এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩৬380118
  • 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল'--দক্ষিণ কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি রোমান্টিক থ্রিলার। প্রকাশক গুরুচণ্ডালি। ১৩ই অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল।

    কেউ কেউ পড়বার পর তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। সেগুলো এখানে তুলে রাখা হল।
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩৭380129
  • শাক্যজিতের 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' পুজোর ছুটির একটি রাত জাগিয়ে রাখতে পারল। এই লেখা পড়ার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। মূলত 18-22 বছরের বাম ছাত্র রাজনীতির আবহে রচিত এ-উপন্যাস দ্বিধাবিভক্ত বাম রাজনীতির সমসময়কে তুলে ধরছে, ঠিক সেই সময়ে, যখন রাজনৈতিক ঝাঁজ কম, অথচ মৃদু উত্তাপে গা সেঁকে নিতে কেউ কেউ আগ্রহী।
    দুই শিবিরের দুই কর্মীর প্রেমের সম্ভাব্যতা বিচার্য ততটা নয়, কারণ ভীষণ অসম্ভব দুই মানুষ মানুষীর প্রেম বাস্তবেই সম্ভব। মডার্ন হাইয়ের মেয়ে বর্ধমানের সরকারি স্কুলের একজনের প্রেমে পড়তেই পারে। এখানে লেখক কৌশলে রাজনৈতিক আখ্যানে প্রেমটিকে ব্যবহার করেছেন। পারস্পরিক অবিশ্বাস, মিডিয়া ট্রায়াল ও সমসময়ের অসহিষ্ণুতা লেখায় ফুটেছেও ভালো। কিন্তু, প্রশ্ন হলো, দুই দলের ছাত্র নেতার মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া কি এতটা বিশ্বাসযোগ্য? বিশেষ করে এই বোঝাপড়াতেই যেন উপন্যাস ক্লাইম্যাক্স পায়।
    হয়তো এরকম অন্তর্লীন বোঝাপড়া লেখকের নিজের কোনো বিশ্বাসবোধ- জারিত। যা হতে পারে বা হতে পারত নয়, যা হওয়া উচিত। এই ঔচিত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস মনে পড়লো। বিবাহবার্ষিকী ও শোকমিছিল নামক দুটি উপন্যাসেই ভারতবর্ষের বামপন্থী দলের ভাগ হয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর লেখায় এক ধরনের দ্বিধা ছিল, আর ছিল রাজনৈতিক ঔচিত্যবোধ।

    তাই লেখক গ্রেসমার্ক নয়, যোগ্যতাতেই মার্কা পাবেন, বিশেষত রাজনৈতিক উপন্যাস, কে না জানে, আসলে উদ্দেশ্যমূলক। এক ধরণের নীতিকথা না থাকলেও মূল্যবোধ সব রাজনীতিরই, ছাত্র রাজনীতিরও চালিকা শক্তি।
    তাই কুরবানী অথবা কার্নিভ্যাল অবশ্যপাঠ্য।

    ---কৌশিক ঘোষ
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩৮380134
  • বইটা উদ্বোধনের দিনেই হাতে পেয়েছিলাম । দুদিন ধরে তুমুল ব্যস্ততায় পড়া হয়ে ওঠেনি । আজকেই শুরু করেছিলাম এবং একবারে শেষ করলাম । ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বাংলায় উপন্যাস খুব কমই আছে । অন্তত আমি হাতে গোনা কয়েকটি উপন্যাসই পড়েছি ছাত্র রাজনীতি নিয়ে । শাক্যদার নতুন বই "কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল" পড়ার জন্য সেকারণেই বেশ উৎসাহ ছিলো । উপন্যাসের প্লটটিও বেশ জব্বর । যাদবপুর থেকে এক সক্রিয় ছাত্রকর্মী উধাও । সেই নিয়ে নানা মতাদর্শের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে টানাপোড়ন এবং ভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের প্রেম নিয়েই "কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল" । লেখকের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক চিন্তার জন্য এ লেখার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে খানিক প্রশ্ন তোলায় যায় ; কিন্তু মানুষ হিসাবে প্রত্যেকের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকার থাকায় ; সেই প্রসঙ্গে না যাওয়াই ভালো । প্রশ্ন অন্য জায়গায় । ছাত্র রাজনীতি নিয়ে গল্প ; দেশের বর্তমান রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট শক্তির মাথাচাড়া দেওয়া এবং তার প্রভাব যেন এলোও গল্পে ; কিন্তু এসেও হঠাৎ মিলিয়ে গেলো । ছাত্র রাজনীতি নিয়ে লেখায় প্রেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । কিন্তু এই সময়ে সবকিছু বাজি রেখে রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়া মানুষদেরও দেখা যায় । মানে ; সমাজ পাল্টে ফেলবো , দরকারে জীবন দিয়ে দেবো - এরকম চিন্তাভাবনাও অনেকের মধ্যে থাকে । সেটা পাওয়া গেলো না উপন্যাসে । গল্পটা শেষমেষ প্রেমের গল্প হয়েই রয়ে গেলো । লেখক অবশ্য বলেইছেন এ গল্প নিতান্ত প্রেমের গল্পও হতে পারতো । যদিও এসবের পরেও একটি বড়ো ভুল চোখে পড়েছে লেখায় । অতীতের ঘটনার বর্ণনায় চরিত্রদের বাক্যালাপের মধ্যে বর্তমানে ঘটা ঘটনা চলে এসেছে । এটা খুব সম্ভবত ওখানে না থাকারই কথা ছিলো ।

    শাক্যদার লেখা বরাবরের মতো এবারেও ঝরঝরে । একবার ধরে গোটা বই শেষ করে দেওয়া যায় । পারিপার্শ্বিকের বর্ণনাও বেশ সুন্দর । যদিও কিছু প্রশ্নের উত্তর অজানা থেকে যায় উপন্যাস শেষ হওয়ার পরেও । সেগুলো না হয় লেখককে সামনাসামনি জিজ্ঞাসা করে নেওয়া যাবে । আর কিছু হোক না হোক না হোক ছাত্র রাজনীতির রোমান্টিসিজমটা পাওয়া যাবে এই লেখাতে । মিষ্টি প্রেমের সিকোয়েন্স পাওয়া যাবে । যাই হোক , কেউ তো লিখেছে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে । পড়েই ফেলুন একবার "কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল" ।

    ---লিখেছেন সব্যসাচী মুখার্জি
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩৯380135
  • পুজো শেষ। অতএব মন খারাপ। সেই মনখারাপের উপশম বই ছাড়া আর কিই বা হতে পারে! তারপর যদি সেই বই আমাকে নিয়ে পাড়ি দেয় আমারই ফেলে আসা অতীতে তাহলে তো সেটা ২ ঘন্টায় শেষ করে ফেলতে কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। নস্টালজিয়ার উড়ান ধরি। ফেলে আসা বিকেলগুলো আবার চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে। কলেজের ক্লাসরুম, ইউনিয়ন রুম, আড্ডা, দেড় টাকার স্পেশাল, এস এফ আই, মিছিল, স্লোগান, রাজনীতি, ভোট, লাল পতাকা, লবি, প্রেম, লেঙ্গি-সব কিছুই কিরম চোখের সামনে 'বুন্ডক সেইন্টস' এর স্টাইলে ঘোরাফেরা করতে থাকে। আমি বসে পড়তে থাকি আর দেবুদা, শ্রমনা, অনি, তুলিকা, জাভেদ, উদিত, প্রমিতদারা নিজের অজান্তেই হয়ে ওঠে আমারই দাদা, ভাই, বন্ধু, ছক, প্রেমিকা ইত্যাদি।

    সংগঠন করাটা আমার বরাবরের ইচ্ছা ছিল। একটা সময়ের পর সেই ইচ্ছাটা কুরবানী দিতে হয়েছে দায়িত্ব, সংসার এসবেরই চক্করে পড়ে। তবু যখন সেইদিনগুলোয় ফিরে যাওয়া থাকে, তখন সেই ইচ্ছেরা আবারো মাথাচাড়া দেয় বৈকি। শাক্য দা যেভাবে প্রতিটা ডিটেলস ন্যারেট করেছে তাতে যারা কোনোদিন যাদবপুর চোখে দেখেনি তারাও যাদবপুর এবং তার আশেপাশের অঞ্চলটা চোখ বন্ধ করে চিনে নিতে পারবে। বাকি গল্প নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। আমার ধারণা গল্পটার সাথে সবাই কোনো না কোনো ভাবে রিলেট করতে পারবেই। ভীষণ চেনা গন্ধ রয়েছে। আর অচেনা ছক। এটা হতে পারতো প্রেমের গল্প, হতে পারতো রাজনীতিরও, কিংবা অনেক 'কুরবানী'র, কিংবা আরো অন্যকিছুর। সেসব একদম চেনা ছক ভেঙে 'কুরবানী অথবা কার্নিভাল' যে আসলে কতটা আলাদা, এবং তা সত্ত্বেও কাছের সেটা জানতে হলে বইটা পড়া ছাড়া অন্য কি অপশনই বা থাকতে পারে!

    ---লিখেছেন সৌম্য চট্টোপাধ্যায়
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৪০380136
  • (এই চিঠিটা, লেখক শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করেই লিখছি। কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে লেখককে পাব না। আমি ফেসবুকে নেই। তাই আশা করি, এইটুকু পৌঁছে যাবে। গুরুচন্ডা৯কে ধন্যবাদ এই বইয়ের জন্য।)

    কমরেড,

    স্বভাবের নিয়মে অভিনন্দন চিঠির শেষে থাকে। কিন্তু মেইল পাঠানোর সময় দেখলেই বুঝবেন, কী প্রচন্ডভাবে হাতটা ধরতে চাওয়ার তাড়নায় এই মেইল। তাই, অলক্ষ্যে, 'শতদ্রু'র হাতের মত, প্রথমেই ছুঁয়ে দিলাম।

    অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায়, ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিল। অন্তত সিপিএম বাবাকে পাঠানো চিঠির যে অভিমান, আমাদের পার্টি পরিবৃত্তের আনাচে কানাচে থাকে, ঠিক তার পরের পর্ব থেকে যেন কুরবানি অথবা কার্নিভাল।

    এই লেখার কাছে পৌঁছে যাওয়ার একটা পুর্বকথা আছে। আমি কলকাতার মানুষ, কিন্তু পড়াশোনার কোনো পর্বেই যাদবপুরের সাথে কোনো সংযোগ নেই। ওই চত্বরে বন্ধুজন আছেন, ছিলেন। তাও, চিনিনা বিশেষ কিছুই। এবার পুজোয়, তাই এই বইয়ের খোঁজে যখন যাদবপুর কফি হাউসের নিচে এদিক ওদিক দেখছি, বুকস্টল আছে কি কিছু? একদিকে পার্টির বুকস্টল, আর তার কয়েক হাত দূরত্বে এ আই এস এ (আইসা)-র স্টল চোখে পড়ল। প্রায় গায়ে গায়ে। বইখানা, পার্টি স্টল থেকে নিয়ে বেরিয়ে ব্যাগে ভরছি, আর আইসা টেবিল থেকে দেখলাম, একটি ছেলে, চেয়ে আছে। ব্যাগের দিকে, বইয়ের দিকে। আর বইটা শেষ করার পর, বারবার, প্রমিত আর দেবুর মাঝখানে এই দুটো স্টলের দূরত্বের তফাৎ, আর একে অন্যের ব্যাগের দিকে দ্বিধায়, চিন্তায়, আশ্রয়ে তাকানোর কথা আমায় যাদবপুর নামের একটা দ্বীপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    যে দ্বীপের নাম হয়তো জে এন ইউ, হয়তো হায়দ্রাবাদ, কিংবা হয়তো সমস্ত কমিউন। যা গভীর আঁধার দিনে এখনো রাত জেগে হাতে হাতে লিখে ফেলতে ব'লে আজকের বিক্ষোভ। আপনাকে কুর্নিশ, এই সময়ের কমিউনকে ডকুমেন্ট করার জন্য।

    না, কোনো মায়ার নস্টালজিয়া নয়। এই উপন্যাস ভাল লেগেছে এই উপন্যাসের রাজনীতির জন্য। দক্ষিণপন্থী আগ্রাসনের সময়ে, হাতে হাত রাখার কথা বলার জন্য। আর ভীষণভাবে মানিকবাবুর, সেই লাইনের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য, যেখানে প্রতিটি উদিত, 'মুখোশপরা বুদ্ধিজীবি জীব'।

    আর আপনার লেখায়, মরে যাওয়া মফস্বলের যে ভূত, তাড়া করে সাউথ সিটির কলকাতাকে। যে রাস্তায় রিফিউজি কলোনির লেনিন, রাত্রে হাঁটেন। ঠিক সেইখানে, সেই পুরোনো ছায়া পড়া বেঞ্চগুলোতে, আমাদের সময়ের 'শ্রীতমা-অনি' দিনগুলো সযত্নে রইল।

    আর উটের জন্য, ঐ চিৎকারের মানে, হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই নয় হয়তো।

    কারণটা ঐ জয়দেব বসু।

    'মনকে বলো, হ্যাঁ। তবু হ্যাঁ।'

    ভালবাসা আর মুঠোহাত রইল একসাথে।

    ইতি,
    সোহম ভট্টাচার্য।
  • কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল | ***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৪৪380137
  • 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল'--দক্ষিণ কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি রোমান্টিক থ্রিলার।
    লেখক--শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্য
    প্রকাশক গুরুচণ্ডালি।

    উপন্যাসটি ১৩ই অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল। অনেকে জানতে চাইছেন কোথায় পাওয়া যাবে। এখানে লিখে দেওয়া হল ।

    ১। অনলাইনে কিনতে চাইলে collegestreet.net থেকে পাওয়া যাবে। লিংক

    https://www.collegestreet.net/index.php?route=product/product&product_id=1891

    ২। দক্ষিণ কলকাতায় দ্য বিগ-ব্যাঙ কাফেতে পাওয়া যাবে ২৫শে অক্টোবর থেকে। কাফেটি যাদবপুর ৮বি-র কাছে যে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, তার পাশেই অবস্থিত।

    ৩। কলেজস্ট্রিটে দে বুক স্টোর, বৈচিত্র, উবুদশ, দেজ এবং ধ্যানবিন্দুতে পাওয়া যাবে শুক্রবার, মানে ২৬শে অক্টোবর থেকে। কেউ কলেজস্ট্রীটে কোনও কারণে না পেলে উবুদশের সুমন্ত্র বিশ্বাসকে ফোন করলেও হবে ( 9143786134)। ওখানে সব বইয়ের স্টক থাকে। উবুদশ কলেজ স্কোয়ারেই, কর্পোরেশনের পাশের গলি।

    ৪ । দক্ষিণ কলকাতায় রাসবিহারীর কল্যাণদার বুকস্টল, গড়িয়াহাটের কাছে ক্যাফে স্ট্রিংস আর ১৮ জনক রোডে আরশি বুটিকে পাওয়া যাবে শুক্রবার, মানে ২৬শে অক্টোবর থেকে।

    এছাড়া সামনের সপ্তাহ থেকে অন্যান্য বইয়ের দোকানগুলিতে দেওয়া হবে। সেগুলো পরে আপডেট করে দেওয়া হবে ।
  • শ্রেয়া | ***:*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৩380138
  • বিলি উইল্ডারের "দ্য অ্যাপার্টমেন্ট" ছবিতে একটা ডায়লগ ছিল, " I just have this talent for falling in love with the wrong guy in wrong place at the wrong time."
    'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' এর অনির্বাণ আর শ্রমণাও ঠিক একই কথা স্বগতোক্তি করতে পারে। দুটি বিরোধী দলের সদস্য হয়েও, নিজেদের জীবনের হাজার অনিশ্চয়তার মাঝেও একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া— ভুল সময়ে, অবশ্যই। ভুল মানুষ, হয়তো।
    একটা আদ্যোপান্ত ওয়ান টাইম রিড উপন্যাস 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল'। ব্যক্তিগতভাবে লেখকের প্রথম বই পড়ে বিশেষ আহামরি কিছু মনে হয়নি, নস্টালজিয়ার সুড়সুড়ি ব্যতীত। কিন্তু এই দ্বিতীয় বই বেশ নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। তার কারণ, লেখক ফর্ম ভেঙেছেন। আগের প্যাটার্নের থেকে অনেক সাবলীল অথচ বলিষ্ঠ হয়েছে তাঁর লেখনি। লেখার মাধ্যমে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ এই বইতে অনেক বেশি প্রাঞ্জল। উপন্যাসের বেস হিসাবে রিসার্চওয়ার্কটা মারকাটারি। এইট বি, যাদবপুর ক্যাম্পাস, জীবন আর রাজনীতির ভাইব নিয়ে এক গোছানো নিটোল গল্প। সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মানসিক টানাপোড়েন। মাখোমাখো রোম্যান্স নেই, কিন্তু ছোট ছোট ভালবাসার মুহূর্তগুলো বেশ ক্রিস্প, সতেজ। মতাদর্শ আর ব্যক্তিজীবনের দোলাচল, কমরেডশিপ নিয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব— অভিজ্ঞ কলমে ফুটে উঠেছে সবটাই। ভাল লাগে সেল্ফ ডেপ্রিকেটিং হিউমরের জায়গাটাও। তরতরে ভাষায় গোটা উপন্যাস অনায়াসে শেষ হয়ে গেলেও বাড়তি লাগে এপিলগের জায়গাগুলো, পেট ভরে যাওয়ার পরেও জোর করে খাওয়ানো যেন। এতটা আতিথেয়তার দরকার ছিল কি? কিছু কিছু চরিত্রকে আবার যেন জোর করে আনা, উপন্যাসের মাঝে তারা যে কোথায় হারিয়ে যায় বোঝা মুশকিল। এইসব ফ্ল-গুলো কাটিয়ে কুরবানি ৫-এ ৩.৫ আরামসে দাবি করতে পারে।
    আসলে 'কুরবানি অথবা কার্নিভ্যাল' লেখকের নিজস্ব যাপনের উপন্যাস, তাই লেখা থেকে ব্যক্তিগত আবেগ কুড়িয়ে নিতে অসুবিধা হয়না এতটুকুও।
  • | ***:*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:১৮380139
  • বিচিত্র রিভিউ
  • | ***:*** | ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৩380140
  • বেশ ব্যালান্সড প্রতিক্রিয়া।
  • | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৮380119
  • বুক রিভিউ জিনিস টা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্ট ফর্ম, সেটা নিয়ে চ‍্যাংড়ামো চলতে ই পারে , তবে সেটা চ‍্যাংড়ামো, এছাড়া অসুবিধে নেই। একটা বই রিভিউ য়ারের ভালো লাগল না খারাপ লাগল, বা তার বিচিত্র রেটিং, সেটা বুক রিভিউ আর্টিকল এর প্রধান প্রতি পাদ‍্য হ ওয়ার কথা ই না, বিষয়ালোচনা টা গুরুত্ব পাওয়া দরকার।আমি নিশ্চিত নই বুক রিভিউ যাঁরা করে ন তাঁরা নিজেরা বুক রিভিউ পড়তে অভ‍্যস্ত কিনা। আর সহজে পাওয়া বন্ধু বান্ধব দের ছাপা ব, বন্ধু বান্ধব দের লেখা ব ই সহজ মতপ্রকাশের জায়গা মানেই যা খুশি বলা যাবে এটা ধরে নিলে যা হবার হয় হচ্ছে।
  • পিনাকী | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৩৫380120
  • এগুলো ঠিক ওইভাবে বুক রিভিউ না বলে ইনফর্মাল পাঠপ্রতিক্রিয়া বলা ভাল। তবে এটা ঠিক যে এখন রিভিউ বিষয়টাকে প্রোমোশনের অঙ্গ হিসেবে দেখে অনেকেই। তাই সত্যিকারের ক্রিটিকাল অ্যানালিসিস, যা থেকে লেখকও উপকৃত হতে পারেন, সেই সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেতে বসেছে। হনুদা একটা গুছিয়ে রিভিউ নামাও না শাক্যর বইটার (বা অন্য কোন বইএর)। সমালোচনা থাকলে সেগুলোও লেখ। এগুলো দরকার।
  • | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৩৩380121
  • আগেও করেছি, পরেও করব।আগ্রহের কারণে ই করেছি, পরেও তাই হবে, কারো উপকার করা র জন্য করিনি। আমার লেখায় প্রোমোশনের উপকার হবার কথা নাঃ-)))।আমি সত্যিই বোঝা নো কঠিন কারো লেখা র সমালোচনা করব বলে লিখতে বসিনা, এমন কিসু জীবনের করিনি বা করার সম্ভাবনা নেই, যে সমালোচনা অধিকার অর্জন করব, কিন্তু আলোচ‍্য‍ বইটার বিষয় টা বা তার সীমানা সম্ভাবনা ও চর্চা টা সম্পর্কে তো একটা আগ্রহ থাকবে তো রে বাবা। বড় রিভিউ পত্রিকার রাবিশ প্রবন্ধে র কয়েকটি উদা দিয়ে পরে কখনো বলব কি বলতে চাই ছি, এবং এখানকার ই উদা দিয়ে ই বলব, আগ্রহ তৈরি তে একটা রিভিউ কিরকম সৎ প্রচেষ্টা করতে পারে।
  • | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৫৯380122
  • *সমালোচনা বা প্রশংসা।
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:১৬380123
  • https://www.lrb.co.uk/v40/n24/michael-hofmann/call-it-magnificence প্রথম উদা কোন কামের না এই ধরনের রিভিউ, গদগদ প্রশংসা ছাড়া কিসু নেই, ফ‍্যান টাইপের লোকদের কেন রিভিউ লেখা উচিৎ না তার বড় পত্রিকার উদা, ন‍্যারেটিভ ও ফার্স্ট পার্সনে ভর্তি, অতি বাজে।
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৬380124
  • https://www.lrb.co.uk/v34/n14/terry-eagleton/irishness-is-for-other-people ট অন কিন্তু লেখকের পুরো ouvre টা সম্পর্কে একটা লাইন ও নাই এটা কোন কাজের কথা না, যদিও লেজেন্ডারি রিভিউ য়ার , যার রিভিউ পেলে লোকে বর্তে যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে লেখক ও নিজের ভাষায় অলরেডি লেজেন্ড। ৭০ দশক পরবর্তী ইউরোপীয় সাহিত্যের একটা আত্মবিস্মৃত দিক, আয়ারল্যান্ড যে কলোনি।সেটা ভুলে যাওয়া এসব কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু ভিয়া মাতাস এর অন্য কাজ, বিশেষ ত ছোটগল্প অন্য নভেলা ছোঁয়া ও নেই। সেটা খানিকটা অবিচার। এবার মূল জালি টা কি, ক্লিয়ার লি প্রোমোশনের উদ্দেশ্যে প্রকাশ এর কাছাকাছি ময়ে বের করা রিভিউ, ইগলটনের এত সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ ন ইলে বেরোনোর কারণ নাই। উনি প্রখ্যাত গাল দিলে ও নাম হবে, সেই ভরসায় ছাপা, ক্লিয়ার লি।এগুলো অসততা।
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৭380125
  • **স্পট অন
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০০380126
  • অনেক দিন আগে অ্যমেচার রিভিউ এর চমৎকার উদা লিখেছিল দমু এখানে ই, মিয়া জান দারোগা। সীমা বদ্ধ তাটা কোথায় , দমু প্রফেশনাল হিস্টোরি য়ান না, তাই উত্তর চব্বিশ পরগনার কলোনি পিরিয়ডের টেক্সট এর আরকাইভাল রিসার্চ, সোরসের রিলায়েবিলিটির সমস্যা , টীকহীন ছাপা র নিন্দা এগুলো সে লেখা য় ছিল না, কিন্ত টেক্সট একদম ক্লিয়ার পড়া।প্রতি টি কমে ন্ট মানুষ কে সিমিলার টেক্সট পড়তে আগ্রহী করবে। এটুকু আমরা করতে পারি।
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০৯380127
  • এবং কোন বিচিত্র রেটিং ছিল বলে মনে পড়ছে না।
  • অনিকেত পথিক | ***:*** | ০৩ মে ২০১৯ ১৫:১২380128
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এদিকে সুলেখা মোড় ওদিকে ঢাকুরিয়া এই অংশকে ব্যাস হিসেবে ধরলে যে বৃত্তটি পাওয়া যায় তার মধ্যেই এই উপন্যাসের আলাপ-বিস্তার-ঝালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স-ইঞ্জিনীয়ারিং ও আর্টস দুটি ফ্যাকাল্টি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শধর্মী দুটি ছাত্রদলের মধ্যেকার আভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন হল এই উপন্যাসের রক্ত-মাংস। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া একটি ছাত্র রাজেন্দ্র তপাদারের হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া, তাই নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে নানারকমের সংঘাত, সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার উদ্যোগ আর সেইসব ঘটনার পটভূমিতে একজোড়া সদ্যতরুণ-তরুণী অনির্বাণ ও শ্রমাণার ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওঠা-পড়া নিয়ে ১২ পর্বে বিস্তৃত প্রায় থ্রিলারধর্মী এই উপন্যাস।

    লেখক তাঁর উপন্যাসের পটভূমিকে নিবিড়ভাবে চেনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের প্রতিটি ঘাস, এইট-বি চত্বরের প্রতিটি দোকান, দোকানদার, তারা কে কি বেচে, ঢাকুরিয়া লেকের প্রতিটা বেঞ্চ তাঁর চেনা। নিবিড়ভাবে চেনা যাদবুপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-রাজনীতির হাল-চালও। এখানে যাদবপুর কোনো প্লেসহোল্ডার নয়, যাদবপুর একটা চরিত্র। কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং-সায়েন্স-আর্টস সব শাখার ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে এক গন্ডীর মধ্যে পড়াশোনা করার নজির কলকাতার অন্য কোথাও নেই। লেখক নিজে এখানকার ছাত্র কিনা জানিনা, কিন্তু তিনি যে এই ছাত্রদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। তাই এই ১৮ থেকে ২৫ বয়সী ছাত্রদের মুখের ভাষা, তাদের যাপন অনেকটাই নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে যেটা এই উপন্যাসএর সবচেয়ে বড় সাফল্য। লেখকের নিজের ভাষা ও কিছু ক্ষেত্রে বর্ণণা ভারী মায়াবী, কিছু রূপকের ব্যবহার বহুদিন মনে রাখার মত। লেনিনের মূর্তির কথা, উটের গল্পের কথা বিশেষভাবে বলা দরকার।

    কিন্তু এই অতি নিবিড় ও গভীর জানার বিন্দু থেকেই এই রচনায় কিছু দুর্বলতার জন্ম হয়েছে। থ্রিলারধর্মী উপন্যাসের ক্ষেত্রে ভাষা ও বর্ণণার ওপর নিয়ন্ত্রণ জরুরী। এই উপন্যাসের ক্ষেত্রে পটভূমি বিষয়ে লেখক তাঁর জানা যাবতীয় তথ্যকে উপন্যাসে জায়গা দিতে চেয়েছেন; ফলে অনেক জায়গায় দীর্ঘ বর্ণনায় গল্পের গতি ব্যাহত হয়েছে, ছবিটিও স্পষ্ট হয়নি। যে কোনো জিনিস যেমন খুব কাছ থেকে ভালো করে দেখা যায় না, একটু দূরে রাখতে হয় সেই রকম একটা ব্যাপার কাজ করেছে। যেমন ৫০-৫১ পাতায় এইট বি চত্বরের বিভিন্ন দোকানের কথা আছে; কোন দোকানে কিরকম চা, কার দোকানের রোলের কি নাম, এই ডিটেল বর্ণনা হিসেবে অতি সুখপাঠ্য; যাঁরা এই চত্বরে ঘোরাফেরা করেন তাঁরা রিলেটও করবেন কিন্তু অনেকের কাছেই এই বর্ণণা অতিরিক্ত মনে হবে, ৮ চত্বরের ছবির জন্য এত তথ্য না দিলেও হত। একটু রূপকের সাহায্য নিলে বলা যায়, বিস্তারিত বর্ণণা একটি ‘ডকুমেন্ট ফাইল’ তৈরী করেছে, কিন্তু য ফাইল (ছবি) তৈরী হয়নি। উপন্যাসের প্রথমার্ধে (৭০—৮০ পাতা অবধি) এই ব্যাপারটা অনেক বেশি মাত্রায় এসেছে, দ্বিতীয়ার্ধে অনাবশ্যক বর্ণনা কমায় গল্পের গতি অনেকটাই বেড়েছে।

    যেহেতু এই উপন্যাসের পরিসর খুবই সীমিত, তার মধ্যে একই ঘটনাকে কেন্দ্রে করেই যাবতীয় ওঠাপড়া, গল্প এদিক ওদিক একটুও ছড়ায় নি, তাই মন দিয়ে পড়লে একই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বার বার যেতে যেতে ক্লান্ত লাগে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নাম ও কে কোন দলে তা মনে রেখে গল্প অনুসরণ করা মাঝে মাঝে একটা টাস্কের মত হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প অথচ পড়াশোনা-ক্লাস-টিচার-হস্টেল কোনো অনুসঙ্গের ছায়ামাত্র নেই, যেন পার্টি অফিসের গল্প শুনছি, যেখানে রাজনীতিই প্রথম ও শেষ কথা। চরিত্রগুলোর কারুরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরো ভালো ভাবে বললে নিজস্ব সংগঠনের বাইরে কোনো অস্তিত্ব নেই। লেখক সচেতনভাবে এটা করে থাকলে কিছু বলার নেই কিন্তু পাঠক হিসেবে বেশ দমবন্ধ (উত্তেজনায় নয়) লেগেছে। অথচ শেষ পর্যন্ত ভোটের সময় যখন দেখা যায় ভোটের সংখ্যা মাত্র পনের, তখন মনে হয় যেন পুতুলখেলার কথা পড়ছি। ছাত্র সংগঠনের ভোটাভুটি এমনই হয় জানি কিন্তু তাকে মুখ্য উপজীব্য করে (কেন্দ্র করে নয়) একটা গোটা উপন্যাস লেখা হলে কোনো কোনো পাঠকের এইরকম প্রতিক্রিয়াও আশ্চর্য নয়।

    গল্পের প্লট বেশ ভালো। একটি ছেলের হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানারকম ওঠা-পড়া-হিসেব-নিকেশ যার ফাঁদে পড়ে আরেকটি ছেলেও বিনা কারনেই প্রায় মরতে বসল, এই ধারণাটা খুব ভালো লাগল। কুরবানি অথবা কার্নিভাল নামটিও খুবই অর্থপূর্ণ। তবে সারা গল্প জুড়ে ঘনিয়ে ওঠা রহস্যটা শেষে রাজেন্দ্রর আত্মহত্যায় এমন জোলো হয়ে গেল যে তেমন খুশি হতে পারলাম না। অবশ্য জীবনে তো এমন আকছারই হয়, কোনো ঘটনাই ঠিক কাউকে খুশি করার জন্য ঘটে না, তাই কিছু বলার নেই। কিন্তু টাইম-লাইনটা নিয়ে সমস্যাটা রয়ে গেল। রাজেন্দ্র নিখোঁজ হবার পর কয়েকদিন ধরে নানারকম কান্ড ঘটল, জাভেদ মার খেল, আই-সি-ইউ তে থাকল, সেখান থেকে বেরোল তারও দিন দুয়েক পরে রাজেন্দ্র-র দেহ পাওয়া গেল, তাও রেললাইনের ওপর থেকে। তাহলে রাজেন্দ্র এতদিন কোথায় ছিলেন, কেন কেউ তাকে খুঁজে পেল না ! নাহ্‌ এত গোলমালের পর এই আসল প্রশ্নটা কারুর মাথায় এল না, লেখকেরও না।

    প্রশ্ন রয়ে গেল আরো একটা বিষয়ে। যে সম্পর্কটাকে এই গল্পে অনেকটা স্পেস দেওয়া হয়েছে, অনি-শ্রমণার সেই সম্পর্কটা আসলে কি ? শুধু কিছুটা সময় কাটানো এবং শরীর বিনিময় ছাড়া তেমন কিছুই কিন্তু বোঝা গেল না। মাঝে মাঝে এই শরীর বিনিময়কে আদৌ কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক বলে মনে হলনা। সম্পর্কটাকে এইভাবে দেখানোই লেখকের উদ্দেশ্য হলে বা এখনকার ২০-২২ বছরের ছেলেমেয়েরা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করলে কিছু বলার নেই কিন্তু লেখক নিজে মাঝে মাঝে এদের মুখে অন্যরকম কিছু সংলাপ বসিয়েছেন, যা এই ধারণার সঙ্গে মেলেনি। তবে কোনো সম্পর্কই স্কেল মেপে হয় না, সে কথাও ঠিক। যে মেয়েটি (শ্রমণা) হস্টেলে-মেসে থাকে না, বাড়িতে থাকে, সে যে কোনোদিন বাড়ি না ফিরে যেখানে খুশি রয়ে যায়, যার সঙ্গে খুশি শুয়ে পড়ে, কেউ তার খোঁজ করে না, এইটা ভারী অবিশ্বাস্য লেগেছে, সেটা পাঠকের ব্যক্তিগত সমস্যাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা সেরকম সমস্যা অনেক পাঠকেরই হবে। এটা গল্পের পরিসরে হলে এই সব প্রশ্ন আসত না, উপন্যাসের আঙ্গিকে লেখা বলেই এই সব প্রসঙ্গ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    মোটের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিকে বিষয় হিসেবে নিয়ে ‘কুরবানি অথবা কার্নিভাল’ একটি সুলিখিত উপন্যাস। কিছুটা সম্পাদনার মধ্যে দিয়ে গেলে বইটি আরো ঝরঝরে ও অভিঘাতের দিক থেকে আরো তীক্ষ্ণ হয়ে উঠতে পারে।
  • | ***:*** | ০৭ মে ২০১৯ ০০:৪২380130
  • এরকম কনডিসেন্ডিং পুস্তকালোচনা মাইরি চট করে দেখা যায়না।
  • dc | ***:*** | ০৭ মে ২০১৯ ০৮:৩২380131
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের প্রতিটি ঘাস চেনা কিন্তু সহজ কথা না। পেটে অনেক খিদে থাকলে তবেই চেনা যায়।
  • AP | ***:*** | ০৭ মে ২০১৯ ১৭:০৪380132
  • হা হ ! @ডিসি, ইয়ে মনে মাঠের ঘাস না বলে যদি বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রতিট ইঁট বলা যেত, তাহলেও কি খিদের কথা আসত ? এলে ভালো কথা। এই প্রেক্ষাপট বিষয়ে লেখকের জানাশোনা বোঝাতেই তো বলা !

    খ,
    বুঝলাম না।
  • i | ***:*** | ০৮ মে ২০১৯ ০৫:৩১380133
  • কখন যে কোন মন্তব্য কার কাছে কনডিসেন্ডিং -খুবই জটিল ও আপেক্ষিক ব্যাপার। কথা বাড়াতে গিয়েও বাড়ালাম না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন