এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গঙ্গাসাগর ভ্রমণ এবং কিছু কথা

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৬৫ বার পঠিত
  • গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থল, অর্থাৎ আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনস্থল, ভক্তের সাথে ভগবানের মিলনস্থল, ভগবতপুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর অবতার কপিলমুনির তপস্যাক্ষেত্র, আবার আদি শঙ্করাচার্য, শ্রীমৎ তোতাপুরী এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর পদধূলিতে সম্পৃক্ত জায়গাটি হলো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মুড়িগঙ্গা, মূল গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্ঠিত বিস্তীর্ণ দ্বীপ এলাকা সাগরদ্বীপ। সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কলকাতা থেকে সড়কপথে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে সোজা ডায়মন্ড হারবার হয়ে কাকদ্বীপ আসা যায় আবার আমতলার পরে শিরাকোল থেকে বামদিকে বেঁকে উস্থি হয়ে ডায়মন্ড হারবার - কাকদ্বীপ রোডের হটুগঞ্জ মোড়ে গিয়ে ওঠা যায়। এরপরে সোজা কাকদ্বীপ লট এইট ঘাট। সেখানে গাড়ী সহ পারাপার করা যায় ভেসেলে। আবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লোকালে চেপে কাকদ্বীপ স্টেশনে এসে রিকশায় লট এইট ঘাট অব্দি আসা যায়। ঘাট পেরিয়ে ওপারে বাসে বা গাড়ী ভাড়া করে যাওয়া যায় গঙ্গাসাগর, তিরিশ কিলোমিটার রাস্তা। গত শুক্রবার বাড়ী থেকে বেরিয়ে অফিসের গাড়ীতে সোজা পৈলান, বিষ্ণুপুর, আমতলা হয়ে শিরাকোল থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডকে ডানদিকে রেখে আমরা চলে গেলাম বামদিকে উস্থি, তারপর হটুগঞ্জ মোড় থেকে আবার ডায়মন্ড হারবার - কাকদ্বীপ রোড ধরে সোজা কাকদ্বীপ। কাকদ্বীপ লট এইট ঘাটে SDO, কাকদ্বীপ, সাহেবের নির্দেশমতো হাজির ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব লঞ্চ। আমার সরকারী কাজে ভ্রমণ বলে এইরকম ব্যবস্থা। নইলেও প্রচুর লঞ্চ এবং ভেসেল থাকে ঘাটে, সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কেটেও ওঠা যায় আবার অগ্রিম লঞ্চ বুকিংও করা যায়। আবার ভেসেলে গাড়ীও পারাপার করা যায়। তবে লঞ্চ চলাচল এবং গাড়ী পারাপার সবটাই নিয়ন্ত্রিত হয় নদীতে জোয়ার, ভাটার সময় অনুযায়ী। আমারও যাত্রা সময় নির্ধারিত ছিল সেই জোয়ার ভাটার সময় অনুযায়ী। ভেসেলে গাড়ী পারাপারের সময় সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা অব্দি। সেইকারনে ওপারে ভাড়া করা গাড়ী রাখা ছিল গঙ্গাসাগর অব্দি যাওয়ার জন্য। লঞ্চে নদী পার হতে প্রায় আধ ঘন্টার একটু বেশী সময় লাগে আর ভেসেলে প্রায় এক ঘন্টা। নদীর ওপারের ঘাট, কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগরের হোটেল অব্দি প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় লাগে। সাগরদ্বীপের দর্শনীয় স্থান বলতে কপিলমুনির আশ্রম, বঙ্গোপসাগর, লাইট হাউস, সান সেট পয়েন্ট আর মনসাদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন। প্রথমদিন হোটেলে পৌঁছে খাওয়া দাওয়া করে নিয়ে প্রথমে অফিসের একদফা কাজ করে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম লাইট হাউস দেখতে। নদী মোহনা দিয়ে চলাচল করা জাহাজদের দিক নির্দেশ করে এই লাইট হাউস। লাইট হাউসের ওপরে ওঠা যায় বিকেল পাঁচটা অব্দি, কিন্তু সময় আর বয়সজনিত কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। এরপরে কাছেই সান সেট পয়েন্ট। বঙ্গোপসাগরের কোলে সীমাহীন জলরাশির মধ্যে আস্তে আস্তে রক্তাভ সূর্য আশ্রয় নিচ্ছে, সেটা এক অবর্ণনীয় দৃশ্য। এরপরে সোজা মানসদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন, আট কিলোমিটারের মত দূরত্ব।

    কথিত আছে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবকে অদ্বৈতবাদে দীক্ষিত করেছিলেন যিনি, সেই শ্রীমৎ তোতাপুরী, গঙ্গাসাগর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারতে যাওয়ার পথে দক্ষিণেশ্বরে এসেছিলেন ঠাকুরের কাছে এবং ঠাকুরকে অদ্বৈতবাদে দীক্ষিত করেছিলেন। গঙ্গার অপরদিকের কন্টাইতে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য নিজের এলাকায় কিছু জমি দান করেছিলেন সাগরদ্বীপের জমিদার। মূলতঃ এইসব জমিজমা দেখাশোনার জন্যেই কন্টাই থেকে এই সাগর দ্বীপে আসেন স্বামী ইস্তানন্দ বা রাখাল মহারাজ। তাঁরই নেতৃত্বে এই সাগরদ্বীপের মনসাদ্বীপ এলাকায় ক্রমে ক্রমে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন ১৯২৮ সালে। এই দ্বীপে শিক্ষার প্রসারে তাঁর অবদান অগ্রগণ্য। সাগরদ্বীপে শিক্ষার প্রসার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারের কাজ এখনও নিরলস ভাবে করে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশনের এই শাখা। চতুর্দিকে নদী এবং সাগরের কারণে এই দ্বীপ এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত ব্যাপার। বছরে দু তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেই চলে এখনও। দুর্যোগের সেই দিনগুলোয় রামকৃষ্ণ মিশনের পুনর্বাসনের কাজ সাধারণ মানুষের কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। রামকৃষ্ণ মিশনের মূল প্রবেশপথের পাশেই মিশনের বরাদ্দ করা ঘরেই রয়েছে মনসাদ্বীপ শাখা ডাকঘর। মিশন নিজেই তার সীমানার মধ্যে থাকা ডাকঘর সহ প্রতিটি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। সন্ধ্যা আরতি দেখার পরে মহারাজের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর সাথে ডাকঘর সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা, অসুবিধার ব্যাপারে আলোচনা করে বেড়িয়ে পড়লাম গঙ্গাসাগরের মূল আকর্ষণ কপিল মুনির আশ্রমের উদ্দেশ্যে।

    কপিল মুনির আশ্রমে যখন পৌঁছলাম তখন সন্ধ্যা আরতি চলছে। সন্ধ্যা আরতি দেখে হাঁটা পথে চলে গেলাম সাগরের ধারে। এই সেই গঙ্গা এবং সাগরের মিলনস্থল। সেদিন পূর্ণিমা থাকায় চাঁদের জোছনায় সাগরের এক মোহময় রূপ দেখলাম, যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না বা ছবি তুলে দেখানো যায় না। অনেকগুলো ছবি তুললাম কিন্তু কোনোটাতেই চোখের দেখার সাথে মিল পেলাম না। আসলে নিজের বা মানুষের চোখের সাথে অনুভূতি, আবেগ ইত্যাদি মেশানো থাকে যা ক্যামেরার চোখে পাওয়া যায় না। রাত বাড়ছে, ফলে মন না চাইলেও হোটেল অভিমুখে যেতেই হলো। পরদিন সকালে আবার কপিল মুনির আশ্রমে, উদ্দেশ্য পুজো দেওয়া। আবার কপিল মুনির দর্শন করে ফিরে এলাম হোটেলে। নিজের ঘরে ফিরে এসেও চোখ সেই পূর্ণিমার জোছনায় ভরপুর হয়ে রয়েছে। মন পড়ে রয়েছে আশ্রমে, কপিল মুনির মূর্তিতে। সিদ্ধপুরুষের নির্লিপ্ত চোখ, শান্ত স্নিগ্ধ মুখমণ্ডল, বাকী সারা শরীরটাও যেন মনের কল্পনায় ভেসে উঠছে। গৈরিক বসনে সমস্ত চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বে দেবরূপের এক সুঠাম শরীর, একহাতে কমন্ডুল আর অন্য হাতে সমস্ত জগতের কালিমালিপ্ত পাপক্লিষ্ট মানুষের উদ্ধারের আশির্বাণী। যোগেশচন্দ্র রায় তাঁর ‘পূজাপার্বণ’ গ্রন্থে বলেছেন, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে সূর্যবংশীয় রাজা বৃহদবল নিহত হয়েছিলেন। ভগীরথ তাঁর পূর্বপুরুষ। উভয়ের মধ্যে ৫২ পুরুষের ব্যবধান। ৫৩ পুরুষে ১৩০০ বছর। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৪৪১ অব্দে। অতএব ভগীরথ খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৪১ অব্দে ছিলেন। এই সময়ে কপিল মুনির আশ্রম ছিল। অর্থাৎ, আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর বা তারও আগে সাগরদ্বীপের এই পূণ্যভূমিতে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন কপিল মুনি। ভাগবত গীতায় তিনি বর্ণিত সিদ্ধাচল হিসেবে, অনেকের মতে তিনি ব্রহ্মা পুত্র মনুর উত্তরপুরুষ, আবার অনেকের মতে তিনি বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র। ভগবত পুরাণের বর্ণনা অনুসারে কপিল মুনির পিতা ছিলেন কর্দম মুনি এবং মাতা দেবাহুতি। সেখানে কপিল মুনিকে বিষ্ণুর একটি অবতার বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভগবত পুরাণে অবতারদের তালিকায় তাঁর নামও পাওয়া যায়। মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে, আত্মা ও পরমাত্মার বা ভক্ত ও ভগবানের মিলনস্থল, গঙ্গাসাগরে স্নান করে লক্ষ লক্ষ লোক পুজো দেয় কপিল মুনির পদতলে। সেই উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। কুম্ভ মেলার পরে গঙ্গাসাগর মেলা হলো ভারতবর্ষের হিন্দুদের দ্বিতীয় বৃহত্তম পূণ্য মেলা। বর্তমানে যে মন্দিরটি দেখা যায়, সেটির নির্মাণকাল নিয়ে অনেকরকম মত পাওয়া যায়। ৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে রানি সত্যভামা প্রথম কপিল মুনির মন্দির তৈরি করেন। সেই মন্দির নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পরে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে আবার এখানে একটি মন্দির তৈরি হয়। বর্তমান মন্দিরটি আদি মন্দির স্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আবার অন্যমত অনুযায়ী, ১৩৮০-৮১ বঙ্গাব্দে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে অযোধ্যার হনুমান গড়ি মঠের মোহান্ত রামদাসজি মহারাজ বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন। সুতরাং, কালের নিয়মে পুরনো মন্দির নষ্ট হয়ে গেলে বারবার নতুন মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে, এইরকম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।ষোড়শ শতকের প্রাচীন পুঁথি 'তীর্থতত্ত্বপ্রদায়িনী'তে কপিল মুনির মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। আবার এক সময়ের জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা ‘হরকরা’য় ১৮৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে এক প্রবন্ধ ছাপা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, "এই স্থানে (সাগরদ্বীপ) যে এক মন্দির আছে তাহা লোকের কাছে ১৪০০ বছর হইল গ্রথিত হইয়াছে। এই মন্দিরে কপিল মুনি নামে প্রসিদ্ধ দেবরূপ এক সিদ্ধপুরুষ প্রতিষ্ঠিত আছেন"। আসল আদি মন্দিরের কাঠামো অনেককাল আগেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

    পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী রামের পূর্বপুরুষ সগর ৯৯ বার অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। শততম যজ্ঞের সময় দেবরাজ ইন্দ্র ঈর্ষান্বিত হয়ে যজ্ঞের ঘোড়াটিকে অপহরণ করে কপিল মুনির আশ্রমে রেখে যান। সগরের ষাট হাজার পুত্র ঘোড়াটিকে খুঁজতে বেড়িয়ে কপিল মুনির আশ্রমে দেখতে পায়। তারা কপিল মুনিকে চোর অপবাদ দিলে, কপিল মুনি ক্রোধে তাদের ভস্ম করে দেন। সগরের পৌত্র অংশুমান কপিল মুনির কাছে এসে ষাট হাজার পুত্রের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তখন কপিল মুনি বলেন, স্বর্গের নদী গঙ্গা নেমে এসে তাদের ভস্ম স্পর্শ করলে তবেই তারা প্রাণ ফিরে পাবে। পরে সগরের বংশধর ভগীরথ তপস্যা করে গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন এবং সেই ষাট হাজার পুত্র আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছিল।

    আবার ভাগবত পুরাণের একাদশ অধ্যায়ে আমরা দেখতে পাই যে, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ উদ্ধবকে কপিল মুনির সাংখ্য দর্শনের শিক্ষা দিচ্ছেন (এই অংশটি উদ্ধব গীতা নামে পরিচিত), “এই জগতে আমি এসেছি সাংখ্য দর্শন শিক্ষা দিতে। যাঁরা অপ্রয়োজনীয় জাগতিক কামনার হাত থেকে মুক্তি পেতে চান, তারা এই দর্শন শিক্ষা করবেন। এই আত্ম-উপলব্ধির পথ বোঝা কঠিন। কালের স্রোতে তা হারিয়ে গিয়েছে। তাই আমি কপিলের দেহ ধারণ করে তা পুনরায় প্রবর্তন করতে এবং মানবসমাজে সেই দর্শন আবার শিক্ষা দিতে এসেছি।”

    এবার ফেরার পালা, হোটেলে দুপুরের খাওয়া তাড়াতাড়ি শেষ করে ভাড়ার গাড়ী করে চলে এলাম দ্বীপের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত রুদ্রনগর ডাকঘরে। সেখানে অফিসের কিছু কাজ ছিল, সেগুলো সেরে চলে এলাম কচুবেড়িয়া ঘাটে। আবার SDO সাহেবের দেওয়া লঞ্চে করে ফিরে এলাম লট এইট ঘাটে। কাকদ্বীপ থেকে আবার রেখে যাওয়া অফিসের গাড়ী করে নিজের জায়গায়। এখন অত্যধিক গরম থাকায় একটু অসুবিধা হয়েছে বটে, কিন্তু শীতকালে এই সফর হলে জীবনের এক স্মরণীয় ভ্রমণ হিসেবে চিরকাল থেকে যাবে মনের মণিকোঠায়। অবশ্য বর্তমান সফরটাও আমার সুখস্মৃতি হিসেবেই ফিরে ফিরে আসবে, যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন