সোনালি দিন রুপোলি রাত
নদীর তীরে কাশের বনে সেই আমাদের রুমালচুরি
দুর্গাপুজোর ছুটি কাটাই আনন্দময় আমরা কজন
মাথায় ঝরে আশীর্বাদের চাঁদের আলোর রুপোর ঝুরি
বেপাড়া বা পাড়ার যুবক যুবতীরা আমার স্বজন
বুকের মধ্যে মাদল হয়ে বাজতে থাকে ঢাকের আওয়াজ
অপাপবিদ্ধ আমার মনে তুষারধবল পবিত্রতা
চতুর্দিকের শোভা বাড়ায় সুন্দরীদের অলজ্জ সাজ
ঝরনা হয়ে অসহ্য সুখ নদীর মতো খরস্রোতা
পাড়ায় তখন রাত নেমেছে রাত নেমেছে জ্যোৎসনাধোয়া
লতিয়ে ওঠা চিকন শরীর প্রায়যুবতী সতেজ মুমু
দুচোখে তার মোহের আবেশ,ঠোঁট দুখানি কমলাকোয়া
এক নিমেষে আমাকে দেয় পাতলা ঠোঁটের আলগা চুমু
তার পরদিন শুধুই মুমুর সংগে আমার রুমালচুরি
আফরোদিতির ফুলের জালে মুহুর্তে হই বন্দী দুজন
ভবিষ্যতের সুবাস বুকে ফুটতে থাকে গোলাপ কুঁড়ি
পৃথিবী তার চলা থামায়, ঘড়ির কাঁটাও স্তব্ধ তখন
বাড়ি ফিরে আবার কিছু অভিজ্ঞতা জমতে থাকে
বিতর্কিত ‘প্রজাপতি’র বিষয় নিয়ে আলোচনা
শ্রাবন্তীদির সংগে করি, জীবনপথের প্রতি বাঁকে
তিনিই শেখান প্রেম কি কঠিন , সুখেন শিখা যার প্রেরণা
দিন বয়ে যায় মাস চলে যায়,স্পষ্টতর গোঁফের রেখা
অসংকোচে বিনা দ্বিধায় এখন আমি বলতে পারি
অনেক কিছুই বই পড়ে নয়, জীবন থেকেই আমার শেখা
খুচরো কিছু মদির প্রেমের স্বাদ দিয়েছে কয়েক নারী
সুখ নাকি তা অ-সুখ ছিল বলতে আমি ঠিক পারি না
টাকার যেমন দুপিঠ থাকে, অ-সুখ নিয়েই সুখও থাকে
মধ্যরাতে ঘুম ভেংগে হয় নিজের উপর হঠাৎ ঘৃণা
ভুল করে সুখ চাইতে গেছি, এই কথা আজ বোঝাই কাকে
ঈশ্বর কি দেননি কিছুই, অযোগ্যকে অনেক দিলেন
বাংলো বাড়ি, ঠান্ডা গাড়ি, ব্যাংকে দিলেন টাকাও কিছু
পদোন্নতি , মানপত্র, বিদেশ ঘোরা তাও দিয়েছেন
কিন্ত আমি উঁচু হলাম , নাকি নিজের কাছেই নিচু
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ শেষে এসে গেল হেমন্ত দিন
শীতের পরে বসন্ত আর তেমন কোনো উত্তেজনা
আনছে না তো, জীবন এখন রংহীনতায় শুধুই মলিন
পুজোতে আর ঢাকের আওয়াজ তেমন করে হয় না শোনা
দ্রুত গতির জীবন নদী অন্ধকার এক মোহনাতে
মিশবে জানি , যতই বলি জীবন রে তুই একটু তো থাম
একটা জিনিস পাওয়া বাকি , একবারটি শূন্য হাতে
যদি একবার মুমুর কাছে, একবারটি ফিরতে পেতাম !
সুজিত বাবু, লাগল ভাল,
প্রজাপতির প্রসঙ্গতে
ভাবছি তবে আমরা দুজন
জন্মেছি কি একই স্রোতে?