এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আকিও এবং এই সময়ের নিপ্পন....

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • আকিও এবং এই সময়ের নিপ্পন

    সকালে সংবাদপত্রের পাতায় খবরটা দেখে সেভাবে গা করি নি, কিন্তু রাতে ভালো করে খবরটা পড়ে রীতিমতো আৎকে উঠলাম। খবরের অকুস্থল আমাদের রাজ্য নয়, আমাদের দেশ‌ও নয় তবুও শিহরিত হলাম। সেই সুদূর দ্বীপ রাষ্ট্র নিপ্পন, যেখানে পৃথিবীর দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আগে পূর্ব আকাশে অংশুমালি সূর্যদেবের উদয় হয় সেই দেশের খবর এইটি। আসুন খবরটা শুনে নেওয়া যাক।

    খবরটা পাঠিয়েছে South China Morning Post। খবরে বলা হয়েছে জনৈকা ৮১ বছর বয়স্কা জাপানি মহিলা আকিও সম্পূর্ণভাবে নিজের ইচ্ছায় এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়েছেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই আকিওর ঠাঁই হয়েছে জেলখানায়। প্রশ্ন হলো, এমন বয়সে হঠাৎ কী এমন ঘটলো যে ভদ্রমহিলাকে অপরাধ করতে হলো এবং তার জেরে এখন চলতি জাপানি আইনানুযায়ী হাজতবাস করতে হচ্ছে? একসময় জাপানের মানুষজনের শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার কথা আমরা সবাই পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি। বিস্মিত হয়েছি এটা দেখে যে, বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় তান্ডবের পরেও মেরুদণ্ড সোজা রেখে কীভাবে একটা দেশ মাথা উঁচিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে! তাহলে? সমস্যা কোথায়?

    কথায় বলে - পিলসুজের ওপর রাখা প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে গোটা ঘর, কিন্তু ঠিক তার নিচেই বিরাজ করে ঘন অন্ধকার। আজকের জাপান শুধু নয়, গোটা পৃথিবীর অবস্থা ঐ পিলসুজের তলার আঁধারের মতো। আকিও স্বজন বান্ধব হারা এক অসহায় বার্ধক্যের প্রতীক। একাকীত্বের শিকার। জীবন যাপনের জন্য ন্যূনতম অর্থ সংস্থানে অপারগ। তাঁর বিশ্বাস জেলে থাকলে মাথার ওপর একটা ছাদ আর দুবেলা দুমুঠো খাবার তো জুটে যাবে বিলকুল মুফতে। এই বয়সে সহায় সম্বল হীনা এক অশিতিপর বৃদ্ধার আর কি চাই? আর হাজতঘরের লোহার গরাদের পেছনটাতো তাঁর অচেনা অজানা নয়। এর আগেও দু দুবার চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে কয়েদখানার খাবার খেয়েছেন আজ থেকে দু দশক আগে যখন তাঁর বয়স ষাটের কোঠায়। আসলে সরকারের দেওয়া পেনশনের টাকায় যে দিন গুজরান করা অসম্ভব এই প্রবল মাগ্গি গণ্ডার দিনে। খরচের আকাশছোঁয়া বহর সামলাতে গিয়ে নির্বাচনে অবস্থায় তিলেতিলে মরার থেকে জেলখানার লপসি খেয়ে বেঁচে থাকা ঢের আরামের, পরম স্বস্তির। অত‌এব করো অপরাধ, ভরো জেল।

    আকিও’র ভাগ্য ভালো, অন্তত তিনি নিজেও এমনটাই মনে করেন, কেননা অপরাধী হিসেবে তাঁর ঠাই হয়েছে রাজধানী টোকিও শহরের উত্তরে অবস্থিত টোচিগি উইমেন প্রিজনে। এইটি হলো দ্বৈপরাষ্ট্র জাপানের বৃহত্তম মহিলা কারাগার। এখানে আরও ৫০০ জন প্রবীণা মহিলা কয়েদির সঙ্গে সাজার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাটাতে হবে। আকিও জেনেশুনেই এমন গর্হিত কাজটি করেছেন, সুতরাং তিনি যে কৃতকর্মের জন্য খুব অনুতপ্ত তা নয়। কী বলেছেন তিনি ধরা পড়ার পর? একটু বরং তাঁর কথা শুনে নিই –
    “ আমার সিদ্ধান্তটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ছিল কেননা আমি ভেবেছিলাম যে দোকান থেকে জিনিস চুরি করার কাজটা খুব বড়সড় অপরাধ বলে গণ্য হবে না। এমন কাজ তো সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যরাও অনেকেই সুবিধা মতো করে থাকেন। তবে এ কথা আমি হলফ করেই বলতে পারি যে আমার যদি আর্থিক সঙ্গতি থাকতো, জীবন যাপনের মান স্থিতিশীল হতো তাহলে এই বয়সে আমি কখনোই এমন ঝুঁকিবহুল অপরাধে নিজেকে জড়াতাম না। এই জেলখানায় অনেক ভালো মানুষ‌ আছেন। এখানে এসে আমি হয়তো কিছুদিনের জন্য নিশ্চিত জীবনের স্বাদ নিতে পারবো।”

    জেলখানায় বন্দি জীবনের আগে আকিও তাঁর ৪৩ বছর বয়সি ছেলের সঙ্গেই থাকতেন। তবে বুড়ো বাবা মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, এক ঠাঁয়ে থাকাটাযে মোটেই একালের উন্নত যাপনের সাথে মানানসই নয়। ছেলের পরিবার কখনোই বৃদ্ধা, অকর্মণ্য মায়ের ভরণপোষণের দায় মাথায় নিতে চায়নি। বারংবার তাগাদা দেয়া শুরু করেছিল বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার জন্য। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আকিও লজ্জা ও ভয়ে কুঁকড়ে ছিলেন পাছে ছেলের রোষানলে নতুন করে পড়তে হয় তাঁকে।
    “এই সময়টা বড়ই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছে আমাকে। আমি প্রবল ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। ভয় পাচ্ছিলাম ভীষণভাবে। আসলে আমার ছেলে আমাকে কীভাবে গ্রহণ করবে বা আদৌ আমাকে গ্রহণ করবে কিনা এই ভেবে। আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া জিনিসকে কি কেউ কখনও যত্ন করে ঘরে তুলে নিয়ে যায়? আমি আমার এমন পরিণতির জন্য এখন সত্যিই লজ্জিত। আসলে আমি সঙ্গতিহীনা এক অসহায় মানুষ। নতুন করে যে কিছু যে করবো, সেই শরীরী সামর্থ্য অথবা আর্থিক সম্বল কোনোটাই নেই। আমাদের মতো বৃদ্ধ বাবা মায়েরা এই সময়ের সবথেকে সুলভ বর্জ্য পদার্থ।… সবথেকে সস্তার মাল।” বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন আকিও।

    জাপানের জেলখানায় এখন এমনই সব অসহায় মানুষদের ভিড়। সহায় সম্বলহীন প্রবীণ মানুষদের অনেকেই এখন মাসিক ২০০০০ থেকে ৩০০০০ ইয়েনের বিনিময়ে জেলখানায় জীবন কাটাচ্ছেন। এঁরা কিন্তু তথাকথিত অপরাধী নন। কিন্তু অসহায়, পরিবার পরিজনদের দ্বারা পরিত্যক্ত, বর্জিত। জেলখানায় না থাকলে তাঁদের বান্ধবহীন অবস্থায় মরতে হবে, কেউ ফিরেও দেখবেনা – কা তব কান্তা, কস্তে পুত্রা:? আর আকিওর মতো মানুষেরা, যাঁরা কপর্দকহীন, তাঁরা অপরাধের হীন পথে জেলখানায় থাকার ছাড়পত্র জোগাড় করছেন। এই সব শোনার পর বাকরুদ্ধ হয়ে যায়, চোখ ভরে ওঠে জলে, এমন পরিণতির আশঙ্কায় রক্তের গতি বেড়ে যায়, লজ্জা হয় মান আর হুঁশ আছে বলে বড়াই করতে। এমনি জানিয়েছেন জেল আধিকারিক টাকাওশি শিরানাগা।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর জাপান এক অদ্ভুত সময়ের মধ্য দিয়ে চলছে। বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিণতির ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর কাজে বেশ কিছুদিন মুখ বুজে কাজ করেছে তাঁরা, দেশটাকে আবার সবল করে তোলাই ছিল তাঁদের একমাত্র ব্রত। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে তাঁদের বিবেককেও বোধহয় বন্ধক রাখতে হয়েছিল সময়ের চাহিদার কাছে। ফলে বুলেট ট্রেনের গতিতে উন্নয়ন হলো বটে, কিন্তু তার বিনিময়ে হারাতে হলো শিন্তোবাদী ও বৌদ্ধ ধর্মের নির্মল প্রশান্তি ভরা জীবনের ছায়া ঘেরা, মায়া ভরা নির্মল জীবনকে। জাপান জনবহুল। জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রজনন হার বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছেছে। গ্রামীণ জনপদের জীবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের টান যত কমেছে, ততই শূন্যতায় ভরে উঠেছে জাপানের ছোট ছোট স্বচ্ছল গ্রামগুলো। বন্ধ হয়ে গেছে বহু বিদ্যালয়, গ্রামীণ বিপণি, গ্রামীণ চিকিৎসাকেন্দ্র - সব। অন্যদিকে বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। আধুনিক চিকিৎসার কল্যাণে বিশ্বময় মানুষের গড় পরমায়ু বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে জনসংখ্যায় অনুৎপাদনশীল অকর্মণ্য বৃদ্ধ প্রজন্মের চাপ। জাপানে এই মুহূর্তে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধ মানুষ। এই দলেই রয়েছেন আকিও, নিওমি, তাকাহাশি, মিশিগুয়াদের সংখ্যা। সহায় সম্বলহীন এইসব মানুষ যাবেন কোথায়? কে তাঁদের দায় নেবে? উন্নত শহুরে জীবনে এদের ভার বহনের ক্ষমতা নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের নেই, সুতরাং চলো জেলখানায়। জাপানে এই সংখ্যা আরও আরও অনেক বাড়বে সুতরাং এমন আকিওদের কাহিনি হয়তো আরও আরও লিখতে হবে। সাধুজন!! সাবধান হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10f6:a8e:8000::***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪541038
  • কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরালে পাজি।
    সব দেশে, সব কালে একই দেখছি।
  • সাথী সেনগুপ্ত | 2405:201:801f:33:a1b7:e48c:5d26:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০৭541039
  • মনস্পর্শী কাহিনী। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলিরও এরকম পরিণতি যে হবে না বলা মুশকিল। বার্ধক্য সব সমাজের কাছেই এখন ভার স্বরূপ।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b11b:6cad:68b6:25b1:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০২541042
  • আকিও গোটা দুনিয়ার প্রবীণ মানুষদের কাছে এক গভীর সাবধানবাণী বহন করে আনছে। মেলায় নিয়ে গিয়ে বৃদ্ধা মাকে ছেড়ে চম্পট দেবার মতো ঘটনা দেশেও এখন হামেশাই ঘটছে। এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে গেলেও অন্ধকারকে ঠেকানো যাবে না। এর নাম উন্নতি!
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫২541049
  • HA খবর তা আমিও দেখেছি। খুব ই কষ্টদায়ক এবং হৃদয়বিদারক। সমাজ ব্যবস্থা এবঙ সিনিয়র সিটিজেন দেড় সামাজিক অবস্থান গ্রেড ১ দেশ গূলো তে কই আঙ্গুল তুলে দেখিয়েদেয় .
  • #:+ | 2409:4060:31a:afa3:a5ef:9199:c116:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫২541050
  • মন্তব্য করবো কি! আকিওর কথা ভেবে শিহরিত হচ্ছি। এমন পরিণতি কি আমাদের জন্য‌ও অপেক্ষা করছে? ভাবলেই গুটিয়ে যায় শরীর ও মন। সমবেদনা জানাই ৮১ বছরের ঐ অজানা অচেনা মহিলাকে। লেখাটি ভয়ঙ্কর সত্য।
  • সুস্মিতা মন্ডল | 2409:4088:9c95:ce::fc9:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৮541051
  • দুঃখজনক এটাই রোজ আমার সাথে দেখা হয় এই মানুষগুলির সাথে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে, প্রায়ই নতুন নতুন মুখ বৃদ্ধ বৃদ্ধা। কিছুদিন শূণ্য চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মানিয়ে নেন পথের জীবনকে। এই পথেই জীবন এই পথেই মরণ। বড় অসহায় লাগে নিজেকে, নিজের বোনকে, নিজের শিক্ষাকে।
  • sarmistha lahiri | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০541052
  • সব কিছুর পিছনে আমরা অর্থনৈতিক কারন কে এক গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসাই। কিন্তু জাপানের মতো বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত অর্থনীতি র দেশের এই নিদারুণ করুন কাহিনী সামনে আসায় সত্যি ই গভীর উদ্বেগের বিষয়। বাইরের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই সামাজিক অসুখের ও অবলুপ্তি প্রয়োজন তাই লেখক তুলে ধরলেন।
  • অভ্রদীপ | 240a:61:2056:25d4:9ef7:5cd1:f98c:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৯541053
  • গতবছর জাপানে প্রায় চল্লিশ হাজার বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে একাকী বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে! একের পর এক গ্রাম খালি হয়ে যাচ্ছে কর্মক্ষম লোকজন চাকরিসূত্রে শহরে পাড়ি দেওয়ায়। অন্তত বছর তিরিশেক আগেও ছবিটা নাকি এরকম ছিলো না। সন্তানরা বাপ মায়ের দেখাশোনা করতো। জাপানের আধুনিকতা কিন্তু "জাপানি" আধুনিকতা নয়, প্রায় অনেকটাই আমেরিকান আধুনিকতা। সেই ছবিটা সমাজেও পড়েছে। আমেরিকার মতোই এখানে ১৮ বছর হলেই ছেলেপুলে বাড়ি ছাড়ে। নিজের মতো জগৎ গুছিয়ে নেয়। বাপ মা বুড়োবুড়ি একা হয়ে যায়, আর যারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনা তারাও একা হয়ে যায়। তোকিও শহরের অত্যধিক জনঘনত্ব সত্ত্বেও সেখানে সবথেকে বড়ো সামাজিক সমস্যা একাকীত্ব! আমাদের এই পূর্ব হিরোশিমার মফস্বলে পর্যন্ত কতো কতো যে বয়স্ক মানুষকে কাজ করতে দেখি, আশ্চর্য লাগে। দোকানে দোকানে বৃদ্ধা, চুল কাটার সেলুন চালায় বুড়িরা ইত্যাদি। একদিন অনলাইনে দেশি চাল ডাল অর্ডার দিয়েছিলাম। দরজা খুলে দেখি একজন রীতিমতো বৃদ্ধ লোক ডেলিভারি দিতে এসেছে ওই ভারী জিনিস পাঁচতলা সিঁড়ি বেয়ে! এতো খারাপ লেগেছিলো বোঝাতে পারবো না।
  • Somnath mukhopadhyay | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৭541054
  • মতামতগুলো নতুন করে মনটা ভেঙে দিলো। অভ্রদীপ আমাদের সামনে আঁখো দেখা হাল পেশ করলো। এমন অবস্থা আজকের দুনিয়ায় সর্বত্রই দৃশ্যমান। সবাই আমরা ছুটছি। ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ ক্রমশই সংকুচিত হয়ে আসছে। শেষ পরিণতি কী হবে জানিনা।
  • গোবু | 202.8.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৪১541056
  • পুরোনো খবর, তাও এটাও থাক।
     
     
    Families in Uttar Pradesh are sending the elderly members of their houses into forests as tiger prey to claim compensation worth lakhs from the government.
  • Avijit Chakraborty | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০১541057
  • বিষয়টা জানা। "একাকিত্ব বোধ" খুবই কঠিন ও জটিল অসুখ। এটা মহামারীর আকার নেবে আগামী দিনে। অর্থের যোগান থাকলে বয়স্ক মানুষদের এটার থেকে নিস্তার পাওয়া যদিও সম্ভব, কিন্তু কপর্দকশূন্য বয়স্ক মানুষের একাকিত্ব একটা ভয়ংকর ব্যপার। এর জন্যে কোনও দেশের সরকারই কোনও পদক্ষেপ করবে না। সুতরাং, এই ভয়ংকর ঘটনা অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলির অধিকাংশ ঘরেই ঘটবে বোলেই মনেহয়। আমার আরও মনেহয় যে একমাত্র পারিবারিক এবং সামাজিক সুশিক্ষাই এই মহামারিকে রুখতে পারে।
  • Kaushik Guha | 2401:4900:3f03:f97f:eaa0:7210:747c:***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৭541060
  • Khub kharap laglo, amader ei obostha jeno na hoy. 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৫541100
  • রূঢ় বাস্তবতা সহজে সহ্য করতে কষ্ট হয়। অথচ এমন ঘটনা এখানেও ঘটছে, আমরাই ঘটাচ্ছি। মনটারে আজ কহ যে/ ভালো মন্দ যাহাই ঘটুক/ সত্যরে ল‌ও সহজে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন