এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শশাঙ্ক ও এক ক্ষণিকের অতিথি

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শশাঙ্ক ও এক ক্ষণিকের অতিথি।

    আজ একটি বিশেষ দিন। আজ থেকে আগামী ৫৬ দিন ধরে এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে আমাদের দিবাকর পরিবার। এক নতুন অতিথির আগমন ঘটতে চলেছে। তার এই আকস্মিক আবির্ভাব লগ্নটিকে মাথায় রেখেই এই নিবন্ধটি লেখা হলো গুণমুগ্ধ গুরুভাই ও গুরু ভক্তদের জন্য।

    কোমরের খুঁটে গুঁজে রাখা ট্যাক ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে একটা ছোট্ট হাই তোলে শশাঙ্ক, তারপর আবার নিজের গদিতে বসে বসেই আফিমের নেশায় চোখ বুজে ঘড়ির পেন্ডালুমের মতো দুলতে থাকে। গতকাল বোধহয় আফিমের মাত্রাটা একটু বেশিই হয়ে গেছলো, তাই এমন বিপত্তি। মাসের মধ্যে পনেরটা দিন খুব সতর্ক থাকতে হয়। একটু একটু করে নজরদারির সময় বাড়তে বাড়তে ঠিক পনের দিনের মাথায় এক্কেবারে পূর্ণ চাঁদা দশা, তারপর আবার কমতে কমতে একটা অমা রাতের জন্য ছুটি। সম্বৎসর এভাবে ডিউটি করতে যে খুব ভালো লাগে শশাঙ্কর তেমন ঠিক নয়। একাকিত্ব মাঝে মাঝেই গ্রাস করে ফেলে তাকে, মনে মনে ভাবে, ‘আর একজন সঙ্গী জুটলে মন্দ হতো না।’ কিন্তু চাই বললেই এস্টেটের মালকিন আর একজনকে নিযুক্ত করে পাঠিয়ে দেবে এমনটা কখনোই নয়। তেনার যুক্তি হলো – “মাগ্গিগণ্ডার বাজার। সকলেরই প্রায় নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। এই বাজারে আর একজনকে কাজে লাগালে খরচের বহর অনেকটাই বেড়ে যাবে।সামাল দিতে পারবোনা বাপু ! ও তুমিই ম্যানেজ করে নাও।” বাড়তি খরচের ব্যাপারটা শশাঙ্ক‌ও বুঝতে পারে। এদিকে এস্টেটের অবস্থাও তো তেমন ভালো নয়। যে যেমন পারছে লুটে পুটে নিচ্ছে। শশাঙ্ক মাঝে মাঝেই ভাবে - ‘আহা! ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!’ আর এখন, কেমন পড়তি অবস্থা তাদের ধরা এস্টেটের। তাই শশাঙ্ক একাএকাই রাত পাহারার চাপ সামলায়। মনে মনে এইসব সাতপাঁচ কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখের পাতা দুটো আবার সজোরে এঁটে বসেছে তা টেরই পায়নি শশাঙ্ক। পশ্চিমের গুমটি ঘরের দরজায় হঠাৎ করে ঠকঠকিয়ে ঘা পড়তেই সম্বিত ফিরে পায় সে। নিজের নরম গদি চেয়ারে বসে বসেই সে গলা চড়িয়ে হাঁক পাড়ে—

    - কে? এই অসময়ে দরজায় ধাক্কা দেয় কে?
    - আমি গো আমি। দরজা না খুলে আমার হদিশ পাবে কী করে? আগে দরজা খোল, বাইরে এসো, তবে না মালুম হবে।
    - রোশো, রোশো। লুঙ্গির বাঁধন একটু আলগা হয়ে গেছে। ওটা জম্পেশ করে কষে বেঁধে নিই আগে। ( বাইরে থেকে ফিক ফিক করে হাসির শব্দ ভেসে আসে) হাসছো যে বড়!
    - হাসবো না কি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদব? এতো বড়ো এস্টেটের সবকিছু দেখভালের দায়িত্ব তোমার কাঁধে, আর তুমি কিনা আমাকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখে,সেই থেকে লুঙ্গির খুঁট বেঁধে
    চলেছো? বলি, তোমার লুঙ্গি ক হাতি? তেনাদের মতো আঠারো হাতি নয়তো।( আবারও হাসতে থাকে।)
    - এই, তুমি যেই হ‌ওনা কেন, এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি করে ফেলছো। দাঁড়াও, মজা দেখাচ্ছি তোমায়। ( দরজা খোলে)
    - পেন্নাম হ‌ই আঙ্কেল। সব সময় এমন মেজাজ গরম রাখলে চলে? মেজাজ দেখলে মনে হয় যেন সন্ধেবেলায় বাঙলা সিরিয়াল দেখছি। সবসময়ই চড়া সুর।
    -এ্যাই ছোকরা, তুমি কে হে বাপু? আমাকে আবার আঙ্কেল বলে ডাকছো ! এই দিগরে তোমার বাস বলে তো মনে হচ্ছে না। কী নাম তোমার?
    - আমি হলাম 2024 PT5.
    - (অবাক হয়) এ আবার কেমন নাম? বলি, ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস কোড ব্যবহার করছো নাকি? তা বেশ। বলি কী উদ্দেশ্যে হেথায় আগমন তোমার?
    - উদ্দেশ্য আবার কি? আমি হলাম বিশ্ব বাউন্ডুলে। জন্ম ইস্তক সমানে ঘুরে ঘুরেই মরছি। আর এ তো শুধু আমার একার গপ্পো নয়, লাখো লাখো সংখ্যায় দলবেঁধে এই “এস্টেট ব্রহ্মাণ্ড” পরিক্রমা করে চলেছি আমরা। এই যে তুমি, শ্রীল শ্রীযুক্ত শশাঙ্ক চন্দ্র নিশাবাগীশ, তুমিও তো ডিউটি করার নামে সাড়ে সাতাশ দিনে ধরা এস্টেটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত একা একা পাক মারছো ! সে খেয়াল আছে?
    - সত্যি রে ভাই, তুমিই প্রথম আমার এই টহল বাজির কষ্টের কথাটা তুললে। এসব বিষয়ে কার‌ও খেয়াল আছে বলে তো মনে হয় না। আহা, তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন? ভেতরে এসো। এই গুমটি ঘরটা একটু ছোট বটে, তবে তোমার মতো দু - পাঁচজনের জায়গা দিব্বি হয়ে যায়। তা একটু খুলে বলতো তোমার বেবাক বেত্তান্ত।

    নতুন অতিথিটি গুমটি ঘরের ভেতরে এসে বসে, একেবারে শশাঙ্কর মুখোমুখি ; শুরু করে তার বৃত্তান্ত। অনেকটাই দূরে থাকায় সেসব কথার সবটা আমাদের কানে এসে পৌঁছয় না। ওদের কথা চলছে চলুক। আমরা বরং সেই অবসরে PT 5 এর ওপর নাসা প্রকাশিত এক্সক্লুসিভ রিপোর্টটা একবার নেড়েচেড়ে দেখে নিই। নাসা জানিয়েছে –

    সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে “ধরা এস্টেট” তাঁর দ্বিতীয় টহলদারকে পেতে চলেছে। SSS বা সোলার সিকিউরিটি সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই নতুন অতিথির ইন্টিলিজেন্স কোড নম্বর হলো 2024PT5। ধরা এস্টেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড হয়ে যাবার ফলেই ইউনিভার্সাল এ্যাসোসিয়েশন ফর এ্যাসটরোয়েডস্ তাদের সদস্যদের পরিচিতির জন্য এমন ইউনিক কোডিং ব্যবস্থা চালু করেছে।

    এই মুহূর্তে ড্রাকো কনস্টিলেশন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত 2024PT5 ধরা এস্টেটের সীমান্ত থেকে ১.৯ মিলিয়ন মাইল বা ৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে এইটি একটু একটু করে ধরা এস্টেটের দিকে এগিয়ে আসছে এবং আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর,২০২৪ এই দূর অতিথি আমাদের ধরা এস্টেটের চারপাশে তার স্বল্পমেয়াদি টহলদারির কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে। আসলে ধরা এস্টেটের চারপাশে পাক দেবার জন্য মাঝে মাঝেই এমন অতিথি সদস্যদের লিয়েনে নেওয়া হয়। তবে তাদের কার্যকালের মেয়াদ অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য হ‌ওয়ায় খুব বেশি হৈচৈ হয় না।

    এদিকে দুজনেই গপ্পে বেজায় মজে গেছে। এক‌ই পেশার দু জন এমন মুখোমুখি হবার ফলে এমন‌ই হয়। শশাঙ্ক জিজ্ঞেস করে –
    – হ্যাগো বন্ধু ! কদিনের অতিথি হয়ে এলে তুমি? বছর খানেক নিশ্চয়ই?
    – খেপেছো নাকি? মাত্র ছাপ্পান্ন দিনের ভিসা মঞ্জুর হয়েছে। এই ২৯ সেপ্টেম্বর এলুম, আগামী নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে আবার পুরনো ডিউটিতে ফিরে যেতে হবে।
    – তোমার কি কনট্রাকচুয়াল সার্ভিস?
    – তাহলে আর বলছি কি। এখন আর স্থায়ী কাজের সুযোগ নেই। সব কনট্রাকচুয়াল। অথচ খাটাখাটনিতে কোন ছাড় নেই।
    – অবশ্য তোমার চেহারাটাও তো তেমন দশাসই গোছের কিছু নয় যে পার্মানেন্ট স্টাফ হবে। সিকিউরিটি সার্ভিসের কাজে গায়ে গতরে বড়োসড়ো হতে হয়। তা তোমার ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স কত?
    – তা বটে! আমার কোমরের বেড় ১১ মিটার মানে ধরা এস্টেটের বাসিন্দা লম্বা গলার দুটো জিরাফের সমান। এই ছয় ছোট্ট চেহারার জন্যই তো ধরা ম্যাম খপ্ করে আমায় ধরে ফেলতে পারলো। গায়ে গতরে আর একটু বড়সড় হলে থোড়াই আমার নাগাল পেতো !
    – ভালোই হয়েছে। তোমার চেহারা আরও বড়সড় হলে আমিইতো ভয় পেয়ে যেতাম। আগস্ট মাসে যখন ইমার্জেন্সী কল এলো যে আর্জুনা গ্রুপের একজন সদস্য ধরা এস্টেটের দিকে ধেয়ে আসছে,তখন থেকেই তো থেকে থেকে সাইরেন বাজিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাই এখন সবাই তৈরি। লোকজন সমানে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাচ্ছে আমাকে – “শশাঙ্ক, আমরা কি খালি চোখে তোমার নতুন বন্ধুকে দেখতে পারব? তাড়াতাড়ি জানিও।”
    – না না,খালি চোখে আমাকে দেখা যাবে না। আমি স্বপ্রভ বা সুপ্রভ কোনটাই ন‌ই। আমার জ্যোতিপ্রভার মাত্রা ২২। সুতরাং রাতে আমাকে আম জনতা খুঁজেই পাবেনা। কেবলমাত্র বিজ্ঞানীরাই আমার এই ছুটে চলার খোঁজ পাবে ৩০ ইঞ্চি মাপের দূরবীনের সাহায্যে।

    – ওসব নিয়ে বাপু আমার তেমন মাথা ব্যথা নেই। তোমাকে নিয়েতো আমাকেই ঘোরাঘুরি করতে হবে। ভাবছি একটা রিল বানাবো তোমাকে নিয়ে। ভালো ভিউয়ার পাব ইউ টিউবে আপলোড করতে পারলে। তার আগে অবশ্য গুরুর পাতায় একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে আমার গুরুভাই পাঠকদের জন্য। দেখা যাক্।

    শশাঙ্ক তার নতুন সহচরকে নিয়ে টহলদারির জন্য এখন ওদিকপানে চলে গিয়েছে। এই সুযোগে আরও কিছু কথা সেরে নিতে হবে। গত আগস্ট মাসের ৭ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার ATLAS telescope বা Asteroid Terrestrial - impact Last Alert System দূরবীন প্রথম পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা 2024PT5 গ্রহাণুর খবর দেয়। অনেকেই হয়তো জানেন যে সৌর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো গ্রহাণুপুঞ্জ বা asteroids রা। এক সুবিশাল বলয়ের আকারে এদের অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝের জায়গাটাতে। আকারের দিক থেকে এরা তেমন বড়োসড়ো এমনটা হয়তো নয়, তবে কখনো কখনো দিবাকরকে ঘিরে ঘুরতে ঘুরতে পথচ্যুত হয়ে ঢুসিয়ে দিতে পারে আমাদের বাসার দেওয়ালে। তখন কিন্তু একটা বড়ো মাপের ঝাঁকুনি লাগতে পারে। এদের খালি চোখে দেখা যায় না। কেবলমাত্র দূরবীনের আরশিতেই এদের দেখা মেলে।

    সৌর পরিবারের সবথেকে বড়ো গ্রহাণুটির নাম হলো 2001KX76। এছাড়াও রয়েছে সেরেস, হাইজিয়া, ভেস্টা,প্যালাস নামের আড়ালে থাকা গ্রীক পুরাণের আশ্চর্য সব চরিত্ররা গ্রহাণুর পরিচয়ে।

    আমার গল্প আপাতত এখানেই শেষ। নটে গাছটি শেষ পর্যন্ত মুড়িয়ে গেলো কিনা তা মনখুলে জানান। জানবেন জানার কোনো শেষ নাই, জানিয়ে তাই আনন্দ পাই। জয়গুরু।

    লেখাটা পড়ে ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ রইলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:7068:4fd0:837a:f0ef:c5c4:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৩538115
  • দারুন  লেখা .  পড়ে  অনেক  সমৃদ্ধ  হলাম . অত্যন্ত  আকর্ষণীয়  লেখা টি !  এরকম  আরো  চাই .  অনবদ্য !
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:d524:3b03:9a4f:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫538116
  • রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কথালাপের ছলে জটিল বিষয়ের উপভোগ্য উপস্থাপন। লেখককে ধন্যবাদ।
  • রাজীব  | 2409:4060:e8b:ad6::fb0a:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪২538118
  • অসাধারণ লিখেছেন দাদা. সহজ ভাবে একদম. 
    আরো অনেক এরকম লেখার অপেক্ষায় রইলাম। 
    প্রণাম .
    রাজীব 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:107a:688a:8000::***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৩538132
  • অনবদ্য। পড়ে একটা তথ্য জানলাম, ও তেমন বিরাট কিছু না।কিন্তু মনটা ভরে গেল পরিবেশনার গুনে। অভিবাদন!! 
    এমন লেখকের কাছে একটা অনুরোধ করাই যায়।চাঁদের  বাড়া কমা ,বিভিন্ন সময় আকাশের বিভিন্ন স্থানে উদিত হওয়া, অস্ত যাওয়া  এটি  কিভাবে হয় জানার খুব ইচ্ছে। কিন্তু তেমন সহজ করে পাইনি কোথায় ।আমাদের জন্য একহাত হবে নাকি?
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৫538136
  • অসাধারণ লিখেছেন দাদা. সহজ ভাবে একদম. 
    আরো অনেক এরকম লেখার অপেক্ষায় রইলাম। 
    প্রণাম .
    রাজীব 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন