এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুক রিভিউ - কেন খুঁতখুঁতে হচ্ছি


    অন্যান্য | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৬২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:১৬380650
  • উদয়ন ঘোষ প্রসঙ্গে, নানা রেটিং আর রেকোর পার্থক্য আছে। তুমি ক রেস্তোরার ঘ মেনুটি আগে খাবে নাকি নানা ঘ রেস্তোরা র ক আইটেম টি আগে খাবে, সেই নিয়ে ডিসিশন ডিসিশন নিয়ে তুমি ভুগবে, ঠিক কোন শপিং মল থেকে কোন গ্রুপ অন ইউজ করে কোন ক্যাশব্যাক টি সহজে পাবে তার জন্য হল রেটিং, তেমন কোন ক্ষতি উদয়ন ঘোষ কমল কুমারের পরে পড়লে নেই, আগেই পড়লেও নেই। এমনকি এখনি সব না পড়ে ফেললেও নেই। রেকো মানুষ দিতেই পারে, ভাই দেখিশ অমুক কে আবিষ্কার করেছি, অ্যামেচার রিভিউ এর উদ্দেশ্য ই তাই, কারণ এটা বিপণনন এর সঙ্গে জড়িত না।

    সম্পাদক দের কাজ আগে ছিল কোয়ালিটি দেখা, এখন আলোচনার বিষয় গুলোর ক্যাটালোগিং এর কাজ এই সেল্ফ পাব্লিকেশন এর বাজারে, ক্যাটাগোরিকালি ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউয়ার এর। তাঁরা দেখতেন না তা না, তবে বড্ড ঘোঁট করতেন, তাই সব বই সবার কাছে পৌছতো না। সব লেখক সব ফোরাম পেতেন না। এখনো ফোরাম বানানো কোন ব্যাপার না। এবং প্রোগ্রেসিভ ক্যাটিগোরি গুলি ও বিচিত্র। ও আপনি দুজন স্বলপ পঠিত আনছেন, আমি তো তিনজন আনলাম, আপনি দুটি গে উপন্যাস বের করেছেন, আমার আবার নিম্ন বর্গ তিনটি। তো এই বিচিত্র কমোডিফিকেশন এর বাজারে খোঁজা পড়া সময় গুলো কে ফর্ম গুলোর পেছনের রেশনাল বোঝার চেষ্টা করার কোন স্থান নেই। আমরা হেরোর দলে। তবে সেটা কোন ইসু না। একজন লেখক কে প্রকাশকের কনভিকশনের উপরে ভর করে, প্রচুর মানুন্ষের কাছে পৌছে দেবার উদ্যম খারাপ না। কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্ট অপিনিয়ন ফর্মেশন এর গুরুত্ত্ব থাকবে না, যেটা প্রোডাকশান প্রমোশন প্রসেস থেকে ডিসোসিয়েটেড সেটা মানতে খারাপ লাগে। বাইশ হাত এর দেড়শো টি ঠাকুর দেখার তাড়া অবশ্য অনেকের ই নাই।

    আর পাঠ প্রতিক্রিয়া ক্যাজুয়াল হবে , অতএব যে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা হল সেটা নিয়ে আমার জেনেরাল বক্তব্য নাই, আমি কতগুলো তাৎঅক্ষণিক রিয়াকশন, নতুন লেখক নতুন বেশ অ্যাকসেসিবল প্রকাশক কে দেবার জন্য দিয়ে দিলাম ব্যাস আর কি চাপ ই নেই, ল্যাল্যাময় পৃথিবী ঃ-))) সাসটেন্ড অধ্যয়নের প্রয়োজন টাকেই স্বশিক্ষার শর্ত হিসেবে রাখা হল না। এই আর কি। এতে বিস্মিত হবার কি হল। তেরে পাস মা ভি হ্যায় বাংলা গাড়ি ভি হ্যায় ঃ-))))
  • dc | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৫৬380651
  • তবে চিক ফ্লিকও খারাপ কিছু না, যারা পড়ে তারা নিশ্চয়ই ভালো লাগে বলেই পড়ে। কেউ চিক ফ্লিক পড়ে, কেউ ফরসাইথ পড়ে, কেউ নেরুদা পড়ে। পসন্দ আপনা আপনা।
  • ন্যাড়া | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:১২380652
  • আমি খনুর সঙ্গে একমত। বইয়ের রেটিং না থাকাই ভাল। রিভিউ না হলে আরও ভাল। ওগুলোর জন্যে লোকে বেছে বেছে ভাল বই পড়ে। সবাই শুধু ভাল বই পড়লে খারাপ বই কারা পড়বে? তাছাড়া উৎসাহভরে একটা বই পড়তে শুরু করে একটু পরে 'zaসসেতাই' বলে ছুঁড়ে ফেলার মধ্যে যে মুক্তির আনন্দ সে আনন্দ থেকে অন্যদের বঞ্চিত করার কোন মানেই হয়না।
  • dc | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:১৮380653
  • তা ঠিক :d
  • S | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৪২380654
  • অনেকটা এইরকমঃ
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:২৫380655
  • ডেলিবারেটলি কথা ঘোরানো হচ্ছে। প্রথমত কোন বই হাই ব্রাউ লো ব্রাউ সেটা আলোচনা হচ্ছিল না, বিবিসির সামার রিডিং এর লিস্টে র উদা দেওয়া হয়েছিল বিপণন এর সঙ্গে জড়িত রেকোমেন্ডেশন এর উদা হিসেবে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ তার বিপরীতে অবস্থান ক‍রে। আর দ্বিতীয় কথা হল, প্রোডক্ট রেকোর মত ডাইরেক্ট রেকো ঠিক বুক রিভিউ এর উদ্দেশ্য হবার কথা না, বিষয়ালোচনা তে কন্ট্রিবিউট করাটাই উদ্দেশ্য।
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:২৯380656
  • এবং এব‍্যাপারে বড় রিভিউ জার্নালে র সীমা বদ্ধতা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ য়ার এর সে লস সাইকেলের বাইরের সম্ভাব‍্য ভূমিকা র কথা আগেই বলা হয়েছে।
  • T | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৪380657
  • হ্যাঁ, বক্তব্যটা বুঝেছি। এখন কথা হ'ল খনুদা য্যামন ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ খুঁজছে তার স্বাভাবিক চরিত্রই হচ্চে পরশপাথর মাফিক। বিষয়ালোচনাতে কন্ট্রিবিউট তো সবাই করতে পারে না, এটা বাজারজাত হওয়ারও কথা না, রোজকার হরলিকস এমনি এমনি বা রেকোমেন্ডেড ভাবে কিছু লোকে তো খাবে ঃ)। তো, ঐ সূচের অস্তিত্ব মানতে গেলে খড়ের গাদার অবস্থানও ধরতে হবে। প্রকৃত ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউ তার নিজগুণেই স্পার্সড হিসেবে থাকার কথা, যা কিনা খুঁজেপেতে বার কত্তে হবে। এর মধ্যে প্রাতিষ্টানিকতা কিছুতেই আসতে পারে না। ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিউয়াররা সেই বনের মোষটি যতক্ষণ তাড়িয়ে যাবেন ততদিন অবদি আর কী।

    আর এই তাৎক্ষণিক পাঠপ্রতিক্রিয়া ব্যাপারটা ঐ গুচ্ছ ফুলকপি খাওয়ার পরের অবস্থার মতন দাঁড়িয়েচে। সে আর কী করা যাবে। সোশ্যাল মিডিয়া স্বাভাবিক জৈব ক্রিয়াকে হাইলাইট কত্তে শিখিয়েচে যখন ঃ)
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:০৩380658
  • আসলে আমার মূল এম্ফাসিস ছিল অধ্যয়নের চর্চার উপরে। স্বশিক্ষিত বা অন্য বিষয়ে স্বশিক্ষিত অথচ আলোচ্য বিষয়ে আগ্রহী চর্চা আর প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় চর্চার মধ্যে , ব্যক্তি নিরপেক্ষে ন্যুনতম মানের পার্থক্য একেবারেই বাতাসে উড়ে যেতে পারে, বস্তুত ব্যক্তিগত উদ্যোগে চর্চা অনেক সৃষ্টিশীল হতে পারে, যদি সাস্টেন্ড অধ্যয়নএর প্রয়োজনীয়তা টা মানুষেরা স্বীকার করেন। তো সেই স্বীকৃতির কোন লক্ষন নেই। পাঠপ্রতিক্রিয়ার নামে যা আসছে, সেটা সেই টিনের তলোয়ার এর বেণীমাধবের করা রিফরমেশন পন্থী প্রিয়নাথ মল্লিকের নাটক না পড়েই করা অমর উক্তিটির কাছাকাছি, এগজ্যাক্ট মনে নেই, -- প্রথম অংকের গতি যদিও শ্লথ, তৃতীয় অংকের শেষ দৃশ্য থেকে নাটকের গতি যথাযথ (সব নাটকেই তাই হয়)-- ইত্যাদি । পরে দ্যাখা গেল নাটকে অংক / দৃশ্য কিসুই নেই ঃ-)))
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৬380660
  • ১৩ মিনিট এর পর থেকে তবে গোটাটাই শোনা যেতে পারে
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:০৯380661
  • খ দার রেটিং এ আপত্তিটা ঠিক বুঝলাম না। মানুষ অবধি রেটিং এর মধ্যে আসছে, (অ্যানুয়াল অ্যাপ্রেইজালের সময় তো এসেই গেছে) আর বইয়ের রেটিং দিলে অসুবিধে? খ দা কি জিন্দেগিতে রেটিং পান/দ্যান নাই?

    রেটিং এর লিমিটেশন আছে মানছি, কিন্তু সেতো রিভিউয়ের ও অনেক লিমিটেশন আছে, থাকে। আর গ্যাজেট হলে তাকে রেটিং দেওয়া জায়েজ, বই হলে না? এর মধ্যেও কনজিউমারিজম?
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৬380662
  • এই অ্যানুয়াল অ্যাপ্রাইজালটা কাল আমি লিখতে গিয়ে লিখিনি :-)
  • dc | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫৫380663
  • ইয়ে আমিও একটা স্বীকারোক্তি করেই ফেলি - খ দা এই টইতে কি লিখেছে আমি তার কিস্যু বুঝিনি। মানে প্রথম থেকেই বুঝিনি।
  • de | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০০380664
  • আশ্চর্য্যজনক ভাবে এইবার আমি পুরোটাই বুঝেছি আর বেশ সহমতও হয়েচি -
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৮380665
  • দে দি, একটা ভাবসংক্ষেপ পাওয়া যাবে?
  • | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৩৪380666
  • আসলে বিষয়টা কে আলোচনার যোগ্য মনে না করলে বোঝা কঠিন। আর তাছাড়া না বুঝলেও চলে মাইরি। বুক রিভিউ জিনিসটা, পাঠ প্রতিক্রিয়া জিনিসটা দুটো ই আলোচ্য পুস্তকে র বিষয় বস্তুর জন্য সংযোজন হয়ে উঠতে পারে, জ্ঞানচর্চায় একটা কন্টিনিউইটি থাকতে পারে এটা তেমন ইম্পর্টান্ট কোন বিষয় না, দ্রব্যাদি বিপণনের নতুন প্রযুক্তির মত।

    প্রথমতঃ যা ব্যাপক ভাবে চলে, সেটাই খুব গ্রহণযোগ্য কিনা, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। মানে এটা বেসিক। প্রশ্নহীন কনফর্মিটি নিয়ে কোথাও কখনো কোন সমস্যা না থাকলে এটাকে প্রবলেমেটাইজ করাটাই মুশকিল।

    ফের ফিরতি একটু এইচ আর রেটিং বস্তুটা দেখা যাক। প্রাইভেট সেকটর এর ট্যালেন্ট টানার ক্ষেত্রে প্রধান ইউ এস পি টা কি, ভাই ট্যালেন্টেড হলে, তোমার গ্রোথ কেউ আটকাতে পারবে না, সরকারি ডি এ ঘোষণা র জন্য বসে থাকতে হবে না, সরকারি কর্মজীবনের মেয়াদ ভিত্তিক গ্রোথ এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, যাঁদের তেমন ট্যালেন্টেড ট্যালেন্টেড দেখতে না, তাঁদের সংগে মুড়ি মিছরি দর এক হবে না। প্রাইভেট সেকটর তোমারে বিষেশ , শুধু তোমারি জন্য একটা গ্রোথ পাথ তৈরী করে দেবে। এবার বড় কোম্পানীর রেটিং এর ব্যবস্থা টার মূল উদ্দেশ্যটা কি, কেরিয়ার পাথ নিরপেক্ষে , যেন কর্মীর জন্য কোং এর খরচার খুব বেশি হেরফের না হয়। আর গ্রোথ প্যাটার্নেও জানি খুব বেশি এদিক ওদিক না হয়, তাহলে প্রতিযোগিতা রইল কোথায়, পরের রেটিং টা কোন মতে পাওয়ায়, সেটা কেন অনেকের হবে না, কারণ হুঁ হুঁ বাবা নানা ধরণের ফিটমেন্ট কার্ভ আছে। ইত্যাদি। অবশ্যই প্রচুর এদিক ওদিক আছে। কিন্তু এটাই মূল কথা।

    তো আগের প্যারার দুটো অংশের মধ্যে পার্থকয় কিসে রইলো, এক হল প্রাইভেট আর পাবলিক সেকটর সংক্রান্ত পলিসি এনভায়রন মেন্ট জনিত গ্রোথ ইত্যাদির চেহারা। সেটা র সঙ্গে ইন্ডিভিজুয়াল এর সম্পর্ক নাই। তেলের কোম্পানী তে রেল কোম্পানীর থেকে বেশি গ্রোথ হবে। আর কি রইলো , পার্থক্য, বিশেষ না, ঐ ট্যালেন্টেড ট্যালেন্টেড চেহারা ছাড়া।

    তো রেটিং জিনিস্টার মূল উদ্দেশ্য হল, কোয়ালিটি কে, বিক্রয়যোগ্যতাকে, বিপনন যোগ্যতাকে মেজারেবল করা, এবং আরো বড় কথা স্কেল টাকে ক্রমশ হোমোজেনাইজ করা। সেই জন্যেই রেটিং টা মানুষের ক্ষেত্রে, বিচিত্র এইচ আর ময় পৃথিবী তে , জোর করে নানা অজুহাতে নিয়োজিত হলেও (রেটিং নিয়ে একটা কোম্পানীর একটা বছর দেখান একটা বড় অংশের লোক খুশি, ইহাকে অলঙ্ঘ্য ভাবার কারণ কি?) , বই য়ের ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ট হছে না, তাই কালচার ক্যাটিগোরি এসেছে। টলস্টয় আর চিক ফ্লিক কে একই ক্যাটিগোরি তে আনা যাবে না, এটা মার্কেটিং জিনিয়াস জানে, তাই কনটেম্পোরারি করে তোলার নামে নানা বিপণনের সুবিধার্থে ক্যাটিগোরাইজেশন চলছে।

    এই আলোচনায় যেটা সবচেয়ে দুঃখের সেটা হল, যা চলছে , যা ব্যাপক ভাবে চলছে, তাকেই অলংঘ্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, তা সে গুড রিড ই হোক আর এইচ আর রেটিং হোক। বই শুধু না মানুষের মান অবদান প্রভৃতি নিরুপণে শেষ কথা ধরা হচ্ছে, অথচ খ্যাল করা হচ্ছে না, এই যে হোমোজিনাইজেশন এর সুবিধে ,সেটাতে ক্ষমতার তারতম্যে কার সুবিধে। এটা তে যে দু পয়হা খচ্চা করতে হল এটাই আশচর্য্যের।

    বই জার্নাল একটা ইউনিক জিনিশ। প্রকৃতি সম্পর্কে, সমাজ সম্পর্কে, রাষ্ট্র সম্পর্কে হিউম্যান এক্সপেরিয়েন্সের এক টা বা একাধিক অ্যাবস্ট্রাকশন। তো বই যদি হয় কমেন্ট অন হিউম্যান কন্ডিশন, এবং তার একটা কালাতিক্রম্য কন্টিনিউইটি, তাইলে সেই আলোচনায় ইন্ডিভিজুয়াল পাঠক কেন অংশ্গ্রহণ করবে না, শুধুই কেন কিনে পড়ে ফেলবে শুধু পরের টা পড়তে পারার জন্য এটা পরিষ্কার না। বুক রিভিউ বা পাঠ প্রত্রিক্রিয়া কে কেন তার একটা পদ্ধতি হিসেবে দেখা যাবে না সেটাই প্রশ্ন। পুস্তক লেখক , প্রকাশক, মুদ্রক, শিল্পী, বিক্রেতা , পরিবেশক, প্রত্যেকের একটা স্বার্থ রয়েছে একটা বই এর বিপণন ভালো হবার। কিন্তু সেই সাপ্লাই চেন টার নিজস্ব ব্যবসায়িক, কমারশিয়াল , টেঁকার তাগিদ থেকে বেরিয়ে, ডিসোসিয়েটেড ইন্ডিভিজুয়াল হিসেবে একজন স্বশিক্ষিত পাঠক কেন আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, শুধু পরের বিপণনন টায় সুবিধে করে দেওয়া ছাড়া তার কেন আর কোন ভূমিকা থাকবে না , সেটাই আশ্চর্য্যের। স্বশিক্ষিত , সাংস্কৃতিক আকাদেমিক প্রতিষ্ঠানের বাইরের লোকজন যদি নিজেদের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে গর্বই অনুভব করেন, তাহলে সামান্য সাসটেন্ড অধ্যয়ন দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ টাকে অর্থপূর্ণ করা যাবে না, কেন। বই তো কন্ডোম না, পরেরটা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া তাকে নিয়ে আর কোন উত্তেজনার কারণ নাই !!!!! নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ রেঁদের রেটিং কে করবে, রেটিং এ কি আসে যায়। যে চর্চার মধ্যে নেই, তার রেটিং লাগে। তাও যদি তাড়া থাকে, পরীক্ষায় পাশ দেবার থাকে। কি এসে যায় সমস্ত ভালো বই কনজিউম না করা হলে, যা পড়ছি, সেটার আলোচ্য বিষয়ে যদি পার্টিসিপেট ই না করতে পারি। যে ধরণের প্রশ্ন উঠেছে এই টই, এ মাইরি আমার তাক লেগে গেছে, ভাবি ই নি এই প্রশ্ন আসবে বা এই পণ্যের বাজারের প্রশ্নহীনতা আমাদের গ্রাস করেছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।
  • de | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৯380667
  • আজকালকার পোলাপানদের সবকিছুতেই সামারি -
    বইয়ের রেটিং, সিনেমার এক প্যারা রিভিউ, বইয়ের চাল্লাইন রিভিউ, হানুদার লেখার সামারি ঃ))
  • de | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:২২380668
  • বলরামের সন্দেশ, ভীমনাগের জলভরা, কে সি দাশের রসগোল্লা - এর তো সামরি হয় না শঙ্খ, খেয়ে বুঝতে হবে ঃ))
  • বাইক্য | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৯380669
  • বাইক্যাতীত বইলা কিসু নাই। সকলই বাইক্যাধীন
  • dc | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৫380671
  • হুম, ভেবে দেখলাম বই তো সারা জীবনে মোটামুটি কম পড়ি নি, কিন্তু রিভিউ আজ আবধি একটাও লিখিনি। একটা দুটো রিভিউ হয়তো লেখা যায়, কিন্তু কিসের রিভিউ লিখবো ভাবতে গিয়ে মনে হল আমার লাইফের সেরা বই কোনটা? ডে অফ দ্য জ্যাকাল নাকি বোর্ন আইডেনটিটি? প্রচন্ড টাফ চয়েস, একটাকে ছেড়ে আরেকটা বাছা মানে জীবনের একটা পর্ব ছেড়ে আরেকটা বাছা। অন্যদিকে চয়েস হলো রন্দেভু উইথ রামা নাকি কনসিডার ফ্লেবাস - কোনটা আমার জীবনে পড়া সেরা বই? আর সবার আগে আছে সিলম্যারিলিয়্ন, নাকি নিউরোম্যান্সার? কোনটা ছেড়ে কোনটার রিভিউ লিখবো?
  • dc | ***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৯380672
  • টিংকার টেলার সোলজার স্পাই বাদ দিয়ে ফেলেছি! বোঝ অবস্থা।
  • বাজে রিভিউ | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৭380673
  • যাদের সময় আছে তাদের রেটিং দেখতে হবে কেন? বা প্রভাবিত হতে হবে কেন? যাদের আবিষ্কারের সময় ও নেশা আছে তারা সময় নিয়ে বই বের করে পড়ুক, মিশিকু কাকুতানির বুকুনিতে প্রভাবিত না হয়ে। আমি যে বিষয়ে কিস্যু জানি না সেখানে রেটিং ছাড়া কে ই বা অন্ধজনে আলো দেবে? আবার ম্যাল্কম গ্ল্যাডুইল পাঁচটা বইকে ভাল বল্লেই আমার তো পাঁচটা পড়ার সময় হয়ে যাবে না - সংসার প্রতিপালনার্থে কৃচ্ছসাধনের ব্যাপার আছে! তখন আমার ইন্টারেষ্ট, বাজারের খবর ও রেটিং কিং - সব মিলিয়ে যাকে বাগদত্তা করা সম্ভব , সে ই জিতবে!

    ডেলিবারেটলি একটু কথা ঘোরাই। কাকুতানি কে একটু গুগুল করে পাওয়া গেল - "someone has to have read the book to notice that a reviewer is full of baloney, so in the absence of skin in the game, reviewers such as Michiko Kakutani"
    উনি কিন্তু বিস্তর পার্টি করেন, গোপন খবর!
  • Atoz | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:০৩380674
  • আর চিঙ্গিজ আইৎমাতভ? তাঁর লেখার কথা কে বলবে?
  • dc | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০২380675
  • বই আবিষ্কারের আনন্দ সত্যিই অসাধারন। যার জন্য সুযোগ পেলেই বুকস্টোরে ঢুকে বই নেড়েচেড়ে দেখি, পড়ার মতো নতুন স্পাই থ্রিলার কিছু পাওয়া যায় কিনা।
  • সৈকত | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৫380676
  • ডিসিবাবু তো লে কার-কে নিয়ে একটা পোবোন্ধো নামাতে পারেন। সেই প্রথম বই থেকে শুরু করে, 'ম্যান হু কেম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড' ছুঁয়ে, শেষের দিকের 'আ ম্যান মোস্ট ওয়ান্টেড' আর 'ম্যান হু কেম ইন ফ্রম দ্য কোল্ড' -এর সিকোয়েলকে নিয়ে, মাঝখানে টিংকার টেলর আর 'আ পার্ফেক্ট স্পাই'-কে গুঁজে দিয়ে , 'পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি ও জিওপলিটিক্স - জন লে কারের থ্রিলার সাহিত্য' এইরকম নামের একটা পোবোন্ধো দাবী করি। ঃ-)
  • de | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৪৭380677
  • সমর্থন -সমর্থন -

    ডিসি - স্পাই থ্রিলার নিয়ে ভালো করে লিখুন দেখি - আমরা ফাইভ স্টার রেটিং দোবো -
  • dc | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:০১380678
  • দেখি তাহলে সময় পেলে লে কার সমগ্র রিভিউ লিখবো
  • | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৪৬380679
  • চার হাত পা তুলে সমর্থন। কিন্তু ডিসি বড় আলসে, কর্তৃপক্ষ এদিকে একটু নজর দিলে ভাল হয়।
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:১৪380680
  • আমারও দাবি/সমর্থন ইত্যাদি রইলো। শুভস্য শ্রীঘ্রম।
  • হমম | ***:*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:১১380682
  • সত্তরের স্বপ্ন এবং তারপর

    প্রবল বর্ষণে বা প্রখর রোদে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর হেলায় পড়ে থাকা জমির বুকে কেউ না কেউ ফের সবুজের আলপনা আঁকতে এগিয়ে আসে। এগিয়ে আসতেই হয় কেন না তাগিদ, পেটের তাগিদ, তা থেকেই মনের তাগিদ! সত্তর দশককে মুক্তির দশকে পরিণত করা যায়নি। অনেকেই ভাবে, ‘সব শেষ হয়ে গেছ।’ কিন্তু, তার পরেও অনেকেই ফের সেই সব অধরা স্বপ্নকেই বুনে চলার সৎ-সাহস বা দুঃসাহস দেখিয়েছে এবং দেখিয়েই চলেছে। সে রকমই এক স্বপ্ন-সন্ধানী আলোচ্য বইয়ে তুলে ধরেছেন উত্তর-সত্তর-কালে তাঁর এবং তাঁর মতো মানুষদের প্রস্তুতি-ব্যর্থতা এবং ফের স্বপ্ন দেখার কথা।

    তক্কোগুলি, চরিতাবলী ও আখ্যানসমূহ কল্লোল। গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনা। ১৫০ টাকা

    --------------

    কিন্তু এইসময়ের গদ্যকবিতা / লং হাইকু টাইপ জিনিস থেকে কল্লোকদার বইটা সম্বন্ধে কিছু জানা গেল কী? ধোঁয়াশা সৃষ্টির কী কোনো লিমিট থাকা উচিত? খ বাবু কী বলেন?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন