১
"লেখায় দম থাকলে চুপচাপ ছড়িয়ে যাবে।"
যাবেই তো! তবে শুরুতে চটি সিরিজ এপারে বাংলাদেশে বিপণন ও বিক্রির জন্য পাইদি কম করেছেন! সেকি হয়রানির চূড়ান্ত!
তখন মেসেঞ্জার/হোয়াটসঅ্যাপ ছিলো না, পাইদি প্রবাসী ছিলেন, ওভারসিজ কলে কথা বলতেন, না হয় ইমেইলে, পাশাপাশি ছিলো হট্টগোলের গুরুচাণ্ডালী ফেসবুক গ্রুপ, যেন ফেকিদের আস্ফালনের চারণভূমি (কীযেএক্টাঅবস্থা!?)...
২
যদি ভুল বলে না থাকি, ২০১০-১১ র দিকে গুরুচণ্ডালী কাগজ ও চটি শুধু সৌজন্য সংখ্যা বিলির জন্যই জনে জনে একে তাকে অনুরোধ করতে হয়েছে, তাও প্রাপক কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি, সে সব বইপত্রের হিসাব পর্যন্ত নেই!
৩
আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ চটি এপার-ওপার প্রকাশক ও এজেন্টকে দিয়েও কাজ হয়নি, একই ব্যাপার, কেউ পেশাদারিত্বর পরিচয় দেননি, অনেক বইপত্র ও বিক্রির টাকার হদিস মেলেনি।
রীতিমতো অনুসন্ধান করে শাহবাগে বইয়ের শো রুমের এক দোকানীর (প্রকাশক নন, নিছকই অল্প শিক্ষিত কর্মচারী) সন্ধান পেয়েছিলাম, যিনি নিয়মিত কলকাতা যাতায়াত করে ওপার থেকে তাদের শো রুমের জন্য বইপত্র আনেন, অথচ বিক্রির জন্য গুরু চটি বয়ে নিয়ে আসতে তার ভীষণ কষ্ট!
কয়েক দফা তিনি নাকি সেসব কলকাতা থেকে এপারে পাঠিয়েছেন কুরিয়ারে(!), আর এপারে প্রাপককে তা গ্রহণ করতে হবে বিপুল সংখ্যক গাঁটের কড়ি খরচ করে!?
সংগত কারণেই অনেকেই সেসব পার্সেল গ্রহণ করেননি, সেগুলো সব সময় গুরু দফতরে ফেরতও হয়তো যায়নি, খোয়া গিয়েছে।
৪
অনেক পরে বন্ধুবরেষু প্রকাশক, ছোটগল্প লেখক ষড়শৈর্য তার প্রকাশন "উজান" থেকে গুরুচণ্ডালীর সব প্রকাশনা এপারে বিপণন ও বিক্রির দায়িত্ব নেন, মহামারির আগে ২০২০ সালের মুখে। তিনি সরাসরি গুরুচাণ্ডালী পর্ষদের সংগে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঢাকা এজেন্ট হিসেবে বহাল হন।
অবশ্য চণ্ডালকে দূতায়ালীতে খুব বেশি শ্রম দিতে হয়নি, কারণ ষড় আগে থেকে নিজ উদ্যোগ গুরুর কিছু চটি কলকাতা বইমেলা থেকে এনে এপারে বিক্রি করেছেন৷ সৈকত, ঈপ্সিতা, সুমেরু, শমীক, মলয় ইত্যাদি কয়েকজনের নামও গড় গড় বলে গেলেন, পরিচয় না থাকলেও তাদের বইপত্র তার পড়া।
"উজান" থেকে যে কেউ বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে গুরু প্রকাশনাসহ সব বই কিনতে পারেন, ঢাকার কাঁটাবনে তাদের শো রুম থেকে অফলাইনে তো বটেই।
৫
চট্টগ্রামের পুরনো প্রকাশন "বাতিঘর" চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে একই সময় ঢাকার বাংলা মটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভবনে দ্বিতীয় শোরুম খোলে। তাদেরও বইবিক্রির একটি বড় অংশ কলকাতার প্রকাশনা।
করোনাক্রন্তির পর এক আড্ডায় এর পরিচালক দীপংকর দাকে গুরুচাণ্ডালী প্রকাশনা সম্পর্কে বলতে উজ্জ্বল হলো তার মুখ। জানালেন, ওপারের বেড়াতে গিয়ে সেখানের দৈনিকে তিনি এ সম্পর্কে প্রথম জানেন, পরে সেখানের লেখক বন্ধু মহলে জেনেছেন চটি সিরিজ সম্পর্কে।
পরে তিনিই খবর পাঠান, গুরুচাণ্ডালীর বেশকিছু বইপত্র তারা ঢাকা শো-রুমে বিক্রি শুরু করেছেন, ঢাউস প্রকাশনাও আছে! স্বজনপ্রীতি করে প্রতিভা সরকারের বই নিয়ে জিজ্ঞাসা করে জবাব পেলাম, অবশ্যই! :)
৬
আর এখন ভাবতে ভালো লাগছে, ছোট্ট টেক্সট বা কলেই বিশ্বে যে কোনো প্রান্তে মিলবে গুরু প্রকাশনা। খোদ গুরুর সাইটেই জ্বল জ্বল করছে এর বিজ্ঞপ্তি:
"পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে গুরুচণ্ডা৯র বই পেতে চাইলে ফোন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুনঃ +৯১ ৯৩৩০৩ ০৮০৪৩ অথবা +৯১ ৮৭৭৭৬ ৪২২৩৪ নাম্বারে।"
৭
জ্জয় গুরু (পড়ুন, যুক্ত 'গ', অভ্রে আসছে না)!!