এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অ্যাবসেন্ট স্যার!

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • গাছটা আগের বছরেও ছিল। এখন নেই। ছায়া ছিল আগের বছর। এখন রোদ সোজা মাথার ওপরে। সেটা নিয়েই কথা হচ্ছিল চায়ের দোকানে। এখন গ্রীষ্ম। গাছটাকে সবার মনে পড়ছে। শোক নয়। বরং প্রয়োজনের স্মৃতি। গাছটায় অনেক পাখি থাকত। ওরাও আর নেই কিংবা আছে কোথাও। মরজগৎ য়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছ, আছে অভিমানের ছায়া,  হয়ত আছে আধো আধো নীড় গুলিও। একটা গাছের হারিয়ে যাওয়া কী এমন ব্যপার! সে চলে গিয়েছে তবুও যায়নি  যেমন যায় না আসলে যে কেউ! ঠাকুমা শেষ বয়সে উন্মাদ হয়ে গেছিলেন। চিৎকার করে করে কাদের সব নাম ধরে ডাকতেন, আমরা কোনোদিন শুনিনি সেসব নাম। ঠাকুমার গাঁ ছিল বাংলাদেশে। হয়ত সেই মুছে যাওয়া নাম গুলো সায়াহ্নে ফিরে ফিরে আসত! আমরা তাঁকে শান্ত করার জন্য বলতাম " এই তো, তুমি শুয়ে পড়ো। উনি এখোনি আসবেন"। অস্থির মুখের বলিরেখা! ছটফটে চোখ! কই কই কই গেল সব? যাদের আমি চিনতাম! একবার বাংলাদেশ থেকে এলেন আমাদের এক আত্মীয়। কত গল্প করলেন! সেই শিমুল গাছটা আর নেই! চ্যাটার্জীরা সবাই মরে গেছে। কালী মন্দিরটা ভেঙে ফেলেছে। মরুচতলার খালে সাঁকো বসেছে সিমেন্টের! একগাছা "নেই" য়ের উপস্থাপনা করতেন। আমরা যাবতীয় "আছে" র ভেতর বসে হাঁ করে খুঁজতাম সেসব মিসিং লিঙ্ক। কোনোকিছু আর এক নেই? গাছ পাতা ফুল ফল পাখি মাঠ, মানুষের কন্ঠস্বর! সব বদলে গেছে?? কে বদলায় এতকিছু,সযত্নে? পাশের বাড়ির বেড়াল ছানাটা কাঁপতে কাঁপতে চোখ বুজল। ভাইরাসের সংক্রমন হয়েছিল শরীরে। শেষদিকে কিছু খেত না। কত এমন তুচ্ছ অন্তর্ধান চারিদিকে! দৃশ্য আর অদৃশ্যর মাঝখানে ছায়া সাঁকো! সে নেই, আছে, নেই,তবু আছে। থাকতেই হবে। পুরীর সমুদ্রে গেছিল পলাশ তার বাবাকে  নিয়ে। মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর। পলাশের মা সমুদ্র ভালোবাসতেন। সমুদ্রের তীরে বাবার সাথে বসেছিল পলাশ। ঢেউ ভাঙে ঢেউ গড়ে! বাবা কেবল মায়ের কথা বলছিল৷ চুপ করো তো,এত কেন মায়ের কথা বলো? যে নেই, সে কোথাও নেই, একেবারেই নেই, আর কোনোদিন নেই!
    পলাশের বাবা বলেছিল, "যে নেই, সে একদিন ভীষণ রকম ছিল৷ তাই একেবারে সে নেই বিশ্বাস করিনা"।

    অতলান্ত সমুদ্রের ধারে ওরা দুজন একটা গভীর ভাঙনের সামনে দাঁড়িয়েছিল। মা সত্যিই নেই?? পলাশের মা বলত সব না থাকা গুলো সমুদ্রের অদৃশ্য ওপারটায় রাখা থাকে।গাছটাও ওধারেই জায়গা পেয়েছে তাহলে।

    এভাবেই এগোতে এগোতে থমকে দাঁড়াই বারবার। পেছনে তাকাতে ইচ্ছে করেনা। কীই বা আছে পেছনে! দু চারটে ময়লাটে দেওয়াল,আলনা,জামা, মার্কশীট আর পুরনো কিছু রেলস্টেশন! ভীষণ কর্পোরেট চালে চলতে চলতে তৃষ্ণা জাগে! একটু চা খেতে ইচ্ছে করে! কাকিমা,এক কাপ চা দাও তো। বিধবা,সাদা থান কাপড়! রেডিয়োয় রাহুল দেব বর্মণ! একের পর এক! চেনা গান,চেনা গ্লাস, চেনা স্বাদ। জি মে আতা হ্যায় তেরে দামন মে সর ছুপাকে হাম রোতে রহে....কাকিমা মুচকি হাসেন। "এই বইটা তোমার দাদার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা বই"... বর মরেছে ক্যানসারে সাত বছর আগে। থেকে গেছে গানটা। থেকে গেছে গুলজারের আঁধি। ওই মিসিং লিঙ্ক। ঘুরে ঘুরে আসে। পালায় না,পালাতে দেয় না। আমি আরেক কাপ চা নিই আরেকটা গান পুরো শুনব জন্য।  স্বাদ মেটে না। জলপাইগুড়িতে আরতি পিসিকে দেখতে গেছিলাম। শয্যাশায়ী! ঠিকরে বেরোচ্ছে চোখ! হাড় জিরজিরে কঙ্কালসার শরীর। অনেকক্ষণ সময় নিলেন চিনতে। তারপর পাটকাঠির মতো হাত দুটো বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম বেশ খানিকক্ষণ! উনি হয়ত ঘুমিয়ে পড়লেন,কিংবা পড়লেন না। ফেরার সময় শুধু বহু কষ্টে বললেন " তোদের বাড়িতে এখোনো কীর্তণ হয়?"
    না হয় না। ভেতরে রোদ নেই। অনেক শ্যাওলা জমে গেছে পিসি। আর কিছু হয় না কোথাও। সবাই স্ক্যাটারড। সবাই সংসার বুঝে নিচ্ছে,দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছে। এটুকুই তো শেখার ছিল, আমিও শিখছি। তোমার শেখা শেষ।

    গভীর অন্ধকারে ঘুম ভেঙে গেলে একবার করে দেখে আসি বাবা আর মায়ের ঘুমন্ত শরীর গুলো। ওদের বুকের ওঠা নামা, নাসারন্ধ্রের বায়ু চলাচল! আশ্বস্ত হই! কখোনো কখোনো চুপচাপ মশারির বাইরে থেকে ওদের দেখতেই থাকি। দেখতেই থাকি। মশারি ফুলে ওঠে ফ্যানের হাওয়ায়। একটা পিকিউলিয়ার বিপন্নতা, বলে বোঝানোর নয়। অন্ধকার ড্রইংরুমে পায়চারি করতে করতে চেয়ারে হোঁচট লাগে। পাশের ঘরে জেগে যায় ওরা। চেঁচিয়ে ওঠে ওদের মধ্যে কেউ " আবার সিগারেট খেতে উঠেছিস?" আমি ভীতু বেড়ালের মতো পা টিপে টিপে সেই শাষনে গা ঢাকা দিয়ে ফের ঘুমিয়ে পড়ি।

    কনিষ্ঠ পুত্রকে দাহ করে ফেরার পথে ট্রেনের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে বহুকাল আগে এক পিতার মনে হয়েছিল ব্যক্তিগত কোনো শোকেই বাইরের পৃথিবীর কোনো নৈসর্গিক বিচ্যুতি ঘটেনা। এ অসীম,এ চিরকালের, এ অক্ষয়! ইত্যাদি! আমরা সাধারণ! আয়োজনে আমাদের মোহ এতটাই যে বিয়োজনে আমরা মরবিড হতে বাধ্য! পৃথিবীর যেকোনো বিদায়ের একটা ওজন থাকে,একটা ভার থাকে! পুলুদিকে দেখেছিলাম, একই পাড়ায় বিয়ে হল,অথচ কী কান্নাটাই কাঁদল! এই কান্নার কারণ যে ঠিক ভৌগলিক নয় সেটা বোঝার বয়স তখন হয়নি। ওই যে একটা কথা আছে না! তুমি ফিরবে হয়ত,কিন্তু একই ভাবে সমস্তটা নিয়ে কোনোদিন আর ফিরতে পারবে না! একটা যোগ বা বিয়োগের আংটা লেগে থাকবে। একটা অন্যকিছুর পরশ... আমি তো ভাবি সেই দুই পৌঢ়া বোনের কথা যারা একদিন ঠিক করেছিল একরাত্তির দুই বোনে মিলে ওদের বাপের সেই ভিটেবাড়িতে আবার রাত কাটাবে। সেই একটা ঘর,একটা বারান্দা! ওদের জন্ম, বেড়ে ওঠা!  আমি মনে মনে ঢুকে যাই ওদের সেই রাত্তিরটায়! দু বোন পাশাপাশি শুয়ে গল্প করছে ছোটবেলার! পূর্বজন্মের কথা! সেই যে বাঙালি আর অসমিয়াদের ঝামেলা লেগেছিল, প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের কথা! বাঙালি দেখলেই হত্যা করা হচ্ছে সেসময় লোয়ার আসামে! দুই বোন কাঁপছিল ভয়ে ঘরের ভিতর! আর বারান্দায় ওদের বাবা পায়চারি করতে করতে ঠাট্টার ছলে বলছিলেন " ঘুমা তোরা, আমি মধুসূদন দাদা থাকতে কীসের ভয়!!" ওরা এখন এসব গল্প করছে! বিগত স্মৃতির শঙ্খমালা জুড়ে ওরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে। হঠাৎই একজন বলে উঠল " রুনু,অ্যাই রুনু, বারান্দায় কারোর হাঁটার আওয়াজ পাচ্ছিস???? " শীতল স্বর!
    - হ্যাঁ, পাচ্ছি। এত রাতে, বারান্দায় কে হাঁটবে বল তো?
    - রুনু, এটা...বাবা নয়তো রে??
    - কী বলছিস কী?? বাবা তিরিশ বছর হল.... চ' তো, দেখে আসি।
    - না রুনু থাক। ঘুমিয়ে পড়। এটা বাবা। আমি জানি। সিগারেটের সেই স্মেলটা পাচ্ছিস না??

    আমি বেড়িয়ে আসি ওদের ঘরটা থেকে। গায়ে কাঁটা দেয়। চলে আসি আজকের গ্রীষ্মে, ছায়াছবি হীন প্রখরতার সামনে। ওরা বলেই চলে গাছটা কেন যে কাটল! দাঁড়িয়ে থাকি মিসিং লিঙ্কের সামনে। গাছটা আর নেই। গল্প হয়ে গেছে৷ ছায়াটাও কল্পনা হয়েছে আর পাখি গুলো লেখা হয়ে উড়ে গেছে ধূসর আকাশে।

    এইভাবেই মানুষ চেয়ে থাকে উল্টোদিকের দেওয়ালে। সমস্ত মূর্ততার বিপরীতে স্থাপন করে স্মৃতির সঞ্চয়। তারপর উধাও হয়ে যায় গাছটার মতো, পলাশের মায়ের মতো! আর ফেরেনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.56.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২১540587
  • ভালো লাগলো।
  • :|: | 2607:fb90:bd89:59ec:29d1:321f:ded7:***:*** | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:১০540597
  • মন খারাপ করা লেখা। 
    এখানটা একটু দেখবেন? "কাকিমা,এক কাপ চা দাও তো। বিধবা,সাদা থান কাপড়!  ... কাকিমা মুচকি হাসেন। "এই বইটা তোমার দাদার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা বই"... বর মরেছে ক্যানসারে সাত বছর আগে।"
    কাকিমার স্বামী দাদা হতে পারেনা, খুব সম্ভবত। 
  • | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৭540608
  • বেশ ভালো লাগলো। 
  • | 2409:40e0:4f:b8f6:8000::***:*** | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৩540609
  • কী অদ্ভুত মন খারাপ  করা লেখা। খুব ভালো লাগলো। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন