এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফিল্ডার - ৯ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৭২ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০
    ( ৯ ) 
     
    হোয়াইট বর্ডারের মাঠেই ম্যাচ ।  বেশ খটখটে আবহাওয়া । পরিষ্কার আকাশ । সন্ময় টসে জিতে ব্যাটিং নিল । স্বপ্নেন্দু আর আকাশ ইনিংস ওপেন করল । বর্ডারের ক্যাপ্টেন সঞ্জীব ভাটিয়া ধুরন্ধর ক্যাপ্টেন । সে জানে কিরকম উইকেট পাতা হয়েছে । সিমার দিয়ে মাত্র দু ওভার টানাল । দু ওভারে চোদ্দ রান হল । দুজন ওপেনার একটা করে বাউন্ডারি পেল । আকাশ গালির পাশ দিয়ে স্টিয়ার করে আর স্বপ্নেন্দু মিড অন দিয়ে ছবির মতো একটা অন ড্রাইভে ।
    ভাটিয়া এই দু ওভার শেষ হতেই স্পিনার লাগিয়ে দিল । একটা ডানহাতি অফস্পিনার আর একটা বাঁহাতি অফস্পিনার । সাড়ে চার ওভার স্বচ্ছন্দে খেলল ওরা দুজন স্পিনারকে । উইকেটে তেমন কোন জুজু আছে বলে মনে হচ্ছে না । 
    সপ্তম ওভারের চতুর্থ বল । ল্যাটা অফস্পিনার রজ্জাক শেখ বল করছে আকাশকে । আকাশের লেগ স্টাম্পে গুডলেংথ স্পটে বল পড়ল এবং উইকেট তার ভেল্কী শুরু করে দিল। আকাশ সামনের পায়ে খেলতে গেল ।  
    আকাশের রক্ষণাত্মক ব্যাট প্যাডকে বোকা বানিয়ে প্রায় আট ইঞ্চি বাঁক নিয়ে এবং প্রায় কোমর সমান লাফিয়ে অফ স্টাম্পের আগায় গিয়ে ধাক্কা দিল । 
    সন্ময় হাতে গ্লাভস পরতে পরতে মাঠে নামছে । ওভারের পঞ্চম বল । এবার অফ স্টাম্পের ওপর বড় টার্ন । সন্ময় খেলল এবং মিস করল । টার্নটা বড় বলেই বেঁচে গেল । ছোট স্পিন হলে নিশ্চিতভাবেই ব্যাটের কানা নিত । 
    ওভারের শেষ বলে বোলারের হাত ফসকে আলগা ডেলিভারি । লোভনীয় ফুলটস । সন্ময় সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুলল না । মিড উইকেট দিয়ে চার ।  
    পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্বপ্নেন্দু গেল । ডানহাতি অফস্পিনার বল করছে ।  প্রথম বল অফস্টাম্প লাইনের অনেক বাইরে । স্বপ্নেন্দু প্যাড বাড়িয়ে দিল । বিনা যুক্তিতেই একটা অর্ধোস্ফূট আবেদন হল বোলারের সায় ছাড়াই । পরের বল ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারি । স্বপ্নেন্দু ব্যাকফুটে গিয়ে ভুল করল । টপস্পিনার ছিল । বল উঠল আচমকা এবং বাইরের কানা নিয়ে নিল ব্যাটসম্যান কিছু বোঝবার আগেই । উইকেটকিপার খুব তৎপরতার সঙ্গে  গ্লাভসে বল জমাল ।  

        ইরাবান ব্যাট করতে নামছে । সন্ময় ওর দিকে এগিয়ে গেল ।  
    ----- ' উইকেটের একেবারে বারোটা বাজিয়ে রেখেছে । প্রত্যেকটা ডেলিভারি ছোবল মারছে । বুঝতে পারছে না ওদেরও একই হাল হবে ... '
    ---- ' তা কি আর কেউ বোঝে ? ভাবে অপোনেন্টকে পঞ্চাশ রানের ভেতর নামিয়ে দিতে পারলে যেমন উইকেটই হোক ম্যাচ আমাদেরই । ঠিক আছে .... দেখে নিচ্ছি ....মনে হয় দেড়শো থেকে একশ ষাট সেফ স্কোর হবে .... '  
    উইকেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ইরাবান বলে । 
    ----- ' বেশি রিস্ক নেওয়ার দরকার নেই । নর্ম্যালি খেল .... উইকেট খুব স্লো মনে হচ্ছে  ... বল দেখার টাইম পাব .... ' 
    ----- ' হ্যা ... তাই মনে হচ্ছে  ... '
    ডানহাতি অফস্পিনার বল করছে । আবার অফস্টাম্পের ওপর টপস্পিন । ফনা তুলে দাঁড়াচ্ছিল বলটা । ইরাবান ব্যাট তুলে যেতে দিল । একদম ভুল খেলা হল । উইকেটকিপার, বোলার এবং স্লিপ ফিল্ডাররা আক্ষেপে মাথায় হাত দিল । উল্টোদিকে দাঁড়ানো সন্ময় আশঙ্কায় চোখ বুজে ফেলল । বলটা মাত্র তিন সেন্টিমিটারের জন্য অফস্টাম্প পেল না । সন্ময় এগিয়ে গেল না ইরাবানকে কিছু বলার জন্য । সে জানে, ইরাবান জানে কি করতে হবে ।
    পরের বল একটু ছোট লেংথের । অফ অ্যন্ড মিডলে । সবে দ্বিতীয় বলের মুখোমুখি ইরাবান ।  স্পিন করার মুখে চকিতে রিভার্স সুইপ মারল ।
    সন্ময় শিউরে উঠল । বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের স্কোয়্যার লেগ দিয়ে চার । ইরাবান ভাবল,  সব বলে এভাবে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না । ইনিংস টিকিয়ে রাখতে হবে । এই আন্ডার প্রিপেয়ার্ড ট্র্যাকে এদের মোকাবিলা করার রাস্তা হল ... বল ভাঙার আগেই ব্যাটে মিট করতে হবে । বল ঘুরতে দিলে হবে না ।  
    পরের বল হাওয়ায় খুব ধীর গতিতে ছাড়ল, অফের বাইরে , বেশি টার্ন পাবার উদ্দেশ্যে । 
    ইরাবান ক্রিজ ছেড়ে বেরোল । নীচু ফুলটস করে নিল । বোলারের বাঁ পাশ দিয়ে স্ট্রেট ড্রাইভ । কোন লং অফ নেই ... আবার চার । বোলার একটু চিন্তায় পড়ে গেল । এ অবস্থায় বোলার চায়, ব্যাটসম্যান যাতে হাফভলি বা ফুলটস না পায় । টেনে বল করতে গেল পরেরটা । প্রায় হাফ ট্র্যাকার হয়ে গেল । ইরাবান অপেক্ষা করল বল কাছে আসার জন্য । ব্যাকফুটে গিয়ে একটা বিধ্বংসী পুল মারল । মিড উইকেটে  কেউ নেই । বোলার কোমরে হাত দিয়ে হতাশ ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে রইল । ওভারের শেষ বলেও ইরাবান ক্রিজ ছেড়ে বেরোল । স্পিন ভাঙতে দিল না । ডিপ কভারে বল ঠেলে একটা সিঙ্গল পেল ।
        এবার বাঁহাতি অফস্পিনার এল । ফিল্ডিং এখনও আক্রমণাত্মক আছে । প্রথম বল লেগ অ্যন্ড মিডলে । বলের লাইনে গিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে কপিবুক স্টাইলে ব্লক করল ইরাবান ।
    পরের বল পুরো লেংথের । পায়ের গোড়ায় বল পড়ল । ইরাবান লেগ গ্লান্স করল । ফাইন লেগে ফিল্ডার আছে । এক রান হল । পরের বল সন্ময়ের অফস্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল । শেষ মুহূর্তে বলে ব্যাট লাগাল সে । নিখুঁত একটা লেট কাট । থার্ডম্যান দিয়ে চার । পরের বল একটু এগিয়ে গিয়ে হাফভলি করে নিয়ে মিড অন আর মিড উইকেটের মাঝখান দিয়ে হালকা ড্রাইভ । দারুন টাইমিং ।  লং অন থেকে ফিল্ডার আপ্রাণ ছুটেও বলটা থামাতে পারল না । এ ওভারে আর কোন রান হল না । 
    বারো ওভারে দু উইকেটে ছেষট্টি । দুটো স্পিনারই প্রতি ওভারে দুটো তিনটে করে বাউন্ডারি খেয়ে যাওয়ায় ক্যপ্টেন সঞ্জীব ভাটিয়া চিন্তায় পড়ে গেল । এ দুটো ব্যাটসম্যানকে থামাতে না পারলে সামনে যে বিপদ আছে সেটা আন্দাজ করতে পারল ।   দলে একটা ভাল লেগস্পিনার আছে । অফস্পিনারটার বদলে তাকে নিয়ে এল । গুড লেংথ স্পটে ঠিক লেগ স্টাম্পের বাইরে একটা ক্ষত ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে । লেগস্পিনার অনীক শীল যদি সেটা কাজে লাগাতে পারে কিছু হতে পারে । 
    একটা ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ লাগানো হল ।
    অনীকের প্রথম ডেলিভারি লেগ স্টাম্পের বাইরে ক্ষত লক্ষ্য করে । বল রাফে পড়ে ঠিকরে উঠল । ইরাবান প্যাড দিয়ে আটকাল লেগস্টাম্পের বাইরে । ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ ওৎ পেতে বসে আছে । অনীক শীল তৈরি হচ্ছে পরের ছোবলটা মারার জন্য । ইরাবানের রক্তে কর্কট কণার সঙ্গে সহাবস্থানকারি ক্রিকেট  দক্ষতার ঘুমিয়ে থাকা  কণাপুঞ্জ সহসা জেগে উঠল ... । দুরন্ত বেগে ছুটতে লাগল রক্তস্রোতে, কোষে কোষে ঘা মারতে মারতে ... 
    লেগস্পিনারের ঝোলানো বলটা আসল আবার ওই লেগ স্টাম্পের ফাটল লক্ষ্য করে । ইরাবান স্টেপ আউট করল । করেই বুঝল তার মাপে ভুল হয়ে গেছে । বলের লাইন মিস করতে  চলেছে । বল  ফস্কালেই উইকেটকিপারের অতি সরল কাজ । সে তিন স্টেপ বেরিয়ে এসেছে । ওদিকে  দাড়ানো সন্ময় উদ্বেগে আকুল হয়ে উঠল । ইরাবান নিমেষে শরীরের ওপরের দিক পেতে দিল লেগের দিকে । প্রায় শুয়ে পড়ে একটা  অবিশ্বাস্য রিভার্স সুইপ মারল । অফ সাইডে কোন ফিল্ডার কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল বাউন্ডারি পেরিয়ে গেল । সন্ময় বিস্ময়ের ধাক্কা কাটাবার পর এগিয়ে গেল ইরাবানের দিকে করমর্দনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।  দেখল যে পিচের একপাশে শুয়ে পড়েছে ইরাবান । একরাশ উদ্বেগ উঠে এল সন্ময়ের বুকে । ইরাবানের অসুখের কথা মনে পড়ে গেল হঠাৎ।  
    সে ঝুঁকে পড়ে জিজ্ঞাসা করল , ' কিরে ... কোথায় লাগল ? পারবি কন্টিনিউ করতে ? '
    সন্ময়ের মনে হল ইরাবানের বোধহয় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে । ইরাবান হাত নেড়ে তাকে ইঙ্গিতে বোঝাল যে, একটু অপেক্ষা কর .... এক্ষুণি ঠিক হয়ে যাব । বর্ডারের খেলোয়াড়রাও ইরাবানের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । বাইরে থেকে দুজন মেডিক্যাল অ্যটেন্ড্যান্ট এল । তারা হাঁটু গেড়ে বসে নানাভাবে পরীক্ষা করতে লাগল ইরাবানকে।  
    এইভাবে মিনিট দুই কাটল , তারপর ইরাবান হঠাৎ গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াল । 
    ----- ' ও ... সরি সরি ... ঠিক আছে ...অসুবিধে হবে না .... ' 
    অ্যটেন্ড্যান্টরা মাঠ থেকে বেরিয়ে গেল । অসুবিধে যে আছে সেটা বুঝতে সন্ময়ের কোন অসুবিধে হল না । সেদিন মিত্র কাফেতেই সব শুনে নিয়েছে যে । সে আবার বলল, ' দেখ ... কোন প্রবলেম হলে এখন রেস্ট নিয়ে পরের দিকে নামতে পারিস ... '
    ----- ' না না .... কোন ব্যাপার না ... এরকম প্রায়ই হয়.... মা-ও জানে না , সেটাই আসল প্রবলেম ... এখন সেঞ্চুরিটা না পেলেই বরং প্রবলেম হবে .... ওটা চাইই ...একটা চাকরি দরকার বুঝলি তো ....ওকে ওকে ... লেটস স্টার্ট .... '  
    সন্ময় কোন কথা খুঁজে পেল না । নন স্ট্রাইকার প্রান্তে চলে গেল ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে ।
    ইরাবান স্টান্স নিল । তার ক্রিকেটিয় কণারাশি ক্রমাগত ফুঁসতে ফুঁসতে ঘা মেরে চলেছে  রক্তধারায় । ক্যাপ্টেন ভাটিয়া ম্যাচ বেরিয়ে যেতে দিতে রাজি নয় । সে শর্ট গালিতেও একজনকে দাঁড় করাল বোলারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ পরামর্শ করার পর । দুটো স্লিপ তো আছেই । 
    অনীক চার পা ছুটে এসে জোরের ওপর লেগব্রেক টানল অফস্টাম্পের ওপর । শর্ট অফ গুড লেংথ ডেলিভারি । তার হাতে প্রচুর টার্ন আছে । ইরাবান আবার স্টেপ আউট করল । তার পায়ে কে যেন চাকা বেঁধে দিয়েছে । এবার আর মাপে ভুল হল না ।  নিয়ন্ত্রিত ছন্দোবদ্ধ   পদক্ষেপ । বলের লাইনের সামান্য ডানদিকে সরে গেল সে । ব্যাটের কোলে এল বলটা ।  এগেনস্ট দা টার্ন একটা আদরের চাপড় মারল । মিড অনের ওপর দিয়ে বল মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ল । পোড় খাওয়া ক্যাপ্টেন সঞ্জীব ভাটিয়া দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গাল চুলকোতে লাগল । মাঠের বাইরে দীপেনবাবু দাঁড়িয়ে উঠে কোন কথা না বলে হুশহুশ করে সিগারেট টানতে লাগলেন বহুদিন পরে । নন স্ট্রাইকার এন্ডে 
    সন্ময় কোমরে ব্যাটের হ্যান্ডেলের ঠ্যাকা দিয়ে দাঁড়িয়ে আনমনে ভাবতে লাগল ভাঙা উইকেটেও একটা সেঞ্চুরী বার করা ইরাবানের কাছে কোন ব্যাপার না , কিন্তু সে একটা আনপ্লেয়েবল ডেলিভারিতে জীবনের বাইরে চলে গেলে তার মাকে কে দেখবে এই চিন্তায় সন্ময় হয়রাণ হতে লাগল । 

    ( ক্রমশঃ ) 

    ************

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishita | 2a00:23c8:eb29:9800:c9e9:3539:587:***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০৯541247
  • অসাধারণ ও চমকপ্রদ লেখনী l তাড়াতাড়ি যেন শেষ করবেন না l চলুক l 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7cf1:7cc7:ef29:***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪০541251
  • অপূর্ব 
  • Anjan Banerjee | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৪541260
  • আন্তরিক ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন