এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ডার্বি - একটি আবেগের নাম 

    Debaditya Raychaudhuri লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ আগস্ট ২০২৩ | ৪৫৪ বার পঠিত
  • কোটি কোটি বাঙালির মতন ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি আমারও আবেগ, আমারও  হৃদয়ের বড়ো কাছের, আমার জীবনের বহু অবিস্মরণীয় স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই ডার্বির সাথে। এক উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান হওয়ার দরুন - পরিচয়, সত্তা ও মজ্জায় লাল হলুদ ছিল এবং থাকবেই।

    আজ বৃষ্টি ভেজা এক শ্রাবণের সন্ধ্যা, আগস্ট  মাস, সালটা ২০২৩। যেদিন প্রথম যুবভারতীতে গেছিলাম ডার্বি দেখতে সেদিনটাও ছিল এক বর্ষণমুখরিত শ্রাবণের বিকেল, আগস্ট মাস, সালটা ২০০৭।  আমি কলেজ থেকে সরাসরি এসেছিলাম যুবভারতীতে আর পাড়ার এক ছোটবেলার ​​​​​​​খুব কাছের বন্ধু ​​​​​​​গৌতম সাথে যুক্ত হয়েছিল, আমাদের দুজনেরই ছিল ​​​​​​​ওটাই ​​​​​​​ডার্বি ​​​​​​​দেখার হাতেখড়ি। খেলা ছিল মরশুমের প্রথম ডার্বি, কলকাতা লীগের খেলা। খুব কষ্ট  ​​​​​​​য়েছিল সেদিন, কারণ ইস্টবেঙ্গল হেরে গেছিলো ৫-৩ এ। কষ্ট হয়েছিল সেই ১৬ বছর আগের শ্রাবণের বিকেলটায়, কিন্তু এক ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম, জীবনের প্রথম ডার্বি দেখার অনুভূতি, যুবভারতীর উন্মাদনার অনুভূতি, লাল হলুদের মশাল জ্বলার অনুভূতি, সিমেন্টের বাঁধানো সিটে হাজারহাজার মানুষের উন্মাদনা, রাগ, আবেগ, উল্লাস একসাথে ফেটে পড়ছে দেখবার অভিজ্ঞতা। ওই শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকভাবে ডার্বি দেখতে যাওয়া, আগামী ১১ বছর, মানে ২০১৮ অব্দি অগুনতি অসংখ্য ডার্বির প্রত্যক্ষ সাক্ষী থেকেছি যুবভারতীর সিমেন্টের স্ল্যাবে বসে।

    যত ডার্বি দেখেছি, তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি স্মরণীয় স্মৃতি তৈরী হয়েছিল ওই একেকটা ৯০ মিনিটকে কেন্দ্র করে। শুরুর দিকের সালগুলো, মানে ২০০৭ থেকে ২০১২ ডার্বি দেখতে যাওয়ার দলটা ছিল এইরম - আমি, অয়ন আর গৌতম ছিলাম বাঙাল প্রতিনিধি মানে ইস্টবেঙ্গল, আর অপরদিকে সানি, রাহুল মন্ডল মোহনবাগানের প্রতিনিধিত্ব করতো। অদ্ভুত ব্যাপার হলো যে চিরকাল আমরা সকলে একসাথেই পাড়া থেকে বেরোতাম যুবভারতীর উদ্দেশে। সিগারেট ও দেশলাই কিনে প্যান্ট বা মোজার মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে ঢোকা ও সিমেন্টের স্ল্যাবে বসে সুখটান এর রোমাঞ্চ এক ভিন্ন রোমাঞ্চ ছিল, আজ সেই অনুভূতি সিগার টানলেও আসবে না বোধহয়। গৌতম মোটামোটি সকল ধরণের ফেরিওয়ালার বাধা ধরা খরিদ্দার ছিল - ঘুগনি থেকে ঠান্ডা পাটিজ। বহুবার ডার্বি জিতেছি, অসংখ্যবার হেরেছি, ম্যাচের পর পাড়ায় ফিরে আওয়াজ দেওয়া, আওয়াজ খাওয়া, আবার সান্তনার বিনিময় করা এগুলি ছিল লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতন আমাদের ও জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আস্তে আস্তে সময় এগোলো, আমি ২০১২ সালে চেন্নাই ও তারপর বেঙ্গালুরুতে যাই চাকরির সূত্রে, তাই মাঝে কয়েক বছর আর যাওয়া হয়নি ডার্বি দেখতে যুবভারতী।

    ২০০৮ থেকে ২০১০ এর ফেব্রুয়ারী অব্দি আমরা (মানে ইস্টবেঙ্গল) সম্ভবত একটানা ৬-৭ বার হেরেছিলাম ডার্বি। সে ছিল আমাদের জন্যে বড়োই নৈরাশ্যের যুগ এবং দুঃসময়। প্রতিবার মুখ চুন করে ফিরতাম আমি অয়ন আর গৌতম, প্রচুর কটাক্ষ এবং আওয়াজ ভেসে আসতো সানি ও মন্ডলের তরফ থেকে, কিছুক্ষন পর উন্মাদনা কিছুটা কমলে সান্তনাও দিতো। এর সাথে যুক্ত আরেকটি মজার ঘটনা আছে - অয়নের তখন মাথার পিছনদিকে চুলের একটি টিকি ছিল এবং ওকে দিয়ে ভীষ্ম-প্রতিজ্ঞা করানো হয়েছিল যে যতদিন না ইস্টবেঙ্গল আবার ডার্বি জিতছে ও সেই টিকিটি কাটতে পারবে না, বেচারাকে প্রায় ২ বছর বোধহয় অপেক্ষারত হয়ে থাকতে হয়েছিল। নতুন কোচ, ক্লাবের  লিজেন্ড সুভাষ ভৌমিকের হাত ধরে অবশেষে শাপমোচন হয়েছিল ২০১০ এর ২২ ফেব্রুয়ারী,  দিনটি আমার জন্মদিনও বটে তাই স্মৃতিতে জ্বলন্ত আজও।

    আমার জীবনের ডার্বি দেখার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয় ২০১৫ তে, খুব বেশি যাওয়া হতো না চাকরি এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততার ফলে,  কিন্তু বছরে ১-২ বার যাওয়া হতোই তখনও। দেখলাম আরো নতুন অনেক মুখ ডার্বি যাওয়ার দলে যোগদান করেছে। মাঝেমাঝে অতনু যেত (খুবই স্বল্পবার ওর সাথে একসাথে যাওয়া হয়েছে যদিও), ছোট ভাইগুলির মধ্যে শিভাম, শুভ, টুবলু ও ঋষি মাঠে যেতে শুরু করেছে লালহলুদ স্বপ্ন হৃদমাঝারে নিয়ে। ছোটো রাহুলের সাথে গেছি কিনা ডার্বি দেখতে কখনো সেটি একদমই মনে পড়ছে না। জয় এবং বিজয়ও গেছে কয়েকবার যতদূর স্মৃতিতে টোকা দিলে খেয়াল পড়ছে। 

    আসলে আমাদের অস্তিত্ত্বের একটা বড়ো অংশ জুড়ে আছে এবং থাকবে আমাদের পরিচয়, আমাদের সত্তা, আমাদের বাঙাল কিংবা ঘটি হওয়া, ঝগড়া খুনসুটি তর্ক, ইলিশ-চিংড়ি সব কিছু। বাঙালির কাছে ফুটবল শুধু খেলা নয়, এক আবেগ, এক ধর্ম। আর বাঙালির এই অস্তিত্বের সত্তা, পরিচয় সত্তা এবং ফুটবল সব মিলিয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি। যখন হাজার হাজার সমর্থক মাথায় ফেট্টি বেঁধে, মুখে রং লাগিয়ে ট্রাকে করে, অটো ভাড়া করে, মোটরবাইকে করে নিজের প্রাণপ্রিয় ক্লাবের হয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসে ভিআইপি  রোড এবং ইএম বাইপাস ধরে, আবার যখন ফেরত যায় জয়ের আনন্দ উল্লাসে কিংবা পরাজয়ের দুঃখে, এই মুহূর্তগুলি জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হয়ে থেকে যায়। কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে তাবু থেকে টিকিট কাটা থেকে শ্রাবণ ভাদ্রের আকাশভাঙা বর্ষণে বসে খেলা দেখা, জেতার উল্লাসে গগনচুম্বী স্লোগান দেওয়া থেকে পরাজিত বন্ধুকে ফিরে এসে পাড়ায় সান্তনা দেওয়া এরই নাম বাংলা, এরই নাম ডার্বি, এরই নাম ফুটবল। 

    ব্যক্তিগতভাবে ডার্বি খেলায় রুচি হারিয়ে ফেলেছিলাম বেশ কিছু বছর ধরেই (মূলত ২০১৯ পরবর্তী সময়ে)। শুধু যে এখন আর লালহলুদ ফেট্টিটা মাথায় বেঁধে মাঠে যাওয়া হয় না এমনটা না , সজ্ঞানে শেষ কিছু বছর লাল-হলুদের খেলার খবরও রাখছিলাম না। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের দুনিয়া ভাই, খবর না রাখলেই কে আর ছাড়ছে তোমায়, খবর এখন আঙুলের ডগায়, না চাইলেও পাবেই। বহু কারণ আছে - শুধু যে টানা ডার্বি হারছিল ইস্টবেঙ্গল সেটা নয়, সেই ঘটনা তো ২০০৮ থেকে ২০১০ এও ঘটেছিলো। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব, অপদার্থতা আরো জটিল করে তুলছিলো পুরো পরিবেশকে। ২১শে জুলাই ২০২১ এর ঘটনায় আজ যাচ্ছি না, সেটা তোলা থাক আরেকদিনের জন্যে। আজকের লেখার অনুভুতিটা এক অন্য  কাব্যিক আবেগের, রাগ অভিমান এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের দিন - ২১শে জুলাই ২০২১ এর কথা লিখব।  

    ফিরে আসি আজে, আজ বৃষ্টি ভেজা এক শ্রাবণের সন্ধ্যা, আগস্ট  মাস, সালটা ২০২৩। ইস্টবেঙ্গল এক অনবদ্য গোলের মাধ্যমে ১৬৫৭ দিন পর ডার্বি জিতলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে। খেলা দেখবো নাই ঠিক করেছিলাম, কিন্তু নাছোড়বান্দা ছোট ভাই শিভামটা, একদম একগুঁয়ে, ও বলেই যাচ্ছিলো - "দেখো দেখো খেলাটা, ভালো দল গড়েছে এবার, এবারই প্রত্যাবর্তন হবে"। শিভাম এর ভাষায় - Revival Season। এটাকেই বোধহয় উদ্বাস্তু রক্তের একগুঁয়ে জেদ বলে, সেই ঘুরে দাঁড়ালো প্রত্যাবর্তন করলো দলটা। 

    মনের মধ্যে প্রচুর রাগ অভিমান ক্রোধ আছে দলের কতৃপক্ষকে নিয়ে, সুদূর ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু তার পাশে এখনো কোথাও গচ্ছিত আবেগ পরে আছে ডার্বি নিয়ে, সেই আবেগই আজ বাধ্য করেছিল খেলা দেখতে, হয়তো ভবিষ্যতেও করবে। এই ​​​​​​​মশাল ​​​​​​​আমাদের পরিচয়, কোনো ​​​​​​​কতৃপক্ষ ​​​​​​​মশাল ​​​​​​​কেড়ে ​​​​​​​নিতে ​​​​​​​পারবে না ​​​​​​চিরকালের জন্যে। ঠিক ​​​​​​​যেমন - এই ​​​​​​​জমি ​​​​​​​রক্ত ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​কেনা, কোনো ​​​​​​​কাগজ ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​নয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nilesh | 2600:387:6:80d::***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০১:২৫522371
  • গোলটা ভাল হয়েছে 
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:419f:34b:af0c:***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৭522379
  • বাঃ  
  • গৌতম সিকদার | 2409:40e0:1019:d06d:2eed:1ac4:70f6:***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৫522388
  • অয়ন এর টিকির সাথে আরো একটি জিনিস ছিল। স্কোর বোর্ড এর তলায় ২য় তলায় ই বসা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন