ঘুম যখন আসবে না-ই ঠিক করেছে তখন দু এক লাইন লিখেনি। এরকমটা আমার মনে হয় যখন প্রভ সকালবেলা আরামসে ঘুমায়। আমার ঘুম ঘুম পেলেও ঘুমপাড়ানি মাসি আর চোখের পাতায় বসে না। তখন কাজের লিস্টিটা মাথার মধ্যে ভেসে ওঠে কিন্তু ইচ্ছা নামক বস্তুটার আর উদয় হয়না। তখন করতে ইচ্ছে করার মধ্যে পড়ে থাকি এই লেখালেখি। অবশ্য টাইপ করাটাকে লেখালেখি না বলে টেপাটেপি বলা উচিত।
গতকাল থেকে ঘাড়ে মাথায় অসহ্য ব্যথা। হিমালয়ার একটা ব্যথা কমানোর ওষুধ লাগলাম ভোর রাতে। আসলে বাঁ দিকে ফিরে শুতে শুতে এই অবস্থা। একজন পাশে থাকলে তার দিকে তো আর পিছন ফিরে শোওয়া যায় না! তাও শুই মাঝেমাঝে। কালকেও ব্যথার চোটে ডানদিকে ফিরেছিলাম। কিছুক্ষণ পর শুনি হালকা করে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ। ফিরেই দেখি ছোট্ট ছানাটা চোখ বন্ধ করে ঘুমের মধ্যেই কাঁদছে! স্বপ্ন দেখছিল মনে হয়। কী দেখছিল কে জানে! আমি জড়িয়ে ধরতেই আস্তে আস্তে থেমে গেল। আবার চলে গেল ঘুমের দেশে। আমার মনে তখন সেই মাঝ রাতে উদ্ভট সব প্রশ্ন জাগতে শুরু করল। ওরা কী স্বপ্ন দেখে!? ইহ জীবনে তো শুধু খাও-খাও আর আয় ঘুম ছাড়া কিছু নেই। আর আছে হাগু হিসু। খাবার দেওয়া হচ্ছে না স্বপ্নে দেখলে এভাবে অভিমানীর মতো কাঁদত না। বিশ্বামিত্র মুনির মতো চিল্লাত তারস্বরে। আর আমি পড়েছি যে একদম বাচ্চাদের মাত্র তিনটি ইমোশন থাকে, রাগ, ভয় আর ভালোবাসা। তাহলে কী ও ভয় পেয়েছিল!? নাকি স্বপ্নে যা দেখছিল তা এই জীবনের কথা নয়। আগের জীবনের বা অন্য কোনো জীবনের স্মৃতি ছবির মতো ভাসছিল ওর সামনে। মানুষের মস্তিষ্কের মতো জটিল জিনিস কী আর আছে!? আর আত্মা, সে তো জন্ম রহিত শাশ্বত ও পুরাতন। শরীরকে হনন করলেও তিনি নিহত হন না। তাই জানি না ও কী দেখেছিল। শুধু এটুকু বুঝলাম, ও এখন এই জন্মে আমার হাতের মধ্যে, বুকের কাছে এসে আরাম পায়, শান্তি পায়। ❤️
১১ জুলাই, ২০২১