এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মানহুঁশের উশখুশ

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৪০২ বার পঠিত
  • সন্তানদের আমরা আমাদের মনের মতো করে গড়ে তুলতে চাই । পরের প্রজন্মকে ভালো ছাত্র ও সুচাকুরে হ'তে বলি আমরা, এই দু'টো লক্ষ্য পূরণ করতে ছোট্ট বয়স থেকে তাদের ওপর কতই না চাপ দিই! শিশুদের শৈশব কেড়ে নেওয়া হয়, ঠিক মতো খেলতে দেওয়া হয় না, খালি পড়া আর পড়া। তার কারণ পড়াশোনায় যত ভালো হ'বে, পরীক্ষার ফল তত ভালো হ'বে। ভবিষ্যতে চাকরিবাকরি করে আরামে থাকার সুব্যবস্থা হ'বে। হ্যাঁ, বেশিরভাগ মানুষ এমনটাই ভাবেন।

    লেখাপড়ার জগৎটা প্রতিযোগিতায় ভরা এবং লেখাপড়া করার উদ্দেশ্য হ'ল নিজে আরামে থাকা। এখানে নিজে মানে নিজের ক্ষুদ্র পরিসরটুকু- নিজের পরিবার। অন্য কেউ যেন তোমার জায়গায় পৌঁছতে না পারে। তাই স্বার্থপর হও। ইস্কুল জীবন থেকে সন্তানদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দিই আমরা। নিজের বই, খাতা, নোট কাউকে দেখাবে না। নিজের জিনিসপত্র কাউকে দেবে না। খালি নিজের কথা ভাববে। অন্য কারুর দুঃখ কষ্ট অভাব নিয়ে মাথা ঘামাবে না। এমন কী অনেকের হাতে একা কাউকে নির্যাতিত হতে দেখলেও সাড়াশব্দ না করে পালিয়ে আসবে। 
       
    ব্যাপারটা এই রকম দাঁড়ায় -সন্তান যেন বাবামায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের যন্ত্র এবং সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে যত দূর সম্ভব তাড়াতাড়ি তাকে স্বার্থপর করে গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু। আমরাই তো তাদের স্বার্থপর হ'তে শেখাই। তাদেরকে শেখাই যে অন্যদের হারিয়ে লেখাপড়ায় ভালো হয়ে বড় চাকরি করতে হ'বে। অথচ পারিবারিক মূল্যবোধ, অন্যের বিপদের সময় নিজের সাধ্য মতন হাত বাড়িয়ে দেওয়া- শৈশব থেকে এসবও শেখানো উচিত। তা না করে আমরা বলি - সহমর্মিতা ভালো না, তাতে তোমার সময় ও পয়সার অপচয়। খালি নিজের কথা ভাব, নিজের পরিবারের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাব। ভুল করি, আমরাই মস্ত বড় ভুল করি।

    এই প্রসঙ্গে নিজের শৈশবের একটা ঘটনা বলি। ক্লাস থ্রি ও ফোর আমি যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুলে পড়েছিলাম। তখন আমরা ও দিকে থাকতাম। সে সময় ফোরে পড়ি, এক দিন মধুমিতা বলে একটি মেয়ে "আমেরিকার পেনসিল" নিয়ে এল। তার মাসিটাসি কেউ আমেরিকায় থাকত। বাড়া পেনসিল দেখে পেনসিলটা দিয়ে আমি রাফ খাতায় কিছু লিখেছিলাম। সেটা লক্ষ্য করে মধুমিতা নামের সেই মেয়েটি চিৎকার করে নালিশ করেছিল- "মিস, শুভশ্রী আমার আমেরিকার পেনসিল দিয়ে লিখে নিল।" তার সেই চিল চিৎকার এখনো আমার কানে বাজে। নিশ্চয় তাকে "আমেরিকার পেনসিল" রক্ষা করার জন্য বাড়ির থেকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিদেশি পেনসিল ইস্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে দেওয়া হয়েছিল কেন তা অবশ্য জানি না।

    পেন, পেনসিল, জিওমেট্রি বক্স, নোটখাতা নিয়ে এরকম ঘটনা স্কুল ও কলেজ জীবনে অনেক দেখেছি। বিশেষ করে মাইনে দেওয়া প্রাইভেট টিউটর বা দামী কোচিং -এর নোট অন্য সহপাঠীর হাতে যেন পড়ে না যায়, তা নিয়ে সহপাঠিনীদের মধ্যে তুমুল সতর্কতা দেখেছি। তবে হ্যাঁ স্কুল-কলেজে উদার মনের কিছু বন্ধুও পেয়েছি। সবাই এক ছাঁচে ঢালা হয় না। 

    যা বলছিলাম, এভাবে বড় হওয়ার পর (আমি অবশ্য এমন লালনপালনকে অমানুষের মতো বড় করাই বলব) সুচাকুরে সন্তান অনৈতিক কাজ করলে আশ্চর্য নয়। তাকে তো ছোট্ট বয়স থেকে শেখানোই হয়েছে, ভালো থাকার জন্যই লেখাপড়া। বড় হয়ে সে যদি মনে করে, আরো সুখস্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য অনৈতিক কাজ করাই যায়; তাহলে তাকে খুব বেশি দোষ দেওয়া যায় কি? তাছাড়া সে দেখছে আশেপাশে অনেকেই এরকম করছে এবং দিব্যি আছে। তাদেরকে কেউ কিছু বলে না। সত্যিই তো সমাজের ভেতর থেকে অনৈতিক কাজকে ধিক্কার জানানো হয় কোথায়? বরঞ্চ অনৈতিকতা যেন সামাজিক স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। ঘুঁষ নেওয়ার সুযোগ আছে তেমন চাকরি পেয়ে যারা নেয় না, তারা নির্বোধ বলে চিহ্নিত। আদর্শ এখন নির্বুদ্ধিতা'র সমতুল্য।

    অতএব আমাদের সন্তানেরা আরো আরো স্বার্থপর হ'বে। শিক্ষিত বাবা-মায়ের সন্তানেরা যেন বেশি স্বার্থপর। তার কারণ, সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে শিক্ষিত বাবা-মায়েদের মধ্যেই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় ভালো এবং তাদের কেরিয়ার ঝকঝকে করে তোলার বাড়াবাড়ি রকম আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে শিশু বা কিশোর সন্তানটিকে আশ মিটিয়ে খেলাধুলো করতে দেন না তাঁরা, আকাশ দেখতে দেন না এমন কি ঠিক মতো ঘুমোতেও দেন না। ফলস্বরূপ তারা স্বার্থপর, একবগ্গা, কুচুটে ও হিংসুটে তৈরি হয়। এগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর কোনো কোনো বাবা-মায়ের হুঁশ ফেরে। তত দিনে অবশ্য সংশোধন করার পথ বন্ধ । বড় গাছকে চারাগাছের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নতুন করে বড় করা কোনো মতেই সম্ভব নয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath mukhopadhyay | ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ২২:২৩538235
  • গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ,তবে এসবের প্রতি চলতি সমাজের খুব একটা সচেতনতা আছে এমন বোধহয় নয়। এই প্রবণতা খুব আদ্যিকালের বিষয় তেমন‌ও নয় । এমন স্বার্থপরতার চর্চা চলছে প্রতিনিয়ত আমাদের খুব চেনা পরিসরে। লেখিকা নিজেই মার্কিনি পেন্সিলের সুবাদে এই নেতিশিক্ষার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ।এই ঘটনার অভিঘাত তাকে বিস্মিত করেছে, দুঃখ দিয়েছে , স্বাভাবিক। কিন্তু ঐ চিল চিৎকার শুনে মাননীয়া মিস্ কী বলেছিলেন তা জানার আগ্রহ র‌ইলো। 
  • a | 49.185.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৫৯538244
  • এইখানে লিখে রাখা যাক যে আমার স্কুলজীবনে আমি সম্পুর্ন উল্টো ঘ্টনা পেয়েছি। সত্যি বলতে কি, আমার প্রায় প্রতিটি ক্লাসমেট নিজে থেকে এগিয়ে এসে তাদের নোট্স দিয়েছে। আমিও দিয়েছি আর নিয়েছি। এটা নব্বইএর দশকের খাস কলিকাতা তথা সল্টলেকের কথা। 
     
    প্রতিযোগিতা ছিলনা তা নয়, কিন্তু তা কখনো অসুস্থ পর্যায়ে যায়নি, ইন ফ্যাক্ট অন্য কেউ ভালো রেজাল্ট করলে খুশি হতেই দেখেছি আর শিখেছি। পুরো ক্লাস একযোগে ভালো করবে এরকম একটা মানসিকতা ছিল। আর সেটা পরে কলেজ জীবনেও দেখেছি। পরীক্ষা বা ইন্টারভিউএর আগে রাত জেগে অন্যকে তৈরী করানো খুব সাধারণ ঘটনা ছিল। 
  • Md M Haque | 202.134.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:১৬538245
  • আপনার সাথে একদম একমত। এখনকার সমাজব্যবস্থা দেখলে মনে হয় মানুষের জন্মটাই হয়েছে লেখাপড়া করে একটা মোটা অংকের কামাই করার জন্য...তাই শৈশব,কৈশর,যৌবন সব ধ্বংস করে দিচ্ছে।.. ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠে প্রতিহিংসা সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনা...আমি যখন ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দেই তখন একটা পাশেরজনকে একটা জ্যামিতি জিজ্ঞেস করেছিলাম...তার উত্তর ছিল "১০ নম্বরের উত্তর তোমাকে দেখিয়ে দিব?!" সে এই বয়স থেকেই কি শিখছে তাহলে...এটা পরবর্তীতে পারীবারিক কলহেরও কারন হতে পারে...
  • Suvasri Roy | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৬538247
  • @Somnath Mukhopadhyay
    মতামত পেয়ে ভালো লাগল। আমার ধারণা, মানুষ বরাবরই স্বার্থপর ও লোভী। তবে এখনকার ভোগবাদী সমাজব্যবস্থায় মানুষ লাগামছাড়া স্বার্থপর হয়ে গেছে এবং সন্তানের মধ্যেও সেটা ঢুকিয়ে দিতে চাইছে। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য সব সময়েই থাকে। 
    ক্লাসে আমার নামে ওই নালিশ শুনে শিক্ষিকা আমাকে বকেননি বা মারেননি এটুকু মনে আছে।
     
    শুভেচ্ছা রইল। 
  • Suvasri Roy | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৭538248
  • @a
    মতামত পেয়ে ঋদ্ধ হ'লাম। আমি নিশ্চয় বলব না যে স্কুল ও কলেজজীবনে যত সহপাঠী পেয়েছি সবাই হিংসুটে । সহপাঠিনীরা আমাকে হিংসা করবে কেন কিন্তু দারুণ ভালো ছাত্রছাত্রীরা পরস্পরকে হিংসা করত- নিজের চোখে দেখা।এমন কি সাপ্তাহিক পরীক্ষাতেও অন্যের ভালো ফল দেখে শুধু বন্ধুদের নয়, বন্ধুদের মায়েদেরও হিংসায় জ্বলতে দেখতাম। এই নিয়ে স্কুলপড়ুয়াদের মায়েরাও নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতেন , হয়তো এখনো করেন। বেশ কিছু মা এই প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলেন, তাও ঠিক। তা সত্বেও সমাজের সামগ্রিক চিত্র এটাই। নিজের দেখা ও শোনার বাইরে কিছু লিখিনি। 
     
    আপনি এরকমটা দেখেননি তা হ'তে পারে। 
    শুভেচ্ছা।
     
  • Suvasri Roy | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪৭538249
  • @Md M Haque
    মতামত পেয়ে ভালো লাগল। ব্যাপার হ'ল- অধিকাংশ অভিভাবকদের হাবভাব দেখে মনে হয়, সমাজে যেন প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কিছু নেই এবং স্কুলজীবন থেকে সেই প্রতিযোগিতার শুরু। নিজে যা জানো, তা কাউকে বলবে না। তাহলেই তোমাকে পেছনে ফেলে সে এগিয়ে যাবে। যেন বন্ধুকে একটা সামান্য প্রশ্নের উত্তর বলে দিলে তোমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে! স্কুলকলেজে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা অনেক দেখেছি। বলতে গেলে শেষ হবে না।
     
    ভোগবাদী সমাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই জঘন্য স্বার্থপরতা মানুষকে নিষ্ঠুর ও আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরে অনেক সময় বাবামায়েদেরও এর তেতো ফল খেতে হ'চ্ছে। কোন মুখে এখন তাঁরা অভিযোগ করেন যে সন্তান স্বার্থপর হয়ে গেছে যখন এই শিক্ষা তাঁদেরই দেওয়া? আমার মতে, সন্তানকে ছোট বয়স থেকে অনেক বিষয়েই সাবধানী হতে শেখানো উচিত কিন্তু লাগামছাড়া স্বার্থপরতার শিক্ষা দেওয়া অনুচিত। 

    শুভেচ্ছা রইল।
     
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪৮538251
  • বিষয়টা ভোগবাদী সমাজের নয়। মাথাপিছু রিসোর্স কম থাকলে , ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থাকবে। 
  • Suvasri Roy | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫১538254
  • @পাপাঙ্গুল
    মতামত শুনে নিলাম।
    শুভেচ্ছা। 
  • শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।। | 2402:3a80:433c:3c76:ac8a:8ca8:205f:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৩৮538272
  • একটু উপদেশ দিতে চাই :
    লেখক নেবেন কি না নেবেন তাঁর ব্যাপার।
     
    এই লেখার বিষয় নিয়েই, শুভশ্রী যদি একটা গল্প, বা বড় গল্প বা উপন্যাস লেখেন, পাঠক অনেক বেশি গ্রহণ করবেন।
    তার ভিতরে যাঁরা সচেতন পাঠক, তাঁরা ঠিকই লেখকের দর্শন উপলব্ধি করবেন কেউবা গ্রহণ করে নিজেকে পাল্টে ফেলতেও পারেন।
     
    কিন্তু, সরাসরি এইভাবে জ্ঞান, উপদেশ কেউই শুনতে চান না, কারোর থেকে।
  • Suvasri Roy | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২৭538274
  • @শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
    মতামত পেয়ে ভালো লাগল। এই লেখা উপদেশ নয়। সমাজকে যে যেভাবে দেখেন, দেখেন। আমি নিজের দেখাশোনার কথা লিখেছি মাত্র। মানুষকে উপদেশ দেওয়ার স্পর্ধা আমার নেই। লোকজন আমার কথা শুনবে কেন?  তেমন প্রত্যাশাও আমার নেই। আজ অবধি কার উপদেশ কে শুনেছে যে আমার মতো এক তুচ্ছ প্রাণীর উপদেশ শুনবে?!
    শুভেচ্ছা।
     
  • Subhas Ghosal | 2402:8100:27e1:29ec:4a3d:9bb2:9e7b:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:২১538423
  • ভালোই হয়েছে লেখাটি। প্রায় 25 30 বছর আগে The Telegraph er রবিবাসরীয় supplement এ  সীমা গোস্বামী এধরণের লেখ  লিখতেন, পড়তাম আগ্রহ নিয়ে। আসলে মধ্যবিত্ত জীবন স্ববিরোধিতায় ভর্তি, এসব আছে ও  থাকবে. তবে খুব  কম সংখ্যক ই  এসব শিক্ষা গ্রহণ  করে।  তাঁরা বাপ  মায়ের সব কিছু নেয়  না। 
  • Suvasri Roy | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৭538424
  • @Subhas Ghosal
    মতামত পেয়ে ভালো লাগল। আমার ধারণা, শ্রেণী নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু বৈপরিত্য থাকে। আমি আরো মনে করি যে ছোট বয়স থেকে সন্তানকে তার মতো করে সতর্ক ও সাবধানী হতে শেখানো উচিত। নিজের জিনিসপত্রগুলোকে যত্ন করতে শেখানো উচিত। কিন্তু তুচ্ছ তুচ্ছ জিনিস নিয়েও লাগামছাড়া স্বার্থপরতার পাঠ দেওয়া ভালো নয় বলেই আমি মনে করি। তবে এটাও ঠিক যে খালি পারিবারিক শিক্ষাতেই সন্তানের স্বভাবচরিত্র গড়ে ওঠে না। বাইরের জগতে ক্রমে ক্রমে অজস্র ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার পর মানুষ নতুন কত কিছুই না শেখে! সেই সঙ্গে সে বাবামায়ের দেওয়া শিক্ষা কিছুটা বর্জন করে, কিছুটা রেখে দেয়। তার পরেও বলব, মূল্যবোধের ভিত্তিটুকু বাবামায়েরই গড়ে দেওয়া উচিত।
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন