এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পয়সা উশুল

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ জুলাই ২০২২ | ১১৬২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৪ জন)
  • মূলত হিন্দি, (ইদানিং কিছু দক্ষিণীও) "বাণিজ্যিক" সিনেমা সম্পর্কে একটা কথা শুনি, "পয়সা উশুল"। ওগুলো দেখতে হলে নাকি নাক-কান-চোখ, স্বাভাবিক বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুই বিসর্জন দিয়ে দেখতে হয়, তাতেই মোক্ষ, এনজয়মেন্টের চূড়ান্ত, অর্থাৎ কিনা পয়সা উশুল। তো, কথাটার এমনিই কোনো মানে নেই, কারণ, প্রথমত উপভোগের আবার বাণিজ্যিক-অবাণিজ্যিক কী? দর্শকের পরিপ্রেক্ষিতে, সব সিনেমাই বাণিজ্যিক, পয়সা দিয়েই দেখতে হয়। উপভোগ না করতে পারলে খামোখা লোকে দেখবেই বা কেন? লোকে তো পাগল না। তবে এর চেয়েও প্রলয়ঙ্কর হল, দ্বিতীয় পয়েন্টটা, অর্থাৎ চোখ-কান-বোজা। এর চেয়ে বেশি হাস্যকর কথা খুঁজে বার করা অসম্ভব। আজ অবধি এমন কথা শুনেছেন, যে, আপনি মাঠে ক্রিকেট দেখতে গেছেন, কাকে চার-ছক্কা বলে, সেই প্রাথমিক ব্যাকরণটাই ভুলে গিয়ে, চোখ বন্ধ করে মাঠে বসে খেলা "দেখে" আপনার পয়সা উশুল হল? বা, সঙ্গীতের আসরে গিয়ে, কান বন্ধ করে রেখে স্রেফ বাঁদরের মতো লাফিয়ে আপনার যথাযথ উপভোগ হল? কিন্তু কিছু বিশেষ সিনেমার ক্ষেত্রে দাবীটা এরকমই। মানে, আপনি সিনেমা দেখার আগে পর্যন্ত একটা রীতিমতো বুদ্ধিমান, কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন লোক ছিলেন, দেখার সময় সেটা কোথাও একটা বন্ধক দিয়ে দিলেন। দৃশ্যশ্রাব্য মাধ্যমের একটা বস্তু দেখতে গেলেন, এবং চোখ এবং কানটাই বন্ধ করে ফেললেন।  

    এই হাস্যকর দাবী কিন্তু মোটেই স্থান-কালের ঊর্ধ্বে, সার্বজনীন না। আপনি যদি তিরিশের দশকের সুপারহিট "মুক্তি" থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের হিট "ভুলি নাই" বা "৪২" দেখেন, দেখবেন, তার লক্ষ্য ক্রমশ বেশি-বেশি করে একজন কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষকে উপভোগের যোগ্য কিছু দেওয়া। তার পরেও, যদি সাত-পাকে-বাঁধা থেকে উত্তম-সুচিত্রার সাদা-কালো প্রেমের রূপকথা হয়ে, রঙিন "দাদার কীর্তি" অবধি দেখেন, দেখবেন, সেখানেও বাস্তবানুগতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, দর্শককে বুদ্ধিহীন ভাবা একেবারেই হচ্ছেনা। এ কোনো যান্ত্রিক রিয়েলিজম নয় কিন্তু, প্রেমের রূপকথারা রূপকথাই, রিয়েলিজমের ধার ধারেনা, কিন্তু তার ডিটেলিং যথাসাধ্য বাস্তবানুগ। মোদ্দা কথা হল, বিষয়টা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। তাকে কান্ডজ্ঞান বা কোনো ইন্দ্রিয় বিসর্জন দিয়ে পয়সা উশুল করতে বসতে হচ্ছেনা। 

    তাহলে এই পয়সা উশুলের দাবীটা কোথা থেকে এল? খুব সংক্ষেপে, এর উল্টোদিকে বোম্বের সিনেমা দেখুন। পঞ্চাশের বাংলা সিনেমার প্রবাদপ্রতিম ডায়লগ হল "মাসীমা মালপো খামু", যা স্রেফ বলার কায়দা আর বাস্তবানুগতার জন্য বছর সত্তর টিকে গেছে, আর এর বছর কুড়ি পরে সত্তরে, বোম্বের মেগাহিট ডায়লগ "মেরে পাস মা হ্যায়", যা কস্মিনকালেও আপনার চারদিকের কোনো লোক কখনও ব্যবহার করেনা, করলে প্যাঁক দিয়ে চোদ্দপুরুষ উদ্ধার করে দেওয়া হবে। পঞ্চাশের বাংলা সিনেমার ছেলে এবং মেয়েদের মেসবাড়ি দেখুন, মোটের উপর বাস্তবানুগ, ওদিকে আশি-নব্বইয়ের হিন্দি সিনেমায় প্রেমকাহিনীর জন্য যে কলেজ দেখানো হত, তেমন কলেজ ভূভারতে কখনও ছিলনা, হবে বলেও মনে হয়না। পঞ্চাশের "৪২" দেখুন, আবেগ আছে, সোজা গপ্পো আছে, কিন্তু গাঁজাগুলির কোনো কারবার নেই। তারপর খোলা মনে "নাইন্টিন ফর্টি-টু, আ লাভ স্টোরি" দেখে ফেলুন, নিন্দে মন্দের দরকার নেই, বাস্তবানুগতায় অবশ্যই চল্লিশ বছর আগের সিনেমার থেকে পিছিয়ে। 

    তা, কথাটা হল, এই "পয়সা উশুল" কালচার আকাশ থেকে পড়েনি। সেই পঞ্চাশের দশক থেকেই এইসব কাগের-ঠ্যাং-বগের-ঠ্যাং রীতিমতো মার্কেট করা হয়েছে। সেটার নাম দেওয়া হয়েছে এন্টারটেনমেন্ট। এমনি এমনি তো এটা বিক্রি করা যায়না। বহু শক্তিশালী লোকজনই করেছেন। সলিল চৌধুরি, হেমন্ত সব্বাই। গানের ক্ষেত্রে তো একদম ধরে-ধরে দেখানো যায়, এঁরা এমনকি নিজের সৃষ্টিকেও বোম্বের উপযোগী করার জন্য র‌্যাঁদা চালিয়ে কেমন সমতল করেছেন। ফলত, বোম্বের মূলধারার সিনেমা, তা এঁরা নিজেরাও জানেন আর সিনেমা পদবাচ্য থাকেনি, তার একটা নতুন নাম দিতে হয়েছে, "এন্টারটেনমেন্ট", যা কিনা মগজ বন্ধক দিয়ে দেখতে হয়। বোম্বের সঙ্গীত, যা মূলত বিভিন্ন ঘরানার সঙ্গীত থেকে খাপছাড়া ভাবে নিয়ে র‌্যাঁদা চালিয়ে সমতল করে বানানো একটা বকচ্ছপ বস্তু, সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, মূলধারার গান, যা কিনা মগজ এবং কান বন্ধ করে উপভোগ করতে হয়। এই গোটা ইন্ডাস্ট্রিটার একটাই অবদান আছে, "ভারতীয়" সিনেমা এবং সঙ্গীতের নাম দিয়ে একটা জগাখিচুড়ি তৈরি করে, বস্তুত ভারতের সাংস্কৃতিক বহুত্বকে ধ্বংস করা। এবং এটাই হল সেই কারণ, যেখান থেকে "পয়সা উশুল" সংস্কৃতির শুরু। ওড়িয়াদের রামযাত্রা থেকে, বাংলার যাত্রাপালা, পালাগান, কীর্তন, জনপ্রিয় টপ্পা, হাফ-আখড়াই, এমনকি খেউড় অবধি, কেউ কখনও বলেনি, যে, বন্ধুগণ, এ জিনিস কান বন্ধ করে "শুনুন", কারণ, ইহা এন্টারটেনমেন্ট। বোম্বে আমাদের এইটা ধরে-বেঁধে শিখিয়েছে। 

    ফলে, আমরা যেটা শিখেছি, যে, এন্টারটেনমেন্টের গুণবিচার করতে নেই। যখন "আই অ্যাম এ ডিস্কো ড্যান্সার" শুনে নেচেছি, তখন একটু কান খাটালেই বুঝতে পারতাম ওটা অতি অখাদ্য গান, কিন্তু কান খাটানো তো বারণ। যখন "মেরে পাস মা হ্যায়" শুনে তালি মেরেছি, তখন গুণবিচার করিনি, কারণ, ওটা বারণ। ভগবান মানা করেছেন। ফলত, অপরীক্ষিত গান, প্রশ্নহীন আনুগত্যের সিনেমা, ঢুকে গেছে আমাদের কৈশোরে, যৌবনে, শিরা, ধমনীতে। ওগুলোকেই শৈশব তো কৈশোর ভেবেছি, কারণ, উহারা "পয়সা উশুল"। সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। কখনও ভাবিইনি, যে, যে বস্তু চোখ বন্ধ করে "দেখতে" হয়, কান বন্ধ করে "শুনতে" হয়, এবং বুদ্ধি বন্ধক রেখে "উপভোগ" করতে হয়, তা কীকরে মহান হতে পারে। বাস্তবানুগ হতে পারে। এসব প্রশ্ন আসেনি, কারণ, মার্কেট করাই হয়েছে উল্টো করে। যেমত "ফরেন"  মাল, তেমনই বোম্বে যা দেখায়, তাইই মহান, তাই বাস্তবানুগ। বাকি সকলের জন্য এক মাপকাঠি, বোম্বের জন্য আলাদা।

    এর গুচ্ছের গোদা-গোদা উদাহরণ আছে। ধরুন, কলকাতা শহরে রক-কালচার দীর্ঘদিনের। মেয়েদের পিছন থেকে টোন-টিটকিরিও। কিন্তু মেয়েদের "পিছনে লাগা"র যে একটা কালচার মোটামুটি সত্তর থেকে চালু হল, তা হল বোম্বের প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায়। দলবল বেঁধে মেয়েদের পিছনে লাগা, উত্যক্ত করা, এবং ফ্রি-মিক্সিং কে কয়েক দশকের জন্য গোল্লায় পাঠিয়ে, উত্যক্ত করাকেই রোমান্টিকতার পরাকাষ্ঠা বলে চালু করা, সে হল বঙ্গীয় এবং সম্ভবত সর্বভারতীয় সংস্কৃতিতে বোম্বের অন্যতম মহত্তম অবদান। এর নৈতিক আলোচনা-সমালোচনা করাই যায়, কিন্তু করছিনা, এখানে মোদ্দা কথা হল, সংস্কৃতিটা ছিলনা, বোম্বে চালু করল।

    গোটা সিনেমা এবং সঙ্গীতের চালচিত্রেই একই ব্যাপার। "পয়সা উশুল" সংস্কৃতিটা নিজেই এই "ইভ-টিজিং"এর মতো ভারতীয় চলচ্চিত্রে বোম্বের অবদান। পয়সা-উশুল, অর্থাৎ কিনা, যা নাক-কান-চোখ বুজে, বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়ে তবে "উপভোগ" করা যায়। নব্বইয়ের পরে অবশ্য চালচিত্রটা অল্প হলেও বদলেছে। কিন্তু সে আর কদিন। পয়সা-উশুল এবং বিগ বাজেটের আধিক্য দেখে, মনে হচ্ছে, দশক খানেকের বিরতি দিয়ে সেই ভয়াবহ যুগ আবার ফিরে আসছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2a:3011:7c90:5831:db0:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ০৯:৩৬509719
  • এইটা বেশ ভালো একটা র‌্যান্ট হয়েছে। গোবিন্দার নাম এলে আরেকটু জমতো। 
  • dhurr | 207.244.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১০:০৫509720
  • মামুর যুক্তির আগামাথা নাই। পয়সা উশুল কালচার হলিউড অনেক আগেই চালু করেছে। যুদ্ধ, জোম্বি, ফাইট, জেমস বন্ড ইত্যাদি সবই পয়সা উশুল কালচার। বোম্বে মডেলটা ফলো করেছে। পপুলার সিনিমা বানিয়েছে। এত বড় দেশের এত বড় মার্কেট কেউ দখল করবে না তাই হয় নাকি?
     
    সাউথ ইটা বুঝে নিজেদের মত পয়সা উশুল কালচার ফলো করেছে। বাংলা সিনিমাও গেরামের দর্শকের জন্য বেমেজো বানিয়েছে। এখন শহরের দর্শককে টানতে পয়সা উসুল ফিলিম করবে, না পারলে ফুটে যাবে। সিম্পুল।
     
    পুউরো ব্যাপারটাই মার্কেট ড্রিভেন। বোম্বে ফমবে কেউ না।
  • dhurr | 207.244.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১০:০৭509721
  • মার্ভেল মুভিজ - হলিউডের লেটেস্ট পয়সা উশুল কালচার।
  • dhurr | 207.244.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১০:১২509722
  • আজকে বাংলায় বাহুবলী টাইপের সিনিমা হলে সারা দেশ দেখবে। কমলবাবু চাঁপা ঠিক করে বানালে বহুত টাকা কামাতেন। কিন্তু বাংলায় এখনও ফুলটু এন্টারটেনমেন্ট সাপ্লাই দেবার মত ট্যালেন্ট দেখা যাচ্ছে না। কল্কেতার আঁতেলরা বাজারটাকে মেরে রেখেছে।
  • D sandip | 2405:201:8003:9885:d81e:2954:cb91:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১০:৩০509723
  • লিখতে হবে বলেই লেখা, আমি সর্বজ্ঞ প্রকাশের চেষ্টা
  • Subhadeep Ghosh | ০৯ জুলাই ২০২২ ১১:০৯509724
  • দারুন লেখা। আসলে বুক ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে, ড্রামা ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি তো হয় ই, কিন্তু আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রির দ্বন্দ্ব ও যোগসাজস জন্মলগ্ন থেকেই সিনেমার ক্ষেত্রে যতটা নিবিড় আর কারো ক্ষেত্রে তা একবারেই নয়। 
    খুবই প্রণিধানযোগ্য লেখা।
  • কথাতেই আছে | 2601:205:c280:2890:71d2:897f:c0aa:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১১:৩৯509725
  • আপ রুচি খানা...তো এখানে - এক বিরাট সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এক দিগ্গজ সব্বাই কে প্রিচ করছে - কি দেখবেন কি দেখবেন না। এই ধরনের লেখা গুলো যাস্ট অসহ্য।
     
    অনেকটা - যাত্রা দেখে ফাত্রা লোকে টাইপস।
     
  • হজবরল | 199.249.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১১:৫১509727
  • পয়সা ইনভেস্ট যখন করছে তখন পয়সা উসুল ত করবেই সেটা চোখ কান বন্ধ করে হলেও প্রোডিউসারের ঘন্টার মাথা । লোকেরা পয়সা দিয়ে এসব কেন দেখে সেটাই প্রশ্ন ।

    সলিল হেমন্ত  নিজের সৃষ্টিকেও বোম্বের উপযোগী কেন করতে গেছিলেন ?পয়সা দিচ্ছিল বলে ।
    এখন সৃজিত পরমব্রত শাশ্বত যীশু আবির সবাই হিন্দি আর দক্ষিণী সিনেমা কেন করছেন ? পয়সা দিচ্ছে বলে ।
    কৈ নেটফ্লিক্স আর প্রাইম তো বাংলায় অরিজিনাল কনটেন্ট বানাচ্ছেনা ।
  • hehe | 23.106.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১১:৫৮509728
  • ব্যাংলির একটা গীতাঞ্জলি আর একটা পথের পাঁচালি মাড়িয়ে আন্তর্জাতিক হতে গিয়েছিল। সেদিন গিয়াছে।
     
    সায়েবরা আর ব্যাংলিকে পাত্তা দেয়না। এখন একজনও ব্যাংলি গায়ক-লেখক-অভিনেতা নেই যাকে লোকে সর্বভারতীয় স্তরে চেনে। হেমন্ত-সলিল আর নেই।
     
    ব্যাংলির এসব দেকে খুব কোস্ট হয়। বম্বের নামি গায়ককে খিস্তোতে ইচ্ছা করে। ফেবুতে পবন্দ নামাতে মন চায়।
     
    হায়! ব্যাংলি তোমার দিন গিয়াছে।
  • Amit | 193.116.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২২ ১২:২৬509729
  • আসলে আর কোনো কারণে নয় , এক এবং একমাত্তর বাংলা সিনেমা র বারোটা বাজাবেন বলেই নেহরু গান্ধী ষড়যন্ত্র করে বাংলা ভাগ করে ছিলেন। এই লেখায় এতো দরকারি তথ্যটা মিস হয়ে গেছে। 
  • Ekak | 43.25.***.*** | ১১ জুলাই ২০২২ ১৫:৫৮509786
  • লেখক  এখানে মুম্বাই সিনেমার কালচার বলে যে নিশানা করেচেন , উটি ভারতীয় কলচর। আমাদের, নায়ক -গোপিনী - ছেড়ছার ময় ভক্তি সাহিত্য ও যাত্রা কেন্দ্রিক যে সংস্কৃতি , মুম্বাই ফিল্ম তাকেই আত্মীকরণ করেচে আলাদা কোনো ভুঁইফোড় ব্যাপার না। 
     
    বাঙালিরা , আরও ফোকাস করে বললে , কোলকাত্তাইয়া বাঙালিরা য়ুরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাবে যেমন অনেক ভিক্টরিয়ান বদগুণ আয়ত্ত্ব করেচে তার সংগে আসা একটা সদগুণ হলো আধুনিক ফ্লার্টিং শেখা এবং একটা সিভালরাস ভদ্রতা মেয়েদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে। নইলে ছেড়ছাড়ই  ভারতীয় সংস্কৃতির মূলধারা। বাঙালির চোখে যতই অপসংস্কৃতি হোক। 
  • ? | 198.16.***.*** | ১১ জুলাই ২০২২ ১৯:০৫509791
  • বাংলায় কৃষ্ণ-র যে ব্যবহার রাধার প্রতি রাজন্য-স্পনসরড কাব্যাখ্যানগুলিতে ডকুমেন্টেড - তা ছেড়ছাড় মলেস্টেশন থেকে শুরু হয়ে নৌকায় ধর্ষণে শেষ হয় এবং তৎপরবর্তী রাধাপ্রেমের ধার্মিক অনুষঙ্গে সেগুলিরই গৌরবায়ন ও মাহাত্ম্য প্রচারিত। সাহিত্যকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলার অশিক্ষিত প্রবণতা এর জন্য দায়ী বললেও বিদ্যাপতি ভারতচন্দ্রের আগে হিন্দি বলয়ের কোনো কবির কলমে এ জিনিস দেখা গেছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন