এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ডিপ্রেশনের বাংলা জানি মনখারাপ। ভুল জানি।

    avi
    অন্যান্য | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ | ২২৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • avi | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৫380826
  • শুরুটা হলো কদিন আগে আমাদের এক সহকর্মীর আত্মহত্যার খবরে। এখন পেশাদার মানুষজনের আত্মহত্যার খবর তো প্রায় জলভাত হয়েই গেছে, সহনসীমার মধ্যে থাকা খবর। তারপর যা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মহলে সুন্দর সুন্দর সব পোস্ট পড়তে লাগলো অসংখ্য ক্রিয়েটিভ আর সমব্যথী গুণীজনের সৌজন্যে। কেউ প্যারডি করলেন অমলকান্তির রোদ্দুরের, কেউ জানালেন আফসোস যে ও কেন আমাদের জানালো না সময়ে, কেউ হালকা উষ্মা জানালেন এই মর্মে যে সবাই তো কাজের আর নিজের স্ট্রেস বইছি, ও কেন এত দুর্বল হয়ে পালিয়ে গেল ইত্যাদি। ঘটনাচক্রে বেশিরভাগ বক্তব্য অবৈজ্ঞানিক আর অপ্রাসঙ্গিক। গুণীমহলে এহেন প্রতিক্রিয়া ভালো না। মানসিক রোগ কী, আত্মহত্যা কী, তার সম্ভাব্য সমাধান কী - এসব নিয়ে একটু বিস্তারে আলোচনা করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে আমরা যারা মানসিক রোগের চিকিৎসাক্ষেত্রে জড়িয়ে আছি, তাদের কাছে। বস্তুত দায়টা আমাদেরই।
    প্রথম গল্প। মানসিক রোগ কী জিনিস। দেখুন, একটা জিনিস মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। মন বলে কিছু নেই। মানে সাহিত্যে গল্পে ভাবতেই পারেন, বাস্তবে নেই। সাহিত্যে কল্পনায় তো হৃদয়ও আছে, প্রেমের আহ্বানে সে হৃদয় সাড়াও দেয়, মানুষ শোনে নিজের 'দিল কী' আওয়াজ, যেমন আধ্যাত্মিকতায় জাগিয়ে তোলে তার আত্মার চৈতন্য। আগের শতকে ইড়া পিঙ্গলা এসবও ছিল। তেমনই মন। যে যুগে মস্তিষ্কের কাজ সম্বন্ধে মানুষের ধারণা ছিল নগণ্য, সেযুগে এসেছিল এরকম নানান কল্পনা, পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছিল যুগে যুগে, দেশে দেশে। তাই মন, আত্মা, হৃদয়, ইড়া, পিঙ্গলা এসব নিয়ে আলোচনা আড্ডায় ফিকশনে ঠিক আছে, বৈজ্ঞানিক আলোচনায় আসবে না। কারণ শরীর, শুধুই শরীর, তোমার মন নাই, কুসুম। রয়েছে শুধুই মস্তিষ্ক। তার সংখ্যাতীত নিউরন। তাদের রকমারি নেটওয়ার্ক। জটিল কার্যকলাপ। হরেকরকম নিউরোট্রান্সমিটার, হরমোন, তাদের রিসেপ্টর এবং সবার নিয়ন্ত্রক হিসেবে প্রত্যেক কোষের ভেতরে ভেতরে সেই জেনেটিক সিকোয়েন্স, সেই প্যাঁচালো আকারের ডিএনএ এবং তার হাজারো মন্ত্রীসান্ত্রী। সেরকম একগাদা জীনের গণ্ডগোল থেকে তৈরি হওয়া অসংক্রামক মস্তিষ্কের গোলমালই মানসিক রোগ নামে চলে আসছে।
    আর একটা কথা। উপসর্গ লক্ষণ দেখে রোগের যে বিচার হয়, সেই হিসেবেও বিভিন্ন ধরণের ও নামের মানসিক রোগ হয়। মানসিক রোগের মধ্যে ডিপ্রেশন খুব বেশি প্রচার পেলেও এটা কোনো অবস্থাতেই যেন মাথা থেকে বেরিয়ে না যায় যে সব মানসিক রোগ ডিপ্রেশন নয়। ঘটনাচক্রে প্যাথলজির আরো গভীরে গেলে, আণবিক স্তরে গেলে এই জাতীয় রোগের সংখ্যা সহস্রাধিক।
    এসব রোগ কীভাবে হয়?
    শারীরবিদ্যা দিয়েই শুরু হোক। অ্যামিবার লাগে না। কিন্তু বহুকোষী জীবের স্নায়ুতন্ত্র লাগেই। নিজের সমস্ত কাজেকর্মে একটা ডায়নামিক ভারসাম্য রাখার জন্য। এটা জরুরি। তার দেহের মধ্যের পরিবর্তনই হোক, বা বাইরের পরিবেশের তারতম্য, এই ভারসাম্যই তাকে সামলে রাখে। এই সামলে রাখা ব্যাপারটাকেই আমরা পরিভাষায় বলি হোমিওস্টেসিস। তা সে শীতের দিনে ঘনঘন টয়লেট যাওয়াই বলুন বা নববধূর শ্বশুরবাড়িতে মৃদুভাষণ। এবং দেহের প্রতিটি অঙ্গের এই ফাংশনাল অভিযোজন সামলানোর জন্যই সারাক্ষণ সতর্ক হয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র। মূলত মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের মধ্যেকার সুষুম্নাকাণ্ড। নির্দিষ্ট স্নায়ুর সাহায্যে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সারাক্ষণ এই হোমিওস্টেসিস সামলে চলেছে। স্নায়ুতন্ত্রের এই কাজটাকে আমরা পরিভাষায় বলি অ্যালোস্টেসিস। এবং স্নায়ুতন্ত্র এই যে সূক্ষ্ণ কাজগুলো সারাক্ষণ করে চলেছে, তাকে বলি অ্যালোস্টেটিক লোড। মজার ব্যাপার, বায়োলজিক অর্থে এটাই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ট্রেস। কথায় কথায় আমরা যে স্ট্রেস হয়েছে বা হচ্ছে বলে যাই, মস্তিষ্ক ঠিক সেভাবে দেখে না।
    এবার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র একটা সীমা অব্দি এই অ্যালোস্টেটিক লোড সামলাতে পারে, যে সীমা ব্যক্তিভেদে হামেশাই পৃথক হয়ে থাকে। তার বাইরে গেলে বিগড়ে যাওয়ার লক্ষণ আসতে শুরু করে। অবশ্য এই যে ব্যক্তিভেদে বলা হলো, এটা অস্পষ্ট কথা হলো। বাস্তবে আমরা দুরকম ফ্যাক্টর পাই, রেজিলিয়েন্স ফ্যাক্টর আর ভালনারেবিলিটি ফ্যাক্টর। ব্যক্তির জেনেটিক, এপিজেনেটিক ইত্যাদি স্তরে বেশ কিছু পরিবর্তন এইসব ফ্যাক্টর সৃষ্টি করে। রেজিলিয়েন্স ফ্যাক্টর পুরো স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকরী সীমা বাড়িয়ে তোলে, বিপরীত কথা ভালনারেবিলিটি ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে। এবং এই বিষয়গুলি জন্ম এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের পরিণতির সাথে সাথেই নির্দিষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতি মানুষ তার নিজস্ব এবং একান্ত ব্যক্তিগত স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে বড় হয়ে উঠতে থাকে, ঝামেলা সামলানোর ব্যবস্থাও মস্তিষ্কের প্রতি অংশে নিজের মতো হতে হতে।
    এই গেল স্বাভাবিক কোর্সের কথা। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের এই অ্যালোস্টেটিক লোড সামলানোর ব্যর্থতাই কিন্তু ডিপ্রেশনের জন্ম দেয়। এবং আমরা এতক্ষণ যা দেখে আসছি, যার রেজিলিয়েন্স ফ্যাক্টর কম অথবা ভালনারেবিলিটি ফ্যাক্টর বেশি, তার মস্তিষ্ক খুব কম পরিমাণের লোড সামলাতে পারে। একটু সীমার বাইরে গেলেই বিগড়ানো শুরু হয়। দুয়েকবার সামাজিক বা পরিবেশের চাপ এই ডিসফাংশনাল মোডের জন্য দায়ী থাকলেও অনেক সময়েই এই ব্যাপারটা নিজের মতো চলতে থাকে। এই সময় মস্তিষ্ক তথা পুরো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বাকিদের কাছে সহজেই সামলানো সম্ভব এরকম চাপকেও তার নিজের অ্যালোস্টেটিক লোডের থেকে বেশি হিসেবে গণ্য করতে পারে। ফলে পরিবেশের তথাকথিত 'মেজর স্ট্রেস' অনেক সময়েই আর ম্যাটার করে না। আবার আমরা আগেই দেখেছি যে, মস্তিষ্ক এই সামলানোর কাজে পুরো দেহের সামগ্রিক হোমিওস্টেসিস বজায় রাখে। ফলে গোলমাল শুরু হলে তা শুধুই মন খারাপ লাগায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বস্তুত প্রতিটি অঙ্গে এর প্রকাশ ঘটতে থাকে, গুণীজন যাকে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া বলে থাকেন। দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, হরমোনের কার্যকলাপ, স্নায়ুতন্ত্র - সব জায়গায় ধীরে ধীরে স্থায়ী গঠনগত এবং কার্যগত পরিবর্তন আসতে থাকে। এটাই ডিপ্রেশন, এক অবধারিত ঘাতক রোগ। ডিপ্রেশনের বাংলা তাই মনখারাপ নয়।
    ডিপ্রেশন হঠাৎ করে হয় না। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে এই পরিবর্তনগুলো যখন বাড়তে থাকে, তার কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। সেই মানুষ বাইরের খুব কম চাপকেও বেশি বেশি ভাবতে থাকে, তার অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম সদাসতর্ক হয়ে থাকে - একটুতেই সে চমকে ওঠে, বুক ধড়ফড় করে, ঘামতে থাকে, দ্রুত শ্বাস চলতে থাকে। সাধারণভাবে আমরা বলি টেনশন খুব বেশি হচ্ছে। পরিভাষায় বলে অ্যাংজাইটি। যে কথা আগেই হচ্ছিল, দেহের ভেতরের বা বাইরের মাঝারি বা বড় ধরণের চাপ এই টালমাটাল স্নায়ুতন্ত্রকে ডিপ্রেশনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই পারে, অক্লেশে। তাই দেহের অন্যান্য অঙ্গের রোগ, তা সে লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ড যাই হোক, তা যখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে, তার প্রথম প্রকাশ ঘটে ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে। আমরা দেখি গা ম্যাজম্যাজ করছে, দুর্বল লাগছে, কিছুই ভালো লাগছে না। বাস্তবে মস্তিষ্ক সামলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কখনও সামলে ওঠে, কখনও পারে না। ডিপ্রেশনের এই সর্বাঙ্গীন উপস্থিতির কারণে এখন তা হৃদরোগকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের অসুস্থতা হিসেবে উঠে আসছে।
    এই প্রসঙ্গে একটা বিষয় পরিষ্কার করে রাখা উচিত। মন খারাপ থাকা, অসুখী লাগা মানেই ডিপ্রেশন নয়। ডিপ্রেশন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের একটা সামগ্রিক ফেইলিওর, যাতে আপাততুচ্ছ কারণেও অসুখী থাকার প্রবণতা দেখা যায়। এটা স্রেফ একটা উপসর্গ। ডিপ্রেশন সুকুমার রায়ের রাজার অসুখ নয়।
    বস্তুত উৎস, প্রবাহ বা পরিণতির নিরিখে আমাদের সারা দেহের অসুখগুলির মধ্যে ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস আর হাইপারটেনশন যেন তিন সহোদর ভাই। প্রত্যেকেই এক একটি তন্ত্রের হোমিওস্টেসিস বজায় রাখার ব্যর্থতার ফসল। প্রত্যেকের মারণক্ষমতা একই স্তরের। ডিপ্রেশন দুঃখে থাকে, তাকে কেউ বাকি দুই ভাইয়ের মতো গুরুত্ব দেয় না। তাকে সবাই বলে, দেখো পৃথিবী কত সুন্দর, কুল থাকো, বিন্দাস থাকো, পার্টি করো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও, দুঃখ মন থেকে সরিয়ে দাও, যোগব্যায়াম করো, ধ্যান করো। এবং সবাই খোঁজ নিতে আসে এরকম কেন হলো? ব্রেক আপ, নেশা, বিপন্ন শৈশব, কাজের স্ট্রেস, 'আসল কারণ'টা কী? অপার দুঃখে সে দেখে ডায়াবেটিসের কাছে কেউ জানতে চায় না, অতীতে কটা রসগোল্লা খেয়েছে, কেউ উপদেশ দেয় না স্রেফ চিনি থেকে মুখ ঘুরিয়ে দেখো বাকি সব খাবার কত সুন্দর, তাহলেই সেরে যাবে। হাইপারটেনশন রোগীকে বলা হয় না শুধুই জীবনযাত্রা বদলে সেরে যাও। হ্যাঁ, জীবনযাত্রা বদলানোর উপদেশ আসে, কিন্তু চিকিৎসার একটি অংশ হিসেবে, সেটাই সব হয়ে ওঠে না। ডিপ্রেশনের দুঃখ আরো বেড়ে যায়, যখন সে মৃত্যু ঘটিয়ে দিলেও কৃতিত্ব পায় না। মানবিক দুর্বলতা, আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক আবহ তার জায়গা নিয়ে নেয়। আমরা ভুলে যাই সংক্রামক রোগের পিছনেও রয়েছে আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত, ডায়াবেটিস হাইপারটেনশন থেকে ক্যানসার অনেকের পিছনেই থাকে খাদ্যাভ্যাস থেকে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার হাতছানি। কিন্তু রোগ যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন আমরা চিকিৎসা বন্ধ রেখে সমালোচনা শুরু করে দিই না। প্রিভেনশন ও ট্রিটমেন্ট - দুটোই জরুরি হয়ে থাকে।
    মানসিক রোগ মানেই কি ডিপ্রেশন?
    ডিপ্রেশন অনেক সময়েই প্রবেশদ্বার। কিন্তু রোগ রয়েছে, ওই যে বলা হলো, সহস্রাধিক। মস্তিষ্কের কোন কোন সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার ভিত্তিতে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেশি হতে থাকলে, সারকার্ডিয়ান ক্লক সিস্টেম বিগড়ানো শুরু হলে বাইপোলার এবং সাইকোসিস আসতে থাকে, সিএসটিসি সার্কিট থেকে অবসেসিভ কম্পালসিভ রোগ আসতে থাকে, রিওয়ার্ড পাথওয়ে থেকে আসে নেশা, ইটিং ডিজঅর্ডার। কিন্তু এই আলোচনা সম্ভবত ভিন্ন এবং বৃহৎ পরিসরের দাবি রাখে।
    কী করা যায়?
    আশু বিপদের সামনে চিকিৎসার গুরুত্ব সর্বাধিক, এটা বুঝতেই হবে। সর্বাধিক মানুষের সর্বাঙ্গীন সুখের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই কাজের, একইসাথে রোগটিকে বোঝা, এবং আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা। সেই স্থলে স্ট্রেস, বিন্দাস থাকা এবং অন্যান্য বায়বীয় উপদেশ থেকে বিরত থাকাই ভালো। একদম প্রাথমিক অবস্থায় সাইকোথেরাপি কাজ করে, কিন্তু সাইকোথেরাপি মানে একদম স্ট্রাকচারড পদ্ধতিতে স্কিলড ব্যক্তির সাথে বাক্যালাপ, যেকোনো ব্যক্তির ইচ্ছেমতো জ্ঞানদান নয়। মাথায় রাখতে হবে আমরা একটা ঘাতক রোগের সামনে দাঁড়িয়ে আছি যে সরাসরি মেরে ফেলে আত্মহত্যার মাধ্যমে, আর পরোক্ষভাবে মেরে ফেলতে পারে অন্যান্য অসংক্রামক ক্রনিক রোগের রেসপন্স কমানোর মাধ্যমে। ডিপ্রেশন কিন্তু জাস্ট একটা রোগ, যার চিকিৎসা রয়েছে। সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান ও সুষ্ঠু চিকিৎসার বাইরে আর কোনো সমাধান এখনও পর্যন্ত আসে নি।
  • b | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:০১380837
  • জরুরী আলোচনা। আরেকটু হোক। বড় করে, গুছিয়ে।
  • avi | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:০৪380841
  • হ্যাঁ। একটা ফোরামে এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তার কিছু অংশ জুড়ে এবং অনুবাদে এলো।
  • শঙ্খ | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৫১380842
  • এইটা খুব কাজের কথা:
    সেই স্থলে স্ট্রেস, বিন্দাস থাকা এবং অন্যান্য বায়বীয় উপদেশ থেকে বিরত থাকাই ভালো।

    ভালো আলোচনা।
  • সিকি | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৪৯380843
  • খুব খুব জরুরি এবং সহজবোধ্য আলোচনা। ডিপ্রেশন মানে যে মনখারাপ নয়, একলা হতে চাওয়া নয় - এই তথ্যটা মাস স্কেলে জানবার সময় এসেছে।
  • dc | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৫380844
  • খুব দরকারি লেখা, অভিবাবুকে অনেক ধন্যবাদ এটা লেখার জন্য।
  • sm | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:০৬380845
  • MBCT নিয়ে কিছু লিখুন।বাজারে কতরকমএন্টিডিপ্রেসান্ট,টি সি এ,এস এস আর আই,
    এস,এন আর আই--কেন?
    আমরা কি পুরো প্যাথ ফিজিওলজি,রপ্ত করতে পেরেছি, না, ঔষধ গুলির মেকানিজম অফ একশন পুরো পুরি জানি।
    এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ কি সুইসাইড ইনসিডেন্স বাড়ায়?
  • pi | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:২২380846
  • বাহ, অবশেষে। নতুন বছরে ঃ)

    কিন্তু ব্লগে দে এটা, আরো অনেকে পড়বেন।
  • de | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:২৫380847
  • ভালো শুরু - আরো চলুক এই আলোচনা -
    ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে প্রায় কিছুই জানিনা -

    এছাড়াও বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিস-অর্ডার, ওসিডি, বাইপোলার সিন্ড্রোম এইসব নিয়ে ভালোভাবে জানতে চাই -
  • সুকি | ***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৫৮380827
  • খুব খুব জরুরী এই লেখা. অভিকে অনেক ধন্যবাদ.
    আর একটা অনুরোধ, প্লীজ কেউ খিল্লি করে এই টইটি অন্তত বেপুথো করবেন না.
  • aranya | ***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৩380828
  • অভি, আত্মহত্যার চিন্তা মানেই কি তুমি যে হাজারের ওপর মানসিক অসুখের কথা বলছ, তেমন কোন অসুখ-ই তার কারণ?
    ধর কর্মক্ষেত্রে কেউ প্রচুর স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, অনেক আর্থিক দায়-দায়িত্ব ইঃ। মাঝে মাঝে তার মনে হয়, অনেক দিন তো বাঁচলাম, নতুন কিছু-র জন্য অপেক্ষার পর্ব শেষ, এত লড়াই আর করে কি হবে, চলে গেলেই হয়।
    তো এই চিন্তাটা কি স্বাভাবিক নয়? আত্মহত্যার অধিকার তো মানুষের থাকা উচিত
  • avi | ***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:২৫380829
  • নাহ, স্ট্রেস সামলানোর সিস্টেমে গোলমাল আছেই। যে কারণে একই রকম স্ট্রেসের সামনে পড়ে সবাই আত্মহত্যা করেন না। অত্যন্ত পার্সোনালাইজড কোপিং মেকানিজম কাজ করে এসব ক্ষেত্রে। মাঝে মাঝে সব ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা আসা আর বাস্তবে আত্মহত্যা করা - এ দুইয়ের মাঝে কিন্তু দুস্তর ব্যবধান। আর অধিকারের কথা বা স্বাভাবিকতার কথা আলাদা। স্বাভাবিক মানে কিন্তু সংখ্যাগুরুর পলিসি। যেকোনো পপুলেশন নিয়ে তার মীন হলো স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে এই প্রবণতা স্বাভাবিকতার মধ্যে পড়বে না। কিন্তু অধিকার থাকতেই পারে। চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করারও পূর্ণ অধিকার থাকা উচিত। বস্তুত আছেও। এখন তো আত্মহত্যার চেষ্টা ক্রাইম নয়, এবং মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৭ নিজের পছন্দমতো চিকিৎসা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে রোগীকে। কিন্তু অধিকারের প্রশ্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকেই আসছে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আলাদা কিছু করণীয় নেই।
  • aranya | ***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪৪380830
  • থ্যাংকস অভি। তুমি লেখ আরও, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট
  • শক্তি | ***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪২380831
  • আমি মনে করি এযুগের সবচেয়ে কঠিন রোগ নিয়ে অতি প্রাঞ্জল আলোচনা করতে পেরেছেন লেখক ।অনেক বেশি পাঠকের কাছে লেখাটি পৌঁছে দেওয়া দরকার ।গ্রুপ চিন্তা করুন কি ভাবে তা সম্ভব ।
  • debu | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৯380832
  • aaro kichhu likhun , biotin er sange central nervous system er ki kono jog achhe?
  • | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৬380833
  • অভি গুরু, আমার দুটো প্রশ্ন আছে।

    ক - লেখাটা পড়ার পরে আমার ক্লিয়ার হয় নি, কি এগজ্যাক্ট সিমটম হলে বুঝবো ডিপ্রেসন এর ডাক্তার এর কাছে যাব আর ক্লিনিকাল কোন টেস্ট আছে কিনা , আমি নীতিগত ভাবে খুব ঝামেলায় না পড়লে নিজেকে ডাক্তার দেখাই না, আর পরিবারের বেলায় আদেখলামো করে প্রায় নখে ব্যাথা হলেও হসপিটালাইজ করার চেষ্টা করি। এই রকম বোকা হওয়ায় খুব ই গালাগাল খাই, সেটা অন্য প্রসঙ্গ, কিন্তু ঘটনা হল এই অসুখ এমন কখন বন্ধু বান্ধব কে আত্মীয় দের বা নিজেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার বুঝি না। আমার এক একেবারে অল্পবয়সী আত্মীয়া আত্মঘাতী হয়েছিলেন, তার জন্য আমরা কেউ ই নিজেদের ক্ষমা করতে পারি না। মনে পড়লেই রেগে যাই। অতএব কি পরিস্থিতিতে বুঝবো ডাক্তারের কাছে যাবো, আর উনি কি দিয়ে বুঝবেন, রুগীর এই রোগ ই হয়েছে সেটা তোমার লেখা থেকে আমার কাছে অন্তত পরিষ্কার হয় নি। একটু বলবে, বা কোথায় বুঝিনি একটু বলে দেবে?

    খ - অ্যালজাইমার ডিজিস সম্পর্কে একটা পোবোন্দো মত পাওয়া যাবে? এই কি করে বোঝা যাবে থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট এভিডেন্স কি কি এবং শেষ পর্যন্ত কোপিং ইত্যাদি।
  • avi | ***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৬380834
  • এক, ওই জায়গাটা ফাঁকা আছে লেখায়। একটু বড় করে আসছি। আশা করি আজ রাতে হয়ে যাবে। আর অন্য একটা ভাগে থাকবে চিকিৎসার ডিটেল যেটা এসএম বলেছেন।
    দুই, বেশ। বস্তুত এই জনরার সবকটা রোগই একটা করে প্রবন্ধ অন্তত দাবি করে। আগের কয়েকটা মন্তব্যে সেটা উঠেও এসেছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
  • শিবাংশু | ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:১০380835
  • ভালো লেখা। অপেক্ষায় রইলুম।
  • debu | ***:*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৭380836
  • Apomorphine কি সত্যিএ কাজ করবে Alzheimer ?
  • সিকি | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪৫380838
  • আরও একটা জিনিস জানতে চাই, ঠিক কোন ধরণের স্পেশালিস্ট কনসাল্ট করা উচিত?
  • বিপ্লব রহমান | ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:০৫380839
  • ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মনো দি একবার মেয়েদের ডিপ্রেশন নিয়ে লিখেছিলেন।

    সেই লেখাটিও এখানে থাক।

    _______________
    মেয়েদের ডিপ্রেশন / মনোরমা বিশ্বাস:

    যদিও চিকিৎসায় আমার ক্ষেত্রটি ‘মানসিক রোগ’ নয় তবু ডাক্তার হবার জন্য যে পদ্ধতিগত পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে হয় আমাদের, যে বিস্তৃত পরিমন্ডলে পড়াশোনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তাতে মানসিক রোগ সম্পর্কে আমাদের সবার একটা সম্যক ধারণা পেতে হয়। সে ধারণার উপর ভিত্তি করে, সর্বোপরি সমস্যাটিতে ভুগেছেন এমন কটজন বান্ধবীর সথে আমার প্রত্যক্ষ মতবিনিময়, তথা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ হয়েছিল বলে এক বান্ধবীর অনুরোধে এ নোটটি লিখছি।

    নিজে ডাক্তার হলেও রোগ বা চিকিৎসা সম্পর্কিত লেখা তেমন লিখিনি। বেশ কিছুদিন আগে ‘মেনোপজ’ নিয়ে একটা নোট লিখেছিলাম; আর তারপর আজ আবার লিখছি। আজ লিখছি ‘ডিপ্রেশন’ (অবসাদ) নিয়ে। বলে রাখি, আমি মূলতঃ মেয়েদের নিয়ে লিখবো। আরো জানাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরাই এ রোগটিতে ভোগেন ।

    প্রাক কথন:

    মেয়েরা শুধু ডিপ্রেশনে বেশি ভোগেন, তাই-ই নয়, তাদের বিষন্নতার ধরণও ভিন্ন। অনেকগুলো কারণ এই ডিপ্রেশনের সাথে যুক্ত। ফিমেল হরমোন, সামাজিক প্রেসার এবং তা যথাযথ ভাবে ট্যাকল করতে না পারা– এসব ডিপ্রেশনের জন্য দায়ী। এসব কারণ চিহ্নিত করতে পারলে যথাযথ চিকিৎসায় রোগিকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর তা যদি পারা যায়, তাহলে বিষন্নতার হার লক্ষণীয়ভাবে কমিয়ে আনাও সম্ভব ।

    আলোচনা:

    ডিপ্রেশন একটা মারাত্মক সমস্যা। এটি জীবনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব ফেলে। যেমন, সামাজিক জীবন, সম্পর্ক, পেশা ইত্যাদি। এর সূচনা হয় আত্মবিশ্বাস হারানোর মাধ্যমে। আপনারা জেনে অবাক হবেন, কোন কোন ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন মেয়েদের মধ্যে কমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি দেখা যায়, প্রতি আট জন মেয়ের মধ্যে একজন ডিপ্রেশনে ভুগছে।

    এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে প্রথমে যে লক্ষণসমুহ দেখা যায়, তা হলো— আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায়ই মন খারাপ থাকে, সব কিছুতে ক্লান্তিবোধ করতে থাকেন, এমনকি তারা প্রায় সব কিছুর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এমন অবস্থা হলে নিশ্চিত বুঝতে হবে, ব্যক্তিটি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। আশার কথা, চিকিৎসার মাধ্যমে ডিপ্রেশন ভালো করা যায়।

    ডিপ্রেশনের কয়েকটি উপসর্গ:

    ০১. দুঃখবোধ,

    ০২. কোন কাজে আনন্দ না পাওয়া,

    ০৩. অপরাধবোধ, আশাহত হওয়া, সব কিছু অর্থহীন মনে হওয়া,

    ০৪. আত্মহননের চিন্তা,

    ০৫. ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা,

    ০৬. ক্ষুধামন্দা, অতিরিক্ত খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া,

    ০৭. মনোযোগ নষ্ট হওয়া,

    ০৮. শক্তি কমে যাওয়া, অবসন্ন দেহ-মন।

    যে কারণে মেয়েরা ডিপ্রেসনে বেশি ভোগেন:

    ০১. প্রাক বয়ঃসন্ধি জটিলতা,

    ০২. গর্ভকালীন সমস্যা,

    ০৩. প্রসব উত্তর বিষন্নতা,

    ০৪. মেনোপজ পূর্ব এবং মেনোপজ সমস্যা,

    ০৫. শারীরিক সমস্যা।

    উপরোক্ত সমস্যাগুলো মেয়েদের ডিপ্রেশনের উপর প্রভাব ফেলে।

    মেয়েদের ডিপ্রেশনের মনোস্তাত্ত্বিক কারণসমূহ:

    ০১. নেতিবাচক চিন্তা: ডিপ্রেশনে ভুগলে নেতিবাচক চিন্তা মনের মধ্যে আনাগোনা করতে থাকে। কান্নাকাটি করে এই ইমোশনকে হালকা করা যায় । বন্ধুদের সাথে কথা বলতে হবে। কারণ খুঁজে বের করতে হবে, কেন এই ডিপ্রেশন?

    ০২. কাজের জায়গায় স্ট্রেস (মানসিক চাপ): স্কুল অথবা বাসায়। এই স্ট্রেস থেকেই বেশিরভাগ ডিপ্রেশন আসে। স্ট্রেস থেকে মেয়েদের প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয়, পুরুষদের তা হয় না।

    ০৩. দৈহিক কাটামো ফ্যাক্টর: বয়ঃসন্ধি কালে মেয়েরা বেশি ডিপ্রেশনে ভুগে। ছেলেরা এই সময় খেলাধুলা করে সময় কাটায়, বাইরে ঘুরে বেড়ায়, মেয়েদের এই সুযোগ কম ।

    সামাজিক কারণ:

    মেয়েদের ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে সামাজিক ফ্যাক্টর বড় ভূমিকা পালন করে।

    ০১. বৈবাহিক সম্পর্ক, পেশাগত সমস্যা এবং ঘরের সমস্যা।

    ০২. পারিবারিক দায়িত্ব, যেমন বাচ্চা, স্বামী, বয়স্ক বাবা-মা।

    ০৩. কাজের জায়গায় হয়রানী, দক্ষতা অনুযায়ী সাফল্য না পাওয়া।

    ০৪. ক্রমাগত অর্থনৈতিক সমস্যা।

    ০৫. প্রিয়জনের মৃত্যু অথবা কারুর দুঃখজনক পরিণতি ব্যাক্তিকে অর্থহীন, আশাহীন, জীবন সম্পর্কৈ ভীত করে তোলে।

    মনে রখতে হবে, ডিপ্রেশন একটি রোগ, চিকিৎসা করলে এটি ভালো হয়। রোগি সুস্থ-সামাজিক ও পারিবারিক জীবন ফিরে পায়।

    রোগি নিজে নিজে কিছু কাজ করে নিজেকে সাহায্য করতে পারেন:

    ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার। বন্ধুদের সাথে থাকতে হবে, একা একা থাকা বাদ দিতে হবে। বিশ্রামে এবং রিল্যাক্সে থাকতে হবে, আনন্দে থাকতে হবে।

    যাকে বিশ্বাস করা যায়, এমন একজন মানুষের সাথে মুখোমুখি কথা বলতে হবে। ভালোবাসার মানুষ তৈরি করতে হবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে হবে।

    বাইরে ঘোরাঘুরি করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট বাইরে হাঁটলে ডিপ্রেশন রোধ করা সম্ভব। রোদ মুডকে চাঙ্গা করে। কিছুক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করলেও উপকার পাওয়া যায়।

    যোগব্যায়াম, মেডিটেশন এবং মিউজিক ডিপ্রেশন রোধে ভালো ভূমিকা রাখে।

    বন্ধুরা, এ লেখার উদ্দেশ্য সরাসরি ডিপ্রেশন নিয়ে কোনো অ্যাকাডেমিক আলোচনা বা ব্যবস্থাপত্র দেয়া নয়। খোলামেলা আলোচনা করে আমি আসলে রোগটি সম্পর্কে কিছুটা প্রাথমিক ধারণা দিতে চেয়েছি, যাতে রোগ সনাক্তকরণে আমরা এ বৈশিষ্টগুলো কাজে লাগিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারি।

    -----------

    লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চিকিৎক
    http://archive-bn.newsnextbd.com/article184799.nnbd/
  • সিকি | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:০০380840
  • লেখাটা আর এগোবে না, অভি?
  • hu | 174.102.***.*** | ১৫ জুন ২০২০ ০৫:৩৯732154
  • তুলে দিলাম
  • অমিতাভ প্রামানিক | 89.163.***.*** | ১৫ জুন ২০২০ ১২:৫৭732158

  • বাবা, মাত্র একদিন হয়েছে, সোসাল মিডিয়া তো দেখছি ভরে গেছে ডিপ্রেশন চর্চায়, 
    কত জ্ঞ্যানীগুণী, বিশারদ, জ্ঞ্যানের ভান্ডার সব  উপচে পড়ছে, এরা লুকিয়ে ছিল কোথায়?

    দেখুন ওদেরই হয়তো আত্মীয় বা বন্ধু আছে প্রচন্ড মন কষ্টে বা দুশ্চিন্তায়,
    ওদের মানষিকতা - আমার কাজ জ্ঞ্যান দেওয়া, তাকে বুঝে তার সাথে কথা বলার সময় কোথায়?

    গুগুল জমানায় মানুষ আজকাল সবজান্তা, তাদের হাজার হাজার বন্ধু সোসাল মিডিয়ার দৌলতে,
    একান্নবর্তী পরিবারেই আগে ছিল গুগুল, বন্ধু, সব হারিয়েছে একালসেরামী চোটে আর মরীচিকার পেছনে দৌড়াতে।

    মানুষগুলো সব মুখোশধারী বাইরেটা সুন্দর ভেতরটা গরলে ভরা, 
    এদের কিছু একান্ত আলাপচারিতা  শুনলে বোঝা যায় এদের আসল চরিত্র, পারলাম কই বাঁচতে এদের ছারা? 

    দুএকজন দেখছি বলছে শিল্পী মানুষেরা একটু বেশী আবেগপ্রবন হয়,
    এরা মুস্টিমেয় কয়েকজন,  যারা মানুষের  মন বোঝার চেষ্টা করে, এরা বাকিদের মোতো নয়।

    অন্যকে দাবিয়ে, রাজনীতি করে, ল্যাং মারামারি  খেলে সবাই দৌড়চ্ছে এক অজানা গন্তব্যের দিকে,
    দৌড়চ্ছে,  কাদা মাখছে, ছুড়ছে, আরো নোংরামি করছে, নিজেকে খুব চালাক ভাবছে, আসল বন্ধু হারাচ্ছে এই ফাকে

  • Du | 47.184.***.*** | ১৫ জুন ২০২০ ১৯:৫৯732189
  • কোন রিসোর্স দেওয়া যাবে? ডাক্তারদের পাবে কি করে গুগল সার্চে? আসামে?
  • b | 14.139.***.*** | ১৫ জুন ২০২০ ২০:০৯732190
  • ক্লিনিকাল সাইকলজিস্ট সার্চ করে দেখুন। তেজপুরে বড় হসপিটালও আছে।
  • Du | 47.184.***.*** | ১৫ জুন ২০২০ ২০:২৭732191
  • থ্যন্ক্স
  • avi | 2409:4061:18a:af10:3698:7eab:8d29:***:*** | ১৬ জুন ২০২০ ১১:২১732219
  • লেখাটা এগোবে। আত্মহত্যা নিয়েই আগে একটু আলাদা করে লিখে রাখি। মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দিকগুলো উঠে আসছে, সেসব নিয়ে সব মিলিয়ে কী কী ভাবা হয়েছে একটু ডকুমেন্টেড থাক।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন