এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আজ মকর সংক্রান্তি

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ | ৫৮৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • আজ মকর সংক্রান্তি। মকর ক্রান্তিরেখা ছুঁয়ে সূর্যদেব আবার তাঁর উত্তরমুখী চলন শুরু করবেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ,কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে মকরক্রান্তি রেখা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রবিচলন পথ বা রবিমার্গ। এই চলন পথ ধরে সূর্যদেবের আসা যাওয়ার ফলেই ঋতু চক্রের পরিবর্তন । 
     
    এবার একটু করে উত্তর গোলার্ধে বাড়বে উষ্ণতার অনুভব। এই দিনে দেশের সমস্ত প্রান্তে পালন করা হচ্ছে ফসল কাটার উৎসব। নানান নামে, নানান সংস্কারে। আমাদের রাজ্যে আজ বার্ষিক পিঠে পুলি পরব। নলেন গুড় আর সুবাসিত গোবিন্দ ভোগ, কামিনী ভোগ চালের সুগন্ধে মাতোয়ারা হবে আমাদের মন প্রাণ গৃহকোণ। শহুরে যাপন এই আনন্দ উৎসবের আবহে ভাগ বসিয়েছে হয়তো অশালীন ভাবে। তবুও মন উন্মন হয়ে ওঠে ফেলে আসা সময়ের মধুগন্ধ মাখা দিন গুলোর জন্য। আজ আমাদের পিঠে পরব, মন আনচান করা পেটে সোয়াদ পরশ মাখামাখি করার দিন।



    আমাদের রাজ্যে এখন দেশবিদেশের নানান প্রান্ত থেকে আগত অতিথি নারায়ণদের ভিড়। উপলক্ষ্য সাগর সঙ্গমে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে নিজেকে পূত পবিত্র বোধে উত্তীর্ণ করা। এই বোধ আমাদের শরীর ও মনকে প্রকৃত অর্থেই নবায়িত করুক এই আশা করি।

    মকর সংক্রান্তির উৎসব হলো ফসল কাটার উৎসব। ভারতের মতো কৃষিপ্রধান রাষ্ট্রে কৃষিজীবী মানুষের জীবনানন্দের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলার দরকার হয়না। একথা ঠিক যে স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষের আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক পটভূমিতে বিস্তর পরিবর্তন এসেছে । এক সময়ের রক্ষণশীল গ্রামসমাজের উঠোনেও এখন উপচে পড়ে শহুরে চটকদারী উন্নয়নের আলো ‌। পায়ে হেঁটে পথ পাড়ি দিয়ে দূরে যাতায়াতের দিন‌ও বিগতপ্রায়। তবুও গ্রামীণ লোকায়ত জীবনের প্রেক্ষাপট আনন্দমুখর হয়ে ওঠে নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসবে।



    আজ পূর্ব ভারতের অসমরাজ্যে উদযাপিত হচ্ছে ভোগালি বিহু উৎসব। বিহু হলো অসমবাসী মানুষের প্রাণের উৎসব। ফসল কাটার পর্বের সূচনা হয় মকর সংক্রান্তির দিন। মাঘ মাসের শুরুতে ফসল কাটার কাজ শুরু করে মাঘ মাসের শেষ দিনে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা হয় ভোগালি বিহুর অনুষ্ঠান। মাঘ সংক্রান্তির দিনে এর আয়োজন বলে একে মাঘী বিহুও বলা হয়। 



    পূর্বতন অহোম রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই উৎসবের সূচনা হলেও আজ তা গণ উৎসবে পরিণত হয়েছে। ভোগালি বিহু উৎসবে গ্রামীণ যুবকেরা তৈরি করে রং ঘর।আর তাকে ঘিরেই চলে নানান ধরনের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটি আসলে মকর সংক্রান্তির উৎসবের স্থানীয় সংস্করণ মাত্র।



    এমন দিনে ঘরের পাশের ওডিশার মানুষেরাও মেতে উঠেছে মকর চাউল অনুষ্ঠানে। নতুন ধান ঢেকিতে কুটে নিয়ে তার থেকে তৈরি করা হয় এক সুস্বাদু আহার্য। ঠিক বাঙলার নবান্নের মতো। পরিবার পরিবেশের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয় বেশ কিছু মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান।



    শীতের শেষেই আসে বসন্ত। হাড় কাঁপানো শীত ঋতুর সমাপনী সূচনা করে পঞ্জাবের লহরী উৎসব। মকর সংক্রান্তির পর থেকে উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে। একটু উষ্ণতার পরশ পেতে বাড়ির উঠোনে অথবা খোলা মাঠে কাঠকুটো জড়ো করে জ্বালানো হয় আগুন। আর সেই আগুনের আঁচে নিজেদের উত্তপ্ত করে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশের মানুষজন। আগুন ঘিরে চলে ভাঙ্গরা, আর গিদ্দা নাচের শিল্পীদের ছন্দিত পদচারণা। রাতের আঁধারের পাশাপাশি হয়তো দূর হয়ে যায় মানুষের হৃদয়ের অন্ধকার লহরী আগুনে। মকর সংক্রান্তির উদযাপন যে তেমনই আহ্বান জানায়।



    এতো গেল উত্তর ভারতের কথা। একবার উঁকি দিয়ে দেখি দক্ষিণী রাজ্যগুলোয় আজকের আয়োজনের আবহ কেমন? মাঘী সংক্রান্তির দিন তামিলনাড়ুর ঘরে ঘরে পালন করা হয় পোঙ্গল উৎসব। তামিল ‘পোঙ্গল‘ শব্দের বাংলা অর্থ হলো বিপ্লব বা পরিবর্তন।



    ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় মানুষের হৃদয়ের অনুভব। দীর্ঘ শ্রমের বিনিময়ে কৃষকেরা যে ফসল ঘরে তোলেন তা হৃদয়ে আনে খুশির আবহ। তাই কেটে আনা ফসলকে ঘিরেই পোঙ্গল বা বিপ্লবের আনন্দময় আয়োজন। 



    সহস্র বছরেরও অধিক সময় ধরে এই উৎসব পালিত হচ্ছে তামিলনাড়ুর ঘরে ঘরে।চারদিন ধরে পোঙ্গল উৎসব পালিত হয় - ভোগী, থাই, মাত্তু আর কানুম পোঙ্গল। কেবলমাত্র চারদিন নয় এই উৎসবের রেশ থেকে যায় বছরের বাকি দিনগুলোতেও মকর সংক্রান্তির দিন যার সাড়ম্বড় সূচনা।



    তামিল মানুষজনের মতো কন্নড় ভাষাভাষী কর্ণাটকের মকর সংক্রান্তির উৎসব হলো সুগ্গি হেব্বা। এও ফসল ঘরে তোলার উৎসব। ওডিশার মকর চাউলের মতো কর্ণাটকের ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় এল্লু নামের এক বিশেষ ধরনের খাবার। তিল বেটে তার সঙ্গে মেশানো হয় আরও কিছু উপকরণ যার সবটাই ক্ষেত থেকে তুলে আনা বিবিধ ফসল। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই উৎসবে নবীন প্রজন্মের অংশগ্রহণ সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। 



    এই উৎসবকে উপলক্ষ করে চলে নাচ গান, ঘরের নানান অংশে আঁকা হয় রঙিন রঙ্গোলি, ওড়ানো হয় রং বেরঙের ঘুড়ি, যা গোটা উৎসবের আবহকেই অনেক বেশি আনন্দঘন করে তোলে। 



    ভারতের সাথে সাথেই মকর সংক্রান্তির উৎসব উদযাপিত হচ্ছে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর নানা দেশে। আসলে উৎসবের আনন্দের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে বহুতর মানুষের একান্ত অভিব্যক্তি। এই খেলা মেলার মধ্যেই মিশে থাকে ভারতীয় সংস্কৃতির বর্ণময় রূপ। এই রূপ বহুত্ববাদী দর্শনের স্মারক। আমাদের দায়িত্ব তার সংরক্ষণ ও সংবর্ধন। আমরা এই সত্যি কথাটা যেন মনে রাখি।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তপন কুমার | 2405:201:8000:b1a1:dcfd:5e3:d060:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৩527720
  • বহুত্ববাদী ভারতের ছবি পেলাম এক ফ্রেমে। সব রঙ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। উৎসবের এখানেই সার্থকতা। ভালো লাগলো লেখাটা।
  • dc | 122.164.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৭527721
  • এই লেখাটা মিস করে গেছিলাম, আমারও খুব ভালো লাগলো। কদিন আগেই মা পিঠে বানিয়েছিল, আর আমার জন্য মিষ্টি বাদ দিয়ে পায়েসও বানিয়েছিল। দিন দুয়েক ধরে সেসব খেয়েছি :-)
     
    পোঙ্গলের সময়ে তামিলরাও নানারকম মিষ্টি বানায়, যেমন শকরপোঙ্গাল (উচ্চারন করে চকরপোঙ্গল), বাসুন্দি ইত্যাদি। নানারকম পায়সম ও বানায়, যেমন সেমুই এর পায়েস, মুগ ডালের পায়েস, নারকেলের পায়েস, সাবুদানা পায়েস ইত্যাদি। এর মধ্যে সাবুদানা পায়েসটা অতি অখাদ্য, তবে বাকিগুলো বেশ ভালো খেতে হয়। বিশেষ করে নারকেলের পায়েস, যেটার নাম হলো এলানীর পায়সম বা স্রেফ এলানীর।  
  • dc | 122.164.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫১527722
  • আর আমার শাশুড়িমাতা অসাধারন নোনতা পিঠে আর চিতই পিঠে বানান, সাথে পুলির পায়েস। তবে অনেকদিন সেসব খাওয়া হয় নি। 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৫527724
  • এমন সুন্দর মতামত পড়ে বুঝতে পারছি কলমপেষার কাজ সাধ্যমতো ঠিকঠাক করতে পারছি। এই লেখাটায় আমি একটা আভাস দেবার চেষ্টা করেছি যে ঠিক কীভাবে দেশের নানা প্রান্তে দিনটি উদযাপন করা হয়। ভালো থাকবেন সবসময়। চেন্নাই গেলে একদিন পিঠে খেয়ে আসবো।
  • dc | 122.164.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৭527725
  • অবশ্যই! চেন্নাই এলে আপনাকে পিঠে আর বাসুন্দি খাওয়াবো :-)
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০০527726
  • পৌষ সংক্রান্তি আর মাঘী সংক্রান্তি একই দিনে?! ইন্টারেস্টিং। 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৯527727
  • :!: মকর সংক্রান্তির দিন ও মাঘী সংক্রান্তির দিন কখনোই এক নয়। আসলে ভোগালি বিহু মাঘী সংক্রান্তির দিন‌ই পালন করা হয়। তবে মকর সংক্রান্তির দিন ফসল কাটার সূচনা করে মাঘী সংক্রান্তির দিন পূর্ণরূপে তা পালন করা হয়। মাঘী সংক্রান্তির বিহু হলো মকর সংক্রান্তির উৎসবের স্থানীয় সংস্করণ। দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
  • দেবদাস | 103.215.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৩২527784
  • যাঁরা মকর পালন করেন তাঁদের একসাথে করে উৎসব হওয়া দরকার .
  • sarmistha lahiri | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩২527798
  • বৈচিত্রের  মধ্যে যে ঐক‍্য তা  সুন্দর ভাবে একফ্রেমে   তুলে ধরা হয়েছে।তথ‌ সমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য।
     
     
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন