এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সিকিম দার্জিলিং। বরফ, পাহাড় আর নদীর দেশে। 

    লতিফুর রহমান প্রামানিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ জুন ২০২৩ | ২৯০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • (প্রথম পর্ব)

    ভ্রমণের আগের রাতে কখনো ভালো ঘুম হয়না। ভিসা পেতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় তিনটি ছুটির দিন হারিয়ে ফেলেছি।  আমাদের সবার বাড়ি থেকে অনুমতি পাওয়ার কাজটা বরাবরই সহজ থাকে না। প্রতিবার যে কোন ট্যুরে যাওয়ার আগে ফাহিম দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে তার পরিবার কে আশেপাশের কোন পার্ক ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানোর পর নিজের অনুমতি টা হাসিল করার অন্তিম চেষ্টা করে প্রতিবারই। যতবারই কোথাও ঘুরতে গেছি ততবারই আমাদের প্রিয় গৃহীনিগন আর বাচ্চাদের বাধাগ্রস্ত আমাদের সাময়িক থমকে দিলেও আমরা যে নাছোড়বান্দা সেটা এখন সব গৃহীনির মুখস্থ শব্দের মতো। দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি অবশ্যই বিশেষ কিছু। অতিরিক্ত সতর্কতা আর পূর্ব জ্ঞান অপরিহার্য সবসময়ই। আমি যতটা ট্যুরে গেছি প্রতিবারই সেই নতুন জায়গার রুট প্ল্যান, হোটেল, যানবাহন আর ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় গুলো খোঁজ নেয়ার দায়িত্ব আমার উপর রেখে সবাই রিলাক্স মুডে থাকতে পারে। এবার ও তার অনথ্যা হয়নি।  ভারত ভ্রমণের পুর্ব অভিজ্ঞতা আমার জন্য শাপেবর মতো। যাইহোক সবকিছু ঠিকঠাক করে ভোর চার থেকে উঠে ৮০/৯০ স্পিডে ভোরের রাস্তা পেরিয়ে রংপুরের জাহাজ কোম্পানির মোড়ে হাজির হলাম। রায়হান পাচ মিনিট পর হাজির  হলেও ফাহিম আরও তিন মিনিট পর আর তারেক বরাবর যেমন। এবার ও ফেল। সকাল সাড়ে সাতটা ঘড়ির কাঁটার সময়। সোমবার ১ মে ২০২৩ ইং। প্রায় একশো কিমির পথ বুড়িমারী স্থল বন্দর। রাস্তায় টায়ার পাংচার হওয়ায় বদৌলতে আমাদের প্রথম ছবি তোলার সুযোগ হাতছাড়া আর করিনি। আমাদের মাইক্রো সেখানে প্রায় সকাল নয় টার পর হাজির হলো।    ভারত ভুটান এবং নেপালের সাথে স্থল পথে মালামাল আমদানী ও রপ্তানির সুবিধার জন্য এই বুড়িমারী এলাকার জিরো পয়েন্টে এই বন্দরটি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে চালু করা হয়।

    ইমিগ্রেশন অফিসের সেই চিরাচরিত অব্যবস্থাপনা,  দালালদের নৈরাজ্য,  টানাটানি তে বেহাল দশার মুখোমুখি হতে হয় আমজনতার।  বিশেষ করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগের দীর্ঘ দিনের নিয়ম আর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা র কোমরের কটকট শব্দ হওয়ার কথা।  এভাবেই প্রায় চার ঘন্টা লেগে গেল আমাদের। ভারতের মাটিতে পা টা পড়তে প্রায় একটা বেজে গেছে আমাদের। সেখানে ব্রাক ব্যাংকের  মিঠুন প্রামাণিক। আমার পুর্ব পরিচিত । আমাকে দেখে তার নাকি প্রান ভরে আসে। সে একাই গ্যাংটক বা দার্জিলিং এ ঘুরতে বেরিয়েছে।  ভ্রমণ যে কত বড় নেশা এটা তাকে দেখেই বুঝতে পারি।  একটা টো টো ভাড়া করে নিলাম। ভাড়া ত্রিশ রুপি করে প্রতিজন। মিনিট পনের মধ্যে আমরা বাইপাস এ হাজির হলাম। এর এক দিকে কুচবিহার, একদিকে শিলিগুড়ি আর আরেক দিকে গাজলডোবা ব্যারেজ রোড। জিপের সাথে দামদর ঠিক করে নিতে হবে এটা মাথায় আগে থেকেই ছিলো।  শেষ অব্দি ৯০০ রুপি ভাড়া তে ভাড়া করে ছুটে চলছি শিলিগুড়ির পথে।

    শৈলেন দেবনাথের মতে, "শিলিগুড়ি" নামটির অর্থ নুড়িপাথরের ঢিবি। ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চলটি পরিচিত ছিল "শিলচাগুড়ি" নামে। সেই সময় এলাকাটি ঢাকা ছিল ঘন দোলকা বনে। কৃষিজ ফসলে সমৃদ্ধ গ্রাম হওয়ায় সিক্কিম রাজ্য শিলিগুড়ি দখল করে এটিকে তাদের রাজ্যের সর্বদক্ষিণ অংশে পরিণত করে। এরপর নেপাল রাজ্য এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ করে। এই কারণেই কিরাতি ও নেপালিরা এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল।

    সেই যুগে শিলিগুড়ির দক্ষিণে ফাঁসিদেওয়ায় মহানন্দা নদীর তীরে একটি নদীবন্দর ছিল। এই বন্দরটি মালদহ সহ বাংলার অন্যান্য অঞ্চল ও বিহারের সঙ্গে বাণিজ্যরক্ষার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। এই বন্দরটি ব্যবহার করে ভুটানি ও সিক্কিমিরাও তাদের মূল ভূখণ্ডে দ্রব্যসামগ্রী বহন করে নিয়ে যেত।  নতুন জায়গা সব সময় নতুন প্রেমিকা মতো, লোভনীয়া, কমনীয়া আর আকর্ষণীয়।  রাস্তায় চলতে চলতে যেন মুখস্ত করে নিচ্ছি পথ ঘাট গুলো।  জিপের ড্রাইভার নিজের ঢোল পিঠিয়ে চলছে সমান তালে। বাংলাদেশের যেন সব মানুষ তাকে চেনেন এমনই ব্যাপার টা। আমি মাঝে মাঝে হুম হুম বলে তার কথার উপর মলম লাগিয়ে যাচ্ছি। মাঝপথে নেমে হালকা নাস্তা, সিংড়া, চা, বিস্কুট খেয়ে নিলাম।   এরপর প্রায় তিন বা সাড়ে তিন নাগাদ এস এন টি বাস স্টেশন নেমে সোজা চলে গেলাম সিকিম যাওয়ার পার্মিশন নিতে। কপাল মন্দ আমাদের। তিনটা য় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে উপায় আরেকটি আছে আমাদের হাতে, গ্যাংটক যেতে পথে রংপো তে থামিয়ে অনুমতি টা নিতেই হবে। নয়তো আমরা গ্যাংটকের ভিতর যেতে পারব না।   আমাদের দেখা মাত্র কয়েক জন ঘিরে দাড়ালো, কই যাব, কতজন, কত টাকা বাজেট ইত্যাদি ইত্যাদি জিজ্ঞেস করে নাস্তানাবুদ করে ফেলে।  যাইহোক অনেক হিসাব নিকাশ সেরে একজনের সাথে কনফার্ম করলাম।  এবার জিপে চড়ে বসে পড়ি। শেয়ার জিপ ৯ জনের।  খুব আরামদায়ক না হলেও উপায় নেই। আমার দু পাশে দুটো হাফ মাতাল ছেলে। হিন্দি আর নেপালি ভাষা ভালো জানে। তাদের সাথে কথা হচ্ছিল পুরো পথ। তবে মদের গন্ধে  গাড়ির পরিবেশ টা নেশাগ্রস্থ হওয়ার উপক্রম প্রায়। ধিরে ধিরে বুঝতে পারি এই লাল পানি টা এখানে সুলভ না হলে সবার ঠোঁটে মাখা থাকতো না। শিলিগুড়ি টু গ্যাংটক প্রায় ১১২ কিমি। পুরো পথ টা তিস্তা নদীর কোল ছুঁয়ে।  পাহাড় আর নদীর বুক চিরে রাস্তার সৌন্দর্য কলমে লিখে শেষ করা যায় না। আমরা যতটা এগুচ্ছি আর ততই বিমোহিত হয়ে যাচ্ছি। চালক গুর্খা। এখানকার প্রায় সব চালক ই গুর্খা বা নেপালী।  যেতে যেতে একটা বিপত্তি আমাদের পেয়ে বসে হুট করে রায়হান বমি করতে শুরু করে। এত বাঁকানো প্যাঁচা নো রাস্তা আর আকাশ মূখী এই প্রথম সাক্ষাৎ পেলাম আমরা।  আমাদের অন্তঃকর্ণে এক ধরনের তরল থাকে যা দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। আবার চোখে দেখা দৃশ্যও মস্তিষ্কে চলমানতা অথবা স্থিতাবস্থার সঙ্কেত পাঠায়। যখন জনৈক ব্যক্তি পাহাড়ে একটি চলমান যানের ভিতরে বসে থাকেন তখন এক দিকে দেহ স্থিতিশীল থাকে, কিন্তু অন্য দিকে বাইরের দৃশ্যপটের বদল হয়। তা দেখে চোখের মাধ্যমে মস্তিষ্ক চলমানতার সঙ্কেত পায়। আবার যখন যানটি পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেয়, তখন কানের তরলের গতি গাড়ির প্রকৃত দিকের বিপরীত দিকে চলে যায়। ফলে ভুল হয়ে যায় দিক নির্দেশ। ইন্দ্রিয় দ্বারা গৃহীত সঙ্কেতগুলির এই সমন্বয়হীনতার ফলেই মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয় ও তার ফলে বমিভাব দেখা যায়। তারেক এর সমস্যা হলেও কিছুটা পরে সে সামলে উঠে কিন্তু রায়হান বমি করতে থেকে বিরতি হীন ভাবে। চিন্তার কারণ অবশ্যই। যাইহোক খানিকটা বাদ সে নিজেকে সামলাতে পারে। রাত নয় টা প্রায়। ড্রাইভার বলে আমাদের গ্যাংটক এ যেতে রাত দশ-টা হয়ে যাবে।  এই দূর্গম পাহাড়ি রাস্তায় রাত দশ-টা কম নয়। তবে সারা রাস্তায় গাড়ি চলছে।  এমন নিয়মতান্ত্রিক পথ হয়তো আর দুনিয়ায় কম পাওয়া যাবে। নয় টা বাজার দশ মিনিট পর আমরা রংপো তে নেমে পড়ি। গ্লাসের ভিতর থেকে একটা আধা বয়সী মানুষ চোখ তুলে দেখলো। পাসপোর্ট বের করে দিলাম সবার। জানিয়ে দিল, সময় শেষ আর হবে না।  তার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।  বল্লাম আমরা আইনজীবী, একজন অসুস্থ ইত্যাদি ইত্যাদি। না একদমই তার মন গলাচ্ছে না, এবার সে পুলিশকে দেখিয়ে দিল। যাইহোক পুলিশকে আমাদের পরিচয় দেয়া মাত্র পুলিশ শীতল কণ্ঠে আমাদের সাথে কথা বলতে থাকে। অনুরোধ করি আমাদের অনুমতি দিতে, এবার কাজ হলো উনি গিয়ে আমাদের কাজ করে নিতে বললে প্রানে জল এলো। এখানে অনুমতি না পেলে খুব বিপদের মুখে পড়ে যেতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বলে হ্যান্ডশেক করে আবারও গাড়ী চড়ে বসে পড়ি। যাইহোক এবার সিকিমের মাটিতে পা রাখলাম। অসম্ভব সুন্দর, পরিচ্ছন্ন আর সাজানো রাস্তা। রাতের সিকিমের সুন্দর একটা নতুন মাত্রা যোগ করে আমাদের ভ্রমণে।  কোন গাড়ির হর্ন বাজে না, কেউ কাউকে ওভারটেক করে না। কেউ রাফ ড্রাইভ করে না। এই আইন কেউ ভাংগে না তার জন্য শাস্তি আছে কিন্তু তার চেয়ে বড় বিষয় হলো মানুষের আইন মানার অভ্যাসটা।  কল্পনা করতে পারি না, সবাই চাইলে হয়তো এমন কিছু করা সম্ভব। রাত দশ টার পর আমরা গ্যাংটকের মুল শহরে উপস্থিত হই। শহরে আর তখন মানুষ জন নেই। সব দোকান বন্ধ প্রায় মাঝে মাঝে দু একটা আধা খোলা দোকানের কপাটের ফাঁক  গলা নীল, লাল আলো উঁকি দিচ্ছিলো। হোটেলের একটা ছেলে এসে স্যার স্যার বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলতে থাকে। স্যার কারো কিছু লাগলে এখনি নিয়ে নিন। পরে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। তারমানে সামনের মদের দোকানে,  ইংগিতে বুঝতে পারি। আর সামনেই সেই বিখ্যাত এম জি মার্গ। আধুনিক ইউরোপ এর শহরের আদলেই বানানো শহর এটা। রাস্তার মাঝে অসংখ্য ফুলের গাছ আর রাতের আলোতে এক অন্য রকম সুন্দর।  রাস্তা দিয়ে অল্প কিছু মানুষ চলছে কিন্তু বলতে পারেন শব্দহীন, নীরব পথচলা।

    শরীরে ক্লান্তি বাস করে আছে। দীর্ঘ চার ঘন্টা রাস্তা। রাত যত গভীর হয়ে আসে চোখের পাতায় ঘুম তখন নৃত্য করতে থাকে।

    সূত্র : উইকিপিডিয়া, জার্নাল, পত্রিকা।
    লেখক ঃ লতিফুর রহমান প্রামাণিক, লেখক, আইনজীবী।
    (ক্রমশ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন