এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এক টুকরো উত্তরাঞ্চল

    San Gita লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ | ২০৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • San Gita | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:২১371179
  • এক টুকরো উত্তরাঞ্চল- পর্ব ১
    -------------------------------
    এবারের বেড়ানোটা মূলতঃ ছিল পাখি দেখা আর পাখির ছবি তোলার জন্য। তো ছবি যে তোলার সে তুলেছে, আমার ক্যামেরা আর ফোনের এত সাধ্য নেই, বিশ্বেস করুন বাবুমশাইরা!! আমি অপূর্ব সব মূহুর্ত মনের ক্যামেরায় তুলে রেখেছি। প্রত্যেক রোমকূপ দিয়ে শুষে নিয়েছি জীবনের রূপ, রস, গন্ধ! কেয়া পাতা কাল হো না হো!

    যাই হোক, আমি আমার তোলা ছবিই দেখাব আর আমার গল্পই বলব। ঠিকাছে?

    শুরু করি নৈনিতাল দিয়ে। আগের বার করবেট আর বিনসর ফেরত নৈনিতাল গেছিলাম। হেভিওয়েটদের পাশে সেবার সে ছিল প্রায় দুধভাত। শহরে আমাদের আগ্রহ যেহেতু বেশ কম, তাই পাত্তাই দিইনি। কিন্তু আমাদের বন্ধু সুমন-শবরী এমন একটা থাকার জায়গা বেছেছিল যে সেখানে ঢুকেই আমাদের মনপ্রাণ হায় হায় করে উঠল। শহর থেকে অনেক ওপরে ভিউপয়েন্টের কাছে পুরনো একটা বাংলোর বিরাট বড় বড় উঁচু উঁচু ঘরগুলো দেখেই আমাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল খুব অদ্ভুত। সুমন, শবরী, আমি আর ইন্দ্রনীল কেউ কারো সাথে আলোচনা না করে, ইন ফ্যাক্ট কেউ কারো দিকে বিন্দুমাত্র দৃকপাতও না করে যে যার ফোন থেকে প্রথমে নিজেরা চেষ্টা করে শেষে না পেরে ভাই, বোন, বন্ধুদের ফোন করে ঝুলোঝুলি যদি পরের দিনের বদলে তার পরের দিনের কোন টিকিট পাওয়া যায়। অমন জায়গায় একদিন থাকলে হয় কখনো? টিকিট পাওয়া যায়নি যদিও!

    এবারে নৈনিতাল যাব আর ওখানে থাকব না, তাই হয়? ওখানেই ছিলাম। ওখান থেকে কী যে অপূর্ব লাগে ম্যাঙ্গো-শেপড নৈনি লেক আর শহরটাকে। দিনে একরকম আর রাতে আরেকরকম।
  • San Gita | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:২২371180
  • এক টুকরো উত্তরাঞ্চল- পর্ব ২
    -------------------------------
    এত সুন্দর ঘরদোর, পাশে মস্ত গাছের ছায়ায় একটা ছোট খোলা মাঠ, তাতে মিষ্টি মত একটা মন্দির, আর য্দ্দুর চোখ যায় সবুজ গাছগাছালি, লেক, কিছুটা রাস্তা আর বিরাট আকাশের ব্যাপ্তি- সব মিলিয়ে দিল খুশ হয়ে তো যায়ই। তবে এবার আমরা সামনের সবচেয়ে বড় আর ভালো ঘরদুটোর একটাও পাইনি। দূরে একটেরে একটা কটেজ পেয়েছি, যার সাথে একফালি ফাঁকা আরেকটা ঘর আর একটা কাঠের বারান্দা পেয়েছি- একদম গাছপালার ওপর ঝুলে থাকা যেন বারান্দাটা।

    এবার বাড়িটার সবকিছুতেই একটু অযত্নের ছাপ দেখলাম মনে হল আর সেটা যে সত্যিই, দ্বিতীয়বার দেখছি বলে নয় সম্ভবতঃ- এই ভেবে খারাপই লাগল। তবে কিনা রান্না ওদের বরাবরই খাসা, (যদিও বড্ড কসুরি মেথিতে বিশ্বাসী ওরা)। জলখাবারের পুরি-সবজির সবজিটা অবধি আঙুল চেটে খাওয়ার মত।

    ওদিকে পরিবারের জুনিয়ার মেম্বার সারাক্ষণই নানা কান্ড ঘটিয়ে চলেছেন। নৈনিতাল যাওয়ার পথে ভোরবেলা কাঠগোদাম স্টেশানে তিনি দুটো তুলোর বলের মত কুকুরছানা দেখতে পান। তার পশুপ্রেমের কথা তো আপনারাও জানেন কিছু কিছু। ঐ ছানাদুটো ছিলও বড় ছটপটে আর সুন্দর, তারা উজানবাবুর প্রতি নানা আহ্লাদ প্রকাশ করতে শুরু করল। তিনি ও বিগলিত। কিন্তু আমাদের গতবারের ড্রাইভার পান্ডেজি, যিনি এবার নৈনিতালের হোটেল বুকিং ও করে দিয়েছেন (হোটেলের লোকেদের ফোন করলেও বুকিং নেওয়ার কোন চেষ্টাই করে না, এমন আজব), তিনি তাড়া দিতে লাগলেন, সাথে আমরাও। আমি চঞ্চল ছানাদুটোর ছবি অবধি তুলতে পারলাম না। এর জন্য আজ অবধি তো বটেই, সম্ভবতঃ সারা জীবন আমাদের গঞ্জনা শুনতে হবে। সত্যি! পরে আমাদেরও মনে হয়েছে যে, ওখানে আরো দশ-পনেরো মিনিট বেশি থাকলে কী এমন ক্ষতি হত আমাদের! ঐ হোটেলেও গতবার গিয়ে একটা বাবা কুকুর টাইগার আর তার ছানা রেইনবো কে পেয়েছিলাম, এবার তারাও নেই- ফলে অশান্তি চরমে। শেষে বিকেলে লেকের পাশে এক ক্ষীণবল ছানা পেয়ে এবং তৎক্ষণাৎ তাকে কোলে তুলে নিয়ে উজানবাবুর দুঃখ কিছুটা প্রশমিত হল। উফ! শান্তি!
    (চলবে)
  • pi | 57.29.***.*** | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ২০:১৮371181
  • সত্যি, উজানের কুকুরছানাপ্রীতি যা দেখলাম!

    ছবি কই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন