এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নতুন চাঁদ ও ডঃ নিকো ক্যাপ্পেল্লুটি

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১৫৫ বার পঠিত
  • নতুন চাঁদ ও ডঃ নিকো ক্যাপ্পেল্লুটি

    নতুন চাঁদ উবাচ।।

    আজ অক্টোবর মাসের আঠারো তারিখ। ঠিক কুড়ি দিন আগে মানে সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখে তোমাদের অতিথি হয়ে এসেছি স্বল্পমেয়াদি GVS বা গ্যালাকটিক ভিসা নিয়ে। আগেই জানিয়েছিলাম আমার এই ভিসার মেয়াদ মাত্র ৫৬ দিনের। তারমানে হলো এই যে, আগামী নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে আমার “ধরার সাথে ঘোরার” সময়সূচির কার্যকাল শেষ হয়ে যাবে।
    অল্প সময়ের জন্য এলেও এই যাত্রা রীতিমতো রোমাঞ্চকর হয়েছে। এতো শুনেছি ধরার কথা যে তাঁকে এক নজর দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি আমরা, মানে পরিক্রমায় সদা ব্যস্ত অগণিত সংখ্যক গ্রহাণুরা। এখানে এলেই যেমন জমজমাট ভিড় দেখতে হয়, আমাদের ওখানেও ঠিক তেমনি। লাখো লাখো গ্রহাণু তোমাদের ঐ কলুর ঘাণিতে বাঁধা বলদের মতো অংশুমানকে মাঝখানে রেখে নিজের নিজের পথে নাগাড়ে পাক খেয়ে চলেছে। অবশ্য এক অপার শৃঙ্খলায় আমরা সবাই একসাথে এক ঠাঁই।

    রাত আকাশে আমাকে দেখতে পাওনি বলে হাতে গোণা দু একজন আক্ষেপ করেছো। আমাকে নিয়ে গুরুর পাতায় লেখা নিবন্ধটিতে (শশাঙ্ক ও এক ক্ষণিকের অতিথি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কিন্তু এসবই বিস্তারিত লেখা ছিল। যাইহোক, দেখা পেলেও আমাকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। এতো বড়ো আমাদের বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড যে, তার মধ্যে আমার মতো এক সামান্য গ্রহাণুর জীবনে কাজের স্বীকৃতি খুব সহজে মেলেনা। তোমাদের শশাঙ্কদার সঙ্গে পরিচয় হয়ে কথাবার্তা বলে খুব খুব আনন্দ পাচ্ছি। মামা হো তো এ্যায়সা। এতোদিন ধরে একলা একলা রাত পাহারার কাজ করে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে। আমিঅতিথি হয়ে দিন কতক তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গেলাম। আমার সম্পর্কে রোজ কত খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই একজনকেই পেলাম আমার সম্পর্কে এমন আন্তরিক হয়ে আমার কাছ থেকে আমার সুখ দুঃখের কথা শুনতে। শশাঙ্কদা ছাড়া আর সজাগ রয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীদের একটা বড়সড় অংশ, যাঁদের গবেষণার বিষয় হলো জ্যোতির্পদার্থ বিজ্ঞান। কেন তাঁদের এই আগ্রহ? আমার কথা আমার মুখে শোনার থেকে এই বিষয়ে সত্যিকারের পণ্ডিত মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ Dr. Nico Cappelluti’ র মুখ থেকেই বরং শুনে নিই –

    “নমস্কার। আমি নিকো, নিকো ক্যাপ্পেল্লুটি আমেরিকার মিয়ামি থেকে বলছি। পেশাগত জীবনে আমি একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ। অধ্যাপক। মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। পৃথিবীর নতুন চাঁদ সম্পর্কে আমরা প্রথম জানি গত আগস্ট মাসের ৭ তারিখে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাউদারল্যান্ডের Asteroid Terrestrial - impact Last Alert System এর পক্ষ থেকে জানানো হলো,
    এক পথভোলা ভ্রামণিক গ্রহাণু কিছুদিনের জন্য শশাঙ্কর সহকারী হিসেবে কাজে যোগদান করবে। খবরটা শুধু আমার একার কাছে নয় সমস্ত জ্যোতির্পদার্থবিদের কাছেই এক নতুন অভিজ্ঞতালাভের সুযোগ এনে দিয়েছে। আপনারা হয়তো ভাবছেন কী এমন সম্ভাবনার সন্দেশ বয়ে নিয়ে এসেছে এই ক্ষণিকের অতিথি। আসলে আমাদের এই সৌর পরিবারের সৃষ্টি রহস্য এখনও সবটাই প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। প্রশ্ন করবেন হয়তো কেন? এর উত্তরে বলবো, বিজ্ঞানীদের‌ও অনেক অনেক অনুমানের সাহায্য নিতে হয়েছে এই ব্যাপারে। সেই পরিচিত আরোহী আর অনুমান পদ্ধতির মতো। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতেই আমরা ওই নয়া চাঁদের বিষয়ে এতো আগ্রহ প্রকাশ করেছি।

    এই গ্রহাণুকে এতো কাছ থেকে দেখতে পাওয়া এক বিরল অভিজ্ঞতা। এখান থেকেই হয়তো আমরা নতুন কিছু তথ্য পেতে পারি। সত্যি কথা বলতে কি এই গ্রহাণুরা হলো সৌর পরিবারের আবর্জনা, যারা সেই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী অথচ তাদের তেমন স্বীকৃতি নেই। হয়তো খুব ছোট বলেই নেই। আর সেজন্যই খানিকটা অভিমান বুকে নিয়ে এরা একরকম ব্রাত্য হয়ে রয়েছে। আমাদের নতুন চাঁদটি মাত্র ১০ মিটার লম্বা। আর্জুনা গ্রহাণু মণ্ডলীর সদস্য এই 2024 PT5 নামের গ্রহাণুটি হয়তো এই কারণেই পৃথিবীর টানে তার সঙ্গে লটকে গেছে কিছু দিনের জন্য। দূরের অতিথিকে কাছে পেলে যেমন নতুন করে পুলক জাগে মনে, আমাদের যে এখন তেমনিই দশা ! তোমায় নয়ন জুড়ে রাখবো, নয়ন ছাড়া করবোনা। আমাদের সবার চোখ এখন দূরবীনের আরশিতেই আটকে রয়েছে রাত দিন। 2024 PT5 শত হলেও আমাদের মহাজাগতিক অতিথি।

    মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর চেনা পরিচিত পরিসীমার বাইরে উঁকি দিয়ে দেখার তাগিদ বেড়েছে অনেকটাই। এটা কেবল জানার আগ্রহেই সীমাবদ্ধ নেই, এর পেছনে রয়েছে পৃথিবীকে মহাজাগতিক বস্তুদের আকস্মিক আঘাত থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা। পৃথিবীর অভিমুখী কোনো বিপদজ্জনক মহাজাগতিক বস্তুকে ঠেকাতে নাসার বিজ্ঞানীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সফলতাও এসেছে ; যদিও মনে রাখতে হবে যে এমন উচ্চ কোটির বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুধু বিপুল ব্যয় সাপেক্ষ‌ই নয় উন্নত মানের জ্ঞানভাণ্ডারের সহায়তাও দাবি করে। বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও এমন সব ভাসমান বস্তু পিণ্ড সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাঁদের লক্ষ্য অবশ্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এমন‌ সব মহাজাগতিক শিলাখণ্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান খনিজ পদার্থ আহরণ করা।

    মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়েই আমার সহযোগী অধ্যাপক Dr. Bertrand Dano’র অভিমত, “মহাজাগতিক বস্তু থেকে খনিজ সংগ্রহ কোনো দূরবর্তী স্বপ্নকল্প ভাবনা বা কল্পবিলাস নয়। এমন ঘটনা আজ বললে আগামীকাল‌ই হয়তো সম্ভব হবে না, তবে নিকট ভবিষ্যতে আমরা নিশ্চয়ই সফল হবো। আমরা বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত আশাবাদী”। Dr. Dano'র মতে, গঠনের দিক থেকে এই গ্রহাণুদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একদল গ্রহাণু হলো নিরেট পাথর। এদের নিয়ে আগ্রহ কম। আরেক দল গ্রহাণু হলো মূল্যবান খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার। প্রবল উৎসাহ এদের ঘিরে। কেননা তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্লাটিনাম, সোনা, নিকেল, কোবাল্ট এবং পরিচিত লৌহ আকর। আগামী দিনের ইলেকট্রনিক্স শিল্প সহ ক্যাটালিস্ট ও ফুয়েল সেল শিল্পের ভবিষ্যৎ এই সমস্ত খনিজের নিরবচ্ছিন্ন জোগানের ওপর নির্ভরশীল, ফলে এর দখলদারি নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বাড়বে উত্তরোত্তর। সম্পদ যাঁর, দুনিয়াদারিও যে তাঁর হাতেই।

    আর্জুনা গ্রহাণুবলয়ে কোটি কোটি সংখ্যক গ্রহাণু পরিভ্রমণে ব্যস্ত। বিজ্ঞানীদের মতে এর ভেতরে ২০ লক্ষের কাছাকাছি গ্রহাণু এক কিলোমিটার থেকে বড়ো। এদের নিয়েই চলছে চূড়ান্ত জল্পনা। তাত্ত্বিকভাবে বিষয়টিকে খুব জটিল বলে হয়তো মনে হচ্ছেনা, তবে প্রায়োগিক দিক থেকে কিন্তু বিস্তর জটিলতা রয়েছে।

    প্রথমত, এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে নিরন্তর গবেষণার জন্য চাই বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ। আর্থিকভাবে ক্রমশই ফিকে হতে থাকা বর্তমান পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে যা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ।

    দ্বিতীয়ত, চাই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি যা মহাকাশের বায়ুশূন্য পরিবেশেও কাজ করতে পারবে। এরজন্য‌ও চলছে বিশেষ গবেষণা।

    তৃতীয়ত, খনিজ সম্পদ আহরণ ও তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কাজটাও খুব সহজ নয়। লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া এবং সংগৃহীত উপকরণ সমূহ পৃথিবীতে নিয়ে আসার কাজটাও খুব খুব সহজেই হবে, এমন‌ও নয়।

    চতুর্থত, মহাকাশে পৌঁছতে গেলেও চাই বিশেষ ধরনের মহাকাশযান। এমন যান হবে একান্ত ভাবেই রোবোটিক্স প্রযুক্তি নির্ভর যা দূরন্ত গতিতে ধাবমান গ্রহাণুকে বশীভূত করে তাদের শরীর থেকে ধনরত্ন সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে পৃথিবীর মানুষের জন্য। সমস্ত পরিস্থিতি অনুকূল থাকলেও মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে বিশেষভাবে তৈরি মহাকাশযানের সময় লেগেছে প্রায় আট মাসের মতো। এক্ষেত্রে সময়সীমা আরও কিছুটা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, তাকে সম্ভাব্য প্রতিকুলতার মাঝেও লড়াই করে টিকে থাকতে হবে অনেকটা সময়। যতই আমরা বলি না কেন, ধৈর্য্য ধরতে হবে। পৃথিবীর আকর্ষণ এড়িয়ে মহাকাশে পৌঁছতে হলে বিপুল পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই বিজ্ঞানীরা চাঁদ, মঙ্গল বা শনির প্রাকৃতিক উপগ্রহ টাইটানে বিশেষ ঘাঁটি স্থাপন করার কথাও খতিয়ে দেখছেন।

    পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার বিষয়টি অপেক্ষাকৃতভাবে সহজতর, তবে ফিরতি যাত্রা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিন্তে হবে এমন গ্যারান্টি দেওয়া মুশকিল। ভরপেট সম্পদ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে গিয়ে কোনো অজানা দূর্ঘটনার কবলে পড়লে সবটাই – আম ও ছালা– বরবাদ হয়ে যাবে। খনিজ আকরকে পরিশোধনের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ আকরকে অপরিশোধিত অবস্থায় পৃথিবীতে বহন করে নিয়ে আসাটা অবাণিজ্যিক হবে। আর ওখানে বসে তাকে পরিশোধন করা এখনও কষ্ট কল্পনার সামিল। তবে বিজ্ঞানীদের ভাবনা চিন্তা এই স্তরে পৌঁছেছে বলে মনে হয় না। তবে একথা ঠিক, যিনি এই কাজটি করতে পারবেন তিনি রাতারাতি ট্রিলিয়নার হয়ে উঠবেন। এমন ভাবনায় কেউই বুঁদ হয়ে নেই, এটাই বা বলি কি করে?”

    আমরা কি তাহলে ট্রিলিয়নার হবার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে বসে থাকবো?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10cc:a139:8000::***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৩538622
  • বেশ ।মানুষ তাহলে আপন আবাসটি নিঃশেষ করে অন্য দিকে হাত বাড়াচ্ছে! আপনার দৌলতে জানতে পারছি।
  • #:+ | 2405:201:8000:b1a1:e944:eed6:2ceb:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪১538660
  • লেখাটির মধ্যে আগামীর স্বপ্ন আর সম্ভাবনার কথা ভরা আছে। পরিবেশনের ভঙ্গিটি ভালো লাগলো। এই মুহূর্তে আমাদের অতিথি ধূমকেতুর কথাও লেখা হোক।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b1a1:e944:eed6:2ceb:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫০538721
  • কক্ষচ্যুত গ্রহাণুরা পৃথিবীর পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। অতীতে উল্কা বা গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর বুকে অনেক বড়ো বিপর্যয় ঘটেছে। নাসার তরফে কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রিলিয়নার হয়ে ওঠার বাসনা আগামীদিনে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে মহাজাগতিক লড়াইয়ে টেনে আনবে না তো? গোল্ড রাশের কথা ভুলি কি করে? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন