এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   সমাজ

  • পূর্ববঙ্গে ভূমিসংস্কার !

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ০৭ মার্চ ২০২৪ | ১৩৭৮ বার পঠিত
  • বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণীর পণ্ডিতরা বলে থাকেন দেশভাগের সময় হিন্দু জমিদাররা ভারতে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবেই ভূমিসংস্কার হয়ে গেছে, আলাদা করে ভূমিসংস্কার করতে হয়নি! পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবী পণ্ডিতকুলের অনেকেই একথা বলেন!
    এই অসামান্য তত্ত্বের সারবত্তা(!!!) নিয়ে আলোচনা করলেন বাংলাদেশের লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদ।

    -----------------------------------------------------------

    আমাদের দেশে একদল ধূর্ত লোক হিন্দুবিদ্বেষ ছড়ানোর জন্যে একটা ফালতু গল্প বলে। গল্পটা হচ্ছে যে পূর্ববঙ্গে জমিদাররা ছিল হিন্দু, ওরা মুসলমান প্রজাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করেছে ইত্যাদি। এই কিসসাটা ফালতু কেন? বলি। 

    প্রথমত জমিদার ও প্রজাদের যে সম্পর্ক সেটাতে তো কোন হিন্দু মুসলমান নাই। জমিদার প্রজাকে শোষণ করবে এবং শোষণ বজায় রাখার জন্যে অত্যাচার করবে। জমিদার যদি হিন্দু হয় তাইলে সে কি হিন্দু প্রজার কাছ থেকে খাজনা আদায় করবে না? দেবীসেন কি হিন্দু প্রজাদেরকে খাজনা না দিতে পারলে চুমা দিত? অথবা উল্টাটা ধরেন। জমিদার যদি মুসলমান হয় তাইলে সে কি কেবল হিন্দু প্রজা ধরে ধরে খাজনার জন্যে অত্যাচার করতো? মুসলমান জমিদার হলে কি মুসলিম প্রজাদের খাজনা মওকুফ করে দিতো? 

    জমিদার ও প্রজার সম্পর্ক হচ্ছে শোষক ও শোষিতের সম্পর্ক- এখানে কোন হিন্দু মুসলমান নাই। যারা এইগুলিকে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক বলে চালাতে চায় ওরা আসলে সম্পর্কটা যে শোষণের সম্পর্ক সেটা আড়াল করতে চায়। অন্যভাষায় বললে, ওরা ধর্মকে ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সামন্তবাদি ব্যবস্থাটাকে জায়েজ করে।  

    দ্বিতীয়ত, পূর্ববাংলার জমিদাররা কি সকলে হিন্দু ছিল? জি না জনাব। সকলে হিন্দু ছিল না। মুসলিম জমিদারও ছিল। আর আপনি হিসাবটা শুধু পূর্ববঙ্গে সীমাবদ্ধ রাখবেন কেন? ইংরেজদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় ভারতের নানা জায়গার যারা জমিদারি পেয়েছে ওদের মধ্যে হিন্দুও ছিল, মুসলমানও ছিল। বাংলায়ও মুসলিম জমিদার ছিল, তবে বাঙলার বাইরে মুসলিম জমিদার বেশী ছিল। জমিদারদের কাজই ছিল খাজনা আদায় করা- যত বেশী খাজনা জমিদারের তত বেশী মুনাফা। আর নির্ধারিত অংকের খাজনা ইংরেজদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে তুলে দিতে না পারলে জমিদারি নিলাম হয়ে যেত। তাইলে জমিদারিরা কি ধর্মভেদের খাতির বা অত্যাচার করবে? 

    এইরকম ধূর্ত লোকেরা 'হিন্দু জমিদারের মুসলিম প্রজা' এই ফালতু তত্ত্বটা এতো সফলভাবে ছড়িয়েছে যে আমি মাঝে মাঝে কিছু শিক্ষিত বুদ্ধিমান লোককেও বলতে শুনি যে হিন্দু জমিদাররা মুসলিম প্রজাদেরকে শোষণ নির্যাতন করতো সুতরাং হিন্দুরা খারাপ। মধ্যবিত্ত মূর্খ সমাজে অনেক জনপ্রিয় এরকম লেখক অনেককে জানি, যারা এইসব বাজে কথা বলতো, ওদের চ্যালারা এখনো বলে। ফালতু লোক সব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • :X | 185.106.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৩742551
  • চাড্ডির পো এসব গবেষণা ফনা বোঝে ফোঝে না। গলগলে ইসলামোফোবিয়া নিয়ে হোয়াপে আসা মেট্রিয়াল কপিপেস্ট মারে। এটাকে সেরেফ গদাম দিতে হয়। সেরেফ গদাম। এটাকে জিগেস করা হয়েছিল তুই মাল তসলিমার
    জন্য কোথায় লিখেছিলি সেসময় লিং দে, দিতে পারে নি। কোন মিছিলে গেছিলি বল, বলতে পারে নি। এটাকে দেখলেই ক্যাৎ ক্যাৎ করে লাথানো উচিত।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1516:578:5634:1232:***:*** | ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:০০742553
  • :x, ঠিক বলেছিস শুয়োরের বাচ্চা।
    পূর্ববঙ্গের অসহায় মানুষের কথা বলা মানে ইসলামোফোবিক! 
     
    মেঘনাদ সাহা, হীরেন মুখার্জি, সত্যেন বোস, রমেশ মজুমদার, যদুনাথ সরকার; সবাই ইসলামোফোবিক! 
    আম্বেদকর ইসলামোফোবিক! 
     
    একমাত্র সত্য ছাগলের নাচ!
  • bhou | 2a04:52c0:129:c0c1::***:*** | ১৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:১০742556
  • এই ইকোচেম্বারে বেপাড়ার কুকুর দেখলে দল পাকিয়ে তেড়ে আসার ট্রেন্ডটি বেশ ইয়ে
  • :-) | 2a0e:e701:1198::***:*** | ১৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩৭742559
  • সুদূউউর Alkmaar  থেকে ভৌ যে! আবার কিছু চুরি করতে নাকি?
  • দীপ | 2402:3a80:a15:8f4f:0:5e:dba5:***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৩742561
  • দীপ | 2402:3a80:a15:8f4f:0:5e:dba5:***:*** | ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৪742562
  • এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই সে সাম্প্রদায়িক, চাড্ডি, বিজেপির লোক!
  • দীপ | 2402:3a80:a31:4fd9:0:4f:4d21:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:২৪742665
  • ফেসবুক থেকে Chakraborty Samrat এর লেখার নির্বাচিত অংশ। কিছু গালাগাল আছে, সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে মহাবিপ্লবীদের ভণ্ডামো খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন, যেটা দরকার।
     
    "এপারের বাংলা ওপারের বাঙালি হিন্দুদের নির্যাতনে চুপ।কিউবা, ভেনেজুয়েলার, কিম, কাস্ত্রো, চীন-রুশ কত কিছু নিয়েই তো বিক্ষোভ সেমিনার হয়।বাঙালি হিন্দুর নির্মম পরিণতি নিয়ে সব কেমন হিরন্ময় নীরবতা!
     
    শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, অধ্যাপকদের বিরাট অংশ পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান।জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।অর্থ, প্রতিপত্তি কিছুই তো কম নেই।তবুও এঁরা চুপ।কেন?হয়তো সুশীলত্ব হারানোর ভয়ে। 'বিজেপি' তকমা জুটবে।
     
    এক সুশীল বাম যেমন আশ্চর্য হয়েছেন। হনুমান কেন? দুগ্গা পুজোয় হনুমান!অথচ একবারও বিস্ময় প্রকাশ করেনি যে জাতি কুকুর বেড়ালের মতো বাঁচে তাঁদের পক্ষে পাক কিতাব পায়ের নীচে রাখা সম্ভব?কেউ ভাবতে পারে?ভেবেছে কোনও দিন? কেউ ভাবেনি।
     
    জেহাদী গুরু ফরহাদ মজহারের মিনি ব্লগ এই সব মনোভাবের তাত্বিক পূর্ণতা দিয়েছে।দেখে আসুন। এপারের ঔপনিবেশিক শক্তি বিরোধী শুয়োরের বাচ্চা বিশ্ব চোদ নন্দ থেকে ক্ষনিকের পুত্র সিংহ কি প্রবল উৎসাহে জেহাদী গুরুর বিষ্ঠা লেহন করে চলেছে।একটি বার দেখুন। চোখ খুলে দেখুন বার বার দেখুন। নির্যাতিত, ধর্ষিত, লুন্ঠিত বাঙালি হিন্দুর নির্যাতনে 'বিজেপির হাত' দেখা বাঙালি হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা খান সেনার বীজদের স্বচক্ষে দেখে আসুন। এরপরেও প্রশ্ন করবেন বিজেপি কেন বাড়ছে?"
  • দীপ | 2402:3a80:a31:4fd9:0:4f:4d21:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৫২742666
  • এখানেও অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। কেউ গাজা থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী নিয়ে ব্যাকুল, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে কিছুই বুঝতে পারেন না! 
    কেউ আবার শতকরা হিসাব বুঝতে পারেন না! উল্টে আবার অন্যকে কর্তব্য শেখাতে আসেন!
  • দীপ | 42.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৫742735
  • অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগের বিষয় নিয়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো মানুষ নিজের মাতৃভূমি, নিজের বাড়িঘর, ভিটামাটি ছেড়ে অন্য দেশে যেতে চান না। অত্যাচারের কারণে বাংলাদেশের হিন্দুরা দেশ ছাড়ছেন, তাঁদের সংখ্যা দ্রুত কমছে। শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইনের কারণে অনেকে নিঃস্ব হয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এটা বেশি ঘটেছে গ্রামের দুর্বল হিন্দুদের ক্ষেত্রে। কারণ আরও আছে।’
  • দীপ | 42.***.*** | ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৮742736
  • বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রতিবেদন।
    অবশ্য এরপরও মহাপণ্ডিতেরা কিছুই বুঝতে পারবেন না!
  • দীপ | 2401:4900:3fbb:9f31:f06d:d909:194b:***:*** | ৩০ জুলাই ২০২৪ ২০:১৩743502
  • HINDUS IN EAST PAKISTAN WERE SPECIAL TARGET OF PAK ARMY
    In the summary of his report dated November 1, 1971 Senator Edward Kennedy writes (6):

    ‘Field reports to the U.S. Government, countless eye-witness journalistic accounts, reports of International agencies such as World Bank and additional information available to the subcommittee document the reign of terror which grips East Bengal (East Pakistan). Hardest hit have been members of the Hindu community who have been robbed of their lands and shops, systematically slaughtered, and in some places, pained with yellow patches marked “H”.

    All of this has been officially sanctioned, ordered and implemented under martial law from Islamabad. ..’ (emphasis added by author of this article).

    Sydney Schanberg, pulitzer prize winning journalist (of ‘Killing Fields’) was New York Times correspondent in Dhaka in 1971 at the time of army repression and during the 1971 Bangladesh war. In his syndicated column ‘The Pakistani Slaughter That Nixon Ignored’ Mr.Schanberg writes:

    “I covered the war and witnessed first the population’s joyous welcome of the Bharatiya soldiers as liberators .. Later I toured the country by road to see the Pakistani legacy firsthand. In town after town there was an execution area where people had been killed by bayonet, bullet and bludgeon. In some towns, executions were held on a daily basis.”

    This was a month after the war’s end (i.e. January 1972), … human bones were still scattered along many roadsides. Blood stained clothing and tufts of human hair clung to the brush at these killing grounds. Children too young to understand were playing grotesque games with skulls. Other reminders were the yellow “H”s the pakistanis had painted on the homes of Hindus, particular targets of the Muslim army.” (7) (emphasis added by the author of this article).

    Thus, two independent observations one dated prior to November 1, 1971 and other in January 1972 confirm that Hindu houses in East Pakistan were marked with yellow “H”s and that Hindus were particular targets of the Pakistani army. The situation thus bears an uncanny resemblance to the predicament of Jews targeted by Nazis from 1939 to 1944, with similar outcome.
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9d29:635c:b7e9:ae33:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৪ ০১:০৩743503
  • দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কয়েকটা অপকর্ম -
     
    ★ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাঈদী তার সাঙ্গপাঙ্গদের ও সহযোগীদের নিয়ে মাছিমপুর হিন্দুপাড়া চড়াও হয়ে ঘরবাড়ি লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভীতসন্ত্রস্ত নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ পালাতে শুরু করলে প্রকাশ্যে তাদের উপর সাঈদীর দলবল এলোপাথাড়ি গুলি করে। যাতে খুন হন ১৩ জন। যাদের মধ্যে রয়েছে, শরত্ চন্দ্র মণ্ডল, বিজয় মিস্ত্রী, উপেন্দ্রনাথ, যোগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, মতিলাল মিস্ত্রী, যজ্ঞেশ্বর মণ্ডল, সুরেশ মণ্ডলসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫ ব্যক্তি।
     
    ★ সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল মাছিমপুর হিন্দু পাড়ায় গিয়ে মনীন্দ্র পসারী ও সুরেশচন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি লুট করে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। এরপর সাঈদী সরাসরি নিজে বিভিন্ন গ্রামে রাস্তা পাশের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে বড় ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটান। গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, কালিবাড়ি, মাছিমপুর, পালপাড়া, শিকারপুর, রাজারহাট, কুকারপাড়া, ডুমুরতলা, কালামতলা, নওয়াবপুর, আলমকুঠি, ডুকিগাথি, পারেরহাট এবং চিংড়াখালি। ধর্মীয় কারণে নিরস্ত্র মানুষের উপর এই হামলা চালানো হয়।
     
    ★ পরিকল্পিতভাবে সাঈদী তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সদর থানার এলজিইডি ভবনের পেছনে ও ধোপাবাড়িরে সামনে হিন্দুপাড়া ঘিরে ফেলে। হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংসের জন্য তারা নির্বিচারে অজ্ঞাতনামা হিন্দু বেসামরিক মানুষের উপর গুলি করে। ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বন্দুকের গুলিতে হত্যা করা হয় দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পুলিন বিহারী ও মুকুন্দ বালাকে। এই কাজ গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে।
     
    ★ ৭ মে সাঈদীর নেতৃত্বে একদল শান্তি কমিটির সদস্য পিরোজপুর সদরের পারেরহাটে গিয়ে পাকিস্তানী আর্মিকে ওই এলাকায় স্বাগত জানান। তাদেরকে পারেরহাট বাজারে নিয়ে এসে সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের বাড়িঘর ও দোকান পাট চিনিয়ে দেন সাঈদী। পরে সাঈদী অন্যান্যদের সঙ্গে এ সকল বাড়ি ও দোকানে হানা দিয়ে মূল্যবান সম্পদ লুট করে। যার মধ্যে সেখানে মুকুন্দ লাল সাহার দোকান থেকে বাইশ সের স্বর্ণ ও রৌপ্যও লুট করেন সাঈদী। 
     
    ★ সাঈদী ও অন্যদের আগুনে পারের হাট বন্দরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সাঈদী সরাসরি অপহরণ, খুন, যন্ত্রণদানের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন।
     
    ★ একদিন সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে তার সশস্ত্র সহযোগীরা ইন্দুরকানি থানার উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার হানা দিয়ে ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার মধ্যে চিত্তরঞ্জন তালুকদার, হরেণ ঠাকুর, অনিল মণ্ডল, বিসাবালি, সুকাবালি, সতিশবালা। সাঈদীর ইন্ধনে তার সহযোগীরা বিসাবালীকে নারকেলগাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। বেসামরিক মানুষের বসবাসের বাড়িতে আগুন দেয়া নিপীড়নের শামিল। সাঈদী বাড়িঘর পোড়ানো, বিসাবালিকে হত্যা মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছেন।
     
    ★ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল পারেরহাট বাজারের হিন্দুপাড়ায় গিয়ে ১৪ জন হিন্দুকে ধরে এক দড়িতে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাদেরকে হত্যা করে লাল নদীতে ফেল দেয়া হয়।
     
    ★ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এক সকারে সাঈদীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি রাজাকার বাহিনী সদর থানার হোগলাবুনিয়ার হিন্দুপাড়া আক্রমণ করে। সেখানে শেফালী ঘরামি ও মধুসুদন ঘরামি ছাড়া বাকিরা সবাই পালিয়ে যায়। তখন রাজাকার বাহিনীর কিছু সদস্য শেফালী ঘরামির ঘরে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও সাঈদী এই ধর্ষণে বাধা দেননি। পরে তারা এই হিন্দুপাড়ার ঘরে আগুন দিয়ে দেয়।
     
    ★ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের রাজাকার দল হোগলাবুনিয়া গ্রামের তরণী শিকদার, নির্মল শিকদার, শ্যামকান্ত শিকদার, বাণীকান্ত শিকদার, হরলাল শিকদার, প্রকাশ শিকদারসহ ১০ জন হিন্দু নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। এদেরকে তুলে দেয়া হয় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে, যারা এদেরকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
     
    ★ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সশস্ত্র রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তাঁর তিন বোনকে অপহরণ করে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে পরে ছেড়ে দেয়।
     
    ★ সাঈদী ও তাঁর নেতৃত্বের সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পারেরহাটের বিপ্লব সাহার মেয়েকে তাঁর বাড়িতে আটকে রাখে। তারা ওই বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করত।
     
    ★ ভাগিরথি নামে এক নারী পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে কাজ করতেন। পাকিস্তানি বাহিনী সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সাঈদী তাকেও আটক করে নির্যাতন করেন। পরে তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
     
    ★ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে "স্বাধীনতাযুদ্ধকালে সাঈদী জোর করে মধুসুদন ঘরামী, কৃষ্ট সাহা, ডা. গণেশ সাহা, অজিত কুমার শীল, বিপদ সাহা, নারায়ণ সাহা, গৌরাঙ্গ পাল, সুনীল পাল, নারায়ণ পাল, অমূল্য হাওলাদার, শান্তি রায়, হরি রায় জুরান, ফকির দাস, টোনা দাস, গৌরাঙ্গ সাহা, হরিদাস, গৌরাঙ্গ সাহার মা ও তিন বোন মহামায়া, অন্যরাণী ও কামাল রাণীসহ ১০০/১৫০ জন হিন্দুকে ধর্মান্তর করেন।
     
    ★ নভেম্বর মাসের শেষের দিকে সাঈদী সংবাদ পান যে, হাজার খানেক মানুষ জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যাচ্ছে। এরমধ্য কোনো একদিন সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইন্দুরকানি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে হামলা করে ৮৫ ব্যক্তিকে আটক করেন সেখানে ব্যাপক লুটপাট চালায়। পরে আটককৃতদের নিয়ে আসা হয় স্থানীয় রাজাকার ক্যাম্পে। সেখান থেকে ফজলুল হক নামে এক রাজাকারের মধ্যস্থতায় ঘুষের বিনিময়ে ১০-১২ জন ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে আটক পুরুষদের নির্যাতন এবং খগেন্দ্রনাথ সাহার মেয়ে দীপালি, স্ত্রী নিভারাণী, রাজবল্লভ সাহার মেয়ে মায়ারাণীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়, যারা ক্যাম্পে ধর্ষণের শিকার হন।
  • ar | 71.174.***.*** | ৩১ জুলাই ২০২৪ ০৫:৫৭743504
  • দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী convicted war criminal ছিলেন। বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশ্যেনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট সেটাকে বদলে লাইফ ইমপ্রিসনমেন্টের সাজা দেয়। পাকিস্থানী হানাদারেরা সেই সময়ে নির্বিচারে হিন্দু মুসলিম মেরেছে। zaban ই উর্দু না জানলেই মেরে ফেলেছে। যারা ভাগ্যবান, তারা বেঁচে থাকতে পেরেছেন।
    সেই গণহত্যার খন্ডচিত্র পাবেন "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিল- অষ্টম খন্ডে"। মৃতদের নামের একটা তালিকাও দেখে নিতে পারেন। পীর দরবেশরাও কসাইদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

    সেনেটর কেনেডির অংশটা হাউস রেসেল্যুশন HR 1430 থেকে নেওয়া। হিন্দু পার্টটা "চাড্ডি" কপি-পেষ্ট হয়েছে, অন্য পার্টটা বাদ গেছে।
    Whereas atrocities continued during the Ensuing 9-monthBangladesh War of Independence as the Pakistani militaryscapegoated ethnic Bengalis and Hindus and targetedsupporters of the Awami League, Bengali military or police personnel, intellectuals, students, and professionals, while victims included members of both majority (Bengali Muslim) and minority (non-Muslim) communities; [HR 1430].
  • দীপ | 2402:3a80:196c:32e7:778:5634:1232:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৯743627
  • সারা পৃথিবীর সমস্যা নিয়ে বাতেলা মারা পণ্ডিতেরা এখন শীতঘুমে গেছেন!
    অবশ্য তাঁরা তো আবার বাংলাদেশের লেখকের লেখা, প্রতিবেদন, শতকরা হিসেব; কিছুই বোঝেন না! উল্টে অন্যকে জ্ঞান দিতে ছুটে আসেন! 
    কথায় কথায় বঙ্কিমের শ্রাদ্ধ করেন, মনুসংহিতা নিয়ে নাচানাচি করেন! এখন অবশ্য গলা দিয়ে একটা আওয়াজ‌ও বের হয়না! 
    কারণ খুবই সহজবোধ্য। কে আর যেচে অভিজিৎ রায় হতে চায়?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন