এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • b | 135.2.***.*** | ২৯ জুন ২০১৭ ১৫:১০366272
  • মানে ঠ্যাঙালে ঠিক-ই আছে, প্রাণে না মারলেই হল।
  • রামরাহা | 131.242.***.*** | ২৯ জুন ২০১৭ ১৫:৪৩366273
  • গুড পয়েন্ট। তবে ওই ল ইন ওন হ্যান্ডসের মধ্যে ধরে নেওয়া যেতেও পারে।
  • π | ৩০ জুন ২০১৭ ০০:৫৬366275
  • Not in my name এ যাওয়া নিয়েও তো দেখি বিস্তর জলঘোলা। সিকিই তো দেখ্লাম লিখেছ যে অপর্ণা সেন এসেছেন দেখে অনেকে ফিরে গেছেন।
    তমোঘ্নর পোস্টটা রইল। আর ওটা পড়ে যা লিখেছি, সেটাও।

    'নট ইন মাই নেম নামক প্রতিবাদ কর্মসূচীর প্রসঙ্গে একাধিক লেখা চোখে আসছে। আমার চোখে পড়া একাধিক লেখার ক্ষেত্রে দেখেছি, লেখাগুলির অভিমুখ 'সিনিসিজম'-এর বিরুদ্ধে। নট ইন মাই নেম কর্মসূচীর যারা সমালোচনা করছেন, তাঁদেরকে সিনিক তকমা দিয়ে। ঘটনাচক্রে এখনো অব্দি সিনিক দূরস্থান, নট ইন মাই নেমকে তীব্র রাজনৈতিক ক্রিটিক করে কোনো লেখা আমার চোখে আসেনি। কিন্তু ঠাকুর বলেছেন মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় সিনিকরা আছেন, গাছের ডাল, পাতার ফাঁক, ইত্যাদি ইত্যাদি অবস্থানে।
    প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়ার, নট ইন মাই নেম কর্মসূচীর রূপায়ণের মধ্যে একধরণের ইমিডিয়েসি আছে, যে রাজনৈতিক ইমিডিয়েসি সাধারণতঃ সংগঠিত বাম শক্তিগুলির নেওয়া কর্মসূচীর মধ্যে দেখা যায়না। ইমিডিয়েসির কিছু ভাল দিক থাকে, কিছু প্রভূত গোলমেলে দিক থাকে। নট ইন মাই নেম এর ব্যতিক্রম নয়। ব্যতিক্রম নয় বলেই, নট ইন মাই নেম-এর জমায়েতগুলির রাজনৈতিক চরিত্র নির্ভর করছে স্থানভেদে। কলকাতার ক্ষেত্রে তার চরিত্র একরকম, দিল্লীর ক্ষেত্রে হয়তো আলাদা। সুতরাং সমালোচনার তীব্রতারও ফারাক থাকা প্রয়োজন। একটি সমালোচনা যা তুলনামূলকভাবে সবক্ষেত্রেই রাখা যেতে পারে, তা হল এই কর্মসূচীর নামটি। অর্থাৎ 'নট ইন মাই নেম' বাক্যবন্ধটি। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত, বিশেষতঃ উচ্চ মধ্যবিত্তের নিজেদের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা আছে, নাকি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে নিজের অবস্থান নথিভুক্ত করার চেষ্টা আছে, এই নিয়ে তর্ক রয়েছে কিছু। কিন্তু বাস্তব বিচারে, এই তর্কও থাকা উচিত না, কারণ এই প্রশ্নের উত্তরও মনোলিথিক নয়, প্রেক্ষিতনির্ভর। অর্থাৎ হিসেব খুব সহজ, যদি আপনি গোটা বছর ধরে রাষ্ট্রেরই পক্ষে থাকেন, এবং রাষ্ট্র নির্ধারিত স্থিতাবস্থার পক্ষে সওয়াল করেন বকলমে, তাহলে আপনি যখন নট ইন মাই নেম বলবেন, তখন আমি সন্দেহ করব, এবং একইসঙ্গে জানাব আপনার এই উদ্দেশ্য সৎ নয়। অন্যদিকে, আপনি যদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই আপনার অসন্তোষ জানাতে থাকেন সোচ্চারে অথবা ব্যক্তিগত যাপনের প্রতিটি ধাপে, সেক্ষেত্রে আপনার এই রেগে যাওয়া এবং নিজের নামকে রাষ্ট্রের আচরণের বিপরীতে নথিভুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ থাকবেনা। আর ঠিক এখান থেকেই, অর্থাৎ এই মাইক্রো থেকেই ম্যাক্রো জমায়েতগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ সম্ভব।
    চোখ রাখুন কলকাতায়। এই জমায়েতে কারা ছিলেন, এবং সেখানে কাদের বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়েছে, কাদের দেওয়া হয়নি? এবং আরো ফান্ডামেন্টাল, এই জমায়েত থেকে কারা আলো খেয়েছেন, কারা কেন্দ্রে ছিলেন, কাদের নাম বারংবার ভেসে উঠেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। লক্ষ্য রাখলেই বোঝা যাবে সমাজের এই অংশ, একেবারে নির্দিষ্টভাবে এই অংশই ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল অব্দি বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নেমেছেন - এবং পরবর্তীতে তাঁদের অবস্থান কি হয়েছে। লখ্য রাখুন, অপর্ণা সেন অথবা অঞ্জন দত্ত প্রমুখ কি রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেছেন এই সময়ে। প্রতিবাদ জমায়েত মাত্রেই রাষ্ট্রবিরোধী - এমনটা নয় - এবং রাষ্ট্র যে স্থিতাবস্থাসমূহের কথা বলে, ব্রাহ্মণ্যবাদী স্থিতাবস্থা, পুরুষতান্ত্রিক স্থিতাবস্থা, এঁরা প্রত্যেকে সেই সমস্ত স্থিতাবস্থাকে বজায় রাখার পক্ষে কাজ করে গেছেন - নিজেদের শিল্পে (যদি তাকে শিল্প বলা যায়), নিজেদের দৈনন্দিন যাপন ও আচরণে, নিজেদের 'চয়েস' -এ। লক্ষ্য রাখুন, এঁরা রাষ্ট্র বলতে বুঝেছেন সিপিআইএম অথবা তৃণমূল। এঁরা রাষ্ট্র বলতে উভয়ের তৈরী করা সন্ত্রাস ব্যবস্থাকে বোঝেননি। সুতরাং, আজ যখন ভাঙ্গর নিয়ে গলা ফাটায়ে সিপিআইএম, ঠিক যে যে কারণে তাদেরকে, এবং তাদের জমায়েতের সামগ্রিক রাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্ন করা হবে, ব্যঙ্গ করা হবে, ঠিক সেরকমভাবেই, এই অপর্ণা সেন অথবা অঞ্জন দত্তকে যে সমস্ত জমায়েত আলো দ্যায়, সেই সমস্ত জমায়েতকেও প্রশ্ন করা হবে, ব্যঙ্গ করা হবে। জায়েজ আছে। শুধুমাত্র সিপিআইএম চৌত্রিশ বছর ধরে অপশাসন করেছে মর্মে গাল ফুলিয়ে, সিপিআইএম-কে খিস্তি করে আপনি প্রগতিশীল সাজবেন অথচ দেখবেন না, এই সিপিআইএম-কে চৌত্রিশ বছর ক্ষমতায় থাকতে এই প্রগতিশীলদের অধিকাংশ কিভাবে সাহায্য করেছেন, কিভাবে এই প্রগতিশীলরাই সিপিআইএম -এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে মমতাকে মাথায় তুলেছেন অথবা নিজেরাই একেকজন ক্ষমতাবান ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার অংশ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন? সিপিআইএমকে খিস্তি করা যতখানি জায়েজ আছে, ততখানি জায়েজ আছে এই মোমবাতি বিদ্দ্বজ্জনদের খিস্তি করা। অন্ততঃ কলকাতার প্রেক্ষিতে।
    তাঁদের জন্যে এক দুটো কথা যাঁরা মনে করছেন এই সময় এমনই যেখানে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ প্রয়োজন। দরকারে জয়ললিতার আত্মাকে প্ল্যানচেট করে এনে, সীতারামের হাত ধরে, মমতার মানবাধিকারের কথা বলে, এমনকি দরকারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের সাথেও মিছিলে হেঁটে নেওয়া প্রয়োজন, এমনই এক আঁধার এসেছে যেন। ভুলে যাবেন না, বিপদের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখার কথা এই সামন্ততান্ত্রিক সমাজে আপনার বাপ মা থেক শুরু করে সমতুল সামন্তপ্রভু অব্দি সকলে বলে গ্যাছেন। মাথা ঠান্ডা রাখুন। আর এস এস-এর উত্থান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বিজেপি-র উত্থান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই, সিপিআইএম-এর শাসনকালে কতগুলি সরস্বতী আবালনিকেতন বা সমনাম্নী কোনো বিদ্যায়তন খুলেছে আর এস এস, খোঁজ নিন। প্রশ্ন করুন, কিভাবে খুলেছে। কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে, প্রশ্ন না করার রাজনীতিকে তোল্লাই দিয়ে দিয়ে, ক্ষমতাবানেরা ক্ষমতাহীনদেরকে হয় আরো বেশী করে ক্ষমতাহীন করেছে, অথবা তাদের কিয়দংশকে নিজেদের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ছুঁড়ে দিয়েছে - অপর্ণারা কিভাবে সেই উচ্ছিষ্ট খেয়ে পরে বেঁচে আছেন এবং মনে করেছেন তাঁরা রাস্তায় নামলে উদবুদ্ধ হচ্ছে মানুষ, আজ্ঞে না। কোনো রাজনৈতিক মানুষ আর এই ভন্ড বুদ্ধিজীবিদের দেখে অনুপ্রাণিত হবেন না, ভাববেন না তাঁরা 'বৃহত্তর' প্রতিবাদের কমরেড। কারণ এঁদের চরিত্র কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখে নিয়েছে, ২০০৬ - ২০১১ ও তার পরবর্তী অধ্যায়ে। সুতরাং প্রশ্ন করুন, এই বিপদের সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কমরেড বাছবেন আগে, নাকি চুড়ান্ত ধান্দাবাজ, যারা এই বিপদের কারণ, অর্থাৎ যারা এই ব্রাহ্মণ্যবাদী স্থিতাবস্থাকে বজায় রেখেছেন - যেমন সেন্টার অফ সোশ্যাল সায়েন্সের শিবাজী তথা বাবাজী তথা ব্যানার্জীরা, যেমন এই অঞ্জন দত্ত বা অপর্ণা সেনরা যাঁরা প্রভূত আলোকপ্রাপ্ত হয়েও টলিউডের পৌরুষ ও তার আগ্রাসন নিয়ে একটিও কথা কখনও খরচ করেনন না এবং প্রাক্তন অথবা সমগোত্রীয় ছবিকে বাকস্বাধীনতা চুদিয়ে মেনে নিয়ে রাষ্ট্রেরই স্থিতাবস্থার পক্ষে সায় দেন, যাঁরা চোখের সামনে ইতিহাসকে ভাংতে দিয়েছেন, ইতিহাসবিকৃতিকে মেনে নিয়েছেন স্রেফ বন্ধু চন্দ্রিল রবিবাসরীয়র পাতাগুলো দ্যাখে বলে, যাঁরা এভবাএই ধাপে ধাপে ইতিহাসবিকৃতির মাধ্যমে আর এস এস অথবা বিজেপি-কে দিনের পর দিন বাড়তে দিয়েছেন তিলে তিলে কোনো ধরণের 'সিভিল' অথবা সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের রাস্তায় না গিয়ে, আপনি কি তাঁদেরই সাথে , তাঁদেরই সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলবেন , নট ইন মাই নেম?
    সুতরাং সমস্যাটা নট ইন মাই নেম বাক্যবন্ধ নিয়ে নয়। যাঁরা বলছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের অংশ নাকি রাষ্ট্রের বিপক্ষেই তাঁদের যাবতীয় বেঁচে থাকা, তাই নিয়ে। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়, আপনি গরু দেখেও ডরাচ্ছেন, এমনই অন্ধকার সময়। কিন্তু বিশ্বাস করুন। গরু দেখে আপনি ভয় পাবেন, এটাই রাষ্ট্র চায়। সুতরাং ভয় না পেয়ে, কেটে খান, এবং কেটে খেতে যাহায্য করুন। এতেই বৃহত্তর জোট আপসে তৈরী হবে - ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহাজোট যাকে বলে।'

    --

    এটা পড়ে প্রচুরই প্রশ্ন পেল,আপাতত একটা ক'রে উত্তরের অপেক্ষায়।

    রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কেউ সর্বক্ষণ প্রতিবাদ না করে গেলে ( সব কিছু প্রতিবাদযোগ্য মনে না হাওয়ার কারণে বা হলেও ভোকাল না হয়ে, কারণ একটা থ্রেশহোল্ড পেরোতে লাগে ভোকাল হবার জন্য, আর সেটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হতেই পারে, হলে তার জন্য বোধহয় বিশেষ দোষ দেওয়া যায়না ), কিন্তু এই রকমের সাম্প্রদায়িকতা, এই ধর্মের জন্য, খাদ্যাভ্যাসের জন্য মানুষ মারার বিরুদ্ধে সরব হলে সমস্যাটা ঠিক কতটা ?এর থেকও অনেকবেশি সমস্যার কি এই ঘটনাগুলো নয়,যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ? সবাই এই প্রতিবাদে কমফর্টেবল নাই হতে পারে, আপত্তির জায়গাও থাকতে পারে। সেঠিক আছে। কিন্তু এই লেখার যুক্তিটা পড়ে এই প্রশ্নটা পেল।
  • amit | 149.13.***.*** | ৩০ জুন ২০১৭ ০১:২৮366276
  • তমোঘ্ন নামটা পড়ে কয়েক বছর আগে প্রেসিডেন্সিতে একটা আন্দোলন এর ছবি মনে এলো, খুব মনে রাখার মতো ছবি নয় যদিও। বয় চান্স ইনি কি সেই তমোঘ্ন ? না হলে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিলুম।
  • ? | 69.92.***.*** | ৩০ জুন ২০১৭ ১০:১৩366277
  • সেই তমোঘ্ন সম্ভবতঃ তমোঘ্ন ঘোষ, টিএমসি ছাত্র পরিষদের, শঙ্কুদেবের কাউণ্টারপার্ট হওয়ার চেষ্টা করছিল। তার হাত থেকে এই লেখা? মনে হয় না।
  • pi | 57.29.***.*** | ৩০ জুন ২০১৭ ১০:২৪366278
  • একই।
  • Ranodip | 116.5.***.*** | ৩০ জুন ২০১৭ ২২:৩৪366282
  • বড় ভাল লাগল কথাগুলো

  • ? | 127.194.***.*** | ০১ জুলাই ২০১৭ ০০:২৩366283
  • মাননীয় 'ক'
    ও লেখাটা যে টিএমসির তমোঘ্ন ঘোষের হতে পারে না, সেটাই মনে হয়েছিল আমার, তাই জানিয়েছিলুম মাননীয় 'অমিত'-এর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। পরে মাননীয়া 'পাই'ও "একই" লেখাতে ঘাবড়ে গেস্‌লুম।
    আপনাকে ধন্যবাদ এরকম ভাবে সত্য প্রকাশ করে আসল লোককে সামনে আনার জন্য।
  • S | 184.45.***.*** | ০১ জুলাই ২০১৭ ২০:৫৪366284
  • "এটা তো অস্বিকার করার কোনো উপায় নেই জে আজ বহু হিন্দু মানুষরাই নিরপত্তাহিনতার আশঙ্কাতে ভুগছে"
    কিসের আশঙ্কা, রণদীপবাবু?

    আর লোকে আজকাল কথায় কথায় কাশ্মীরি পন্ডিতদের এক্সোডাসের কথা বলে। ইন্সারজেন্সিই কি তার একমাত্র কারণ?
  • S | 184.45.***.*** | ০১ জুলাই ২০১৭ ২১:০৫366285
  • সবই তো বুঝলাম। কিন্তু জিএসটি কি করে ফ্যাসিবাদি বা দক্ষীনপন্থী পলিসি সেইটা বুঝলাম না।
  • সিকি | ০১ জুলাই ২০১৭ ২১:১৮366286
  • কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক্সোডাস নিয়ে হাহাকার গত তিন চার বছর ধরেই বেএশ ইন থিং। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল - উল্টে জিজ্ঞেস করতে গেলেই ইঁচড়ে পাকাদের কপালে জোটে উইকিপিডিয়ার লিং। কী আর বলব, এই বয়েসে তো আর কাউকে কোলে বসিয়ে শেখানো যায় না।
  • রামরাহা | 127.194.***.*** | ০১ জুলাই ২০১৭ ২২:০২366287
  • আজ শোনা গেল সালাউদ্দিন ১৯৮৭ সালে কং টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলো। সেইটা এখানে কবে পোস্ট হয় দেখি।
  • | ০১ জুলাই ২০১৭ ২২:০৫366288
  • ইদিকে ঈশনের আজকের লেখাটা হোয়াতে ঘুরছে। যথারীতি ঈশানের নাম ছাড়া।
  • Du | 57.184.***.*** | ০২ জুলাই ২০১৭ ০৬:৫৪366289
  • ঘুর্লে তাও ভালো। যা সব ঘোরে
  • Ranodip | 131.242.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৫:২৩366290
  • S ,

    আর লোকে আজকাল কথায় কথায় কাশ্মীরি পন্ডিতদের এক্সোডাসের কথা বলে। ইন্সারজেন্সিই কি তার একমাত্র কারণ?

    কাশ্মীরি পন্ডিত দের বিতারনের ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই বেশ চর্চিত , হয়ত এখন মিডিয়া আর সোশাল নেটওয়ার্কের এত ব্যাপ্ততার জন্যে বেশি নজরে পড়ে।

    যাইহোক আপনার কেন মনে হচ্ছে insurgency ই একমাত্র কারন নয় ? তাহলে আর কি কারন থাক্তে পারে আপনার মতে যাতে লোকগুলো রাতারাতি এত পুরুষের ভিটেবাটি ছেড়ে শরনার্থী হবে ?
  • রামরাহা | 131.24.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৫:৪৩366291
  • সেই সময়ে কাশ্মীরের রাজ্যপাল জগমোহনের রোলটা খুবই সন্দেহজনক। আর সেই কারণেই...
  • সিকি | 158.168.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:১৪366293
  • ঐ ওখান থেকেই শুরু করি। গল্প যদিও জগমোহনের অনেক অনেক আগের থেকে। একটু পড়াশোনা করতে বললে কি খুব খারাপ লাগবে, রণদীপ ভাই?

    সহজপাচ্য একটা লেখা এই গুরুর সাইটেই আছে, জনৈক মিঠুন ভৌমিকের লেখা। সেটা পড়লেও হয় আর কি, মেড ইজি টাইপের লেখা।

    আর ঐ এক্সোডাস ইত্যাদির স্ট্যাটিসটিক্স নিয়েও আরেকটা বই আছে, সেটা অবশ্য ইংরেজিতে লেখা, আর একটু বড় লেখা। ওটা পুরোটাও না, দাগিয়ে দিতাম, কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়লেও হয় তো হাহাকারটা একটু প্রশমিত হত।
  • b | 135.2.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:২৩366294
  • @ সিকি, রণদীপের সাথে ঝগড়া করতে হচ্ছে কেন?

    এরকম হতেই পারে ওনার যা স্ফিয়ার তাতে বেশি করে কাশ্মীর সংক্রান্ত নানারকম লেখার মুখোমুখি হবার সময় হয় না। ধরুন আমাকে আজ কেউ বলল ওরে ওয়েভ পার্টিকল ডুয়ালিটী বোঝা, আমারো ঐ উইকি খোঁটা ছাড়া বিশেষ কিছু মাল মশলা থাকবে না।
  • Ranodip | 192.74.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:১১366295
  • সিকি আর b,

    বোঝো !!! খামোকা ঝগড়া করতে যাব কেন ??? আমাদের কোনদিন ও দেখা সাক্ষাত হয়নি - তাই অচেনা অজানা লোকের সংগে ঝগড়া করতে যাব কেন।

    আমি সিম্পল S র কথা অনুযায়ী কিছু জানতে চেয়েছি যে ওনার আর মতে আর কি কি কারন থাকতে পারে- that's all

    সহজপাচ্য একটা লেখা এই গুরুর সাইটেই আছে, জনৈক মিঠুন ভৌমিকের লেখা। - যদি পারেন লিঙ্কটা একটু দিন - এই গুরুচন্ডালি তে খুঁজে বার করাটা বেশ চাপের ব্যাপার।

    তবে এটা আমি কিছুতেই হজম করতে পারছিনা যে রাতারাতি এক বিশেষ সম্প্রদায় এত গুলো মানুষ ভিটেছাড়া হয়েছে insurgency ছাড়া অন্য কোন কারনে।
  • সিকি | 158.168.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:৫৩366297
  • সরি, ঝগড়াটা ঠিক রণদীপের সঙ্গে নয়।

    তোমাকে ওয়েভ পার্টিকল ডুয়েলিটি বোঝাতে বললে তুমিও হয় তো উইকি ছুঁড়ে মারবে, তবে তার সঙ্গে "ইঁচড়ে পাকা" টাইপের বিশেষণ ঝাড়বে কিনা, সেটা ভেবে দেখো একবার।

    অবিশ্যি রণদীপ এ কথা বলেন নি। রণদীপের লাইন অন্য দিকে ছিল, প্রথমে হিন্দুদের ওপর দমনপীড়ন এবং তাদের "নিরাপত্তাহিনতা" নিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন, এখন চেনা জিনিস পেয়ে গেছেন - কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়ন।

    আসলে, অনেকবার তো হল। লোকে প্রথমেই ডায়ালগটা শুরু করে "এই যে কাশ্মীরে এত এত পণ্ডিতদের বিতাড়ণ হল" দিয়ে - এখন যদি উল্টে বলা যায় যে এক্সোডাস হয়েছিল ঠিকই, তবে সেটা একেবারে ওপেন অ্যান্ড শাট কেস নয়, যদি বলা হয় যে কাশ্মীরে যত পণ্ডিত ঘরহারা হয়েছিলেন, তার বাইরেও অনেক পণ্ডিত কাশ্মীর ভ্যালিতেই থেকে গেছেন এবং এখনও আছেন, যদি বলা হয় যে ঘরহারা শুধু পণ্ডিতরাই হন নি, এই এক্সোডাসের এই হিংসার বলি হয়েছেন অসংখ্য মুসলমানও, যাঁরা উপত্যকার বাসিন্দা ছিলেন, যদি বলা হয় যে ডিসপ্লেসড পণ্ডিতদের জন্য ভারত সরকারের যত স্কিম এই মুহূর্তে চলছে, তার এক পার্সেন্টও ডিসপ্লেসড মুসলিম কাশ্মীরিদের জন্য করা হয় নি, যদি বলা হয় যে ভ্যালি দু হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাবার পরেও বিভিন্ন জায়গায়, স্পেশালি দিল্লিতে, চণ্ডীগড়ে সেটলড পণ্ডিতেরা আর ভ্যালিতে ফিরে যেতে চান না সরকারের দেওয়া আরাম ছেড়ে -

    তা হলে পার্সপেক্টিভগুলো অনেক বদলে যায়। এক সুবিশাল এক্সোডাস হয়েছিল, যাতে শুধু পণ্ডিতরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন - এই বক্তব্যটাকেই সবার আগে কাউন্টার করা দরকার। লোকে এটাকেই সত্যি ধরে পরের হোয়াট-অ্যাবাউটারিতে চলতে শুরু করে। যেমন আজও চলছে - এই যে মালদায় এত অত্যাচার, এই যে ধূলাগড়ে এত কিছু, ...

    মালদায় ঠিক কী হয়েছিল, ধূলাগড়ে ঠিক কী হয়েছিল, উল্টে জিজ্ঞেস করলেই হয় নীরবতা মেলে, নয় তো ইঁচড়ে পাকা বিশেষণের সাথে উইকির লিং মেলে।
  • Ranodip | 116.5.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ২০:৩২366298
  • দেখুন সিকি

    " রণদীপের লাইন অন্য দিকে ছিল, প্রথমে হিন্দুদের ওপর দমনপীড়ন এবং তাদের "নিরাপত্তাহিনতা" নিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন, এখন চেনা জিনিস পেয়ে গেছেন - কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়ন।"

    ঠিক বুঝছি না আপনার প্রবলেমটা কোন জায়গাটাতে হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে একটা জিনিস খুবই পরিষ্কার করে লিখেছি - যেকোন রকম ধর্মান্ধতা ই সাংঘাতিক - সে হিন্দু বা মুসলমান বা খ্রীস্টান বা অন্য যেকোন ধর্মেরই হক। যখন কথাটা বার বার তুললে চলেছেন তখন দেখানত কোথায় আমি বলেছি হিন্দুরাই শুধু দমনপীড়নের শিকার। বরং আমার তো মনে হচ্ছে আপনি নিজেই আপনার নিজের কথা অনুযায়ী "যাকে বলে, একদেশদর্শিতায় দুষ্ট"

    by theway কাশ্মীরি পন্ডিতদের উল্লেখ আমি প্রথম লেখাটাতেই করেছিলাম।

    আমার মনে হয় আপনার কথা অনুযায়ী অত্যাচার করে চলেছে শুধুই হিন্দুরা বা আরো পরিষ্কার করে বললে তথাকথিত উচ্চবর্ণ রাই। আর অত্যচারের দলে শুধুই মুসলমান আর নিম্নবর্নের হিন্দুরাই। তারমানে হিন্দুরা শুধুই অত্যাচারী আর বাকিরা অত্যাচারিত - কি তাই তো ? সেইজন্যেই এই বোকা বোকা প্রশ্নগুলো আসে - "- মুসলমানরা কি হিন্দু দেখলেই কামড়ে দেয়?"

    "যদি বলা হয় যে ভ্যালি দু হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাবার পরেও বিভিন্ন জায়গায়, স্পেশালি দিল্লিতে, চণ্ডীগড়ে সেটলড পণ্ডিতেরা আর ভ্যালিতে ফিরে যেতে চান না সরকারের দেওয়া আরাম ছেড়ে -"

    বুঝলাম না তার মানে কি তারা যে কারনে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে এসেছিল সেটার জন্যে যারা দোষী তাহলে কি তার ঠিক কাজ করেছে মেনে নিতে হবে ? সিরিয়া র শরনার্থী রা আজ যারা উন্নত দেশ গুলো তে গেছেন সর্বহারা হয়ে হয়্ত তাদের পরের প্রজন্ম সিরিয়ার তুলনায় আরও ভাল জীবন পাবে - তাহলে সেই যুক্তিতে তাদের এই উচ্ছেদ কি ভাল হয়েছে ? আজ বহু ইরাকি বা আফ্গানী মানুষ উন্নত দেশ গুলো তে আশ্রয় নিয়েছে নিয়েছে এবং যথেষ্ট উন্নতি করেছে - তাহলে কি বলতে হয় যে তাদের নিজেদের দেশ থেকে যে তাড়ান হয়েছে সেটা কি ভাল কাজই হয়েছে সেভাবে দেখতে গেলে ?
  • সিকি | ০৩ জুলাই ২০১৭ ২১:২৭366299
  • মাফ করবেন রণদীপ, আমি আর কথা বাড়ানোয় আগ্রহী নই।
  • T | 165.69.***.*** | ০৪ জুলাই ২০১৭ ০৭:১১366300
  • রণদীপ এত কথা না বলে যে লিঙ্কটা অভি দিয়েছে সেটা পড়লেই তো হয়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন