এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একান্নবর্তী 

    Indrani Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জুন ২০২৫ | ১৭৯ বার পঠিত
  • মৃন্ময়ী একুশ বছরে বিয়ে হয়ে চৌধুরীবাড়ির মেজছেলের বৌ হিসেবে এল সংসারে। চৌধুরীবাড়ির গিন্নি সুধাময়ীর তিন ছেলে আর চার মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার। মৃন্ময়ী যখন এ বাড়িতে এল ততদিনে বাড়ির বড় ছেলে অমলের বিয়ে হয়ে গেছে আর অমলের তিন বোনেরও বিয়ে হয়ে গেছে। মেজ ছেলে কমলের পরে আছে ছোট মেয়ে সীমু আর ছোট ছেলে বিমল যারা তখন কলেজ আর স্কুলে পড়ে। চৌধুরী বাড়ির কর্তা দেবশঙ্করের প্রেসের ব্যবসা আছে। বিরাট তিনতলা বাড়ি করেছেন তিনি। বড় ছেলে অমল সেই ব্যবসাই দেখে। মেজছেলে কমল একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। অমলের পরে তিন বোন– রুমু, ঝুমু আর কুমুর ভাল বিয়ে দিয়েছেন বড়কর্তা। জামাইরা সবাই প্রতিষ্ঠিত।
     
    অমলের স্ত্রী মাধবী এতদিন রান্নাঘরের সব দিক সামলাত একা হাতে। এবারে মৃন্ময়ী আসাতে তার একটু ফুরসত মিলল রান্নাঘরের দায়িত্ব ভাগ হওয়াতে। সুধাময়ী রান্নাঘরে বিশেষ ঢোকেন না, কিন্তু দূর থেকে সব দিকে নজর রাখেন। দেবশঙ্করের  বিধবা বোন সরমা, তার ছেলে রমেন ও বৌমা নমিতাকে নিয়ে এ বাড়িতেই থাকেন। এছাড়াও আছে প্রচুর কাজের লোক, প্রতিদিন পাত পড়ে প্রায় আটত্রিশ জনের, দু বেলা মিলিয়ে। সকাল ছটায় মাধবী, মৃন্ময়ী ও নমিতা রান্নাঘরে ঢোকেন আর বেরোন বেলা দুটোয়। আবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটাতে রান্নার কাজ শুরু করে শেষ হয় রাত বারোটায়। অমল-মাধবীর এক ছেলে আছে, নন্দন, যার পাঁচ বছর বয়স। রমেন-নমিতার আবার এক মেয়ে, রাই, যার বয়েস তিন। রমেন সামান্য একটা ক্লার্কের চাকরি করেন। মামা দেবশঙ্কর মাথার ওপর ছাতা ধরে আছেন বলেই তাদের চলে যায় ভালভাবে। রমেন এজন্য মামার কাছে কৃতজ্ঞ। নমিতা কিন্তু এ ব্যবস্থায় খুশি নয়।
     
    -“চল, আমরা আলাদা সংসার করি” বলে নমিতা।
    -“মানিয়ে নাও এখানে। আলাদা সংসারে খরচ বাড়বে অনেক। অনেক অসুবিধে হবে” রমেন বলে।
     
    সকালে দুধ গরম হলেই নমিতা বড় একবাটি দুধ সরিয়ে আনে নিজেদের ঘরে, রাই খাবে বলে।
    সুধাময়ী বিরক্ত হন কিন্তু বেশি কিছু বলেন না। এক একদিন বাড়ির বাচ্চা আর ছেলেরা দুধ খাওয়ার পরে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না ডেকচিতে। মাধবী আর মৃন্ময়ীর ভাগে দুধ জোটে না কতদিন। তিন জায়ে খেতে বসেও ভাল মাছটা নিয়ে নেয় নমিতা। বাকি দুজন সহ্য করে যায় দিনের পর দিন। মাঝে মাঝে তারা তাদের স্বামীদের বলে এই সব অব্যবস্থার কথা। অমল, কমল রাগ করে সুধাময়ীর ওপর।
     
    - “পিসিমার সংসারটা আলাদা করে দাও। তা হলে বুঝবে কত ধানে কত চাল” ওরা বলে।
    -“আমি না দেখলে ওরা ভেসে যাবে। আমার ছায়ার তলায় যতদিন আছে থাক। তোরা একটু মানিয়ে গুনিয়ে চল। আমি চোখ বুজলে এই একান্নবর্তী সংসার আর থাকবে না, বুঝতে পারি”, দেবশঙ্কর বলেন।
     
    পুজোর সময় চৌধুরীবাড়ি জমজমাট। সব মেয়ে, জামাই, ছেলে, বৌ, নাতি, নাতনি নিয়ে ভরা সংসার তখন। বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। পুজোর চারদিন প্রচুর কাজ সবার, কত বাইরের লোকও আসে পুজো দেখতে। খুব আনন্দ সবার। সুধাময়ী নিয়ম করে দেন যে পুজোর চারদিন বাড়ির বৌরা সবার আগে খেতে বসবে আর সব থেকে ভাল মাছ, মিষ্টি খাবে। কারণ তারা সারা বছর সংসার সামলায় আর অনেক অন্যায় সহ্য করে। এই ব্যবস্থায় বাড়ির ছেলেরা আর দেবশঙ্কর খুব সায় দেন। বাইরের লোকেরা সবাই সুধাময়ীর খুব প্রশংসা করেন। একান্নবর্তী পরিবার নানা ঝড় ঝাপটার মধ্যেও টিঁকে থাকে। এভাবে মৃন্ময়ীর বিয়ের পরে দশ বছর কেটে গেছে।
     
    এদিকে ছোট ছেলে বিমল কলেজ পাস করে ওকালতি শুরু করে। ভাল পসার তার। দেবশঙ্কর বিমলের বিয়ে ঠিক করেন বাল্যবন্ধু অজিতের মেয়ে পাঞ্চালীর সঙ্গে। ধুমধাম করে বিয়ে হয়। ইতিমধ্যে কমল-মৃন্ময়ীর এক মেয়ে  হয়েছে - সোনাই, যার বয়স এখন সাত।
     
    পাঞ্চালীর প্রথমে এসে এ বাড়ির ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হতে দু’মাস সময় লাগে। কিন্তু তার এই সংসারের ব্যবস্থা ভাল লাগে না। তার মনে হয় “সবাই বড় স্বার্থপর এই সংসারে। বাড়ির বৌরা সারাদিন খাটে, কিন্তু তারা বঞ্চিত নানা ভাবে। বড্ড অব্যবস্থা এখানে”।  

    - “আমার এখানে ভাল লাগছে না। আমরা আলাদা সংসার পাতি”, পাঞ্চালী বিমলকে বলে।
     
    বিমল চেষ্টা করে বোঝাতে কিন্তু ব্যর্থ হয়। তারপর একদিন বিমল দেবশঙ্করকে বলে তারা আলাদা হয়ে যেতে চায়।  দেবশঙ্কর চেষ্টা করেন বোঝাতে বিমলকে। কিন্তু বিমল-পাঞ্চালী আলাদা হয়ে যায়। দেবশঙ্কর তার তিন মাসের মাথায় স্ট্রোক হয়ে মারা যান। এর ছ’মাস আগে সরমা মারা গেছেন। সুধাময়ী খুব একা হয়ে পড়লেন। এর কিছুদিন পরে অমল ও কমল বলল মা’কে “আমরা এবার নিজেদের সংসার শুরু করব আলাদা ভাবে, মা। এই একান্নবর্তী পরিবার যখন আর রইল না, আর কেন এর বোঝা টানব আমরা সারাজীবন”। সুধাময়ী ঠিক করলেন তিনি একা থাকবেন এ বাড়িতে আর থাকবে পুরনো কাজের লোক মাধব আর তার বৌ কমলা। 
     
    ছেলে-বৌরা, মেয়ে-জামাইরা মাঝে মাঝে এসে দেখা করে যায় সুধাময়ীর সঙ্গে। প্রথম দিকে তারা ঘন ঘন এলেও, আস্তে আস্তে মা’র কাছে আসা কমতে থাকে। যে যার নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত।  
    মাধব বলে, “মা, চিন্তা কোরো না। আমি তো আছি। আমি তোমার শেষদিন পর্যন্ত দেখাশোনা করব। দাদাবাবু, দিদিরা নিজেদের সংসার আর কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, সময় পায় না এখানে আসার। তুমি রাগ কোরো না”। 
     
    সময় গড়িয়ে চলে ধীরে ধীরে। সুধাময়ীর বয়েস বাড়ে, কমে শরীরের জোর। একদিন সুধাময়ী বাথরুমে পড়ে গিয়ে পা ভাঙেন। বড় ছেলে অমল খবর পেয়ে এসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। বাকিরা দূর থেকে ফোনে খবর নিয়েই দায়িত্ব সারে। এরপর পায়ে প্লাস্টার নিয়ে সুধাময়ী শয্যাশায়ী থাকেন তিন মাস। মাধব আর কমলা যত্নের ত্রুটি রাখে না।  তাঁর ছেলে মেয়েরা এই তিন মাসে দু’তিন বারের বেশি আসেনি সুধাময়ীকে দেখতে। সুধাময়ীর টাকার অভাব নেই। দেবশঙ্কর অনেক টাকা রেখে গেছেন তাঁর জন্য। এই তিনতলা বিরাট বাড়িও সুধাময়ীর নামে উইল করে গেছেন দেবশঙ্কর। ছেলে মেয়েরা মাঝে মাঝে বলে মা’কে, বাড়ি ভাগ করে উইল করে দিতে। সুধাময়ী শোনেন, কিন্তু কিছু বলেন না। পা ভাঙ্গার পরে অমল এসে বলে “মা, এবার বাড়িটা ভাগ করার ব্যবস্থা কর। তোমার কিছু হয়ে গেলে আমরা বিপদে পড়ব”। অমলের সঙ্গে বাকি ভাইবোনেরাও সায় দেয় এতে।
     
    এরপর একটু সেরে উঠলে সুধাময়ী মাধবকে বলেন দেবশঙ্করের বন্ধু উকিলবাবুকে বাড়িতে ডেকে আনতে। উকিলবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করে সুধাময়ী একটা উইল তৈরি করে আলমারিতে তুলে রাখেন। উকিলবাবুকে তার কপিও একটা দিয়ে রাখেন আর নির্দেশ দেন যে তাঁর মৃত্যুর পরেই শুধু তাঁর ছেলেমেয়েদের উইলের কথা জানাতে।
     
    এরপর আরও দু’বছর কেটে গেছে। সুধাময়ী আরও বৃদ্ধ হয়েছেন, একটু অথর্বও। মাধব ও কমলা সুধাময়ীর যত্নআত্তি করে সবসময়। ছেলেমেয়েরা কালেভদ্রে আসে এ বাড়িতে। মায়ের ওপর তারা বোধ হয় একটু বিরক্তই, উইল করে বাড়ি ভাগ করে না দেওয়ার জন্য।
     
    সেদিন পৌষ সংক্রান্তি। কমলা বাড়িতে পিঠে পুলি, পাটিসাপটা সব বানিয়ে প্রতিবেশীদের দেয় সুধাময়ীর কথা মতো। সুধাময়ী অল্প একটু পিঠে, পাটিসাপটা খেয়ে রাতে ঘুমোতে যান। পরদিন সকালে মাধব সুধাময়ীকে ডাকতে গিয়ে দেখে কোন সাড়া নেই, গা ঠাণ্ডা। পাড়ার ডাক্তারবাবুকে মাধব দৌড়ে গিয়ে ডেকে আনে। তিনি দেখে বলেন, “সব শেষ। কাল রাতেই সুধাময়ীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে”।   

    পাড়া-প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে ছুটে আসে। একে একে সব ছেলে-বৌ, মেয়ে-জামাই, নাতি–নাতনি সবাই এসে পড়ে এ বাড়িতে। ঠিকমতো দাহকার্য সম্পন্ন হয়। তেরদিন পরে খুব ঘটা করে ছেলে-মেয়েরা মায়ের শ্রাদ্ধ করে, অনেক লোককে খাওয়ানো হয়। নিয়ম ভঙ্গের পরের দিন উকিলবাবু সুধাময়ীর সব ছেলে-বৌ, মেয়ে-জামাইকে ডেকে বসতে বলেন একসঙ্গে। তিনি বলেন সুধাময়ী একটা উইল করে গেছেন। সেটা আলমারিতে রাখা আছে। সেটা এবারে পড়ে শোনাবেন তিনি। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। উকিলবাবু পড়েন “আমার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি মাধব ও কমলাকে দিয়ে গেলাম। আমার কোনও সন্তানের এতে অধিকার নেই”।
     
    উইল শোনার পরে অমল তেড়ে যায় মাধবের দিকে। বলে “তুই জোর করে মাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিস এসব। তোর পেটে পেটে শয়তানি”।
     
    মাধব ও কমলা কাঁদতে থাকে। হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে থাকে সবার কাছে। সবাই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে। উকিলবাবু বলেন “উইলে যা লেখা আছে তাই মানতে হবে তোমাদের। এটা তোমাদের অদৃষ্ট বলে ধরে নাও। আর তো কিছু করার নেই এখন”।
     
    সুধাময়ীর ছেলেমেয়েরা শোক ভুলে মায়ের ওপর ভীষণ বিতৃষ্ণায় বিশাল তিনতলা চৌধুরীবাড়ি ছেড়ে ফিরে গেল নিজের নিজের আস্তানায়। আর সুধাময়ী হাসতে থাকলেন সব দেখে ওপর থেকে দেবশঙ্করের পাশে বসে।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন