সমাজের জঞ্জাল।
লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
আত্মীয়তা রক্ষা করতে শীতের রাতে দূরের বিয়ে বাড়ি,
স্বামী স্ত্রী দু চাকা রেখে চারচাকা ভাড়া করে উপস্থিত।
বস্তির ছেলেরা রাস্তার ধারে আগুন জ্বেলে বসে আছে,
গায়ে তাদের হালকা পোশাক মুখে নেই কোন হাসি।
প্রশ্ন,গরম সোয়েটার না পড়ে আগুন পোহানো কেন!
উত্তর, আমরা টোকাই, দুঃখ আমাদের বারো মাস।
পেট ভরে খাওয়ার জন্য অযাচিত বিয়ে বাড়িতে আসা,
এঁটো ফেলে দেওয়া খাবার গুলো কুকুরের সাথে খায়।
পোশাক আশাক চাকচিক্যের কত না লীলা খেলা,
টোকাইদের দেয় না কেউ-ভালো মন্দ খাবার গুলো।
থালা বাটি-পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের কিছু প্যাকেট নিয়ে,
বেঁচে থাকা খাবারের আশায়-শীতের রাত জেগে থাকা।
রাস্তার মাঝে বিকল গাড়ি, ইশারাতে কিছু নারী ডাকে,
প্রশ্ন, ভারত বর্ষ ৭৫ বছর স্বাধীনতার পর দেহ বিক্রি কাজটা কেন করো! এখন এসব নোংরা কাজ ছাড়ো।
উত্তর,দেশে রকেটের গতিতে প্রযুক্তি উন্নয়নের ধারা।
স্বাধীন দেশে শাসক মাস্তানদের হাতে নারী বন্দি হয়ে,
পুলিশ মাসোহারা নিয়ে দেহ বিক্রি করতে বাধ্য করায়।
সমাজের জঞ্জাল নোংরা আবর্জনা দেহে বহন করে,
রোগে শোকে ভুগতে ভুগতে পথের মাঝেই মরতে হয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রচনাকাল :- ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ সালে।
উমরালা মণিকুন্ড, কোটবন, কোশিকলা, বৃন্দাবন, উত্তর প্রদেশ থাকাকালীন সময়ে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।