এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • চুনীবধ কাব্য

    Sarthak Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জুন ২০২৪ | ১৮০ বার পঠিত
  • চুনী (১):

    দরজায় কড়া পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখি, মধ্যরাত। আষাঢ়ের এই ঝোড়ো বৃষ্টির মধ্যে কে এল, ভাবি। ক্লায়েন্ট? তড়িঘড়ি জামাটা গায়ে গলিয়ে নিয়ে দরজা খুললাম। খুলে দেখি, এ যে চন্দ্রা। ও বাবা, একেবারে ভিজে স্নান করে গেছে। দাঁড়িয়ে রইলে যে, ভিতরে এসো। চন্দ্রা নিঃশব্দে ঘরে ঢুকল।

    ফিরে এলে তাহলে, হ্যাঁ? অবশ্য কোথায়ই বা যাবে? একটা বেশ্যাকে কে-ই বা ঠাঁই দেবে বলো? যাক যে, এসেই যখন পড়েছ, তখন আর ক্ষোভ পুষে রাখার মানে হয় না। কাল থেকে কাজে লেগে পড়বে। আজ অনেক রাত হল, ভিজেও গেছ, গরম জলে স্নান করে ঘুম দিয়ে নাও। 
     
    চন্দ্রা আকস্মাৎ কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বললে, ঘুম যে আসবে না। তোমায় সাহায্য করতে হবে। আমি জড়িয়ে ধরলাম তারে, ঘরের মেয়ে তাহলে ঘরে ফিরল। কাছে টেনে নিলাম, ঠোঁটের সাথে মিশে গেল ঠোঁট। হঠাৎ বুকটা কেমন চিনচিন করে উঠল। সারা শরীর যন্ত্রনায় ফেঁটে পড়ছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম।
     
    একটু যন্ত্রনা হবে। চন্দ্রা নির্বিকার। তবে চিন্তা কোরো না। কিছুক্ষণেই সব যন্ত্রনা মুছে যাবে।
     
    এটা... এটা কি করলে?
     
    আমি দেবকে ভালবেসেছিলাম চুনী। ভালবেসেছিলাম।
     
    সে:
     
    যখন তোমার সাত বছর বয়স, মা পালিয়ে গেছিল। পরপুরুষের সাথে। বাপরে সেদিন শুধিয়েছিলে, বাবা, ও বাবা, মা কোথায়? জড়ানো, অশ্রুমিশ্রিত কণ্ঠে বাপ উত্তর করেছিল, পালিয়ে গেছে। খানকী মাগী পালিয়ে গেছে। মনে পড়ে, দেব? মনে পড়ে।
     
    মনে পড়ে তোমার পিঠের ওপর সেই অজস্র আঁচড়ের দাগ, মধ্যরাতে ঘুম-চোখের বিভীষিকা সেই চিৎকারের কণ্ঠস্বর? মনে পড়ে। মনে পড়ে সেই হোটেলের বিলগুলি যা খুঁড়ে বের করেছিলে তার কোটের পকেট থেকে চার পেগ বেশি হয়ে যাওয়ার পর, যখন পার্বতী ছিল অফিসে, রক্ত জল করে ঘাম ঝরিয়ে তোমার আর তোমার ছেলের ফাইফরমাইশ মেটাচ্ছিল? মনে পড়ে। তোমার টাকায় সংসার চলে না, তাই এ ব্যাপারে তোমার কিছু বলা সাজে না।
     
    দেখো। শ্রী কাঁদছে। তিনমাসের শিশুটিকে মায়ের দুধ দিতে এনে পারবে? পারবে বুকে আগলে নিতে? পার্বতীকে খুঁজতে যেও না। সে এখন অন্য কাউকে দুধ খাওয়াচ্ছে, অন্য কাউকে টেনে নিচ্ছে বুকে। মাগী, মাগী, খানকী মাগী একটা। মনে পড়ে, শেষ কবে আদর করেছিলে তাকে? না, মনে পড়ে না। শেষ কবে গায়ে হাত তুলেছিলে? বেশ্যা বলে ডেকেছিলে মদ খাবার পয়সা দেয়নি বলে? পড়ে। আদর করা কাকে বলে, মনে পড়ে তোমার? জানো না। জানতে চাও?
     
    বেশ, তবে তাকাও মেয়েটার মুখের দিকে। সুন্দরী, তাই না? মনে পড়ে, মাকে? মা-ও তো সুন্দরী ছিল। এটা তো বেশ্যা। মা-ও কি তবে বেশ্যা ছিল?
     
    তার:
     
    হায় ভগবান, এটাও মাতাল। এই নিয়ে আজকে তিনটে হল। খাটের পাশে একটা ছোট্ট দোলনা। একটা ফুটফুটে মাস চারেকের শিশু কাঁদছে। দেখলে, ভাইয়ের কথা বড্ড মনে পড়ে, তাই না? জানলার বাইরে তাকালেই অন্ধকার কুঁয়াশার ফাঁকে ফাঁকে নিওন-স্নাত বিল্ডিংগুলো। কলকাতা ভালোবাসার শহর। প্রাণের শহর। উৎসবের শহর। আর তুমি? তুমি এখানে কিচ্ছু না। কেউ না। খেলনা মাত্র। লোকে খেলবে। আনন্দ করবে। দু'পয়সা ফেলবে। ব্যস।
     
    বাপির কথা মনে পড়ে খুব, তাই না চন্দ্রা? না চাইতেও মনে পড়ে। মনে পড়ে, সেই গুলির শব্দ। সেই রক্তের দাগ। সেই মায়ের নগ্ন মৃতদেহ। তোমার ন্যাংটো শরীরে মুসলমানদের আঁচড়-কামড়ের দাগ। মনে পড়ে, বিনিসুতোর বর্ডার পার। ভাইটাকে আর কোনোদিন খুঁজেই পেলে না। না, ভেবো না চন্দ্রা, ভেবো না। ভেবে হবেটা কী, বলো? এটাই তোমার ঘর, এটাই তোমার স্বামী। আর এটাই তোমার নিয়তি।

    আর স্বামী। ওটা একটা শুয়োরের বাচ্চা। বউয়ের শরীর বেচে খায়। ওর অনেক বউ আছে এরকম। এমন বাপ মেয়ে মানুষ করবে কী করে? ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। ভেবো না চন্দ্রা, ভেবো না। তুমি আছো তো। মেয়েটা পড়বে। অনেক বড় হবে। নিজের জগৎ নিজের হাতে করে সাজিয়ে নেবে। কারোর বীচির নোনাজলে স্নান করে নয়।
     
    মাতালটা জড়ানো গলায়, ঈষৎ কৌতূহলে, তোমার পলা হাতড়ে জিজ্ঞেস করে, বিবাহিত?
     
    হুঁম।
     
    বেশ, বেশ। আমিও। তা, বলি...
     
    হুঁম, বাবু?
     
    ছেলেমেয়ে আছে?
     
    থমকিও না। চুনী বাপ কি না সে বিষয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। কিন্তু তুমি তো মা।
     
    মেয়ে আছে। রাজলক্ষী নাম। বছর সাতেক বয়স।
     
    আমারটার নাম শ্রীকান্ত। বলে কিছুক্ষণ থামল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তারপর হাউমাউ করে লুটিয়ে পড়ল তোমার কোলে। কোনো মাতাল তো আজ পর্যন্ত এরকম করেনি! তাও আবার এরকম মধ্যবয়সী। বলতে হয়তো অনেক কিছুই চাইলে, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বেরোলো না তোমার। কি করবে তাহলে? পয়সা নিয়েছ তো, কিছু একটা করো। অন্তত মাথায় হাত বুলিয়ে দাও একটিবার। 
     
    সে:
     
    দেখো, দেব। তোমার চোখের জলের দাম আছে। কত যত্নে, নিঃশব্দে তোমার চোখের জল ধরছে সে।
     
    আমার নাম দেবদাস। তোমার নাম কি?
     
    চন্দ্রা। মেয়েটি ফিসফিসিয়ে বললে, চন্দ্রমুখী।
     
    না, আর কেঁদো না, দেব। আর দূরে থেকো না। রেডিওটা চালাও। এসময় ভালো ভালো গান দেয়, পুরোনো দিনের। কাছে টেনে নাও চন্দ্রমুখীকে। আদর করে করে তোলো চন্দ্রমল্লিকা। তার কানে কানে বলো, সোনা বউ আমার। আমার মিষ্টি বউ। দেখো, তার গাল এখন তোমার পিঠের মতোই লাল, টুকটুকে। দেখো, শ্রী আর কাঁদে না। শুধু আদ্যিকালের রেডিও থেকে ভেসে আসে আশা ভোঁসলের কণ্ঠস্বর।
     
    ছায়া নীল সীমানায়, ছড়ায় সোনা সূর্য মেঘের গায়ে
    ডাকে আয়, আয় রে আয়...
     
    চারিদিকে তাকাও। কেউ নেই। শুধু তুমি, চাঁদের আলো, আর তোমার এক রাতের বউ। এটাই সুযোগ। তুমি নারায়ণ মুখুজ্জে হবে না। দেবদাস মুখুজ্জেও না।
     
    চুনী (২):
     
    আজকাল দেবদাকে ঠেকে দেখাই যায় না। এদিকে আবার চন্দ্রার কাছে একটু বেশিই ঘুরঘুর করছে। চন্দ্রারও ঘরের চেয়ে বাইরেই সময় কাটে বেশি। কখনও ভিক্টোরিয়া, কখনও ঢাকুরিয়া লেক। গতকাল রাত্রে ঘরের দরজায় আড়ি পেতে শুনি, ব্যাপার বেগতিক।
     
    চন্দ্রা, আমায় ছেড়ে যাবে না তো? আমি আর কক্ষনো মদ ছোঁবো না। কক্ষনো না।
     
    চন্দ্রা উত্তরে কিছু বললে না বটে, কিন্তু তার চাপা হাসিই বলে দিল যা বলার। ব্যবসা মার খাচ্ছে। হাল ফেরাতে হলে দেবদাকে সরানো দরকার। দেবদা টাকা দেয়। সোজাসুজি কিছু বলাও যায় না। অতঃএব চন্দ্রাকেই ধরতে হবে। সুযোগ বুঝে চন্দ্রাকে একান্তে ডেকে বললাম, বুঝলে চন্দ্রা, দেবদাসের সাথে আর দেখা করা চলবে না। চন্দ্রা মুখে কিছু বলল না। তবে বুঝলাম, ওষুধ ছাড়া জ্বর সারবার নয়। 
     
    দু'দিন পর মাঝরাতে দেবদার মেসেজ এল চন্দ্রার ফোনে - চন্দ্রা, পার্বতী অবশেষে ডিভোর্স ফাইল করেছে। আমিও সই করে দিয়েছি। আমি গাড়ি নিয়ে আমাদের স্পটে অপেক্ষা করব, ঠিক দুপুর বারোটার সময়। আজই বিয়েটা করে ফেলি। রেজিস্ট্রি করব, চুনীর সাথে তো তোমার আইনি বিয়ে নয়, ঝামেলার কিছু নেই। তোমায় আর ওই জাহান্নমে ফিরতে হবে না। এই দু'দিন তোমার সাথে দেখা না হয়ে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। লক্ষ্মীকে নিয়ে চলে এস। শ্রীকে নিজের হাতে মানুষ করা হলো না বটে, কিন্তু লক্ষ্মীকে কোনো কষ্ট আমি পেতে দেবো না।

    চন্দ্রা ক্লায়েন্টের সাথে ব্যস্ত। মেসেজটা উড়িয়ে দিলাম। ঠিক করলাম, আমিই যাব। সদলবলে। দুপুর বারোটা নাগাদ। এত বছর এ ব্যবসা করছি। চন্দ্রা আর দেবদার স্পট আমার জানা আছে। 
     
    দেবের মৃত্যুর খবর পেয়ে চন্দ্রা যেন পাগল হয়ে গেল। জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে লাগল, বেশ কয়েকবার আমার গায়ে হাতও তুলল। দেবদাসের সংস্পর্শে সাহসটা বড্ড বেড়েছে দেখছি তোমার! জুতিয়ে সিধে করে দিলাম রেন্ডির বাচ্চীটাকে। পরদিন থেকে চন্দ্রা নিখোঁজ। শয়ে শয়ে লোক লাগিয়েও তারে খুঁজে পাওয়া গেল না। কিন্তু ঘরের মেয়ে আজ ঘরে ফিরেছে। দিন পনেরো পরে। দেবদাসের মৃত্যুর হিসেব নিতে।
     
    লক্ষ্মী ঘুমোচ্ছে। আমার আর নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। চন্দ্রা এগিয়ে গেল লক্ষ্মীর দিকে। আমি আঁতকে উঠলাম। দেখো, দেখো চন্দ্রা... তোমার ঝামেলা আমার সাথে, লক্ষ্মীকে এর মধ্যে জড়াও কেন? ওইটুকু একটা বাচ্চা...
     
    বড় হয়ে কি করবে লক্ষ্মী? আমার মতো শরীর বেচে খাবে? আমার দ্বারা তো হল না। না পড়াশোনা হল, না কোনো হাতের কাজ জানি। দেবও নেই। ওরে আমি খাওয়াব কি, আর পড়াব কি?
     
    আমি আছি তো... আমার কথা একটিবার শোনো। আর এই ব্যবসা করব না। সব কিছু নতুন করে শুরু করব। চন্দ্রা...
     
    চন্দ্রা মৃদু হাসল। বাঁচলে তবে তো এসব কথা। আলতো করে ছুঁচটা ফুটিয়ে দিল লক্ষ্মীর গায়ে। ব্যাস, বর আর মেয়ে ডান। এবার তাহলে বউয়ের পালা।
     
    চারদিকটা কীর’ম অন্ধকার হয়ে আসছে... শীত করছে, ঘুম পাচ্ছে ভীষণ।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন