(১২) 'খুদ্দূর যাত্রা'য় রোদ্দুর রায়,
লাল-নীল সুরে বেঁধে কত গান গায়।
তানপুরা ঘেমে যায়,
সুর বুঝি নেমে যায়,
হারমোনিয়াম বাঁশি করে হায়! হায়! ।।
(১৩)
ফুটপাথ কি শোবার জন্যে? আমার কথা শোনো,
--গাড়িচাপা পড়লে গাড়ির দোষ হয়না কোন।
যদি মালিক সুপারস্টার,
কিংবা রাজার চৌকিদার,
আইনকানুন ওরাই বানায়, মানতে যাবে কেন?
(১৪)
আফগান মুদ্রার নাম 'আফগানি',
এদেশে তাহারে লোকে কয় 'আম্বানি'।
কেনাকাটা হল দায়,
ছুটে যেতে মন চায়,
হয় ভদ্রেশ্বর, নয় চাঁপদানি।।
(১৫)
এক যে ছিল চাঁদের কোণায় চরকাকাটা বুড়ি,
পুরাণে তার বয়েস লেখে সাতশো হাজার কুড়ি।
ফোকলামুখে ফিকফিকিয়ে
বলল-- আমায় করবি বিয়ে?
তার আগেতে ওড়া দেখি এক চাঁদিয়াল ঘুড়ি।।
(১৬)
ধাগে -নাতি -নাকা-ধিন্
--ডোকলামে এল চিন।
দিৎ- ধিনা, না -তি -না,
কেউ তো রা' কাড়ছি না,
তেটে- কতা -গদি- ঘিন্ ।।
(১৭)
আমরা ভাল লক্ষ্মী ছেলে, তোমরা ভারি বিচ্ছিরি!
তোমরা খাবে নিমের পাঁচন, আমরা খাবো মিছ্ছিরি।
বইছে এখন উলটো হাওয়া,
সাবধান হও, শোনো বাওয়া,
আমার কথা শুনবে যারা সবাই পাবে কিস্ ফিরি ।।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।