এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সুপরিচিতা

    Nilanjandev Bhaumik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ নভেম্বর ২০২১ | ৬৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • দরজার দিকে চেয়ে বসে, ওই দরজা দিয়ে একটি মেয়ে ঢুকবে, কাউন্টার থেকে খাবারের ট্রে নিয়ে আমার ঠিক সামনের চেয়ারটার পাশের চেয়ারে এসে বসবে। কৌতুক ও কৌতুহল চোখে সুন্দরী মেয়েটি, তারই প্রতীক্ষা করি। দুমাস ধরে সপ্তাহে গড়ে তিন চারবার ক্যান্টিনে আসার টাইমিং মিলে গেলে এই চলে; মেয়েটি আগে এলে আমি এগিয়ে যাই হিসেব করে সামনের চেয়ারটির পাশেরটি দখল করি। নিলাজভাবে চোখ মেলি, চোখাচোখি হয়ে যায়। এই চোখ চাওয়া সুন্দরের প্রতি টানই শুধু নয়, সুন্দর বলে মনে করি এ জানানোর চেষ্টাও। কখনও চোখ আমি আগে নামাই, কখনও মেয়েটি। এত দিনে একটা কথাও হয় নি, দুদিকেরই ধৈর্য্য বা লজ্জা অসীম। নিজের এই লজ্জাবনতার কারন জানি। কারন ভয়। ফিটফাট সেজে থাকি। আসলে এই বিরাট কোম্পানিটির চারতলার একটি বিরাট আপিসে আমি মামুলী গ্রুপ ডি কর্মচারী। মেয়েটির আপিস কোন তলায়, কী করে, জানি না। দেখে সন্দেহ হয় মেয়েটি রিসেপসানিষ্ট বা টাইপিষ্ট নয়, অফিসার র‍্যাঙ্ক। এখন যদি হঠাৎ এক দিন ঠিক সামনের টেবিলটা দখল করে বসে হাসি, কথা বলি, আমার শ্রেনীপরিচয় সেখানে অবশ্য-প্রকাশ্য। তারপর? জিজ্ঞাসার চিহ্নটা আলঙ্কারিক। তার পরেরটা আমি জানি। অতিভদ্র হলে তাচ্ছিল্যটা হয়ত অপ্রকাশিত থাকবে, কিন্তু হতাশা, বা করুণা? সেটাও কি চাপতে পারবে মেয়েটি? সমগোত্রীয় সমশ্রেনীর কাউকে সঙ্গী ভেবে এতটা সময় (হয়তবা স্বপ্নও) পেরিয়ে গ্রুপ ডি! আমি হলে এতটা চাপতে পারতাম না। তার থেকে, এই ভালো, এই চলুক যত দিন না মেয়েটি নিজে এগিয়ে আসে ও নিজে হারিয়ে যায়।

    একদিন সত্যিই মেয়েটি হারিয়ে গেল, আশ্চর্যভাবে। দিন কেটে গেল অপেক্ষায়, মেয়েটি এল না। পরের দিন, তার পরের দিনও। শেষটা, খাওয়ার নিয়ে টিফিনের পুরো সময়টা ক্যান্টিনে বসে রইলাম চার পাঁচ দিন। সে মুখ দেখলাম না। এমনকি উঁকি মেরে পুরো বিন্ডিং যেটুকু দেখা সম্ভব, দেখার চেষ্টা করলাম, নিস্ফলা। ভীষন নৈরাশ্য এল, সর্বব্যাপী। কাজ করতে ভাল কোনোদিনই লাগে না। লাগলে হয়ত অফিসার প্রোফেসার, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতাম, Msc পাশ করে গ্রুপ ডি হতাম না। এখন গা-ছাড়া ভাবটা আরও বেড়ে গেল। মনে হতে লাগল আর একবার ওই মুখটা দেখিয়ে দে ভগবান, আর কিছু চাই না। সুন্দর মুখ! অমন আর দেখি নি।

    মাস খানেক পরে আমার চাকরি চলে গেল। কাজে মন ছিল না, আর সময়টা ছিল অর্থনৈতিক মন্দার। ছাঁটাই-লিষ্টের একেবারে নীচে আমার নামটা দেখে মুক্তির আনন্দই হল প্রথমত, তারপর দুশ্চিন্তা, খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের দুশ্চিন্তা, বাপ-মরা ভাইঝির স্কুলের ফিজ নিয়ে দুশ্চিন্তা I বউদি অবশ্য সদ্য কিছুদিন পাশের কাপড় দোকানে কাজ শুরু করেছে, চালিয়ে নিতে পারলে ভাল। নাহলে আর কী ! গেল ! বেরিয়ে আসছি, ক্যান্টিনটার পাশে এসে মনে হল, চাকরি যাওয়ার পর এখন যদি তার সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে পরিচয় দেওয়া সহজ হবে। হেসে বলব, "চাকরিটা গেল।" কী চাকরি সে প্রসঙ্গ উঠবে না।

    বাড়িতে বসে চাকরির চেষ্টা করা শুনতে বেশ নির্ঝঙ্ঝাট লাগে। কিন্তু বউদির চাকরির পয়সায় বসে খাওয়ার অবস্থা যখন দাঁড়ায় তখন ব্যাপারটা সম্মানজনক থাকে না। নিজের জমানো টাকা শেষ হওয়ার আগেই চাকরি একটা পেতে হবে, এই রকম ঠিক করে, আমি নাকে মুখে পড়ে, চাকরির পরীক্ষাগুলোতে সদ্যলব্ধ জ্ঞান বদবমির মত উগড়ে দিয়ে আসা শুরু করলাম। সবরকম চাকরির পরীক্ষা; রেলের সাফাই কর্মী থেকে ব্যাঙ্ক-পি.ও., এমনকী সিভিল সার্ভিস অব্দি। ৮ মাসের মাথায় আমার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স শয়ের অঙ্কে নেমে এল, স্রেফ চাকরির ফর্ম ফিল-আপের খরচে। বউদি অবশ্য তেমনভাবে কিছু বলেনি, "চেষ্টা কর, হবে" এরকমেই সীমাবদ্ধ ছিল উপদেশ। এরপর অ্যাপ্লিকেশান করতে গেলে বউদির কাছে হাত পাততে হত। মাঝে কয়েকটা ফর্ম ফিলাপ করলামও না। আগের গুলোর এক্জাম দিতে যাই, যতদূর সম্ভব যাতায়াত খরচ বাঁচিয়ে। সম্ভবত বুঝতে পেরে, শেষটা বউদিই টিউশান জুটিয়ে দিল, ভাইঝি রিমা আর ওর কয়েকজন বন্ধু। KG2 এর দু-তিনজন ছাত্রী দিয়ে শুরু। ছাত্রছাত্রী বাড়ল। তারপর আশেপাশে আরও এক দুজনকে বাড়ীতে গিয়ে টিউশন পড়াতে শুরু করলাম। এভাবে চলছিল, ১৭ মাসের মাথায় আমি পরপর দুটো চাকরি পেয়ে গেলাম।

    প্রথমত, মেডিক্যাল ফার্মে ল্যাব অ্যাটেডেন্ট এর চাকরি ; বলতে গেলে আমার এক স্কুলের বন্ধুই জুটিয়ে দিল নিজের কোম্পানিতে। বন্ধু জয়েন করেছিল ওর MSc এর ঠিক পরে, সাত বছরে পুরাতন ও প্রভাবশালী চাকুরে হয়ে উঠেছে। এখানে জয়েনিং এর আগের দিন মেল পেলাম ব্যাঙ্কে প্রোবেশনারি অফিসার পোষ্টে আমি সিলেক্টেড I এটা 'অফিসার' গোত্রের চাকরি তার ওপর বিনা সুপারিশে। আনন্দে,অহঙ্কারে, আহ্লাদে প্রায় মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড়। বউদির সঙ্গে কথা বলে ঠিক করলাম, ব্যাঙ্কের চাকরিটাই করব, এবং পোষ্টিং কাছাকাছি হলে, সঙ্গে কিছু কিছু টিউশানও। মেডিক্যাল ফার্মের উপকারী বন্ধুও আমার এই ভাগ্যোদয়ে যথেষ্ট আনন্দ প্রকাশ করল।

    এতদিন নিজেকে নিয়ে দুর্ভাবনায় ছিলাম, ব্যস্ত যতদিন ছিলাম, সেই কৌতুকময়ীর পুরাতন কৌতুহলমুখর মুখ খুব বেশী করে মনে পড়ে নি, আজ চাকরির দুশ্চিন্তা ফুরিয়ে যেতেই আবার মুখটা মনে পড়তে শুরু করল বেশী করে। আহা এসময় যদি রাস্তাঘাটে কোথাও আবার দেখা হয়ে যায় ! খুব নির্দ্বিধায় আলাপ জমাতে পারব এবার; দুমাস কেন, দুমিনিটও অপব্যয় করব না। কো-ইনসিডেন্স এর বাংলা সম্ভবত সমাপতন। আমার জীবনে এতদিন খুব ছোটোখাটো সমাপতনও ঘটতে দেখিনি। তাই ব্যাঙ্কে জয়েন করার দশ দিনের মাথায় টিফিন টাইমে যখন নীচের চায়ের দোকানে ঢুকতে গিয়ে একটা টেবিলে সেই অতিপরিচিতা, অপরিচিতাকে একা দেখলাম, তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা আমার। ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের সুগত বাবুকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, এগিয়ে গেলাম। মেয়েটি একমনে খাচ্ছে, এখনও দেখতে পায়নি। আমি মেলোড্রামাটিকভাবে, ঠিক আগের মত, সামনের চেয়ারটির পাশের চেয়ারটিতে এসে বসলাম। দীর্ঘপ্রার্থিত সেই মুখ ওপরে উঠল, আমি হাসলাম, দীর্ঘপরিচিতির হাসি। এবং আশ্চর্য হলাম দেখে, মেয়েটি আমাকে চিনতে পারল না, অপরিচিত কারো মুখে পরিচিতির হাসি দেখলে মানুষ যেমন মনে করার চেষ্টা করে কোথায় পরিচয়, মুখ দেখে মনে হল তাই করছে। তারপর যেন ব্যর্থ হয়ে, আগের মতই চোখে কৌতুক ও কৌতুহল নিয়ে তাকাল। আমি কোন রকমে বিস্ময় চেপে রাখলাম, তবু বারবার চোখ চলে যাচ্ছিল টেবিলের উল্টোদিকে। পরদিন থেকে আবার আগের মতই শুরু হল সবিকছু, পারস্পরিক অপেক্ষা, সামনের পাশের চেয়ার, সুন্দর সেই দুটি চোখে ঘনঘন দৃষ্টিপাত, কৌতুক ও কৌতুহলময়। এবারও এভাবেই, এবার দূর্বলতা আমার নয়, মেয়েটির; এবং দূর্বলতা কী তা আমি জানি।

    প্রথম দিন, চা-দোকান থেকে ফিরে সুগতবাবুকে সরি বলতে গেছিলাম I ভদ্রতার প্রথাসম্মত উত্তরই পেলাম, "কোনো ব্যাপার নয়। অন্যমনস্কায় এরকম ছোটোখাটো অ্যাকসিডেন্ট তো হয়ই। আপনার শরীর টরীর সব.... ফ্যামিলির সবাই ঠিক আছে তো?"
    "হ্যাঁ হ্যাঁ, সব ঠিক আছে, পরিচিত একজনকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলে ছিলাম।"
    সুগত বাবু অবাক হয়ে বললেন, "পরিচিত? আপনার সঙ্গে টেবিলে আর কাউকে দেখলাম না তো!" আরও একদুজনকে জিজ্ঞাসা করে একই উত্তর পেলাম।

    শুধু আমার মনে বাস করা, বাইরের জগতে অস্তিত্বহীনতা, এটাই মেয়েটির দূর্বলতা, তাই হয়ত এগিয়ে আসে না, পরিচয় করে না। তা যাই হোক, আমি এতেই খুশি। এভাবেই চলুক যত দিন না মেয়েটি নিজে এগিয়ে আসে বা আবার নিজেই হারিয়ে যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 68.184.***.*** | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০০:২৪501070
  • আপনি যে এই লাস্ট লাইনে দুম করে মুখে একটা ঘুষি মারেন, এই স্টাইলটা আমার খুব ভালো লাগছে।
  • :|: | 174.255.***.*** | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৪৭501081
  • ঠিক ঠিক এইটাই বলতে চাইছিলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন