এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আসামে বিপন্ন বাঙালি, পাশে দাঁড়াক পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি

    কৌশিক মাইতি
    অন্যান্য | ১৫ জুলাই ২০১৮ | ৭৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৫ জুলাই ২০১৮ ১৭:৫০377294
  • ইটা কী বটেক?
    দাবী? ফেবু স্ট্যটাস? নিজের নাম খোদাই? টেস্ট?
  • কৌশিক মাইতি | ***:*** | ১৫ জুলাই ২০১৮ ১৭:৫৯377295
  • আসামে বাঙালির বিপন্নতা ও এ রাজ্যের বাঙালি

    ভারাক্রান্ত মনে পশ্চিমবঙ্গের এক বাঙালি লিখতে বসেছে। কলকাতার নানা পত্রিকায় তপোধীর ভট্টাচার্যের আর্তনাদ, উত্তরে পশ্চিম বাংলার বাঙালির উদাসীনতা বেদনাদায়ক। NRC র ড্রাফটে নাম নেই তপোধীর বাবুর নিজেরই, তাঁর বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী, এক সময়ের বিধায়ক। NRC বিলকে হাতিয়ার করে বাঙালি বনাম অসমীয়া খেলায় নেমেছে বিজেপি-আরএসএস। ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকার মধ্যে দূরত্ব তৈরির সব রকম চেষ্টা চলছে। বাঙালি বিদ্বেষী অসমীয়া সংগঠনগুলি হুঙ্কার ছাড়ছে, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিদেশী সন্দেহে বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, চলছে অকথ্য অত্যাচার। বরাক উপত্যকার তিন জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ।

    আসামের বাঙালি সংগঠনগুলি একত্রিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, প্রায় ৪৩ টা বাঙালি সংগঠন। প্রতিবাদে পথে নেমেছে। তাদের অভিযোগ, NRC বিলকে কাজে বাঙালি জাতিকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। কলকাতার সংবাদপত্রে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরায় এফআইআর হয়েছে তপোধীর ভট্টাচার্যের নামে। কিন্তু, মাথা নীচু না করে, পালটা প্রতিবাদ শানাচ্ছেন তিনি।

    এমতাবস্থায় পশ্চিম বাংলার বাঙালির নৈতিক কর্তব্য আসামের বাঙালির পাশে দাঁড়ানো। দায়িত্ব তপোধীর বাবুদের হাত শক্ত করা। আসামে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা মানবতার দাবী। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা হতাশাজনক, অদ্ভুত ভাবে চুপ সবাই। মুখ্যমন্ত্রীতো আবার আসাম সীমান্তে কড়া নজরদারির কথা বলছেন,  যা ভয়ের উদ্রেক করে। অন্যদিকে, যারা বহির্বিশ্বের সমস্ত ঘটনা নিয়ে চিন্তিত হন, তারা নিজের জাতির সংকটে উদাসীন। কারণ স্বজাতির বিপদে কথা বললে, সমানাধিকারের কথা বললে পাছে প্রাদেশিকতার ছাপ লাগে পাট পাট করে ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবিতে। এটা চূড়ান্ত বাস্তব বিচ্ছিন্নতা এবং ভণ্ডামির লক্ষন। তবে আশার কথা হল, দলীয় রাজনীতির বাইরে বেশ কিছু সংগঠন কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে জনমত গড়ার প্রচেষ্টা জারি আছে। সভা, সেমিনারও হচ্ছে কলকাতার নানা প্রান্তে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু সংগঠন সামাজিক গণ মাধ্যমে এবং বাস্তবের মাটিতে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যৌথ কর্মসূচীও নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। যত দ্রুত সম্ভব কলকাতায় আসাম ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভের কথা ভাবা হচ্ছে।

    পশ্চিম বাংলার বাঙালি হিসাবে আমাদের সর্বতোভাবে আসামের বিপন্ন বাঙালির পাশে দাঁড়াতে হবে। আসামের বাঙালি নিয়ে নিরুত্তাপ থাকা আসলে নিজের পায়ে কুড়ুল মারা, বাঙালি জাতির বুকে কুড়ুল মারা। নির্লিপ্ত থাকার মানে, বাঙালি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। বাঙালির অনৈক্য, বাঙালি জাতিসত্তার নড়বড়ে ভিত্তি বাঙালিকে বারবার ভিটেমাটি ছাড়া করেছে, বাঙালি বারবার হেরে যায়। আর কতবার? একবার তো ঘুরে দাঁড়াতে হয়! এই সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আসামের বাঙালির জন্য অগ্নিপরীক্ষা, এ রাজ্যের বাঙালির জন্য লিটমাস টেস্ট। এ পরীক্ষায় বাঙালিকে জিততেই হবে। আরও একবার হারলে বাঙালি চিরতরে মুছে যাবে! এবার আর যেন তপোধীর ভট্টাচার্যদের পশ্চিম বাংলা থেকে খালি হাতে ফিরতে না হয়।

    তাই, আসুন, আমরা শপথ নিই। আসামের বাঙালি বিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে একজোট হবো, সব চক্রান্ত ভেস্তে দেব। বাঙালি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবে।
  • | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ২২:৩২377296
  • Du | ***:*** | ১৭ জুলাই ২০১৮ ২৩:২১377297
  • অদ্ভুত এই এনার্সি। নিজেরই দেশে কাগজের অভাবে লোককে ডিভোটার করে দিচ্ছে বা অনুপ্রবেশকারী আর কোনই হইচই নেই। এই আইনকে কি কেউ সুপ্রীম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেনি বা করতে পারে না? পুরোপুরি অসংবিধানিক তো মনে হয় শুনলে। বরাক ভ্যালির লোকের তো ভারত ভুখন্ডে ঐটাই জায়গা তারাই বা ভুমিপুত্র স্ট্যটাস পাচ্ছেন না কেন যদি আদৌ ওটা কোন স্ট্যটাস হতে পারে সংবিধান অনুযায়ী?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন