এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পর্ব ২ রাবণ রাজ্য ঃ রামায়ণের সঙ্কেত রহস্য ঃ রাম, রাবণ নাকি বালী রাজ্য? আদর্শ রাজ্য কোনটি?  

    Nilanjan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ নভেম্বর ২০২২ | ৬৮৮ বার পঠিত
  • শিবের ভক্ত রাবণ সমগ্র কৈলাশকে তুলে নিয়ে লঙ্কায় স্থাপন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লেন। শিবের আঙুলের চাপে সব ভার এসে চাপা দিতে শুরু করলো রাবণকে। চিৎকার করে উঠলো রাবণ। সেই রোদন থেকে নাম হলো রাবণ। রাবণ শিব রাজ্যকে লংকায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। শিব রাজ্য কী তা পরে ব্যাখ্যা করা যাবে। যাইহোক শিব বাদে সমস্ত দেবতা আর গ্রহ নক্ষত্রদের নিজের সভায় আটক করেছিলো রাবণ। সয়ং ব্রহ্মা নাকি পড়াতেন শিশু রাক্ষসদের। এই বন্দী করার মানে কী বোঝাতে চেয়েছেন লেখক? শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ, পুরোহিত শ্রেষ্ঠ, বীর যোদ্ধা রাবণ। বর্ণময় চরিত্রের রাবন মারা যাবার পরেও হয়ে উঠেছিলো রাম-সীতার বিচ্ছেদের কারণ। 

    কেমন ছিলো রাবণের রাজ্য? রামায়ণ কী বলে? হনুমান যখন সীতার খোঁজে লঙ্কায় গেলো তখন সে দেখলো পুরো লঙ্কা সোনা দিয়ে বানানো। সোনার বাড়ী, সোনার প্রাচীর। বিশ্বকর্মার হাতে তৈরী, কুবেরের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া লঙ্কায় প্রাচুর্য যেন উপচে পড়ছে। রামের অযোধ্যা এর কাছে ম্লান। কিন্তু লঙ্কা একটা দ্বীপ। চারদিক জল দ্বারা বিচ্ছিন্ন একটা জনপদ। এই বিচ্ছিন্নতা ভৌগোলিক নয়। চারধার ধনতন্ত্রের মাঝে টিঁকে থাকা সমাজতন্ত্রের সংকেত?

    রাবণ ছিলো শিবের উপাসক। এই শিব কে? শ্রদ্ধেয় কলিম খানের মতে জ্ঞানের শিখা বহনকারী হলো শিব। শিব হলো বিজ্ঞানী যে আবিষ্কার করে। কিন্তু আবিষ্কার করলেই তা সমাজের কাজে লাগানো যায় না। কলিম খান বলেছেন দক্ষ হলো সেই সব ব্যক্তি যারা বার বার একই কাজ করে দক্ষতা অর্জন করে যাতে  আবিষ্কারকে সমাজের কাজে লাগানো যায়। শিব আবিষ্কার করবে দক্ষ তাকে কাজে লাগাবে। এই ভাবে সমাজ চলবে। যৌথ সমাজে শিবকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলো। বিজ্ঞানী অষুধ আবিষ্কার করলো আর ডাক্তার তাকে রোগ সারাতে রুগীদের দিতে শুরু করলো। শিব আর দক্ষ। জ্ঞানীর মর্যাদা সবার ওপরে। ভারত বরাবরই জ্ঞানীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। সমস্যা শুরু হলো যখন দক্ষ ভাবলো নতুন আবিষ্কারের আর প্রয়োজন কোথায়। যা জানি তা দিয়েই সমাজ বেশ চলছে। তাই দক্ষই পাক সর্বোচ্চ স্থান। শুরু হলো ব্রাহ্মণ আর বৈশ্যের মধ্যে সংঘাত। যৌথ সমাজ আর ব্যক্তিগত মুনাফার মাঝে সংঘাত। 

    রাবণ ছিলো পিতৃসূত্রে ব্রাহ্মণ, শিব ভক্ত আর তাই যৌথ সমাজের নেতা। রাবণের রাজ্যে তাই সবার বাড়ী সোনায় মোড়া। সম্পদের সমবন্টনের প্রতীক লঙ্কা। তাহলে রাবণকে রাক্ষস বলা হলো কেন? রক্ষা করা যার কাজ সে যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন তাকে রাক্ষস বলে। রাবণ হলো যৌথ সমাজের পতনশীল যুগের নেতা। নিজের প্রজাদের সুখী রাখলেও পরের ধন কেড়ে নেওয়া বা ক্ষমতার দম্ভ ছিলো রাবণের স্বভাব। 

    রাবণ ছিলো দেবতাদের বিরোধী। এই দেবতারা কারা? কলিম খান বলেছেন 'দেব দেব' করে যারা তারা দেবতা। অর্থাৎ ব্যবসায়ীগণ না পুঁজিপতি। রাবণ এই ব্যবসায়ীদের বন্দী করলো। যৌথ সমাজে ব্যক্তিগত পুঁজি রাখা অপরাধ। সবাইকে সমান শ্রম করতে হবে। লাভ আর সুদের টাকায় জীবন কাটানো যাবে না। তাই দেবতারা বা ব্যবসায়ীরা হলো অপরাধী। এই বিশাল পুঁজিপতিরা ছাড়াও ছিলো ক্ষুদ্র সুদখোর আর পুঁজিপতি। অদ্ভুত রামায়ণে একদল মুনির কথা আছে। রাবণ তাদের বললো একটা পাত্রে তারা যেন তাদের রক্ত দান করে তা ভর্তি করে। এই রক্ত হলো শ্রম আর মুনিরা হলো ছোট পুঁজিপতি। কলিম খান মত দিয়েছেন মুনি হলো তারা যারা অসীমকে সীমায়িত করে আবার অসীম করেন। এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুনিরা সীমিত পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে বড় পুঁজি তৈরী করতেন। বঙ্গীয় শব্দার্থকোষে ন মানে বিত্ত দেওয়া আছে। ম মানে মিত বা পরিমিত বা কম। কম বিত্ত যার সেই হলো মুনি। অবশ্যই তারা যৌথসমাজের বিরোধী ছিলেন। কারণ ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরী করা যৌথসমাজে অপরাধ। বড়দের বন্দী করে আর ছোটদের জোর করে কাজে লাগালো রাবণ। মুনিরা বা ছোট ব্যবসাদাররা অভিশাপ দিলো বা ষড়যন্ত্র করলো যে তাদের রক্ত ভরা পাত্রের রক্ত বা তাদের পুঁজিকেই ব্যবহার করা হবে রাবণের পতন ঘটাতে। মন্দোদরী বা রাবণের পত্নী পান করলো সেই রক্ত আর জন্ম দিলো সীতার। অদ্ভুত রামায়ণে সে গল্প আছে। মন্দোদরী কেন রক্ত খেতে গেলো? রাবণ পরনারী আসক্ত দেখে রাগে আত্মহত্যা করতে গিয়ে মুনির রক্ত পান করলো আর জন্ম দিলো রাবণের মরণের কারণ সীতাকে। অর্থাৎ ষড়যন্ত্রে যোগ দিলো মন্দোদরী।  মন্দোদরী মানে মন্দ উদর যার। উদর মন্দ মানে খিদে বা লোভ আছে যার। লুকিয়ে সীতাকে রাখা হলো এক দূর দেশে মাটির মধ্যে বা নব্য কৃষকদের বা মুনিদের উত্তরসূরীদের দূর দেশে লুকোনো হলো আর জনক তাকে পেয়ে বড় করলেন রামের সাথে বিয়ে দিতে। এখানে সীতা মানে লাঙলের ফলা বা জমিতে লাঙলের দাগ বা কৃষক সমাজের প্রতীক বা বিদ্রোহী কৃষক গোষ্ঠীর প্রতীক। ছোট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের দলে টানলো আর তাতে মদত দিলো রাবণের গার্হস্থ্য অশান্তি। রামের বা পুঁজিপতি সমাজে আরামে থাকা যাবে। সকলকে শ্রম করতে হবে না। লাভ আর সুদের টাকায় জীবন কাটবে ইত্যাদি বলে উত্তেজিত করতে লাগলো মুনিরা। সাবেক রাশিয়া ভাঙার সময়েও আমরা এমন দেখিনি কি?  তাহলে রাবণ হলো সমাজতন্ত্রের নেতা অথবা পতনশীল সমাজতন্ত্রের মাথা। রাম যদি হয় উদীয়মান ধনতন্ত্র তাহলে রাবণ হলো পতনশীল সমাজতন্ত্র। ব্যক্তিগত সম্পদ বনাম যৌথ সমাজ।  

    এই যৌথ সমাজ কেমন ছিলো? এখানে সমস্ত উৎপাদন সকলের মধ্য সমান ভাগে ভাগ করা হতো। সমস্ত জমি বা উৎপাদনক্ষেত্রের মালিক ছিলো সমাজ। ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরী করা বা জমানো ছিলো অপরাধ। শ্রমের বন্টন ছিলো সমান। কেউ পারিশ্রমিক পেতো না। বদলে পেতো সম ভাগ। জ্ঞান আর ধনের ভাগ সমান হওয়ায় উচ্চ-নীচ ছিলো না। অনেকটা দলবদ্ধ হরীণদের মতো। সকলে একই জমির ঘাস খাচ্ছে আর কেউ কারো ভাগ কেড়ে নিচ্ছে না। নেতারা সজাগ থাকছে বিপদ আসছে কিনা দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো উদ্বৃত্ত নিয়ে। শিকারজীবী মানুষদের উদ্বৃত্ত থাকতো না। কিন্তু কৃষি এই নতুন আপদ আনলো। কৃষি যত উন্নত হতে লাগলো উদ্বৃত্ত তত বাড়তে লাগলো। কী করা যায় এই উদ্বৃত্ত নিয়ে। এরপর তৈরী হলো বিনিময় প্রথা। উদ্বৃত্ত বিনিময় করে যখন অন্য কিছু পাওয়া গেলো তখন এলো ব্যবসার চিন্তা। আর এলো ব্যক্তিগত উদ্দোগে দূর দেশে উদ্বৃত্ত বেচার চিন্তা। এতে লাভ আরো বেশী। শুরু হলো ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরীর আকাঙ্খা। 

    এদিকে সমস্ত দিক তৈরী আর এখন দরকার একজনকে যে পতন ঘটাবে লঙ্কার যৌথসমাজকে। রামকে বনে পাঠালো কে? কৈকেয়ী। আগের পর্বে বলা হয়েছে কৈকেয়ী হলো কৃষক সমাজের প্রতীক। লঙ্কার কৃষকদের বিক্ষোভ কাজে লাগাতে রাম হলো বনবাসী। সীতা বা কৃষকসমাজের নব্য প্রতীককে স্বস্থানে স্থাপন করতে রাম চললেন বনে আর তাদের শাস্তি দিতে সীতা হরণ করলো রাবন। বিক্ষোভ দমন করতে রাবণ দমন নীতিই বোঝে। এবার রাম করলো আক্রমণ। নিজের বণিক সমাজ আর কৃষক সমাজই বা মন্দোদরীর সীতাই হয়ে উঠলো রাবণের পতনের কারণ। 

    সাবেক রাশিয়া কেন ভারতের দিকে তাকালেও এমন সংকট দেখতে পাবো। রাম রাজ্য, রাবণ রাজ্য ছাড়াও ছিলো আর এক রাজ্য। সে হলো বালী-সুগ্রীবের রাজ্য। প্রথম দুই রাজ্য থেকে আলাদা। সেখানে ধনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের বিবাদ নেই। মানব সংস্কৃতি থেকে দূরে তার অবস্থান। সে হলো এক অন্য তন্ত্রের রাজ্য। পরের পর্বে আসবে বালী রাজের কথা আর তার পরিবর্তনের কথা। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সোমনাথ | 203.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৩513423
  • চলুক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন