বাংলা সঙ্গীতে উমা বসু'র নাম আজ অনেকটাই প্রতিপদের চাঁদের মতন। 'আকাশের চাঁদ মাটির ফুলেতে ', 'চাঁদ কহে চামেলি গো', 'রূপে গন্ধে বর্ণে ', ' ও আমার মন ভোলানো ' 'কানহা মুরলিওয়ালে নন্দকে লালে', 'নীল পরী' এই গানগুলোর সঙ্গে যার গলা সিগনেচর টিউন হয়ে আছে, সেই উমা বসুর নাম আজ কজনার জানা! এই অসামান্য প্রতিভাময়ী গায়িকার উপস্থিতি অনেকটা উল্কার মতন। উমা যেন জ্বলে উঠেই নিভে গেলেন। কাঁটায় কাঁটায় একুশ বছরের জীবন এবং ছয় বছরের কম সময়ের সঙ্গীত জীবন। অথচ এই স্বল্প সময়ে উমা বসু বাংলার সংগীত জগতে একটি নক্ষত্র হয়েছিলেন। তার গানে মাতোয়ারা বাংলার সঙ্গীত প্রেমী। গান্ধী তার নামকরণ করলেন 'বাংলার বুলবুল'।
১৯৩৬ এ পনেরো বছর বয়েসে প্রথম রেকর্ড। এরপরে পাঁচ বছর আরও অনেক রেকর্ড বেরুল। সমান দক্ষতার সঙ্গে উমা আধুনিক সুরকারদের গান, রাগ প্রধান গান, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্র গীতি, কবি জসিমুদ্দিন, ভজন, রবীন্দ্রসংগীত এবং গুরু দিলীপ কুমার রায়ের গান গাইতেন।
নিজের জন্মদিনেই উমা বসু চলে যান। সেদিন তাঁর সঙ্গীত গুরু দিলীপ কুমার রায়েও জন্মদিন।
কালের এই ত্রহস্পর্শ স্মরণে রেখে 'গানে গল্পে কথায় সুরে' র আমরা কয়েকজন, ২২ জানুয়ারি ২০২১ সন্ধ্যে সাতটায় একটি আন্তর্জালিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি ।
' জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে'
সঙ্গীতেঃ সৃজন ভট্টাচার্য, মালিনী ভট্টাচার্য, সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য, সিলভিয়া চৌধুরী ও প্রীতি মণ্ডল। তবলায় অভী ভট্টাচার্য ।
ভাষ্যপাঠ ও গ্রন্থনাঃ অভিষেক রায় (অর্জুন)
সকলের রইল আমন্ত্রণ।