এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রলয় নাগের 'ফড়ে' উপন্যাসের আলোচনা

    PURUSATTAM SINGHA লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ৮০ বার পঠিত
  • অস্তিত্বের যুদ্ধে পরিধি ভেঙে যাওয়ার আখ্যান
    পুরুষোত্তম সিংহ

    বাংলা গদ্যের (ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ধরলে) দুশো বছর পেরিয়ে গেছে, কবিতার পটভূমি আরো বেশি ফলে বাংলা সাহিত্যের গদ্য-পদ্যের উত্তর আধুনিকতা আসতে পারে কিন্তু জীবনের? নবজাগরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাঙালির জন্ম হল তা তো কলকাতাকেন্দ্রিক। কলকাতা থেকে সামান্য দূরে গেলেই অন্ধকার। সেই জীবনের সাহিত্যিক বয়ান কেমন হতে পারে? উপনিবেশ পর্বের বয়ানকে নানা রঙে, মিথে, জারণে ঘূর্ণি সৃষ্টি করে একটা নিজস্ব মডেল গড়ে নিয়েছেন পীযূষ ভট্টাচার্য। নিবিড় ডিটেলিং এর বদলে উপনিবেশের ছিন্নসূত্রকে ধরে সাহিত্যিক ডিসকোর্স গড়ে তুলেছেন। কলকাতা থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে তোর্ষা, তিস্তা, কালজানি তীরে প্রান্তজনের বসবাস কেমন, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের প্রান্তসীমার প্রান্তিক মানবের হালচাল কেমন, শিক্ষাদীক্ষা, সংস্কার-বিশ্বাস, রীতিনীতি, প্রথা নিয়ে আজো মানুষ কেমনভাবে উপনিবেশ পর্বের মধ্যে আছে তা দেখিয়েছেন প্রলয় নাগ ‘ফড়ে’ (২০২৩) আখ্যানে। নগরায়ণের থাবা এখনো সেই প্রান্তজীবনকে গ্রাস করতে পারেনি। লেখকের প্রত্যক্ষ সমাজচেতনা, মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগ, হাটে-মাঠে, বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোর দ্রষ্টা চক্ষু, ভৌগোলিক সীমারেখার অবস্থান-কার্যকলাপ ও অস্তিত্ব ধারনের নিগূঢ় তত্ত্বতালাশ সম্পর্কে সুপরিচ্ছিন্ন জ্ঞান আখ্যান নির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

    ফড়ে এক লোকায়ত পেশা। প্রমোটার, সিন্ডিকেটের গ্রামীণ সংস্করণ বলা যেতে পারে। হাটে যারা ফড়েমি করে। এক অর্থে দালাল। গ্রামীণ হাট বাজারেই এদের অস্তিত্ব মেলে। হাট থেকে দ্রব্য ক্রয় করে একটু বেশি দামে শহরে চালান করে দেয়। কখনো মহাজনের এজেন্ট হয়ে কাজ করে। এই ফড়েরা অত্যন্ত চতুর ও ধাপ্পাবাজ। ভাঁড়ু দত্তের উত্তরসূরি বলা যেতে পারে। কথার জালে, দ্রব্যের ভালোমন্দ গুণ বিচারে দ্রব্যের ক্রয়মূল্য কীভাবে কমাতে হয় সে ব্যাপারে এরা সিদ্ধহস্ত। একই হাটে বিবিধ ফড়ের দেখা মেলে। নগরায়ণ যেখানে এখনো থাবা বসাতে পারেনি, দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের মূল্য মাধ্যম যেখানে এখনো হাট সেখানে এই ফড়েদের উৎপাত। ফড়ে যেহেতু ওই লোকায়ত পরিসরেরই অংশ তাই গৃহস্থ্ কিছু বলতে পারে না আবার ফড়ের উৎপাতে প্রান্তবাসীর জীবন ঝালাপালা। আবার ফড়ে ছাড়া বিক্রয়ের মাধ্যমও নেই। এই উভয়মুখী সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে জীবনের নানা জটিলতা, নানা ব্যঞ্জনা ছড়িয়ে আছে। প্রান্তবাসীর সেই জটিল জীবনের সংকট লিখতে চেয়েছেন প্রলয় নাগ। আখ্যানের নাম ও তির্যক বিন্দু ফড়ে হলেও সে গোটা প্রান্তের নাভিশ্বাসকেই স্পর্শ করতে চেয়েছেন। প্রেম-প্রেমহীনতা, হাট বাজার, দোকানপাট, নিসর্গ, লোকাল কালার মিলে প্রান্তের চলমান পরিসরকে ব্যক্ত করতে উদগ্রীব। লক্ষ্য যেহেতু গোটা প্রান্ত তাই গল্প দ্রুত বাঁক বদল করে। নদীর চোখে তীরের গল্প লিখেছেন প্রলয় নাগ। ভাসমান নৌকা থেকে তীরভূমির যতটুকু দেখা যায় কিন্তু গনগনে আঁচের তাপ পাওয়া যায় অনেকখানি।

    কৃষিতে পুঁজিবাদ ঢুকে গেছে নানামাত্রায়। কৃষি ধীরে ধীরে লসজনক প্রোজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষিবাসী মানুষের অস্তিত্বের সংকট প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। পেশার বিবর্তন ঘটাতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। আবার কেউ কেউ অস্তিত্বের সংকটে সিজিনাল পেশা বেছে নিচ্ছে। ফড়ে কালু বিবিধ পেশার মানুষ—
    “হাটবাজার করা ভালোই রপ্ত করেছে। সব্জি ফললে কালু মধুপুর ঘাট পেরিয়ে সদরে শাক-সব্জি ফেরি করতে যায়। মস্ত একটা বাঁশের খাঁচায় বারো জাতের টাটকা শাক-সব্জি নিয়ে শহরের গলিগুলোতে ঘুরে বেড়ায়। যখন সংসারে টানাটানি পড়ে, ফড়েমি করে, শাঁখার বাক্স হাতে করে বের হয়ে যায়। দূর গ্রামে, নয় সোনাপুর, মধুপুর হাটে।” (ফড়ে, প্রলয় নাগ, শহরতলি, প্রথম প্রকাশ, মে ২০২৩, পৃ. ১৭)

    বিচিত্রভুবন এই তোর্ষাবঙ্গের জনপদজীবন। বিবিধ ভাষা, জাতি, সংস্কৃতি মিলনে এক ঐশ্বর্যভূমি। উদ্‌বাস্তু-স্থানীয়দের মধ্যে চোরা মনস্তাত্ত্বিক সংঘাত আছে তবে প্রকাশ্য নয়। খাদ্য-আচার-সংস্কারে কিছু তফাত আছে তবে অস্তিত্বের মোকাবিলায় সকলে মিলে যায়। প্রলয় নাগ বিন্দুতে সিন্ধুর স্বাদ দিতে চেয়েছেন। পাঠকের চক্ষুতে সামান্য ধরে দিয়েই দৃশ্যবদল ঘটিয়েছেন। সেই দৃশ্যের মধ্যেই মনজ্ঞ পাঠক আঁচ পেয়ে যাবেন জীবনযুদ্ধের খতিয়ান। অস্তিত্ব এখানে জিওল মাছের প্রাণ। ধুকে ধুকে মরে। তবুও লড়াই চালায়। সেই লড়াইয়ের ষোলআনা প্রত্যক্ষদর্শী প্রলয় নাগ। একই ভূগোলে থাকায়, চরিত্রদের নাগালের মধ্যে পাওয়ায় আগাপাশতলা সংবাদ নির্মাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। সংঘাত এখানে প্রহরময়, প্রত্যহ চলে বাক্‌যুদ্ধ। আবার দ্বন্দ্ব ভুলে মিলনের বার্তাও আছে। জনযুদ্ধ থেকে রাষ্ট্রীয় সংবাদ এখানে স্তিমিত গতিতে আসে। আবার নকশাল আন্দোলনের আঁচ মরেও মরে না। প্রান্তবাসী বলেই শ্রেণিবিভাজন প্রবল। এখানে নদীর চর জাগে, প্রেম শুকিয়ে যায়, কলাবাগানে অবৈধ সংগম হয়, নদীতে জ্বালানি ভেসে আসে। অনাবিলে কেউ মাছ ধরে, কেউ ভাওয়াইয়া গায়, কেউ মশকরা করে, কেউ ফন্দি আটে। সেই সংঘাতময় জীবনকে প্রলয় নাগ ব্যঞ্জনায় ভাসিয়ে দেন—
    “ধর্মেশ্বর ছোটোবেলা থেকে দেখে এসেছে ভাটিয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিভেদকে, তেমনি ভাটিয়াদের নিজের মধ্যেও বিভেদ লুকিয়ে আছে। ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ-এরা প্রত্যেকে আলাদা। ধর্মেশ্বরের মনে পুরনো স্মৃতিটি আবার জেগে ওঠে। যেমন করে তোর্ষার জলে কোনও বিশাল মাছ ভেসে উঠে, তার লেজের ঝাপ্টায় জলটাকে ক্ষণিকের জন্য আউলিয়ে দিয়ে যায়, তেমনি করে বাচ্চা ছেলেদের কথাগুলি ধর্মেশ্বরের ভেতরে নাড়া দিয়ে ভেতরটাকে উলটপালট করে দিল।” (তদেব, পৃ. ২১)

    একই ভূগোলে অবস্থানরত হাওয়ায় লেখক-চরিত্র যেন মিলে মিশে থাকে। প্রলয় নাগ এঁদের সচিত্র পরিচয়সহ চেনেন। জানেন জীবনের আগাপাশতলা সংবাদ। কথ্য ভাষার সঙ্গে লোকায়ত গান, ধাঁধা, প্রবাদ মিশে গিয়ে শুধু জনজাতির রক্তিম আর্তনাদই বজায় থাকে না তা বহুস্থরে মিশ্রিত হয়ে কখন, কোথায় যেন হারিয়ে যায়। সেই দলছুট, পথহারা, প্রেমহারা মানুষদের অব্যর্থ নিশানা, সংঘাতময় দ্বন্দ্ববিন্যাস, চোখে মায়াবী স্বপ্ন ও প্রত্যাশার আগুন ধিক ধিক করে জ্বলে ছাইয়ে পরিণত হবার ইশারা আখ্যানকে কেবলই তরান্বিত করে। এ আখ্যান বহু চরিত্রের সমাবেশ। চরিত্র হারিয়ে যায় কখনো জাতি সত্তায়, ভৌগোলিক অবস্থানে। আবার সেসব ভেঙে দিয়ে অস্তিত্বের জায়মান অন্ধকার আখ্যানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। জন্ম-মৃত্যু-প্রেম-বিরহ নিয়ে চলমান জীবনের মধ্যেও সংঘাত থাকলেও সম্প্রীতি আছে। আছে শিকড় সন্ধানের প্রয়াস। গৌরমোহন মদক সম্প্রীতির সেতুই গড়ে তুলতে চেয়েছেন। ভাটিয়া-স্থানীয়দের সংঘাত ভুলে জীবনের প্রকৃত সুর খুঁজতে সক্ষম হয়েছেন।

    দেশকালের সুর বড় সূক্ষ্ম রেখায় আখ্যানের পিছনে বেজে চলেছে। দেশত্যাগে উদ্‌বাস্তুদের নতুন নিবাস গড়ে তোলা, চাষবাস, জোতদারদের নানাভাবে ফাঁকি, পেশা বদলের মধ্য দিয়ে জীবনের সুর শুনিয়েছেন। উদ্‌বাস্তু মানুষ অস্তিত্বের প্রশ্নে ফড়ে হয়েছে। গ্লানি অপমান সহ্য করেও জীবন জিজ্ঞাসায় টিকে থাকতে চেয়েছে—
    “ভাটিয়াদের মধ্যে ফড়েমি করা লোকের সংখ্যাটাই বেশি। দেশে যাই করুক তাই করুক, এদেশে এসে এই জীবিকা নিতে হবে তারা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। তখন অভাব ছিল ভয়ঙ্কর, কচু ঘেচু খেয়ে জীবন রাখতে হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য এই মুখ বেচে খাওয়া জীবিকা গ্রহণ করছে মান অপমান বোধ দূরে ঠেলে দিয়ে। যতই তাদের ‘ফড়েয়া’ বলে বিদ্রুপ করা হোক, সেসব শুনতে শুনতে গায়ের চামড়া গন্ডারের মতো হয়ে গেছে। এই ফড়েমিও চুরি জোচ্চরির চেয়ে কিছু কম নয়। আসলে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকতেই তো তাদের এই পেশা।” (তদেব, পৃ. ৩৬)

    আত্মপরিচয়হীন ধর্মেশ্বরের সংকট প্রবল। সব ঘাটে ধাক্কা খেতে খেতে সে বুঝেছে জীবন বওয়া সহজ নয়। শ্রেণিতত্ত্বের সিংহদুয়ার মোক্ষম সময়ে উঁকি দেবেই। প্রলয় নাগ প্রকৃতপক্ষে ভূগোলের সংঘাতময় স্বরূপকে চিত্রিত করতে চেয়েছেন। মানুষের জীবন পিপাসা, অস্তিত্বের জিজ্ঞাসায় সেই সংঘাতের রূপবদলের কিসসা কতরকম সেই রহস্যসূত্রটি প্রস্ফুটিত হয়ে চলে। মুক্তিযুদ্ধে আবার বিরাট ধাক্কা, নকশাল আন্দোলন, বর্গা প্রথার মধ্য দিয়ে জমি দখল, স্থায়ী বাসস্থান ও জমির স্বাদ পাওয়ামাত্র উদ্‌বাস্তুদের চরিত্রবদলের মধ্য দিয়ে সময়ের স্বর আখ্যান বয়ে চলে। ধর্মেশ্বর নিঃসঙ্গ হয়ে এই অভিযাত্রায় দর্শক। দিনবদলের খেলায় মানুষের গোত্রান্তরের মধ্য দিয়ে স্বরূপ বদলের খতিয়ানকে সে অব্যর্থ সুরে বয়ে চলে। সংশয়-সন্দেহ-দ্বিধা-গ্লানি-আর্তনাদ নিয়ে একটা জনপদের ভাঙাগড়ার খেলা দেখে। তোর্ষাবঙ্গে নতুন জনবিন্যাসের পথচলার মধ্য দিয়ে নতুন দিনের স্বপ্নমাখা রোদ্দুরের গন্ধ শোনে সে।

    নকশাল আন্দোলন, শ্রেণিশত্রু খতম, বামফ্রন্টের উত্থানের মধ্য দিয়ে স্থানীয়দের পিছিয়ে যাওয়া, শ্রমজীবী পার্টির মধ্য দিয়ে উদ্‌বাস্তুদের আধিপত্য আখ্যানকে রাজনৈতিক পটভূমিকায় উত্তীর্ণ করে। আখ্যানের নিম্নপ্রদেশ দিয়ে সময়ের নশ্বর সত্য যা রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তা মন্থনের মধ্য দিয়ে সংঘাতের দ্বান্দ্বিক পটভূমি নির্মিত হয়। উদ্‌বাস্তুদের এগিয়ে যাওয়া, স্থানীয় ধর্মেশ্বরের অপমান-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির সংঘাত কখন যে সমষ্টির সংঘাত হয়ে যায় তা বোঝাই যায় না। যদিও প্রলয় নাগ বড় পটভূমিকায় যাননি। ব্যক্তির পতন, উদাসীনতা, জীবনে বয়ে চলার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়েই তা অন্তিমে পৌঁছেছে। আত্মপরিচয়হীন পরোপকারী ধর্মেশ্বর শেষপর্যন্ত উদাস বাউল হয়ে গেছে। সঙ্গী দোতারা। কণ্ঠে ভাওয়াইয়া। জীবনের ঊষর মরুর মধ্য দিয়ে এক যুবকের ঘড়ছাড়া পথহারা জীর্ণ বিলাসের আখ্যান ‘ফড়ে’। যার মধ্যে দেশকালের প্রবাহমান রাজনীতি থাবা বসিয়েছে। জীবনের গোত্র চিহ্ণায়ক হয়ে উঠেছে।

    পুরুষোত্তম সিংহ। ঘোষপাড়া, সুভাষগঞ্জ, রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর। ৭৩৩১২৩। ৬২৯৭৪৫৮৫৯১।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন