এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নারী স্বাধীনতা (একম পর্ব)

    Dipankar Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৯৭৬ বার পঠিত
  • যৌনসুখের জন্যে ধর্ষণ? পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কোথায় আরম্ভ? মনুসংহিতাই বা কী বলে?

    দীপঙ্কর

    একটা বড্ড সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনার অসমসাহস দেখাচ্ছি। আমার নারীজাতীয় শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মাফ করবেন। চিরটা কাল আমাদের ঘিলুতে গজাল ঠুকে ঠুকে বোঝানো হয়েছে নারীধর্ষণ হয় কেবলমাত্র যৌনসুখের অথবা নারীশরীরের জন্য। তাই কি? একটা যন্ত্রণাকাতর রক্তাক্ত আছাড়িপিছাড়ি খাওয়া শরীর - যে শরীরটা পুরুষটিকে সামান্যতম প্রত‍্যাদর করতে পারছে না - তার থেকে কি কেউ সুখ পেতে পারে? আসুন না আমরা একটু ইতিহাসে নজর দিয়ে দেখি ইতিহাসবাবু কি বলেন? ইতিহাসবাবু বলছেন

    প্রাচীন মানবসভ্যতা ছিলো সম্পূর্ণ ভ্রাম্যমাণ একটা সভ‍্যতা। শিকার ছিলো তার ক্ষুন্নিবৃত্তির একমাত্র পথ। বহু পুরুষের মৃত্যু ছিলো শিকারের অবধারিত ফলাফল - কেননা শারীরিক সক্ষমতায় পুরুষ নারীর থেকে এগিয়ে ছিলো - তাই পুরুষ যেতো শিকারে আর পুরুষমৃত‍্যুও বেশী হত। তখনও সংসার বা পরিবার সম্পর্কে কোনও ধারণা তৈরি হয় নি। যেখানে শিকার বেশী পাওয়া যাবে মানুষ দলবদ্ধভাবে সেখানে চলে যেত। মনে রাখবেন একটা দল বা গোষ্ঠী হিসেবে মানুষ থাকতো এখানে স্বামী স্ত্রী কাকা মামা পিসেমশাই এই সব ধারণা সম্বন্ধেই কোনও ধারণাই ছিল না। এই ঘটনাপ্রবাহ দীর্ঘ দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে।

    এরপর আসে নব‍্যপ্রস্তর যুগ। নব‍্যপ্রস্তর (Neolithic) বা নব‍্যপাললিক যুগ থেকেই agririlic বা কৃষিভিত্তিক সমাজ তৈরি হয়। সুতরাং মানুষের একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা বা থাকার জায়গা তৈরি হয়। এটা আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার সালের কথা। এই সময় দেখা গেল যে পুরুষরা শারীরিক শক্তিতে পরাক্রমশালী হলেও কৃষিকাজ মেয়েরাই ভালো পারে। সুতরাং কৃষিভিত্তিক সমাজে মেয়েরাই হয়ে উঠলো আসল চালিকাশক্তি। তখনও স্বামী স্ত্রী এই সব ধারণা উৎপন্ন হয়নি। পুরুষের কাজ শিকার টিকার করা আর পাহারা টাহারা দেওয়া - ব‍্যস। তখনও গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে জায়গা এবং সুজলা সুফলা ভূমি নিয়ে বিবাদ কাড়াকাড়ি ইত্যাদি আরম্ভ হয়নি। তখনও জমি প্রচুর আর জনসংখ্যা অপ্রচুর। কম‍্যুনিস্ট ধারণার মতো কৃষিখামার‌ই তখন চালু ছিলো। সবাই এক জায়গায় সব খাদ‍্য জমিয়ে রাখতো আর সবাই মিলেমিশে ভাগাভাগি করে খেতো। ক্রমশঃ দুএকটা জনগোষ্ঠী উর্বর জমির লোভে মুখোমুখি হয়ে পড়তে লাগলো। পুরুষগুলো সব গিয়ে মারামারি করে দাঁত মুখ হাড়গোড় থেঁৎলে মেঁৎলে ফিরতে লাগলো। তখন মেয়েরাই এই সব ক‍্যাঁচালের মিমাংসার দায়িত্ব পেলো। অতীব আশ্চর্যের বিষয় মেয়েরা মারামারি না করেই সমস্যা সমাধানে সক্ষম হলো। তৎকালীন সিদ্ধান্ত ছিলো নারীই বেশী বুদ্ধি রাখে - যার ফলে তৈরি হলো মাতৃতান্ত্রিক সমাজব‍্যবস্থা। একজন গাঁওবুড়ি জাতীয় মহিলা এই সমাজের মধ‍্যমণি হয়ে থাকতেন। কোনও সন্তানের পিতৃপরিচয় থাকতো না। মাতৃপরিচয়‌ই যথেষ্ট ছিলো। (কি মুশকিল নারী তো তখন আপন ক্ষমতায় যে কোনও পুরুষকে অঙ্কশায়ী করছে। নির্দিষ্ট পিতার প্রশ্ন‌ই আসে নি।) এই প্রসঙ্গে সত‍্যকাম, ঋষি গৌতম আর জবালের উপাখ্যান বড্ড মনে পড়ে গেলো। পারলে পড়ে নেবেন।

    আভি পিকচার বাকি হ্যায়। এবার পুরুষদের ভারী হিংসে হল। আমার গায়ে শক্তি বেশী অথচ আমার কোনও সম্পত্তি নাই? এ তো মোটেই ভালো কথা নয়। ক্রমশঃ গায়ের জোরে সম্পদের লোভে নারীকে দখল করতে শুরু করলো। যেহেতু তখন সতীত্ব কৌমার্য কুলবধূ ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি শব্দবন্ধ আসেই নি এবং বরংচ নারীরাই ইচ্ছে মতো পুরুষকে পছন্দ করে শয‍্যাসঙ্গী বানাতো তাই 'নারীযৌনতৃষ্ণা আর নারীলোলুপ কথাগুলো তখন অপ্রযোজ‍্য' সম্পত্তিতেই লোভ। এরপর চালু হলো মাতৃকুলভিত্তিক (matrilineal) সমাজ ব‍্যবস্থা, এখানে কেবল সম্পদের ভাগাভাগিতে মাতৃকুলের 'পুরুষদের' সম্পত্তিতে ভাগ থাকবে। নারীর ভাগ্য লবডঙ্কা। পুরুষ এই সময় থেকেই পুচ্ছ উচ্চ করে সমাজে মুন্ডু হিসেবে খ‍্যাত হয়। এরপরে আসবে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যেখানে নারীকেও পুরুষের অধিকৃত সম্পদ হিসেবে গ্রাহ‍্য করা হবে। ব‍্যস সম্পদের লোভে নারী ক্ষমতাকে খৎম করা হলো।

    হে নারী জানি আপনি ভাবছেন - কিন্তু ধর্ষণ কোথায়? কি মুশকিল তখনও তো নারীর যোনীকে তার গোপনীয়তা এবং ওটাই যে তার একমাত্র সম্মান সেটা বোঝানো হয়নি। ঐ জায়গাটায় যাই করা হোক তাতে তার এবং তার পরিবারের জীবন ব‍্যর্থ হবে এটাও বোঝানো হয় নি। আজ পুরুষতন্ত্র এটা আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। তাই আপনাকে আপনার পরিবারকে এবং আপনার গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে সহজতম উপায় হলো আপনাকে ধর্ষণ করা। এটা প্রভুত্ব বোঝানোর পথ - ক্ষমতা জাহির করা - এখানে যৌনতা গৌণ। এভাবেই আপনার স্বাধীনতাকে সতীত্বের সঙ্গে একাত্ম করে দেওয়া হয়েছে। ব‍্যস আপনিও ঘেঁটে ঘুগনি। ভুলে গেছেন আপনি এই তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সতীত্ব চাইছেন নাকি আসলে নারী স্বাধীনতা চাইছেন!

    এইবার বাকি সব ধর্ম ছেড়ে আমরা আমাদের সনাতন ধর্ম এবং মনুসংহিতায় (ওঁ শ্রীগুরবে নমো) দৃষ্টিপাত করি। আমাদের দেশে নারীকে দমন করে সম্পত্তি দখল করার জন্য এই সবের ওপরে একটা ধর্ম আর একগুচ্ছ বর্ণাশ্রম প্রথা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরুষ নারীর বিবাহবন্ধনকে একটা সাত জন্মের ইয়ে বলে আখ‍্যাত করা হয়েছে। অথচ প্রত‍্যেকে তার কর্মফল অনুযায়ী স্বর্গ নরক ভোগ করে পরজন্মে ইঁদুর বাদুড় টিকটিকি কিছু একটা হবে এটাও বলা হয়েছে। তা মশায় পরজন্মগুলোতেও স্বামী স্ত্রী দুজনেই একসঙ্গে টিকটিকি বা চামচিকি হবে এটা কোন আশ্চয‍্যি বলে জানা গেল? আর আমি আজপয‍্যন্তি কোনও সিঁদুর পরা টিকটিকি বা শাঁখা পলাপরা উদবেড়াল দেখিনি। মনুসংহিতা সম্পর্কে মনুবাদের বিরোধী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু লেখা বা অনুবাদ পড়ে দেখি?

    "শয্যাসনমলংকারং কামং ক্রোধমনার্জবং
    দ্রোহভাবং কুচর্যাঞ্চ স্ত্রীভ্যো মনুরকল্পয়ৎ।"

    "শয্যা, আসন, অলংকার, কাম, ক্রোধ, কুটিলতা, পরহিংসা ও কুৎসিত আচার স্ত্রীলোক হইতে হয় ইহা মনু কল্পনা করিয়াছেন।" অনুবাদক শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

    "নাস্তি স্ত্রীণাং ক্রিয়া মন্ত্রৈরিতি ধর্মোব্যবস্থিতঃ
    নিরিন্দ্রিয়াহ্যমন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহনৃতমিতি স্থিতিঃ।"

    "যেহেতুক স্ত্রীলোকের মন্ত্রদ্বারা কোনো ক্রিয়া নাই ধর্মের এইরূপ ব্যবস্থা, অতএব ধর্মজ্ঞানহীন মন্ত্রহীন স্ত্রীগণ অনৃত, মিথ্যা পদার্থ।" এটাও শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথের অনুবাদ। এবং মনুসংহিতা থেকে।

    আরেকটি শ্লোক :- "প্রজনার্থং মহাভাগাঃ পূজার্হাগৃহদীপ্তয়ঃ।"

    সন্তান উৎপাদনের জন্য স্ত্রীগণ বহুকল্যাণভাগিনী পূজনীয়া ও গৃহের শোভাজনক হয়েন।

    "ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি
    পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎ পুনরাধানমেবচ।"

    পূর্বমৃতা ভার্যার দাহকর্ম সমাধা করিয়া পুরুষ পুনর্বার স্ত্রী ও শ্রৌত অগ্নি গ্রহণ করিবেন।

    এইজন্যই শাস্ত্রে বলে, সা ভার্যা যা পতিপ্রাণা, সা ভার্যা যা প্রজাবতী -- সেই ভার্যা যে পতিপ্রাণা। কিন্তু ইহা বলিয়াই শেষ হয় নাই -- তাহার উপরে বলা হইয়াছে, সেই ভার্যা যে সন্তানবতী। আধ্যাত্মিক পবিত্রতা যতই থাক্‌, সন্তান না হইলেই হিন্দুবিবাহ ব্যর্থ।"

    এখানেই রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য শেষ করে আমরা নিজেদের বিষয়ে ফিরে আসি।

    হিন্দু শাস্ত্রীয় অনুশাসন এবং কৌটিল্যের মতে পুত্রপ্রজননই নারীর প্রধান কাজ। শাস্ত্রীয় বিধানমতে আট বছরের মধ্যে কোনো সন্তান প্রসব না করলে স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারে। আর দশ বছরের মধ্যে স্ত্রী শুধু 'কন্যাসন্তান' প্রসব করলে অথবা বারো বছর পর্যন্ত শুধু মৃত পুত্র প্রসব করলে, স্বামী পুত্রলাভার্থে দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারে। (মনুবাদী গোবলয়ে কন‍্যাভ্রূণ হত্যার কারণ খুঁজে পেলেন? যে মেয়েটা লেখাপড়া শেখেনি - পরনির্ভরশীল, সে কেন কন‍্যাভ্রূণ হত‍্যায় রাজি হয় বুঝেছেন!?) মনুর মতও তাই: ‘প্রজনার্থং স্ত্রিয় সৃষ্টা’ - প্রজননের জন্যই স্ত্রীলোকের সৃষ্টি।
    হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের প্রধান প্রবক্তা মনু নারীর একপতিত্বের বিধান দিয়েছেন এবং স্বামী দুশ্চরিত্র হলেও স্ত্রীকে সারাজীবন পাতিব্রত্য পালন করতে বলেছেন। পতিপরায়ণতা সাধ্বী স্ত্রীলোকের পরম ধর্ম। এজ্ঞে এগুলো আমার নিজের কথা নয়। শাস্ত্র সম্বন্ধে এতদূর পড়াশোনা আমার নিজস্ব নয়। নানা ভাষ‍্যকারের থেকে যোগাড় করা। এবারে কিছু শব্দের উৎপত্তিগত ব‍্যুৎপত্তি নিয়ে দুকথা বল্লে নিশ্চয়ই সুকোমলমতি ধর্মপ্রাণা পাঠিকা চটে যাবেন না।

    পুৎ নামক নরক থেকে যে উদ্ধার করে সে হলো পুত্র। আর কন‍্যা? মহাভারতের ব‍্যাসদেববাবু বলছেন "সর্বান কামায়তে যষ্মাৎ" সে হলো কন‍্যা। আর ভগিনী? 'ভগিনী - ভগবত‍্যাদি গ্রাম‍্যকক্ষাং বিগাহতে' অর্থাৎ কিনা ভগিনী ভগবতী শব্দগুলো অত‍্যন্ত গ্রাম‍্যতাদোষে দুষ্ট। এগুলো ত‍্যাগ করাই ভালো। (ভগ বলতে এখানে নারীর একটি বিশেষ অঙ্গকে ঈঙ্গিত করা হয়েছে)

    এভাবে আমরা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ থেকে নারীবিদ্বেষী সমাজে পরিণত হয়েছি। নারীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য ক্রমশঃ তাকে জুগুপ্সার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছি। এবং বর্ণাশ্রম তৈরি করে সমাজকে আণুবীক্ষণীক বিভাজনে ভেঙে ফেলেছি। এর পেছনে প্রথম কারণটাই হলো সম্পদ আর ভূমির অধিকার। যৌনতার ক্রমপর্যায় ঢের ঢের পরে। ইচ্ছে করলে প্রেমচন্দ আর সত‍্যজিতের সদগতি সিনেমাটা দেখে ফেলতে পারেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন