এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ্লেষ যাদের সম্পদ

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • জিনিসপত্র নিজের হাতে বেছে দেখেশুনে কিনতে আমার ভালো লাগে। আজ অবধি অনলাইন কিছু কিনিনি। কিন্তু অনেকেই আজকাল অনলাইন কেনাকাটা করেন। নজমাআ ডেলিভারির ব্যবস্থা এখন হাতেহাতে। তার ওপর অনলাইন কেনাকাটার বেশিটাই নগদ অর্থ বর্জিত। কড়কড়ে নোটগুলো থেকে যাচ্ছে। যাঁরা অশক্ত শুধু তাঁরা নন, রীতিমতো হাঁটাচলা করার ক্ষমতা আছে তেমন লোকজনের অনেকেও এ দোকান সে দোকান করতে চান না।

    চারপাশ দেখে বুঝি, অনেকে বিশেষ করে সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষজন পাড়ার দোকান থেকে এক পয়সারও কেনেন না। তাঁরা অনলাইনে জিনিসপত্র কেনেন বা শপিং মল থেকে। তারপর দারিদ্র্য ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের জন্য সরকারের মুণ্ডপাত করেন। আগে কেন্দ্র তারপরে রাজ্য সরকারের সমালোচনা দিয়ে মৌখিক আইনসভা শুরু হয়।

    ধাপে ধাপে নিন্দার সুর চড়ে। শেষের দিকে এসে বাঙালি যুবকদের অকর্মণ্য, অপদার্থ, নির্বোধ বলে গালাগালি দেন। এত পরিশ্রম করে তর্কাতর্কি করার পর উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, গলাও শুকিয়ে যায়। তখন বাঙালি হওয়ার অপরাধ স্খালন করার জন্য ফ্রিজ থেকে একটা ঠান্ডা পানীয় বা স্কচ বার করে পান করে ফেলেন। বরাবরের মতো অনলাইন অর্ডার করে স্কচটা আনানো হয়েছে। ঠান্ডা পানীয়র বিরাট বোতলটা মিসেস পাড়ার বড়সড় মুদীর দোকান থেকে নিয়ে এসেছে। ওঁদের স্ট্যান্ডার্ডের দোকান নয় ওটা, তবুও বাধ্য হয়ে।

    ওঁরা জিরে পর্যন্ত অনলাইন কেনেন বা সুপারমার্কেট থেকে নিয়ে আসেন এবং গর্ব করে সেটা বলেনও! পাড়ার দোকানে আজেবাজে লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিরেমরিচ কেনা যায় নাকি? তাছাড়া গ্রসারির জন্য ঘেমেনেয়ে একশা হওয়ার দরকারটাই বা কি!

    আমাদের পাড়ায় একটি উৎসাহী তরুণ সুস্বাদু খাবারের দোকান খুলেছিল। পাড়ার লোক ধারে খেয়ে খেয়ে দোকানটা উঠিয়ে দিল। যাদের সঙ্গতি আছে তারাও পয়সা দিত না। এমন অনেক ঘটনাই দেখেছি। কাছেই এক দম্পতি ক' দিন রুটি তড়কা করছিল। দারুণ স্বাদ। দলের দাদাদের ভাগে যথেষ্ট যাচ্ছিল না বলে দু' মাস যেতে না যেতেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হ'ল। আরে বাবা সবে তো খাবারের দোকান করেছে। একটু লাভটাভ করতে দে! তা না প্রথম থেকেই বেশি বখরা চাই।

    বখরা চাইবার পক্ষ কিন্তু অনেক। গুন্ডারাও নিয়মিত বখরা নেয়। গুন্ডাদের অবশ্য রকমফের আছে। কোনো কোনো গুন্ডা উর্দি পরে, কোনো কোনো গুন্ডা পরে না।

    এমন করে করে ব্যবসার কত ছোটখাটো উদ্যম শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারপর বাঙালির দারিদ্র্য নিয়ে নিত্য আলোচনা। ব্যঙ্গবিদ্রূপ। সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষ। সত্যি বটে বাঙালি সম্পদ বানাতে জানে না। ব্যবসা করে বড়লোক হ'তে জানে না। যে চেষ্টা করে তাদের বসিয়ে দিতে নিশ্চয় জানে। আর জানে তলিয়ে যাওয়ার উপযোগী রাজনীতি করতে। ছোটখাটো ব্যবসা করে যারা টিকে রয়েছে তাদের অসীম মনের জোরকে আমার কুর্নিশ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:4152:aff4:ab9b:***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১০:২৯538580
  • এইজন্যই পব পিছিয়ে পড়া রাজ্য। বড়ো ইন্ডাস্ট্রি নেই, তাদের আপস্ট্রিম আর ডাউনস্ট্রিম সাপ্লাই চেন নেই, ফলে পবর লোকেদের মিডিয়ান ইনকাম কম। অন্য অনেক রাজ্যেই কিন্তু প্রচুর লার্জ স্কেল ইন্ডাস্ট্রি আছে, প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে, সেসব রাজ্যে অনলাইন অর্ডারিংও হচ্ছে, লার্জ ফর্ম্যাট মলেও লোক কিনছে, আবার পাড়ার মুদি দোকান, খাবারের দোকানও দিব্যি চলছে। পবর ইকোনমি প্রথমে জ্যোতি বসুর আমলে সিটুর জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়নের পর বেহাল হয়েছিল, তারপর দিদি এসে টাটাবাবুদের তাড়ানোর পর আর কেউ লার্জ স্কেল ইনভেস্টমেন্ট করেনি। তার ফলে এই অবস্থা।  
  • তাপস দাশ | 103.242.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩০538582
  • একদম সত‍্যি কথা লিখেছ
  • Suvasri Roy | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫৩538587
  • @dc
    মতামত পড়লাম। যথাযথ বক্তব্য।
    শুভেচ্ছা।
     
  • Suvasri Roy | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫৫538588
  • @তাপস দাশ
    মতামত পেয়ে ভালো লাগছে।
    শুভেচ্ছা
     
  • sangeeta das | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫০538593
  • ব্যবসার উদ্যোগ ঠিক তখন থেকেই শেষ করা হয়ে থাকে, যখন ' কী করবে? ব্যবসা? ধুস!' এই জাতীয় মহান  শ্লোক ঝেড়ে ডিমোটিভেট করার ধূপধুনো দেওয়া হয়। অনলাইনজীবি মানুষজন তারপরে পুজো ও গরীব মানুষের ব্যবসা- এই সংক্রান্ত যে রচনা পত্তর লেখেন, তা পড়ে আবেগে আমাদের চোখে জল এলেও, তাদের পকেটে কতখানি যায় সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দ আছে। 
  • Suvasri Roy | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩০538594
  • @sangeeta das 
    মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। সত্যিই তো দু' একটা লেখা থেকে কি কোনো বদল আসতে পারে? তবে পরিস্থিতি দেখে বেদনা বোধ করি এটা সত্যি। যেমন পারি লিখি। পরিবর্তন আনার সাধ্য আমার নেই। 
    শুভেচ্ছা নেবেন।
     
  • sangeeta das | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৪538595
  • পারে। নিশ্চিত পারে। হয়তো বদলটা হঠাৎ করে চোখে পড়ে না। ভালো থাকবেন
  • শমীক | 2409:40e0:38:1493:8000::***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪৪538635
  • পরিবর্তন আসেনি কে বলেছে। নিত্য পরিবর্তন হচ্ছে। খারাপ থেকে আরো খারাপ হচ্ছে সব। সেসব পাল্টানোর সাধ্য না থাক, তা বলে বেদনা হলে বলবই। একদম ঠিক বলেছেন। তবে অনলাইন এর রমরমার জন্য পড়ার মুদিদোকানও লাভবান হতে পারে। শুধু দরকার ঠিক ঠাক পরিকল্পনা। যেটা এ রাজ্যে বিরল।
  • Suvasri Roy | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০৯538636
  • @শমীক
    মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসল কথা হল, বাঙালি ছেলেদের ছোট বা মাঝারি ব্যবসা করার জন্য পরিবার থেকেই উৎসাহ দেওয়া হয় না। তার ওপর ব্যবসা অনেক সময় চলে না। নিয়মিত লাভ না হ'লে কাঁচামাল এনে প্রয়োজনীয় কারিকুরি করে ব্যবসাদার বিক্রি করবে কী করে? আরো কিছু বাধা আসে। 
  • | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৪538638
  • লেখাটা কিরকম অদ্ভুত ঘাঁটা।   বেকার ছেলের ব্যবসা ফেল করার জন্য পাড়ার লোক দায়ী? আর যারা অনলাইনেই বেশিরভাগ কেনাকাটা করেন তারা সবাই  সঙ্গতিসম্পন্ন?  আর তাঁরাই ব্যবসাফেলের জন্য ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। 
    এ তো জেনারেলাইজেশানের বুলডোজার চলেছে পুরো। 
     
    চাকরির জন্য যেমন পড়াশোনা করে প্রিপারেশান নিতে হয় ব্যবসার জন্যও সেটা করতে হয়। বরং কোন গতেবাঁধা কোশ্চেন পেপারের সেট অ্যাভেলেবল না থাকায় খোঁজ খবর,  কীভাবে কবে ব্রেক ইভন রিচ করা যায় তার পরিস্কার প্ল্যান,  রিস্ক মিটিগেশান প্ল্যান এইগুলো যথেষ্ট মন দিয়ে করতে হয়।  স্থানীয় বাজারের সফল মাছওলা  বা পাশের পাড়ার সফল বিরিয়ানির দোকান তাদের মত করে এইগুলো ঠিকঠাক করেছে বলেই সফল।  পাড়ার লোকের করুণার উপর নির্ভর করতে হয় না তাদের।  
     
    অনলাইনে কেনার একটা অন্যতম কারণ হল দাম কম বা সিজনাল ডিসকাউন্ট।  ব্রিটানিয়া ক্রিম ক্র‍্যাকার ২০০ গ্রামের প্যাকেট কোন্নগরের সবকটা দোকানে ৪৫/ টাকা। আমাজন ফ্রেশ আর বিগবাস্কেট দুটোতেই ৪০/- টাকা।  ফলে যারা একটু দেখেশুনে কেনেন সকলেই অনলাইনের এই দুটোর একটা থেকে নিচ্ছেন। ফ্রেশের ডেলিভারির ছেলে আমাকে জিগ্যেস করেছিল এই বিস্কুটটা সবাই নিচ্ছে কেন বলুন তো? আজকেই ১২ প্যাকেট দিলাম। আমি দামের তফাতের কথা বলতেই খুব খুশী হয়ে বলে আমার বাবাও এইটা খায়। আমি এক্ষুণি ২ প্যাকেট অর্ডার করছি। 
     
    জিরেসহ যে কোন আস্ত মশলা + বাদাম (চিনে, আমন্ড, কাজু) আমি অনলাইনেই কিনি। কারণ কোয়ালিটি। একই দামে বা ২-১ টাকা কম দামে কেনা বাদামের মধ্যে একটাও  পোকাধরা বা অল্প পচাটে থাকে না। আস্ত মশলার মধ্যে পাথরের টুকরো, ইটের গুঁড়ো  থাকে না। 
     
    তো পাড়ার ব্যবসায়ীকে তাঁর বিজনেস স্ট্র‍্যাটেজি, জিনিষের কোয়ালিটি ঠিক করতে হবে।  আমাদের পাড়ায় যেমন একটা দোকান নিজেরাই আমাজন ফ্রেশ বা ব্লিংকিট থেকে প্রচুর মাল কিনে খুব সামান্য মার্জিনে বিক্রি করে।  তার মুদি দোকান তো দিব্বি চলে। 
     
    এবারে গুন্ডামি তোলা আদায় আইনশৃঙ্খলার সমস্যা।  কোন্নগরের পুরানো দোকানীদের কাছে।শুনি ২০১১র আগে এক জায়গায় মাসে একবার টাকা দিলেই চলত। কিন্তু এখন বিভিন্ন স্তরে আলাদা আলাদা করে দিতে হয়। এইগুলো সত্যিকারের সমস্যা। ব্যবসায়ী ইউনিয়ানের সমবেত প্রতিবাদ ইত্যাদি দরকার।  পুণের যে অঞ্চলে আমি ১১ বছর ছিলাম সেখানে দোসার ঠেলার মত ছোট টেম্পোরারি ঠেলা ৮-৯ ঘন্টার জন্য লাগাতে ৫০০/টাকা পার ডে দিতে হয় স্থানীয় দাদাদের। এর কোন নড়চড় মাফ নেই।  গুন্ডামি তোলাবাজি ভারতীয় শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ।  এইটা প্রকৃত সমস্যা। কাস্টমার কেন কিনছে না সেটা নয়।  কেন কিনছে না সেটা ব্যবসায়ীকে ঠিক করতে হবে। 
  • Suvasri Roy | ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৩৭538644
  • @দ
    মতামত জানিয়েছেন বলে ধন্যবাদ।
     
    যতটা আমার দেখাশোনা ততটার কথা আরেকটু বলি। প্রথম কথা, generalisation এর বুলডোজার চালাইনি। পাড়ার অতি সাধারণ দেকানগুলোর বিক্রি অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ মার খাচ্ছে অনলাইন কেনাবেচার জন্য। তারা অত লোভনীয় অফার দিতে পারে না- একদম ঠিক। তা বলে অনলাইন কেনাবেচাকে তো আর উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যুগের হাওয়া বইছে, আরো জোরে বইবে। এবার বলি, পাতি মুদীর দোকানগুলো হয়তো শুধুমাত্র সাধারণ মধ্যবিত্ত পাড়াগুলোতেই টিকে থাকবে। অভিজাত এলাকাগুলোর কথা জানি না। 
     
    পাড়ার লোকে ক্রমাগত ধারে খেলে একটা খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে কিনা, বলুন? 
    ব্যবসা অনেক কারণে পড়ে যায়, তা মানি। সচেতন হতে হয়, ঝুঁকি নিতে হয়, কৌশলী হতে হয় তবে ব্যবসা টেকে। ধৈর্যও রাখতে হয় তেমনি ছোটখাটো দোকানদারদের ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের patronizationও জরুরি। 
  • | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৩538674
  • পাড়ার লোকে সমানে ধারে খেলে দোকান উঠে যাবে বৈকি। ওইজন্য কতজনকে কতদিন ধরে কতটা ধার রাখতে দেওয়া যায় সেই হিসেবটা দোকানদারের কাছে থাকা খুব জরুরী।  কতটা ধার রাখতে দিলে পাবলিসিটি আর কাস্টমার রিলেশান ভাল হবে আর কতটা থ্রেশহোল্ড যার পরে লোকসান বাড়বে সেটা খেয়াল রেখে স্ট্র‍্যাটেজি বদলানো দরকার।  যে ধার উদ্ধার হচ্ছেই না সেটা ছেড়ে দিয়ে স্ট্র‍্যাটেজি বদলানো। 
     
    বহুদিন আগে ৯এর দশকে আমি চ্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনালের একটা কোম্পানিতে চাকরি করতাম। সেখানে দুপুরে একজন মিষ্টি বিক্রি করতে আসতেন খন্যান থেকে।  এতদূরে আসেন কেন জিজ্ঞাসা করায় বলেছিলেন স্থানীয়স্তরেই বিক্রি করতেন কিন্তু বহু লোক ধারে খেয়ে যায় শোধ করে না। বলেছিলেন আমার লেখাপড়া হয় নি কিন্তু ছেলেদুটোকে তো পড়াতে হবে, তাই যা গেছে যাক ধরে নিয়ে বাইরে আসি।  এখানে এক দুদিন ধারে খেলেও পরেরদিনই বা হপ্তার মধ্যেই  শোধ করে দেয় সবাই।  একেবারে নার যায় না। ভালই চলছে। 
     
    পাড়ার লোকের পেট্রোনাইজেশান ভাল, তবে ওটাই মেন ভেবে শুরু করলে মুশকিল হবেই। 
     
     
  • | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৪538675
  • *একেবারে মার যায় না
  • Suvasri Roy | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪৯538680
  • @দ
    সব কিছুই ঠিক। তবে পাড়ার রোলচাউমিনের দোকানদার তো আর অন্য জায়গায় নিজের পশরা নিয়ে যেতে পারবেন না। পাড়ার লোকেরাই তাঁর খরিদ্দার। তবে ব্যবসা করতে গিয়ে অতিরিক্ত ধারে না খাওয়ানোই উচিত। নিপাট বাঙালি তথা নিপাট ভালোমানুষ অনভিজ্ঞ ব্যবসাদারবৃন্দ সেটা বুঝলে তো?!.
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2405:201:8000:b13c:6cc5:505:3851:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০৮538717
  • খুব সুন্দর লেখা। একেবারে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
  • Suvasri Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১৬538723
  • @চিত্তরঞ্জন হীরা
    মতামত পেয়ে ভালো লাগছে।
    শুভেচ্ছা রইল। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:d8fb:d0c8:f6a9:***:*** | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৩২538732
  • https://indiaseatradenews.com/?p=86860
     
    পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রির গ্রোথ ভাল বলে শোনা যায়।
  • Suvasri Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৫538742
  • @পলিটিশিয়ান
    শিল্প (Industry) আর ছোটখাটো ব্যবসা তো এক নয়। 
    একটি ইস্পাত বা প্লাস্টিক কারখানার মালিক আর পাড়ার মুদী বা রোলচাউমিন বিক্রেতা এক ধরণের নন। একেক জনের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা একেক রকম। 
    শুভেচ্ছা রইল।
  • | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৮538743
  • রোডসাইড ঠেলা,  খাবার হোক কি খেলনা কিম্বা হরেক মাল কুড়ি টাকা, মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ হিসেবে গণ্য হয়,  স্মল স্কেল  ইন্ডাস্ট্রির অধীনে পড়ে।
  • Suvasri Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৩৫538744
  • @দ
    ওহহ আচ্ছা 
  • সুন্দরীনি | 2401:4900:7521:c5f:3886:f2ff:fe1a:***:*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:০১538749
  • এটা পড়েছেন শুভশ্রী? এরকমও হচ্ছে কিন্তু।
    শহরের দিকে সেল্ফ হেল্প গ্রুপ কেমন কাছ করে, জানেন?
    পাড়ায় পাড়ায় বা কিছু পাড়া মিলে কোন ব্যবসার জন্য এধরণের কোওপারেটিভ হতে পারে। দুধ, মাংসের জন্য মাদার ডেয়ারি তো বেশ পপুলার ফ্রাঞ্চাইজি এখন। রানাঘাট, আরামবাগের দিকেও অনেক কিছু আছে। লোকালি ভাল ডিম, দুধ, মাংস টাংস সাপ্লাই করে। লোকজন সেখান থেকে নিয়ে ঘরে ঘরেও করেন।
     
    Sundarini, a Sundarbans-based milk cooperative and livestock producer, has won international laurels along with the National Dairy Development Board at the third International Dairy Federation at Paris on Friday. The Dairy Innovation Awards 2024 was awarded for sustainable farming practices.Bengal CM Mamata Banerjee congratulated members of the Sundarini cooperative. She posted on X: “I am delighted to share another triumphant tale involving our intrepid Sundarbans women.”“Our milk cooperative Sundarini (Sundarban Cooperative Milk Union & Livestock Producers’ Union) and NDDB have collaboratively secured a prestigious international award from the illustrious International Dairy Federation. The distinguished award was bestowed upon us at the third IDF Dairy Innovation Awards held in the resplendent city of Paris, France on Friday for our Innovative and Sustainable Farming Practices. We emerged victorious from an impressive field of 153 entries from across the globe,” Banerjee wrote.Sundarini, a cooperative milk union under the auspices of the animal resources development department, comprises 4,500 enterprising women farmers in South 24 Parganas district, with a daily milk production of 2,000 litres and processed milk products amounting to 250 kg per day.During fiscal year 2023-24, the milk union generated income of approximatelyRs 4 crore
  • Suvasri Roy | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৯538768
  • @সুন্দরীনি
    এত তথ্য জানতাম না। ধন্যবাদ। 
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫৬538771
  • শ্লেষ... এই লেখাতেই অনেকটা পেলাম কিন্তু।
    সত্যিই ঘেমে নেয়ে যাওয়ার থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় থাকলে সেটা আমি প্রেফার করি, তার সঙ্গে 'আজেবাজে' লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিনিস কেনার কোন সম্পর্ক নেই। বরং জগদীশের দোকানে জিরে কিনতে গেলে দোকানে দাঁড়িয়ে একটা বিড়ি খেয়ে খেজুর করে তরুনদার দোকান থেকে সদ্য তৈরি কাঁচাগোল্লা নিয়ে ফেরা যায়। কিন্তু আজকাল সময়ের আকাল, সিঁড়ি দিয়ে নামতে বেদনার্ত কাঁকাল, আর সকাল থেকেই রাস্তায় মোটরসাইকেলের ভিড়। তার বদলে ঘরে বসে জিনিসপত্র পাওয়া সুবিধে।

    এবার যাঁরা ডেলিভারি দেন, তাঁদের জব কন্ডিশন কী জানি না। সেটা একটা বিষয়। আবার কলকাতায় কী একটা অ্যাপ দিয়ে জিনিস আনাতাম - ওরা দেখতাম চেন (স্পেন্সার ইত্যাদি) না, এমনি বড়সড় মুদীখানা থেকেও জিনিস তোলে। যদিও তাদের নানান ফ্যাচাং, চেকলিস্ট থাকে। সেদিন পড়ছিলাম, আইসক্রিমের ব্যবসা নিয়ে - কেউ একটা ব্যাপক মানের খাঁটি দুধের আইসক্রিমের ব্যাবসা শুরু করে ফতুর হয়েছে - কারন কোয়ালিটি ওয়ালস ইত্যাদির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি - কোয়ালিটি শুর্তেই একটা গামা ফ্রিজ দিয়ে দেয়, সঙ্গে ইলেক্ট্রিক বিল - এই শর্তে, যে ওখানে অন্য কোন ব্র‌্যান্ড রাখা যাবে না। এবার ছোট দোকানে একটা ফ্রিজের বেশি রাখার জায়গা নেই, ওদিকে অফার লোভনীয়। তো, এইসব ব্যাপার আছে, মনোপলি, বঢ় পুঁজির কব্জির জোর। গ্রাহককে দোষ দিয়ে কী হবে।

    তবে অনলাইনে স্কচ আনানোর ঝাম আছে। বয়সের প্রমাণ টমান দিতে হয়। বড়ং ঠান্ডা পানীয়ের বড় বোতল অনলাইনে সুবিধে।
  • Suvasri Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০০:১০538776
  • @r2h
    মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য থেকে অনেক অজানা কথা জানতে পারলাম। এবার বলি, যারা অশক্ত বা কোনো অসুবিধা আছে তাঁরা নিশ্চয় অনলাইন কিনবেন। এটা যদি প্রত্যেকেরই অভ্যাস হয়ে যায় তাহলে পাড়ার মুদীর দোকানদারদের ব্যবসা কমে যেতে পারে। এই বিষয়বস্তু নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। 
     
    আমার লেখাটায় শ্লেষ খুঁজে পেয়েছেন মানে লেখাটায় নিশ্চয় শ্লেষ আছে। শ্লেষ করার প্রবণতা আমাদের প্রত্যেকের মনেই কম বেশি থাকে। কখনো কখনো সেটা লেখার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
     
    শুভেচ্ছা থাকল।
     
     
  • Subhas Ghosal | 2405:201:403a:4041:d4a6:f97f:19ba:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:২৩538807
  • ভালই লেখা তবে সবটাই এতোটা হতাশাজনক নয়. অনলাইন এবং ​​​​​​​অফলাইনে ​​​​​​​র  দুটোর ​​​​​​​ই ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​সুবিধা ​​​​​​​অসুবিধাঃ ​​​​​​​আছে। ​​​​​​​বেশিভাগ ​​​​​​​লোক ​​​​​​​ই ​​​​​​​দুটোই ​​​​​​​করে ​​​​, আমিও তাই  করে থাকি। ​​​​​​​যেটা ​​​​​​​সময় ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​আনালে ​​​​​​​হয় ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​অনলাইন ​​​​​​​হয় ​​​​​​, যেটা ​​​​​​​এখনি ​​​​​​​চাই ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​পাশের ​​​​​​​দোকান ​​​​​​​ভরসা। 
    দেশের ​​​​​​​সর্বত্র ​​​​​​​এটাই  ​​​​​​​চলছে। ​​​​​​​কাছেই একটি ​​​​​​​বড়ো ​​​​​​​ডিপার্টমেন্টাল ​​​​​​​ষ্টোর খুলেছিলেন  একজন চেনে  লোক, বছরখানেক ​​​​​​​চললো , বেশ ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​লাগতো ​​​​​​, এক ​​​​​​​ছাতের ​​​​​​​নিচে সব  ই  পেতাম ​​​​​​. একদিন jabar por দেখি ​​​​​​​মলিক ​​​​​​​আমাকে ​​​​​​​বললেন ​​​​​​, ভাইয়া ​​​​​​​ক্লোস ​​​​​​​করে ​​​​​​​দিচ্ছি ​​​​​​. অত্যন্ত ​​​​​​​অবাক ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​জিজ্ঞাসা ​​​​​​​করতে ​​​​​​​বললেন ​​​​​​​সবাই  Dmart (2 km দূরে খুলেছে  একটা ) গেলে দোকান ​​​​​​​চলবে ​​​​​​​কি ​​​​​​​করে ​? বন্ধ হয়েই গেলো।  Kintu আর একতা মার্কেট এ  এক মধ্য  বয়স্ক দম্পতি একটি ছোটো গ্রোসারি খুব ভালোই চালাচ্ছেন , সেখান  থেকেই কিনি আজকাল. আমি Noida te থাকি। 
     
    বেস্ট  বেঙ্গল যে খাবার রিলেটেড ব্যবসা to ভালোই রমরমা দেখতে পাচ্ছি, আমি গড়িয়া তে থাকতাম সেখানে এখন ki মেই? কষে কষা ও খুলেছে দেখছি ! সারা  রাজ্যে অগণিত হোম স্টে আর হোটেল খুলে  গেছে যেসব জায়গায় কিছুই ছিল  না। কত music cafe খুলেছে , যেখানে ফেসবুকীয় গাইয়ে আর কবি, বাচিক দের নিত্য ছবি দেখি!;না  সবটাই নৈরাশ্যজনক  নয়। 
     
    আসলে ব্যবসার ধরণ আর কায়দা  অনেক বদলে গেছে, এগুলো পুরোনো ভাবে আর চলে  না। 
     
  • Suvasri Roy | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৯538813
  • @Subhas Ghosal
    মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথাগুলো ভেবে দেখব। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:e0c7:ad3f:cfd3:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০১538814
  • হ্যাঁ, ডি-মার্ট নিঃসন্দেহে একটা পোটেনশিয়াল ডিসরাপ্টর। লার্জ ফর্ম্যাট রিটেল স্টোর, লাখ লাখ জিনিষ পাওয়া যায়, সেসবের কোয়ালিটি ভালো, দাম কম। যে সাবানের দাম একশো পঁচিশ টাকা সে সাবানের পাঁচটার প্যাক দুশো পঁচিশে পাওয়া যায়। তাছাড়া চাল, ডাল, আটা, বেসন ইত্যাদি লুজ পাওয়া যায়, সেসবেরও ভালো কোয়ালিটি হয়। আমাদের বাড়ির থেকে অনেক দূরে একটা ডি মার্ট আছে, সেটায় দুয়েকবার গেছি। বাড়ির কাছে যদি থাকতো তাহলে মাসের বাজার ওখান থেকেই করতাম, পাড়ার দোকানে যেতাম না। 
     
    এরকম আরেকটা পোটেনশিয়াল ডিসরাপ্টর আইকিয়া। ব্যাঙ্গালোরের আইকিয়ায় লোকে গিয়ে মিটবল আর কুকি খায়, আরও একগাদা খাবার খায়, তারপর একগাদা ফার্নিশিং আর অন্যান্য জিনিষ কিনে ফেরে। মোটে একশো টাকায় যে মিল্ক ফ্রদার পাওয়া যায়, অতো ভালো ফ্রদার আর কোথাও পাওয়া যায় না। এরকম আরেকটা লার্জ ফর্ম্যাট হলো হোম সেন্টার, ওরা অবশ্য আইকিয়ার ২০% হবে বোধায়। 
     
    তবে এখানে কথা হলো, ইন্ডিয়ার শহরগুলোতে পপুলেশান এতো বেশি আর তাদের সেগমেন্টও এতো বেশী যে ডি-মার্ট, আইকিয়া, হোমসেন্টার, ফিনিক্স মল, অনলাইনে অ্যামাজন, পাড়ার মুদির আর জামাকাপড়ের দোকান, এরা সব্বাই একইসাথে ব্যাবসা করছে। ডি-মার্টের জন্য মুদি দোকান উঠে যায়নি, আইকিয়ার জন্য ফার্নিচারের দোকান উঠে যায়নি। কনজিউমারের চয়েস বেড়েছে। 
     
  • | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৯538822
  • হ্যাঁ ডি-মার্ট অত্যন্ত সস্তা ও পুষ্টিকর। পুণেতে আমি ডিমার্ট থেকেই মাসের বাজার করতাম। আবার বেডকভার বা পর্দা ইত্যাদিও কিনেছি।  লকডাউনের শুরুর দিনগুলো ডিমার্ট আর বিগ বাস্কেটই বাঁচিয়ে রেখেছিল। সেই ডিমার্ট প্রথম হোম ডেলিভারি শুরু করে। 
     
    পুণের বিভিন্ন পাড়ার ভেতরের ছোট দোকানেরা বা হাউসিঙের ভেতরের হোমশপগুলো ডিমার্ট থেকে পুরো গাড়িভর্তি করে জিনিষ কিনে এনে দোকান চালায়। ডিমার্টের জন্য এরা উঠে তো যায়ই নি বরং পাড়ার দোকানে শুনেছিলাম বুধবারপেঠের পাইকারি দোকানের তুলনায় ডিমার্ট থেকে আনতে সস্তা পড়ে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:6858:14d5:7764:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫২538824
  • একদম, ডি-মার্ট থেকে ট্রলিভর্তি করে জিনিস নিতে আমিও দেখেছি, বোঝাই যায় ছোট দোকানিরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে প্রায় এক লক্ষ বছর আগে পাই ম্যাডাম আর সৈকতবাবুর সাথে আমার ভয়ানক তর্ক হয়েছিল, আমি বলেছিলাম ওয়ালমার্ট এলেও আমাদের দেশের ছোট ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি হবেনা, ওনারা বলেছিলেন হবে। তারপর তো মিসিসিপি আর রাইন দিয়ে কতো জল বয়ে গেল। 
  • r2h | 208.127.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪১538826
  • ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতি - এটা একটা ট্রিকি জিনিস। ছোট ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে ডালা তুলে দিয়ে বিগ বাস্কেটের ডেলিভারি শুরু করে বেশি পয়সা রোজগার করলে সেটা লাভ না ক্ষতি, এই লাইনে একটা তর্ক হতে পারে।

    আমি কলকাতায় গাঙ্গুলিবাগান গড়িয়া পাটুলি অঞ্চলে একটাও পাড়ার দোকান উঠে যেতে দেখিনি, যদিও বিগ বাজার স্পেন্সার ব্লিংকিট না কী যেন - তাদের রমরমা। 
    ব্যাপারটা নিয়ে একটু সন্দেহও আছে। আজকাল যেমন ট্যাক্সি লাগলেই ওলা উবের, হলুদ ট্যাক্সির কথা ভাবি না (ভাবতাম, কিন্তু সবার এত ধানাইপানাই যে বিরক্ত হয়ে গেছি), আবার সেদিক থেকে দেখলে, ক'জন ট্যাক্সি চালকের নিজের গাড়ি ছিল? এখন দশটা গাড়ি ওলা ট্যাক্সিমালকের উবের এজেন্সি। তাতে তাঁর ক্ষতি হয়নি, এজেন্সিকেও স্বাধীন ব্যবসা বলা চলে হয়তো। আবার উবের ওলা দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, টোটো - এঁদেরও ব্যবসা ভালোই হয়।

    হ্যাঁ, এই করে বিত্তের অসাম্য বাড়ছে, কারন রিক্সাচালকের আয় আর উবেরের বোর্ড মেম্বারদের স্টক অপশনের বৃদ্ধির হারের তুলনা হয় কিনা, সেটা জানি না, আর এই জিনিসের ভবিষ্যৎ কী, তাও জানি না।

    কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটা সুবিধেজনক।

    খদ্দেরের দিক থেকে দেখলে - আমেরিকায় তো ডোর ড্যাশ করলে টিপ দিতে হয়, দেশে সেই ঝামেলাও নেই, গরমে ঘামতে হলো না, রিক্সা চাপতে হলো না, বিনাপয়সায় ঘরে বসে জিনিস পেয়ে গেলাম। লিশিয়াস থেকে স্যুপ বোন, জলঙ্গী থেকে মৌরলা মাছ, বিগ বাস্কেট ডেইলি থেকে পুরুষ্টু সক্কাল সক্কাল ডাব - পরিস্কার হলো কিনা, বাসী পচা কিনা, সেসব বোঝার জন্য বাজারু হওয়ার দরকার নেই। বয়স্ক, অসুস্থ, ছোট শিশু নিয়ে একা মা - অনেকের নানান সুবিধে।

    লম্বা সময়ে, ভবিষ্যতে, এ কোন দিকে যাবে, জানি না। কিন্তু এসবে খদ্দেরের সুবিধে, তাতে সন্দেহ নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন