দেখে যাওয়াপ্রসূন
০৫/১১/২৫
পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মানে শুধুই শ্বাস নেওয়া নয়;
মানে - জেগে ওঠা।
জেগে ওঠা সেই অনন্ত দৃশ্যের ভিতরে,
যেখানে আলো কেবল অন্ধকারের বিপরীতে নয়, বরং আত্মার ভেতরেও প্রতিদিন নতুন ভোর জন্ম দেয়।
আমি দেখি ......নীল আকাশ, সাদা মেঘের ভেলা,
আমি তাকাই পাহাড়ের দিকে, তাতে সবুঝের মেলা।
দেখা মানে শুধু চোখে ধরা নয়,
বরং অনুভব করা—
কীভাবে নদী তার স্রোতে নিজের মৃত্যুকেই বহন করে বেঁচে থাকে,
কীভাবে গাছ নিঃশব্দে শেখায় স্থিতি মানে অনন্ত গতিও হতে পারে।
দেখা মানে
মহাবিশ্বের ভাষা শেখা—
যে ভাষা কোনো বইয়ে নেই,
যে ভাষা কেবল নিঃশব্দ মন বুঝতে পারে।
দেখা মানে
জীবনের অর্থের সন্ধান, তাকে বোঝার তৃষ্ণা।
আমি বিশ্বাস করি, জীবনের আসল লক্ষ্য কোনও পাহাড়চূড়ায় পতাকা গোঁজা নয়,
বরং সেই পাহাড়ের ঢালে হাওয়ায় নিজেকে মিলিয়ে দেওয়া।
কারণ, পৃথিবীটা নিছক একটা গোলক নয়—এ এক অনন্ত বিস্ময়ের পাঠশালা।
যতদিন চোখ খোলা আছে, ততদিন আমি শিখতে চাই
পাতার শিরায় থাকা সবুজের মানে,
একটি শিশুর হাসিতে থাকা অপার বিস্ময়,
একটা পুরনো মন্দিরের ধুলোর ভেতরে সময়ের নাড়ির স্পন্দন।
আমি জানি, একদিন এই দেখা থেমে যাবে,
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাবে অস্তরাগের মতো।
তবু সেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখতে চাই,
যেন মৃত্যুও এসে বলে—
“তুমি পৃথিবীটাকে সত্যিই দেখেছ।”
তাহলে যদি কেউ প্রশ্ন করে, “তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?”
আমি বলব—
শুধু বাঁচা নয়, দেখা আর অনুভব করা।
যতটা সম্ভব দেখা,
যতটা গভীরভাবে অনুভব করা যায় এই বিস্ময় নামের পৃথিবীকে।
যদি লক্ষ্য বলো জীবনের, তাহলে এটাই....হ্যাঁ, এটাই।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।