আদর আপ্যায়ন
লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
কেলে পাড়ার গ্রাম্য পরিবেশ
গাছে গাছে পাখিদের গান
মাঠে মাঠে আলু আর আলু
সরল সোজা চাষিদের মন।
এলাকার ভূমিপুত্র দীপঙ্কর পোড়েল
সমাজের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক।
স্বর্ণপদকে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল
বাংলার মানুষ মনে রেখেছে তার।
এলাকায় সার্বজনীন বাৎসরিক
কালীপুজো-চব্বিশ উপলক্ষে ঘরে
ঘরে চলে মহা ধুমধামের উৎসবে
বাড়ির বধূরা রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
দূরের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব
প্রত্যেক বাড়িতে আগমন ও আপ্যায়ন।
এলাকার ঐতিহ্য মাছ-মাংস আর
বাড়ির বিভিন্ন ছাদে মদের আসর।
হাজার হাজার আবাল বৃদ্ধ নর নারীর মধ্যে
দিয়ে পুরোহিত মশাই পুকুর থেকে যজ্ঞের
জল পূর্ণ ঘট মাথায় নিয়ে দুই হাত মুক্ত করে
নৃত্যের তালে তালে এক কিলোমিটার পথ চার
ঘণ্টা নৃত্য কলায় কালি মন্দিরে নিয়ে আসে ।
মন্দির প্রাঙ্গণে মিউজিকের তালে তালে
নেশাগ্রস্ত মানুষের উদাম নৃত্য চলতে থাকে।
পূজার শেষ মুহূর্তে বহু পাঁঠার আগমন ঘটে
পূর্ণ লাভের আশায় বলির পাঁঠা নিয়ে টানাটানি।
দীপঙ্কর পোড়েলের আহ্বানে শংকর হালদার শৈলবালা (নদীয়া),অর্ণব দত্ত, সহদেব দোলুই, রাজেশ মন্ডল (কলকাতা), সৌরভ গাঙ্গুলি, সুপ্রিয় ব্যানার্জি ও সুমন কোদালি কেলেপাড়া,রানী পুকুর পাড়া বাড়িতে আসে।
সাহিত্য চর্চা গান আর মিউজিকের তালে তালে
প্রসাদী পাঁঠার মাথা আর মাংস খেয়ে সবাই কালী মাতার জয় বলে কারণে আনন্দের জোয়ারে ভাসে।
শংকর হালদার অসুস্থতার কারণে শুয়ে পড়ে।
দীপঙ্করের পিতা পলাশ মাতা টিয়া ও ভাই সুদীপ
কর্মজীবনে চাষাবাদ করে সকল কে খুশি রাখতে চাই।
পিতা মাতা ছেলেদের নিয়ে বহু স্বপ্নের জাল বোনা,
বেকার দীপঙ্কর সাহিত্য সম্মান নিয়ে ঘর করেছে ভর্তি।
রোজার মাসে রোজাদার মোবারক শেখ হয় পরিচয়
ইফতারের নেমন্তন্নে পিয়াজি চপ বহু ফলের সমাহার।
রাতের খাবারে চিংড়ি মাছ মুরগির মাংস আর দই মিষ্টি
দোতালা ঘরের রুমের মেঝেতে বসে তিনজনে খাওয়া।
সনৎ দাসের সেলুনের দোকানে সকাল সন্ধ্যা আড্ডা
সাহিত্যিক না হলেও রসিক বটে সাহিত্যের কথা শোনে।
মোবারক শেখ জাতি ধর্ম ঊর্ধ্বে তুলে সবার সাথে সঙ্গ
মুসলিম ধর্মের গোঁড়ামি নেই তার পরিবারের মধ্যে।
সুমন কোদালি বাড়িতে গিয়ে ক্লান্তি আর অস্বস্তি বাড়ে।
শুকনো দামোদর নদী দর্শনে সমস্ত ক্লান্ত দূর করে দেয়।
দীপঙ্করের পিতা-মাতার আদর আপ্যায়নে ২৩ থেকে ২৯ মার্চ ২৪ থাকা-সাত ঘন্টার রাস্তা দত্তপুলিয়া রওনা।
◆ রচনাকাল :- ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে। ◆ স্থান :- রানী পুকুর, কেলেপাড়া, তারকেশ্বর, হুগলি। দীপঙ্কর পোড়েল মহাশয়ের বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।