হিমশয্যা
সুজিত বসু
তানিয়া তুমি এতটা আজ সেজেছো কেন জানি
খোঁপায় সাপ, পদ্মকুঁড়ি, সোনালি ধাতু চুল
জমাট ঘন, পাথুরে হিম কিসের সন্ধানী!
পেয়ালা ভরা তরল বিষে, বাতাস প্রতিকূল
লালাভ গাঢ় রক্ত ঘোর ঠোঁটের ফাঁকে ফাঁকে
বোতামখোলা জামার নিচে উপত্যকা গুরু
ফেনিল মদ বাষ্পে ওড়ে, আমি সে ঝনঝাকে
ঝাঁকানি দিই, দুহাতে জ্বলে মোমের মতো উরু
তানিয়া কেন বাংলা তুমি জানো না তবে আমি
ধন্যবাদে স্পাসিবা এই বিদেশি ধবনি ছুঁড়ে
বজ্রপাতে বাসি না বলেই ছুটে নামি
পাতালতলে, মেট্রো আর কতটা জানো দূরে ?
বরফ শিল সজোরে ঝরে, অঝোরে ঝরে ঝরে
এতটা করে পিচ্ছিলতা, দুধারে সাদা শিলা
তাকেই নেবো জন্মান্ধ আঁজলা ভরে ভরে
তোমাকে দিলে চুমুক শেষে বলেছো, ‘ইয়া পিলা’
যা হবে অনুবাদের মোহে, ‘করেছি আমি পান’
বিদেশি বড়ো বাক্যে দড়ো, দলিতা ওঠো ফুঁসে
অভিমানিনী এতটা তুমি ! দাও না করি স্নান
বোতলে, এই কাজল জল নিমেষে নিয়ে শুষে
আমাকে ফেলে চলে তো গেলে , ক্লান্ত সরীসৃপ
বিছিয়ে তার আগুনশ্বাস থাকুক পড়ে শুয়ে
বরফে হিমে শয্যা তার, একটি শুধু ফুঁয়ে
নিভেছে যদি বিজলীবাতি, নেভে না কেন দীপ !
দাদা, এত কবিতা পোষ্ট করছেন খুব ভালো কথা। তবে একদিনে চারটে আলাদা থ্রেড না খুলে একটাতে দিলেই ভালো হয়। না হলে কবিতার চাপে অন্য সহলেখকেরা তলিয়ে যাচ্ছেন - একটু খেয়াল রাখুন প্লীজ