এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন একটু খোলো

    সারদা বসু
    ৩০ মার্চ ২০২৫ | ৫২০ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • এত দিনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ড সফর নিয়ে প্রভূত কাটাছেঁড়া হয়ে গেছে। এলিট বাঙালি দিদির গুষ্টির তুষ্টি করে ছেড়েছেন যেমন করে থাকেন সবসময়েই। তাতে অবশ্য খুব একটা ফারাক কোনদিনই পড়েনি।

    আমি সেদিন উপস্থিত ছিলাম, তাই কিছু কথা না লিখলেই নয়। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি দিদিকে ডাকল কেন? সরকারী ব্যবস্থা যা আছে সেগুলো জানতে তো দিদিকে ডাকার প্রয়োজন পড়েনা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ইংরাজিতে গ্রামার শোনার জন্যেও নিশ্চয়ই ডাকা হয়নি?

    আমার কিছু সুপার বোদ্ধা বামপন্থী বন্ধু লিখল উনি কোথা থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা যোগাড় করেন সেটা জানার জন্যেই নাকি ডাকা হয়েছিল কিন্তু মমতা সেসব কিছুই বলেননি। প্রশ্ন করার সুযোগও পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন? কেন মমতা ?

    জনাথন মিকির সঙ্গে মিটিং শেষে ড্রিঙ্ক সেশানে জিজ্ঞেস করলাম, এই যে ডেমনস্ট্রেশান হল এটার ব্যাপারে ওনার কি মত? উনি বললেন মমতা ফেসড এ লট ওয়ার্স দ্যান দিস। এটা তো কিছুই নয়। she knows how to handle it. তার মানে মিকির কাছে এই বিদ্রোহের গপ্পের ভ্যালু শূন্য (শূন্য বললেই অবশ্য অন্যপার্টির আঁতেলদের কথা মনে আসে) তাহলে পরের প্রশ্ন ছিল তোমার কি মনে হয় এই ঘটনা মমতাকে আরো অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে? মুচকি হেসে উনি আমাকে বললেন Most probably! সে কথায় পরে আসছি।

    তাহলে জনাথনের লাভ কি? বৃটিশ বণিক নিজেদের স্বার্থ খুব ভাল বোঝে। অক্সফোর্ড বা যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি ছাত্রদের থেকে প্রচুর টাকা আয় করে। সে হিসেবে ওদের গন্তব্য এখন ভারতবর্ষ- আরো ভালো করে বলতে গেলে বলতে হয় পূর্ব ভারত। তার অনেক কারন আছে ইকনমিক কারণটাই বেশি বলতে হবে আর আছে বিশাল বাজার আর তার সঙ্গে আছে মমতা। জান লড়িয়ে দেবেন যদি কলকাতায় অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাস তৈরি হয় তার জন্য। সেটা মুখ্যমন্ত্রী বার বার সেখানে বলেছেন।

    ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যত জানে তবে এমন খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসছেন কালচারাল ক্যাপিটালের কর্ণধার মুখ্যমন্ত্রী - জনাথন মিকি কি এই চ্যাংড়া এস এফ আই ইউকের কথায় নাচবে? এরা কি এতই বোকা?

    মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার করা যেত, পলিটিশিয়ান দের ল্যাজে গোবরে করতে ব্রিটিশ জার্নালিস্টদের জুড়ি নেই। কিন্তু সে জন্যে তো ওনাকে আনা হয়নি। এটা আমার বাম এলিট বন্ধুরা সম্পূর্ণ ভুলে গেছেন।

    মমতা এলিট নয় কিন্তু মমতা গরীবদের জন্যে যা করেছেন সেটা বুঝতে হলে এই সুপার স্নব বংস দের একবার পায়ে হেঁটে যেতে হবে হাওড়া বা জয়নগরের প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে আমার মায়ের আয়াটি গর্ভবতী হবার পর রোজ দুবেলা খাবার পায়, সরকারী গাড়িতে ডাক্তার দেখাতে যায়, বাচ্ছা হবার পর নানা রকম ভাবে তাকে বেসিক শিক্ষার আওতায় আনা হয়।
    কলকাতায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস হলে কে বলতে পারে ঐ শিশুটিই একদিন অক্সফোর্ডের ডিগ্রী নিয়ে বিশ্ব জয় করবেনা?

    মমতার কাছে যা যা জানার ছিল সব জেনে নিয়েছেন মিকিরা। চোখের সামনে দেখে নিয়েছেন মহিলা রাজনীতিকের জীবনে কত রকম স্ট্রাগল থাকে। মহিলা তাও আবার যদি কমনার হন (মমতা নিজেই কতবার বলেছেন আমি তো ইম্পর্টান্ট কেউ নই আমি সাধারন) তাই বুঝি এই অসম্মান করার দুঃসাহস!

    যে কথাগুলো উঠছে, সেগুলোর এক এক করে উত্তর না দেওয়া হলে নিজের কাছে নিজে অপরাধী থাকতে হবে। সমাজমাধ্যমেই ছড়ানো হচ্ছে লেখাটা। কার লেখা সেটা বড় কথা নয় উত্তর দেওয়াটা নৈতিক কর্তব্য তাই লিখছি।

    ১) ওঁর বক্তব্যে কোনো সাবস্ট্যান্স বা সারবত্তা ছিল না। ভীষণ অপরিচ্ছন্ন খসড়া। খুব আনর্গানাইজড আর রিপিটাইটভ। এই নিজের নয় বছরের গল্প, পরের মুহূর্তে রামকৃষ্ণ পরমহংস, তার পরেই চলে গেলেন লক্ষ্মী ভাণ্ডার, কিছুক্ষণ পরেই কগ্নিজ্যান্ট এর কথা।

    নাস্তিক বামপন্থায় ত্রিনয়নের বড়ই অভাব তাই সারবত্তা খুঁজে পেলেন না বুঝি । সারকথার এক কথা তো ওটাই ছিল দিদি বললেন, কলকাতায় অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাস জনাথন মিকি আপনি যেদিন খুলবেন বলে রাজি হবেন, সঙ্গে সঙ্গে জমি রেডি পাবেন , জল, মানুষ বিদ্যুৎ সব রেডি আর ছাত্র? কত ছাত্র চাই আপনাদের? যত ছাত্র চাইবেন তারা রেডি হয়ে আছে অক্সফোর্ডে পড়বে বলে। সাধারন ছাত্ররা ১০ লাখ করে পায় আর পিছিয়ে পড়া ছাত্ররা তো অলরেডি ২০ লক্ষ টাকা পায়, তাই টাকার অভাবে তারা পড়তে পারবে না এটা ভাববেন না! আর শুধু কেলগ কলেজ অক্সব্রিজের যে কোন কলেজের জন্যেই সেম অফার দিয়ে দিলেন দিদি! সারবত্তা নেই বলছেন?

    ২) ওঁর এই ধরণের বক্তৃতা আমরা বিগত বহু বছর ধরে শুনে আসছি। অন্ডালের মাঠ থেকে অক্সফোর্ড এর হল, সব জায়গাতেই ওঁর বক্তব্যের মূল সুর এক তারেই বাঁধা। সেই হাত, পা, লাং, কিডনি, লিভার, ফুসফুসের কথা।

    এটা একটু ভালো অবসার্ভেশান বলব। অন্ডালের মাঠ থেকে অক্সফোর্ড সব ক্ষেত্রে দিদির সমান গতি। অন্ডালের যে শিশুকন্যাটি আজকে কন্যাশ্রী পাচ্ছে সেই মেয়েটি ই লিখবে অক্সফোর্ড কাব্য এই অক্সব্রিজ বা হাভার্ডের কাব্য কি শুধু আমরা আর আমাদের ছেলেমেয়েরা লিখব ভেবেছেন? যেমন সেই ৩৫ বছর ধরে শুধু লামার্টস এলিটস এবং ইত্যাদিরাই লিখে এসেছে আর অন্ডাল চিলড্রেন ইংরাজির অধিকারটুকুও পায়নি? এর পরের শতাব্দীর ইতিহাস এভাবেই গড়বে অন্ডাল থেকে অক্সফোর্ডে এই ইতর জনেদেরই জয়জয়কার হবে। হেলমেট পরে নিন সুধীজনেরা নইলে বিপদ …… নতুন ভারত (পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ ) বেরোবে অন্ডালের চাষীর ঘর থেকে …বেরুক লাঙল ধরে, চাষার কুটির ভেদ করে, জেলে মালা মুচি মেথরের ঝুপড়ির মধ্য হতে । বেরুক মুদির দোকান থেকে, ভুনাওয়ালার উনুনের পাশ থেকে । বেরুক কারখানা থেকে, হাট থেকে, বাজার থেকে । বেরুক ঝোড় জঙ্গল পাহাড় পর্বত থেকে । এরা সহস্র সহস্র বৎসর অত‍্যাচার সয়েছে, নীরবে সয়েছে –
    আর রইল হাত পা লাং লিভার ----- এটুকু বুঝলেন না ? এখানেই তো রয়েছেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ … যতমত ততপথ… দিদি তো সেটা বোঝাতেই বলেছিলেন কথাটা সেদিন! Inclusive Society আপনারাই তো শিক্ষিত মানুষ আপনারা না বুঝলে কে বুঝবে?

    ৩) বক্তব্যে বড়ো বেশি ' আমি '। আমি বই লিখি, আমি কবিতা লিখি, আমি গান লিখি, আমি ছবি আঁকি। আমি এই কাজ করেছি, ওই করেছি। যদি আমি-র বদলে বলতেন, ' জনগণের দ্বারা নির্বাচিত আমাদের এই গভর্নমেন্ট ', তাহলে কোনো গৌরবহানি হতো না।

    কতবার গরমেন্ট গরমেন্ট বললেন গোনেননি বুঝি? বুদ্ধিমান বিপ্লবীরা তো ওনার কবিতা গান ছবি সব নিয়েই খিল্লি করেন করুন , কোনও গৌরবহানি হবেনা। তবে যেগুলো উনি বলেননি সেগুলো ও বলে নিই এখানে। বাঙালি যত আইকন আছেন বা ছিলেন তারা লেখক বা গায়ক , ওনার পার্টির হোন বা না হোন মমতাই এবং একমাত্র মমতাই তাদের শেষ বয়সে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছেন , সে সুচিত্রা সেন বা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কিম্বা সৌমিত্র কিম্বা আরো অনেকে।

    ৪) সবাই জানে উনি কন্যাশ্রী বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন। সবাই এও জানে, সারা ভারতেই এখন এই ধরণের প্রকল্প জনমোহিনী ভোট জেতার একটা প্রধান উপায়। কিন্তু যেটা শুনতে অক্সফোর্ডের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদগ্রীব ছিল, সেটা হলো, এই ধরণের জনমোহিণী প্রকল্পগুলির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কী ধরনের ইকনমিক মডেল এর শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। এত বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে। কী ভাবে পুরো ব্যবস্থাপনায় নজরদারি রাখা হয়, যাতে কোনো রকম অব্যবস্থা বা দুর্নীতি যেন না হয়। কী ভাবে কর্পোরেট জগতকে এই বিপুল কর্মকাণ্ডে যোগ করা হচ্ছে। কী ভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কৃতী বঙ্গসন্তানদের সঙ্গে কোঅর্ডিনেট ও কোলাবরেট করা হচ্ছে আরও ভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পের জন্য। কিন্তু না। যা শুনলাম, তা হলো, আমার আমলে এই হয়েছে, ওই হয়েছে, এই মহিলা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এই প্রকল্প চালু থাকবে, এই ধরণের আত্মপ্রচার সর্বস্ব কথা।

    কি বলি বলুন তো? আপনারা যেটা ভোট জেতার উপায় ভাবছেন সেটা আসলে একজনের জীবন ধারণের উপায়! আমি কত জন কে জানি যারা এইটুকু না পেলে কি যে করত কে জানে! লক্ষ্মীর ভান্ডারের গল্প অন্যদিন হবে আগে এটার উত্তর দিয়ে দিই।

    এই জন্যেই বলি ত্রিনয়ন খুলুন ! আপনার এখনও মনে হয় অক্সফোর্ড ওনার কাছে অর্থনীতি শিখতে চায়? তাই জন্য ডেকেছে? আর যদি সত্যি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকার উৎস জানার দরকার হত তাহলে ওরা সেটা সেদিন জানতে চাইতনা? ইউনিভার্সিটি সে অক্সব্রিজ হোক বা রাসেল গ্রূপের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক ওরা সকলেই কমবেশি অভাবে ভোগে আর সেজন্যেই সবাই বিদেশি ছাত্র ধরতে চায় একথা আপনারা আমার থেকে অনেক বেশি ভাল করে জানেন, অন্য দেশে ক্যাম্পাস খোলাও নতুন কিছু নেই। এতোদিন মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ওই সব দেশে জোর দিত এখন নতুন গন্তব্য ভারতবর্ষ! বিশেষ করে পূর্বভারত unexpored রয়ে গেছে। পূর্বভারত অনেক সস্তা তাই এবার ওদের টার্গেট অডিয়েন্স আমরা কলকাতা। সঙ্গে যদি এমন একটা স্থায়ী সরকারের স্থায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। কলকাতা ধরলেই নেপাল ভূটান নর্থ ইস্ট আরো কত কি সেদিন মমতা ও তো বললেন, না বললেও ব্রিটিশরা এসব রিসার্চ না করে মমতাকে ডেকেছে বলে আমার মনে হয়না। আপনার মনে হয়?

    ৫) উনি ইংরেজিতে বিশেষ পটু নন। আমিও নই। বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি। কোম্পানি মিটিং বা প্রেজেন্টেশনের বাইরে ইংরেজি বলা, আর ইমেইল বা প্রপোজাল লেখার বাইরে ইংরেজি লেখার বিশেষ অভ্যাস নেই। আর তাই, উৎরে যাবার জন্য একটু অনুশীলন করতে হয়। ওঁর বক্তৃতায় অনুশীলনের অভাব ছিল স্পষ্ট। মিলিয়ন আর লক্ষ ওঁর কাছে এক। বিলিয়ন আর কোটিও এক। ফলে ওঁর দেওয়া ডেটা বা স্ট্যাটস গুলো নিজের অজান্তেই হয়ে যাচ্ছে অসত্য। একবার উনি বলছেন ল্যাকস, পরে বলছেন ল্যাক্স ক্রোর, বা ল্যক্স মিলিয়ন, বা ক্রোর ল্যক্স। একেবারে যাকে বলে সংখ্যাগুলো ঘেঁটে ঘ। তার ওপর দাবি করলেন ১৯১৩ সালে উনি হেগে ( মানে দ্যা হেগ) গিয়েছিলেন। করণ বিলিমোরিয়াকে একবার বলছেন বিলিমিরিয়া, তো আরেকবার বিলিমারিয়া। এই দেশে নামের ভুল উচ্চারণ করাটা খুব অফেন্সিভ। টাটা কগনিজ্যান্ট নিয়ে কী একটা যেন বললেন, এমনভাবে বললেন যেন টাটা এখন কগনিজ্যান্ট এর সঙ্গে টাই আপ করেছে। বক্তব্যে কোনো স্পষ্টতা ছিল না।

    ব্রিটিশ রা নাম ঠিকমত না নিলে রেগে যায় বলছেন? তাহলে জনাথন মিকি কে কত লোক মিচি মিচি করে ডাকল এতদিন ধরে কিছু লোক তো মমতাকে নেমন্তন্ন করার অপরাধে তার নাম টা বিকৃত করেও ডাকল? শুনতে পেয়েছিলেন? কই কিছু প্রতিবাদ তো কাউকেই করতে দেখিনি। কেলগ কলেজ কে বারাসাত কলেজের সঙ্গে তুলনা করল , অনায়াসে বলে দিল এটা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ই নাকি নয়। কি মজার ব্যাপার না? আমাকে একজন আজকে বলল আমরা যেমন স্কুল হল ভাড়া করে সরস্বতী পূজো করি এটাও নাকি তেমন ই ব্যাপার! বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনারা কাকে বেশি মুর্খ ভাবেন ?

    তুমি দেখ নারী পুরুষ আমি দেখি শুধুই মানুষ! আপনি দেখলেন ওই সব মিলিয়ন বিলিয়নের কচকচি আমি দেখলাম মমতা বলছেন ইনফ্রা স্ট্রাকচারের কথা। আমি দেখলাম দূরদর্শী একজন বাঙালিকে যিনি বুঝেছেন শুধু একটা ডায়রেক্ট ফ্লাইট না থাকার জন্যে হয়ত এই কাজে অনেক অসুবিধে হয়ে যেতে পারে। তাই এই প্রথম ঐ লেভেলের কাউকে শুনলাম কলকাতা লন্ডন ফ্লাইটের কথা বলতে। এমন ভাবে বলতে – অক্সফোর্ডের মত একটি প্লাটফর্মে এসে বলতে। বলুন তো আপনি শুনেছেন এর আগে কখনো? আমাদের সকলেরই কম বেশি অভিজ্ঞতা আছে বৃদ্ধ অসুস্থ মা বাবার জন্য লন্ডন থেকে দৌড়ে যাবার। দিদি তো বললেন , মনে হল আমার মনের কথাটাই বলে দিলেন – সব ফ্লাইট ই তো ভর্তি যায় তবে একটা সরাসরি উড়ান কেন নয়? কেন নয়? আমরা কতটা আত্মঘাতী জাত, যে আমাদের কথা বলে আমাদের জন্যে কথা বলে তাকেই সব থেকে বেশি অপমান করি! এই দুঃসাহস কেন? ভেবেনিন গত শতাব্দীতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কমরেড এসেছেন, অক্সফোর্ডে সভা করছেন --- পারতেন এই সব কথা বলতে ? সত্যি পারতেন ? পারতেন না । আপনি নিজেও জানেন – দিনের পর দিন লোডশেডিং এ হারিকেনের আলোয় পড়া জেনারেশান আমরা কোনদিন পাটভাঙা ধুতি পাঞ্জাবী পরা অভিজাত ব্যারিস্টার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে শিখিনি। কিন্তু দিদি আমাদের বস্তিব্র্যান্ড , তাকে তো যা খুশি বলাই যায়! বলুন – ত্রিনয়ন খুলে দেখে শুনে বলুন! কলকাতার চেহারা বদলেছে কিনা একটু সত্যি করে বলুন তো? ইউকের প্রবাসী এলিটদের কাছে প্রশ্ন রইল -
    বাবাকে দাহ করতে গেছিলাম আমাদের পাড়ার শ্মশানে, যেটা হাজার বছর ধরে সমাজ বিরোধীদের আস্তানা ছিল – মেয়েরা যেতেই পারতনা। সেখানে এত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর নিরাপদ হয়ে গেছে – দেখে মনে হয়েছে এমন ও করা যায়? সত্যি আগে কেউ ভাবলনা কেন?

    ৬) একটা জিনিষ ভালো লাগলো অবিশ্যি। এই দেশে রাহুল গান্ধী বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল, ভারতবর্ষে গণতন্ত্র বিপন্ন, ঠিক ততটা, যতটা আফগানিস্তানে। মমতা কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটেননি। তবে, এমন কিছু বক্তব্য রাখলেন, যা অপ্রাসঙ্গিক ছিল। আমাদের বঙ্গে সকল ধর্ম, সকল জাতির সহাবস্থান, কোনো ঝুট ঝামেলা নেই। এটা তো বলার মতো কিছু নয়। কারণ ইংল্যান্ডেও তাই। তবে এটা বলার অন্য একটা মানেও হয় - বাংলা ছাড়া বাকি ভারতের অবস্থা কিন্তু মোটেও ভাল না। আর হ্যাঁ, এখানে শিডিউল্ড কাস্ট বললে এখনকার লোকেরা কিছুই বুঝবে না। আমরা তো জানি পশ্চিমবঙ্গে শিডিউল্ড কাস্ট আছে। বলার মত কিছু তো না। চৌত্রিশ বছরের বাম অপশাসনের লিগ্যাসী বয়ে বেড়াতে হচ্ছে আমাদের - এই ধরণের কথাও মূল্যহীন। চৌত্রিশ বছরের অপশাসনের পর আরো চোদ্দ বছর কেটে গেছে।

    সকল ধর্ম জাতির সহাবস্থানের কথাটা বলা এই মুহুর্তে সব থেকে বেশি জরুরী এটা যদি আপনারা বুঝে না থাকেন তাহলে বলতে হবে আপনারা শুধু এলিট নয় ডিসকানেক্ট ও বটে। অক্সফোর্ডের কি জানা নেই মনে করেন ভারতবর্ষে ঠিক এখন মাইনরিটি রা ঠিক কিভাবে আছেন? আমরা তো এখানে মাইনরিটি তাই এই ফিলিংস টা না বোঝার তো কিছু নেই। সেদিন অক্সফোর্ডে একটি মুসলমান কাপল এসেছিল বাচ্ছা ছেলে মেয়ে, হাওড়ায় বাড়ি, বলল আমার বাবা বলে দিয়েছে দিদির সঙ্গে ছবি তুলে আনবে সেই ছবি তারা দেওয়ালে বাঁধিয়ে রাখবে।
    আমার আশি বছরের ধর্মপ্রাণা মা তো দিদি বলতে পাগল, আমি সেদিন আরেক মুসলিম বৃদ্ধের কথা শুনলাম যিনি দিদিকে প্রায় ঈশ্বরের মতই ভাবেন।
    খিল্লি করবেন নাকি আমার মা বা সাদিয়া র বাবাকে নিয়ে? এই ধরনের কথা মূল্যহীন? সত্যি?

    ৭) যে হল এ সভা বসেছিল, সেখানে প্রায় ১৩০ জনের চেয়ারে বসার ব্যবস্থা ছিল। তার মধ্যে সামনের প্রায় পঞ্চাশটি সিট ছিল রিজার্ভড। ওঁর সভাসদ ও পার্ষদ বর্গের জন্য। এবং বাঙলার সাংবাদিকদের জন্য। তাঁদের কাজ ছিল, বস্তুতপক্ষে, জায়গায় জায়গায় হাততালি দেওয়া। বড়ো দৃষ্টি এবং শ্রুতিকটু লেগেছে। প্রায় পঞ্চাশ জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে পুরো অনুষ্ঠানে। এটা যেহেতু টিকেটেড ইভেন্ট, সকলের বসার ব্যবস্থা কেন করা হয়নি জানা নেই।

    হ্যা কথাটা ঠিক, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথমেই বলেছিল এই ধরনের লোকসমাগম অক্সফোর্ডের জন্যে নাকি আশাতীত। ভাবুন তো কেলগ কলেজের নাম এর আগে কজন জানত? কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের কথা তাও পথচলতি মানুষ জানে- হয়ত কিছুটা অমর্ত্য সেন এর জন্যেই কিন্তু যারা কেলগ কে এতদিন বারাসাত বা অন্ডাল কলেজ ভাবছিল তারাও শিখে গেল অক্সফোর্ডের সংসারের খুঁটিনাটি। একজন কে ডেকে এত পাবলিসিটি! নেবারস এনভি ওনারস প্রাইড না? এবার তো সকলেই মমতা কে ডাকবে! তখন প্রতিবার এত বড় মহাভারত নামাবেন আপনারা?

    ৮) And last but not the least.... কথা ছিল উনি আলোচনা সভায় যোগ দেবেন। জোনাথন ও করণ ওঁর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে অহেতুক ভুল বকলেন, বাজে বকলেন, মিলিয়ন লক্ষে খেই হারিয়ে ফেললেন। বক্তব্য দীর্ঘায়িত হলো। সমাজমাধ্যমে ও গণমাধ্যমে কয়েকদিন যারা চোখ রেখেছিল, তাদের অনেকের মনেই ধারণা তৈরি হয়েছিল, আজ দর্শকদের এক অংশ মুখ্যমন্ত্রীকে অপ্রীতিকর প্রশ্নে বিদ্ধ করবেন। এদেশের দস্তুর হলো, আলোচনা সভায় দর্শকদেরও প্রশ্ন করবার অনুমতি বা সুযোগ দেওয়া হয়। হয়তো এই প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলমালের ভয়ে আয়োজকরা অনুষ্ঠানের ফর্ম্যাট বদল করে আলোচনার পরিবর্তে ভাষণের ব্যবস্থা করেছেন। হয়তো, আমার অনুমান। কিন্তু সেই বজ্র আঁটুনি ফোস্কা গেরো হয়ে গেল। ভাষণ অহেতুক লম্বা হচ্ছে দেখে অধৈর্য দর্শকের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ থামিয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন। লগ্নি নিয়ে। আর সেই সুযোগে এক দল ছাত্রছাত্রী (অক্সফোর্ডের ডিএসসি বা পোস্টডক ফেলো) ঝটপট ব্যাগ থেকে পোস্টার বের করে মুখ্যমন্ত্রীকে মৌখিক আক্রমণ করলেন, আরজিকর নিয়ে, শিল্প নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে। মমতা চেষ্টা করেছেন উত্তর দিতে। কিন্তু সেই উত্তরে জোর না থাকায় তিনি বলতে থাকলেন, এদের আমি জানি, এরা যেখানে যায় ঝামেলা পাকায়, এখানে রাজনীতি না করে আমার রাজ্যে এসো, আমি বুঝি তোমাদের অসুবিধা, তোমাদের রাজনৈতিক প্রভুরা আমাদের রাজ্যে মোটেই হালে পানি পায় না, ইত্যাদি প্রভৃতি। ঠিক যেমনটা তিনি বলে থাকেন পশ্চিমবঙ্গে। একবার তো এই ছাত্রদের পোস্টার দেখে তিনিও কোত্থেকে একটা অস্পষ্ট সাদাকালো ছবি তুলে ধরলেন, কিছু একটা বললেন, কিছু বোঝা গেল না। তখন সারা হলে তুমুল অব্যবস্থা। বিক্ষোভকারীরা হলের দর্শকদের একেবারে পেছনের সারিতে। তাঁদের দিকে পার্ষদদের (কুণাল সহ) একাংশ প্রায় তেড়ে গেলেন। আয়োজকদের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও (ডায়াসে উপবিষ্ট কলেজের প্রেসিডেন্ট আর ইউনিভার্সিটির প্রো ভিসি জোনাথন মিচির অনুরোধের জবাবে এক ছাত্রকে বলতে শুনলাম, স্যার আপনারা কেন উপযুক্ত তথ্য খতিয়ে না দেখে এই ভদ্রমহিলাকে আপ্যায়ন করে ডেকে আনলেন) যখন বিক্ষোভকারীরা শান্ত হলেন না, সাদা পোশাকের সিকিউরিটি গার্ড এই বিক্ষোভকারীদের হল থেকে বের করে দিতে বাধ্য হলেন। চিৎকার চেচামেচিতে কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। মজার কথা, এসব কিছুরই তোয়াক্কা না করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ চালিয়ে গেলেন। একটা সময় সেই ভাষণ সমাপ্ত হলো। হাতে সময় বিশেষ ছিল না। বিলিমরিয়া অতি সাধারণ দু-চারটে প্রশ্ন করলেন। জনগণ হে হে করে বিলিমরিয়ার সঙ্গে হাসলো। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মমতাদেবী প্রায় একজন স্পিরিচুয়াল লিডারের মত নিস্পৃহ, নির্মোহ ভাবমূর্তির নির্মোক ধারণ করে সমাজে, বিশ্বে, দেশে প্রেমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন।

    কুণাল ঘোষের হাজার দোষ থাকতে পারে কিন্তু উনি তেড়ে আসেননি এটা হলফ করে বলতে পারি। সত্যম রায়চৌধুরী কুণাল ঘোষ সিট ছেড়ে উঠেছিলেন বটে কিন্তু তেড়ে আসেন নি কখনই। পিছনের দিকে বসে থাকা আমাদের মত অনেকেই বলেছে আমরা দিদির কথা শুনতে এসেছি আপনারা থামুন এটা প্রেস কনফারেন্স নয়। মাথায় টুপি কপালে সিঁদুরের তিলক পরা অবাঙালি মাঝবয়সী এস এফ আইদের আমার ভীষণ ভয়। একজন রোগা কমরেড চিৎকার করে বলছিলেন কত হিন্দু মারা গেল ওয়েস্টবেঙ্গলে – পারলে বলতাম ভাই কমরেড তোমাদের কবে থেকে অ্যাজেন্ডা বদলে গেল? একজন আবার সন্দেশখালি বলে বিড়বিড় করলেন – এগুলো কি এস এফ আই ইউকের প্রস্তাবে আছে? নাকি অন্য কেউ শিখিয়ে দিল?

    এটা একেবারে ব্যক্তিগত লেখা নয়, এটুকু প্রতিবাদ করা দরকার তাই করলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::232:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৫ ২২:৩২542007
  • যেকোন ভারতবিরোধী ব্যক্তিই অক্সফোর্ড থেকে হাভার্ডে স্বাগত। দিদি বাদ যাবেন কেন? বিলেতে বেচারিকে মুরগি হতে হল এই এক বিড়ম্বনা।
  • সৃষ্টিছাড়া | 2405:201:a41e:a0e2:36b8:3996:6c30:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৫ ২৩:৪৫542010
  • লন্ডনের তোয়ালামুলি জাগো বাংলা সংস্করণ,  লণ্ডলী কুণাল ঘোষ
  • :|: | 2607:fb91:88a8:1a7a:85eb:9d71:16c8:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৫ ২৩:৫৫542011
  • কিন্তু ২২:৩২ -- সব রিপোর্ট টিপোর্ট পড়ে যা বুঝলুম উনি ভারত বিরোধী কোনও কথা বলেননি। তাহলে? 
  • Sarada r Baap | 2401:4900:8828:3849:647d:87a1:ad4d:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩১542019
  • চটি চাটতে গিয়ে আর কত নিচে নামবি সারদা ?
     
    একটা রাস্তার কুকুরের ও তোর থেকেঅনেক বেশি আত্মসম্মান আছে |
     
    কত পেলি এই ট্র্যাশ লেখার জন্য ?
     
     
  • PRABIRJIT SARKAR | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৮:২৩542021
  • এদের পালের গোদা হার মেনে গেল। সারদার বাকি টাকাগুলো এ পেয়েছে মনে হয়।
  • PRABIRJIT SARKAR | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৪542022
  • কেমব্রিজে এক ইরানী ট্যাক্সি দ্রাইভার আমি ভারতীয় জেনে গদ গদ হয়ে বলল তোমাদের সঙ্গে আমাদের কত ভাল সম্পর্ক - ....সেই নাদির  শাহ...।
     
    পিসি লন্ডনে গিয়ে ব্রিটিশ বণিকদের বলল তোমাদের সঙ্গে আমাদের কত দিনের ভাল সম্পর্ক! তোমরা কলকাতায় রাজধানী করেছিলে! 
     
    কারে দিলে রাজার থুড়ি রানীর পাঠ। মোদী ও লন্ডনে গিয়ে এরকম কিছু বলে নি!
  • PRABIRJIT SARKAR | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৬542023
  • সংশোধন:ড্রাইভার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন