এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অনন্ত অসময়ের গান: আনন্দ পট্টবর্ধনের "জয় ভীম কমরেড"

    Surajit Poddar লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ৯৮৮ বার পঠিত
  • প্রায় পাঁচশো বছর আগের কথা। তখনও ইউরোপ তার রেনেশাঁর বাণী লিখছে। মানবতাবাদের মহৎতত্ত্ব ঔপনিবেশিকের ঝোলা থেকে বের হয়নি। তবুও একদল মানুষ, তথাকথিত সংখ্যালঘু ক্ষমতাহীন, এক উচ্চশিক্ষিত যুবার নেতৃত্বে শাসকের থেকে আদায় করে নিয়েছিলেন তাঁদের দাবী। কীর্তনের অধিকার। সার্বজনীন হিংসা নয় গানের সুর হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের হাতিয়ার। সেই মধ্যযুগেও। তাঁদের মুখে ছিল সংকীর্তন,"সারঙ্গধর তুয়ার চরণে মন লাগুহ রে"।

    এই আন্দোলনের ধারা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। শুধু তো ভিনধর্মের শাসক নয়, নিজধর্মের ক্ষমতাবান মানুষের পুরানো বিশ্বাস ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই করতে করতে সেই আন্দোলনের নেতা বিশ্বম্ভর মিশ্র ওরফে নিমাই ওরফে গৌরাঙ্গ - সন্ন্যাস পরবর্তী নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য অলৌকিক ভাবে মারা যান। যাঁর সমস্তজীবন এত সুন্দরভাবে একাধিক সমসাময়িক মানুষের কলমে লিপিবদ্ধ - তাঁর মৃত্যুর কথা নিয়ে এত বিভ্রান্তি, ভাবতে অবাক লাগে।

    কিন্তু সেই হতবাকভাব কেটে যায় যখন এই ২০২০-তে এসে বিলাস ঘোগরের মৃত্যুর কথা শুনি। বিলাস মুম্বইয়ের গায়ক-কবি। তাঁর কন্ঠে উদাত্ত গণসঙ্গীত, " অ্যায়সে রাজ কো লানা ভাই-ই" মুম্বইয়ের পথে পথে এক সময়ে মানুষের মনে নতুন করে জাগরণের ধুঁয়ো তুলেছিল। সেই গানের তালে তালে শুরু হয় শ্রী আনন্দ পট্টবর্ধনের "জয় ভীম কমরেড" ডকুমেন্টারি।

    বিলাস ১৯৯৭ সালের ১৫ই জুলাই আত্মহত্যা করেন। তাঁর সহকর্মীদের পুলিশি গুলিতে হত্যার প্রতিবাদে। তাঁরাও সেই পাঁচশো বছর আগের কায়দায় মিছিল করছিলেন আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে। পাঁচশো বছর আগে শাসক গণহত্যা করেনি এখন করছে। কোনটা অন্ধকার যুগ, কোনটা আধুনিক যুগ ধন্দ লাগে।

    আজ ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্তের যুগে আমরা জানি মূর্তি ভাঙার সংস্কৃতির কথা। কিন্তু সেই দূরদর্শনের যুগেও যে তা ছিল, আনন্দ নিঃশব্দে একথা মনে করিয়ে দেন। গৌরচন্দ্রিকার সেই গগনবিদারী গণসঙ্গীত থেকে ক্রমশ আমরা এগোতে থাকি, দেখি এক শিল্পীর সুইসাইড নোট কীভাবে দেওয়াল লিখন হয়ে আছে।

    হিপ্-হপ কাল্চার গ্রাফিতি আর মুম্বইয়ের বস্তির এক প্রতিভাবান শিল্পীর জীবনচর্যা সব কেমন যেন মাথার মধ্যে মিশে যায়। শাসক-শাসিতের সম্পর্কের মধ্যে যে সময় আদতে এগোয়না বরং পুনরাবৃত্তি করে, স্থান যে আদতে কোনো পার্থক্য রচনা করেনা একথা আনন্দের বিভিন্ন তথ্যচিত্র থেকে বোঝা যায়। স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে শাসিত এক এবং এক তার অসহায়তা, তার প্রতিবাদের ভাষা।

    তবুও "জয় ভীম কমরেড" স্বতন্ত্র। তথ্যচিত্রের ঔরসেই আছে সাংবাদিকতার নিরস অবয়ব, তার মধ্যে দিয়েও আবহ এবং সম্পাদনার যুগপৎ মিশেলে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে আমরা মুখোমুখি হতে থাকি আমাদের বিস্মৃতির। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ এই দীর্ঘসময়কে আমরা দেখি বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে থাকা এই আমাদের হৃদয় খুঁড়ে।

    একে অপরের থেকে দূরে যেতে যেতে আজ যে সমান্তরাল সত্যের অন্তরালে আমাদের সুখনিদ্রা তা যে কেবল আজ নয় আজীবন ছিল এবং তাই যখন তথ্যচিত্রে জনৈক ব্রাহ্মণ মহিলা ভাষণ দেন, "জাতিভেদ কাঁহা হ্যায়?" তখন যেন প্রত্যুত্তরে বিলাসের সহকর্মী সম্ভাজী ভগৎ গেয়ে ওঠেন, "ইয়ে অ্যাক্টিং করতে হ্যায় ভাই, হাম ফাইটিং মে মরতে হ্যায় ভাই", আবার অশোক সরস্বতী যখন গেয়ে ওঠেন, গণপতির পিতা কে? কুমোর, তার প্রত্যুত্তরে যেন জনৈক কিশোর চটুল হিন্দিগানের সুরে নাচতে থাকে, "এ গণপত চল দারু লা"।

    ক্যামেরা নয় যেন হাজার আয়না সাজিয়ে দিয়েছেন আনন্দ। বিখ্যাত দলিত নেতা ভাই সংহারে জানান গীতা আদতে হত্যার মদত জোগায় পরমুহূর্তে কোনো হিন্দুত্ববাদী মঞ্চ থেকে কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মাহাত্ম্য গায়, ভোটে জিতে মোদীকে কৃষ্ণের মতো চক্র ও শঙ্খ দিয়ে সাজিয়ে যে মুহূর্তে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় তার পরের মুহূর্তে ত্রিনাথের বেশে জাতিবাদকে নিয়ে হাস্যকর পথনাটিকা করে অচেনা শিল্পীরা।

    আমরা যে প্রতি পলে দুই স্বতন্ত্র রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছি এবং খুঁজে পাচ্ছিনা অপরের ক্ষতদাগ বরং তাকে চাঁদের সৌন্দর্য ভেবে বিবশ হয়েছি সেই কথাই জেগে থাকে গানের সুরে, কথায়, অভিমানে অভিব্যাক্তিতে। দৃশ্যে। দৃশ্যান্তরে।

    বিলাস তার গানটুকু রেখে যায়। সেই গান কোনো ভিন্নসময়ে তুলে নেয় কবীর কলামঞ্চের এক তরুণী শীতল সাটে। কোনো গভীর রাতে গেয়ে ওঠে আশারাম, সম্ভাজী, গদর। হয়তো একদিন সময়ের বাঁকে এভাবেই কবীরদের থেকে তুলে নিয়েছিলেন বিলাস।

    বেদনা তার সুর খোঁজে মরমী মানুষের কণ্ঠে, তার সময় নেই জাতিবাদ না শ্রেণীতত্ত্ব এই নিয়ে বিবাদ করার। বিলাসেরও ছিলনা। সে একটু ভালো থাকতে চেয়েছিল। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিল নিজের অক্ষমতার ওপারে।

    সে নেই। তাঁর সন্তান সেই কাঙ্খিত ভবিষ্যতে এগিয়ে যায় ক্রমে।

    বামপন্থা না আম্বেদকরবাদ? যার কিছু নেই, সেই মানুষ এতকিছু ভাবার সময় পায় না। তার কাছে বেঁচে থাকার লড়াই সবথেকে বড় পথ। তাই তারা সবপথেই স্বচ্ছন্দ। "পথেই হবে পথচেনা"র বাণী তাদের জীবনগীতিকা।

    এই তথ্যচিত্রে পরিস্থিতি, সময়, পারিপার্শ্বিক পেরিয়ে যেন উজ্জ্বল শিল্পীর অন্তর্লীন টানাপোড়েনের কথা। সেই অন্তর্জগৎ যেখানে ক্যামেরার আলো যায়না, তাকে টেনে বের করেছেন আনন্দ। সেখানে বিলাস, নামদেব টসাল, ভাগবত যাদব, গদর, শীতল সবাই অসহায়। আর তাঁদের অসহায়তার সুর সাবলীলভাবে যে অনুরণন সৃষ্টি করেছে তা এই সত্তরোর্দ্ধ চলচ্চিত্রকারের সিগনেচার হয়ে আছে।

    এইসব সূক্ষ্ম অনুভূতিমালা নি:শব্দে যেন এক অবিনশ্বর ভাষ্য সৃষ্টি করেছে। "আহ্বান নাট্য মঞ্চ" থেকে বিতাড়িত হয় বিলাস। প্রাণের বন্ধু সম্ভাজীর সাথে অভিমান তবু তার মা-বাবার সাথে আড্ডা মারতে যায় রোজ। এইসব টুকরো টুকরো তথ্য জুড়ে এগিয়ে চলে সময়। প্রতিটি মানুষ তাদের স্বাভাবিক কথনের মধ্যে দিয়েও যেন ঝুলে যায় আমাদের পাঁজরের রেলিঙে। আমাদের বিস্মৃতি আর অবজ্ঞা ধন্দে পড়ে যায়, আরও কত লোক আছে আর কত সমুদ্র বিস্তারিত তাদের বেঁচে থাকার লড়াই!

    রাতের আঁধারে যেমন নির্বাক গড়িয়ে পড়ে অশ্রুত বাক্যবন্ধ, আমাদের ব্যক্তিগত আলাপ এই চলচ্চিত্রে ক্যামেরা যেন সেইরকম অতি আপনার কেউ হয়ে উঠেছে। এর শিরদাঁড়া বিলাস ঘোগরে আর তাকে জড়িয়ে ছড়িয়ে গেছে শিল্প-শিল্পীর উত্তরাধিকারে, ভিন্নমতের অবজ্ঞা আর অবনতির কুয়োয়। শ্লেষ আর বুদ্ধিদীপ্ত দৃশ্যায়নের উপস্থিতিতে আমরা বোধহয় ২০১৪ পরবর্তী ভারতের নির্মাণপর্বের সাক্ষী হয়ে উঠি।

    শিল্পী কি ভবিষ্যৎ দেখতে পান? অনুভব করেন? এইসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে। বিলাস তাঁর সেই অমলিন সুর যাঁদের দিয়ে গেছেন তাঁদের অন্তহীন লড়াই আর জিদের ছবি আর শব্দ আমাদের বোঝায় সবশেষ হলেও এই লড়াই সহজে শেষ হয় না।

    আনন্দ পট্টবর্ধন দীর্ঘকাল তাঁর তথ্যচিত্রের মধ্যে দিয়ে এক স্বতন্ত্র বক্তব্য তুলে ধরেছেন। অনেক ঝড় সামলে আজও তিনি ঋজুভাবে তুলে আনছেন অজানা মানুষের অসহায়তার কথা। সেন্সরশিপের কাঁটায় বারবার বিদ্ধ হয়েছেন। একদা সত্যজিৎ রায় সেন্সরবোর্ডের কাছে তদ্বির করেছিলেন আনন্দের "Prisoners of Conscience" মুক্তির জন্য। পরেও নানা মানুষ এগিয়ে এসেছেন ওনার এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

    আজ এই অবেলায় যখন সারাদেশ জুড়ে মানুষ বিপদের উপরে প্রতিটি মুহূর্ত কাটাচ্ছে, তখন এই তথ্যচিত্র এক মহৌষধি আমাদের সার্বজনীন বিপন্নতা থেকে জাগরণের জন্য।

    এই সিনেমা এখন দেখা যাচ্ছে এখান থেকে:
    https://cinemapreneur.com/en/films-by-anand-patwardhan
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন