এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইনসল্ভেন্সি এ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্সি কোড ২০১৬ - এক সর্বনাশা আইন 

    Ashoke Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩৮ বার পঠিত
  • ইনসল্ভেন্সি এ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্সি কোড ২০১৬ - এক সর্বনাশা আইন

    সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত জমাকৃত অর্থকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট কতিপয় ব্যক্তিকে (বা তাদের সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানকে) অনৈতিকভাবে পাইয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষদেরকে নিঃস্ব করে দেওয়ার মাধ্যমের নাম সরকার অধিগৃহীত ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সরকারি আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা।

    যাতে সাধারণ মানুষ তাদের কষ্টার্জিত সমস্ত টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখে, তার জন্য সরকার ব্যাঙ্কে এ্যাকাউণ্ট খোলা সরলীকরণ করে নাম দিল জনধন এ্যাকাউণ্ট।

    অনাদায়ী ঋণ আদায়ের নাম করে সরকার ২০১৬ সালে আইন প্রণয়ন করলো Insolvency & Bankruptcy Code আর রাজ্যে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হলো National Company Law Tribunal (NCLT)। যে আইনের মূল উদ্দেশ্য জনগণের জমাকৃত টাকা ব্যাঙ্কের থেকে নিয়ে পরিশোধ না করা এবং সেই টাকা আদায়ের নামে প্রহসন হয় NCLTতে। যদি কোনো কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ থাকে, তাহলে NCLTতে মামলা দায়ের করার পর ঋণখেলাপির সমস্ত সম্পদের মূল্যায়ণ করে হয়তো সর্বসাকুল্যে ১০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে। সেই প্রাপ্য অর্থ থেকে ঋণখেলাপির কর্মীদের প্রাপ্য, মামলার খরচ ইত্যাদি মেটানোর পর বাকি টাকা ঋণদাতা ব্যাঙ্ক পাবে । আর এই প্রক্রিয়ার পর ঋণগ্রহীতা মুক্ত।

    সারা দেশ জুড়ে বর্তমানে হাজার হাজার মামলা NCLTতে চলছে, যেখানে বহু লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী। ঐ টাকা ফেরৎ না পেয়ে, বহু ব্যাঙ্ক রুগ্ন হয়ে যাওয়ায়, একত্রীকরণের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমানো হয়েছে।

    সেদিন খুব দূরে নেই, যেদিন হয়তো সমস্ত সরকার অধিগৃহীত ব্যাঙ্ক দরজা বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে পথে বসাবে। এবং অবশ্যই সরকারি মদতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন