এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গৃহ শিক্ষক

    SAUMITRA BAISHYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২০ বার পঠিত
  •        
           
              আমরা যখন ছোট ছিলাম (রীতিমতই ছোট ছিলাম; বলা যায় যে রীতি মেনেই ছোট ছিলাম; মনুষ্য শাবকরা  একটা পর্যায়ে ছোটই থাকে, তারপর বেড়ে উঠে বড়ো হয়ে যায় এবং অনেকে বেড়ে হয় , যাকে বলে খাসা হয় আরকি ! চতুষ্পদ থেকে দ্বিপদ হয়ে গেছি, লিকলিকে গলার উপর গজানো মুন্ডুর ভিতরে, ডর-ভয়, আদর-আহ্লাদ বোঝার , মানুষের চেহারা মনে রাখার ক্ষমতা গজিয়ে গেছে ), তখন দেখতাম সেই সব মহামানবদের। ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত, শীত-গ্রীষ্ম নির্বিশেষে হাতে লম্বা কালো ছাতা, রাতে এক হাতে টর্চ, গম্ভীর মুখে ছাত্রের বাড়ি গিয়ে ঢুকছেন। কেউ আবার শীতের রাতেও হাতে ছাতা রাখতেন। সেটা ছিল লাঠির বিকল্প। এঁদের আগমনে, ছাত্র থেকে শুরু করে, বাড়ির সদস্যরাও তটস্থ, ত্রস্ত হয়ে থাকতেন। এঁদের কারোর নাম উল্লেখ করে, আমাদের মতো কোমলমতি, দুর্বৃত্তদের ভয় দেখানো হতো। পড়ার সময়ে, কোনো ছাত্রকে রাস্তায় দেখলে, ছাতাপেটা করে, সেই অবাধ্য ছাত্রকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যেতেন। উপরন্তু , গার্জেনকেও শাসিয়ে যেতে দ্বিধা করতেন না। আবার, কোনো ছাত্র অসুস্থ হলে, বাড়ি গিয়ে খবর নিতেন। এরকম এক শিক্ষক আমার মাসীকে পড়াতে আসতেন। আমাকে, মা আমাকে ধরার জন্য ছুটতে গিয়ে পড়ে যান। এরপর মায়ের হাতে প্লাস্টার করতে হয়। সবটা শুনে, তিনি আমায় পরশুরাম নামকরণ করেন। তিনি কিন্তু কল্পনিক চরিত্র নন। তাঁর নাম ছিল প্রভাত বিশ্বাস।   গুরু চরণ কলেজে তাঁর পুত্র আমাদের গণিত পড়াতেন।  
               এই গোত্রের শিক্ষক মশাইরা এখন আর নেই। আমরা অবশ্য স্কুল জীবনে এমন কয়েকজন শিক্ষককে পেয়েছি। এঁদের ভয়ে আমরা কেউ সন্ধ্যের পর, বাড়ির বাইরে থাকতাম না। একদিন আমাদের এক শিক্ষক ক্লাসে  এসে জিজ্ঞেস করলেন,- ‘তোরা আমাকে এত ভয় পাস কেন , বল তো ? আমি কি বাঘ নাকি ?’ আমরা সত্যিই তাঁকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ডাকতাম।   এখন বোধহয় শিক্ষকতার পেশায় যুক্তরা গৃহ শিক্ষকতা করেন না। অতীতস্মৃতি রোমন্থন ছেড়ে, বরং নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন , যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর যৌবনে বিস্তর টিউশনি করতেন। তখন তাঁরা ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা বের করছেন। কোনো উপন্যাসে তাঁর সেইসব অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তারাপদ রায়ও টিউশনি করতেন। এসবই তাঁদের লেখায় পেয়েছি। অতি সবিনয়ে এবং অতি সসংকোচে জানাতে চাই যে, আমিও একটা সময় শনি পুজো করার মত বিস্তর টিউশনি , অর্থাৎ গৃহ শিক্ষকতা করেছি। আমার স্কুল শিক্ষক বন্ধুর দৌলতে আমার শিক্ষকতার শুরু এবং সেটা করতে গিয়ে টের পেয়েছি, স্কুলে পড়ানো শিক্ষকদের তুলনায়, আমার মত অশিক্ষক গৃহ শিক্ষকের মান বেশ কম ছিল। অনেকেই সস্তায় পড়িয়ে নিতে চাইত। রীতিমত দাম দর করতেন অভিভাবকরা। কেউ সন্দিহান হয়ে বলতেন,-- আচ্ছা,জানাব। এগুলোকে অপমান নয়, পেশাগত ঝঞ্ঝাট হিসেবেই দেখতাম। ঠেকে শেখে চাষা। আমিও তাই শুরুতেই পাঁচশো হাঁকতাম। সেটা কমতে কমতে , তিনশোয়   টিকে যেতো । একবার এক অভিভাবক পাঁচশোতেই রাজি হয়ে গেলেন। আমি তো হৃষ্ট চিত্তে পরদিন পড়াতে গেলাম। গিয়েই বুঝলাম, আসল রহস্যটা। কথা ছিল ভদ্রলোকের ক্লাস নাইন ওঠা মেয়েকে পড়াব; কিন্তু, মেয়ের পাশে একটি বালকও বসে আছে পড়ার টেবিলে। আমার নিয়োগকর্তা আকর্ণ হেসে বললেন, ‘আমার ছেলেটা এবার সিক্সে উঠেছে। ওকে অংকটা একটু দেখিয়ে দেবেন।’ কী আর করি ! তবে, দিনে দিনে ছেলের চাহিদা দিন কে দিন বেড়ে গেল। ক্রমে ওকে সব বিষয়ই পড়াতে হল। এটা যেন একালের একটার সাথে একটা ফ্রি-র মতো ব্যাপার। 
                 ওই সময়ে  যারা গৃহ শিক্ষক নিযুক্ত করতেন, তারা চাইতেন, মাস্টার যেন সব বিষয় পড়ায়। কিন্তু এক শিক্ষকের পক্ষে সব বিষয় পড়ানো সম্ভব নয়। আমার স্কুল শিক্ষক বন্ধুরা অধীত বিষয় ভাগ করে নিত। এক বন্ধু অংক,বিজ্ঞান পড়াত; আমি পড়াতাম ইংরেজী, বাংলা, সমাজবিদ্যা। সমাজবিদ্যা বিষয়টি তার আবির্ভাব লগ্ন থেকেই, ছাত্রদের কাছে বিভীষিকা রূপে দেখা দিয়েছিল। সাধারণত, যেসব ছাত্র ‘স্যারের বাড়ির ব্যাচে’ পড়ে, বিশেষ সুবিধে করতে পারত না, তাদের জন্যই গৃহ শিক্ষকের খোঁজ পড়ত। আমি যেহেতু ইস্কুলে ছাত্র ঠ্যাঙ্গানো মাস্টার নই, তাই আমার বরাতে জুটত পঞ্চাশে পনেরো পাওয়া ছাত্র। আর সেই ছাত্রের মা বাবা ইশারায় বুঝিয়ে দিতেন, ছেলে যেন ফার্স্ট ডিভিশন পায়। যেমন, ইংরেজী স্কুলে পড়া একটি ছেলে আমায় জিজ্ঞেস করেছিল,- ‘স্যার, আঙ্গুল মানে কি tale?’। আরেকটি ছেলে ভুল বানান লেখার সমর্থনে মোক্ষম যুক্তি দিয়ে বলেছিল,- ‘একজামিনার তো পড়লেই বুঝবেন কী লিখেছি। সাপদ আর শ্বাপদ তো একই রকম উচ্চারণ । পড়লেই ওটা শ্বাপদ বোঝা যায়। তবে এত বানান শিখে কী হবে?’ ওর প্রশ্নটি অতি জটিল। একটি ছাত্র ক্রিকেট খেলত। শুনেছি বেশ ভালোই খেলত। সে পড়তে বসেই ঘুমে ঢুলত। ও ঘুমিয়ে পড়ত। আমিও একটা গল্পের বই খুলে বসতাম। ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে সে পড়ায় মন দিত। একটি ছাত্রী পড়তে বসেই চোখের জল ফেলতে শুরু করত। তার মানে, সে কিছুই পড়েনি। তখন তো মোবাইল ছিল না; কিন্তু, টেলিভিশন তো ছিল। অল্প বয়সে মাতৃহীনা মেয়েটির জন্য মায়া হতো। ফলে, ওকে পড়া শিখিয়ে বিদায় নিতে দু’তিন ঘন্টা লেগে যেত। তখন সব অভিভাবকদের একটাই দাবী থাকত,-’বেশি করে হোমটাস্ক দিয়ে যাবেন, যাতে ছাত্র বা ছাত্রী পড়ার টেবিল ছেড়ে উঠতেই না পারে’। কিন্তু, আমি মনে মনে হাসতাম। সিলেবাস শেষ করা নিয়েও একটা উদ্বেগ ছিল তখনকার অভিভাবকদের ; ওরা বুঝতেন না যে, সব ছাত্রকে সিলেবাস শেষ করতে হয় না। সেটা করতে গেলে ভবিষ্যতে ‘এক্সট্রা টু এবি’ বেরিয়ে আসবে। কিম্বা, নালার জল থেকে জ্বালানী গ্যাস তৈরী করে ফেলতে পারে। 
            গৃহ শিক্ষকতার সবচেয়ে লোভনীয় এবং রোমাঞ্চকর দিকটি সম্পর্কে এবার বলা যাক। অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা টিউশনি করতে চলে যেতাম বলে, সন্ধ্যের পর বেশ ক্ষিধে পেতো। ফলে, অপেক্ষা করতে হতো, কখন কী খাবার আসে। কোনো কোনো বাড়িতে এলাহি খাওয়া দাওয়া জুটত। এর একটা সুক্ষ্ম ইঙ্গিতও আছে। একটু বেশি সময় পড়িয়ে যেতে হবে। কোনো বাড়িতে এরারুট বিস্কুট সহ চা আসত। এক বাড়িতে সবদিনই সুজি খেতে হতো। তবে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার গল্পটি কারো লেখায় পড়েছিলাম; বাড়ির কিপ্টে  ঠাকুমাকে বলতে শুনছেন গৃহ শিক্ষক,-’ওরে এতটা দুধ দিয়ে ম্যাস্টারকে চা বানিয়ে দিলি ক্যান ? দুপুরে বেড়ালে খাওয়া দুধ দিয়ে দিতি পারলি নে ?’ তবে, বেড়ালে খাওয়া দুধের চা না হলেও, প্রায় অনুরূপ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিল। এক বাড়িতে সবে চা টুকু শেষ করোছি। এমন সময় গৃহকর্তার গর্জন শুনলাম,- ‘আমার চায়ের কাপ কোথায় গেল? দুটো মাত্র চুমুক দিয়ে রেখেছিলাম ’। গৃহিনী মিনমিনে সুরে বলছেন,- ‘তুমি চা খাবে না ভেবে, আমি সেই কাপটা মাস্টার বাবুকে দিয়ে দিয়েছি।’ 
              গৃহ শিক্ষকদের রমরমা কালে কালে অন্তর্হিত হতে থাকে। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য আজকাল গৃহ শিক্ষক পাওয়া কঠিন। কারণ, একটা সময় ব্যাচ করে পড়ানো শুরু হল। প্রতিটি ব্যাচে কমপক্ষে পঁচিশ তিরিশ জন করে ছাত্রছাত্রী। আমার যে স্কুল শিক্ষক বন্ধুটির দৌলতে আমি শিক্ষক হয়েছিলাম, সে একদিন একটি মৃর্ণান্তিক খবর শোনাল। ছাত্র পড়িয়ে বেরোবার সময়, তার চোখ যায় দেওয়ালের ক্যালেন্ডারে। এর মধ্যে কতগুলো তারিখ লাল কালিতে গোল করে দাগানো। আর, পাশে লেখা আছে,- গোয়ালা দশ তারিখ, ধোবা তেরো তারিখ, মাস্টার পঁচিশ তারিখ। বন্ধুটি মতিলাল মিষ্টান্ন ভান্ডারের চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে হায়, হায় করে উঠল। কী দিনকাল এলো রে ! ভাবতে পারিস, গোয়ালা, ধোবা আর মাস্টার এক শ্রেণীতে ! তার নব্য শ্রেণী চেতনায় আমিও হতভম্ব। সে এরপর গৃহ শিক্ষকতা ছেড়ে দিল। আর, আমারও শিক্ষকতার অবসান হয়ে গেল কিছুদিন পর। তবে, অন্য একটি সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। তিন চার বছর গৃহ শিক্ষকতা করে ফেলেছি। কিছু ছাত্র স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে গেছে। একবার সিনেমা দেখতে গেছি। হলের ভিতর ধূমপান সম্পর্কে এত কড়া আইন ছিল না। একটি ছেলে আমাকে বলল,- ‘দাদা, আগুনটা দেবেন?’ আমিও হাত বাড়িয়ে  আমার সিগারেটটা এগিয়ে দেই। ছেলেটি জ্বলন্ত সিগারেট থেকে নিজের সিগারেট জ্বালিয়ে ফেরত দিল। ইন্টারভেলের পর পাশের আসনটা শূন্য রয়ে গেল। কারণটা আর কিছু নয়। যে ছেলেটি সিগারেট জ্বালিয়েছিল, তাকে দু'বছর আগে আমার বন্ধু ও আমি পড়িয়েছিলাম। তাছাড়া, প্রাক্তন ছাত্রের পাশে বসে নায়ক নায়িকার ঘনিষ্ট প্রেমের দৃশ্য দেখার মত সামাজিক সহনশীলতা তখনো ছিল না। তবে, সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা না বলে পারছি না। 
                ভবেশ বাবুর ছেলে এবার মাধ্যমিক দেবে। সে গণিতে খুব দুর্বল। বিজ্ঞানেও খুব দুর্বল। আজকাল আবার নতুন রীতি হয়েছে; যিনি গণিত পড়ান, তিনি বিজ্ঞান পড়ান না। আবার , বিজ্ঞান যিনি পড়ান, তিনি স্বাভাবিক ভাবেই গণিত পড়ান না। এটা যেন অনেকটা ডাক্তার বাবুদের মত। তবে, নাক-কান গলা এখনো, একই ডাক্তার দেখেন। ভবেশ বাবুর চাই এরকম একজন টু ইন ওয়ান মাস্টার মশাই, যিনি গণিত ও বিজ্ঞান, দুটোই পড়াবেন। তবে, গৃহশিক্ষক হলেই ভালো। চোখের সামনে ছেলের অগ্রগতি - অধঃগতি দেখা যাবে। মানে, কতটা কী পারছে , না-পারছে বাড়িতে বসেই বোঝা যাবে। কিন্তু, আজকাল গৃহশিক্ষক পাওয়া মুশকিল। সকালে বাজারে যাবার সময়, ভবেশ বাবুর দেখা হয়ে গেল ভবেন বাবুর সাথে। ইনি আবার অনেক রকমের খবর টবর রাখেন। বিবাহযোগ্য পাত্র-পাত্রী থেকে শুরু করে , কোথায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে এবং অনেকের বাড়ির গোপন হাঁড়ির খবরও রাখেন। অতঃপর, ভবেশ বাবুই ভবেন বাবুকে দেখে ছুটে গেলেন তাঁর কাছে। সব শুনেটুনে একটু চিন্তা করে বললেন, আমার কাছে এরকম দু’জন শিক্ষকের সন্ধান আছে। তবে, অন্য একটা ব্যাপারও আছে। অন্য ব্যাপার শুনে ভবেশ বাবু ভাবলেন, বোধহয় উনারা বেশি টাকা চাইবেন। ভবেন বাবু বললেন, না, টাকা সংক্রান্ত ব্যাপার নয়। দু জনই খুব ভালো পড়ান। একেবারে ধন্বন্তরি যাকে বলে। একজন তো উন্মাদের মত পড়ান। মানে, যখন উনি উন্মাদ থাকেন, তখন খুবই ভালো পড়ান। আরেকজন, পড়াতে যতদিন যতক্ষণ বা   যতদিন উন্মাদ হচ্ছেন না, ততদিন ভালো পড়ান। এখন দেখুন , উন্মাদনা তো মানসিক ব্যাপার। এর উপর কারো হাত নেই। কে কখন উন্মাদ হবেন সেটা তো আগে থেকে বলা মুস্কিল। তাছাড়া, বড়ো বড়ো পন্ডিত ও বিজ্ঞানীদের একটু উন্মাদনা থাকেই। ও নিয়ে আপনি    একদম ভাববেন না। 
    সৌমিত্র বৈশ্য। শিলচর। আসাম। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন