এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল

    Deepak
    অন্যান্য | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১৫৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Deepak | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৫382009
  • পাঠ প্রতিক্রিয়া
    কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল
    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্য
    *********************
    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যের প্রথম বই 'অনুষ্ঠান...' পড়ার পর কুরবানি পড়ার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। যেহেতু গুরুচন্ডালি তাদের বই পড়ে কেমন লাগলো জানতে সত্যিই আগ্রহী, তাই দু চার কথা বলাটা কর্তব্য মনে হলো। জানি না এই বই থ্রিলার হিসেবে প্রোমোট করা হয়েছে কি না, তবে এ কিন্তু সত্যিকারের থ্রিলার, যেখানে পাঠকের ঘাড় ঝাঁকিয়ে থ্রিল দেওয়া হয় নি। আজকাল হাবিজাবি ইম্প্র্যাক্টিক্যাল থ্রিলারের ভিড়ে এই বইটা একটা মাইলস্টোন। ছাত্ররাজনীতি মূলত কলকাতার এলিট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাস ভীষণ ইন্টারেস্টিং যেমন ইন্টারেস্টিং চরিত্রগুলো। উনি গল্পের চরিত্রগুলো তাদের অসংখ্য কথোপকথনের মধ্যে দিয়েই জীবন্ত করে তুলেছেন। এটা আমার কাছে প্রায় একটা নতুন স্টাইল মনে হোল। তাতেও গল্প চলাকালীনই সমস্ত চরিত্র ভীষণ কাছের হয়ে ওঠে। এতটাই জীবন্ত হয়েছে যে কখনো কখনো গল্পের চরিত্রের সাথে আমারও সিগারেট ধরাতে ইচ্ছে করেছে।আর ওনার এই বইতে গল্প বলার ভাষাটা আমার অসাধারণ লেগেছে। তথাকথিত কাব্যময়তা, ছন্দময়তা এসব প্যানপ্যানানি ছেড়ে ঝরঝরে ভাষায় এগিয়ে গিয়েছে গল্প। ভবিষ্যতে বোধ হয় এই ভাষাতেই লেখা হবে বেশিরভাগ গল্প। গল্পে যাদবপুর এলাকা স্বাভাবিকভাবেই জীবন্ত, কারণ এই এলাকার জীবন, চিন্তাভাবনা, চরিত্র ওনার নখদর্পনে তা 'অনুষ্ঠানে...'পড়েই বোঝা গিয়েছিল।
    বইটা পড়ে আমার দু একটা জিজ্ঞাস্য রয়ে গেছে, তার মধ্যে একটা পাড়া যাবে না, তা হলে সেটা স্পয়লার হয়ে যাবে। আর লেখারতো সেখানেই স্বার্থকতা যেখানে পাঠকের মনে প্রশ্ন রয়ে যায়! পাঠক নিজের মতো বরং ইন্টারপ্রেট করে নেবে। তবে একটা প্রশ্ন যে যুক্তমঞ্চ বলে যাদের বোঝানো হচ্ছে তারা কি এ রাজ্যে এতটাই পাওয়ারফুল যে পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে একশন নিতে ভয় পাবে? আসলে বাস্তবেতো দেখেছি যে গদিতে আছে সে ছাড়া বাকী কারোর হাতে পুলিশের একটা কনস্টেবল পর্যন্ত নেই।নাকি নিজেই কিছু ভুল বুঝেছি জানি না।
    তবে এই বই অসাধারণ। একদম হাটকে। ওনার তৃতীয় বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।
  • manas | ***:*** | ০২ মার্চ ২০১৯ ২৩:৩৯382010
  • ‘কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল’
    শাক্যজিত ভট্টাচার্য

    দমবন্ধ করা মোহগ্রস্ততায় এক নিশ্বাসে উপন্যাসটা শেষ করে একটু জিরিয়ে নিয়ে বসন্তের হাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে আসা এই পড়ন্ত বেলায় লিখতে বসে মন বারেবারে চলে যাচ্ছে ‘কুরবানি অথবা কার্নিভাল’ এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট গল্পগুলোর দিকে। সেই উট যে একটিবার শুধু নিজের অসুন্দর মুখখানি দেখতে চেয়েছিল। সেই অন্ধ কুকুর যে এদিক ওদিক ধাক্কা খেতে খেতে ঘুরে বেড়ায় একটু আদরের অপেক্ষায়। সেই মানুষগুলো সমাজকে , পৃথিবীকে যারা পাল্টাতে চেয়েছিল যাদের জায়গা হয় জেলে অথবা আই সি ইউ তে। মেরে পাঁজর ভেঙ্গে দিলেও যাদের মেরুদণ্ড ভাঙা যায়না। মন বারেবারে চলে যেতে থাকে সেই সব দিকে। যেখানে অদ্ভুত রোম্যান্টিকটায় ধরা দেয় স্থান ও কাল। পাত্র এবং পাত্রীদের নিয়ে অহেতুক রোম্যান্টিক হওয়ার কোন চেষ্টাও থাকেনা যেখানে। সেইখানে বহু মানুষের হৃদয়ের অচিনপুরে জায়গা করে নেওয়া সেই স্থান, যা কিনা প্রশ্ন করতে শেখায়, সেই স্থানটির আশে পাশে আপাত মজা হাজা সবকিছুর মধ্যে অতিলৌকিক আইডিয়া সমূহ বাসা বেঁধে থাকবে এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে। লেনিনের মূর্তি রাত বারলেই জেগে উঠে লং মার্চ করে, অনেকেই নাকি দেখেচে। হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
    যে সব ন।ভ।শ্চরেরা ফ্যাতারু বিশ্বে চলাচলের চেষ্টা করেছেন ইদানীংকালে তাঁদের মধ্যে শাক্যজিত ভট্টাচার্য অবশ্যই অন্যতম। পড়তে পড়তে চলতে চলতে কখন যেন নবারুনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় আর উনি বিঁড়ির ধোঁয়া ছেড়ে জিগ্যেস করেন ‘গরিবের পেছনে আর কত বড় আছোলা ঢোকানো হবে?’ আবার শুরু থেকে শেষ অবধি পড়তে পড়তে, ইতিউতি গজিয়ে ওঠা ফুটপাতের বারে যেন প্রায়সই দেখা হয়ে যায় মারকেজের সাথে, যিনি গেলাস উচিয়ে জিগ্যেস করেন – ‘মাকন্দয় বৃষ্টি নামবে কবে?’ অনক্লেভ বা গেটেড কমিউনিটির গল্পতো পড়তে বাধ্য হই অহরহ যা পড়ে সাউথ সিটির উচ্চ মিনারগুলির উপরে দাঁড়িয়ে কলকাতাকে কেমন দেখায় সেটা জেনেছি, কিন্তু ‘কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল’ এর ঠিক উল্টো ছবিটার সামনে আমাদের দাঁর করিয়ে দেয়। ফুটপাথের ঝুপড়িগুলো থেকে ঐ সুউচ্চ মিনারগুলিকে দেখতে কেমন লাগে?
    স্ট্রাকচার তো তার সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে সাবজেক্টের ওপরে, আর সাবজেক্ট কি করবে? সাবজেক্ট কি কোনরকম প্রতিরোধ করবে না। তাই কি আবার হয় নাকি! প্রতিরোধও হবে। হয়ত পাড়ার ক্লাবের ইলেকশানে প্রতিরোধ হবে, অফিসের ইউনিয়নের ইলেকশানে প্রতিরোধ হবে, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির ইলেকশানে প্রতিরোধ হবে। স্ট্রকচারকে টক্কর দেবে পদে ঠোক্কর খাওয়াতেও হয়ত পারে সাবজেক্ট। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিরোধের গল্পই আমাদের ভাবতে শেখায় ‘কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল’। বিপ্লব হবে কি হবে না অথবা বিপ্লব হওয়া বা না হওয়ার অর্থই বা কি, বিপ্লবের পড়ে চিত হয়ে হিসু করা যাবে কিনা - সেই সব গুরুগম্ভীর তর্ক ছেড়েও মজার ছলে সাবজেক্ট - দের প্রতিরোধেরই গল্প তুলে ধরেছে ‘কুরবনি অথবা কার্নিভ্যাল’।
    ক্যাচাল কোন্দল দলবাজি ভরা রাজনীতির ময়দানে অহেতুক রোম্যান্টিকটা তৈরির চেষ্টা না করে বাস্তবের মাটিটাকে কামড়ে ধরে থেকেই এক পরাবাস্তবতার সন্ধান করে এ উপন্যাস। কোন রাজনৈতিক মতাদর্শগত তর্ক নেই , তার স্থানে রয়েছে প্র্যাকটিসের যন্ত্রণা দায়ক সপাট উপস্থিতি, যা মাঝে মাঝে মনে হয় শ্বাস রোধ করে মারবে, কিন্তু আকচাআকচির পঙ্কিল আবর্তে মাঝে মাঝেই এসে পড়ে অচেনা দখিনা বাতাস।
    কারও কুর্বানি আবার অন্য কারোর কার্নিভ্যাল। যেটা অনেক সময় দেখানোর চেষ্টা করা হয় যার কুর্বানি তারই কার্নিভ্যাল হিসেবে। নাকি আমরা এরকম একটা দিকে যেতে পারব যেখানে কুর্বানি –কে কুর্বানি হিসেবেই দেখা হবে আর কারোর কার্নিভ্যাল হয়ে উঠবে না সেটা। নাকি কুর্বানি থাকবেই না থাকবে শুধুই কার্নিভ্যাল। কিন্তু কুর্বানি ছাড়া কি সত্যিই কার্নিভ্যাল সম্ভব। হয়ত নয়, হয়ত বা সম্ভব।
  • pi | ***:*** | ০৬ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৮382011
  • 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল': প্রাথমিক পাঠ প্রতিক্রিয়া

    শাক্যজিতের 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' পুজোর ছুটির একটি রাত জাগিয়ে রাখতে পারল। এই লেখা পড়ার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। মূলত 18-22 বছরের বাম ছাত্র রাজনীতির আবহে রচিত এ-উপন্যাস দ্বিধাবিভক্ত বাম রাজনীতির সমসময়কে তুলে ধরছে, ঠিক সেই সময়ে, যখন রাজনৈতিক ঝাঁজ কম, অথচ মৃদু উত্তাপে গা সেঁকে নিতে কেউ কেউ আগ্রহী।
    দুই শিবিরের দুই কর্মীর প্রেমের সম্ভাব্যতা বিচার্য ততটা নয়, কারণ ভীষণ অসম্ভব দুই মানুষ মানুষীর প্রেম বাস্তবেই সম্ভব। মডার্ন হাইয়ের মেয়ে বর্ধমানের সরকারি স্কুলের একজনের প্রেমে পড়তেই পারে। এখানে লেখক কৌশলে রাজনৈতিক আখ্যানে প্রেমটিকে ব্যবহার করেছেন। পারস্পরিক অবিশ্বাস, মিডিয়া ট্রায়াল ও সমসময়ের অসহিষ্ণুতা লেখায় ফুটেছেও ভালো। কিন্তু, প্রশ্ন হলো, দুই দলের ছাত্র নেতার মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া কি এতটা বিশ্বাসযোগ্য? বিশেষ করে এই বোঝাপড়াতেই যেন উপন্যাস ক্লাইম্যাক্স পায়।
    হয়তো এরকম অন্তর্লীন বোঝাপড়া লেখকের নিজের কোনো বিশ্বাসবোধ- জারিত। যা হতে পারে বা হতে পারত নয়, যা হওয়া উচিত। এই ঔচিত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস মনে পড়লো। বিবাহবার্ষিকী ও শোকমিছিল নামক দুটি উপন্যাসেই ভারতবর্ষের বামপন্থী দলের ভাগ হয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর লেখায় এক ধরনের দ্বিধা ছিল, আর ছিল রাজনৈতিক ঔচিত্যবোধ।

    তাই লেখক গ্রেসমার্ক নয়, যোগ্যতাতেই মার্কা পাবেন, বিশেষত রাজনৈতিক উপন্যাস, কে না জানে, আসলে উদ্দেশ্যমূলক। এক ধরণের নীতিকথা না থাকলেও মূল্যবোধ সব রাজনীতিরই, ছাত্র রাজনীতিরও চালিকা শক্তি।
    তাই কুরবানী অথবা কার্নিভ্যাল অবশ্যপাঠ্য।

    --কৌশিক ঘোষের পাঠপ্রতিক্রিয়া
  • pi | ***:*** | ০৬ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৯382012
  • ( 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' উপন্যাসটি পড়বার পর সোহম ভট্টাচার্য্য নিচের চিঠিটি গুরুচণ্ডালি প্রকাশনীতে পাঠিয়েছিলেন। উনি ফেসবুকে নেই তাই অনুরোধ করেছিলেন লেখক Sakyajit Bhattacharya-কে যেন মেইল করে দেওয়া হয়। আমরা বইয়ের পেজে চিঠিটি তুলে দিলাম। )

    (এই চিঠিটা, লেখক শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করেই লিখছি। কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে লেখককে পাব না। আমি ফেসবুকে নেই। তাই আশা করি, এইটুকু পৌঁছে যাবে। গুরুচন্ডা৯কে ধন্যবাদ এই বইয়ের জন্য।)

    কমরেড,

    স্বভাবের নিয়মে অভিনন্দন চিঠির শেষে থাকে। কিন্তু মেইল পাঠানোর সময় দেখলেই বুঝবেন, কী প্রচন্ডভাবে হাতটা ধরতে চাওয়ার তাড়নায় এই মেইল। তাই, অলক্ষ্যে, 'শতদ্রু'র হাতের মত, প্রথমেই ছুঁয়ে দিলাম।

    অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায়, ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিল। অন্তত সিপিএম বাবাকে পাঠানো চিঠির যে অভিমান, আমাদের পার্টি পরিবৃত্তের আনাচে কানাচে থাকে, ঠিক তার পরের পর্ব থেকে যেন কুরবানি অথবা কার্নিভাল।

    এই লেখার কাছে পৌঁছে যাওয়ার একটা পুর্বকথা আছে। আমি কলকাতার মানুষ, কিন্তু পড়াশোনার কোনো পর্বেই যাদবপুরের সাথে কোনো সংযোগ নেই। ওই চত্বরে বন্ধুজন আছেন, ছিলেন। তাও, চিনিনা বিশেষ কিছুই। এবার পুজোয়, তাই এই বইয়ের খোঁজে যখন যাদবপুর কফি হাউসের নিচে এদিক ওদিক দেখছি, বুকস্টল আছে কি কিছু? একদিকে পার্টির বুকস্টল, আর তার কয়েক হাত দূরত্বে এ আই এস এ (আইসা)-র স্টল চোখে পড়ল। প্রায় গায়ে গায়ে। বইখানা, পার্টি স্টল থেকে নিয়ে বেরিয়ে ব্যাগে ভরছি, আর আইসা টেবিল থেকে দেখলাম, একটি ছেলে, চেয়ে আছে। ব্যাগের দিকে, বইয়ের দিকে। আর বইটা শেষ করার পর, বারবার, প্রমিত আর দেবুর মাঝখানে এই দুটো স্টলের দূরত্বের তফাৎ, আর একে অন্যের ব্যাগের দিকে দ্বিধায়, চিন্তায়, আশ্রয়ে তাকানোর কথা আমায় যাদবপুর নামের একটা দ্বীপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    যে দ্বীপের নাম হয়তো জে এন ইউ, হয়তো হায়দ্রাবাদ, কিংবা হয়তো সমস্ত কমিউন। যা গভীর আঁধার দিনে এখনো রাত জেগে হাতে হাতে লিখে ফেলতে ব'লে আজকের বিক্ষোভ। আপনাকে কুর্নিশ, এই সময়ের কমিউনকে ডকুমেন্ট করার জন্য।

    না, কোনো মায়ার নস্টালজিয়া নয়। এই উপন্যাস ভাল লেগেছে এই উপন্যাসের রাজনীতির জন্য। দক্ষিণপন্থী আগ্রাসনের সময়ে, হাতে হাত রাখার কথা বলার জন্য। আর ভীষণভাবে মানিকবাবুর, সেই লাইনের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য, যেখানে প্রতিটি উদিত, 'মুখোশপরা বুদ্ধিজীবি জীব'।

    আর আপনার লেখায়, মরে যাওয়া মফস্বলের যে ভূত, তাড়া করে সাউথ সিটির কলকাতাকে। যে রাস্তায় রিফিউজি কলোনির লেনিন, রাত্রে হাঁটেন। ঠিক সেইখানে, সেই পুরোনো ছায়া পড়া বেঞ্চগুলোতে, আমাদের সময়ের 'শ্রীতমা-অনি' দিনগুলো সযত্নে রইল।

    আর উটের জন্য, ঐ চিৎকারের মানে, হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই নয় হয়তো।

    কারণটা ঐ জয়দেব বসু।

    'মনকে বলো, হ্যাঁ। তবু হ্যাঁ।'

    ভালবাসা আর মুঠোহাত রইল একসাথে।

    ইতি,
    সোহম ভট্টাচার্য।
  • pi | ***:*** | ০৬ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪০382013
  • এই প্রথম এমন হল, এক রাতে একটা গল্প শেষ করলাম। Sakyajit Bhattacharya এর রাজনৈতিক থ্রিলার, বেশ দমবন্ধ করা, অসামান্য শাক্য। লিখেছেন, অনির্বাণ মাইতি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন