এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্পঃ

    pradip kumar dey লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ জুন ২০২২ | ৭৬৬ বার পঠিত
  • প্রিয় কলমসাথী বন্ধুরা ~ 
    পড়ুন যুদ্ধবিরোধী এই গল্প। প্রতিবাদের প্রতিবেদন~
    --------------------------------------------------------------------
    ছোটগল্পঃ
    " মারণ যুদ্ধে জীবন্ত প্রেম "
    প্রদীপ দে ~

    সাময়িক যুদ্ধ বিরতির আজই শেষ রাত। উদিগ্ন নাগরিক। রাত শেষ হলেই ধ্বংসলীলা শুরু হবে।   চালু হবে মারণাস্ত্রে মানুষ মারার খেলা। ধ্বংসস্তূপে চলবে মৃত্যুর মিছিল। নিদ্রাহীন সর্বদা জাগরিত ইউক্রেনের নাগরিক। তারই মধ্যে জ্যান্ত হয়ে ওঠে মানুষের মনের কোণে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা। আকুল আবেদন জাগে এই জীবন্ত প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস -চিরন্তন প্রেমের পরিণতিতে  …

    ভয়ার্ত প্রেমিক প্রেমিকার কন্ঠে ধ্বনিত হয় …

    --  আজ আমাদের কাছে সময় বড় অল্প। যতটুকু সময় পাওয়া যাবে তা বড় বেশি মূল্যবান আমাদের দুজনের এই প্রেমের জীবনে। হয়তো আমরা কেউ বাঁচবো না। তাই বাঁচার বৃথা চেষ্টা না করে এসো আমাদের প্রেম আমাদের ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখি। কারণ প্রেমের মৃত্যু নেই, --
    কথাগুলো বলে ছাব্বিশ বছরের তরুন সৈন্য আইগর হাঁটুগেড়ে বসে পড়েছিল তার প্রেমিকা, ভালোবাসার আপনজন মারিয়ানার পায়ের কাছে।
    যুদ্ধবিধ্বস্ত কিভ তখন জ্বলছে, যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২, তা প্রায় মাস চারেক হয়ে গেছে। কিভ শহরের এক তৃতীয়াংশ প্রায় ধংসের মুখে, এই অবস্থায় এই ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে দেশের হয়ে লড়াইয়ে দেশের আইনে বাধ্য সৈনিক আইগর।

    অপেক্ষমান আইগর। কি করে,কি সিদ্ধান্ত নেয় তার ভালোবাসার জন মারিয়ানা? বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে সে কি এই বিপদের দিনে তার পাশে থাকবে, যেখান মৃত্যুর ছোবল পায়েপায়ে ,বিশেষত তার এই সরকারি বাধ্যতামূলক সৈনিক জীবনে, দেশের জন্য মৃত্যুর প্রায় দোরগোড়ায়।

    ফুল আনা সম্ভব ছিল না। খুব অল্প সময়ে বিরাট বড় আবদার করছে সে। তাই আইগর নিজের আঙুলের আংটি খুলে বাড়িয়ে দেয় মারিয়ানার দিকে .....

    রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণ হানিয়েছে তা প্রায় তিন মাস ছাড়িয়ে চার মাস হয়ে যাছে। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি থেকেই ইউক্রেন রাশিয়ার উপর যুদ্ধ চালিয়ে চলেছে। ইউক্রেন প্রায় বিধ্বস্ত। ইউক্রেন সরকার আইন করে ১৮ থেকে ৬০ বছরের নাগরিকদের সৈনিক পদে অংশগ্রহণে বাধ্যতামূলক ঘোষণা জারি করেছে এবং ওদের দেশের বাইরে যাওয়াকেও প্রতিহত করে দিয়েছে। 

    এমতাবস্থায় একেবারে কয়েক হাজার প্রেমিক যুগলেরা বিপদে পড়েছে। ভবিষ্যতে ঘর বাঁধার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে প্রেমের মিলনকে অনিবার্য ভাবে হত্যা করে দিতে হচ্ছে।  প্রেমের পরিণতি অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

    আইগর পাঁচ বছর ধরে বর্তমান সাতাশ বছরের মারিয়ানাকে ভালোবাসে। কলেজ থেকে বন্ধুত্ব। তারপরেই প্রেম। 
    মারিয়ানা একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করতো আর আইগর ছিল বেকার। বিবাহ হচ্ছিল না। চাকরির চেষ্টায় মগ্ন ছিল আইগর। মারিয়ানা ওকে যথাসম্ভব সাহায্য করছিল। কিন্তু হঠাৎই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে সব ভেস্তে দিল তাদের পরিকল্পনা। একদিন আইগরের কাছে সরকারের তরফ থেকে  সৈন্যদলে যোগ দেওয়ার আহবান আসে এবং বাধ্য হয় অংশগ্রহণ করতে।

    মারিয়ানা কেঁদে  ফেলে। আইগরও। কি হবে তাদের প্রেমের ভবিষ্যৎ?
    মারিয়ানা আইগরের বুকে মাথা গুঁজে দেয়। কান্নায় ভিজে যায় প্রেমিকের বুক,
    --  আমি পারবো না আইগর তোমায় ছেড়ে থাকতে।

    আইগর মারিয়ানাকে বুকে চেপে ধরে রাখে,
    --  আমিও কি পারবো তোমায় ছেড়ে যেতে?

    --  চলো আমরা পালাই।

    --  সে পথ যে বন্ধ! 

    --  অন্যদিকে নিশ্চিত মৃত্যুর পদধ্বনি!

    --  তাহলে আমাদের জীবন শেষ? প্রেমেরও জীবনের ইতি?

    মারিয়ানা মানতে রাজী হয় না। পথ খোঁজে। 
    পথ আসে অনান্য সকল প্রেমিক প্রেমিকার যুগলদের দেখে। ওরা মরণের আগে মরতে চায়না যুদ্ধের মধ্যেই প্রয়োজনে একদিনের জন্যও অথবা এক লহমার জন্যই তারা  নিজেদের ভালোবাসার পরিনতি দিয়ে ভালোবাসাকে পরিণত করে বিবাহবন্ধনে। 

    --  এসো আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। সময় বড় অল্প। আর এই সময়েই আমরা সব ভুলে আমাদের প্রেমের মিলন ঘটাই। যে ক'দিন বাঁচি জীবনের মূল্য দিই আমাদের বিবাহে, প্রেমের পরিণয়ে, মিলনে।
    মারিয়ানা আবেদন করে।

    আইগর পথ দেখতে পায়। মেনে নেয় মারিয়ানার প্রস্তাব। এছাড়া যে আর তাদের প্রেমের পরিণতি সম্ভব নয়। সব রাস্তা যে বন্ধ! এখন যে কদিন বাঁচা যায় প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখাই শ্রেয়। জীবন অল্প, সময় যে বড় কম।

    চারিধারে ত্রাহি ত্রাহি রব। মৃত্যু ছোবল দিচ্ছে বারে বারে, অজান্তে। কখন যে কে কোথায় হারিয়ে যাবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। যারা পেরেছে তারা দেশ ছেড়ে আশেপাশের দেশে আস্তানা খুঁজতে পালিয়েছে। মানুষ মরণশীল হলেও বাঁচার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে। কেউ মৃত্যু কে মেনে নিতে পারে না। সে মৃত্যু যদি বা আবার যেচে আহ্বান করা হয়। ভয়ঙ্কর বিপদে পড়লে বোঝা যায় আমাদের জীবনের জন্য আমরা কতটা উদ্বিগ্ন।  যারা এই বিপদে পড়েনি তারা এর বাস্তবতা অনুভব করতে পারবে  না। থিওরি আর বাস্তব যে এক বিশাল ব্যবধানে অবস্থান করে।

    জীবন মানে অনেকের কাছে অনেক রকম। বয়সের ব্যবধান এখানে বিরাট ব্যাপার। কেউ অর্থে কেউ সম্পদে, কেউ পরিবারে, কেউ সন্মান সন্মানিত তারা কেউ এরকম ভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে চায় না। বাঁচার জন্য আপ্রান লড়াই। আর এই যুদ্ধগুলো সেই মৃত্যুকেই তরান্বিত করে দেয়।

    আর যারা প্রেমে আবদ্ধ? প্রেম যাদের একে অপরকে হৃদয়ের বাঁধনে বেঁধে ফেলেছে ? 
    তারা শেষ পর্যন্ত জীবন দিয়েও তাদের ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতেই চায়। এখানে মৃত্যুর রূপ আলাদা।  ভালোবাসার মৃত্যু নেই!

    মারিয়ানা অভিভূত! আইগর তাকে চাইছে। যুদ্ধের দামামায় একজন সৈন্য যেখানে মৃত্যুমুখী হয়েও তাদের প্রেমকে জীবিত রাখতে আহ্বান জানাচ্ছে তার ভালোবাসার প্রেয়সীকে। আর তো মারিয়ানা নিজেকে সামালাতে পারে না। যদিও তারও আকুতি ছিল, কিন্তু সৈনিক তার ভালবাসায় অক্ষত থেকে গেছে, এ যে বড়ই জয় তার কাছে। জয়ী মারিয়ানা। জয় তাদের ভালোবাসার।  
    নীচু হয়ে বসে পড়ে সাদা গ্রাউন ছড়িয়ে পড়ে ভাঙাচোরা প্রস্তরখণ্ডে। দুহাতে তুলে নেয় প্রার্থী আইগর কে, নিজের বুকে চেপে ধরে ওকে , নিজের হৃদয়ের উষ্ণ উত্তর শোনাতে …
    আইগর সব বুঝে যায় জেনে ফেলে মারিয়ানার মনের কথা। প্রেমের পরিণতি বিবাহে এই পর্যন্ত  সব ঠিক ছিল, কিন্তু যুদ্ধ বেঁধে যাওয়া দেশে এক অবশ্যম্ভাবী  মৃত্যুমুখী সৈনিক কে বিবাহ করা কোন সাধারণ বিবেচিত মহিলার কাজ নয়, যে মিলন হতে পারে ক্ষণস্থায়ী, ক্ষণিকের তার জন্য এই এত আয়োজন এত মন দেওয়া নেওয়া খুবই অবাস্তব। কিন্তু যেখানে ভালোবাসা মানুষ কে অন্য কথা শেখায় এখানে সেই হিসেবনিকেশ করা শিক্ষার কোন দাম নেই, বুদ্ধিও এখানে হার মেনে যায় হৃদয়ের ভালবাসা ভালোবাসির কাছে এমনই এক গভীর অনুভূতি থেকে উঠে আসা এই ধারণা, এই শিক্ষা।

    রাত গভীরতা কাটিয়ে ভোরের আলোর অপেক্ষা করছে। রাতের ইউক্রেনের কিভ শহর তার আলো ঝলমলে সৌন্দর্য হারিয়ে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে যাচ্ছে। রাশিয়ার সাময়িক যুদ্ধবিরতি কেটে যাবে এখনি। আকাশে তারই যেন রক্তিমআভা ফুটে বেরোচ্ছে। পৃথিবী যেন সব বুঝতে পারে। 

    হঠাৎই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে প্রবল শব্দে গোলা বর্ষণে কিভের আকাশে নানান রঙে বিদ্যুৎ ঝলকানি দেখা গেল। যুদ্ধ আবার শুরু হয়ে গেল।  বোমারু বিমানের আওয়াজে মুখরিত হচ্ছে চতুর্দিক। নিস্তব্ধ শহরে নিঃশব্দে এই আদিম হিংসাত্মক যুদ্ধ মানুষকে ভালোবাসা না দিয়ে উপহার দিচ্ছে মৃত্যুর কফিন।

    আর সময় নেই। যেকোনো মূহুর্তে এই বাংকার  ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যেতে পারে আর তার থেকেও  সর্বোপরি বড়কথা আইগর কে আজই সৈন্য শিবিরে ফিরে যেতে হবে, প্রনয়ীর সুকোমল হাত ছেড়ে কঠিন কঠোর অস্ত্র তুলে নিতে  হবে দেশের জন্য প্রতিরোধের নিমিত্তে, আর বাঁচার জন্যই। তাই আর দেড়ি করা যাবে না।

    আইগর নিজের মায়ের দেওয়া স্বর্ণ অঙ্গুরীয় তার প্রেয়সী মারিয়ানার মধ্যমা আঙুলে প্রবেশ করিয়ে দেয়। মারিয়ানাও তৈরি ছিল, সময় নষ্ট না করে নিজের একান্ত ভালোবাসার আরো এক রৌপ্য অঙ্গুরি আইগরের আঙুলে প্রবেশ করিয়ে দেয়। কোন প্রচলিত বিধিসম্মত নিয়ম থাকে না, লোকসমাজ লোকসমাগম ছাড়াই দুটি হৃদয় এক হয়ে যায় মধুর ভালোবাসায়। স্বাক্ষী থাকে ধ্বংসযজ্ঞের বোমাবর্ষণ আর গুলির মুহুর্মুহু শব্দ, আর ভয়াল আলোর ঝলকানি !

    আইগর মারিয়ানা কে বুকে গেঁথে নেয় চিরস্থায়ী চিরস্মরনীয় করে রাখতে। মারিয়ানা আইগরের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ স্পর্শ করে, আবেগে সোহাগে আইগর সে ওষ্ঠ চুম্বন করে। দুজনার এই চুম্বন ক্রমেই দীর্ঘায়িত হতে থাকে কিভ শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেখান কয়েক হাজারো প্রেমিক প্রেমিকা সেই একই পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে তাদের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দান করে চলেছে একই ভাবে …
    ওরা পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে চায় যুদ্ধ সব শেষ করে, কিন্তু ভালোবাসা কে শেষ করতে পারে না!
    ভালোবাসা চিরস্থায়ী, চিরায়ত, চিরন্তন!

    প্রদীপ দে ~
    গল্পসুত্রঃ সংবাদ - আনন্দবাজার পত্রিকা - ২৬-৬-২০২২

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1cd1:9b75:59ba:d6db:aff1:***:*** | ২৯ জুন ২০২২ ০৮:২৫509487
  • ইউক্রেনে ডিনাজিফিকেশান চলছে। আর সবাই জানে নাজিরা প্রেম টেম করেনা। কাজেই এই গল্পটা একেবারেই ভিত্তিহীন। 
  • pradip kumar dey | ২৯ জুন ২০২২ ০৮:৫৪509488
  • মন্তব্য দিয়ে ভাল করেছেন।
  • dc | 2401:4900:1cd1:9b75:59ba:d6db:aff1:***:*** | ২৯ জুন ২০২২ ০৯:২৬509489
  • আমি তো ভালো করেছি। কিন্তু পুটিন যদি জানতে পারে যে এসব গল্প লেখা হচ্ছে তাহলে কি ভালো হবে? 
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৯ জুন ২০২২ ১০:১৩509490
  • তাচ্চেয়েও বড় কথা -- পুটিন কি আর এই গল্প পড়ার জন্যি চাপ নিয়ে বাংলা শিকানেন? আমারই ভুলে যেতে ইচ্ছে কচ্চে। নেহাৎ রাশিয়ানটা জানিনা বলে সাওস পাচ্চিনা। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৯ জুন ২০২২ ১০:১৪509491
  • শিকানেন শিখবেন 
  • pradip kumar dey | ২৯ জুন ২০২২ ১০:২৩509492
  • গল্প কাকে বলে? গল্প কি ?
    বড় অপ্র‌য়োজনীয় মন্তব্য। 
  • pradip kumar dey | ২৯ জুন ২০২২ ১০:২৩509493
  • গল্প কাকে বলে? গল্প কি ?
    বড় অপ্র‌য়োজনীয় মন্তব্য। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:9b75:59ba:d6db:aff1:***:*** | ২৯ জুন ২০২২ ১০:৩৬509494
  • বাংলা শেখা তো পুটিনের বাঁ হাতের খেলা। একদিন ভাল্লুক শিকারে যাবে, রাত্রিবেলা ক্যাম্পে বসে শিখে ফেলবে। 
  • যোষিতা | ২৯ জুন ২০২২ ১৫:৫৩509496
  • গল্পটা ভাল হয় নি।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৯ জুন ২০২২ ২৩:৩৬509501
  • সেই জন্যেই তো নিজেরা "গল্প" করে নিচ্ছিলাম! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন