এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অন্ধকার জগতে সৈকত:

    Amlan Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ৩২৬ বার পঠিত
  • একটি কালো রাতের কাহিনী:
    অন্ধকার জগতে সৈকত:-
    অম্লান সরকার

    পেশায় কস্ট একাউন্টেন্ট সৈকত ছাত্র জীবনে মেধাবী তথা পরিশ্রমী ছাত্র ছিল। কাজেই স্কুল কলেজের বাধা ফটাফট টপকে যেতে সৈকতকে বিশেষ কোন প্রযত্ন করতে হয়নি। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সৈকত প্রাচুর্যের মধ্যে বড় হয় নি। তবে তার যখন যেটুকু ন্যূনতম প্রয়োজন সেগুলি সে অনায়াসেই পেয়ে গেছে, সে পড়াশোনার খরচই হোক আর কাপড় জামার খরচ বা ছোট খাটো কোন বিলাসিতার খরচ হোক না কেন। তবে নৈতিক চরিত্র তার সেভাবে খুব একটা গড়ে ওঠে নি। এছাড়া সৈকতের প্রজন্মের ধারা অনুযায়ী নারী পুরুষের মধ্যে বিবাহ পূর্ব যৌনতা ওদের কাছে ডাল ভাতের মতই ব্যাপার। কাজেই সৈকতও নারী পুরুষের সম্পর্কের মধ্যে অবাধ যৌনতায় কোন অপরাধ খুঁজে পায় না। 

    সম্প্রতি সৈকতের এক লিভ ইন পার্টনার কে নিয়ে সৈকত একটা মস্ত বড় সমস্যায় জড়িয়ে পরেছিল। মেয়েটিকে সৈকতের কোম্পানির প্রতিযোগী কোম্পানি সৈকতের পেট থেকে কোম্পানি সম্বন্ধে কিছু গোপনীয় তথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বার করার জন্য সৈকতের পেছনে লাগিয়ে ছিল। ভাগ্যের জোরে সৈকত সে যাত্রায় ফেঁসে যাওয়া থেকে বেঁচে গেছে। ওই ঘটনার পর থেকে সৈকত মেয়ে বন্ধু তথা লিভ ইন পার্টনার জোটানোর ব্যাপারে সাবধান হয়ে গেছে এবং কাউকেই আর নিজের কাছে খুব একটা ঘেঁষতে দিচ্ছে না। 

    সমস্যা হয়েছে সৈকতের যৌন চাহিদা নিয়ে। নিয়মিত নারী সঙ্গ করার অভ্যাস তার অনেক দিনের। এদিকে বিশ্বাস করে কোন মেয়েকে ঘরে আনতে পারছে না। এতে করে সৈকতের ছটফটানি দিন কে দিন বেড়ে যাচ্ছে ও সে নারী সঙ্গ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত অনেক ভেবে সৈকত স্থির করলো ধর্মতলা এলাকায় যে সমস্ত স্ট্রিট গার্ল ঘুরে বেড়ায় খদ্দেরের সন্ধানে ওদের কাউকে দিয়েই আপাতত কাজ চালাবে। 

    অতএব কোন এক সপ্তাহান্তের সন্ধ্যায় সৈকতকে দেখা গেল ধর্মতলার পুরোনো মেট্রো সিনেমা হল যেখানে ছিল তার সামনের ফুটপাথ থেকে পুরোনো লাইট হাউস - নিউ এম্পায়ারের গলি পর্যন্ত যে ফুটপাথ বিস্তৃত তার সামনে পদচারণা করতে। খানিকক্ষণ ওই ভাবে ঘোরাঘুরি করা এবং মাঝেমাঝে জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার পর সে লক্ষ্য করলো একটা মেয়ে তাকে চোখের ইশারায় কাছাকাছি আসতে বলছে। সেই মত সৈকত ফুটপাথে হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটির পাশাপাশি গিয়ে নিচুস্বরে জিজ্ঞেস করলো - 
    যাবে?
    উত্তরে মেয়েটি বললো 
    হ্যাঁ। 
    সৈকত - কোথায় যাবে? 
    মেয়েটি - জায়গা আছে। 
    সৈকত - ঠিক আছে, চলো তাহলে। 
    মেয়েটি - কতক্ষন থাকবে? 
    সৈকত - সারা রাত। 
    মেয়েটি - তাহলে প্রথমে একেবারে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে তবে ঢুকতে হবে। 
    সৈকত - ঠিক আছে। তবে তাই করো। 
    সেই মত দুজনে লেনিন সরণীর চাঁদনী চৌক বাজারের পাশে একটা হোটেলে খেতে ঢুকলো। 

    আধঘন্টা পরে রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করে বেরোনোর পর মেয়েটি সৈকতের কাছে বায়না ধরলো সে চাঁদনী মার্কেট থেকে নিজের জন্য একটা পেটিকোট কিনবে। দুজনে সেই মত ফুটপাতের একটা দোকানে গিয়ে পেটিকোট দেখা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হঠাৎ করে এক জন পুলিশের আগমন ঘটলো। পুলিশ সৈকত ও মেয়েটি - দুজনকেই আদেশ দিল তাকে অনুসরণ করতে। অল্প দুরত্বেই হেয়ার স্ট্রিট পুলিশ স্টেশন। পুলিশটি তাদের দুজনকে নিয়ে এই পুলিশ স্টেশনে পৌঁছালো এবং দুজনকেই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের হাতে সোঁপে দিল। 
    অফিসার ভদ্রলোক প্রথমে সৈকতের সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে চাইলো এবং নাম ধাম ইত্যাদি সব নথিভুক্ত করলো। মেয়েটি পুরোনো পাপী। থানা পুলিশের এই রকম চক্কর তাকে মাঝেমাঝেই কাটতে হয়। থানার পুলিশেরা তাকে চেনেও এবং সেও ভাল করে জানে এই সব ঝামেলা কেটে কি করে বেরোনো যায়। সে সৈকতকে ইশারা করে আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করলো কিছু মালকড়ি খসানোর জন্য। সেই মত থানার অফিসার যখন তাকে জ্ঞান দিচ্ছিলো এক জন রাস্তার বেশ্যার সঙ্গে তার এই মেলামেশা আইনের চোখে কি ধরণের অপরাধ, তখন সৈকত সোজা পার্স থেকে একটা ৫০০ টাকার নোট বার করে অফিসারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য নিতে অনুরোধ করলো। অতঃপর অফিসার নিজের বাক্যবাণ বন্ধ করে চুপচাপ অধঃস্তন পুলিশদের ওদের দুজনকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল। 

    থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মেয়েটি সৈকতকে নিয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে ফ্রী স্কুল স্ট্রিটের দিকে চলতে বললো। হোটেলে খাওয়া দাওয়া করার সময় সৈকত মেয়েটির নাম ও বাসস্থান সম্বন্ধে জেনে নিয়েছিল। মেয়েটার নাম জুবেদা আনসারী। সে বসিরহাটের মেয়ে। সেখান থেকেই রোজ যাওয়া আসা করে। তবে যেদিন পুরো রাতের খদ্দের পায় সেদিন আর বাড়ি যায় না। 

    কিড স্ট্রিট ঠিক যেখানটায় ফ্রী স্কুল স্ট্রিটে গিয়ে মিলিত হয়েছে, ঠিক সেখানটায় কিড স্ট্রিটের ডান দিকের কোণে হিরনানী ম্যানসন নামে একটা চারতলা বিল্ডিং আছে। এই বাড়িটির সব কটা তলাই বেশ্যাবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হয়। 
    ওই বিল্ডিঙের নিজস্ব কিছু মেয়ে আছে। নিচের দুটো তলা তারা এই কাজের জন্য ব্যবহার করে। আর জুবেদার মত যারা বাইরে থেকে খরিদ্দার ধরে নিয়ে আসে তাদের জন্য ওপরের দুটো তলার ঘর গুলো ভাড়া দেওয়া হয় ঘন্টা হিসাবে। 

    সৈকতকে বগলদাবা করে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জুবেদা ট্যাক্সি করে এই হিরনানী ম্যানসন পৌঁছালো। পুরো রাতের জন্য ওরা লাগোয়া বাথরুম টয়লেট সহ একটি ঘর ভাড়া নিলো। 

    জৈবিক ক্ষুধায় কাতর সৈকতের আর তর সইছিল না। সে তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করে জুবেদাকে জামা কাপড় খুলে ফেলতে বললো। বছর চব্বিশেকের তরুণী এই জুবেদার শরীরটা বেশ আঁটোসাঁটো। অত্যন্ত সুদৃঢ় স্তন ও গভীর নাভিকুণ্ডের অধিকারী এই তরুণী ছেলেদের উত্তেজনার চরমে পৌঁছে দেওয়ার ছলাকলাতেও অতিশয় দড়। নাভিকুণ্ডের নীচের বিশাল অববাহিকার নিচের অংশে রেশমী কোমল কালো রোমের রাশি সৈকতকে যেন ঝাঁপিয়ে পড়তে আবাহন জানাচ্ছিল। কাজেই সৈকত আর দেরী না করে নিজের অভিজ্ঞ শরীর নিয়ে সঙ্গম পূর্ববর্তী শৃঙ্গারে ব্যস্ত হয়ে পরলো। 

    ফ্রী স্কুল স্ট্রিটের এই এলাকাটা একটা মিশ্র এলাকা। এখানে সংখ্যার নিরিখে হিন্দু জনসংখ্যার থেকে খ্রিস্টান ও মুসলমান জনসংখ্যা অনেক বেশী। এলাকাটি অসামাজিক কার্যকলাপ যেমন মাদক ও বিভিন্ন চোরাই বা অবৈধ পথে আমদানী করা ইলেক্ট্রনিক জিনিষ পত্র তথা বেশ্যা বৃত্তির জন্য কুখ্যাত। এই সব কাজ কারবারে জড়িত আছে বিভিন্ন অসামাজিক গ্রুপ আর এই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মারপিট লেগেই থাকে। 

    ঘটনাক্রমে সেদিন এরকমই একটি গুন্ডার দলের মাথা সেদিন রাত্রে ওই হিরনানী ম্যানসনে মেয়ে নিয়ে স্ফুর্তি করতে এসেছে। এদিকে অন্য একটি গ্রুপ অনেক দিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিল কখন এই গুন্ডা দলের নেতাকে অসুরক্ষিত অবস্থায় পাকড়াও করা যায়। গুন্ডা দলের নেতার নাম সমশের। 
    মধ্যরাতের পরে যখন যৌন সঙ্গমে তৃপ্ত সৈকত ও সারা দিনের ধকলে ক্লান্ত জুবেদা গভীর নিদ্রামগ্ন তখন এই প্রতিযোগী অসামাজিক দলটির কিছু গুন্ডা সমশেরকে ঠিকানা লাগাতে হানা দিল হিরনানী ম্যানসনে। সমশের যখন স্ফুর্তি সম্পূর্ণ করে একটু আরাম করার কথা চিন্তা করছিল, ঠিক তখনই এই গুন্ডার দল অতর্কিতে পাইপ গান, পেটো ইত্যাদি সহযোগে ওই বিল্ডিঙের ওপর হামলা করলো। বিল্ডিঙের ম্যানেজার অভিজ্ঞ লোক। জীবনে এই সব ঝামেলা অনেক দেখেছেন ও নিপটে নিয়েছেন। হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই সে সমশেরকে সতর্ক করে চোরাপথে পাশের বিল্ডিংয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করলো। কিন্তু ফেঁসে গেল অন্যান্য সাধারণ কাস্টমার, যারা সেদিন রাতে কোনো না কোনো মেয়ের সাথে ওই বিল্ডিংয়ে রাত কাটাচ্ছিল। 

    সমশেরকে ঠিকানা লাগাতে যারা এসেছিল তারা সমশেরের খোঁজে অন্যান্য সমস্ত ঘর গুলোতে নক করে হল্লা চেল্লা করে সব ঘর গুলি খুলিয়ে কাস্টমার দের ব্যতিব্যস্ত করে তুললো এবং ধমকে চমকে ওদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুললো। গভীর নিদ্রামগ্ন সৈকত ও জুবেদা বিব্রত অবস্থায় কোন মতে কাপড় জামা পড়ে যখন দরজা খুলে দিল তখন তাদের এক নজর দেখে গুন্ডা পার্টি আবার বাকি অন্য ঘর গুলির বাসিন্দাদের দরজা খোলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। 

    এদিকে সমশের পাশের বিল্ডিং দিয়ে পালিয়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজের গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ঘটনা জানিয়ে ওর ছেলেদের নির্দেশ দিল হিরনানী ম্যানশন এর ওপর হামলা করা গ্যাংয়ের ছেলেদের ওপর পাল্টা হামলা করার ব্যবস্থা করার। আর যায় কোথায়। লেগে গেল দুটো কুখ্যাত সমাজ বিরোধী গ্যাংয়ের মধ্যে ধুন্ধুমার লড়াই। সমশেরের দলের ছেলেরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পরলো সমশেরের ওপর হামলা করার চেষ্টা করা প্রতিদ্বন্দী গ্যাংয়ের ছেলেদের ওপর। রাত ভর চললো এই লড়াই। ফ্রী স্কুল স্ট্রিট ও কিড স্ট্রিটের সংযোগ স্থল থেকে শুরু হয়ে সেই লড়াই ছড়িয়ে পরলো আশেপাশের এলাকাতেও। 

    অবিলম্বে দুই গ্যাংয়ের মধ্যে এই ধুন্ধুমার লড়াই থামাতে কলকাতা পুলিশও মাঠে নেমে পরলো। নিকটবর্তী পার্ক স্ট্রিট এবং হেয়ার স্ট্রিট পুলিশ থানা থেকে সংগ্রহ করা পুলিশ নিয়ে পুলিশের এক যৌথ দল নেমে পরলো এই লড়াই মোকাবিলা করার জন্য। সকাল হতে না হতে ফ্রী স্কুল স্ট্রিট ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ১২ ঘন্টার জন্য কারফিউ জারি করা হলো। 

    এই কারফিউ জারি হওয়ার ফলে হিরনানী ম্যানশনে সৈকত জুবেদা সহ সেদিন রাত্রে বাইরে থেকে যারা রাত কাটাতে এসেছিলো তারা সবাই সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকা পরে গেল। হয়রানির একশেষ হয়ে তাদের সেদিনকার সারা দিনের জন্য ঘর ভাড়ার মাশুলও গুনতে হলো। মৌকার ফায়দা উঠিয়ে বিল্ডিং ম্যানেজারও ঘর ভাড়ার রেট দ্বিগুণ করে দিল। তাছাড়া পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে সে বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে আনার ব্যবস্থা করলো এবং আটকা পরে যাওয়া যুগলদের মধ্যে সেই খাবার বিক্রি করে মোটা মুনাফা কামিয়ে নিলো। 

    সন্ধ্যা ৬টার পর দুঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হলো। তখন সৈকত, জুবেদা সহ আরো যারা রাত থেকে ওই বিল্ডিংয়ে আটকা পরে গেছিলো, তারা শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় যে যার নিজের বাড়ির রাস্তা ধরলো। 

    এই ঘটনায় সৈকতের আরো একবার উচিত শিক্ষা হয়ে গেল যে অবৈধ সম্পর্ক মানুষের জীবনে কি রকম সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এবারে সৈকত মনে মনে অনুধাবন করতে পারলো যে বিয়ে করে বউ নিয়ে সংসার ধর্ম পালন করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের জৈবিক চাহিদা মিটিয়ে নেওয়াটাই সর্বোত্তম রাস্তা। অবৈধ উপায়ের রাস্তা সব সময়ই কণ্টকাকীর্ণ। 

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন