প্যারেন্টস-টিচার মিটিং-এ প্রি-নার্সারির এক বাচ্চার মা খুব উদ্বেগের সঙ্গে জানান যে তার ছেলে বড্ড মুডি। সে সব রাইমস বলতে পারে, নেচে কুঁদে দেখতেও পারে সাথে সাথে। কিন্তু করবে কি করবে না, সবটাই নির্ভর করে তার মুডের উপর। এখন চিন্তার বিষয় হল, পরীক্ষার সময় যদি মুড অফ থাকে!! এই চিন্তায় চিন্তায় তার রাতের ঘুম চলে গেছে। হ্যাঁ, লিটাইরালি। আমরা হেসে উঠেছিলাম শুনে। তারপর কথায় কথায় জানা গেল যে তার বর নাকি রাগারাগি করে, বলে, "একটাই তো কাজ, সেটাও ঠিক করে করতে পারো না!?"
মেয়েটার বয়স বেশী হবে না। অল্প বয়সে বিয়ে, মাতৃত্ব। সে হয়ত বুঝে উঠতে চাইছে কী ভাবে এগোবে। হয়ত বুঝছে না, ভাবছেই না। কিন্তু এগচ্ছে তো। কতো ভালো হত যদি ভয় ছাড়া এগতে পারত। যদি পদে পদে মনে না হত, "এটাও ঠিক করে পারি না তাহলে!" ছেলের না পারাটা, নিজের না পারাগুলো গুলিয়ে ঘ্যাঁট হয়ে যেত না হয়ত।
আজ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে সেই মায়ের কথা মনে পড়ল।
দেশ তো মানুষকে বলে- দেশের জন্য কী করেছ হে?
ঘরও মানুষকে বলে- ডিস্পেনসিবল হয়ে যেও না।
ডিস্পেনসিবল। পরিহার্য। বর্জনযোগ্য।
সত্যি, ডিস্পেনসিবল মানুষের আবার স্বাধীনতা!!