এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রার্থনার সুর।

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ জুন ২০২৫ | ৪৪ বার পঠিত
  • প্রার্থনার সুর

    আজ ভোররাতে বহু দূর থেকে ভেসে আসা এক প্রার্থনার সুর মনকে কেমন আচ্ছন্ন করে ফেললো। অন্ধকার ঘরে কান উঁচিয়ে উৎকীর্ণ হয়ে র‌ইলাম, যদি সেই ভেসে আসা সুরের নিহিত বাণী মর্মে এসে বাজে। খানিকক্ষণ পরে মৃদঙ্গ ও খঞ্জনির বোলচাল স্পষ্ট হতেই বুঝতে পারি এ আমাদের বাংলার আদি ও অকৃত্রিম কীর্তনের প্রভাতী সুর। আর কয়েকদিন বাদেই ঘোষ পাড়ার হরিমণ্ডপে বসবে বার্ষিক কীর্তনের আসর। হয়তো এখন তার‌ই জাগরণের পর্ব চলছে। এই সুর বেলা হলে এমন সুরেলা প্রাণস্পর্শী মনে হতো কিনা জানিনা কিন্তু ভোরের আলোআঁধারির ঐ মায়াঘন মুহূর্তে তা আমার মনকে ছুঁয়ে গেল, মন ভরে উঠলো পরম শান্তিতে।

    প্রত্যেক প্রার্থনার সুরের মধ্যে হৃদয়ের এক গভীর আকুতি মিশে থাকে। প্রার্থনা আত্মনিবেদনের উপায়। কিন্তু কার কাছে এই আত্মসমর্পণ? যাঁরা ঈশ্বরবাদী, এক পরম শক্তির অস্তিত্বে আস্থাশীল, তাঁরা মনে করেন প্রার্থনা হলো সেই পরম শক্তির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করার এক বিশেষ কর্মসূচি। প্রার্থনার সুরের মধ্যে নিহিত থাকে নিজের ভেতরের সব মলিনতা, দীনতাকে সরিয়ে দিয়ে এক নতুন চেতনার উজ্জীবনের আকুতি।

    ফিরে যাই কিশোর বেলায়। খানিক আগে সন্ধ্যা হয়েছে। মাঠ ঘাটের পাট চুকিয়ে শ্রান্ত,ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছি। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতেই কানে এসেছে সেতারের ঝঙ্কার। দাদু সেতার বাজাচ্ছেন আপন মনে। নিঃশব্দে দাদুর ঘরে এসে বসি। দাদু মৃদু স্বরে গাইছেন –

    আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে।
    সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।।
    নিজেরে করিতে গৌরব দান নিজেরে কেবলই করি অপমান,
    আপনারে শুধু ঘেরিয়া ঘেরিয়া ঘুরে মরি পলে পলে।
    সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।।

    এই পর্যন্ত গাওয়ার পর দাদুর হাতের সেতার ফিরে যায় ইমন কল্যাণের অপরূপ মূর্চ্ছনায়। পারস্যের ইয়ামন থেকেই নাকি উত্তর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ধারায় ইমনের সংযোজন আমির খসরুর মাধ্যমে। তিনিই তার রূপান্তর ঘটান।এসব কথা দাদুর মুখেই শোনা। রাতের প্রথম প্রহরে গেয় এই ইমন সান্ধ্যবাসরে নতুন মাত্রা পায় এই গানটির মধ্যে। দাদু আবার নতুন করে গান শুরু করেন –

    আমারে যেন না করি প্রচার আমার আপন কাজে,
    তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ আমার জীবন মাঝে।
    যাচি হে তোমার পরম শান্তি, পরানে তোমার পরম কান্তি,
    আমারে আড়াল করিয়া দাঁড়াও হৃদয়পদ্মদলে।
    সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।।

    গান শেষ করে দাদু দু চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। আমরাও তেমনটাই করি। গান শুনে আমার অফিসফেরতা মা কখন এসে বসেছেন আমাদের পাশে তা আগে টের পাইনি। এক সময় মা বলে ওঠেন – এই গানের মধ্যে এক গভীর নিমগ্নতা জড়িয়ে আছে। তোরা এই সুন্দর কথাগুলো সারাজীবন মনে রাখবি। নিজেকে নিজের কাছেই সমর্পণ করতে হয়। নিজের মধ্যেই বিরাজমান থাকেন সর্ব শক্তির আধার সৃষ্টিকর্তা। তাকে সদ্ভাবনা,সৎচিন্তনের পথে নিয়োজিত করার মধ্যেই রয়েছে মনুষ্য প্রাণের পূর্ণতার আভাস। আর তাই নিজের অন্তর্নিহিত বোধ আর শক্তির কাছে আমাদের প্রার্থনা – এ জীবন পূর্ণ কর, এ জীবন পূর্ণ কর, এ জীবন পূর্ণ কর।

    প্রার্থনার কথাই যখন উঠেছে, তখন আমার অনির্বচনীয় এক অভিজ্ঞতার কথা বলি। এই অভিজ্ঞতার কথা আগেও বলেছি এখানে ওখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে। তবে এই অভিজ্ঞতার কথা শুনতে কারোরই খারাপ, একঘেয়ে লাগবে না। কর্মজীবন থেকে সদ্য অবসর নিয়েছি। রুটিনের বাঁধা সময় মেনে চলার বাধ্যবাধকতা নেই। মেয়ে বললো – চল্ বাপ, এবার সবাই মিলে ঘুরে আসি। কন্যা তখন উৎকলভূমে গবেষণায় ব্যস্ত। গন্তব্য কেরালা রাজ্যের উত্তর প্রান্তীয় জেলা ওয়েনাড়।

    ওয়েনাড়ের প্রথম সকালের কথা আমি জীবনে কখনো ভুলবোনা। কাকভোরে ঘুম ভাঙ্গলো এক আশ্চর্য সুন্দর দক্ষিণী মন্দিরের প্রভাতী প্রার্থনার সুরে। খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়, তবে যেটুকু কানে এলো তাতেই ভরে ওঠে মন। তারপর শুরু হলো আরতির পর্ব। চেন্ডা, নাদস্বরম, মৃদঙ্গ, করতাল, শঙ্খ সহযোগে আরতি পর্ব চলে। পরে গিয়ে দেখেছি ওখানে প্রধান আরাধ্য ভগবান ভগবান বিষ্ণু ভেঙ্কটেশ্বর। প্রার্থনার সুর মিলিয়ে যেতে না যেতেই কানে এলো ফজরের নামাজের সুতীব্র আকুতি। প্রার্থনার বাণীকে ছাপিয়ে কানে বাজতে থাকে স্বরের স্বনন তরঙ্গ। একেবারে গায়ে গা লাগিয়ে কি আশ্চর্য সহাবস্থান! ভাবছিলাম এখানেই কি এই প্রার্থনার সুরলহরীর ইতি? ভাবনার ক্ষণ অতীত হতে না হতেই বেজে ওঠে গীর্জার ঘন্টা। কি সুগম্ভীর তার ধ্বনি ! চার্চের ঘন্টা জানিয়ে দেয় – প্রার্থনার শুভ সময় সমাগত। হে প্রভুর প্রিয় অনুগামীরা! ঈশ্বর পুত্র যীশু তোমাদের আত্মশুদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছেন। তোমরা সমাগত হ‌ও। তিন সুর, ভিন্ন ভিন্ন তান আর মাত্রায় বাঁধা, অথচ তিন ধারা মিলেমিশে একাকার। জগতের হিতে, মানুষের হিতে, বিশ্ব প্রাণের হিতে সব সুর আর বাণী সঞ্চালিত। কোথাও বিবাদ, বিসম্বাদের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। অথচ আমাদের একাংশের মধ্যে কি আত্মগর্বী অহমিকা আর প্রমত্ততা! ধৈর্য্য হীন জান্তব আস্ফালন!

    আজ যখন চারিদিকে ধর্মের নামে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্বের বেড়ে যাওয়া প্রমত্ততা প্রত্যক্ষ করে নিদারুণভাবে হতাশ হই, তখন কেন জানিনা বারংবার আমার ওয়েনাড়ের সেই আশ্চর্য সুন্দর সকালের কথা মনে পড়ে যায়। ভারতের সংস্কৃতি সম্মিলনের সংস্কৃতি, সব মিলেমিশে একাকার। অখণ্ড রূপে তাকে প্রত্যক্ষ করার মধ্যেই সুখ সমৃদ্ধি শান্তি। এই অখণ্ড সত্তাকে ভেঙে দেখতে চাওয়ার মধ্যে রয়েছে এক শ্রীহীন কদর্যতা। ওয়েনাড়ের সেই সকাল আমাদের সেই পূর্ণতার আভাস দিয়েছিল দূর থেকে ভেসে আসা প্রার্থনার সূত্র ধরেই। ঐ ভাবনা থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখেছিলাম কয়েকটি পঙতি —

    হে মানবক
    আজ পবিত্র হ‌ও –
    ভোরের আজানের মতো,
    গীর্জার গম্ভীর ঘন্টাধ্বনির মতো,
    ধম্মপদের সুরেলা গাম্ভীর্যের মতো,
    যজ্ঞের অনলের মতো,
    গ্রন্থসাহেবের গুরুবাণীর মতো,
    পবিত্র হ‌ও মানবপুত্র -
    পবিত্র হ‌ও।

    প্রার্থনা কি আমাদের সত্যিই পবিত্র করে? বলতে পারবোনা। তবে সব প্রার্থনার সুর‌ই তো আসলে এক – সকলের কল্যাণের কথা বলা, জগতের হিতের কথা বলা। তাই হোম কুণ্ডের চারপাশে বসে যজ্ঞানলে আহুতির সময় যাজ্ঞিকদের উচ্চারিত বৈদিক মন্ত্র কিংবা সারাদিনের পাঁচ ওয়াক্তের নামাজের মধ্যেও মিশে থাকে সকলের সুখ ও সমৃদ্ধির মহতী আহ্বান। সেই সুরের নিহিত মূর্ছনায় অন্তরাত্মার তন্ত্রীতে যদি নতুন সুরের অনুরণন হয় তবেই যে হবে জগতের আপামর মানুষের কল্যাণ। নানান প্রেক্ষাপটে ধ্বনিত প্রার্থনার সুর এভাবেই হয়তো ব্যক্তি বিশেষের চিন্তা ও কর্মের নতুন দিশা দেখায় নানা সময়ে।

    যদি প্রশ্ন করে জানতে চান আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভবের কথা, তাহলে বলবো, আমার কাছে প্রেরণার উৎস স্রোত হিসেবে আজ‌ও মান্যতা পায় আমার স্কুল জীবনের দুটি প্রার্থনা সঙ্গীত। প্রথমটি আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রার্থনা সঙ্গীত, রবিঠাকুরের লেখা – অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তরতর হে। কি অপূর্ব বাণী! এই বাণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে কবি বিষ্ণু দে তাঁর প্রবাসী কন্যাকে লিখছেন – “ভারি সুন্দর কথাগুলো। যখন একা থাকার নিঃসঙ্গতা অনুভব করবে, তখন এই কবিতাটি আবৃত্তি করো, মনে সাহস পাবে।” এই পরিণত বয়সে এসেও সেই ছোটবেলার প্রার্থনার সুর মনকে উজ্জীবিত করে। সে সময় শব্দের মাদকতা হয়তো সবটা বুঝতে পারিনি, কিন্তু আজ সেই প্রার্থনার সুর ও বাণী আমাকে নিরন্তর সক্রিয় রাখে। এই প্রার্থনার সুরে মিশে আছে আত্ম-পরিশোধনের আহ্বান আর প্রেরণা।

    অন্তর মম বিকশিত করো
    অন্তরতর হে,
    নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,
    সুন্দর করো হে।
    জাগ্রত করো, উদ্যত করো,
    নির্ভয় করো হে।
    মঙ্গল করো, নিরলস নিঃসংশয় করো হে।
    অন্তর মম বিকশিত করো
    অন্তরতর হে।

    দুটি স্তবকে লেখা এই আশ্চর্য সুন্দর কবিতার প্রথম স্তবকটিকেই প্রার্থনার জন্য বেছে নিয়েছিল আমাদের প্রাণের স্কুল। আজ‌ও চোখ বুজলে যেন দেখতে পাই রুবী দি হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছেন, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন গৌরী দি, নিভা দি, শঙ্কর দা, আর আমরা হাত জোড় করে তাঁদের সঙ্গে গাইছি। প্রচলিত সুরকে খানিকটা বদলে নিয়ে গাওয়া হতো গানটি, তাতে করে অবশ্য মূল বাণীর অর্থবহতার কোনো পরিবর্তন হতোনা। আজ গানের বাণীর প্রতিটি শব্দ নতুন করে আমাকে ভাবায়, নিঃসংশয়ী হয়ে ওঠার প্রেরণা দেয়। এই যে অন্তরতর হ‌ওয়ার যাচনা তা মানুষকে আলোর পথযাত্রী করে তোলে। এই প্রার্থনার সুর আজ‌ও আমাকে অন্তর্লীন ভাবনায় আপ্লুত করে। এই প্রার্থনার সুর ভুলি কি করে?

    প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ সাঙ্গ করে যখন উচ্চতর বিদ্যালয়ের আঙিনায় এলাম তখন অনেককিছুর মতো প্রার্থনার চেনা সুর‌ও বদলে গেল। এক অপরূপ বৈদিক মন্ত্রে আমরা নতুন করে যেন দীক্ষিত হলাম। উপনিষদের সেই বাণী চিরন্তন মানবিকতার বাণী, যূথবদ্ধ যাপন ও চিন্তনের বাণী।

    সংগচ্ছধ্বঙ্ সংবদদ্ধঙ্ সংবো মনাঙসি জানতাম্। ……

    তোমরা সকলে একসঙ্গে চল, একযোগে বল। তোমাদের সকলের মন এক হোক, মন্ত্র এক হোক, সকলে একত্রে সমাগত হ‌ও। মন ও চিত্ত সকলের এক হোক, অন্তঃকরণ এক হোক, তোমরা যেন সর্বাংশে সম্পূর্ণরূপে একমত হ‌ও।

    সেই যে স্কুল জীবনে এই প্রার্থনার সুর “কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া” মন প্রাণ আকুল করিল তা আজ‌ও স্বমহিমায় বিরাজমান। জীবনের নানান পর্বে নানান প্রার্থনার সুরে মন ভরে উঠেছে নানান ভাবে। এখনও কান পেতে রই সেই প্রার্থনার সুরের জন্য যা নতুন করে প্রেরণার উৎস স্রোত বয়ে আনবে আমার জীবনে, আমাদের জীবনে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী। | 2405:201:8016:6b:3c2a:8344:35ac:***:*** | ০৭ জুন ২০২৫ ০৭:২৭731908
  • প্রার্থনা র প্রারম্ভিক অর্থ হলো সর্বশক্তি মান ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করা বা তার সাথে হৃদয়ের যোগসূত্র স্থাপন। করা। আমরা ভিন্নধর্মী হতে পারি কিন্তু প্রার্থনা সব ধর্মের ই মূল আধার শক্তি। নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে তার চরনে  নিবেদন মানুষের আত্মিক ও বাহ্যিক জীবনকে সুন্দর ও সুচারুভাবে গড়ে তোলে। লেখকের এই বিশ্লেষণ সত্যিই যথার্থ।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৭ জুন ২০২৫ ০৭:৪৯731909
  • শর্মিষ্ঠা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এমন আন্তরিক মতামতের জন্য। পৃথিবী ক্রমশই উন্মত্ততায় ভরে উঠছে। নিজের অন্তরের আহ্বান আমরা কেউই শুনতে চাইছিনা। আমাদের সম্মিলিত ঐকান্তিক প্রার্থনাই পৃথিবীকে আবার মধুময় করে তুলবে। ভালো থাকবেন সবসময়।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1072:1acd:8000::***:*** | ০৭ জুন ২০২৫ ০৮:০৮731911
  • মন ছোঁয়া  স্নিগ্ধ লেখা।অন্তর মম বিকশিত করো -----
    স্কুলের ছোট ছোট বিষয় কতখানি দাগ কাটতে পারে মনে! কিন্তু বর্তমানে পুরো ব্যবস্থাটি সংকটের সম্মুখীন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন