয়াল দের মধ্যে কিরকম। বুলগাকভ যে কারণে বেঁচে থাকছেন, মান্ডেলস্টাম হয়তো বেশি থ্রেট হিসেবে সেই কারণেই মারা যাচ্ছেন। আর শিল্পের আঙ্গিক এর প্রয়োজন, তার রাজনৈতিক ব্যবহার, ও পোলিটিকাল এক্সিজেন্সি অনুযায়ী বদলাচ্ছে। যেমন এশিয়ান সোভিয়েত রিপাবলিকে নানা ধরণের অনুবাদ ট্রান্সলেশন হচ্ছে, তাতে স্থানীয় জাতীয়তাবাদ কে প্রশ্রয় না দেওয়া হলেও, লুকোনো মুশকিল হচ্ছে। এবং এটা র সঙ্গে মার্কস এর আর্ট সম্পর্কে পজিশন এর সম্পর্ক খুব ই দুর্বল। এটা ক্রিমিনাল স্টেট এর ব্যাপার। মার্ক্স বা এঙ্গেল্স হিউম্যান ইনটেলেকচুয়াল এন্ডিভর কে দার্শনিক ইনকোয়ারির অ্যাঙ্গল থেকে দেখে কিছুটা থিয়োরাইজ করছেন, কিন্তু কালচার অ্যাজ অ্যান ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন, এই জিনিসের ধারণা অনেক পরে আসছে, তাঁদের এক্সপেরিয়েন্সে এ জিনিস ছিল ই না।
    আর ফাইনালি, রিয়েলিজম এর নিগড় থেকে বেরোতে অন্তত মহৎ সাহিত্য কে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, শুধু সোশালিজম কে তাড়িয়ে বা নিন্দে করে সুবিধা হয় নি।

    পুরোনো বিতর্কের সমস্যা হল, উত্তর ও তো জানা শুধু না, লোকের মেরিট অফ আর্গুমেন্ট না দেখে, লোকের নিক দেখে একটা কিছু বলে দিয়ে লোকে ফুর্তি পান। সুমিত রায় এর প্রবন্ধের যেটা সম্ভাব্য দুর্বলতা সেটাই উল্লেখ করেছিলাম, উদাহরণ এবং সোর্স ব্যবহার করেন নি বেশি। দর্শন্চর্চা সম্পর্কে , মানব সমাজে আর্ট ক করে এলো গোছের থিয়্রাইজেশন থেকে, ক্ষমতার দম্ভের জাস্টিফিকেশন তৈরী করেছিল সোভিয়েত স্টেট, এত কাজের পরেও, এক ই কাজ যদি সমালোচক ওকরেন কিসু বলার থাকে না। তাই আমার পোস্টে সেটাই সাপ্লাই করা হয়েছে। সৃষ্টি প্রসঙ্গের থিয়োরাইজেশন কালচারাল হিস্টরির উদাহরণ ছাড়া সম্ভব না। ক্রিস্টোফার কডওয়েল যাদের মনে আছে, তাতে সুকান্ত বা কাসাব্লাংকা সুলভ মরাল হাই পজিশন কিছু কম নেই, লুকাচ এর লেখা পড়লে মনে হবে সেটা ঐতিহাসিক উপন্যাস সম্পর্কে আপারাতচিক দের মিটিং এর রিজোলিউশন। কিন্তু এঁরা স্টেট ক্রিমিনালিটির অংশ ছিলেন না বলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিংকার হিসেবে সম্মান পেয়েছেন।

    এই জন্যেই টই তে আর তর্ক করতে ভালো লাগে না, মেরিট অফ দ্য আর্গুমেন্ট দেখার অভ্যেস, আর্গুমেন্ট দেওয়ার অভ্যেস সব ই মৃতপ্রায়, নিক দেখে ব্যান্টার চলছে। আস্তে আস্তে ডিকটেটরশিপ অফ দ্য গোমড়ামুখো হবার চান্স, সকলের ই এই নিক গ্রহণ করা উচিত।
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 17:36:52 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    *কালচার অ্যাজ ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন, অথবা ইউজ অফ ক্লাসিসিটি অর কন্টেম্পোরারিটি ইন লিটেরেচার অ্যাজ আ ক্লেইম ফর পোলিটিকাল লেজিটেমিসি এটা বিংশ শতাব্দীর স্টেট প্রোজেক্ট।
    Avatar: :(
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from :( on 15 July 2018 18:01:56 IST 568912.107.45900.233 (*) #
    সরি ফর দ্য প্রিভিয়াস আউটবার্স্ট

    ইনডিভিজুয়ালের পার্সোন্যাল স্পেস আছে এবং সেটা স্যাক্রেড, এবং আর্টিস্টিক জেনেসিসে এই পার্সোন্যাল স্পেসএর একটা বিরাট অবদান আছে।

    এবং এই ক্রিয়েশন প্রসেসকে ডাইলেক্টিক্স, ইকনোমিক্স, বা সাইকোল্যাজিক্যাল কোনো অ। এনকমপ্যাসিং থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অণুচিত । সে যতোই সাইন্টেফিং তকমা লাগাই না কেন। এবং এইজন্যই আর্ট সম্বন্ধে 'হোয়াট ইট ইজ' এই ব্যাখ্যা ও 'হোয়াট ইট শুড বি' এই প্রেস্ক্রিপশন, প্রথম ভুল ও দ্বিতীয়টা আউটরাইট ক্রিমিনালিটি মনে হয়

    এবং এটা আমার মনে হয় লেনিন যদি লুনাচার্সকি প্রোলেকাল্টদের এরকম হতচ্ছেদ্দা না করতেন, তাহলে শুরুতে বাজে উদাহরণগুলো কম হতো। যেগুলো স্টালিন ঢাল হিসেবে দেখিয়েছেন ।

    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 19:00:39 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    মোটামুটি একমত। তবে পোলিটিকাল অপারেটিভ রা এবং সাহিত্যচর্চার কাসাব্লাংকা গণ ( একটু রুড হল, বিরাট মহত আর্টিস্ট দের সম্পর্কে, কিন্তু সময়ে সময়ে এরকম ই মনে হয়েছে) নানা সমস্যা নিজেরাও করেছেন। শুধু এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়েই করেছেন বা বলা যেতে পারে ক্লস্ট্রোফোবিক হিউম্যান কন্ডিশন কে বোঝাতে গিয়ে নানা সমস্যা করেছেন। আমি যেহেতু ডেলিবারেটলি উদাহরণের পক্ষে, কয়েকটা উদাহরণ দি, উইটোল্ড গোম্ব্রো-উইচ, উনি মনেই করতেন না, অ্যাসেকসুয়াল কোন হিউম্যান অ্যাকশন সম্ভব, এটা আমার কাছে অ্যাবসার্ড। ডরিস লেসিং উপন্যাস লিখেছেন, পুরুষ চরিত্র ই নেই, সেই পৃথিবী তে, এই ফেমিনিজম এর কোন অর্থ হয় না। অ্যাআপারথাইডের আমলে কোয়েটজি উপন্যাস লিখছেন, শ্বেতাংগ অধ্যাপক এর একাকিত্ত্ব নিয়ে, যেটা ইতিহাসের সম্পূর্ণ একটা আলাদা সময় কে বেস করেও লেখা যেত, বহুমিল হ্রাবাল, কে ইস্ট ইউরোপিয়ান অথরিটির ক্রিটিক হিসেবে দেখার সময়ে তাঁর অ্যান্টি সেমিটিজম এর জন্য এক লাইন ও থাকবে না, এই আলোচনা পদ্ধতি আসলে পররাষ্ট্র নীতির দ্বারা ইনফর্ম্ড।
    আরালোচক রাও সমস্যা করেন, পুতুল নাচের ইতিকথা ফ্রয়েডিয়, আর উত্তরকালের মানিক মার্ক্সবাদী এবং শুধুই মার্ক্সবাদী এসব বাজে আলোচনা পদ্ধতির কোন মানেই হয় না।
    হ্যাঁ গ্রেট আর্টিস্ট দের নিয়ে আমরা কোথাকার কে, দুটো কথা বললাম তাতে তাঁদের কিসু এসে যায় না, কোন মার্ক্স বাদী তারাশংকরের মত গ্রাম সমাজএর অথেন্টিসিটি করতে পারেন নি, তাই বলে তাঁরা খারাপ লেখক ছিলেন না, শুধু মতাদর্শএর জন্য পারেন নি, তাও নয়, এলেম সকলের সমান হয় না। এই যে শীর্ষেন্দু এত অপছন্দ করি, এক লাইন লিখতে পারবো, যেটা লক্ষ মানুষ পড়বে? আমরা পাকাচো* তাই নানা কথা বলি।

    আরেকটা কথা, স্তালিন এর ডিকটেটরশিপ এর মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয় কিনা আমার সে জায়্গায় সন্দেহ আছে। শস্তাকোভিচ, যিনি সিম্ফনিক মুভমেন্ট এর ধারণা বদলে দিচ্ছেন, এবং ঊনবিংশ শতকের ক্লাসিকাল মিউজিক কে বিংশ শতকের মিউজিক করছেন, তাকে ১৯৩৭ এর পারজের আমলে কাজ করতে দেওয়া টা আর্টিস্টিক অ্যাপ্রিসিয়েশন, না জাস্ট তখনকার আর্বান ইনটেলেকচুয়াল দের একটা অংশ কে হাতে রাখার চেষ্টা কে জানে, কিন্তু শস্তাকোভিচ এর সঙ্গে অন্তত সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর সম্পর্ক ক্ষীণ। বিধাতার মত আচরণ করেছেন, একটা গোটা প্রজন্মকে কে ভোর রাতে কড়া নাড়ার ভয়ে নিমজ্জিত করেছেন। ক্ষমা করাই মুশকিল, অথচ, গোর্কি কে ফেরত আনছেন, বুলগাকভ বাঁচিয়ে রাখছেন, তাঁর আমলেই এশিয়ান সোভিয়েতে নানা ট্রান্সলেশন হচ্ছে, যেটা শুধু মুখে ব্যালাডিক গান ছিল। সত্যি ই বিধাতা, কারন পোলিশ জেনেরাল দের অমান্য করে জুকভ কে মার্শাল করছেন, জিনি অর্ধশিক্ষিত বললে কম বলা হয়, আনুগত্য তৈরী তে মন দিচ্ছেন, কিন্তু যুদ্ধ টা জিতে যাচ্ছেন, এবং নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন। সেই পার্ট টায় চার্চিল এর সঙ্গে মিল পাচ্ছি, ক্যাপিটালিস্ট আমেরিকা রিপাবলিকান রুজভেল্টের নেতৃত্ত্বে প্রোগ্রেসিভ কাজ করছেন, কিন্তু রুজভেল্ট ডেকে ডেকে শস্তাকোভিচ শুনছেন, এরকম কোন এভিডেন্স নেই। ইত্যাদি। ইনি একজন সর্ব অর্থে ডিক্টেটর শুধু নন, সর্ব অর্থে স্বইরাচারি বাঘা ইনটেলেকচুয়াল দের থিয়োরাইজেশনের মুখে তাঁকে টেঁকার জন্য নানা কাজ করতে হয়েছে। অবশ্যই খুন সহ।
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 15 July 2018 19:23:33 IST 230123.142.01900.46 (*) #
    "হোয়ট ইট শুড বি" র তর্ক , উইদাউট দ্য ব্যাকিং অফ স্টেট রিপ্রেশন অনেক মূল্য পেয়েছে, যেটা সব সময়ে ডিজারভিং ছিল কিনা জানি না। কডওয়েল, লুকাচ এর কথা বলেছি। জাঁ ককতো কে কি কেউ স্তালিনিস্ট হিসেবে মনে রেখেছে? কামু কে কি কেউ রেসিস্ট সাম্রাজ্যাবাদের কোলাবরেটর হিসবে মনে রেখেছে, নুট হামসুন কে কি কেউ ফ্যাসিস্ট সিম্প্যাথাইজার হিসেবে মনে রেখেছে? তাঁদের সময়কার আর্টিস্টিক বিতর্কে অমূল্য কন্ট্রিবিউটর হিসেবে মনে রেখেছে। আমার মনে হয় এরা সকলেই ট্র্যাপ্ড ইন টাইম, কমিউস্ট দের বেলায় যেটা হয়েছিল মনে হয়, মোনার্কি বা ক্রিশ্চিয়ান চার্চের বিরাট ক্ষমতা থেকে ক্যাপিটালিজম এর উত্থানের সময়ে ক্ষমতার ভারসাম্যের এমন সব পরিবর্তন দেখছেন, যে নিজেরা সোশাল চেঞ্জ এর বড় প্রোগ্রাম নিয়ে ফেলছেন। জীবনের সব ধরণের এক্সপ্রেশনে নাক গলাতে চাইছেন। ভাবছেন পরের চেঞ্জ আমাদের জীবদ্দশাতে ই আমরা করেই ফেলব। এই করতে গিয়ে ছড়াচ্ছেন। অমাদের লিবেরাল পজিশন অনেকটাই স্টেটাস কুয়ো তে আমরা সুবিধাভোগী বলে, বার্লিন ওয়াল পতন পরবর্তী স্থিতিশীলতার পক্ষে, কিন্তু আমরা কিসুই জানি না, কোথায় কোন ধরণের সাহিত্য মানুষের কথা সত্যি করে বলতে পারবে। আমরা একটু লম্বা করে বোঝার চেষ্টা করতে পারি মাত্র।
    Avatar: কল্লোল
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from কল্লোল on 16 July 2018 08:35:38 IST 342323.191.1223.201 (*) #
    হনু। টইটাকে পাঠযোগ্য করার জন্য, ধন্যবাদ। লেখ, আরো লেখ। ক্ষমতার উল্টোবাগে যে শিল্প ফোটে তা প্রায়শই অন্তসলিল। মজা হলো সোভিয়েতে ক্ষমতা মার্ক্সবাদী, তার উল্টোদিকেও অনেক সময় মার্ক্সবাদী। ফলে কোনটাকে
    Avatar: কল্লোল
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from কল্লোল on 16 July 2018 08:36:56 IST 342323.191.1223.201 (*) #
    মার্ক্সবাদী শিল্প বলবো টসি নিয়ে বুজভূমবুল অবস্থা।
    Avatar: DP
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from DP on 17 July 2018 00:56:46 IST 2345.110.784512.54 (*) #
    h এর বক্তব্যটি কী? আমার হিউমার নিয়ে, নাকি আমার মত নিয়ে? মার্ক্সীয়ান বা অন্য যে কোন অথরিটারিয়ান রেজিমেও আন্ডারগ্রাউন্ড সাহিত্য চলে ঠিকই, কিন্তু রাষ্ট্র সেটাকে সাপ্রেস করতে চায়। আমার আপত্তি এখানে। শীল্পের উদ্দেশ্য রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারেনা, বা তা কেমন হওয়া উচিত সেটাও রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারেনা। কেন শীল্পীর সৃষ্টি সাবস্ট্যান্ডার্ড বা ট্র্যাশ কিনা সেটাও ভীষণই আপেক্ষিক। আমি আমাজনে দেখেছি লোকজন মেটামরফোসিসকে বোরিং, আজগুবি ইত্যাদী বলছে, অ্যানিম্যাল ফার্মকে বাচ্চাদের গল্প বলছে! বিষয় হল একজন ইন্ডিভিজুয়ালের ট্র্যাশ সৃষ্টির স্বাধীনতা আছে, আনার একজন ইন্ডিভিজুয়াল হিসেবে পাঠকের তাকে রিজেক্ট করারও স্বাধীনতা আছে। আর সর্বেপরি ইন্ডিভিজুয়ালের স্বাধীনতা সর্বাধীক হলে তবেই উৎকর্ষের সৃষ্টি হয়। কোনও অথরিটারিয়ান রেজিমে কী মেনস্ট্রিমে একটাও পিস অব এক্সেলেন্স তৈরী হয়েছে?
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 17 July 2018 16:35:58 IST 340123.99.121223.133 (*) #
    ডিপি (17 July 2018 00:56:46 IST 2345.110.784512.54 (*) র পোস্ট নিয়ে আমার বক্তব্য যা সন্দেহ করা গেছে ঠিক তাই ঃ-))))

    - হিউমর টা অসাধারণ। মানে সত্যি। খুব ই ভালো লেগেছে।
    - মূল বক্তব্য সুমিতের প্রবন্ধটা নিয়ে, আমার ওনার লেখা পূর্ণাংগ প্রবন্ধ ভালো ই লাগে, এই এখানেই যা পড়েছি, তবে এই লেখাটা তে কোন উদা/সোর্স কিসু না থাকায়, বিংশ শতকের মাঝের দশক গুলোয়, ধরা যাক ১৯১৭-১৯৪৫, এবং ১৯৪৫-১৯৮৯ এই সময়টায়, রাশিয়া সহ, পূর্ব ইউরোপে সাহিত্য চর্চায়, সোশালিস্ট রিয়ালিজম বনাম রেস্ট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড গোছের একটা মারামারি হচ্ছে। দমবন্ধ কর পরিস্থিতিতে আনফরচুনেটলি সেটা হচ্ছে না। আমি যুদ্ধের আগের(শস্তাকোভিচ/পাসতেরনাক)/যুদ্ধের সময়কার অল্প পরে (বুলগাকভ) উদা দিয়েছি। যুদ্ধের অনেক টা পরের উদাও দিতে পারি প্রয়জনে। ভাসিলি গ্রোসম্যান, এঁর নাজি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প সম্পর্কিত রিপোর্ট, ইলিয়া এহ্রেনবুর্গের সঙ্গে লেখা ব্ল্যাকবুক ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ব্যবহৃত হচ্ছে, এর লেখা সম্পূর্ণ সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর আঙ্গিকে বাঁধা। এবং ইনি সোভিয়ে দেশপ্রেমী, ইহুদী ইনটেলেকচুয়াল, কিন্তু রাষ্ট্রের ইনটারনাল পলিসির তীব্র বিরোধী। পার্সোনালিটি হিসেবে দেখলে স্তালিন এবং ট্রটস্কি বিরোধী। লাইফ অ্যান্ড ফেট , এভর্থিং ফ্লোজ পড়ে দেখতে পারেন। অতএব, ক্লিয়ার করেই বলছি, সোশালিস্ট রিয়ালিজম মানেই, আপারতচিক শিল্প , রাষ্ট্রের প্যারাসাইট হেঁহেঁ বাদী শিলপ, তা না।
    এরেনবুর্গ আরেকটু বেশি কলপনা র ব্যবহার করেছেন। ওয়েস্টে বা সো কল্ড তৃতীয় বিশ্বে, রিয়ালিজম এর নিগড় থেকে বেরোনো কম কঠিন ছিল না। সুমিত শুনলে খুশি হবেন, এই একই ধরণের তাড়াহুড়ো করেছিলেন, জোর্জ স্টাইনার, লাইফ অ্যান্ড ফেটের ভূমিকা লেখার সময়ে, সম্ভবত ম্যানাসক্রিপ্ট হাতে আসার পরে পরেই ছাপার তাড়ায় বা বার্লিন ওয়াল পতনের খুশি তে। সোশালিস্ট রিয়েলিজম কে ডিকটেটরের আঙ্গিক ধরে নিন্দে করে গ্রোসম্যান কে উচ্ছসিত হওয়া প্রায়, চর্বি কে খারাপ বলে আমাকে ভালো সিন্ধুঘোটক বলার মত বিচিত্র ;-)

    আবার কয়েকটা উদাহরণ দি। জে জি বালার্ড দের মত কালজয়ী সায়েন্স ফিকশন রাইটার রা না এলে (ইনি এম্পায়ার/টোরি পন্থী, রাজনৈতিক ভাবে আমার প্রিয় নন) ব্রিটিশ ফিকশনে রিয়ালিজম কাটতো কিনা বলা মুশকিল। কবিতা যেখানে ডিলান থমাস পাচ্ছে, সেখানে গদ্যের তিরিশ থেকে ৬০ এর দশকের মধ্যে, দার্শনিক ফিকশন , লাইট রিডিং, নইলে পপুলার থ্রিলার এসব চলছে।
    আমাদের দেশে ইংরেজিতে মুলকা রাজ আনন্দ থেকে একেবারে রোহিনতন মিস্ট্রি পর্যন্ত টানা কড়া রিয়েলিজম এ ভরতী। দেশীয় ভাষায় তাও এটা ওটা হচ্ছে (ইউ আর অনন্থমুর্থি/মনোজ দাস)। ও বি ভিজয়ন (খসক টেল্স) আর রাশদি উজ্জ্বলের থেকেও উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
    রোহিন মিস্ত্রী প্রায় ডিকেনসিয়ান রিয়ালিস্ট, কিন্তু ফাইন ব্যালান্স এর মত ভালো ইমারজেন্সীর বা রাষ্ট্রের ক্রিটিক কোন ভাষাতেই হয়েছে কিনা সন্দেহ আমাদের দেশে।

    আরব লিটারেচার, শুধু নাগিব মেহফোজ এর মত রিয়ালিস্ট কিসু লিখবো না, বলে একদল লেখক তৈরী হচ্ছে , তায়েব সালিহ (সিজন অফ ইমিগ্রেশন টু নর্থ , একটা আফ্রিকান লোকের সেকসুয়াল এক্সপ্লয়েটস), এলিয়াস খৌরী (গেট অফ দ্য সান, পুরোটাই একজন কোমাটোজ বিপ্লবীর সঙ্গে এক মেল নার্স এর বিলাপ), আলা আল আসওয়ানি (ইয়াকুবিয়ান বিল্ডিং, কমেডি জিনিয়াস একটা বিল্ডিং এর বিচিত্র সব প্রতিবেশী র অনসম্বল)

    এই আসপেকট গুলো সুমিতের প্রবন্ধে আসে নি, যেটা ওনার প্রবন্ধে নর্মালি আশা করা যায়। পরে দেখলাম, পরে রেফার করার জন্য নোট মাত্র এটা, পূর্ণাংগ প্রবন্ধ না, এগুলো এলে , একেবারে উদাহীন থিয়োরী হওয়ায়, নতুন নিক 'এঃ কচকচি' বলে নিন্দে পেলেন না বটে, তবে প্যাঁক খেলেন, এসব উদা এলে, আপনার খাটনি একটু বাড়তো আর কিসু না।
    এমনি বক্তব্য তো ওভারল ঠিক ই কাকস্য পরিবেদনা ইত্যাদি ঃ-)
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 17 July 2018 16:48:19 IST 340123.99.121223.133 (*) #
    *গ্রোসম্যান কে নিয়ে
    * *একটাও পিস অফ এক্সেলেন্স ......- গ্যাছে, প্রচুর উদা আছে, একটাই দি। বহুমিল হ্রাবাল ক্লোজলি ওয়াচ্ড ট্রেন এ চেক রেজিসটান্সের কথা লিখে চেকোস্লোভাকিয়া র জাতীয় পুরস্কার ও পেয়েগেছিলেন সম্ভবত, তার পরেই লোকে ওনার আসল আনডারগ্রাউন্ড প্রকাশ গুলোর কথা জানতে পেরে যায়, তার পরে উনি ও আরো অ্যাসারবিক হয়ে ওঠেন, পাবলিশ করতে ব্যর্থ হন, ম্যানাসক্রিপট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কিছু স্মাগল করা গেছিল। অথচ দুটো পর্যায়েই দুর্দান্ত লেখক, প্রববলি, যারোস্লাভ হাসেকের একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরী, এবং কুন্দেরার মত অকারণ কায়দা ও নেই। এগুলো খেয়াল করে দেখতে পারেন।
    একটা শৈলীর সঙ্গে একটা রেজিমের এর সম্পর্ক একটা হিস্টরিকাল কো ইনসিডেন্স, শৈলী নিজে ক্রিমিনাল না, এবং তার সঙ্গে স্টেট পলিসির সঙ্গে সম্পর্ক কম। জোর্জ অরওয়েল এর একটা মেমোয়ার আছে, ১৯৩৬ এর সিভিল ওয়ারের সময়কার বারসিলোনা, সেখানে কমিউনিস্ট, ওয়ার্কার্স কালচার, আনার্কিস্ট দের এত দাপট অ্যাপারেন্টলি, মহিলারা দামী কোট লুকিয়ে রাখতেন, পুরুষেরা ওয়ার্কার্স ওভারল পরে ঘুরে বেড়াতেন, অরওয়েল এর খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা কে মেকি পনা মনে হয়েছিল। কিন্তু দুটো ইসু, এই সিটি বেসড ন্যাশনালিজম এর সমর্থক লোরকা খুন হয়েছিলেন, হুয়ান মিরো সারা শহর জুড়ে মুরাল করেছিলেন, কাউকেই ঠিক রাশিয়ান সোভিয়ে প্রভাবিত সোশালিস্ট রিয়ালিস্ট বলা যাচ্ছে না, অথব কডওয়েল এক ই সময়ের বাচ্চা ইনটারন্যাশনাল ব্রিগেডের ভলান্টিয়ার, তিনি বেশ রক্ষনশীল ভূমিকা নিচ্ছেন, তত্ত্বালোচনায়, অথচ কমপ্লিট অটো ডাইডাক্ট, আকাদেমিয়ার প্রোডাক্ট না। এই আমলেই নিজেকে তৈরী করছেন ইপি থমসন, ম্যাসিডোনিয়ায় রেজিস্টান্স ও লড়েছেন, যিনি সংস্কৃতির থিয়োরাইজেশন করছেন, মার্কস বাদ কে এনরিচ করছেন, লেজেন্ডারি কাজ আছে। র‌্যাডিকাল থিয়োরি সিরিজ পড়তে পারেন।
    আমার বক্ত ছিল , থিয়োরাইজ তো অবশ্যই করবেন, আপনি, আমি সুমিত সকলেই করব, কিন্তু ফিল্ড কম্প্লেকসিটি একেবারে কমিয়ে নিলে থিয়োরি হবে, কিসের থিয়োরি হবে সেটা কারো খ্যাল থাকবে না।

    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 17 July 2018 17:25:29 IST 340123.99.121223.133 (*) #

    অবশ্যই কোন ভাবে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন মানা যায় না। নানা উদা দিতে গিয়ে আবার একটা থিয়োরাইজ করতে ভুলে গেছি ঃ-))

    টলস্টয় প্রিন্স কাউন্ট বা মার্শাল কসাক দের নিয়ে লিখছেন, কিন্তু দস্তয়েভস্কি, তুগেনেভ, চেকভ সেটার থেকে সরে আসছেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে হলেও।

    এটা পোলিটিকাল সিস্টেমের ইভোলিউশনের সঙ্গে জড়িত। চেকভ যে মধ্যবিত্ত কনসার্ন গুলো নিয়ে মিষ্টি গল্প গুলো লিখছেন, সেগুলো জনপ্রিয়তায় তো ফাটিয়ে দিচ্ছে, সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর (প্রগতি প্রকাশনার লিস্ট অনুযায়ী) আমরা প্রথম পড়ছি গোর্কি। এটা সাহিত্যের ডেমোক্রাটাইজেশনের প্রসেস। মলিয়ের বোদলেয়ার ম্বা বালজাক কি হুগো তো হোমার পড়েছেন, লিখছেন, তো সমসাময়িক সাধারণ মানুষ দের নিয়ে, তার মধ্যে ভালো ফ্যামিলির ইনটেলেকচুয়াল রাও আছেন, কিন্তু দেশ বাঁচানো কাল বাঁচানো তো তাদের চরিত্র দের কনসার্ন না। অতএব একটি গিয়ে এও বলা যেতে পারে, বলশেভিক রিভোলিউশন না হলেও, হয়তো শিল্পের এজেন্সীর এই পরিবর্তন কনজামপশন প্যাটার্ন সহ বদলাতো , এভরিথিং এল্সে রিমেনিং সেমঃ-)

    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 17 July 2018 19:06:15 IST 340123.99.121223.133 (*) #
    একটা পয়েন বলা যেতেই পারে, যেখানে কমিউনিস্ট রেজিম আসে নি, সেখানে, এই শিল্পের এজেন্সীর বিতর্ক (ট্রানজিশন না একেবারে তেড়ে ফুড়ে বিতর্ক) এসেছে কিনা, আমাদের দেশেই তো এসেছে। পরিচয় পত্রিকার বিতর্ক। ট্রানজিশন প্রেমেন্দ্র মিত্র , অচিন্ত্য সেনগুপ্ত দের হাত ধরে তো হচ্ছিল ই , কিন্তু প্রপার বিতর্ক হচ্ছে, মাণিক বাবু পার্টিসিপেট করছেন তো পরিচয় এ।
    একটা কথা বোঝা দরকার, আর্বান বা গ্রামীন সাধারণ মানুষের রিয়ালিটির শুধু প্রতিনিধিত্ত্বমূলক আসা না, একেবারে তাদের বিষয় টাই মূল বিষয় হয়ে উঠবে এটা অনেকেই বলছিলেন, কিন্তু শিল্পী রাজনৈতিক মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, শুধু এরকম ই লিখবেন, নইলে ৪৬ নং ধর্মতলা স্ট্রীটে তিনি জায়গা পাবেন কিনা বলা যাচ্ছে না, এই উত্তেজনা পূর্ণ শিবির দ্বন্দ্ব এই সব বিতর্ক কেন্দ্র করেই হচ্ছে, ১৯৭১ এ নতুন বিভাজন শুরু হচ্ছে, লিবারেশন ওয়ার এর বাংআলি জাতীয়তবাদী অবস্থান এর সঙ্গে, দেশের রাষ্ট্রের ক্রিটিকের ট্র্যাডিশন এর একটা অবস্থানগত সংঘর্ষ আসছে। একে ধরেই আস্তে আস্তে সামাজিক/সাধারণ বনাম রাজনৈতিক/দূরগত/বেশি নিরীক্ষামূলক/তত সাধারণ না ইত্যাদির একটা বিভাজন আসছে, অন্তত কথা সাহিত্যের শৈলী তে। এবং আশ্চর্য্যের বিষয় হল, আঙ্গিকের নিরীক্ষা/ভাষার নিরীক্ষা/জেন্ডার ভয়েসের নিরীক্ষা সারা পৃথিবীর উলটো দিকে হেঁটে, আমাদের বাংলায়, শিবিরের প্রশ্নে, রাজনৈতিক মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত সামাজিক দায়বদ্ধতা ভিত্তিক কাজের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছে না। এসব কথা আমার নানা মহান পোবোন্ধে, যেগুলো আমার বেড়াল ছানা ছাড়া কেউ পড়ে নি, তাতে আছে, তারা এসব পড়ে হুলো হয়েছে, আপনারাও হবেন ঃ-)))))
    এবং এইটা পস্চিমের রিয়ালিজম/সোশালিস্ট রিয়ালিজম/পোলিল্টিকাল ফিকশন ইত্যাদি বনাম মহত শিল্প ইত্যাদির বিতর্কের তুলনায় আমাদের এখানকার বিতর্ক টা অন্য রকম।
    বয়স হয়েছে বলে এক ই কথা কানে ময়লা না জমা অব্দি বার বার বলি, মাইন্ড করবেন না।
    Avatar: ।
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from । on 17 July 2018 22:25:13 IST 342323.191.3423.234 (*) #

    Avatar: Sumit Roy
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from Sumit Roy on 21 July 2018 11:59:35 IST 340112.244.3412.59 (*) #
    h, ব্যস্ততার জন্য এখানে এর মধ্যে আসতে পারিনি। ব্যস্ততা অবশ্য এখনও যায় নি। আপনার কিছু কমেন্ট পড়েছি, যেগুলো আমাকে সমৃদ্ধই করেছে। আপনি এখানে একটা কথা বলেছেন, "স্তালিন এর ডিকটেটরশিপ এর মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয় কিনা আমার সে জায়্গায় সন্দেহ আছে।" হ্যাঁ মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয়না ভেবেই আমি স্ট্যালিন সহ সোভিয়েত ইতিহাস নিয়ে আমি এখানে লিখতে চাইনি। তবে আপনি যখন শুরু করছেন তখন চেষ্টা করব কিছু বলতে, কিন্তু এই ব্যাস্ততার মধ্যে সেদিকে যেতেও আমার সময় লাগবে। অন্যেরা যারা মন্তব্য করেছেন, তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।
    Avatar: h
    Re: মার্কসীয় চোখে শিল্প
    Comment from h on 21 July 2018 12:06:29 IST 232312.160.3456.157 (*) #
    মন্তব্য গুলি লক্ষ্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার একটা নোট বাঁচিয়ে রাখার টই তে আমি অনেক পাকা পাকা কথা বলে ফেলেছি মাপ কারবেন। মোদ্দা বক্তব্য হল, আমরা আপনার কাছ থেকে সাধারণত পূর্ণাংগ প্রবন্ধ পেতে অভ্যস্ত, আপনি এই বিষয়েও সেই কাজটি করে ফেলুনঃ-)) পরম করুণাময় আশীর্বাদ করবেন, এবং শ্রীমতি পাই এবং পাঠক বর্গ কৃতজ্ঞ থাকবেন।
  • Atoz | ***:*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৪৫383225
  • ওরে বাবা!!!!! এ খুবই ভালো টই। ঃ-)
  • মমতা বোজো ইত্যাদি | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৭383226
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.454512.198 (*) Date:13 Sep 2019 -- 03:49 PM

    মমতা যে ইম্পর্টান্ট এবং হিস্টরিকালি ইম্পর্টান্ট, (প্রশাসনিক ইতিহাস এর স্কোপে) এটা মানতে অসুবিধে কোথায়? মমতা বিরোধী রাও তো মনে করেন মমতা ইম্পর্টান্ট। এটা অস্বীকার করা বালির মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা। এখন মমতা মমতার মত ইম্পর্টান্ট, পাঁচটা প্রধান মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মত ইম্পর্টান্ট, ক্লিয়ারলি তাঁর সঙ্গে গুরুত্ত্বে বৃন্দা কারাতের তুলনা করা উচিত ই না। বৃন্দা কারাত ইম্পর্টান্ট, কিন্তু ক্লিয়ারলি একটা মুখ্যমন্ত্রীর মত ইম্পর্টান্ট না।

    মায়াবতী দের গুরুত্ত্ব ও তাই। বেশি কম কিসু না।

    একটা জিনিশ বোঝা দরকার, এমন একটা সময় জুড়ে লার্জার দ্যান লাইফ অপোজিশন ফিগার দের, মুখ্যমন্ত্রী রা এরেনা তে আসছেন, যখন পর পর এক দেড় বার ছাড়া ভারতীয় জনগণ সুশাসন বলতে কেন্দ্রায়িত প্রশাসন চেয়েছে, ফেডেরালিজম এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে লোক সভায়, এবং আসলে "'ইম্প্লিমেন্টেশন'-ই-সব, -নীতিগত-বিতর্ক-কিসুই-নাই" , এরকম একটা সময়ে এই ধরণের রাজনৈতিক চরিত্র গুরুত্ত্ব পূর্ণ হয়েছে যেখানে মনে করা হয়েছে কর্পোরেট স্টালিনের সিংগল অর্ডার অফ কম্যান্ড থাকলে ভীষণ কাজে গতি আসবে। গণতন্ত্র যে একটা চর্চার ব্যাপার সেটা অস্বীকার করা হয়েছে।

    তো এই সময়টায় যেটা পারসিভড উইসডম, মমতা তার প্রতিফলন মাত্র। তার উপরে বলা যেতে পারে, তিনি জবলেস গ্রোথ যে সব পলিসিতে হয়েছে, রাজনৈতিক পদ্ধতির বাইরে রয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন, এরকম নাগরিক লোকের সঙ্খ্যা যে আমালে বেড়েছে, সে আমলেই মমতার উত্থান হয়েছে।

    এটা খুব ই ইন্টারেস্টিং বিষয়, এতে খাবলা খাবলি র কি হল বুঝলাম না।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.895612.214 (*) Date:13 Sep 2019 -- 05:02 PM

    বরিস জনসন একদম আলাদা গোত্রের, এবং ট্রামপ ও।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.455612.192 (*) Date:13 Sep 2019 -- 04:44 PM

    এটা মানিক খাঁটি কথা বলেছেন, যাঁদের মূল দাবি তাঁদের ব‍্যক্তিত্ব বা ব‍্যক্তিগত সততা তাতে এই ধরনের আলোচনা হবে। কিন্তু আমার মনে হয় দাবি সত্ত্বেও ঐতিহাসিক প্রসেস যেট কনটেম্পোরারী , সেটা আলোচনা একেবারেই না হলে বড্ড চর্বিত চর্বন হয়, এবং ট্রোল ছাড়া কার ও উপকার হয় না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.454512.186 (*) Date:13 Sep 2019 -- 06:40 PM

    আসলে লোকশিক্ষের ব্যাপারে আমি নাই, আমার সেরকম কোন যোগ্যতা নাই। রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যা সংগ্রহ চালু করেছিলেন, অনেকেই চটি বা রিয়েলি ব্রিফ ইন্ট্রোডাকশন ইত্যাদি করেন নানা বিষয়ে। কিন্তু আমার বক্তব্য খুব স্পেসিফিকালি হল, ক্ষমতা র চর্চা আর জ্ঞানচর্চা না হলেও সচেতনতার চর্চা এগুলির একটু ডিলিনিয়েশন দরকার আছে। এবং এই ডিলিয়েনেশন টাই নাগরিক রাজনীতিবিদ কে আলাদা করে বা করার কথা। এবং ইন্ক্রিসিংঅলি যেহেতু ক্ষমতা র গল্পে মেডিয়া গভীর ভাবে সম্পৃক্ত, ডীপ-লি এন্সকন্সড যাকে বলে, সেহেতু মেডিয়ার (হার্ড নিউজ) আলোচনার ধারার সঙ্গে ক্ষমতায় অনাগ্রহী সচেতন নাগরিকের আলোচনার কয়েকটা ফান্ডামেন্টাল পার্থক্য থাকা দরকার।

    এবং সাধারণ ভাবে পাবলিক ডোমেইন এ রাজনীতি কে যে শুধুই ক্ষমতার শুধু না ক্ষমতাশালীর নাট্যমঞ্চ হিসেবে দেখা হয় (আজকাল অপটিকস) সেটা র থেকে ডিসটিনগুইশ করা যায় ঐতিহাসিক প্রসেস গুলো কে আলোচনায় আনলে। এটুকুই বলার।

    দেখুন মমতা একজন টিপিকাল পোস্ট কলোনিয়াল ভারতীয় রাজনীতিবিদ, কিন্তু তাঁর কিছু যোগ্যতা আছে, মোদী একজন প্রশিক্ষিত বিদ্বেষবাদী কিন্তু দুজনের ই একটা ছোটো থেকে রাজনীতির মধ্যে থেকে কাজ কর্ম করে উঠতে হয়েছে, শুধুই ফ্যামিলি বা বার্থ বেচে করে খাচ্ছেন না।

    বরিস জনসন ইটন ছাড়া কোন যোগ্যতা নেই, সম্পূর্ণ স্বার্থান্বেষী এবং ফ্র্যাংকলি সম্পূর্ণ যোগ্যতাহীন। ট্রাম্প যদিও প্রচুর বারফাট্টাই করেন এবং ঢপ দেন ওনার কট টাকা আছে এই ব্যাপারে, প্রচুর গুপি মূলক ব্যাংকরাপ্টসি ফাইলিং করেছেন, কিন্তু স্টিল কিছু করতে হয়েছে এবং গ্লোবালাইজেশন এর ফেলিয়োর কে অ্যাড্রেস করে, একটা প্রাইমারি র মধ্যে দিয়ে ইলেকশনে জিতে রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন, যতই অয়্ভোরান্ট দিক থাকুক না কেন, কিন্তু বরিস শুধুই ফেমাস ফর বি ইং ফেমাস একজন আপাদমস্তক ক্ষমতলোভী হুইলার ডিলার গোছের লোক যাকে বিচিত্র ব্রিটিশ ক্লাস সিস্টেম মান্যতা দিয়েছে , জাস্ট বিকজ হি ইজ ফ্রম দ্য ক্লাস অফ গভরনান্স।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.454512.198 (*) Date:13 Sep 2019 -- 08:47 PM

    টোরি পার্টির এম পি হতে অ্যাবসোলিউটলি কোনো যোগ্যতা লাগে না, একটা সেফ কনজারভেটিভ সাউথ ইংল্যান্ড সিট পাওয়া টা র জন্য শুধু পাবলিক স্কুল কানেকশন লাগে। একটা কথা বুঝতে হবে, টোরি পার্টির নিজের মতেই তাদের "ভালো" লিডার নেই থ্যাচার এর পর থেকে। থ্যাচারের পর থেকে দুটো জিনিশ হয়েছিল, নর্থে টোরি ফিনিশ্ড হয়ে গেছিলো, সেটা এই ব্লেয়ার দের ধাষ্টামোর পরে ক্যামেরন ফিরে পেয়েছে একটু। আর থ্যাচার যেরকম নির্লজ্জ ভাবে দুস্থ, অশক্ত , রাষ্ট্রের উপরে নিরভরশীল মানুষ কে ব্যংগ করতেন এবং যেরকম ভাবে ম্যানুফ্যাকচারিং তুলে দিয়েছিলেন তার চাপে পরে ক্যামেরন দের কে প্রিভিলেজ কে ডিফেন্ড করতেও পরিশ্রম করতে হয়। ক্যামেরন রেগুলার হুড পরে ব্ল্যাক নেবারহুডে যাবার চেষ্টা করেছিল কিছুদিন।
    ব্লেয়ার এবং ক্যামেরন এর মধ্যে অ্যাবসোলিউটলি কোন পার্থক্য ছিল না। শুধু ওয়েলফেয়ার স্টেট এর বারোটা বাজানোতে ব্লেয়ার এর অসমাপ্ত করতে চেয়েছিলেন ক্যামেরন। ব্রেকসিট কেসে সময়ে কেটে পড়লেন এই তো সব লিডার। বরিস জনসন ব্রেক্সিট কে সমর্থন করেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যার ভিত্তিতে, এস এম দা ছাড়া কেউ বিশ্বাস করে না ওনাকে, কিন্তু ঐ আর কি পার্টি অফ গভরনান্স এর ক্লাস অফ গভরন্মেন্ট আর লিডারশিপ এর লোক, তার ব্যাপারে লোকের মাপকাঠি আলাদা, যে মাপ কাঠিতে এখনো রাজা রানী থাকে ঃ-)))



    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.674512.61 (*) Date:13 Sep 2019 -- 08:54 PM

    মেয়র হিসেবে ইনার লন্ডন এ যেখানে অলরেডি, কনজেশন চার্জের কারণে কেন লিভিংস্টোনের আমলে সেই প্রোজেক্ট ডিপ্লয় হয়, বাস লেন ও তৈরী হয়, সেখানে বরিস এসে সাইকল চালু করে নিউ ইয়র্কেও এক ই সময় এই কাজ হয়। এই মোটামুটি কন্ট্রিবিউশন আর অসংখ্য বোকা বোকা ইনটারভিউ আর হাস্যরস। উনি কেন লিডার হতে চান এই প্রশ্ন ওকে বার বার করে দেখা গেছে পার্সোনাল অ্যাম্বিশন ছাড়া কনভিকশন বিশেষ কিছু নেই।

    এঅ ব্রেক্সিট করলো তো, রিসেন্ট ভিডিও দেখো, ট্রাম্পের সঙ্গে অলহা মেল এর প্রতিযোগিতায়, ট্রাম্পকে করা প্রশ্নের উত্তর নিজে দিতে গিয়ে বলছে, উই লাভ ওয়ার্ল্ড ট্রেড, ব্যারিয়ারলেস ট্রেড বা এরকম কিছু, ট্রাম্প ন্যাফটা ইত্যাদির বিরোধিতা করছিল তখন।

    এতই যদি ট্রেড ভালো লাগে, তাহলে নো ডিল ব্রেকসিট করার জন্য ছলনার আশ্রয় নিল কেন। যত আজে বাজে মাল। বল্লম তো, মুখে মার্বল নিয়ে ইংরেজি বলা ছাড়া কিসু নাই।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.69.563412.165 (*) Date:13 Sep 2019 -- 10:09 PM



    লন্ডন একটা সিট নয় গো। এম পি সিট অনেক। গ্রেটার লন্ডন কাউন্সিল, বিরাট শহরাঞ্চল। এবং সেগমেন্টেশন টা মোটামুটি এরকম

    ওয়েস্ট লন্ডন আর সাউথ ওয়েস্ট লন্ডন বেশিটা টোরি, কিছু গেছে লিব ডেম এ। ওয়েস্ট লন্ডনে চেলসি আর কেন্সিংটন পড়ে। ওখানে লেবার এক বারের বেশি জিতেছে বলে মনে হয় না। সাউথ ইস্টে সারে আর কেন্ট বর্ডার অন্য দিকে সাউথ ওয়েস্ট বর্ডার যেটা সেটা মোটামুটি টোরি।
    টার্ন ব্রিজ ওয়েল্স বলে যে ক্রিকেট গ্রাউন্ড ছিল ওদিকে ছিল, ডোভার যাবার রাস্তা, ইউরো রেল ও ওদিক দিয়েই গেছে।

    আক্সব্রিজ আর সাউথ রুইজিলিপ হল নর্থ ঊয়েস্ট। ইলিং আর হিথরো অ`ঞ্চল টা টা লেবার ছিল আগে, এখন্ভারতীয় বংশোদ্ভুত দের মূলত টোরি, মুসলমান আর কালো দের সঙ্গে সমস্যা। সাউথ হল ব্ল্যাক সিস্টার্স বলে যে তোমার সেভেন্টিজ এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কালো আর ইস্ট আফ্রিকার তাড়া খাওয়া ভারতীয়দের একটা সিস্টারহুড ছিল তার দিন শেষ।

    নর্থ লন্ডন টা আর ইস্ট লন্ডন টা আগে এন্টায়ারলি লেবার ছিল, পরে রেসপেক্ট হয়েছিল, পরে আবার লেবার এ ফিরেছে। ইসলিংটন এর এম পি দীর্ঘদিন ধরে জেরেমি কোরবিন। ডেভিড ল্যামি হল আর্সেনাল, গ্রীন পার্ক ওদিকটা র এম্পি। হাইগেট টা জিউইশ ইনটেলেকচুয়াল দের জায়গা ছিল, কিন্তু ইসলামো ফোবিআর কারণে টোরি হয়েছে, তোমার জ্যাক গোল্ডস্মিথ ঐ অঞ্চলের, যে সাদিক খানের কাছে হেরে গেল।

    দুটো স্পট আছে একটা হল এসেক্স বর্ডার, ওখানটা রাইট উইং হয়েছে। আরেকটা হল এপিং, আর মিলওয়াল এগুলো, একটু এই তোমার ব্রেক্সিট পন্থী। মানে আল্ট্রা । ইডিএল ইত্যাদি দের বাসা।

    সাউথ লন্ডন টা একটু মিক্সড। মুলত কালো দের পাড়া যখন ছিল, তখন লেবার দের সিট থাকতো, এখানে সি এল আর জেম্স থাকতেন। চার্লি চ্যাপলিন এর জন্ম এখানে। গরীব পাড়া ছিল। কিন্তু তোমার সাউথ অফ রিভার এ তোমার বাড়ি ভাড়া একটু কম বলে ইয়াং প্রফেসনাল রা থাকতে থাকতে এখন হেবি জেন্ট্রিফিকেশন হয়ে গেছে, তাই টোরি সিট কিছু বেড়েছে।

    এনি ওয়ে, ট্রাম্প কে ভালো বলা র কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমি বলছি, আমেরিকার নিজের ব্রোকেন সিস্টেম এও ট্রাম্প কে মিনিমাম যোগ্যতার প্রমাণ কিছু দিতে হয়েছে, অন্তত রিয়েল এস্টেট কিছু বেচতে হয়েছে, বরিস জনসন কে কিছুই করতে হয় নি, ভীষণ নেতা গোছের ভাব করে ইংরেজি বলা ছাড়া। তাদের বোঝানো হয়েছে, তারা লিডার অফ মেন হবার জন্য তৈরী, অনেক টা সিভিলিয়ান স্যান্ডহার্স্ট, ইটোন পুরো পুরি কলোনিয়াল ইনস্টিটিউশন।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 237812.68.454512.84 (*) Date:13 Sep 2019 -- 10:11 PM

    বরিস জনসন আক্স ব্রিজ ইত্যাদি র থেকে এম পি ছিল। ওয়েস্ট লন্ডন বিয়ন্ড হ্যামারস্মিথ আর অ্যাকটন টাউন।



    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.565612.235 (*) Date:13 Sep 2019 -- 10:29 PM

    ও রবিন কুক এর বক্তৃতা বলতে ভুলে গেছি, টোনি ব্লেয়ার যে মিথ্যা ৪৫ মিনিট ক্লেম করে ছিল, তার বিরুদ্ধে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে অথচ ও তখন ক‍্যাবিনেটে। অসা বক্তৃতা , ভোলার না।

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.565612.235 (*) Date:13 Sep 2019 -- 10:31 PM

    কথা বলতে ইচ্ছে না করলে না বলা ই ভালো, হিটলার ইত্যাদি কথার কোন অর্থ হয়না।
  • χ | ***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩৫383227
  • name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.782323.55 (*) Date:21 Sep 2019 -- 04:50 AM



    একজন মন্ত্রী তিনি একটা প্রাইভেট অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে আসবেন, তাঁকে চাট্টি কালো পতাকা দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেয়েদের টন্ট করবেন, ভিসি কে বলবেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলে তাঁর আপনি আজ্ঞে করা উচিত, পেছন থেকে রাজ্য পাল, হেলমেট ধারী লাঠি হাতে লোকজন চলে আসবে, এটা আগে থেকে বুঝতে না পারাটা ব্লান্ডার। এর বিকল্প কি, টিভিতে আহ্বান পাবার অপেক্ষা করে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসা? মানে বলতে পেলে? আর তার পরে অপেক্ষা করা সেটা দেখাবে কিনা? অথবা যে কোনো বক্তব্যেই শঙ্খ বাবুর সই য়ের জন্য অপেক্ষা করা? মানে একবিংশ শতকীয় মেথড বলতে কৌশিক সেন কি বলতে চান সেটা আমার কাছে ক্লিয়ার না। তিনি লোক ভালো, ক্লিয়ার করে দিলে আমাদের কথা না, ছেলে মেয়েরাই শুনবে , না শোনার কি আছে, তাঁকে লোকে অ্যালাই বলেই মনে করে। সুজন এস এফ আই এর ছেলে মেয়েদের ধমকাবেন বা কন্ডিসেন্ডিং জ্ঞান দেবেন, আমরা যেমন গজ গজ করে গৌতম দেব বা এই সুজনের কথাই শুনতাম (তখন বোধ্য এস এফ আই এর রাজ্য প্রেসিডেন্ট ছিল) সেরকম শুনবে, কিছুদিন পরে নতুন লোক অর্গানাইজেশনে আসবে। এতো চলবে। আমাদের সময়ে আমরা রাজনীতি ছেড়ে প্রথমে বিচিত্র কলকাতা রাজ্য আলিমুদ্দীন ইত্যাদি কেন্দ্রিক মুর্খ রা পার্টি করেছে এবং অবশেষে তৃণমূল এসেছে, এখন এন আর সি আসবে। আক্রমণ যেহেতু চুড়ান্ত, লিবেরাল রা ক্যাম্পাসে করনার্ড , তো সেখানে চাট্টি কালো পতাকা দেখানো যাবে না কেন সেটা বুঝলাম না, আর যাদবপুরে র মত ইনসিগনিফিকেন্ট জায়্গায়, সিয়াচেন তো না, বক্তৃতা না করতে পারলে, একজন পলিটিশিয়ান এর ক্যারিয়ার রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্ত্ব পূর্ন হবে না কেন সেটাও পরিষ্কার না। এবং রাজ্যপালের ঘুম হচ্ছে না, সমস্ত হায়ার লার্নিং এর জায়্গায় আর এস এস এর লোক না বসাতে পারলে শুধু না, সেটা তো ইচ্ছে করলেই যে কোনো দিন হয়ে যাবে, এবং হচ্ছেও, খুব ধীর গতিতে কিসু না, ছাত্র সংসদ দখলেও পরিশ্রম তাঁকে নিজেকে করতে হবে এই অধ্যবসায় মাইরি ভাবা যায় না, উনি টিভি, বিবৃতি, আর স্বপন দাশগুপ্তের সই এর উপরে পুরো ভরসা কেন রাখতে পারছেন না ক্লিয়ার না।

    অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা বাংলা গালাগাল ও ক্যাল খেয়েছে, বাবলুর সঙ্গে লোকজন এবং এবিভিপির যাদবপুরের সমর্থক রা ক্যাম্পাস ভাঙচুর করেছে, দোকান চালানো তড়িৎঅ অফ অল পিপল মার খেয়ে গেল, রাজ্যপাল পাতি ঢ্যামনামি করেছেন সেটার নিন্দে অন্তত ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা করি, তার পরে আত্ম সমালোচনা করা যাবে।

    আমি যেটা তে ক্লিয়ার না, সেটা হল সিকোয়েন্স অফ ইভেন্ট্স, এত অপিনিয়ন বিল্ড করে, খবর টাই ঠিক করে পাবা যায় না।

    ১- গায়ক নেতা এলেন
    ২- বাচ্চা চিঁচি পার্টি কালো পতাকা দেখালো
    ৩ - গায়ক নেতা র সঙ্গে ছেলে মেয়েরা স্কাফল এ জড়িয়ে পড়লেন , ভিসি ও এসে ঝগড়া ঝাঁটির জটলার মধ্যে থাকলেন।
    ৪ - তার পরে হেলমেট পার্টি এসে ক্যাল দিয়ে জায়গা ক্লিয়ার করে, গেট ভেঙ্গে, ইউনিয়ন রূম আর ক্যাম্পাসে অন্যত্র ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিল।

    তাইলে ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে যেটা হতে হয়, সেটা হল ছেলে মেয়েদের ভিড় পাতলা হয়ে গেট থেকে সরে গেছিল, অথবা লাঠি শোঁটা নিয়ে আসা লোক আসার পরে ভয়ে পালিয়ে গেছিল বা ছত্র ভঙ্গ হয়ে গেছিল বা আগে থেকেই ওখান থেকে লোক জন কমে গেছিল।

    মানে আমার কথা হল, যখন ভাঙচুর হচ্ছিল ইউনিয়ন রুম, আগুন লাগানো হচ্ছিল সাইকেল স্ট্যান্ডে বা অন্যর্ত, তখন ছেলে মেয়েরা আর ভিসি আর বাবুল কোথায় ছিলেন, মানে গেটের স্কাফল না পেরিয়ে এসে তো এটা করা যাবে না, জাস্ট বোঝার চেষ্টা করছি। গেট ফাঁকা না হলে এ জিনিস হয় না, হতে পারে বেশির ভাগ ছেলে মেয়েই জানতো না বিজেপির প্রোগ্রামের কথা, বা কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে তার কথা বা কেউ ই ক্যাম্পাসে ছিল না, অল্প কজন চিঁচি পাতি ক্যাল খেয়ে গেছে , ঘটনা কি এইটা?

    name: খ mail: country:

    IP Address : 236712.158.455612.60 (*) Date:21 Sep 2019 -- 04:03 AM

    বাবুল কোন গন্ডগোল ফেস না করে বক্তৃতা দিলে ও বড় খবর হওয়া আটকাতো না। যখন বিজেপি ২ ছিল বা তাও ছিল না, তাকে প্রথমে প্রধান পরে একমাত্র প্রতি পক্ষ হিসেবে তুলে ধরার কাজে বাংলা মিডিয়া প্রচুর প‍রিশ্রম করে ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন