এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্প - ভাইরাস

    Moulik Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ নভেম্বর ২০২০ | ১০৩৬ বার পঠিত
  • ভাইরাস @মৌলিক মজুমদার
    --- --- ---
    "বাবা, করোনা ভাইরাস কী?"

    "তুমি কোত্থেকে শুনলে? "

    "স্কুলে দীপ্তনীল বলছিল। করোনা ভাইরাস হলে নাকি মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে মানুষ মরে যায়। তারপর মানুষ জম্বি হয়ে যায়। জ্যান্ত মানুষকে কামড়ে তার ভিতরেও ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়। আগরতলায় নাকি করোনা ভাইরাস এসে পড়েছে। দীপ্তনীল রাস্তায় দেখেছে একটা জম্বি।"

    "ধুর, দীপ্তনীল তোমাকে ভুলভাল বলেছে। করোনা ভাইরাস থেকে একটা কঠিন রোগ হয় ঠিকই। মানুষ মারাও যায় অনেকসময়, জম্বি টম্বি বানানো গল্প। আগরতলায় এই ভাইরাস এসেছে, এটাও বানানো গল্প। চীন দেশের একটা গ্রামে এই রোগ ছড়িয়েছিল। অনেক লোক সংক্রমিত হয়েছে। বেশ কিছু লোক মারাও গেছে। চীন থেকে অন্যান্য কিছু দেশেও এই রোগ ছড়িয়ে গেছে। সব দেশের সরকার এখন সতর্কভাবে এই রোগের মোকাবেলা করছে। মূলতঃ হাঁচি কাশি থেকে এই রোগ ছড়ায়। তোমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হাত সবসময় সাবান দিয়ে ধোবে। বাইরে বেরোলে মুখে মাস্ক দিয়ে রাখবে। তাতে ধুলোর হাত থেকেও বাঁচতে পারবে। ব্যস, হয়ে গেল।"

    সাত বছরের হিয়াকে নিয়ে পড়াতে বসেছে বিপ্লব। শুরুতেই এই বেমক্কা প্রশ্ন। যাকে বলে বাউন্সার। আজকালকার বাচ্চারা কত আপডেটেড!

    "না না, সত্যি আগরতলায় এই ভাইরাস ঢুকেছে। আমি ফেসবুকে দেখেছি। সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চারজন লোক চীন থেকে এসে লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পাড়ায়। আমাদের হোয়াটসএপ গ্রুপেও মেসেজ এসেছে। ঐ চারজনকে খুঁজে বার করতে সবার প্রতি আবেদন করা হয়েছে। আগরতলার বাতাস বিষিয়ে দিচ্ছে ওরা।"

    চোখমুখ আতঙ্কে গোল করে টরটর করে বলে উঠল শ্যামশ্রী। খুবই চিন্তার কথা। কোথায় এই চীনেগুলো লুকিয়ে আছে কে জানে! একবার হাতের কাছে পেলে হতো!

    "এই মেসেজ বিভিন্ন গ্রুপে ছড়ানো হচ্ছে। আমার কাছেও এসেছে। এগুলো স্রেফ গুজব। আর কিছু না।"

    "কী বলো তুমি! এদিকে আমার সন্তানের জীবন বিপন্ন, আর তুমি বলছ গুজব! আমি বলি কী, কয়দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নাও। চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকো। হিয়াকেও স্কুলে পাঠিয়ে লাভ নেই। বাড়িতে পড়ুক। অর্পিতা ম্যামের সাথে আমি নাহয় কথা বলে নেব।"

    রাত হয়েছে। শীত গিয়েও বসন্তবাতাসে মৃদু শিরশিরানি আগরতলার আবহাওয়াকে করে তুলেছে মনোরম। এর মধ্যে কোত্থেকে এসে জুড়ে বসেছে করোনা ভাইরাস। জীবনের স্থিতিস্থাপকতাকে নাড়িয়ে দিয়েছে সমূলে। লেক চৌমুহনী বাজারে এসেছে বিপ্লব। শ্যামশ্রী পইপই করে না করে দিয়েছে মাছ মাংস আনতে। ওতে নাকি করোনা ভাইরাস। তবু মাংস বাজারে ঢুঁ মারে বিপ্লব। মাংসের দাম পড়ে গেছে। ব্রয়লার মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কিলো, দেশি ৩৫০ টাকা। করোনা ভাইরাস ভালোই প্রভাব ফেলেছে বোঝা যাচ্ছে। অর্ধেক আগরতলা কোমাগ্রস্ত। নিজের অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিপ্লব। মানুষের এই হুজুগসর্বস্বতার শেষ কোথায় কে জানে! এত বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে চিলচীৎকার চারিদিকে। অভিভাবকদের নামী স্কুলে স্কুলে বিজ্ঞান পড়ানোর প্রতিযোগিতা! একটা গুজব একবার বাজারে রটলেই হলো। বিজ্ঞানের ফানুস নিমেষে চুপসে যায়। বিষন্ন বদনে বাজারের থলিটা বাইকে ঝোলায় বিপ্লব। আনমনে বাইক স্টার্ট করে।

    ঘরে ঢুকতেই একটা অচেনা সৌরভ নাকে এসে ঝাপটা মারে। বাজারের ব্যাগগুলো যথাস্থানে রেখে একটা রহস্য রহস্য মুখ করে এসে দাঁড়ায় শ্যামশ্রী। অন্যদিন বিনাবাক্যব্যয়ে চা করতে চলে যায় বাজার আসলেই। রুটিন। আজ ব্যত্যয়। আজ রহস্যমুখ।

    " কী! গন্ধটা পেয়েছ নিশ্চই! কী বলতো?"

    বিপ্লবের প্রত্যুত্তরের আশায় না থেকে নিজেই জবাব দেয়, "আরে থার্ড ফ্লোরের শুক্লারা হংকং গেছিলো না! কাল ফিরেছে। তুমি বেরোবার পর শুক্লা ডেকেছিলো। রাজ্যের শপিং করেছে। আমার জন্য এই রুম ফ্রেশনারটা এনেছে। 'হংকং ডেলাইট', কী সুগন্ধ বলো। মনে হয় প্যারিসে চলে গেছি। আহা!"

    শ্যামশ্রীর মুখেচোখে আলাদা এক আলো। খানিক সুগন্ধ যেন জীবনেও সুগন্ধ এনে দিয়েছে, ঘরের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে মনে। চা এনে টি টেবিলে রাখে শ্যামশ্রী।

    "কত কী বাজার করেছে জানো! ফ্ল্যাটের সব পরিবারের জন্য কিছু না কিছু এনেছে। তারপর আত্মীয়স্বজনদের জন্য তো আছেই। আমার সঙ্গে তো পেটে পেটে, তাই আমাকে সব দেখাল।"

    রাত্রি ঘন হতে থাকে। রামনগর ছয় নং রাস্তার সেকেন্ড ক্রসিঙে জি প্লাস ফোর আবাসনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে কষে জীবননাটক অভিনীত হয়। প্রতিটি ঘরেই ব্যস্ততার সমীকরণে আঁক কেটে চলে প্রতিটি কুশীলব। আর আজ বিশেষ করে বয়ে যায় সুখের বাতাস, সুবাতাস। কারণ প্রতিটি ফ্ল্যাটেই এতক্ষণে পৌঁছে গেছে "হংকং ডেলাইট"।

    ডিনার সেরে যথারীতি পত্রিকা খুলে বসে বিপ্লব। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এ তার বিনোদন। হিয়া ঘুমে অচেতন। ভোরে স্কুলবাস আসবে। শ্যামশ্রী নৈশ ক্রীমটিম মেখে নিচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। নৈশ প্রসাধন নাকি কমনীয়তা ধরে রাখতে সারাদিনের মধ্যে সবচেয়ে উপযোগী। ফেসবুক আসার পরে এ তথ্য এখন মামণিদের হাতের মুঠোয়।

    আজ এ আবাসনের সব ঘরেই সুবাতাস বয়েছে। "হংকং ডেলাইট"। আর আজকে প্রতিটি ঘরে একজোড়া করে ভ্রু কুঁচকেছে। সুবাতাস এই ধনূর ছিলা সিধে করতে পারেনি। বরং যত সময়ের সাথে সুগন্ধ ভ্যাপসে যাচ্ছে, ততই চিন্তার মেঘ প্রশ্ন তুলছে বুকে, ভ্যাপসা সুগন্ধ ভুলতে দিচ্ছে না।

    "শুক্লাদের গত পাঁচবছরে দু'বার ফরেন ট্রিপ হলো। বলছিল, আগামী বছর নাকি স্টেটসে যাবে। আমরা শুধু একবার গোয়া, আর একবার উটি।"

    "কেন মাঝখানে চেন্নাই মেরিনা বিচ টিচ ঘুরে এলে না!"

    "সে তো মা বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে। ওকে ঘোরা বলে! আর কই আমি বলছি ফরেন ট্রিপের কথা, আর তুমি ধ্যাদ্ধেড়ে গোবিন্দপুরের গল্প শোনাচ্ছ।"

    "এই ফ্ল্যাটের ই এম আই কত জানো? জেনে নিয়ে ফরেন ট্রিপের কথা চিন্তা করো। আগামী কুড়ি বছর এই ইএমআই গুনতে হবে। সেটা যেন হিসেবে থাকে।"

    "শুক্লা অমিয়রা পারে কীভাবে! অমিয়ও তো একা চাকরি করে। তোমার মতোই সরকারি চাকরি। ওরাও ইএমআই শোধ করে। তাহলে?"

    বিপ্লব আগেই পাশ ফিরে শুয়েছিল। এবার বেডসুইচ অফ করে শ্যামশ্রীও পাশ ফিরে শোয়। "হংকং ডেলাইট" পুরোই ভ্যাপসে গেছে। দমচাপা লাগছে। হয়তো হংকং এর কোনো ফুটপাথ থেকে কিনেছে। শস্তার মাল। কিন্তু এই ভ্যাপসা গন্ধ একজোড়া কাঁটা বিঁধে দিয়েছে। একটা শ্যামশ্রীর বুকে। একটা বিপ্লবের বুকে। জোড়ায় জোড়ায় কাঁটা আজ আবাসনের প্রতি ঘরে ঘরে। একটি কর্তার বুকে। একটি কর্ত্রীর বুকে। রাত্রি ঘন হয়।

    - দুই -

    সকালে মর্ণিং ওয়াক সেরে সবে ডোরবেলটা চেপেছে বিপ্লব, হুড়মুড় করে দরজা খুলে এক হ্যাঁচকা টানে বিপ্লবকে ঘরে ঢোকায় শ্যামশ্রী। রীতিমতো হাঁপাচ্ছে।

    "করিডোরে বেশিক্ষণ থেকোনা … করোনা ভাইরাস" ...কঁকিয়ে ওঠে শ্যামশ্রী।

    "তুমি কাল বলোনি তো আমাকে হংকং চীনদেশের পার্ট … কী বিপদ! আমি শুক্লাদের ঘরে ঘুরেও এলাম, এতক্ষণে জানি আমার রক্তনালীতে করোনা ভাইরাস দাপাদাপি করছে … মাগো, হিয়ার কী হবে!"

    "আহা শান্ত হও, শান্ত হও, হিস্টিরিয়া রোগির মতো আচরণ করোনা। ওদের করোনা ভাইরাস নেই।"

    "নেই! নেই আবার! সেজন্যই ডেকে ডেকে সবাইকে ঘরে নিয়ে গেছে যাতে সবার মধ্যে ছড়ায়! ভাগ্যিস অঞ্জলীবৌদি সব এসে আমাকে বলে গেল। নইলে তো কিছু জানতামই না। আর তুমিও হয়েছ এমন অকর্মার ধাড়ি, হংকং যে চীনে, সেটাও জান না।"

    "আরে, তুমি ভয় পাবে বলে বলি নি, অমিয়র সাথে আমার আগেই কথা হয়েছে। দিল্লী এয়ারপোর্টে নামতেই ওদের ভাইরাস স্ক্রিনিং হয়েছে। শুধু তাই নয়, এইমসেও নিয়ে গিয়ে ডিটেইলে চেক আপ করিয়েছে ওরা। রিপোর্ট নিগেটিভ এসেছে। ওদের করোনা ভাইরাস নেই। তাছাড়া আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও অমিয়দের খবর আছে। চীন ফেরত প্রতিটি লোককে নজরে রাখা হচ্ছে। অমিয়দেরও রেগুলার চেক আপে রাখা হবে।"

    "নিকুচি করেছে তোমার চেক আপের। তোমার দ্বারা কিস্যু হবে না। অঞ্জলিবৌদির হাজবেন্ড পরাশরদা কত সাপোর্টিভ জানো! ওনার মাথা থেকেই তো হংকং - করোনার যোগাযোগটা বেরোলো। তুমি তো জেনেও চেপে যাচ্ছিলে। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে থাকি, এমন মহামারীর রোগী নিয়ে থাকা যায়! আজই একটা হেস্তনেস্ত হবে। আজ সন্ধ্যায় অঞ্জলিবৌদির ফ্ল্যাটে আমাদের মিটিং। যেতে চাইলে যেও।"

    - তিন -

    অফিসে গেলে আর কিছু মাথায় থাকে না বিপ্লবের। এতোই কাজের চাপ। তার উপর আজ ছিল একটা ই টেণ্ডারের ওপেনিং। বিডার তো নয়, হাড়বজ্জাত সব। প্রচুর এনার্জি খরচ হয় এইসব কাজে। সব সামলে সুমলে নিজের চেয়ারে বসতে বসতেই বিকেল সাড়ে পাঁচ। ঘর্মাক্ত কলেবরে ঘরে ফেরার পথ ধরে বিপ্লব। করোনা ভাইরাস অদৃষ্টে নেচেছে সারাদিন, এখনো নাচছে। শুধু খেয়াল ছিলো না, এই যা।

    হিয়ার মুখে মাস্ক, মাস্ক পড়েই পড়তে বসেছে। শ্যামশ্রীর মুখে মাস্ক। ঠকাস করে চায়ের কাপ নামিয়ে রাখলো টি টেবিলে। হাত বাড়িয়ে দিলো। প্রেমেই বটে। হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দিলো কালো রঙের একটা মাস্ক।

    "পড়ে থাকো, খুলবে না, আমি অঞ্জলিদি'দের ঘরে মিটিঙে যাচ্ছি।"

    গটগট করে সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে ওপরতলায় চলে গেল শ্যামশ্রী। মাস্ক পড়া দুটি প্রাণী এ ওর দিকে তাকায়, কিন্তু মাস্ক খুলতে কেউ আর সাহস পায় না।

    ঘন্টা দুয়েক পর নেমে এলো শ্যামশ্রী। মুখে বিজয়ীর হাসি। মিটিঙ সাকসেসফুল।

    "ফরেন টুর বের করাচ্ছি এবার। যা একখানা বুদ্ধি বাৎলেছেন না পরাশরদা!"

    "কী বুদ্ধি, শুনি!"

    "আগরতলা মেডিক্যাল কলেজে আইসোলেশন ওয়র্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ওদের থাকতে হবে।"

    "বলো কী! করোনা ভাইরাস না থাকলেও! ওটা তো সংক্রমিত লোকেদের জন্য!এডমিটই তো করবে না।"

    "সব ব্যবস্থা পাকা হয়ে গেছে। এডমিটও করবে। অঞ্জলিদির বোনপো ওখানকার মেডিক্যাল সুপার। শুধু একটু বানিয়ে বলতে হবে যে সর্দি জ্বর টুকটাক একটু হচ্ছে ওদের, এই আর কী। এটুকু কি শুক্লা আমাদের জন্য করবে না! এতগুলো বাচ্চা আবাসনে! ওদের নাহয় বাচ্চাকাচ্চা নেই। আর না চাইলেও যেতে ওদের হবেই। কেউই এই রোগী নিয়ে থাকতে রাজি নয়। সমাজ বলে তো একটা ব্যাপার আছে নাকি! কাল সকালেই আমাদের অভিযান। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলা হবে, ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করা হবে।"

    - চার -

    রোজকার মতো ভোরেই মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিল বিপ্লব। শান্ত জনপদে ভোরবেলা স্বাস্থ্যপ্রত্যাশী আর টিউশনগামী ছাড়া বড় একটা লোকজন চোখে পড়েনা। ওদের ফ্ল্যাটবাড়িটাও থাকে নিঝুম। কিন্তু ফিরে এসে আজ অন্য এক চিত্র দেখা গেল। গোটা ফ্ল্যাটবাড়িটাই যেন আজ লনে নেমে এসেছে। জটলা চলছে এদিক ওদিক। ব্যাপার কী! এককোনে শ্যামশ্রীর দেখা মেলে। উত্তেজিতভাবে হাত নেড়ে কী যেন বোঝাচ্ছে। বিপ্লবকে দেখে এগিয়ে এলো …

    "পাখি ফুড়ুৎ, শুক্লাদের দরজায় বিরাট তালা ঝুলছে।"

    "ফুড়ুৎ কীভাবে বুঝলে, কোনো কাজে বেড়িয়েছে হয়তো! "

    "আরে না, আমাকে হোয়াটসএপে মেসেজ করেছে তো, নাও পড়..." মোবাইল এগিয়ে দেয় শ্যামশ্রী, "খুব বাঁচান বেঁচেছে, নইলে আজ আর রক্ষে ছিলো না …"

    মোবাইল সেটটা হাতে নিয়ে পড়ে বিপ্লব। সংক্ষিপ্ত একটা অভিমানী বার্তা …

    "গ্রামে যাচ্ছি, যেখানে মানুষ তোমাদের মতো উচ্চশিক্ষিত নয়। করোনা ভাইরাস যদি মেরে না ফেলে, ফিরে আসবো। অযথা খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ো না। আপাততঃ বিদায় সখী।"

    আকাশের দিকে মুখ তোলে বিপ্লব। একজোড়া পাখি তখন দূর আকাশে রোদ্দুরের ঠিকানা খুঁজতে ব্যস্ত।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন