এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লক্ষ্মীর পাঁচালি ডিকোড করার অপচেষ্টা

    Yashodhara Raychaudhuri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১১ নভেম্বর ২০১৮ | ৪০৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Yashodhara Raychaudhuri | ১১ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৭379993
  • দুর্গাপুজোর পর পর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো আসে। দুটো পুজোর মধ্যে মিল বলতে এইটুকুই, যে দুটো পুজো পরস্পর জড়িয়ে থাকে, আসে পর পর। একটার বিশালতা , জাঁকজমক, তিনদিন ব্যাপী উৎসবের আদল, গোটা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে ওঠা, নতুন জামাকাপড় কেনার বাধ্যতা ইত্যাদি নিয়ে বিপুলকায়। প্রায় দুমাস আগে থেকে দুর্গাপুজো আসি আসি করতে করতে আসে। চলে যাবার পর বিজয়ার মিষ্টি মুখ আর কোলাকুলি প্রণাম ও গুরজনদের চিঠি লেখা এইসব সহই তার জের চলে আরো দু সপ্তাহ। আজকাল ত কার্নিভালের জাঁক দুর্গাপুজাকে দিয়েছে আরো এক বিশাল বড় প্রেক্ষিত। চালচিত্র। পারিবারিক আনন্দের , সামাজিক ব্যাপ্তির এক উপন্যাস লেখা হয়ে চলে যেন প্রায় দু মাস ধরেই। সর্বভারতীয় ক্যালেন্ডারে বাঙালির দুর্গাপুজা অহংকারের আলো।

    পাশাপাশিই টুকুস করে আসা আর সেরে নেওয়া কোজাগরী পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজোট, ঘরোয়া আর লাবণ্যময়, নারীকুলের বুকের কাছের লক্ষ্মীপুজো যেন ছোট গল্প। বড় প্যান্ডেলের মা দুর্গার বিসর্জনের পর খালি প্যান্ডেলে ছোট লক্ষ্মীপুজো হেলাফেলার মধ্যেই পূজিত হন দায়সারা ভাবে। কিন্তু তারো চেয়ে অনেক বেশি কদর ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর। প্রতি বেস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজো করেন বেশ কিছু পুজোপ্রবণ বাঙালি হিন্দু মহিলারা নিষ্ঠা ভক্তি ও অভ্যাসে। তার চেয়েও বেশি ব্যাপ্তিতে, প্রতি গৃহে বাঙালি হিন্দুর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো প্রায় যেন প্রশ্নহীন আনুগত্যে আমরা সাদরে গ্রহণ করি। প্যান্ডেলের দাঁড়ানো লক্ষ্মী সরস্বতীর সঙ্গে কম্পিটিশনে নামেন, মা উমার পাশটিতে। কিন্তু কোজাগরীর বসে থাকা লক্ষ্মী যাঁর কাঁখে টাকার ঝাঁপি আর হাতে ধানের ছড়া, একাই একশো। জিতে যান তিনি কয়েক মাইল এগিয়ে থেকে সরস্বতীর।

    লক্ষ্মী নাকি ধনদাত্রী দেবী, কিন্তু বাঙালির চির দুর্ভিক্ষপ্রপীড়িত কালেকটিভ আনকনশাসের অন্তরে, ধনদাত্রীকে আমরা অন্নদাত্রী বলেই দেখতে শিখেছি। আর তাই, শরতের নতুন ফসলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুজোর পুজোর ভোগ বা নৈবেদ্যর একটা নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ্য করেছি।

    কেন কেউ জানিনা আমরা, ইতিহাস হারিয়েছি, কিন্তু ধর্মের থেকে সাংস্কৃতিক কারণ বেশি হয়ে উঠেছে এই ঘরোয়া লক্ষ্মীপুজো। কমিউনিস্ট হোন অথবা লিবারাল, বাড়িতে মা বৌদি বা গিন্নি যেন এই লক্ষ্মীপুজো করবেনই। আর অধিকাংশ পুজোর মূল আকর্ষণ থাকে ছোট্ট মাটির মূর্তি, ফুলের মালা, আর চারিদিক থেকে জুটিয়ে আনা একরাশ সুখাদ্য, যার মধ্যে মূলত নারকেল নাড়ু, মোয়া নিমকি গজা , চিনির মঠ ও চিনির বাতাসা, নকুলদানা, কদমা, খেজুর আখ পানিফল শশা আপেল বাতাবি লেবু ইত্যাদি ফল, মাখা নারকেল কোরানো ও মুগ ডাল ভেজানো, আতপ চাল ভেজানো, কলার অপরূপ এক নৈবিদ্যি , খিচুড়ি ও ভাজাভুজি, লুচি ও মোহনভোগ প্রায় অনিবার্যভাবে উপস্থিত। অনেক বাড়িতে পুরোহিত আসেন, অনে ক বাড়িতে বাড়ির মহিলারাই পূজা করেন বই দেখে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারাদিন উপোশ করে সামগ্রী জড়ো করা হয়। পুজো হয় বিকেলের দিকে সূর্য পড়ে এলে। কেননা পূর্ণিমার সঙ্গে অখন্ড যোগ আছে এ পুজোর। যেমন আছে শ্বেত প্যাঁচাটির সঙ্গে।

    নানা ঘরে নানা মাপের, কম বেশি জাঁকজমকের পুজোয় অন্নদাত্রীই হোন আর ধনদাত্রীই হোন, মা লক্ষ্মীর নানা রকমভাবে পুজো হলেও, একটি আশ্চর্য বিষয় হল, প্রতি পুজোতেই লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ হয়ে থাকে। আশ্চর্য কারণ দুর্গার পাঁচালি নেই। সরস্বতীর পাঁচালি নেই। আছে লক্ষ্মীর শুধু। আশ্চর্য কারণ ‘ লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া’ নামক ঐতিহ্যবাহী ও কৌম বস্তুটি বাঙ্গালার সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক আচরণের মত উবে যায়নি… অন্য সব পুজো আচ্চা আচার আচরণ, নানা ধরনের তিথি ও ব্রত পালন, এটা ওটা লোক উৎসব ও পার্বণের বিলোপ ঘটেছে, নানা ধরণের মন্ত্র-ছড়া-পাঁচালি পড়া আর হয়না অন্তত শহুরে মেয়েদের মধ্যে এমন কোন অভ্যাস নেই দেখা যায়। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া এখনো কনস্ট্যান্ট।

    কে লেখেন বা লিখেছিলেন এই পাঁচালি ? কীভাবে কিনি আমরা পাঁচালি? কেন পড়ি আমরা পাঁচালি? কবে থেকে শুরু হল হাতে লেখা পুঁথির বদলে এই ছাপা পাঁচালি কেনা ও পড়া?

    কোন প্রশ্নেরই সদুত্তর নেই আমার কাছে। বহু লোক শিল্প বা লোক ব্যবহারের মতই এ নিয়ে।গবেষণারচিহ্ন খুঁজতে বসলে খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা হবে। গৌতম ভদ্র মশায়ের আকর গ্রন্থে খোঁজা যেতে পারে।

    সহস্র অজ্ঞান পেরিয়ে এটুকু বলতেই পারি যে বইয়ের দোকানে গিয়ে কেউ পাঁচালি কিনেছেন বলে শোনা যায় নি। অর্থাৎ মান্য বা স্ট্যান্ডার্ড বই এর সম্মান পায়নি বলেই মনে হয় এই পাঁচালি। যেন অনেকটাই ব্রাত্য অথচ অনিবার্য। আর তাই হয়ত এর কনটেন্ট সম্পর্কে আমাদের এত ঔদাসিন্য।

    সচরাচর দশ কর্ম ভাণ্ডারে নানা পূজা সামগ্রীর সঙ্গে সঙ্গে আসে পাঁচালিটি। একটি পাতলা ফিরফিরে কাগজে , সাদা বা ঘিয়ে রঙের ওপর লাল অক্ষরে ছাপা পাঁচালি, সচরাচর সেইসব প্রেসে বা প্রকাশকের ঘরে ছাপা হয় যাকে কথ্যবাংলায় বটতলা বলি। না আছে সম্মান না আছে অর্থবল, এইসব বইয়ের সামান্য দাম হয়, তেমনই এর লেখকরাও নাম না জানা, অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে থাকা কোন কোন পাঁচালি কবি। লেখক বলতে , পাঁচালির কোন আদি বা মূল লেখক আমরা পাইনা। কিন্তু এও আশ্চর্যের, যে একটিই পাঁচালির অন্য অনেক গুলি ভার্শান বা ভাষ্য পাওয়া যায়। মূল কাঠামো এক থাকে, তা বাদে ছোট ছোট ডিটেলে নানা তফাত থাকে।

    কেউ কেউ ভাবছেন এই পাঁচালির উৎপত্তি ১৯৪২ এর আগে পরে। কেননা নিজেরা চরকা কাটার কথা আছে। কেউ বলতেও পারেন তেতাল্লিশের মন্বন্তরের পরের লেখা কেননা বার বার দুর্ভিক্ষে র কথা আছে।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ১১ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৮380004


  • যাইহোক না মূলত মেয়েদের পাঠ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই বইটিকে নিয়ে আমরা কেন পড়লাম তা বলি। মুদি দোকান বা দশকর্ম ভান্ডার থেকে এর চোরাগোপ্তা আক্রমণ জারি আছে এত এত বছর, অন্তত একশো বছর ধরে বদলে গেছে বাঙালি মেয়ের মুখের ভাষা বদলে গেছে ব্রত পালন আর পুজো করার রীত। পাল্টায়নি শুধু লক্ষ্মীর পাঁচালির মূল সুর। যে সুর এখনো ডিসিপ্লিন অ্যান্ড পানিশ। কী কী করলে লক্ষ্মী কুপিতা হন আর কী কী করতে থাকলে লক্ষ্মীকে ঘরে ধরে রাখা যাবে সেই তালিকায় কোন পরিবর্তন চোখেই পড়েনা। মোটের ওপর, বলাই যায় লক্ষ্মীর পাঁচালি এত বছর ধরে ইভলভ করেনি, তার কোন উন্নয়ন হয়নি।

    এবং প্রায় পুরো ক্ষেত্রেই পাঁচালিটিতে যতকিছু অনাচার বা অসুবিধা সবকিছুর দায় বা ওনাস মেয়েদের ওপরে। মেয়েরাই সংসারকে ধরে রাখবেন আর তাই সংসার রসাতলে যেতে বসলে মেয়েরাই ভুলচুকের শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। নারী কেন্দ্রিক এই বয়ান সোজা কথায় রীতিমত নারীস্বাধীনতা ও লিবারাল মূল্যবোধ বিরোধী। আর তাই আপত্তি।

    কোন এক কাল্পনিক অবন্তীনগরের এক ব্যবসায়ীর বৃহৎ সংসারে গোলমাল লাগা ও তার সমাধান হবে প্রতি পাঁচালিতেই, তবে উনিশ বিশ বাদ দিলে, শুরুর দিকটা প্রায় সব পাঁচালিতেই একইরকম ।
    ......................
    দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ ।
    ধীরে ধীরে বহিছে মলয় বাতাস ।।
    বৈকুন্ঠেতে একাসনে লক্ষ্মী নারায়ণ ।
    করিতেছেন কত কথা হইয়া মগন ।।
    সৃষ্টিতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব কত কথা হয় ।
    শুনিয়া আনন্দিত দেবীর হৃদয় ।।
    অকস্মাৎ দেবর্ষি নারয়ান নাম স্মরে ।
    আসিলেন বীনা হস্তে বৈকুন্ঠ নগরে ।।
    প্রনাম করি দেবর্ষি কহেন বচন ।
    মর্তে সদাই দুর্ভিক্ষ অনল ভীষন ।।

    এখানে লক্ষ্য করব, দুর্ভিক্ষের কথাটি বার বার ঘুরে ফিরে আসছে। আগেই বলছিলাম, ধনদাত্রীর চেয়েও লক্ষ্মী যেন আমাদের কালেকটিভ আনকনশাসে দরিদ্র অন্নহীন দুর্ভিক্ষপ্রপীড়িত বাঙালির অন্নদাত্রী। মাঠে মাঠে ধানের ক্ষেতের সবুজে হাওয়ার দোল দেওয়ার ছবি বাঙালি ভুলতে পারেনা, তাই ত অনিল বিকম্পিত শ্যামল অঞ্চলের কথাও এসেই পড়ে বার বার দেশ মাতৃকার কথা এলেই।

    যাই হোক, নারদ এসে প্রবলেমেটিক টি লক্ষ্মীর কাছে স্থাপন করবেন, এটাই দস্তুর।

    ঋষি বলে মা তুমি চঞ্চলা মন ।
    সর্বদা স্থিত এভবন ও ভবন ।।
    অন্নাভাবে মর্তবাসী কষ্ট পেয়ে ভোগে ।
    মরিছে অনাহারে কৃশকায় রোগে ।।
    ধর্মাধর্ম লোকে সবি ত্যাগ করি দেয় ।
    স্ত্রী কন্যা বিক্রি করে ক্ষুধার জ্বালায় ।।
    দুর্ভিক্ষে হইলো শেষ মরে মনুষ্যগণ ।
    দয়া করি মা তুমি করো নিবারন ।।

    এই অব্দি ঠিক ছিল। এর পর যেটা হয়, সেটাকেই ডিকোড করতে গিয়ে আমাদের গলদঘর্ম হতে হয়। যেহেতু আমরা জানি যে লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়বেন মূলত মহিলারাই, এটা একটা ঘরোয়া পুজো, এবং সবাই তামা তুলসি হাতে নিয়ে পাঁচালি শুনবেন এমত কৌম প্রথায় আবদ্ধ আমাদের পাঁচালি পাঠের নিয়তিটুকু, এই “সকলের” প্রায় প্রত্যেকেই নারী, ঘরের লক্ষ্মী বলতে যা বোঝায়...তাই মনে হয় যেন প্রব্লেমেটিকের প্রতি লক্ষ্মী যেই মুহূর্তে নজর করেন এবং অন্নহীনতার কারণ দর্শাতে শুরু করেন, সেটা হয়ে যায় প্রায় নারীদের একটি কোড অফ কনডাক্ট বা টু ডু লিস্ট। কী কী বিধি ও নিষেধ তার তালিকা। যেন মেয়েদের আচার আচরণের ওপরেই নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতি, অন্ন শস্যের বাড়বৃদ্ধি।

    নারদের বাক্য শুনি কহেন নারায়নী ।
    বিশ্বমাতৃকা আমি জগৎের জননী ।।
    কারো প্রতি নাই আমরা ক্রোধানল ।
    ভুগিছে মর্তবাসী নিজ নিজ কর্মফল ।।
    মহামায়ার স্বরূপে নারী সত্য বচন ।
    মর্তবাসী না মানে এই কথন ।।
    নারীর পরমগতি স্বামী ভিন্ন কেবা ।
    ভুলেও না করে নারী স্বামী পদসেবা ।।
    যথায় স্বেচ্ছায় ঘুরিয়া বেরায় ।
    গুরুজনে অকারনে মন্দ বাক্য কয় ।।
    যে নারী সকালে না দেয় ছড়া ।
    করি তার সংসার আমি লক্ষ্মীছাড়া ।।
    অতিথি যদি উপস্থিত হয় দ্বারে ।
    দূর দূর করে বিতারিত করে তারে ।।
    গুরুদেবের প্রতি ভক্তি নাহি করে ।
    আমি যে থাকি না তাহার ঘরে ।।
    এঁয়োতি নারী সিঁদুর না দেয় কপালে ।
    মলিন বস্ত্রে যথা ইচ্ছা তথা ঘোরে ।।
    নিত্য যে না করে অবগাহন ।
    তারে ছাড়ি করি অন্যত্র গমন ।।
    দেব দ্বিজে কদাপি ভক্তি না করে।
    সকলের সাথে মত্ত সদা কলহে ।।
    তিথি ভেদে নিষিদ্ধ বস্তু যে বা খায় ।
    হই না কভু তার ওপর সহায় ।।
    যে মনুষ্য ভক্তি ভরে একাদশী না করে।
    নাহি হই প্রসন্ন তাহার ওপরে ।।
    উচ্চ হাসি হাসিয়া যে নারী ঘোরে ।
    ঘোমটা না টানে মস্তক উপরে ।।
    গুরুজন দেখি যারা প্রনাম নাহি করে।
    সন্ধ্যাকালে ধূপ দীপ নাহি জালে ঘরে ।।
    এমন নারী যে গৃহেতে করে অবস্থান ।
    কভু নাহি পায় তারা লক্ষ্মীর বরদান ।।

    এই একই বিধান বা নিদান যাই বলুন, পালটে পালটে যায় এক পাঁচালি থেকে আর এক পাঁচালিতে। দেখা যাক একবার আরেক পাঁচালির এই অংশঃ

    নারদের বাক্য শুনি কহেন হরিপ্রিয়া ।
    বিশ্বমাতা আমি দেবী বিষ্ণুজায়া ।।
    যে যেমন করে সে তেমন পায় ।
    সে দোষে কর্মফল, করে হায় হায় ।।
    মহামায়ার স্বরূপে নারী সত্যবচন ।
    মর্ত্যবাসী না মানে এই কথন ।।
    সদাচার কুল শীল দিয়া বিসর্জন ।
    ঘরের লক্ষ্মীকে করে সদা বর্জন ।।
    এমন মনুষ্যজাতি মহাপাপ করে ।
    কর্ম দোষে লক্ষ্মী ত্যাজে তাহারে ।।
    নারীর পরম গতি স্বামী ভিন্ন কেবা ।
    ভুলেও না করে নারী পতি পদসেবা ।।
    যথায় স্বেচ্ছায় ঘুরিয়া বেড়ায় ।
    গুরুজনে নানা কটুবাক্য শোনায় ।।
    সর্বদা হিংসা করে না মানে আচার ।
    হিংসাতে তার মজে সংসার ।।
    ছড়া নাহি দেয়, প্রভাতকালে ।
    লক্ষ্মী সে স্থান ছাড়িয়া চলে ।।
    অতিথি যদি উপস্থিত হয় দ্বারে ।
    দূর দূর করি তারায় তাহাড়ে ।।
    যেবা গুরু, ব্রাহ্মণ দেখি ভক্তি নাহি করে।
    মম নিবাস কভু নহে সেই ঘরে ।।
    এঁয়োতির চিহ্ন সিঁদুর শাখা না দেয় ।
    বাসী কাপড়ে যথা তথা বেড়ায় ।।
    স্নান নিত্য নাহি করে যে মনুষ্য গণ ।
    ত্যাজিয়া তাহারে, করি অন্যত্র গমন ।।
    তিথি ভেদে যেবা নিষিদ্ধ দ্রব্য খায় ।
    হই না কভু তার ওপর সহায় ।।
    যে মনুষ্য ভক্তিভাবে একদশী না করে ।
    কদাপি নাহি থাকি তাহার ঘরে ।।
    উচ্চহাসি হাসিয়া যে নারী ঘোরে ।
    গুরুজন দেখি ঘোমটা না টানে ।।
    বয়োজ্যেষ্ঠ দেখি যারা প্রনাম না করে ।
    সন্ধ্যাকালে ধূপ দীপ নাহি দেয় ঘরে ।।
    ঠাকুর দেবতা আদি কভু না পূজে ।
    সাধু সন্ন্যাসী দেখি হাসাহাসি করে ।।
    এমন নারী যে গৃহেতে বসতি রয় ।
    লক্ষ্মী ত্যাজে তাহাকে জানিবে নিশ্চয় ।।

    এই ভাষ্যের শুরুতে তাও পুরুষকেও খানিক দোষ দেওয়া হয়েছে এই বলে যে, সদাচার কুল শীল দিয়া বিসর্জন ।/ঘরের লক্ষ্মীকে করে সদা বর্জন ।।… তা বাদে বাকিটা আবার সেই ডিসিপ্লিন অ্যান্ড পানিশ।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ১১ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৪০380011


  • আমার মত অনেক মেয়ের স্মৃতিতেই , ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার পর্বে, দিদিমা বা জ্যেঠিমা বা মায়ের পড়া পাঁচালির এই সব অংশে এসে ঠোক্কর খাওয়া যেন অনিবার্য ছিল। আমরা এসব শুনতাম ও হাসতাম , পুজো আচ্চাকে বর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মীর পাঁচালিকেও বর্জন করতাম। মানসিকভাবে অন্তত। আমাদের কাছে একটা হাস্যকর রিগ্রেসিভ বিষয় থেকে গেছে লক্ষ্মীর পাঁচালি।

    কিন্তু আজও , ২০১৮ তেও ঘরে ঘরে আমাদের ই মত বয়সিনীরাই , পারিবারিক প্রথাকে মান্যতা দিয়ে, যত টা না ধর্মীয় কারণে তারও চেয়ে বেশি সাংস্কৃতিক চিহ্ন হিসেবে লক্ষ্মীপুজো করছি । এবং সঙ্গে পাঁচালিটাকেও ফেলতে পারছি না। এই জায়গা থেকেই উঠছে একটা দাবি অথবা প্রশ্ন।

    পাঁচালির নবীকরণ করা যায়না? আনা যায় না একটা নিউ অ্যান্ড ইমপ্রুভড পাঁচালি? এই চিন্তা আমাদের মধ্যে কিছু বছর ধরে চারিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে অবহেলা করা হচ্ছে লক্ষ্মীর পাঁচালিকে ছোট করে দেখে। কেননা কথাগুলি নয় নয় করেও আমাদের কৌম স্মৃতিতে বা অবচেতনে থেকেই যাচ্ছে। তথাকথিত এগিয়ে যাওয়া মেয়েরা বছরের এক দিনে এই বই পড়ছেন দায়সারাভাবে। এতে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডই গেড়ে বসছে।

    নারীবাদী মেয়েদের বেশ কয়েকজন অন্য লেখালেখি ফেলে, লক্ষ্মীর পাঁচালি পুনর্লিখন করেন যদি? সমসাময়িক সার্বিক সমস্যা বা মেয়ে কেন্দ্রিক সমস্যাগুলোর দিকে নজর দিই যদি?

    কতগুলো সেকশন ভাবছিলাম। সামাজিক, স্বাস্থ্য,প্রকৃতি-পরিবেশ সচেতনতা, মেয়েদের প্রতি অত্যাচার, গৃহকর্ম ভাগ করে নেওয়া এইসব। ম্যানুয়ালের মত হোক নতুন পাঁচালি। কোন ডাক্তার যদি স্বাস্থয নিয়ে পাঁচালি লেখেন, , মেনস্ট্রুয়াল হেলথ, প্রজনন, বোন হেলথ এগুলোর ভুল ধরান বা মিথ ভাঙানো যায়। ডোমেস্টিক অ্যাবিউজের ক্ষেত্রে কিছু আইনের কথা ও এই ছলে বলা যায়। এভাবে। সত্যি কাজের কাজ হয় তবে। গ্রামে গঞ্জেও প্রোমোট করা যাবে তা, কেননা পাঁচালির মাধ্যমেই লোকশিক্ষেও হয়।

    যেহেতু এ পাঁচালি কোন একজনের লেখা না, তাই এর ভাষ্য বদল করাও সম্ভব , এরকমই মনে হয়।
  • dd | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৮ ২২:০১380013
  • বাঃ , খুব ইনটেরেস্টিং লেখা।

    তবে প্রগতিশীল "পাঁচালি" কি লেখা যায়? লক্ষীর ম্যানিফেস্টো গোছের ?
  • | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৮ ২২:১৬380014
  • তিতি যে মঞ্জিস রায়(?) এর লেখা নতুন পাঁচালি শেয়ার করেছিল ওইটে অনুমতি নিয়ে কেউ শেয়ার করলে এখানে, ভাল হয়
    ওইটা খুব ভাল ছিল।
  • PT | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:০৮380015
  • আমি জানতামঃ
    "লক্ষীদেবী বামে করে বসি নারায়ণ
    করিতেছে নানা কথা সুখে আলাপন।"

    প্রথমে ভাবতাম "বামে" কেন? পরে বুঝলাম যে "বামে" বসানোর ব্যাপারটা খুবই যুক্তিযুক্ত। কেননা খলনায়কেরা আক্রমণ করলে নারায়ণকে ডান হাতে কোমরের বাঁদিক থেকে তরোয়াল টেনে বের করতে হবে। লক্ষীদেবী ডান দিকে থাকলে তাঁর নাসিকাচ্ছেদন হয়ে যেতে পারে।

    পোগোতোসিল লক্ষীর পাঁচালী লেখা হলে যেন এই যুক্তিবাদী অংশটা বদলানো না হয়।
  • amit | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:৩৫380016
  • কিন্তু বাম দিকে বসলে তো এমনিতেই খোঁচা খেতে হতে পারে একটু জড়িয়ে ধরতে গেলে। :)
  • সিকি | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০৯380017
  • এই পাঁচালীর মূল ভাষ্যটি যদিও এক রয়ে গেছে, তবু স্থানভেদে, এমনকি পাড়াভেদে, দশকর্মাভাণ্ডারভেদে, জেনারেশনভেদে এই পাঁচালীর বিভিন্ন ভার্সন পাওয়া যায়। আলাদা আলাদা স্থানীয় ছড়াকার এর আলাদা আলাদা ভাবে ব্যাখ্যান করেছেন। তাই, এইখানেই একটা পোল নেওয়া গেলে দেখা যাবে বিভিন্ন জন এর বিভিন্ন ভার্সন শুনেছেন। আমি যেমন ছোটবেলা থেকে এই রকম শুনেছিঃ

    দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল গগন।
    মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় পবন।।
    লক্ষ্মীসহ একাসনে বসি' নারায়ণ।
    কৌতুকে করিছে নানা কথা আলাপন।।
    হেনকালে বীণা হাতে দেবর্ষি নারদ।
    প্রণাম করিল লক্ষ্মীনারায়ণ পদ।।
    কী কারণে আজি হেথা, মাতা জিজ্ঞাসিলা।
    নতশিরে মুনিবর তবে নিবেদিলা।।

    ...

    মানুষের সুখদূঃখ অথবা পতন।
    দুষ্কৃতির ফলমাত্র, জানিও কারণ।।

    ইত্যাদি ইত্যাদি। আলাদা ভাষা, কিন্তু ছন্দটা এক, বয়ানটাও এক। শুরু সেই দোলপূর্ণিমার রাত থেকেই। বসন্তের বাতাস।
  • সিকি | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১০:১২379994
  • শাস্ত্রমতে, পুরুষের বাম উরুতে যে নারী বসে, সে স্ত্রী হয়, ঘুরিয়ে বললে, স্বামীর বাম উরুতে বসার অধিকার একমাত্র স্ত্রীয়ের আছে। দক্ষিণ উরুতে পুত্রবধূকে বসানো যায়।

    মহাভারতে এর একটা পাসিং রেফারেন্স আছে, ডিডিদা জানবেন।
  • PT | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১০:১৭379995
  • ছিঃ! লক্ষী-নারায়ণ অমন জড়াজড়ি করেন না। অন্ততঃ পাঁচালীতে তেমন কোন ঐতিহাসিক তথ্য নেই।
    তবে তরোয়াল তো থাকে খাপের মধ্যে। আর সেটা কোমরে এমন এঙ্গেলে ঝোলে যে সেটা কখনই কাবাব-মে-হাড্ডি হয়না। বিশ্বেস না হয় কোন যাত্রা পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজা সেজে দেখবেন।
  • amit | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১০:২৩379996
  • বোঝো। আমরা বেকার পেহলাজ নিহালনিকে গালাগাল দিয়ে ভূত ভাগাই। সবকটা পাঁচালি কবে থেকে জড়াজড়িকে সেন্সর করে দিয়েছে।
  • PT | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০১379997
  • নারীকে বাম দিকে রাখার তত্ব শুধু ভারতীয়দের মধ্যেই প্রচলিত নয়। এই দখলদারি অন্য সংস্কৃতিতেও আছে। আর সেই আচরণও বেশ পুরনো। ব্যতিক্রমও আছে।

    Because of the nature of the bride "selection," the groom needed to stand on the right so his right hand (aka his fighting hand) would be free to draw his sword without injuring his bride to defend her against any daring suitors who might try to steal her at the last minute.
  • HC | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২৩379998
  • হিরণ্যবর্নাম হরিনিঙ সুবর্ণ রজতসরাজাম
    চন্দ্রাম হিরণ্ময়ীইং লক্ষ্মিঙ জাতবেদ ম আবহ

    শ্রী সূক্ত খুব ভালো পড়তে । শ্রুতি মধুর মন্ত্র
  • Du | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩১380000
  • নতুন পাঁচালী হোক।
  • Du | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩১379999
  • নতুন পাঁচালী হোক।
  • | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৭380002
  • বাহ মেয়েদের অ্যাঙ্গল থেকে প্রগতিশীল পাঁচালি লেখার প্রস্তাব আসতেই 'পোগোতিসিল' ট্রোলিং শুরু হয়েছে।

    কার যে কিসে জ্বলে....
  • Du | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৭380001
  • ইউনিসেক্স শব্দ ব্যবহার করে রিসাইকল, শিক্ষা, অপচয় বন্ধ করা, চেঁচামেচি না করা, এইগুলো মনে এলো। পব সরকার জল না জমতে দেওয়া নিয়ে এইরকম একটা অ্যাড দেয়।
  • PT | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৪৮380003
  • নাঃ! টোলিং করিনা আমি। আর জ্বলা-জলিরও কিছু নেই। এই আমলটা র-ফলা বজ্জিত। যেমন পোসেনজিত ইত্যাদি.....কান পাতলেই....কালীঘাট থেকে বিগেড....সব্ব্ত্ত শোনা যায়।
  • !! | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:১৮380005
  • লাক্‌শমিজি তো ক্যাপিটালিজমের আইকন!
  • PT | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৩৪380006
  • পোগোতোসিল পাঁচালী যখন লিখবেন তখন আমাদের ঘরের মা-লক্ষীদের অব্স্থাটা এট্টু মাথায় রাখবেন। বিহার-ঝাড়্খন্ড-রাজস্থানে লক্ষীর পাঁচালী পড়ার চল আছে কিনা জানিনা কিন্তু তারা বোধহয় ঘরের মা লক্ষীদের বেশী ভাল দেখভাল করছে যে কারণে নাবালিকাদের বিবাহ কমানোর ব্যাপারের তারা বেশী উদ্যোগী। আমরা শুধু বিদেশ থেকে আনা পুরস্কার নিয়ে ঢক্কানিনাদে বেশী ব্যস্ত।



    গ্রাফিক্সটা না এলে এখানে পুরো খবরঃ
    https://www.anandabazar.com/state/teenage-girl-s-parents-only-submit-their-bondage-to-police-to-get-relief-from-their-responsibility-1.897073?ref=hm-topnav
  • pi | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৪০380007
  • এই নতুন লক্ষ্মীর পাঁচালি এবার পাঁচালি হয়েই ছেপে আসছে। সেই নিয়েই যশোধরাদি উত্তর দিলেন, সৈকতদার প্রশ্নের।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2188032081260151&id=104248922971821
  • pi | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০৭380008
  • এখানে কেউ আগেরদিন ভাটে পাঁঁচা৯পাঠের ভিডিওটা দিক।
    আজকের লক্ষ্মীপুজোয় ঠিক হয়েছে এই পাঁচা৯ থেকে অনেকে পাঠ করবেন!
  • pi | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:১০380010
  • নব্য লক্ষ্মী পাঁচালি পাঠ! আজ কোজাগরী নিশিতে বঙ্গ ললনারা যে যাঁর ইচ্ছেমত , সময়মত, পাঁচালির এই নতুন ব্রতকথা গাইবেন, লাইভ করবেন, ভিডিও করবেন, পোস্ট করবেন, সে সব সাতপাঁচ ভেবেই এই ইভেন্ট খোলা। আগে থেকে ভাবা গেলে কোনো বড়সড় উদ্যোগ নেওয়া যেত হয়ত, কিন্তু আপাতত এই সই! সইদের উদ্যোগ কোথাও থেকে তো শুরু হোক! আজকে রাতে, আজকের দিনের, আজকের দিনের মেয়েদের পাঁচা৯ পাঠ। সেই পুরনো সুরে, নতুন কথা, নতুন দিনের মেয়েদের কথা।
    এরকম বেশ কিছু নতুন ব্রতকথা ইভেন্ট পেজে পোস্ট করা হল, যে যেটি ইচ্ছে পড়ুন, পড়ান, শেয়ার করুন, যেমন যার ইচ্ছে।
    https://www.facebook.com/events/2192649647508361/
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন