এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বেঞ্চ

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩১৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • বেঞ্চ

    বেঞ্চ একটি মনোড্রামা। পার্কের এককোণায় পাতা একটা বেঞ্চ এই একক নাটকের মুখ্য পটভূমি। এই বেঞ্চকে ঘিরে কত না মানুষের আনাগোনা, প্রতিদিনের জীবনের কত সুখ দুঃখের, আনন্দ বেদনার আলোচনা। নানান ধরনের মানুষের কথোপকথনের সূত্র ধরেই পার্কের এককোণায় থাকা এক সামান্য বেঞ্চ যেন হয়ে ওঠে হারিয়ে যাওয়া সময়ের অনন্য এক বেঞ্চমার্ক। বিদায়ী বছরের শেষ প্রহরে এই নতুন নাটক যেন আবাহন জানায় নতুন বছরকে। সামান্য এক বেঞ্চ হয়ে ওঠে বহমান সময়ের প্রতিনিধি।

    পার্ক। তার‌ই একপাশে একটা বেঞ্চ পাতা। পার্ক জুড়ে হরেক ব্যস্ততা নজরে পড়ে। সব বেঞ্চ গুলোই নানান রকম মানুষের দখলে। এই একটা বেঞ্চকে ঘিরে ওঠে প্রতিদিন একদল নবীন মনের বয়স্ক মানুষের ভিড়। ঐ যে দেখুন হেলে দুলে একজন সদস্য আসছেন। আমরা বরং একটু আড়াল হ‌ই। নাহলে সব মজা বিলকুল মাটি।
    মঞ্চে ঢোকেন একজন প্রবীণ মানুষ। পরনে ফতুয়া গোছের পাঞ্জাবি ও পাজামা, হাতে একটা ওয়াকিং স্টিক। সেটাকে ঘোরাতে ঘোরাতে ঢোকেন। মুখে গুনগুনিয়ে গান গাইতে গাইতে।

    আরে সবাই এসে পড়েছিস্ দেখছি। অন্যদিন তো আমিই সাত তাড়াতাড়ি এসে হাজির হ‌ই। আসলে আজ আমার বাড়ি থেকে বের হতেই একটু দেরি হয়ে গেল। তুলসীকে মনে আছে
    তোদের? মানে আমাদের ন্যাপলার ব‌উ, হঠাৎ এসে হাজির। ওই পাড়াতেই এসেছিল কার সঙ্গে দেখা করতে। ফিরতি পথে আমার ওখানে হাজির। তাই একথা, সেকথা বলতে বলতে হয়ে গেল দেরি। যত বলি, “তুলসী! আমার একটু তাড়া আছে, বন্ধুরা সবাই আমার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে। বাকি গল্প আরেক দিন এসে না হয় বলো।” তা কে শোনে কার কথা? আজকালতো সেভাবে কথা বলার লোক পাইনা, তবুও মনে করে এসেছে বলে দুটো সুখ দুঃখের কথা হলো। বেকার বুড়ো মানুষেরা আর কি করে?

    তা আজ গৌরকে দেখছি না তো ? কালকে অবশ্য যাবার সময় বলছিল - “ বুঝলি ভুতো ,গা টা কেমন ম্যাজম্যাজ করছে। প্রমিতা বারণ করেছিল আজকে আসতে। কিন্তু মনটা সায় দিলনা। তাই চলে এলাম।” আসেনি যখন তাহলে নির্ঘাত জ্বরে পড়েছে। এই মরশুম বদলের সময়টাতে একটু সাবধানে থাকতে হয়। আর তাছাড়া এখন বয়স বাড়ছে। শরীরের কলকব্জা সব কমজোরী হয়ে পড়ছে দিনকে দিন। নেহাত আমার ফুটবল পেটানো শরীর,তাই হয়তো ঝড় ঝাপটা সামলে কোনো রকমে ঠেকা দিয়ে যাচ্ছি ।

    অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পা দুটোয় বেজায় টান ধরেছে। এই নন্দ! একটু চেপেচুপে বসতো । যা একখানা গতর বানিয়েছিস না,দেখে মনে হয় ঠিক যেন খাবি খাওয়া কাতলা মাছ। স্কুলে তো আমরা সবাই একসাথে,এক বেঞ্চেই বসতাম। তখন অবশ্য সবার চেহারাই নবীন দার দোকানের তিল কাঠির মতো ছিল - লিকলিকে, লম্বাইয়ের তুলনায় আড়ে খাটো। আমাদের পাঁচজনের মধ্যে খালি মৃগাঙ্ক ছিল বেশ মাপসই। গরম তেলে পড়লে ফিনফিনে লুচি যেমন ফুলেফেঁপে বেশ নধর,ফুলকো হয়ে ওঠে, আমাদের সবার‌ই এখন কমবেশি তেমন‌ই দশা। তবে নন্দ! তোর এই কুমড়োপটাশ মার্কা চেহারার কিন্তু জন্য তুইই দায়ী। না , না ! অজুহাত দেখিয়ে পাশ কাটানোর চেষ্টা করিসনা। আমার কথা শোন – অত আয়েসি জীবন একদম ভালো নয়। সেই যে পড়েছিলাম না - চলতে ওঁরা চায়না মাটির ছেলে, মাটির পরে চরণ ফেলে ফেলে …তোর হচ্ছে একদম সেই অবস্থা।

    না না, অমন চোখ পাকিয়ো না ভাই । লীলা বৌদি সব ফাঁস করে দিয়েছে। এই তো চিনু আছে, আমার সাক্ষী। এই চিনু! তুইতো ছিলি সেদিন। বল, আমাদের। আমাকেই দেখ! এখনও কেমন শরীরটাকে ছিলিম করে রেখেছি । হুঁ, হুঁ, বাপু! এটাতো মানতেই হবে যে এই ভূতনাথ ভাদুড়ীর শরীরে ব‌ইছে উত্তর কোলকাতার সেই ফেমাস ভাদুড়ী বাড়ির রক্ত। ১৯১১, জুলাই মাস , পরাধীন ভারতবর্ষ, স্বাধীনতার জন্য মরণপণ লড়াই, একদল বাঙালি ছেলে মাঠের লড়াইয়ে সামিল হয়েছে, সবাই খালি পায়ের খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষ গোড়া সাহেবদের ডাকসাইটে টিম ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্ট, গোওওওওল । দেশের মাঠে ইংরেজ সাহেবদের দলকে হারিয়ে সেই প্রথম শিল্ড জিতলো কোনো ভারতীয় দল। সে কি উন্মাদনা গোটা দেশজুড়ে ! আমিতো সেই বাড়ির‌ই ছেলে!! “দ্যা গ্রেট এয়ার অফ দ্যা ভাদুড়ীজ অফ নর্থ ক্যালকাটা” । মায়ের গর্ভে থাকতেই নাকি ভাদুড়ী বাড়ির ছেলেরা ফুটবলে লাথি মারতে শিখেছে । কি সব দিন ছিল বলতো! How Green Was Our Valley! এখনও চোখ বুজলে আমি সেই দিনটাকে চোখের সামনে দেখতে পাই।

    না, খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি বোধহয়। ডাঃ মৃগাঙ্ক হয়তো এখনি চিৎকার করে বলে উঠবে – “এই ভুতো, শান্ত হ। ব্লাড প্রেসার চড়ে যাবে। তেমন হলে আবার বিপদে পড়তে হবে।” মৃগাঙ্ক, তুই আমাদের ঐ গানটা একটু শোনা। তোর গানের গলা ছিল চমৎকার। কোন্ গানটা? আরে ঐযে রে সেই কবিতার অংশটা যেটা কবি করুণানিধন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন ঐ ঐতিহাসিক জয়কে উপলক্ষ করে । নে শুরু কর । আমি না হয় তোর্ সঙ্গে গলা মেলাবো –

    জেগেছে আজ দেশের ছেলে, পথে লোকের ভিড়,
    অন্তঃপুরে ফুটলো হাসি বঙ্গ রূপসীর।
    গোল দিয়েছে গোরার গোলে, বাঙালির আজ জিত্ ,
    আকাশ ছেয়ে উঠছে উধাও উন্মাদনার গীত।
    আজকের এই বিজয়বাণী ভুলবে নাকো দেশ,
    সাবাস সাবাস মোহনবাগান,খেলেছ ভাই বেশ।

    হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে। অতীতের এই হলো সমস্যা। একবার তাতে ডুব দিলে অনেক অনেক সময় লেগে যায় কোলাহল ভরা এই বর্তমানে ফিরে আসতে। আর আমারতো একাল বলে কিছু নেই। আমার তো সবটাই এখন অতীত, সেকেলে। এই বেঞ্চটাকে আগলে রেখেই যে আমার এই সময়ের দিনযাপন। একসময় এই বেঞ্চটা সরগরম থাকতো রকমারি কথার ফুলঝুরি ছোটাতাম সবাই মিলে। মৃগাঙ্ক, নন্দু, চিনু, গৌর আর আমি – দ্যা গ্রেট ভূতনাথ ভাদুড়ী অফ ফড়িয়াপুকুর। এই বেঞ্চে বসে কত বিচিত্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি – তর্কাতর্কি, হৈচৈ, যুক্তি আর অযুক্তি,হাসি ঠাট্টা, খুনসুটি সব কিছুর পরও আমরা একজন আরেকজনের কাছ থেকে কখনও দূরে সরে যাইনি। টাউন স্কুলের এক বেঞ্চেই ছিল আমাদের ঠাঁই । অথচ আজ আমি একা, একদম একা। গৌরটাও চলে গেল সেদিন আমাকে কিছু না বলে। আর বাকিরা সবাই কবেই এই বাঁধন কেটে চলে গেছে।

    এখনও আমি প্রতিদিন এখানে আসি। চুপচাপ বসে থাকি। কার‌ও সঙ্গেই আর বিশেষ কথা হয়না। আসলে আমার মতো এক অকেজো বুড়োর সঙ্গে বকবক করতে কেই বা আসবে? নিজেকে মাঝে মাঝেই এক প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ বলে মনে হয়। এই সময়ের কিছুর সঙ্গেই যেন আর নিজেকে মেলাতে পারিনা। সময়কে আমি দোষ দিইনা, কেননা সে তো মহাকালের হাত ধরে নিজের পথ কেটে এগিয়ে চলেছে। তার কাছে ব্যক্তিগত অনুভবের আলাদা করে কোনো মূল্য নেই, কোনো মূল্য নেই। ব্রতী চলে যাবার পর বাড়িতেও আমি একা হয়ে পড়েছি, বড্ড একা। সময়ের বেঞ্চ মার্ক হয়ে এখন কেবলই চারপাশের সবকিছুকে জরিপ করে চলেছি । থাক, সেসব কথা। সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ। এবার বাড়ি ফিরতে হবে। বাড়ি ফিরতে হবে। চলি…….।

    এই নাটকটি শ্রদ্ধেয় বড়দা শ্রী স্বপন চক্রবর্ত্তীর করকমলে নিবেদিত হলো। পড়ুন ও পড়ান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1104:d535:8000::***:*** | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩৯540348
  • অমোঘ একাকিত্বের জলছবি।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b11b:214b:9c47:4d3:***:*** | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬540366
  • লেখক বলেছেন বেঞ্চ একটি মনোড্রামা বা একক নাটক।
    এটিকে এই নিঃসঙ্গ সময়ের একান্ত জলছবি বলা যায়। পড়তে পড়তে বেঞ্চে বসে পড়লাম একটু। "সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ, এবার বাড়ি ফিরতে হবে " -- ভূতনাথের এই সংলাপ মনে নাড়া দেয়।
  • মিহির মাইতি | 2405:201:8000:b11b:6800:af33:5f24:***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৯540472
  • এই লেখাটি পড়ার পর এক গভীর নিঃসঙ্গতায় মনটা  ভরে গেল। এক নিবিড় শূন্যতা একটু একটু করে আমাদের বোধহয় ঘিরে ফেলেছে। অভিনয় দেখার আগ্রহ র‌ইলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন