এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সেখ সাহেবুল হক | 160.129.***.*** | ২৯ জুলাই ২০১৭ ২২:২৩368403
  • গোমূত্র বনাম উটের বীর্য
    -----------------------------------------------------------------------
    দেশে এসব কি হচ্ছে জানি না। তবু আত্মসমালোচনা করতে ইচ্ছে করে। নিজে ঠিক আছি তো!
    কিছু আবালের আবলামির জন্য টাইম দিয়ে লিখতে বসাটা নেহাতই অপচয়। তবু দায় এড়িয়ে গেলে একদিন আমাকেও আবালসাইডে ফেলে সরল সমীকরণ করে ‘প্রমানিত’ বলে ফুলমার্কস লুটতে চাইবেন একটা অংশ। তাই আগেভাগে কিছু কথা লেখা জরুরি।

    ১)মহম্মদ সামির স্ত্রী হিজাবের বাইরে গিয়ে আধুনিক পোশাক পরে ছবি দিয়েছেন। তাতে ইসলামের অবমাননা হয়ে যাচ্ছে? ইসলাম কি এতো ঠুনকো! সামির স্ত্রীর শরিয়তি পোশাকই কি তাহলে ইসলামকে ধরে রেখেছিলো?
    আয়শা টাকিয়ার পাহাড়, জিনাত আমনের ক্লিভেজ, তব্বুর নাভি নিয়ে সমস্যা হয় না গুরু! আরাম করে দেখা যায়।
    শুধু সানিয়া মির্জা খেলার স্বার্থে শর্টপ্যান্ট পরলে আপনারা নিজেকে আঁটকাতে পারেন না। ফতোয়া দিয়ে মামলা ঠান্ডা করতে হয়।

    ২)মহম্মদ সামি মেয়ের জন্মদিন পালন করে ভুল করেছেন। বেশ কথা। কিন্তু সাল্লু বা শাহরুখের জন্মদিনে কুত্তার মতো এদেরই নাচানাচি করতে দেখি। কত্ত ‘ভাই ভাই’ আবেগ। পোস্টারে কেক, মন্নতে ভিড়।

    ৩)মীর বাবাকে সৃষ্টিকর্তার সাথে তুলনা করেছেন। গালাগাল খেয়েছেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিজীবনে তিনি যাকে খুশি উপাসক মানতে পারেন। কারুন পেছোন জ্বলার কারন দেখি না। কারন মীরের একটা বক্তব্যের উপর ইসলামের অস্তিত্ব নিহিত নেই। মীর তিনি নিজেকে বড় ধার্মিক বলে প্রমাণ করতে চাননি কোনওদিন।
    মীরের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাহলে কিছু বড় ধর্মীয় মুখদেরও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কারন তাঁরা সামান্য পয়সা আর ক্ষমতার লোভে রাজনৈতিক দলের পা চাটেন। কার্যত সিজদা করেন।

    ৪)মহম্মদ কাইফ দাবা খেলার ছবি দিয়েছেন। তাতেও সমস্যা! ইসলামে হারামের লিস্ট বের করলে শুধু ধর্মকর্ম নিয়েই পড়ে থাকতে হবে।
    ক্রিকেট থেকে কনিকা কাপুর সবেতেই বিধিনিষেধ। ইন্টারনেট, ফেসবুক, সেলফি, পর্ণ, মাস্টারবেশন সব হারাম। নে ব্যাটা এগুলো ছেড়ে দিয়ে ইসলাম পালন করে দেখা। তাহলে ধার্মিক খুঁজতে আলাদা কমিশন বসাতে হবে। ইউটিউবে হুজুরের ওয়াজ, হিন্দি গানের সুরে গজল, সবকিছুর বাজার শেষ। ঈদে ভাইজানের সিনেমাহল ফাঁকা! ভাবা যায়?

    ৫)ইরফান পাঠানের স্ত্রী কনুই দেখিয়ে, নেলপালিশ পরে ভুল করেছেন। কিন্তু এই ভুল সাবানা আজমিদের সময় থেকে আমার মাসি-পিসিরা থেকে করে আসছেন! হঠাৎ এসব কি হচ্ছে দেশে? এ যেন গোমূত্রের সাথে পাল্লা দিয়ে মাথায় উটের বীর্যপালন।
    লিপস্টিক বা নেলপালিশ বেচে খাওয়া যায় যদি, পরা যায় না কেন?
    এ যেন বেলঘরিয়া স্টেশনের দাবি। স্টেশনে সিগারেট বেচা হয়। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে খেলে ফাইন দিতে হয়।

    ইসলাম ধর্মটা সত্যিই এতো ঠুনকো নয়। অথচ কিছু মুসলিম নামধারীর জন্যই আজ ইসলাম গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। ইসলামের সঠিক আত্মীকরণ খুব একটা দেখি না। ইসলাম মানে হিন্দি গানের সুরে জোরে গজল চালিয়ে জিনা হারাম করে দেওয়া নয়, আমার ধর্মই সেরা প্রমান করা নয়। বরং বিশ্বাসে কায়েম থাকার শ্রদ্ধাবোধ। অন্যকেউ ইসলাম না মানলে আপনার ইসলাম কলুষিত হবে কেন? তাহলে আপনার বিশ্বাসে গলদ আছে। নচেৎ আপনি হিংসে করেন মীরদের মতো ধর্ম থেকে বেরিয়ে মুক্ত হতে পারেন না বলে।

    ইসলাম মানে স্থিরতা, কিছু শুনলেই মারদাঙ্গা করা নয়। কথিত আছে নবি(সঃ) এর জমানায় তাঁর নামাজের স্থলে কাঁটা বা উটের নাড়িভুঁড়ি ফেলে যেতেন অনেকে। নবি(সঃ) কিন্তু মাথার দাম বেঁধে দেননি। বরং তাদের ধর্মের পথে আনতে চেয়েছেন। অমুসলিমদের বলেছেন - “তোমার ধর্ম তোমার কাছে উত্তম, আমার ধর্ম আমার কাছে”। এই বানী আমরা নিতে পারিনি। যেদিন অন্ততপক্ষে এই একটি লাইনকেই আমল করতে পারবো, সেদিন নাহয় নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করার চেষ্টা করবো।

    ইসলাম একটা সমুদ্রের ন্যায় বিশাল। যে যেভাবে সাঁতরে তির খুঁজে নেয় নেবে। প্রত্যেকের ব্যক্তিস্বাধীনতা, রুচিবোধ, চিন্তাভাবনা ভিন্ন।

    আপনি গোমূত্র বা গরুর অক্সিজেন নিয়ে ব্যাঙ্গ করার আগে, মহরমে অহেতুক রক্তপাতের নোংরামি বন্ধ করতে হবে। শোকদিবসে মদ খেয়ে ন্যাংটামো করাটা মোটেই ধর্মের প্রতি সুবিচার নয়। ওইদিন বরং নামাজ পড়ুন, রোজা রাখুন।

    বোরখা না পরতে চাওয়া মেয়েটাকে বোরখা পরিয়ে কলেজে পাঠালে সে কিন্তু কলেজে গিয়ে সেটা খুলে ব্যাগে রাখবেই। তারচেয়ে শালোয়ার কামিজেই শালীনতা রক্ষা হোক। মাথায় ওড়না থাকুক। বোরখাটা চয়েস হোক,চাপিয়ে দেওয়া নয়। এই স্বাধীনতা দিতে না পারলে কোথায় ইসলামে নারী স্বাধীনতা! এই পোড়া বাংলায় বেগম রোকেয়া জন্মেছিলেন। তাঁকে আদর্শ করে প্রতিটা মুসলিম মেয়েকে এগোনো দরকার। এ দেশে সুলতানা রাজিয়াও শাসন করেছেন। সেসব আমরা বেমালুম ভুলে গেছি!

    ইসলামকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করার প্রবনতা সেই অনেককাল থেকেই। মানে আমার প্রয়োজনে সব জায়েজ। তাবিজের ভন্ডামি, জলসার নামে পাবলিককে বোকা বানিয়ে পয়সা কামানো, চারটে বিবাহের ফরমান, তালাকের মনগড়া বিধান ইত্যাদি। অথচ ইসলামের মূল বিধান অন্য কথা বলে। প্রসঙ্গের অপব্যবহার অতি মারাত্মক জিনিস। সাধারণ মানুষের জ্ঞানের অভাবে মাতব্বররা ব্যাবসা করে খাচ্ছেন। আর তার সমান্তরালে জন্ম নিচ্ছে, অর্ধশিক্ষিত কিছু কট্টরপন্থী মুসলমান নামধারী। যাদের দিয়ে দিব্যি গোটা মুসলিমজাতিতে বদনাম করা যায়। সেই প্রচেষ্টাও চলছে প্রতিনিয়ত।

    ইসলামে গান হারাম, অথচ দেখুন মহম্মদ রফিরা বড় গায়ক। সিনেমা হারাম, অথচ কিং খান বলিউডের বাদশা। শিরক হারাম, কালাম হিন্দু মন্দিরেও হাত জোড় করেছেন। ছবি আঁকা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন, অথচ মকবুল ফিদা হুসেন বিশ্ববিখ্যাত। নিজেকে ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রেখে আলাদা মোকাম পেয়েছেন। আজ যদি ইরফানদের গালাগাল করি, এঁদের নিয়ে আগামীর গর্বের দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়।

    ওরে মুমিনভাই, চিনিস না আলজেবুরকে। পড়িসনি আলীসাহেবদের, নজরুলকেও নিতে পারিসনি। গালিব, মান্টোদের চিনিস না। তাহলে গর্ব করার কারা রইলো?
    সেই কাইফ, মীর, সানিয়া, ইরফানরাই...। তাদের কাঠি করলে বলার মতো কে থাকবে! সিদ্দিকুল্লাহ, আরাবুল, বরকতিরা?

    না পোষায় ফেসবুক করিস না, টেনিস দেখিস না, সামির ওভারগুলো দেখবি না, মীরাক্কেল বয়কট কর। সেগুলোর জন্যও সাহস থাকা চাই। ইন্টারনেট পানুও দেখবো, আবার কেউ নেলপালিশ পরেছে বলে টিপ্পনী করবো। এগুলো বোধহয় নিজের ধর্মকেই খিল্লি করা।

    ইসলাম এক অনন্ত কৃচ্ছ্রসাধনা। যেখানে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে ইসলামের সম্মান রক্ষা হয় না। কাজেই যে হিন্দুভাইরা মুসলিম নাম দেখে ইসলাম গুলিয়ে ফেলেন তাঁদেরও উচিত ইসলামটা জানা। অবশ্য মুসলিমরাই ইসলামকে বুঝি উঠতে পারিনি। তোতাপাখির মতো কোরান আওড়ে গেছি। আর ফতোয়া নিতে হুজুরের কাছে ছুটে গেছি। সেই হুজুরই ইসলামকে ব্যবহার করে চলেছেন। অনেকক্ষত্রে তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ।

    পয়সার কারনে ইসলামকে ব্যবহার করতে তথাকথিত জলসাছাপ হুজুরদের লজ্জা করে না। ইউটিউবে দেখলাম, হুজুর বলছেন - “ফেসবুকের আবিস্কার কোরানের নীতি থেকেই…”। কিন্তু ইসলাম তো ফেসবুককে মান্যতা দেয় না। অথচ এই ফেসবুকেই ‘কেউ আমিন না লিখে যাবেন না’ বা ফটোশপ করে মাছের গায়ে আল্লাহর নাম লেখাগুলো শিক্ষিতরাই শেয়ার করেন। ধর্মকে আশ্রয় করে লাইক কামানো, আর বাস্তবে পয়সা কামানো।

    জলসার পর জলসা দেখি। হুজুররা বলে বেড়ান বেশি ‘ফাস্টো ফুট’ খেলে এডস হয়...। সেইসব ধর্মীয় মোড়লরা মাইক নিয়ে জ্ঞান বিলিয়ে যান। এগুলো যতোদিন হবে শুধু মীর, ইরফানরা আক্রান্ত হবেন না। ভবিষ্যতে আপনি বা আমিই হবো। নৈতিক শিক্ষা, সংস্কৃতি আর মূল্যবোধ নাহলে মুসলিম সমাজের একটা অংশ পুরো উন্নয়নটাকে বাড়তে দেবে না।

    পুনশ্চঃ মুসলিম নামধারীদের নোংরামির খবরে যারা উৎফুল্ল হন। আমায় ট্যাগ বা মেনশন করেন। তাঁরা কিন্তু মুসলিমদের ভালো খবর ছড়িয়ে দেন না। ঠিক উল্টোটাও আছে। এ যেন মাথায় গোমূত্র আর উটের বীর্যধারীদের ফেসবুকীয় সিভিলওয়ার। আসলে গুয়ের কোনও পিঠ ভালো নয়। আমাদের নাক চেপে এড়িয়ে গেলে হবে না। প্রকৃতই স্বচ্ছ মানব অভিযানে নামতে হবে।

    #হককথা
  • dd | 59.207.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১৭ ১০:২৪368404
  • "এ যেন মাথায় গোমূত্র আর উটের বীর্যধারীদের ফেসবুকীয় সিভিলওয়ার। আসলে গুয়ের কোনও পিঠ ভালো নয়। আমাদের নাক চেপে এড়িয়ে গেলে হবে না। প্রকৃতই স্বচ্ছ মানব অভিযানে নামতে হবে।" - এটা খুবই দামী লাইন।

    সত্যি, যেনো একটা কমপিটিশন চলছে। কে কতো বেশী ইন্টলেরেন্ট তার। তসলিমাকে গতকাল ঔরংগাবাদে ঢুকতে দিলো না র‌্যাডিক্যালেরা, এবার বোধ হয় শুনবো অন্য কোথাও হিন্দু র‌্যাডিক্যালরা অমর্ত্য সেনকে কোথাও ও রকম হেকেল করে এর "বদলা" (!!)নেবে।

    ঐ আরেকটা টইতে কে জানি লিখলেন, "ওরা" যদি বাঁদর হয় তো "আমরা" আরো বড়ো বাঁদর হয়ে দেখিয়ে দেবো। এখন এটাই চলছে।

    সাহেবুলের লেখায় আমার ব্যাক্তিগত মন্তব্য - লেখা নিয়ে নয়, বিষয় নিয়ে - যতোদিন কোরাণ নির্ভরতা চলবে ততোদিন র‌্যাডিকাল ইসলামকে থামানো যাবে না। একটা দুটো গ্রহনযোগ্য আয়াত দিয়ে কী হবে? হিংসক আয়াতও তো প্রচুর। আর সেই ভাঙিয়েই তালিবান, বোকা হারাম, আইসিস সবই চলছে এবং আরো চলবে।
  • h | 213.99.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১৭ ১৩:৪৩368405
  • একটা কথা স্ক্রিপচার নির্ভরতা নতুন কিছু না। প্রচুর ধর্ম স্ক্রিপচার নির্ভর করে চলে। শুধু স্ক্রিপচার আর কালেকটিভ স্মৃতি দেখিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরী হয়ে গেল, স্থানীয় মানুষ কে ফুটিয়ে। এখনো সেটলমেন্ট বাড়াচ্ছে রেগুলার। গাজা কে এখন আর কেউ দেশ বলে মনে করে না। রামাল্লা আর গাজার বিচ্ছেদ টা এই এক্সপ্যানশন ই তৈরী করেছে। আর এখন সব দোষ গাজার।

    স্ক্রিপচার এর ব্যাপারে আরেকটা জিনিস ও বোঝা দরকার। স্ক্রিপচার অসংখ্য ভার্সন রয়েছে। বহুতর ইনটারপ্রিটেশন রয়েছে। সে ব্যাপারেও ইসলাম একলা না। একেক্ক টা সময়ে একেকদল লোক মানুষের শত্রু হয়, আগে ছিল ইহুদী রা, এখন হয়েছে মুসলমান রা আর নতুন করে শত্রু হচ্ছে অন্য যৌনতার লোক জন রা। এবম মেয়েরা।

    বদমায়েশ ডিক্টেটর দের সমর্থন করার কাজ করে তথালথিত লিবেরেল ডেমোক্রাসি, আর অপেক্ষাকৃত আধুনিক দের শেষ করে। এখন যা দেখা যাচ্ছে তার ফল আউট। কারণ বিশ্বাসী মুসলমান এর কাছে ইকোনোমিক সাকসেসের মডেল, নিজের দেশে রোয়াব্বাজীর মডেল সৌদি ইত্যাদি, যান্`্রা বিচিত্র আইন কানুন ব্যবস্থা সত্ত্বো মাঝে মাঝে ই টাকা দিয়ে ডেমোক্রাসি কে বাঁচিয়ে থাকে, ওয়েস্টার্ন জব্স বাঁচিয়ে থাকে।

    অতএব এগুলো তে আশচর্য্য কারণ নেই। রক্ষণশীলতা কে অর্থনৈতিক সাফল্যের পুউর্বশর্ত বলে বেচা হবে, আর অশিক্ষিত লোক তার এপিং করবেই। প্লাস আমাদের দেশে হিন্দুর নিজের সাংস্কৃতিত ঐতিহ্য জানার বিচিত্র পাবলিক এফর্ট কে ভীষা মূল্য দেওয়া হবে, আর মুসলমান রা সেটা করলেই ভীষা দোশের হয়ে যাবে, এই রসিকতাটা বেশিদিন চলে না।

    বোগাস রক্ষণশীলতা কোন স্ক্রিপচারেরি কিসু কম নেই। আমি শিবের মত সারাদিন গাঁজা খেলে , ষাঁড়ে করে আপিসে আসতে চাইলে লোকে হজম করবে, না কি বিভিন্ন মুনিঋষি দের মতো যার তার সঙ্গে শুয়ে পড়লে, বা আমার বৌ রেগে গিয়ে জামাকাপড় খুলে সকলে কে মেরে তাদের মুন্ডু গলায় ঝোলালে, বা শত্রুভাবাপন্ন আত্মীয়দের ডুয়েলে আহ্বান করে ১৮ দিন দরে মেরে ফেললে , সমাজ হজম করবে? স্ক্রিপচার টা আশলে ইসলামে কোন ইসুই না। এটা পাওয়ার গেম, যাঁরা ঈশ্বর মানেন এবং যাঁরা মানেন না, সকলেই সেটা বোঝেন, অর্গানাইজিং প্রিন্সিপল হিসেবে নানা অস্মিতা ইত্যাদি ঢপ ইউজ করে থাকে তাই চলছে। সমস্যাটা মুসলমান দের শুধু না।

    আর সব সমাধানে নেশন স্টেট এবং তার সঙ্গী ন্যাশনাল ক্যাপিটাল কে দেখানো হয়, নেশন স্টেট এবং তার বিভিন্ন সহযোগী এমন কিসু অনন্ত কালের বস্তু না, এসব এর পরিবর্তন হচ্ছে ও হবে। তাতে কার ভাবে কত কলা পড়বে, লড়াই টা তার এবং চলছে। এবং সৌদি আরব কে ১০০ বিলিয়ন এর অস্ত্র বেচে তার ইমিডিয়েট সমাধান হচ্ছে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন