এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 113.219.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৩:০০373098
  • নারীত্বের কি কোনো সেলিব্রশন হয়? আমি জানিনা। সমাজ পুরুষতান্ত্রিক তাই নারী সবসময়ে 'দ্য আদার'। তাই নারীত্বের হয়ত নারীত্ব সেলিব্রেট করার দরকার পড়ে। তার কারণ ও একটা বাইনারি না থাকলে আরেকজন শক্তিশালী হবে কি করে? পুরাতন কাল থেকে এক গোষ্ঠীর মানুষকে 'দলিত' করে সব কিছু থেকে তাদের বঞ্চিত করে রেখেই তো পণ্ডিত ও শাসককূল শীর্ষে। এই বাইনারি আমাদের সভ্যতায় খুব সহজাত। আমরা মেনেই নিয়েছি। তাই পিতৃতন্ত্রে নারীত্ব এক বাইনারি। আর তাই নারীত্বের বিভিন্ন প্রকার সেলিব্রশন। কখনো তারা স্নিগ্ধ, কোমল কখনো তারাই শক্তি।

    আমার চোখে দুটোই অদ্ভুত।

    আর সব থেকে অবাক লাগে নারীরা নিজেদের নারীত্ব নিয়েও খুব কনফিডেন্ট নয়। সম্প্রতি এক পারিবারিক উৎসবে এক ভাতৃবধূ যখন তার কলেজের এক মেয়েলি সহপাঠীকে নিয়ে ভ্যাঙ্গাচ্ছে তখন অবাক লাগে সে মধ্যে যে নারীত্ব থেকেও থাকে, তাকে সে কত ছোট করছে, সে খেয়াল সে করেনা। ছেলেদের 'মেয়েদের' মত হওয়া খারাপ। তার কারণ আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আর এই মানসিকতাটা শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবার মধ্যে সমান।

    আজ ৮ মার্চ শুধু নারী দিবস নয়, 'ইন্টারন্যাশনল ওয়ার্কিং উইম্যানস ডে'। এর হয়ত অনেক তাৎপর্য আছে।

    কিন্তু সবার আগে ঘুচুক এই বাইনারী আর এই 'দ্য আদার' কনসেপ্ট।

    মেয়েলি হবার জন্যে যেন অপমান ও আক্রমণের শিকার না হতে হয় কোনো পুরুষকে।

    গুচুক পুরুষতন্ত্র। যে তন্ত্র সব কিছুকে দাবিয়ে রেখেছে।
  • একক | 53.224.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৩:০১373109
  • "ওয়ার্কিং উইম্যান্স ডে" তে ঘরেপোষা বরেপোষা দের জন্যে কোনো বাণী নেই ?
  • | 144.159.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৩:১৬373111
  • "'ইন্টারন্যাশনল ওয়ার্কিং উইম্যানস ডে'। এর হয়ত অনেক তাৎপর্য আছে।" হয়ত অনেক তাৎপর্য্য আছে? হয়ত?? পাতি গুগল করলেও চাট্টি ইনফো পাবেন। এদিক ওদিক অনেক লেখাপত্রও বেরোয়/বেরিয়েছে।
  • অর্জুন অভিষেক | 113.219.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৩:৩২373112
  • তাৎপর্য অস্বীকার করিনি। সেই জন্যেই তো বললাম 'অনেক তাৎপর্য' আছে।
  • সিকি | 158.168.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৫:২৬373113
  • আর্কাদির লেখাটাই তুলে দিই। একটু একপেশে, তবুও -

    ১৯১১। ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে ১৯ মার্চ গোটা ইউরোপ জুড়ে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে এলো। মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার, জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার এবং একই কাজের একই মজুরির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠলো ইউরোপের শহরগুলো। তারপর কেটে গেলো ৬ বছর।
    ১৯১৭। পেত্রোগ্রাদ। ৮ই মার্চ। শহর জুড়ে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে এলো সাধারন ধর্মঘটের ডাকে। তাদের দাবি - রুটি আর শান্তি। যুদ্ধের অবসান হোক। রাশিয়ার জার নিপাত যাক। সূচনা হলো February Revolution এর। সূচনা হলো International Working Womens' Day।
    মঞ্চে উঠলেন আলেক্সান্দ্রা কোলোনতাই। উঠলেন এম্মা গোল্ডম্যান। উঠলেন রোজা লাক্সেমবার্গ। দুনিয়া কাপানো দশদিনের সমাপ্তির পর সোভিয়েতে আন্তর্জাতিক শ্রমজীবি নারী দিবসকে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষনা করা হলো। এরই মধ্যে সামগ্রিক ইউরোপ জুড়ে ঢেউ বয়ে চললো। ইংল্যান্ডে মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবীতে শহীদ হলেন এমিলি ডেভিডসন। ভারতের বিপ্লবীদের ওপর যে অত্যাচার পদ্ধতি প্রয়োগ করতো ব্রিটিশ সরকার, সেই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু হলো suffragette দের ওপর - জেলে অনশনরত মহিলাদের গলা বা নাক দিয়ে জোর করে টিউব ঢুকিয়ে তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা চললো। ইতিমধ্যে সোভিয়েতে কোলোনতাই'র পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হলো নতুন সিভিল আইন। ডিভোর্স, এবর্শন, যৌনতা, মাতৃত্ব - নারীদের এতদিনের লড়াইয়ের ফসল হিসেবে তারা পেলো একঝাক অধিকার। একের পর এক যুগান্তকারী থিসিস প্রকাশ করলেন কোলোনতাই, জেটকিন, লাক্সেমবার্গ। প্রেম, ভালোবাসা, বিবাহ, যৌনতা, পরিবার, মাতৃত্ব, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার - সমস্ত প্রশ্নে নারীদের সামনে এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটলো। এরই মধ্যে বলশেভিক বিপ্লবের পরেই নিজের প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ১০ দিনের জন্যে উধাও হলেন আলেক্সান্দ্রা কোলোনতাই। নতুন সোভিয়েত সরকারের তিনি তখন মন্ত্রী। দায়িত্ব ফেলে চলে গেছেন, তাই ফেরবার পর সোভিয়েতের ডেলিগেটরা দাবী তুললো শাস্তি চাই! লেনিন সব শুনে মজা করে বললেন - কমরেড কোলোনতাই'র জন্যে একমাত্র শাস্তি এটাই হতে পারে, যে উনি ওনার প্রেমিককে বিয়ে করে ফেলুন!
    ১৯২৮ এ ইংল্যান্ডের মহিলারা ভোটাধিকার পেলো।
    তার পর কেটে গেলো বহু দশক। দুনিয়া জুড়ে নারীরা লড়ে গেলো তাদের অধিকারের জন্যে। ভোটদানের অধিকার। নিজের দেহের ওপর অধিকার। সম্পত্তির অধিকার। শিক্ষার অধিকার। একের পর এক জয় এলো। ভারতে লড়ে গেলেন সাবিত্রিভাই ফুলে। লড়লেন বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। তাদের ব্যাটন হাতে তুলে নিলেন নিবেদীতা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। লড়াইয়ের ময়দানে নামলেন ক্যাপ্টেন লক্ষী সায়গল। দেশের মাটিতে আগুন জ্বাললেন মনিকুন্তলা সেন, ইলা মিত্র, অহল্যা রঙ্গনেকররা।
    ১৯৭৭। ইউনাইটেড নেশনসে প্রস্তাব পাশ হলো বিশ্বজুড়ে ৮ই মার্চে নারী দিবস ঘোষনার। Internationals Working Womens' Day হয়ে গেলো International Womens' Day।
    আস্তে আস্তে ফিঁকে হলো লড়াইয়ে স্মৃতি। নারী দিবস হয়ে উঠলো কর্পোরেটদের বিপণন কৌশল। মেক আপ কেনো। পরিধান কেনো। 'নারীসত্ত্বার' উদযাপন করো। সেই সত্ত্বা কেমন হবে, নারী'র সংজ্ঞা ঠিক করতে মাঠে নেমে পড়লো আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজীর দালালরা। L'Oreal, Chanel, Burberry, Versace, এরা বলে দিলো - নারী হতে চাও, সমাদর পেতে চাও, তাহলে আমাদের প্রোডাক্ট কেনো। নারী হিসেবে তোমাদের প্রাথমিক পরিচয় োন্সুমের। Consume or Perish! কেনো, কেনো আরও কেনো! নারী দিবসে আমরা ডিসকাউন্ট দিচ্ছি! আর ঠিক যখন আমরা কিনতে ব্যাস্ত, এই দেশের মাটি, যা প্রীতিলতার রক্তে শিক্ত, যেই মাটিতে ঘাম ঝড়িয়েছেন লক্ষী সায়গল আর ইলা মিত্ররা, সেই মাটিতেই জন্ম নিলো মেধা পাটকর। জন্ম নিলো সোনি সোরি। জন্ম নিলো ইরম শর্মিলা চানু। জন্ম নিলো গুরমেহর কৌর। নারী! অর্ধেক আকাশ! কোনও Versace'র সাধ্য নেই ইভিনিং গাউনে তাকে বন্দী করে রাখবে! L'Oreal চেষ্টা করেও স্ট্রবেরি ফ্লেভারের লিপ গ্লস লাগিয়ে তার মুখ বন্ধ করতে পারবে না!
    ৮ই মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস জিন্দাবাদ!
  • Shodhganga | 69.16.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৯:২১373114
  • http://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/153411/5/05_chapter%203.pdf

    এই চ্যাপ্টারের স্ত্রীশিক্ষা অংশটা পড়ে দেখা যেতে পারে। অশোক কুমার মিশ্র-র থিসিস পেপার। বঙ্গদেশের লড়াই টড়াই কি পরিবেশে করতে হয়েছিল ইত্যাদি প্রসঙ্গে।
  • PT | 213.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ২১:৫৬373115
  • তাত্বিকরা যখন তত্বের কচকচি নিয়ে ব্যস্ত তখন আধুনিক ভারতে নারী স্বাধীনতা আরো বিকশিত হল!!
    "খবরটা ছড়িয়ে পড়ল নারীদিবসেই। বিজেপি শাসিত রাজস্থানে মেয়েদের কলেজে যেতে হবে শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে। জিনস, স্কার্টের মতো পোশাক এক্কেবারে নিষিদ্ধ।"
    http://www.anandabazar.com/national/jeans-ban-for-women-in-rajasthan-college-dgtl-1.767673?ref=hm-ft-stry-4
  • dc | 181.49.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ২২:০৯373116
  • এ তো সেই কলকাতায় একবার শাড়ী পরার ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল, সেরকম! সেটা অবশ্য রাম আরে ধুর বাম রাজ্যে হয়েছিল। তাহলে কি বিজেপি সিপিএমের লক্ষীপ্যাঁচা?
  • dd | 59.205.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ২২:৩২373117
  • ব্যাংগালোরের প্রায় সব কলেজেই ড্রেস কোড আছে। ছেলে মে' দুজনেরই।

    আমার মে'দের ইউনিভার্সিটি (ক্রাইস্ট) মে'রা শুধু সালোয়ার কামিজ পরে যেতে পারে। টাইটস নয়। প্যান্ট তো নয়ই। বড় মেয়ের কলেজ St.Josephএও কড়া ড্রেস কোড ছিলো। এখনো আছে।

    শুধু খ্রীস্টান কলেজ নয়, প্রায় সব কলেজেই ড্রেস কোড আছে। কোনো পোলিটিকাল পার্টীর কোনো বক্তব্য নেই এ বিষয়ে।
  • PT | 213.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ২২:৪৬373099
  • কোন কলেজের নিজস্ব ড্রেস কোড আর সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী সব কলেজের ড্রেস কোড স্থির করার মধ্যে তো পার্থক্য আছে বলে মনে হয়ঃ
    "রাজস্থানের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সে রাজ্যের কমিশনারেট অব কলেজ এডুকেশন জানিয়েছে,‘আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু করতে হবে ড্রেস-কোড’।"
    নাহলে তো কোন কোন কলেজে সকালে প্রার্থনার সময়ে ছেলেরা কেন ধুতি পরবে তাই নিয়েও তক্ক শুরু করে দেওয়া যায়।
  • PT | 213.***.*** | ০৮ মার্চ ২০১৮ ২২:৫২373100
  • dc কি এটার কথা বল্ছেন? কিন্তু সেটা সরকারই থামিয়েছিল।
    .....Asutosh College Principal, Subhankar Chakrabarty, in 2004 expressed displeasure over girls coming to college in fashionable salwar kameez. .......Chakrabarty was silenced by the higher education department.
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.***.*** | ১০ মার্চ ২০১৮ ০২:০০373101
  • সিকি, তোমার বিস্তৃত কমেন্টের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

    দারুণ।

    তবে সাবিত্রীবাঈ ফুলে অনেক আগের এবং তাঁর লড়াইটা খুব একক।

    আমার পছন্দের কয়েকজনের নাম বাদ গেছে। যাইহোক সেটা কোনো কথা নয়।

    সিমোন বুওভারের 'সেকেন্ড সেক্স' ফেমিনিসেমের একটা ল্যান্ডমার্ক।
  • সিকি | ১০ মার্চ ২০১৮ ০৬:৪১373102
  • আমার নয়, ওটা আর্কাদির কমেন্ট।
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.***.*** | ১০ মার্চ ২০১৮ ১১:৪১373103
  • অর্কদার কমেন্ট আমার পড়া হয়নি। সেটা তুমি কোট করাতে অনেক ধন্যবাদ।

    ওই কমেন্টটা খুব বড় আলোচনার জায়গা করে দিয়েছে।
  • pi | 57.29.***.*** | ১০ মার্চ ২০১৮ ১১:৫০373104
  • অর্কদা নয়। আর্কাদি।
  • pi | 57.29.***.*** | ১০ মার্চ ২০১৮ ১২:২২373105
  • সাবিত্রীবাঈ ফুলের লড়াই তো জ্যোতিরাও ফুলের হাত ধরে শুরু আর হাতে হাত রেখেই। আর ওঁদের একটা বড় অনুগামী দল তৈরি হয়েছিল, একটা মুভমেন্টের ফর্ম নিয়্ছিল বলা যায়। তবে প্রচ্ণ্ড চাপের মুখে, প্রচুর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, প্রচুর বিরোধিতা সামলে যে কাজগুলো করে গেছে, জাস্ট কোন প্রশম্সাই যথেষ্ট নয়।

    একে দলিত, তায় মেয়ে, সেও ঐ সময়ে!

    তবে আমি সাবিত্রী বলছি, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, বহু ক্ষেত্রে ঐ সময় থেকেও পিছিয়েছি। ইসমত চুঘতাই পড়তে পড়তেও।
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.***.*** | ১০ মার্চ ২০১৮ ২৩:৫৫373106
  • সাবিত্রীবাঈ ফুলের সংগ্রামটা একটা বিস্ময়ের। সত্যি ভাবা যায় ১৭০ বছর আগে, সতেরো বছর বয়েসের একজন দলিত রমণী আহমেদনগরে একটি খৃষ্টান প্রতিষ্ঠান থেকে টিচার্স ট্রেনিং নিয়ে পুনার ভিডে ওয়াড়ীতে মেয়েদের স্কুল খুলে ফেললেন!! ১৮৪৮ মানে তখনো বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়নি। সতী দাহ প্রথা রদ (১৮২৯) হয়েছে ২০ বছরও হয়নি। অথচ আমাদের পোস্ট কোলনিয়াল হিষ্ট্রিতে সাবিত্রী বাঈয়ের নাম উল্লেখ খুঁজতে মাইক্রোস্কোপ লাগে। আমার ছোটবেলার ইতিহাস বইতে তো তাঁর কথা পড়িনি। মহারাষ্ট্রে না গেলে তাঁর কথা জানতামও কিনা সন্দেহ।

    মহারাষ্ট্রে জ্যোতিরাও ফুলে আজ থেকে প্রায় ১৭০ বছর আগে জাতিবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, ধর্মীয় অনুশাসন, লিঙ্গ ভিত্তিক অসাম্য, পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তর সংগ্রাম ও সংস্কার যজ্ঞ শুরু করেন। পরবর্তীকালে বি। আর। আম্বেদকার যে জাতীয় দলিত আন্দোলন শুরু করেছিলেন, জ্যোতিরাও ফুলে তার প্রায় ৭৫ বছর আগেই তার সূচনা করেন। এই ব্যাপক সমাজ সংস্কার কর্মযজ্ঞে তিনি পাশে পেয়েছিলেন সহধর্মিণী সাবিত্রীবাঈকে।

    জি পি দেশপাণ্ডে যিনি জ্যোতিরাও ফুলেকে নিয়ে ডিটেলড গবেষণা করেছেন, বলেছেন তিনি ছিলেন প্রথম 'কাস্ট থীওরিষ্ট'।

    সময়ের থেকে কতটা এগিয়ে ছিলেন তাঁরা !!
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.***.*** | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৩:৪৩373107
  • সাবিত্রীবাঈ ফুলের কোনো প্রামাণ্য ছবি অনেক খুঁজেও পাইনি। জ্যোতিরাও ফুলের আছে।

    কেউ সন্ধানে পেলে জানাবেন।

    আমার দরকার।
  • | 52.***.*** | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৪:২২373108
  • আলোচনা পড়ে হটি বিদ্যালঙ্কার, হটু বিদ্যালঙ্কারদের কথা মনে পড়ে গ্যালো!

    পুণের প্রান্তে এক স্কটিশ চার্চে এক প্রাচীন মানুষের সাথে একবার আলাপ হয়। মারাঠি ক্রিশ্চান হাস্যমুখ প্রৌঢ়, যিনি মনে করেন কমিউনিজম হোলো ক্রিশ্চানিটি মাইনাস গড। এবং গডযুক্ত কমিউনিজম ক্রিশ্চানিটি।
    তাঁর সাথে কেক খেতে খেতে গপ্প হয়েছিলো। তিনি রমাবাই পণ্ডিতা, সাবিত্রীবাই,জ্যোতিবা এদের উত্থান এবং চমকপ্রদ মনোলোকের পেছনে স্কটিশ মিশনারিদের প্রসন্ন অবদান নিয়ে কথা বলেছিলেন অনেক।
    কেরি সাহেবের কথাও জানেন। এবং বাংলাতেও নবজাগরণের পেছনে মিশনারি শিক্ষার সদর্থক দিক উল্লেখ করেন।
    খুব ইন্টারেস্টিং কিছু কথা শুনেছিলাম। মিশনারি প্রভাবে জাতিভেদ উড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও।
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১৮ ০০:৪৮373110
  • ক্রিশ্চান মিশনারীদের প্রভাব তখন সর্বত্রই ছিল। যে রমাবাঈকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 'পণ্ডিতা' উপাধিতে ভূষিত করে, তিনি মহারাষ্ট্রে ফিরে ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের থেকে হেনস্থার শিকার হয়ে একটু 'দুম' করেী খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। পুনার কাছে কেডগাঁওতে তার আশ্রমে আমিও গেছি। এই খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণের জন্যে তাঁর পাশ্চাত্যে যাবার সুযোগ ঘটলেও অচিরেই তিনি এদের বজ্র আঁটুনির টান লক্ষ্য করেছিলেন। প্রবল স্বাধীনচেতা রমাবাঈকে পরে বহু সমস্যায় পড়তে হয় ও উনি জনান্তিকে আক্ষেপ করেছিলেন এই ধর্মান্তকরণের সিধান্তের জন্যে।

    মহারাষ্ট্রে রমাবাঈয়ের এই ধর্মান্তকরণ তাকে তার সময়ের অন্যান্য নারী শিক্ষা আন্দোলনের শরিক আরেক রমাবাঈ রানাডে (এম জি রানাডের সহধর্মিণী), প্রথম মহিলা চিকিৎসক আনন্দীবাঈ যোশী প্রমুখদের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছিল।

    বিচক্ষণ সাবিত্রীবাঈ এই ধর্মান্তকরণের মধ্যে যাননি। তাকে ধর্মান্তরিত করা মিশনারীদের সোজা ছিল অনেক। এখানেই তিনি অনন্যা।

    মহারাষ্ট্রে আরেক সমাজ সংস্কারক দম্পতি খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন-

    নারায়ণ য়ামন তিলক ও লক্ষ্মীবাঈ তিলক। লক্ষ্মীবাঈ তিলকের আত্মকথা 'স্মৃতিচিত্রে' (স্মৃতিচিত্র) একটি সময়ের মূল্যবান দলিল ও সাহিত্যিকভাবে সমাদৃত। লক্ষ্মীবাঈ 'খৃস্টায়ণ' নামে যীশুর ওপরেও একটি বই লেখেন।

    খৃষ্টধর্মের সমাজ কল্যাণমূলক কাজ অনস্বীকার্য কিন্তু আপনি

    'কমিউনিজম হোলো ক্রিশ্চানিটি মাইনাস গড' বা 'গডযুক্ত কমিউনিজম ক্রিশ্চানিটি' ।।।।।মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!!

    বা এই নিয়ে লেখা ও আলোচনা হতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন