এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্প

    Ajit Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ৩০ জুন ২০১৭ | ২১৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ajit Roy | ২৭ জুলাই ২০১৭ ২২:২১368176
  • নামে শ্রী থাকলে লেখায় শ্রী থাকে না। সেবার ফাইনাল প্রুফ দেখতে গেলে প্রেসমালিক টিউব নিভিয়ে লম্ফ জ্বেলে দিয়ে বললেন, এবারটি দ্যাখেন। জানা গেল, গোটা কাজটাই লোডশেডিংয়ে সারা। অর্থাৎ যেমন কাজ, তেমনি সাজ। তো, বর্তমান লেখাটি ভরদুপুরে লেখা। মধ্যাহ্ন ভোজের পর, রয়ে-সয়ে। তা, এই মাহ শাওনে আকাশে একফালি তুলো মেঘ গ্যাঁট হয়ে বসে থাকলে কী-আর করা!
    বাংলা মোদের আ-মরি ভাষা। যে ভাষায় কানা মেয়ের নাম সুলোচনা। গল্পের গোরু মইয়ে চড়ে। আর বাবুর কুকুরও ঘাস খায়। দেখা গেল, ক্ৰমে ক্ৰমে পয়ার-লাচাড়ি কমে এলো। বাবু বঙ্কিম আমাদের কালো সিলোফেন দেখালেন, ব্রাউন পেপার প্যাকেজ। তা, সেভাবে ধরলে, ১৫৫৪ সনে কুচবিহারের রাজা নরনারায়ণ দেবের অহোম নৃপটিকে লেখা চিঠিটাকেই বাংলা কেজো গদ্যের আদিতম নিদর্শন হিশেবে রেফার করা যায় না কি? সেই ধূসর আদলহীন যতিচিহ্নবর্জিত গদ্যই তো কালক্রমে বিভিন্ন রাজারাজড়ার চিঠিপত্র, জমিদারি সেরস্তার দলিল-দস্তাবেজ আর আইনি বইয়ের তর্জমার মারফৎ গতর পেয়েছিল। আর সেটা রাজপুরুষ আর পাদ্রীদের বাংলা শেখানোর জন্যে কেরী সাহেবের মুন্সিদের উদ্যোগ নেওয়ার অনেক আগেই। কিন্তু সুতানুটি, কলিকাতা আর গোবিন্দপুর এই তিন গাঁয়ের সাড়ে তেরোজন মোড়ল বললেন, না, বাংলা গদ্যের সূচনা দূরকালে নয়, অন্যকালে। অর্থাৎ ইতিহাসটা বাদ, ভূগোল পড়তে হবে। দেখা যাচ্ছে, বাংলা ভাষার নির্দিষ্ট একটা এলাকা আছে। কিন্তু নেপাল-সিকিম-ভুটান বর্ডার থেকে দক্ষিণে বঙ্গসাগর, সে তো বিশাল এলাকা! কোথাকার গদ্যকে বাংলা গদ্য বলব? এর সিধা-শর্টকাট জবাব ----- পুঁজিকে যে-জায়গায় এককাট্টা করা হয়, শেঠ-আঢ্য-বসাকদের আড়তি কারবারের জায়গা। মুৎসুদ্দি বেনিয়াদের আদি কর্মভূমি। মানে, এই তিন গাঁ। কলকাতা যার মডার্ন নাম। সেই থেকে কলকাতা আর হুগলিচত্ত্বর বাংলা সাহিত্যেরও পাইকারি দালালির মণ্ডি হয়ে গেল। এর বাইরের কোনো খানের ভাষায় লিখলে তা বাংলা সাহিত্য বলে গণ্য হবে না। কলকাতায় বামুন আর চাঁড়ালকে ফারাক রাখা যায়।
    আমি গদ্যের কথাই ভাবছি। কেননা, বাঙালির যা-কিছু এই গদ্যকেই আশ্রয় করে। গদ্য-প্রকরণ শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যের নয়, গোটা বাঙালি জাতির সাবালকত্ব প্ৰমাণ করে। গদ্যই এ জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংবাদদাতা। গদ্যের ক্রমপ্রসারেই বাঙালির চেতনাশ্রয়ী মানবজ্ঞান যুগপৎ গভীর ও ব্যাপক হয়েছে। চর্যাপদ থেকে আমাদের সাহিত্য যে পয়ার-লাচাড়ির গজচালে চলে আসছিল, উনিশ শতকের প্রাক-লগ্নে গদ্যের ছোঁয়া পেয়ে সহসা তাতে উচ্চেঃশ্রবার উদ্দাম গতি ফুটে উঠল, গদ্যের ফিটনে চড়ে বাঙালি বেরুল চিন্তাবিশ্ব জয়ের অভিযানে।
    কিন্তু গোড়াতেই গলদ। বাংলা গদ্যের প্রযুক্তি আমদানি হল ইউরোপ থেকে। ইউরোপে ষোলো শতকে যে ধরনের গদ্যের কাজ শুরু হয়েছিল, আমরা সেটি আরম্ভ করলাম উনিশ শতকের মধ্যভাগে। ইউরোপীয় ভাষা বলতে স্রেফ ইংরিজি। একটি রক্ষণশীল ভাষাসম্প্রদায়ের সাহিত্যকে আমরা মডেল বানালাম। অথচ সেই একই সময়ে ইউরোপের অন্যান্য ভাষায় যে-সব কাজ হয়ে চলেছিল, সেগুলো আমরা জানতে পারলাম না। আমরা শুধু ইংরিজির অন্ধ-অনুকরণে মেতে উঠলাম। ফলত, অত্যল্প কালাবধির মধ্যে বাক্য-রচনারীতির সৌকর্য, তার শব্দশরব্যতা ও শব্দভাণ্ডার, সূক্ষ্ম ও জটিল ওজঃ, এবং প্রায় সমান্তরাল অনুভূতি প্রকাশের অনায়াস স্বাচ্ছন্দ্য বাংলা গদ্যকে তাৎক্ষণিক বা কিছুদিনের জন্যে সমৃদ্ধি দিল বটে, কিন্তু পরবর্তী কালের বাংলা গদ্য, যা আমাদের মহৎ জাতিচিহ্নের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ, বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে তুল্যমূল্য অনুশীলন ও উত্তরণ ব্যাপারে আমরা এক শূন্যতা ও বিষাদময় পরিস্থিতি আবিষ্কার করি। আমাদের গদ্যভাষার কাজ নিয়ে দেশি-বিদেশি পণ্ডিতদের মূল্যবান গবেষণা-কর্ম উনিশ শতকের প্রারম্ভকাল থেকে শুরু হয়ে রবীন্দ্রযুগ পর্যন্ত এসে থম মেরে যায়। পরোক্ষ বক্তব্য হল, বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা গদ্যের বেসিক স্ট্রাকচারে কোনো মৌল-পরিবর্তন হয়নি। বাংলা গদ্যের সূচনা লগ্নে আমাদের জন্যে যে গদ্যভাষা ধার্য হয়েছিল, সত্তর-আশি বছর ধরে ওই মডেলই আমরা রেয়াজ করে আসছি। একটা জাতির পক্ষে এর চেয়ে দুঃখজনক আর অবমাননাকর আর কী!!
    কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ নাটক ---- বাংলা সাহিত্যের সব কটা জঁর-ই আমার ইউরোপীয় ভাবধারা থেকে নিয়েছি। এভাবে আমরা প্রায় তিনশো বছর পিছিয়ে থেকেছি। মিগুয়েল ডি সেরভানটেস যখন 'ডন কিয়োতে' লিখছিলেন বা ফ্রাঁসোয়া রেবেল যখন 'গাগাঁতুয়া পাঁতাসুয়েল', বাংলা গদ্যের তখন জন্মই হয়নি। বারো-তেরো শতকেও আমাদের দেশে, বিশেষত বাংলায় যে-সব গীত, দোঁহা ইত্যাদির চল ছিল তাকেই লালন করলে আমাদের গদ্যের জন্ম ঘটতে এতটা দেরি হতো না। কিন্তু ইউরোপ থেকে ভিক্কে আহরণের ফলে আমরা পিছিয়ে থাকলাম। বঙ্কিমবাবুর সংস্কৃত-আশ্রিত ভাষায় উপন্যাস লেখার সময়ই, ভাবা যায়, এডগার অ্যালেন পো-র সরল ভাষায় লেখা আপাত-জটিল 'দ্য ফল অব দ্য হাউস অব আশার' বেরিয়ে গেছে!! কমবেশি ওই সময়েই পশ্চিমের এবং রাশিয়ান গদ্যসাহিত্যে ন্যাথানিয়াল হর্থন, হারমান মেলভিল অনরে ডি বালজাক, ইভান তুর্গেনিভ, দস্তয়েভস্কি। ফের যখন আমরা রবীন্দ্র-শরতের অনুশীলনহীন গদ্যে এলাম, ততদিনে তলস্তয়, চেকভ, হেনরি জেমস, জেমস জয়েস, আঁন্দ্রে জিদ, ফ্রাঁনৎস কাফকা, মার্শাল প্রুস্ত, লরেন্স এসে গিয়ে দুনিয়া তোলপাড়।
    বাংলা গদ্যের সীমাবদ্ধতার প্রথম কারণটি বলি। বাঙলায় তথাকথিত নবজাগরণ এসেছিল ইউরোপের কাছ থেকে ধার করে। এর ফলে আমাদের মধ্যে মৌলিক জীবনচিন্তক বা ইন্টালেচুয়ালের অভাব শুরু হয়ে যায় এবং নতুন ভাবনার উন্মেষ মার খায়। তদুপরি ঔপনিবেশিক যুগে রাজনৈতিক পরাধীনতা এবং কংরেস ও তার ধামাধরা পার্টি-শাসনভুক্ত সামাজিক-আর্থিক অধিকারহীনতা আমাদেরকে প্রতিষ্ঠানের দালালি ও পা চাটতে বাধ্য করেছে।
    দ্বিতীয়ত, বাংলা ভাষাকে এক বিরাট মেটামরফিসের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হয়েছে। সাধু থেকে চলিত ভাষায় আসতেই অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। আমরা এখনো তৎসম শব্দের মোট বয়ে বেড়াচ্ছি আর তথাকথিত ইতর শ্রেণীর ছোটলোক-জাত লক্ষ লক্ষ শব্দকে অভিধানে ঢুকতে দিচ্ছি না। আমরা উনিশ শতকে ধার্য করা ওই সাড়ে তেরোজন মুৎসুদ্দি বেনিয়ার মামুলি এক লক্ষ শব্দ নিয়েই ঘোঁট পাকিয়ে চলেছি।
    তিন নম্বর কারণ, ওই যে বললাম, আমাদের প্রতিষ্ঠানমুখীতা। গেল-শতকের দ্বিতীয় দশকে লেখকরা দেখলেন সাহিত্য একটা চমৎকার জীবিকা হতে পারে। তিরিশ দশক থেকে নানা ধরনের পুরস্কার, বৃত্তি, খেতাব ও সরকারি আনুকূল্যের পাশাপাশি সাহিত্যক্ষেত্রে এক ধরনের মনোপলির সূচনা ঘটল। চল্লিশ থেকে লেখকরা নিয়ন্ত্রিত হতে লাগলেন 'আনন্দবাজার' 'দেশ' প্রভৃতি এক-একটি গোষ্ঠীর দ্বারা। পয়দা পেল 'সাহিত্য-ব্যবসা'। লেখকদের অভ্যেস একটা নির্দিষ্ট বৃত্তে পাক খেতে লাগল। বাংলা সাহিত্য একটা লিমিটেড কোম্পানির কমোডিটি হয়ে দাঁড়াল। বোঝানো হল, এই কোম্পানির মালই শ্রেষ্ঠ। বাইরে সব ভুসিমাল। কোম্পানির প্রোডাক্টকে বাজারে সেরা বলে বিজ্ঞাপিত করা হতে লাগল। অর্থাগমের সুযোগ থাকায় লেখকরাও দু হাতে লিখতে লাগলেন। তাঁরা কেবলি নিরবচ্ছিন্ন উপস্থিতি নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়লেন। কোনো কোনো লেখক এক বছরে সেই সংখ্যক উপন্যাস-গল্প লিখেছেন যা বিশ্বনন্দিত কোনো লেখক গোটা জীবনেও লিখতে পারেননি।
    বাংলা গদ্যের সীমাবদ্ধতার আর একটি প্রধান কারণ হল আমাদের পাঠকতা। আমাদের মধ্যবিত্ত মানসিকতা। আদপে আমরা গাঁয়ের লোক। নগরের গোড়াপত্তন এই সেদিনের। আমরা এখন তিন-চার জেনারেশনের বেশি শহরে বাস করছি না। যে-কারণে আমরা নগরের ভাষা, নগরের দুঃখ, নগরের গান বুঝতে পারি না। বিদ্যাসাগর এত করলেন বিধবাদের জন্য, তবু বিধবারা শরৎচন্দ্র পড়েন। আমাদের লেখকরা শহরে এসেছেন খুব কমদিন হলো। তাঁদের স্বপ্নের রাজগৃহ ঐ লিমিটেড কোম্পানি। যা আমাদের জাতিচিহ্ন, যাকে দেখে বহির্বিশ্বের মানুষ বাঙালিকে চিনবে, জানবে, তাকে নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা করা, খাটা, 'কাজ' করার এলেম কজনের আছে? অশিক্ষা, অজ্ঞানতা, অনভিজ্ঞতার দগদগে ঘা চোখে পড়ে। মদ না খেয়ে, বেশ্যাবাড়ি না গিয়ে, জুয়া না খেলে, নেশাভাঙ না করে, গুণ্ডাদের সঙ্গে না মিশে, সমাজের নিচতলায় না ঘোরাঘুরি করে, চাষবাস না জেনে এসব বিষয় নিয়ে তারিয়ে তারিয়ে গপ্পো-উপুন্যাস লেখা হয়। আর এসব তোল্লাই পেয়েছে সেইসব পাঠকদের কাছে যাদের কাছে সাহিত্য পড়া মানে পমেটম, নিরক্ষরতার বেড়া টপকে, কৃত্তিবাসী রামায়ণ বা ঠাকুমার ঝুলি ছেড়ে দুম করে এইসব ফ্যাদানো গপ্পে যাঁরা মজে যান। এইসব অশিক্ষিত, আধা-শিক্ষিত লেখকদের ধরে প্রতিষ্ঠান তাঁদের পেছনচাঁছা হরিদাস বানিয়ে তাঁদেরকে নিয়েই পাঠকদের মনে একটা ভিসুয়াল সার্কেল তৈরি করে, ---- 'কোনো সমকালীন বিখ্যাত লেখকদের নাম মনে করতে পারেন যিনি দেশ শারদীয় সংখ্যায় লেখেননি?' অর্থাৎ পাঠকদের জানতে দেওয়া হল না কমলকুমার মজুমদার নামে আমাদেরই ভাষায় এক প্রকাণ্ড গদ্যকার ছিলেন। অধিকন্তু, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, জগদীশ গুপ্ত, গোপাল হালদার, অসীম রায়, অমিয়ভূষণ মজুমদার, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, তপোবিজয় ঘোষ, বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন ঘোষ, সুবিমল মিশ্র, মলয় রায়চৌধুরী ইত্যাদি নামগুলো চেপে দেওয়ার কী হাস্যকর প্রচেষ্টা! আর এটা ঘটেছে, কেননা পাঠকদের পাঠদাঁড়া সমৃদ্ধ নয়।
    তথাকথিত বাণিজ্যিক পত্রিকার ছোঁয়া বাঁচিয়ে যেসব লেখক প্রকৃতই সৃজনশীল ও ব্যতিক্রমী, যাঁরা নিভৃতে নিজেদের অনলস শ্রম দিয়ে নতুন গদ্য-প্রযুক্তি নির্মাণে ব্যস্ত, তাঁদের লেখালেখি এখনও বেশিরভাগ পাঠকের কাছে একটা অচেনা সংরক্ষিত ও উপদ্রুত অঞ্চলের মতো থেকে গেছে। স্বাভাবিকও বটে। কেননা সেসব পাঠক ঐসব আগরবাতি সাহিত্যের লেখকদের মোনো-কালচারাল মায়া কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। যে-ভাষায় পাঁজির বর্ষফল বা ধর্ষণের খবর লেখা হয় সেই একই ভাষায় নকশাল আন্দোলন বা কমলা টুডুর বৃত্তান্ত লেখা হলে যা হয়।
    আমার দীর্ঘ চল্লিশ বছরের গদ্যচর্চার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বাংলা গদ্যে লেখকদের কাজ করার এন্তার অবকাশ। খেয়াল করবেন, রবীন্দ্রনাথের পর এ ভাষায় গদ্যের কাজ খুব-একটা এগোয়নি। তিন-বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারমুটেশন-কম্বিনেশন বাংলা গদ্যকে এক তিলও এগিয়ে দেয়নি। বরং সতীনাথ ভাদুড়ী মহানগরের কোলাহল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে দূরে থেকে মাত্র বিশ বছরের সাহিত্যজীবনে যেসব কাজ করেছেন, তা বিস্ময়কর। আকাদেমিক স্বীকৃতি পেতে হলে কলকাতার লিমিটেড কোম্পানির পয়দা-করা ধাঁচে গদ্যচর্চা করতে হবে এরকম হুইস্পারিং ক্যাম্পেনের চ্যালেঞ্জের সর্বোৎকৃষ্ট প্রতিবাদ কমলকুমার মজুমদার। গদ্যে নতুন রীতির খোঁজে অসীম রায়, সন্দীপন, সুবিমল মিশ্র, কমল চক্রবর্তী প্রমুখ স্ব-স্ব প্রাতিস্বিক পথ আশ্রয় করেছেন। বাজারের কোল আলো-করা লেখকরা গদ্য নিয়ে ভাবেন না। কেননা তাঁরা এসেছেন অন্যের তল্পিবাহক হয়ে, সাহিত্য করতে নয়, পয়সা বানাতে। কিন্তু সৃজনশীল লেখককে ভাষার ইনবিল্ট কেমিস্ট্রি নিয়ে ভাবতে হয়, কেননা তিনি অন্য কোনো ফাঁদ-ফন্দি বা রপোট কারবারে নেই। বলতে কী, তিনিই কিন্তু ঘোচাবেন এই সীমাবদ্ধতা, ঘটাবেন বাংলা গদ্যের মুক্তি।
  • | 52.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১৭ ২২:৩০368177
  • অজিতদা: অসামান্য বয়ান!
  • প্রতিভা | 37.5.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১৭ ২২:৪৫368178
  • পুরোপুরিই সহমত। অন্য কোন ভাষার ক্ষেত্রে এইরকম কি ঘটেনি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন